মন্ত্রী বর যখন চাচাতো ভাই পর্ব ৬

মন্ত্রী বর যখন চাচাতো ভাই পর্ব ৬
সৌরভ চৌধুরী

আবরার আকাশ মাহমুদের সামনা সামনি বসে আছে।
আকাশ মাহমুদ আবরারের চোখের দিকে তাকিয়ে মনে মনে ভাবতেছে, এই চোখে যে দৃঢ়তা সে দেখতেছে, “সেই দৃঢ়তা সে আয়মানের চোখেও দেখেছিলো”
আকাশ মাহমুদের ভাবনার মধ্যেই আবরার গম্ভীর কন্ঠে বলল,

আবরার ___ বলুন। আপনি কি বলতে চান যার জন্য এত ইমার্জেন্সি বান্দরবান আসতে বললেন।
আকাশ __ তুমি ছেলেটা একদম আয়মানের মতোই হয়েছো। কাজের সময় বাহ্যিক কথা শুনলে আয়মান যেমন বিরক্ত হতো সেই বিরক্ততা, একই রকম ভঙ্গি আমি তোমার ভেতর ও দেখতে পাচ্ছি।
আবরার ___ এসবই কি বলার জন্য ডেকেছেন?
আবরার মুখে সরাসরি এমন কথা শুনে মেজর আকাশ থতমত খেয়ে গেলো, চৌধুরী বাড়ির সবগুলো ছেলেই কি এমন রসকসহীন।
কই আছিয়া তো এমন ছিলো না, আছিয়া ছিলো চঞ্চল, হাসি খুশী একটা মেয়ে।
মেজর আকাশ একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

আকাশ ____ তোমার চাচ্চুর হঠাৎ বিয়ে? এবং বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার পর আয়মানের উধাও হয়ে যাওয়া? আর তোমার ফুফুর পালিয়ে যাওয়া? এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে চাও।
আবরার গম্ভীর কন্ঠে বলল,
আবরার _____শুধু এটা না আমার চাচ্চু, দাদা,ছোট দাদার খুনের পেছনে কার কার হাত আছে আমি তাও জানতে চাই।
আবরারের মুখে গম্ভীর স্বর শুনে আকাশ মাহমুদ মৃদ্যু হাসলো এবং বলতে শুরু করলো,
আকাশ ______ তোমার চাচ্চু ছিলো খুবই বুদ্ধিমান ও সাহসী এজেন্ট।তোমার চাচ্চু এবং আমি সিক্রেট এজেন্ট হয়ে সেনাবাহিনীতে ঢুকি।
তবে আমি তখন ও জানতাম না আয়মানের চোখে তখন ছিলো প্রতিশোধের আগুন। নিজের বাবা,ছোট চাচার মৃত্যুর প্রতিশোধের আগুন।

তবে আয়মান বুঝে গিয়েছিলো এসবের পেছনে শুধু শেখ পরিবার নেই। তারা তো আকাশে ভাসমান ঘুড়ির মতো। তবে লাটাই ধরে তাদের পরিচালনা করতেছিলো অন্য কেউ।
তখন আয়মানকে পাঠানো হয় NSI এ। ততদিনে আমি তোমার ফুফুর প্রেমে দিশেহারা।আমি যখন তোমার ফুফুকে প্রোপজ করি। সে আমাকে সন্মানের সাথে ভাই বলে সন্মোধন করে। বলে যে, সে শেখ বাড়ির ছোট ছেলে আসাদ শেখ কে ভালোবাসে।

আমি প্রথমে সামলে নিলোও শেখ বাড়ির কথা শুনে অবাক হয়ে যায়।
ততদিনে আয়মান তার প্রতিশোধের কথা আমাকে জানিয়েছে। আমি ঐখান থেকে এসে আয়মানকে বিষয়টি বলি।
তখন আমি আর আয়মান চিন্তায় পরে যায়, শেখ পরিবার আছিয়াকে টার্গেট করেনি তো।
আমি আর আয়মান আসাদের সাথে দেখা করি।আসাদের সাথে কথা বলে আমাদের তাকে ভালোই মনে হয়েছে, আসাদ আছিয়াকে সত্যি অনেক ভালোবাসতো।
এরপর একদিন আয়মান জানতে পারে,
আমজাদ শেখ আছিয়া আর আসাদের কথা জানতে পারে। তখন তারা প্লান করে আসাদ, আছিয়া ২জনকেই মেরে দিবে।
আমি আর আয়মান প্লান করে আসাদ আর আছিয়াকে পাঠিয়ে দি জাপান।
তখন আবরার বলল,

আবরার ______ তা না হয় বুঝলাম। তবে আব্বু আম্মুকে কেন জানানো হয় নি।
আবরারের বুদ্ধি দিপ্ত প্রশ্ন শুনে আকাশ মুচকি হেসে বলল,
আকাশ ______ ততদিনে আমজাদ শেখ তোমার বাবা মায়ের ওপর কড়া নজর রেখেছিলো।তাদের বিশ্বস্ত হ্যাকার দ্বারা তোমার মা বাবার ফোন ও হ্যাক করেছিলো।
তাই তাদের না জানিয়ে আছিয়া আর আসাদকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় জাপান।
আবরার ____ তারপর কি হলো বলুন?
আকাশ ____ আসাদরা চলে যাওয়ার পর চলে যায় অনেকগুলো বছর। আমজাদ শেখ বুঝতে পারে আয়মান তাদের শেষ করার জন্য গোপনে কিছু করতেছে। তাই তিনি আয়মানের পেছনে লোক লাগায়।

তারা জানতে পারে তোমাদের চাচি মেহেরুনের কথা।
তোমাদের চাচির ওপর নজর পড়ে আজাদ শেখের।
কথাটি বলেই মেজর আকাশ আড়চোখে আবরারের দিকে তাকায়,
মেজর আকাশ দেখতে পায়, আবরার দাঁতে দাঁত চেপে রেখেছে আর তার চোখে আগুনের দীপ্ত শিখা।
মেজর আকাশ তা দেখে মুচকি হাসলো, আবারো বলতে শুরু করলো,
আজাদ শেখ তোমার চাচিকে আপন করে নিতে চায়। যা জানতে পারে আয়মান। তাই ও একটা প্লান বানায়, ও মেহেরুনকে বিয়ে করবে, আর ভাই এর সামনে এই অবস্থায় দাড়ালে, তার ভাই অভিমান করে তাকে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলবে আর সে ঐ সুযোগে বেড়িয়ে যাবে। তবে সে প্লান নিয়ে অতটাও সন্তুষ্ট ছিলো না কারণ হলো তোমার মা।

আয়মানকে তোমার মা নিজ হাতে লালন পালন করে বড় করেছে।তারপরও আয়মান নিজের ওপর বিশ্বাস রেখে প্লান সফল করলো৷ কারণ সে জানতো সে যদি এখানে থাকে তাহলে তার বাবা রুপি বড় ভাই আর তার ভাবি মা এর ক্ষতি করবে তারা।
ততদিনে আমজাদ শেখ আমার বিষয়ে জানতে পারে, তাই আমাকে ওরা ওদের অজানা সহযোগীদের সহযোগীতায় ট্রান্সফার করে বান্দরবান।
আর আয়মান আমার ক্ষতি হবে ভেবে আমার সাথেও আর যোগাযোগ করে না।
তবে মাঝে মাঝে লুকিয়ে বাসায় আসতো, শেষবার যেদিন এসেছিলো আমাকে একটা ডায়েরী আর একটা পেনড্রাইভ দিয়েছিলো।

তবে আমাকে তা দেখতে নিষেধ করেছিলো, বলেছিলো যদি কোনো দিন আমার কোনো ভাতিজা আমার খোঁজে তোর কাছে আসে তাকে এগুলো দিবি।
এই কথা বলে মেজর আকাশ ডায়েরী ও পেন ড্রাইভটা আবরারকে দেয়।
আবরার ঐগুলো নিয়ে চলে যেতে নিলেই মেজর আকাশ বলে,
আকাশ _____ তোমার ফুপি ৩দিন পর দেশে আসতেছে। ও আয়মানের মৃত্যুর খবর শুনে একদম ভেঙ্গে পরেছে।
আসাদ ওকে সামলাতে পারতেছে না কোনো ভাবে।
আবরার ______ ঠিক আছে।
কথাটি বলেই গটগট করে চলে গেলো আবরার। আবরারের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আকাশ ফোন দিলো আসিফ (আছিয়ার ছেলে) কে।

আসিফ ______ আসসালামু আলাইকুম আংকেল
আকাশ ______ ওয়ালাইকুম সালাম। আসিফ তোমরা দেশে এসে শেখ বাড়িতে যাবে নাকি চৌধুরী বাড়িতে যাবে।
আসিফ ______ আমরা শেখ বাড়ির কেউ না।ঐ খুনীদের সাথে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা শেখ পদবী ও আমাদের জীবন থেকে মুছে দিয়েছি। আমরা সোজা চৌধুরী বাড়িতে যাবো।
তার কথা শেষ হতেই আছিয়া চৌধুরী তার ছেলের হাত থেকে ফোন কেড়ে নিয়ে বলল,
আছিয়া _____ ভাইয়া আমার আবরাজ, আরহাম কি অনেক বড় হয়ে গেছে?? (করুণ কন্ঠে বলল)
আকাশ ______ শুধু আবরাজ, আরহাম না তোমার আরেকটি ভাতিজা আছে আবরার আয়ান চৌধুরী। ঠিক যেন আয়মানের মতো সাহসিকতা, বুদ্ধি দীপ্ত চোখ, গম্ভীর কন্ঠস্বর।

আছিয়া _____ কি বলো আমার ৩টি ভাতিজা। ওরা অনেক বড় হয়ে গেছে তাই না।
আকাশ মৃদ্যু হেসে বললো,
আকাশ ____ আবরাজ বাংলাদেশের তথ্য মন্ত্রী। আরহাম বাংলাদেশের টপ বিজনেসম্যান। আর আবরারের পরিচয় টা না হয় গোপন থাক।
আছিয়া ____ কি বলো ভাইয়া ওরা এত বড় হয়ে গেছে।
আকাশ ____ শুধু বড় হয় নি। অনেকটা ভয়ংকর ও হয়েছে।
কথাটি বলেই মেজর আকাশ ফোন কেটে দিলো।
ঐদিকে,
আছিয়া বেগম এত কষ্টের মধ্যেও একটু হাসলো।তার আদুরে ছানা পোনা আবরাজ,আরহাম এর সফলতার কথা শুনে।
তাদের দেখার জন্য মনটা কেমন অস্থির হয়ে আছে।
আসিফ কে উদ্দেশ্যে করে আছিয়া বলল,

আছিয়া _____ আসিফ বাংলাদেশের তথ্য মন্ত্রীর ফটো দেখতে চাই আমি।
আসিফ তার মায়ের মুখ থেকে এমন কথা শুনে অবাক হয়ে গেলো,
আসিফ ____ হঠাৎ তার ফটো দেখতে চাও কেন?
আছিয়া যেন বিরক্ত হলো আসিফের কথায়,
আছিয়া ____ এত প্রশ্ন করো কেন? তোমাকে যা বলেছি তা করো আগে। তারপর বলছি।
আসিফ গুগল থেকে সার্চ দিয়ে বের করলো নির্বাচিত হওয়ার সময়কার ফটো, যে ফটোর নিচে লেখা আছে,
ঢাকা – ১০ আসনের সংসদ সদস্য আবরাজ আয়ান চৌধুরীর বিজয় মিছিলে হাস্যজ্বল মুখে দাড়িয়ে আছে আবরাজ আয়ান চৌধুরী, আরহাম আয়ান চৌধুরী, আবরার আয়ান চৌধুরী।
আছিয়া চৌধুরী ফটো টা দেখে চোখ দিয়ে পানি ফেলতেছে বুকে জড়িয়ে ধরে৷ কত বড় হয়ে গেছে তার ছানা পোনা গুলো।

তাদের সেই ছোট্ট ছোট্ট হাত সেই কত বছর আগে ধরেছিলো।
ওরা কি আমাকে ভুলে গেছে? আমি কি সব ভাবতেছি তখন তো ওরা মাত্র একজন বছর দুই আর আরেকজন কয়েক মাসের বাচ্চা।
আছিয়া বেগমের মেয়ে রুশা দরজা দিয়ে ড্রয়িং রুমে প্রবেশ করতেই থমকে গেলো, ভ্রু কুচকে তাকিয়ে দেখলো, তার মা ফোন বুকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতেছে।
ফোনে কি আছে দেখার জন্য সে মায়ের কাছে এসে উঁকি ঝুঁকি মারলো সে সফল ও হলো,
সে ফটোতে মন্ত্রী ও তার ২ভাইকে দেখে অবাক হয়ে গেলো।
রুশা _____ মা তুমি এদের চেনো? ঐখানে তো বাংলাদেশের তথ্য মন্ত্রী আবরাজ এবং তার ২ ভাই আছে।
আছিয়া ___ তুই চিনিস ওদের।
রুশা ____ একটু চিনি। আমার বিডি ফ্রেন্ডরা তো ওদের ৩ ভাই এর ওপর ক্রাশ। ক্লাসে আড্ডায় ওদের গল্পই ওরা বেশী বলে।তবে ওরা নাকি রহস্যময়ী।
রুশা মুখে এমন কথা শুনে আছিয়া চৌধুরী বাঁকা হাসি দিয়ে বলল, আমার বড় ভাই সহজ সরল থাকলেও, আমার ছোট ভাই ছিলো চালাক চতুর তাই তো ঝড় মোকাবেলার অস্ত্র আগেই রেডি করে রেখে গেছে।

রুশা _______ মানে বুঝলাম না।
আছিয়া ______ ওরা তোর বড় মামার ছেলে। আমার কলিজা, আমার ভাতিজা।
মায়ের মুখে এমন কথা শুনে আসিফ এবং রুশা ২ জনই অবাক হয়ে যায়।
রুশা ______ কি বলো তুমি!!! তুমি জানো ওদের ক্ষমতা। ওরা আমার মামাতো ভাই।
আছিয়া _____ হ্যা এটাই সত্যি। আর যাও ব্যাগ গুছিয়ে নাও আমার কালকেই বিডিতে যাবো।
মায়ের মুখে এমন কথা শুনে আসিফ অবাক হয়ে বলল,
আসিফ ___ আমাদের তো ৩দিন পরে যাওয়ার কথা। তাহলে কাল কেন.??
আছিয়া _____ যাওয়ার কথা ছিলো কিন্তু ডিসিশন চেন্জ করেছি ৩দিন আমি ধৈর্য্য ধরতে পারবো না। আমি কালই যাবো।

আছিয়া চৌধুরীর জেদি ভাব দেখে সবাইকে মেনে নিতে হলো।
অন্যদিকে চট্রগ্রাম থেকে প্লেনে চড়ে ঢাকায় এসেছে আবরার।
আবরার তারাতারি বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলো।
বাড়িতে পৌছে দেখতে পেলো,
রেহেনা চৌধুরী মেহেকের মাথায় তেল দিয়ে দিচ্ছে আর মেহেক আরিশার মাথায় তেল দিয়ে দিচ্ছে।
পাশের সোফায় এরিন বসে রাগে ফুসতেছে। তা দেখে আবরার বাঁকা হাসলো।
আবরারকে এরিন আর তার বাবার প্লানের কথা ম্যাসেজ করে জানিয়েছে আবরাজ।
আবরারকে দরজায় দাড়িয়ে থাকতে দেখে,
আবরাজ বলল,

আবরাজ _____ কি রে ঐখানেই দাড়িয়ে শহিদ হবি নাকি ভেতরে আসবি।
আবরাজের কথা শুনে রহস্যময়ী বাঁকা হাসি দিয়ে আবরাজ কে কিছু ইশারা দিলো, আবরাজ ও সন্মতি জানালো।
আবরার চলে গেলো ফ্রেশ হতে তার রুমে।
আবরাজ আরহামকে কি করতে হবে এখন তা লিখে ম্যাসেজ করলো।
আরহাম মাত্র অফিস থেকে বাড়ির গেটে গাড়ি নিয়ে এসেছে, মোবাইলে ম্যাসেজ আসিলে ও ম্যাসেজ পড়ে মুচকি হাসি দিলো।
অতঃপর গাড়ি পার্ক করে বাড়ির ভেতরে গেলো।
আরহাম ___ কি রে আবরাজ। সারাদিন রাজনীতি করতে করতে তোর জীবন তো তিত কড়লা হয়ে গেছে।
আবরাজ _____ হবেই তো তোর বাপের মতো হিটলার বাপ থাকলে কি আর আমার জীবনে মিষ্টি থাকবে। বিয়ে করলাম কই বউ নিয়ে সংসার করবো, তা কি আর আমার কপালে আছে। তোর বাপ আমাকে বউ ছাড়া করেছে।
আয়ান চৌধুরী আর আবরার মাত্র সিঁড়ি দিয়ে নামতেছিলো, আবরাজের মুখে এমন কথা শুনে আয়ান চৌধুরীর কাশি উঠে গেলো।
আর মেহেক তো লজ্জায় শেষ।
আয়ান চৌধুরী বিরবির করে বলল,

এই ছেলেকে জন্ম দেওয়াই আমার ভুল হয়েছে। এর যা মুখের অবস্থা, আমি যে ওর বাপ ও মনে হয় ভুলে যায়।
আয়ান চৌধুরীর এই অবস্থা দেখে আরহাম, আবরার মুচকি মুচকি হাসতেছে।
আবরারকে হাসতে দেখে আবরাজ রেগে আগুন হয়ে বলে,
আবরাজ ______ হতচ্ছাড়া আমার কষ্টে তুই হাসতেছিস। তোর বিয়ের পর ৭দিন তোর বউ আম্মুর সাথে ঘুমাবে।
আবরাজের মুখে এমনকথা শুনে আয়ান চৌধুরী চুপসে গেলো,
আয়ান ______ ওর বউ না হয় ৭দিন দূরে রাখবি এর ভেতর আবার আমার বউকে টানতেছিস কেন?
তখনি ফট করে আরিশা বলল,
আরিশা _____ ভাইয়া এক কাজ করো সংসদে একটা আইন পাস করো আবরারের বিয়ের পর ৭দিন সবার বউ দূরে থাকবে।

কথাটি বলা শেষ করে সবার দিকে তাকিয়ে দেখতে পেলো সবাই তার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি।
আরিশা তখনি জিহ্বায় কামড় মারলো, মনে মনে বলল, ভুল সময় ভুল কথা বলে ফেলেছে।
ঠিক তখনি উচ্চ শব্দে সবাই হেসে উঠলো।
আবরার,আরহামের পাশে দাড়িয়ে বলল,
আবরার _______ ভাইয়া তোমার মন ফুরফুরে করার জন্য রোমান্টিক উপন্যাস পড়া উচিত।
আরহাম ______ একদম ঠিক বলেছিস। চল আমরা ৩ ভাই আজ এক সাথে উপন্যাস পড়বো।
আবরাজ ______ ঠিক আছে।
বলেই ৩ ভাই আয়মান চৌধুরীর স্টাডি রুমের দিকে গেলো।
তবে সবাই স্বাভাবিক ভাবে নিলেও রেহেনা চৌধুরী আড়চোখে তাকালো সেদিকে।
উনি বুঝতে পেরেছেন এতক্ষণ যা হলো সব প্রি প্লান।শুধু মাত্র সবার চোখে ধুলো দিয়ে ঐ রুমে যাওয়ার জন্য। উকিল বলে কথা, এতটুকু বুঝতে পারবে না।
অপরদিকে,

আবরাজ, আরহাম,আবরার বসে আছে সিক্রেট রুমে।আবরার মেজর আকাশের বলা সব কথাই বলল।
সবাই চুপ হয়ে গেলো।
ঠিক তখনি আবরাজ পেনড্রাইভটা ল্যাপটপে লাগিয়ে দেখতে পেলো। অনেকগুলো প্রমাণ, কল রেকর্ড, ভিডিও।
তবে একটা ফোল্ডারে চোখ আটকে গেলো ফোল্ডারের নাম, “আমার শেষ কথা ” ঐ ফোল্ডার ওপেন করে দেখলো একটা ভিডিও।
পুরো ভিডিও দেখা শেষ করে দেখলো আবরাজ, আরহাম একদম ভেঙ্গে পরেছে, হ্যা এই ভিডিওটা ছিলো আয়মান চৌধুরীর।

মন্ত্রী বর যখন চাচাতো ভাই পর্ব ৫

আয়মান চৌধুরী ভিডিও তে কি এমন বলেছিলো যার জন্য আবরাজ,আরহাম ভেঙ্গে পরলো? ডায়েরীতে বা কি লেখা আছে? আসাদ আর আছিয়া আসার পরে কি কোনো ঝড় আসবে? আসাদ কি সত্যি ভালো নাকি ভালো মানুষের নাটক করতেছে? শেখ পরিবারের অজানা সহযোগী কে?

মন্ত্রী বর যখন চাচাতো ভাই পর্ব ৭

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here