মাই লাভ মাই লাইফ পর্ব ৭

মাই লাভ মাই লাইফ পর্ব ৭
নাবিলা ইষ্ক

দুয়ার পেরিয়ে ঢুকতেই বাবা জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী মামণি? তাশরিককে কী এখন আর রাজপুত্রের মতন মনে হয় না?’
আমি কেমন মিইয়ে গেলাম। প্রত্যুত্তরে শুধু নীরব রইলাম। লজ্জায় হাঁসফাঁস করলাম। আমি আমার অনুভূতি, হৃদয়ের চাওয়া-পাওয়া নিয়ে তখনো দ্বিধান্বীত। কী ভাবছি, অনুভব করছি অথবা চাইছি বুঝে উঠতে পারছি না। বিশ বছরের এই জীবনে আমার একটা প্রেম হয়নি। না কখনো এর আগে কোনো ছেলের প্রতি অনুভূতি এসেছে। স্কুলে যখন মেয়েরা সুদর্শন ছেলে নিয়ে, প্রেমিক নিয়ে আলোচনা চালাতো.. আমি অংক মেলাতাম। বরাবরই ভাইয়ার কড়া শাসনে বড়ো হয়েছি।

পড়াশোনা নিয়েও ছিলো তার অতি মাতব্বরি। রেজাল্ট এতোতে থাকতে হবে। কোমরের ওপরে কখনো চুল কাটা যাবে না। একটাই কথা, মেয়েমানুষের বড়ো চুলই সুন্দর। রাজকন্যার মতন দেখায়। এমন এক আপদমস্তক নাক গলানো ভাই থাকলে প্রেমিক তো দূর, কারো প্রতি অনুভূতি আসাটাও যেন অসম্ভব হয়ে পড়ে। সবমিলিয়ে প্রেমের ক্লাসে আমি হয়তোবা নার্সারিতে ভর্তি হওয়া এক শিক্ষার্থী হবো। আর তাশরিক ভাইয়া নির্ঘাত নার্সারিতে ভর্তি হওয়া সরল আমিটার শিক্ষকই হবেন। কথাবার্তা শুনলেতো মনে হয়, প্রত্যেকদিন নতুন নতুন শিক্ষার্থীদের প্রেম শেখায়। প্ল্যাবয় কোথাকার। তখন কতো বিশ্রীরকমের দুষ্টু কথা বলে গেলেন। তিনি কী মনে রেখেছেন আমি তার কতো ছোটো? লিটল গার্ল ডেকে ডেকে কোন মুখে একটা লিটল গার্লকে বিয়ে করতে উৎসুক হয়?

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

‘শোন, এতো ভাবতে হবে না। যা তুই চাইবি তাই হবে। সবকিছু নরমাল, হুঁ? আমি আছি তো। তুই যা চাইবি, ভাইয়াও তোর জন্য তাই চাইবে। বুঝেছিস?’
ভাইয়ার কথায় আমার ধ্যান ছোটে। মুহূর্তে মাথা তুলে তাকাই। ভাইয়া এসে দাঁড়িয়েছেন আমার সামনে। এযাত্রায় মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন। আমি চোখ বুজলাম। নিজেকে শান্ত করলকম। চোখ মেলে যখন চাইলাম প্রাণ খুলে হাসলাম। আমার এতো চিন্তাভাবনা সবই যেন ভাইয়ার কথায় উড়ে গেলো। ম্যাজিকের মতন। ভরসা পেলাম। বাবা আমাকে ডেকে পাশে বসিয়ে জানালেন,

‘সিরিয়াস হওয়ার কিছু নেই, মামণি। আমরা তোমার ভালো চাই। তোমার ভালো কোথায় আছে বলোতো? তোমার চাওয়া-পাওয়াতে। আমরা তোমার ভালো চাই বলে যে তোমার অমতে আমাদের মনে হওয়া ভালোটা জোরপূর্বক ধরিয়ে দেবো তা কিন্তু কোনোভাবে ভালো বিষয় নয়। আমাদের দ্বারা সম্ভবও না। ভীষণ ভালোবাসি তো আমার মেয়েকে! তার চাওয়া-পাওয়া গুলো দেখেশুনে তারপর সীদ্ধান্তটা নেবো। তাই তোমার পেরেশানির কোনো প্রয়োজন নেই। বুঝলে?’

আমি আহ্লাদে মাথা দুলালাম। কেমন ছলছল হয়ে এলো চোখজোড়া। তারা কেনো যে এতো ভালো! বাবার আদুরে দুলালি হয়ে মাথাটা তার কাঁধে রেখে চোখ বুজলাম। চিন্তা মুক্ত হতেই ভালোলাগা গাঢ় হতে থাকলো। ঘুমিয়ে পড়েছিলাম বাবার কাঁধেই। কতক্ষণ ঘুমালাম জানি না। একপর্যায়ে ভাইয়া ডাকলেন। আড়মোড়া উঠে বসলাম। ড্রয়িংরুমের সোফায় শুয়ে ছিলাম। কম্ফোর্টার গায়ে ছিলো। দেয়াল ঘড়িতে রাতের এগারোটা। ভাইয়া বললেন,
‘ঘরে গিয়ে ঘুমা। আগামীকাল কাজ আছে।’

আমি ভাইয়াকে ঘুমাতে বলে ওপরে চলে এলাম। সুফিয়া ওরা সবাই জাগনা। সম্ভবত আমার অপেক্ষাতেই ছিলো। আমাকে পেতেই সবগুলো চারপাশ দিয়ে আটকে ফেললো। রুমি আপু গদগদ হয়ে বললেন,
‘আমার সন্দেহ কখনো ভুল হয়নি। আমার মনেই হচ্ছিলো ঘাপলা আছে। ঠিক বেরোলো তো? তাশরিক ভাইয়া কিন্তু হেব্বি লোক ভাই। মেয়ে বাদ দিয়ে আগে মেয়ে বাপ-ভাই পটিয়েছি। এই না হলো বুদ্ধিমান পুরুষ? কান টানলেই না মাথা আসে!

আমি বিরক্ত নিয়ে তাকালাম। ওই লোকের এতো প্রশংসা তো ভালো লাগছে না। ওরা তো জানে না কতো দুষ্টু মানুষটা। ফরফর করে কেমন অসভ্য ধরনের কথাবার্তা বলে ফেলে। আজই ওটা কী বলল তখন? চাইলে নাকি করে দেখাবে! ভাবতেই আমার গাল দুটো ফের উষ্ণ লাগতে শুরু করলো। হার্টবিট বাড়লো। সুফিয়া বেশ চঞ্চল হাতে ফোন তুলে নিয়েছে। দুষ্টু হাসছে আমার দিকে চেয়ে। আমার ভেতরটা যেন আঁতকে উঠলো। এই মেয়ে আবার কী করতে চাইছে? তখুনি আমার ফোনটার স্ক্রিন জ্বলে ওঠে। হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ গ্রুপের নোটিফিকেশন। সন্দেহ নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ গেলাম। সুফিয়া তাশরিক ভাইয়াকে মেশন করে লিখেছে,
‘Dulabhai, assalamualaikum. Salam nin.’

ধড়ফড়িয়ে উঠলাম আমি। দ্রুতো সুফিয়ার হাত থেকে ফোনটা নিতে চাইলাম মেসেজটা ডিলিট করার জন্য। অন্যদিকে আমার চেয়েও দ্রুতো সুফিয়া। ও বিছানায় উঠে দাঁড়িয়েছে। আমি আর্তনাদ করে উঠলাম,
‘এসব কী লিখছিস! ডিলিট কর।’
সুফিয়া আমার থেকে দূরে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। ফোনটা মাথার ওপরে উঁচু করে ধরে আছে। রুমি আপু হাসছেন শব্দ করে। ওদের চ্যাঁচামেচিতে কাজিন ভাইয়ারাও সব এসে হাজির হলেন। এবেলায় তাশরিক ভাইয়া রিপ্লাই করলেন।
‘Walaikum assalam, shalika. Why don’t you send me your bkash number? Salami pathacchi.’

আমার ঘরের ভেতরে হৈচৈ শুরু হলো। ওদের হট্টগোল শুনে বাবাও চলে এলেন। ইতোমধ্যে কাজিনরা সব গ্রুপে… ‘আসসালামু আলাইকুম, দুলাভাই।’ মেসেজের বন্যা বইয়ে ফেলেছে। তাশরিক ভাইয়ারও অগাধ ধৈর্য। তিনি নাকি এই গোষ্ঠীর সবাইকে সালামি দেবেন তাকে দুলাভাই ডাকাতে। বাবা উচ্চ স্বরে হাসছেন। আমি স্তব্ধ হয়ে বসে সবার কীর্তিকলাপ দেখে যাচ্ছি। অথচ আমার ভেতরে যে ঘূর্ণিঝড় বয়ে যাচ্ছে কে জানতে পারছে? উনার কথা, উনার মুখ ভাবলেই তো আমার দমবন্ধ হয়ে আসে। লজ্জায় আমি দিশেহারা হয়ে বারান্দায় চলে এলাম। আমার কাণ্ডে ভেতরে যেন হাসির শব্দ বাড়লো। এমন হাসাহাসি বেশ পর্যন্ত হয়ে চলল। আমার চোখে সারারাত ঘুম ধরা দিলো না। ভোরের যখন আজান দিচ্ছিলো তখন চোখ দুটো আপনাআপনি বুজে এলো।

সেই ঘুম ভাঙলো বেশ বেলা করে। বাড়িতে তখন সবাই টুকটাক কাজে ব্যস্ত। গাড়ির ডিকিতে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ওঠানো হচ্ছে। বিকেলের পরপরই আমাদের রওনা হতে হবে ভ্যানুর উদ্দেশ্যে। আয়োজন এখন থেকে শুরু। আমি নিচে নেমে ডাইনিংয়ে বসলাম। চাচি আমার জন্য নাস্তা এনে দিলেন। কাজিনরা ড্রয়িংরুমে নাচ প্রেকটিস করছে। ওরা মিলেমিশে কয়েকটা গ্রুপ ড্যান্স দিবে। গত দুদিন ধরেই প্রেকটিস করছে সমানে। আজ এক্সিকিউট করবে। ফাইনাল টাচ চলছে। আমি খেতে খেতে ওদের নাচ দেখছি। আমারও নাচার কথা ছিলো।

কিন্তু… হঠাৎ আমার পায়ের দুর্ঘটনার জন্য ভাইয়া পরিষ্কার করে বলেছেন, নাচানাচি করা যাবে না! পা এখনো পুরোপুরি ভালো হয়নি। ব্যথা আছে। আমিও বাধ্য মেয়ের মতন মেনে নিলাম। এমনিতেও আমি নাচতে পারবো না। সম্ভব না। তাশরিক ভাইয়া থাকবেন। তার সামনে আমি নাচবো? অসম্ভব, অসম্ভব। এইতো আর দু ঘণ্টার মধ্যে পার্লার থেকে মেকআপ আর্টিস্ট আসবেন। আমরা সবাই সাজবো বাড়িতেই। আমাদের জন্য কালো গাউন অর্ডার করে বানানো হয়েছিলো সর্বশেষে।
‘আদর, এদিকে আয়। তুই সামনে দু-তিনটে স্লো স্টেপে কিছু মুভমেন্ট দিবি। ব্যস! এতটুকুতেই হবে। আয় তাড়াতাড়ি।’

রুমি আপু ডাকে আমি তো গেলামই না, উল্টো দ্রুতো পায়ে সিঁড়ি ভেঙে ওপরে চলে এলাম। ওপর থেকে বললাম,
‘তোমরা নাচো। আমি এঞ্জয় করবো।’
আমি এসব নাচানাচিতে আর নাই। পাঁচ-ছয় দিন আগের ব্যাপার হলে ভিন্ন ছিলো। নিচ থেকে সুফিয়া ছুটে আসছে ওপরে। আমি দ্রুতো ঘরে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দিলাম। ও দরজায় সমানে করাঘাত করছে।
‘আরে, আরে…দরজা খোল। অল্প একটু নাচবি। পায়ে কোনোরকমের প্রভাব পড়বে না। কসম ভাই।’

আশ্চর্য! হঠাৎ এতো উতলা হলো কেনো আমাকে নাচানোর জন্য? গতকাল অবধি তো বেশ ভাইয়ার সুরে সুর মিলিয়েছে যে আমার পায়ে ব্যথা, আমার এই পা নিয়ে নাচানাচি করা ঠিক হবে না। গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে ইত্যাদি! আমি ফোনটা হাতে তুলে নিলাম। হোয়াটসঅ্যাপের নোটিফিকেশন দিয়ে ভরতি। গ্রুপে সকাল অবধি চ্যাট হয়েছে। আমি একটু ঢুঁ দিলাম। মেসেজ গুলো পড়ে আমার মনে হলো এরা কেউ আমার কাছের না। সব তাশরিক ভাইয়ার কেনা আত্মীয়। কেমন তার দলের লোকজন হয়ে বসে আছে। কী পাম মার ছে সমানে! পারছে না আমাকে বধূ বানিয়ে তার বাড়িতে রেখে আসতে।

ফোন চার্জে বসিয়ে ওয়াশরুম গেলাম। গোসল নিয়ে ফেললাম চটজলদি। ঘড়ির কাঁটা ইতোমধ্যে একটায়। মেকআপ আর্টিস্টরা আসবেন বলেই। মিনিট বিশের মধ্যে চলেও এলেন। মোট তিনজন। তারা এসে একেকজন সাজাতে শুরু করলেন। আমাকে যেই আপু সাজাচ্ছেন, তার সাথে ভাইয়ার বন্ধুত্ব আছে। তারা একই ইউনিভার্সিটিতে পড়েছেন। আপু আমাকে সাজাতে সাজাতে অনেক কিছুই নিয়ে বললেন। আমিও বেশ আগ্রহ নিয়ে শুনছিলাম। আমার ভাইয়ার বাইরের জীবন নিয়ে আমার বেশ আগ্রহ। ছোটোবেলা থেকেই। তার দুটো চেহারা। এক ঘরের, দ্বিতীয়টা বাইরের। আপুর বর্ণনা শুনে আমার এতোদিনের অনুমান সঠিক হলো। ভাইয়া আসলেই বখাটে ধাঁচের। বখাটে না হলে কী তার বন্ধু ওই তাশরিক খান হয়? ওই লোক তো বখাটের ওস্তাদ। নিশ্চয়ই মা রামারিও করেন?

তাকে দিয়ে সব সম্ভব। হঠাৎ বুকের ভেতরটা আবারো অনিয়মিত ভাবে ধড়ফড় করতে শুরু করল। শীঘ্রই আবারো সামনাসামনি হতে হবে। আমি কীভাবে উনার সামনাসামনি হবো? নিজের ভাইয়ার বিয়ে না হলে আমাকে কেউ জোরপূর্বকও নিতে পারতো না ওখানে। বাধ্যতামূলক যেতে হবে। এখানে কোনো দ্বিতীয় রাস্তা নেই। একটাই কাজ করা যেতে পারে। এড়িয়ে যাওয়া। যতটা সম্ভব। আমার তৈরি হওয়া শেষ। আমি একপলক দেখে নিলাম নিজেকে। ওড়নাটা এক সাইডে নিয়ে গেস্ট রুম থেকে বেরিয়ে এলাম। নিজের ঘরে ঢুকে দেখলাম ভাইয়া বসে আছেন। শুভ্র রঙা স্যুট পরেছেন। সুদর্শন লাগছে দেখতে। ভাইয়া আমাকে দেখে কাছে ডাকলেন। তিনি হাসছেন কেমন।
‘হয়েছে রেডি হওয়া? চল, বেরোই।’

আমি মাথা দোলালাম। ভাইয়ার সাথে নিচে নেমে এলাম। ইতোমধ্যে সবাই বাগিচার কাছে জড়ো হয়েছে। অনেকে গাড়িতে চড়ে বসেছে। আমাদের গাড়িগুলো ছাড়বে বলে। ভাইয়া ড্রাইভ করবেন। আমি ভাইয়ার পাশে উঠে বসলাম। পেছনে উঠেছে সব কাজিনরা। হৈচৈ শুরু হলো। গান বাজছে গাড়ির ভেতরে। সবাই একসাথে চিৎকার করে গান গেয়ে ভাইয়াকে বিরক্ত করতে চাইছে। কিন্তু ভাইয়া মোটেও বিরক্ত হচ্ছেন না। তাকে বেশ খুশি দেখাচ্ছে। যেন আজ তাকে কোনো কিছুই বিরক্ত করতে পারবে না। আধঘন্টার মতো সময় লাগল পৌঁছাতে। ইতোমধ্যে ও বাড়ির অনেকেই পৌঁছে গিয়েছে। তাশরিক ভাইয়া নিজে এলেন আমাদের গাড়ির সামনে। পুরো কালো স্যুট পরেছেন এংগেজমেন্টের বরাদ্দ করা ড্রেসিং কোড মিলিয়ে।

হাতে ফুলের তোড়া। আমি গাড়ির ভেতর থেকে এক পলক চেয়ে দৃষ্টি নামালাম। ধড়ফড়িয়ে চলা হৃৎপিণ্ডের গতি যেন বাড়ল। তাশরিক ভাইয়া দাঁড়িয়েছেন ঠিক আমার বেরুনোর দরজায়। নামতে গেলে তার সামনেই পড়তে হবে। আমার আর বেরুতেই ইচ্ছে করলো না। ভাইয়ার দিকে তাকালাম, ভাইয়া যেন আমার অসহায়ত্ব বুঝলেন না। বেরিয়ে গেলেন নিজের মতন। সবাই ভেতরে ঢুকছে। আমার কী হবে? আমাকে ফেলে কীভাবে যেতে পারে তারা? আর এই লোক এখনো দাঁড়িয়ে আছেন কেনো? কোনো রাস্তা না পেয়ে একপর্যায়ে সাহস করে দরজা খুললাম। বাইরে থেকে গাড়ির দরজাটা তাশরিক ভাইয়া ভালোভাবে মেলে ধরলেন একহাতে। অন্যহাতে ফুলের তোড়াটা। আমি ভুলেও তাকালাম না তার দিকে। কোনোরকমে বেরিয়ে পাথর হয়ে গেলাম পুরোপুরি। দরজা আর গাড়ি ধরে তিনি আমাকে যাওয়ার রাস্তাই দিলেন না। এক যায়গাতে বন্দি করে রেখেছেন। আমার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে প্রায়। তখুনি ভেসে এলো তার উজ্জ্বল স্বর,

মাই লাভ মাই লাইফ পর্ব ৬

‘Hey, baby girl.’
তিনি মাথাটা নুইয়ে আনলেন আমার সমান,
‘Did you miss me? hm? I missed you a lot, my baby doll and That’s why i believe we should get married as soon as possible.’

মাই লাভ মাই লাইফ পর্ব ৮