মনে রেখ এ আমারে পর্ব ১৫
রায়েনা হায়াত
সন্ধ্যায় অফিস থেকে ফিরেই অবনী আর হৃদান বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্য ব্যাগ গোছাতে থাকে। অবনীকে ব্যাগ গোছাতে বলে হৃদান ভাবে তাইমুরের কাছে যাবে। তার সাথে কথা বলাটা জরুরী। হৃদান অবনীকে আসছি বলেই তাইমুরের কাছে যায়। তাইমুররা অন্তিদের ফ্ল্যাটেই ছিলো। একটু আগেই এসেছে। পাশাপাশি হওয়ায় সারাদিনই আসা যাওয়া চলেই। হৃদান তাইমুরকে খুঁজে পায় অন্তির রুমে। অস্বস্তি নিয়েই তার কাছে গিয়ে বলে,
–‘তাইমুর ভাই, একটু কথা বলার ছিল।’
–‘হ্যাঁ, বলেন।’
হৃদান তাইমুরকে নিয়ে ব্যালকনিতে যায়। সামনাসামনি দাঁড়িয়ে ইতস্তত করে বলে,
–‘কিভাবে বলবো বুঝতেছি না!’
তাইমুর তাকে আশ্বস্ত করে তার কাঁধে হাত রেখে বলে,
–‘এতো ইতস্তত করবেন না, ভাই। বলেন কি হইছে! কোনো সমস্যা? কোনো সাহায্য লাগবে?’
–‘সাহায্যই বলা যায়! আসলে ভাই, আপনি হয়তো জানেন নীলার বিষয়টা।’
তাইমুর স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করেই মাথা নাড়ায়। হৃদান ফের বলে,
–‘এটা ভাববেন না আমি ওর পক্ষে কথা বলতে আসছি! এরকম কিছু না। আমি জানতামই না এসব, অবনী সেদিন জানালো। আমার বোন একদম অবুঝ আর জেদি। এখন হঠাৎ করে যদি শোনে আপনার আর অন্তির বিয়ে হয়ে গেছে তাহলে অনেক ঝামেলা হবে। না বুঝে কি করবে তা বলা যায় না। তখন আমাদের ৩ পরিবারেরই লজ্জিত হতে হবে, যা আমি চাচ্ছি না৷ তাই আপনি যদি আমার সাথে একটু আসেন আর আমরা দুজন মিলেই ঠান্ডা মাথায় ওকে সবটা বোঝাই তাহলে হয়তো বুঝতেও পারে। আপনার সমস্যা থাকলে থাক!’
–‘কোনো সমস্যা নেই, ভাই। এটাই ভালো হবে। বুঝুক বা না বুঝুক অন্তত বুঝিয়ে দেখা তো উচিত।’
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
হৃদান কৃতজ্ঞতার সহিত মাথা নাড়ায়। ধন্যবাদ দিয়ে কল করবে জানিয়ে চলে যায়। তাইমুর ভাবে কথাটা অন্তিকে বলবে কি না! বলা উচিত তবে! পরক্ষণেই ভাবে কেনো জানাবে সে অন্তিকে? জানাবে না। তার মন এখন দুরকম প্রতিক্রিয়া করছে। সে চাচ্ছে অন্তিকে মেনে নিতে কিন্তু পারছে না। ৫ বছর আগের স্মৃতিগুলোই শুধু মনে পড়ছে। তাইমুর মাথা চেপে ধরে আবার রুমে যায়। সকালে সে অন্তিকে এড়িয়ে গেছে। অন্তি কয়েকবার জিজ্ঞাসা করার পরও সে কোনো জবাব দেয়নি। কী জবাব দিবে সে? ৫ বছর আগে তোমাকে ভালোবেসেছি আর তুমি অপমান করেছো? নাকি বলবে আমাকে ভালো না বেসে অন্য কাউকে বেসেছো? কোনটা বলবে সে? তার ভাবনার মাঝেই অন্তি রুমে আসে। তাইমুরকে দেখে তার রাগ, অভিমান দুটোই হয়। যা সমস্যা আছে তা নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে নিতে উনার সমস্যা কি? কিন্তু উনি মিটাবেন না। পেটে কথা চেপে রেখে অপমান করবেন। অন্তি মুখ ফিরিয়ে নিয়ে বলে,
–‘আপু আর ভাইয়া চলে যাচ্ছে। আপনাকে মা ডেকেছে।’
সে এক মূহুর্তও আর দাঁড়ায় না। চুপচাপ বেড়িয়ে যায়। তাইমুর তার যাওয়ার দিকে কপাল কুঁচকে তাকিয়ে থাকে। তারপর নিজেও ফোনটা নিয়ে বেড়িয়ে আসে। হৃদান আর অবনী বিদায় নিয়ে চলে যায়। রাতে এ বাড়িতে রেহেনা বেগম একা। তাই অন্তি আর তাইমুর এখানে থেকে যায়। যদিও রেহেনা বেগম মানা করেন তবুও তারা শোনে না। তহুরা বেগম আর হায়দার সাহেব যে ক’দিন আছে সে ক’দিন অন্তি-তাইমুর এ বাড়ি থাকবে। তহুরা বেগমরাও চলে যায়। অন্তি মায়ের কাছে বসে গল্প করতে। তাইমুরের জন্য রান্না করছে রেহেনা বেগম। তাইমুর রুমে চলে গেছে।
রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষে অন্তি আর তাইমুর তাদের রুমে যায়। দুজনেই চুপ করে আছে। অন্তি বিছানা গুছিয়ে দিতে দিতে বলে,
–‘আজ আবার ব্যালকনিতে যাবেন না ঘুমাতে। আমি রোজ রোজ টেনে আনতে পারবো না।’
তাইমুর ত্যাড়া স্বরে বলে,
–‘আপনাকে কে বলছে টেনে আনতে?’
অন্তিও দাঁতে দাঁত চেপে ওভাবেই জবাব দেয়,
–‘আপনার মধ্যের আত্মা।’
তাইমুর ভ্রু কুঁচকে তাকায়। অন্তি একবার সেদিকে তাকিয়েও পাত্তা দেয় না। গতরাতে মেঝেতে বসে ঘুমানোর ফলে তার গলাটা সামান্য বসে গেছে। অন্তি নিজের কাজে মনোযোগ রেখেই বলে,
–‘গলা বসে গেছে ঔষধ খেয়ে নিয়েন। নয়তো আবার মা বলবে নতুন বরের যত্নও করি না।’
–‘আমার মায়ের খেয়ে কাজ নেই যে তার ছেলের ঠান্ডা লাগলেও বউয়ের দোষ দিবে!’
অযথা এমন ত্যাড়া ত্যাড়া কথায় অন্তির বেশ রাগ হয়। সে তাইমুরের সামনে দাঁড়িয়ে তার বুকের কাছটার শার্ট শক্ত করে চেপে ধরে। তাইমুর গম্ভীর দৃষ্টিতে তার দিকে তাকালে অন্তি দাঁতে দাঁত চেপে বলে,
–‘সমস্যা কি আপনার? আমি কি আপনাকে জোড় করেছিলাম বিয়ের জন্য? নাকি জোড় করে বিয়ে করেছি? তাহলে এরকম ব্যবহারের মানে কি?’
তাইমুর অন্তির হাতের ওপর হাত দিয়ে শার্ট ছাড়িয়ে নেয়। চোখে চোখ রেখেই জবাব দেয়,
–‘আমি চাইলেও আপনাকে মেনে নিতে পারছি না। ৫ বছর আগের স্মৃতিগুলো আমার মাথায় চেপে বসছে। আপনার অপমান, তন্ময় সবকিছু আমার চোখে ভাসে।’
অন্তি ‘থ’ মেরে যায়। কোনো রকমে বলে,
–‘আমি আপনাকে অপমান করেছিলাম মানে? আর তন্ময়?’
তাইমুর তাচ্ছিল্য করে হেসে জবাব দেয়,
–‘ভালো অভিনয় জানেন তো আপনি! নিজের কাজ নিজে এতো সুন্দর করে অস্বীকার করতে পারেন?’
–‘আমি কিছুই করিনি। আমি আপনাকে কবে অপমান করেছি? সেদিন যাওয়ার পর তো আপনার সাথে আমার কোনো যোগাযোগই ছিল না।’
অন্তির কথায় তাইমুরের রাগ হয়। তার সাথেই কলে কথা বলে এখন বলছে তার সাথে আর কথা-ই হয়নি! এতো মিথ্যা কেউ বলতে পারে? তাইমুর রাগে অন্তিকে টেনে তার হাত পেছনে মুড়িয়ে ধরে। অন্তি ব্যাথায় আর্তনাদ করলেও তাইমুর ছাড়ে না। চোয়াল শক্ত করে বলে,
–‘মিথ্যা বলার একটা লিমিট আছে, অন্তিকা। আপনি ভুলে যাওয়ার নাটক করলেও আমি কিন্তু ভুলিনি কিছু। ৫ বছর আগে আপনাকে ভালোবেসেছি এখন আর বাসি না। আপনার প্রতি আমার মনে শুধু ঘৃ’ণা।’
অন্তি অনুভূতিশূণ্য দৃষ্টিতে তাকায়। তার জন্য তাইমুরের মনে সত্যিই এতোটা ঘৃ’ণা? তবে নিজেকে সামলে নিয়ে হাত ছাড়ানোর চেষ্টা না করেই বলে,
–‘আপনি আমাকে ভালোবাসতেন?’
তাইমুর আরও রাগ হয়। ৫ বছর আগে অন্তি তো জানতো এসব। তাহলে আজ এসব নাটকের মানে কি! রাগে আরও শক্ত করে চেপে ধরে তাকে। অন্তি চোখ বন্ধ করে নিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করে। ব্যাথায় অজান্তেই চোখের কোণ বেয়ে এক ফোঁটা জল গড়ায়। তাইমুর তা দেখে হাত আলগা করে দেয়। রাগী কণ্ঠেই বলে,
–‘আপনাকে তো বেস্ট অভিনেত্রীর অ্যাওয়ার্ড দেওয়া উচিত।’
বার বার একই কথা বলায় অন্তিরও রাগ হয়। সেও এবার চোয়াল শক্ত করে জবাব দেয়,
–‘বার বার এক কথা বলবেন না, তাইমুর। সব সহ্যের একটা সীমা আছে। কি মনে করেন আপনি আমাকে? আপনাকে যদি আমি ৫ বছর আগে অপমানই করি তাহলে ৪ বছর কেনো আপনার জন্য অপেক্ষা করেছি? আপনি আসার পর আপনাকে ইগনোর না করে নিজ থেকেই কেনো কথা বলেছি? আর আমার আব্ব-আম্মু আমাকে শিখিয়েছে কখনো কাউকে আঘাত না করে কথা বলতে সেখানে আপনাকে অপমান করবো? যাকে আমি…’
অন্তি থেমে যায়। তাইমুর জিজ্ঞাসা করে,
–‘কী?’
অন্তি ‘কিছু না’ বলে নিজেকে ছাড়িয়ে নেয়। তাইমুরের থেকে দুরে দাঁড়িয়ে বলে,
–‘আপনাকে আমি বুদ্ধিমান ভাবতাম, সম্মানও করতাম। কিন্তু আপনি না ভালোবাসার যোগ্য আর সম্মান পাওয়ার যোগ্য!’
অন্তি রাগে রুম থেকে বেড়িয়ে যায়। তাইমুর কিছু বোঝেনি। অন্তির চোখে এক ফোঁটাও মিথ্যা ছিল না। কিন্তু ৫ বছর আগে যা ঘটেছিল তাও তো মিথ্যা ছিল না। তবে? আর অন্তি তার জন্য ৪ বছর অপেক্ষা করেছিল মানে? তন্ময়ের সাথেই তো তার ৫ বছরের সম্পর্ক তাহলে ৪ বছর সে তার জন্য কিভাবে অপেক্ষা করে? সে যা জেনে এসেছে তা মিথ্যা নাকি অন্তি মিথ্যা? তাইমুর অস্থির ভাবে পাইচারি করতে শুরু করে। এখানে আসার প্রথম দিন থেকে সব ঘটনা একটু একটু করে মনে পড়ে এবং তাতে অন্তিকেই সঠিক মনে হয়। বিশেষ করে ফুলের ঘটনাটা তার মনে গেঁথে আছে।
গত রাত থেকে অন্তি কথা বলেনি তাইমুরের সাথে। এমন মানুষের সাথে কথা বলার কোনো মানে নেই। তার ওপর মিথ্যা দোষ দিচ্ছে? আর সব বাদ দিলেও যে তাকে ঘৃণা করে তার কাছে সে কেনো যাবে? কোনো প্রয়োজন নেই। সকাল সকাল সে এ বাড়িতেই রান্না করেছে। রেহেনা বেগমকে কিছু করতে দেয়নি। তহুরা বেগম আর হায়দার সাহেবও এখানেই এসেছেন। আজ তারা চলে যাবে। এ নিয়েই রেহেনা বেগমের সাথে কথা বলছিলেন। তাইমুর সোফায় বসে বার বার রান্নাঘরের দিকে তাকাচ্ছে। গত রাতে অন্তি পাশের রুমে ঘুমিয়েছে। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে তার সাথে কথাও বলছে না। তাইমুর চাচ্ছে কথা বলতে তবে অন্তি সে সুযোগ দিচ্ছে না। তার ভাবনার মাঝেই রেহেনা বেগম বলেন,
–‘আর ক’দিন থেকে যান, ভাবী!’
তহুরা বেগম হাসিমুখে বলেন,
–‘না, ভাবী। এমনিই অনেকদিন থাকা হলো। ওদিকেও সব পরে আছে। বোঝেনই তো!’
রেহেনা বেগম মাথা নাড়ালেন। অন্তি তখন নাস্তাগুলো টেবিলে রাখছে। রেহেনা বেগম তার দিকে একবার তাকিয়ে বললেন,
–‘আমিও ভাবছি ক’টা দিন অবনীর মামা বাড়ি থেকে আসবো। আবহাওয়া পাল্টালে হয়তো মনটাও ভালো হবে।’
–‘আপনি আমাদের সাথেই চলেন না, ভাবী! ঘুরে আসবেন ক’দিন।’
–‘না না, অন্য সময় যাবো ইন শাহ আল্লাহ।’
অন্তি তাদের দিকে এগিয়ে এসে মা’কে উদ্দেশ্য করে বলে,
–‘আমাকে তো বলোনি যাওয়ার কথা!’
–‘ঠিক-ই তো করলাম গত রাতে। তাছাড়া তোকে তো নিবো না। তোর নতুন বিয়ে এখন এখানেই থাক।’
–‘তুমি একা যাবে? পাগল হয়েছো?’
–‘না। এখানেও তো তাইমুর একা থাকবে। তোর যেতে হবে না। আমি ঠিক চলে যাবো।’
তাইমুরও বলে অন্তিকে নেওয়ার কথা তবে রেহেনা বেগম সাফ সাফ মানা করে দেন। কেউ আর কথা বাড়ায় না। সবাই নাস্তা করে নেয়। তাইমুর নিজেদের ফ্ল্যাটে গিয়ে রেডি হয়ে হসপিটালে যায়। মায়ের ব্যাগ গোছাতে সাহায্য করে।
বিকালে হায়দার সাহেব, তহুরা বেগম, রেহেনা বেগম একসাথেই বের হলেন। রেহেনা বেগমের বাবার বাসা টাঙ্গাইলে। তাইমুর হসপিটাল থেকে ব্রেক নিয়ে এসে তাদেরকে গাড়িতে তুলে দেয়। তারা চলে গেলে অন্তিও ব্যাগ নিয়ে বের হচ্ছে দেখে তাইমুর ডাকে। অন্তি কোনো কথা না বলে শুধু তাকায়। তাইমুর জিজ্ঞাসা করে,
–‘কোথায় যাচ্ছেন?’
–‘প্রেমিকের সাথে দেখা করতে। যাবেন?’
তাইমুরও সাথে সাথেই বলে,
–‘হ্যাঁ, চলেন।’
অন্তি কপাল কুঁচকায়। মনে মনে তাইমুরকে বকা দিয়ে বের হয়। পেছন পেছন তাইমুরও বের হয়। তাইমুর গাড়ির দরজা খুলে দিলে অন্তি বিরক্তি নিয়ে বলে,
–‘টিউশনিতে যাচ্ছি।’
–‘জানি। আমি নামিয়ে দিবো। উঠেন!’
–‘দরকার নেই।’
–‘জিজ্ঞাসা করিনি, উঠতে বলেছি।’
অন্তি রাগে রাগেই গাড়িতে ওঠে। তাইমুর গাড়ি স্টার্ট দিয়েই বলে,
–‘কাল বাসায় মেহমান আসবে। ভালো মতো আপ্যায়ন করবেন।’
–‘কে আসবে?’
–‘দেখতে পাবেন।’
অন্তি বোঝে তাইমুর বলতে চাচ্ছে না তাই সেও আর ঘাটায় না। তবে তার মাথায় ঘুরতে থাকে কে আসতে পারে! কোনো ভাবে তন্ময়কে আনতেছে না তো আবার? পরক্ষণেই ভাবে ওকে আনবে না। আর ডাকলেও তন্ময় কেনোই বা আসবে? তাহলে কে আসবে? হুট করেই কিছু মনে হতে চোখ বড় বড় করে বলে,
–‘গার্লফ্রেন্ড আছে নাকি? তাকে আনবেন না তো আবার?’
তাইমুর চোখ ছোট ছোট করে তাকায়। অন্তি থতমত খেয়ে হাসার চেষ্টা করে অন্যদিকে ফিরে। তাইমুর বোঝে না এই মেয়ের মাথায় চলেটা কি! অন্তির টিউশনির জায়গায় নামিয়ে দিয়ে সে উল্টো পথে চলা শুরু করে। বেশ দুরে এসে কল দেয় সায়মনের নাম্বারে। কল রিসিভ হলে দুজনে ফরমাল কথা বলা শেষে তাইমুর বলে,
–‘দু’দিন হলো বিয়ে করে ফেলেছি। হঠাৎ বিয়ে হওয়ায় কাউকে কিছু জানানো হয়নি কিন্তু তুই তো আমার বেস্ট ফ্রেন্ড তাই ভাবলাম তোকেই আগেই জানাই।’
সায়মন অবাক হয়ে বলে,
–‘বিয়ে করে ফেলেছিস? এটা আবার দু’দিন পর বলছিস?’
–‘অতো অবাক হওয়ার দরকার নাই। কাল ভাবীকে নিয়ে বাসায় আয়। জানিসই তো কোথায় থাকি!’
–‘সে ঠিক আছে। তবে বউ কে?’
তাইমুর অদ্ভুত ভাবে হাসে। তবে নিজেকে স্বাভাবিক রেখেই বলে,
–‘পৃথিবীর সব মেয়েকে চিনিস নাকি? বউ এসে দেখে যাস। আর তন্ময়কেও আনিস।’
একথায় সায়মন একটু অবাক-ই হয়। তবুও জিজ্ঞাসা করে,
–‘হঠাৎ তন্ময় কেনো?’
মনে রেখ এ আমারে পর্ব ১৪
–‘আরে ওর বিয়ের দিন দেখছিলাম আমাকে আর অন্তিকে নিয়ে বেশ ইনসিকিউরড হচ্ছিলো তাই ভাবলাম আমার বউকে দেখলে ওরও মন শান্ত হয়ে যাবে।’
সায়মন কিছু বোঝে না। তবে তাইমুরকে বলে তন্ময়কে আনবে। তাইমুর কল কেটে গম্ভীর ভাবে হসপিটালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। আশা করা যায় তার সব প্রশ্নের উত্তর তন্ময়ের কাছেই আছে।