মনে রেখ এ আমারে পর্ব ১৪

মনে রেখ এ আমারে পর্ব ১৪
রায়েনা হায়াত

অন্তিকে তাইমুরের রুমে বসানো হয়েছে। তেমন সাজানো না হলেও অবনী আর হৃদান শুধু বিছানার মাঝে গোলাপের পাপড়ি ছড়িয়ে দিয়েছিলো। তাইমুর ফ্ল্যাটেই যায়নি। অন্তিকে নিয়ে তাদের বিল্ডিং এ আসার পর থেকেই সে চলে গেছে ছাদে। একের পর সিগারেট টানছে। নিজের ওপরই বিরক্ত সে। অস্থিরতায় বার বার এদিক থেকে ওদিক পায়চারি করছে। সে সময় তহুরা বেগম আসেন। ছেলেকে এমন অস্থির দেখে সে বেশ অবাক হয়। তাইমুরকে ডাকে,
–‘তাইমুর!’
তাইমুর ফিরে তাকায়। মা’কে দেখে হাতের সিগারেট ফেলে দেয়। তহুরা বেগম তা দেখেও আপাতত সিগারেট নিয়ে কিছু বললেন না। এগিয়ে আসলেন ছেলের কাছে। তাইমুর মাথা নিচু করে আছে দেখে জিজ্ঞেস করেন,
–‘কি হয়েছে? সব ঠিক আছে? এতো অস্থির লাগছে কেনো, বাবা?’
তাইমুর বোঝে না কি বলবে! তবুও মনের অস্থিরতা দুর করা জরুরী। তাই জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে নিয়ে ঢোক গিলে বলে,

–‘আম্মু, আমি শান্তি পাচ্ছি না। আমি জানি না আমার কি হয়েছে! আমি একদিকে অন্তিকে পাওয়ার সুখ অনুভব করছি তো অন্যদিকে অতীত চোখের সামনে ভাসছে। কিছুতেই ভুলতে পারছি না। একবার মনে হচ্ছে বিয়েটা হওয়াটা ঠিক হয়েছে তো আবার মনে হচ্ছে এটা ঠিক হয়নি। আমি কি করবো, আম্মু?’
ছেলের চোখ মুখ দেখেই তিনি বুঝলেন সবটা। অতীতে কি হয়েছিলো তা তাইমুর আজও তাকে বলেনি। তবে ঠিকই এতগুলো বছর ওই অন্তিকেই ভালোবেসে গেছে। এ কারণেই তো তারা অন্তিকে ছেলের বউ করেছেন। তবে ছেলে যদি সুখী না হয় তাহলে তো তারা ব্যর্থ! আর অন্তিও সুখী হবে না এতে। তিনি লম্বা একটা শ্বাস নিলেন। ছাদে বেঞ্চ রাখা ছিলো সেখানেই তাইমুরকে টেনে বসান। মাথায় হাত বুলিয়ে বলে,
–‘তুমি আগে শান্ত হও, তাইমুর। জোড়ে জোড়ে শ্বাস নাও।’
তাইমুর তাই করে। নিজেকে শান্ত করার প্রয়াস মাত্র। তাইমুরকে একটু স্বাভাবিক দেখে তহুরা বেগম বলতে শুরু করেন,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

–‘দেখ বাবা, আমি জানি না তোদের অতীতে কি ছিলো! কিন্তু যা হয়েছিলো তা অতীত। আর অতীতকে অতীতে রেখেই এগিয়ে যাওয়াটা ভালো। আমি জানি না অন্তি কি করেছিলো কিন্তু কোনো না কোনো ভুল-ই তো করেছিলো! আর ভুল তো ক্ষমা করা যায়, বাবা। তাছাড়া তুই এতোগুলো বছরেও অন্তিকে একটুও ভুলতে পারিসনি। আর এতো সহজে পারবিও না। আর যেহেতু তাকে পেয়েছিস-ই তাহলে তার কদরও কর। একবার যা হয়েছিলো তা হয়েছিলো কিন্তু বর্তমান আর ভবিষ্যৎ-টা হারাস না। ওর দিক থেকেও ওকে বোঝার চেষ্টা কর। নতুন করে সব শুরু কর। আর বিয়েটা কোনো ছেলেখেলা না, তাইমুর। এটা বিয়ে, হালাল একটা সম্পর্ক। এই সম্পর্কটা এতোটাও সহজ না আবার খুব কঠিনও না। বউয়ের প্রতি দায়িত্ব সম্পর্কে তো জানিস, তাই না?’
তাইমুর মাথা নাড়ায়। তহুরা বেগম আবার বলেন,
–‘সব দায়িত্ব পার করে কিন্তু তোর বউ তোর সবটুকু ভালোবাসাও পায়। এটা ওর হক। তাই অতীত ভুলে নতুন সম্পর্কটাকে আঁকড়ে ধর।’

তাইমুর বুঝলো। মাথা নাড়িয়ে মা’কে জড়িয়ে ধরে ‘ধন্যবাদ’ দেয়। তারপর মায়ের সাথেই নেমে আসে তাদের ফ্ল্যাটে। সময় তখন রাত ১১ টা। অন্তি তখনো পুতুলের মতো বসে আছে বিছানার ওপর। চারপাশের গোলাপের পাপড়িগুলো দেখছে। সময় আর পরিস্থিতি মানুষকে কোথা থেকে কোথা নিয়ে যায়! ৫ বছর আগে যা চলে গেছিলো তা সে ফিরে আসবে এবং তার-ই বর হবে এটা কি সে কখনো ভেবেছিলো? তার ভাবনার মাঝেই তাইমুর রুমে ঢোকে। দরজা খোলার আওয়াজেই অন্তির হার্টবিট দ্রুত হয়ে যায়। সে জানে তাইমুর তাকে যতটা ঘৃ’ণা করে তাতে তাকে ছুঁয়েও দেখবে না তবুও বেহায়া হৃদয় এতো গতিতে চলছে কেনো! ভয়ে নাকি লজ্জায়? নাকি অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু পাওয়ায়? লম্বা দু’টো শ্বাস নিয়ে সে ঘোমটার আড়াল থেকেই তাকায় তাইমুরের দিকে। তাইমুর তখনো দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। তার অস্বস্তি হচ্ছে। তবুও দু’পা এগোয়। বিছানার সামনে দাঁড়াতেই অন্তি সালাম দেয়। তাইমুর ভাঙা ভাঙা ভাবে সালামের উত্তর দেয়। তাইমুরের কণ্ঠের পরিবর্তনে অন্তি ভ্রু কুঁচকায়। তাইমুরের অবস্থা কি তার মতোই? তাইমুর কি বলবে বুঝতে পারছে না। থম মে’রে দাঁড়িয়ে আছে। অন্তি নিজ থেকেই বলে,

–‘পানি খাবেন?’
তাইমুর উপর-নীচ মাথা নাড়ায়। অন্তি নিজেই টি-টেবিল থেকে এক গ্লাস পানি তাইমুরকে দেয়। তাইমুর ঢকঢক করে সে পানি শেষ করে। অন্তি নিজের ঘোমটার দিকে ঈশারা করে বলে,
–‘তোলেন।’
–‘কী?’
–‘ঘোমটা। আপু বলেছে আপনাকে তুলতে। এভাবে আন্ধার মতো বসে থাকতে ভালো লাগছে না।’
তাইমুর থমথমে কণ্ঠে বলে,
–‘আমি পারবো না।’
অন্তি ‘ঠিক আছে’ বলে নিজেই ঘোমটা তুলে নেয়। আলো তখনো জ্বলছে। তাইমুর স্পষ্ট অন্তির মুখ দেখতে পায়। অন্তি বিছানা থেকে নেমে আয়নার সামনে গিয়ে ঘোমটা খুলে ফেলে। এরপর চুল থেকে একটা একটা করে পিন খুলতে শুরু করে। তাইমুর দেখছে তাকে। অন্তি আয়নায় তা দেখে জিজ্ঞাসা করে,
–‘কিছু বলবেন?’
তাইমুর তার থেকে ২-৩ হাত দুরেই ছিলো। ঘোরের বশেই তাইমুর বলে বসে,
–‘আমি আপনাকে একটু ছুঁয়ে দেখি, অন্তিকা?’

অন্তির হাত থেমে যায়। তাইমুরও বলার পর চোখ ফিরিয়ে নেয়। নিজেই নিজেকে বকতে থাকে। অন্তি উঠে এসে তার সামনে দাঁড়ায়। তাইমুর তা দেখে পিছোতে নিলে অন্তি হাত টেনে ধরে। তাইমুর ছাড়িয়ে নিয়ে বলে,
–‘ভুল করে বলে ফেলেছি, সত্যি সত্যি বলিনি। তাই দুরে যান!’
অন্তি যায় না। তাইমুরের চোখের দিকে তাকিয়ে তার কাছে এগিয়ে যায়। তাদের দূরত্ব একদম কম। অন্তির চোখ দুটো ছলছল করছে৷ তা দেখেই তাইমুরের সব রাগ, জিদ, অভিমান, অভিযোগ উধাও হয়ে যায়। অন্তি তাইমুরের বুকের কাছের পাঞ্জাবি চেপে ধরে পা উচু করে। তাইমুর থতমত খেয়ে গেছে। অন্তি কিছু না করে শুধু জিজ্ঞাসা করে,
–‘আপনি কি আমাকে অনেক বেশি ঘৃ’ণা করেন, তাইমুর?’

তাইমুরের মনে হলো তার হার্টবিটই থেমে গেছে। প্রথমবারের মতো অন্তির মুখে ‘তাইমুর ভাইয়ের’ জায়গায় শুধু ‘তাইমুর’ শুনে তার কি হলো সে নিজেও জানে না। অন্তির প্রশ্নের জবাব না দিয়ে ফট করে অন্তির কোমড় আঁকড়ে ধরে। অন্তি ভয়ে আরো শক্ত করে তাইমুরকে ধরে। তাইমুর কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই অন্তির ঠোঁট আঁকড়ে নেয়। অন্তির চোখ দু’টো মূহুর্তেই বড় বড় হয়ে যায়। কি হলো এটা? সে কি ভুলভাল স্বপ্ন দেখছে?

মধ্যরাত। তাইমুর ব্যালকনিতে বসে আছে। অন্তিও ঘুমায়নি। সেও বিছানায় বসে আছে। তাইমুর গত দু’ঘন্টা থেকে এভাবেই বসে আছে। সম্ভবত সে আফসোস করছে। তাদের মধ্যে তেমন কিছুই হয়নি। তবুও তাইমুরের এমন ব্যবহার দেখে অন্তির খারাপ লাগে। সে কি এতো বাজে সে তাকে ছোঁয়ার জন্য এভাবে আফসোস করতে হবে? তারা তো স্বামী-স্ত্রী। তাহলে? অন্তির চোখ থেকে জল গড়িয়ে পরে। মূহুর্তেই তা মুছে নিয়ে এগোয় ব্যালকনির দিকে। পরনে এখনো বিয়ের শাড়ি। আঁচলটা মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে। সেদিকে খেয়াল না করে ব্যালকনির দরজার সামনে যায়। তাইমুর চোখ বন্ধ করে আছে। ঘুমিয়েছে? অন্তি ডাকে না। শুধু চুপচাপ পাশে গিয়ে বসে। তাইমুরের ভারী নিঃশ্বাসের শব্দে সে অনুভব করে তাইমুর ঘুমিয়েছে। এভাবে বসে বসে ঘুমিয়েছে ভেবে একটু অবাক-ই হয়। পাশে এগিয়ে গিয়ে মাথাটা টেনে নিজের ঘাড়ের ওপর নেয়। তাইমুর আরামে মাথাটা রেখে মুখ গুঁজে দেয়। অন্তি নড়েচড়ে বসে শ্বাস আটকে রাখে। এক হাতে তাইমুরের কাঁধটা সে ধরে আছে। তাইমুর আর গভীর ভাবে মুখ গুঁজে দিলে অন্তি তাকে ছেড়ে দিতে নেয়। তবে ছেড়ে না দিয়ে আলগোছে ডাকে তাকে,

–‘শুনছেন! এখানে ঘুমালে কেউ দেখলে কী বলবে? রুমে চলুন।’
তাইমুর শুধু ‘হু’ বলে আবার ঘুমিয়ে যায়। এ কি ঘুম! অন্তি আবার চেষ্টা করে। তাইমুর গালে হাত দিয়ে ডাকতে থাকে। তাইমুর না উঠে ঘুমের মধ্যেই উল্টো বলে,
–‘তুমি আমাকে ভালোবাসোনি কেনো, অন্তিকা? তন্ময়কে কেনো বাসলে? আমাকে কেনো মনে রাখলে না, ভালোবাসলে না?’
রাতের নীরবতায় অন্তি স্পষ্ট শুনতে পেলো প্রত্যেকটা শব্দ। থমকে সামনে তাকিয়ে থাকে সে। তাইমুরকে সে ভালোবাসেনি মানে? তাইমুর তাকে ভালোবাসে? তাহলে ৫ বছর কোথায় ছিলো? কেনো আসেনি? প্রশ্নে তার মাথায় সব জট পাকিয়ে যায়। ব্যস্ত ভাবে তাইমুরকে ডাকতে থাকে। তাইমুর বিরক্তি নিয়ে উঠে যায়। ঘুম ঘুম চোখেই বলে,
–‘কি সমস্যা, অন্তিকা?’
–‘ব্যালকনিতে ঘুমাচ্ছেন কেনো? রুমে চলেন!’
তাইমুর আর কোনো কথা বলে না। চুপচাপ উঠে ঢুলতে ঢুলতে এগোয়। অন্তি ভয় ভয়ে তার পিছু পিছু যায়। কখন যে পড়ে যায় সেই ভয়ে আছে। তবে তাইমুর ঠিকঠাক-ই যায়। ধপ করে বিছানায় শুয়ে পড়ে। অন্তি স্বস্তির শ্বাস ফেলে। কাল সকালে কথা বলতে হবে ভেবে সে যায় চেঞ্জ করতে। শাড়িটা পাল্টে সেও এসে তাইমুরের পাশেই শুয়ে পড়ে। ঘুম হবে কি না সে নিজেও জানে না। মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে ওই দু’টো লাইন।

সকালে ঘুম থেকে উঠতে বেশ দেরি হয় অন্তির। গতরাতে ঘুম না হওয়ার জন্যই মূলত তার এই দেরিতে ওঠা। যখন তার ঘুম ভাঙে তখন ঘড়ির কাটায় ৮ টা বেজেছে৷ এক লাফে বিছানা থেকে উঠে আশে পাশে তাইমুরকে দেখে না। জলদি চুল বেঁধে ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়। এরপর ওড়না মাথায় দিয়ে বের হতেই দেখে হায়দার সাহেব সোফায় বসে চা খাচ্ছে আর পত্রিকা পড়ছে। তহুরা বেগম তাইমুরের সাথে কথা বলছে। বিয়ের পরেরদিনই দেরিতে ওঠায় তার বেশ লজ্জা লাগে৷ অস্বস্তিতে সে এগোতে পারে না। তহুরা বেগম-ই তাকে দেখে হাসিমুখে ডাকেন,
–‘আরে অন্তি, উঠে গেছো! আসো এখানে আসো।’
অন্তি হাসার চেষ্টা করে তাদের কাছে যায়। তহুরা বেগম তার মাথার ওড়নাটা টেনে দিয়ে বলে,
–‘ঘুম হয়েছে? তুমি ঘুমাচ্ছিলে বলে আর ডাকিনি।’
–‘আসলে.. ‘

–‘ইতস্তত করছো কেনো? কোনো সমস্যা নেই। আমার বিয়ের পরেরদিন আমি কয়টায় ঘুম থেকে উঠেছিলাম জানো? পুরো ৯:৩০। আমার শাশুড়িমা ডেকে হয়রান। শেষে তোমার শ্বশুরবাবা আমাকে টেনে তুলেছিলেন।’
বলেই হাসতে থাকে। অন্তিও হাসে। তাইমুর সোফা থেকে উঠতে উঠতে বলে,
–‘আম্মু, নাস্তা দাও। আমি হসপিটাল যাবো।’
তহুরা বেগম রেগে জেদী গলায় বলেন,
–‘বিয়ের পরেরদিনই কে কাজে দৌড়ায়? দু’দিন ছুটি নিতে পারছিস না?’
–‘আম্মু, আমার অনেক কাজ আছে।’
–‘তোর কাজ গোল্লায় যাক। আমি কিছু জানি না। ছুটি নে!’
তাইমুর অসহায় দৃষ্টিতে তাকায়। অন্তি পাশ থেকে নিচু গলায় বলে,
–‘আন্টি, থাক না! উনি..’
এটুকু বলতেই তহুরা বেগম হুংকার ছাড়েন,
–‘কি বললে তুমি?’
অন্তি ভয় পেয়ে যায়। ভীত দৃষ্টিতে তাকিয়ে ভাবে সে কি করেছে! ভীত গলাতেই জিজ্ঞাসা করে,

–‘জ্বি?’
–‘জ্বি কী? কি বললে তুমি?’
–‘থাক না!’
–‘ওটা না। কি বলে সম্বোধন করলে!’
–‘আন্টি।’
–‘আমার ছেলে তোমার বর হলে আমি তোমার কী হই?’
অন্তি না বুঝেই বলে,
–‘জ্বি, শাশুড়ি।’
–‘শাশুড়িকে কি ডাকতে হয়?’
–‘মা?’
–‘জানো যখন তখন আন্টি কেনো বললে? আর একবার তোমার মুখে আঙ্কেল আন্টি শুনলে আমার থেকে খারাপ কেউ হবে না, অন্তি। আর তাইমুর, আমি বলেছি তা বলেছি। আজ তুই ছুটি নে।’
তাইমুর রেগে চলে যায়। তহুরা বেগমও রান্নাঘরের দিকে যায়। হায়দার সাহেব সবার কান্ড দেখে হাসছিলেন। তিনিও উঠে যান। অন্তি তা দেখে তাইমুরের পিছে পিছে যায়। রুমে ঢুকে দেখে তাইমুর তার ল্যাপটপ নিচ্ছে। অন্তি জোড়েই বলে,

–‘আপনার সাথে কথা ছিলো।’
তাইমুর না তাকিয়ে জবাব দেয়,
–‘বলেন।’
অন্তি কতক্ষণ চুপ থাকে। নিজেকে আশ্বস্ত করে নিয়ে কোনোরকমে বলে,
–‘আপনি কাল রাতে কী বললেন ওটা? আমি আপনাকে ভালো..বাসিনি কেনো? এ..এটা বলার মানে কী? আপনি কি..’

মনে রেখ এ আমারে পর্ব ১৩

আর কিছু না বলেই থেমে যায়। তাইমুরও ততক্ষণে তার দিকে তাকিয়েছে। সে যে ঘুমের ঘোরে কি বলেছে তা ভেবেই তার নিজেকে থাপ্পড় দিতে ইচ্ছে করে। মুখটা গম্ভীর করে বলে,
–‘ঘুমের ঘোরে কি বলেছি না বলেছি! ওটা ধরে আছেন কেনো?’
–‘ভুলভাল বলার চেষ্টা কইরেন না। আপনি ঘুমের মধ্যেই তন্ময়ের কথাও বলেছেন।

মনে রেখ এ আমারে পর্ব ১৫