মায়াবতীর ইচ্ছা পর্ব ৩৩

মায়াবতীর ইচ্ছা পর্ব ৩৩
ইশরাত জাহান

শাহানা পারভীনের হাত ধরে মায়া নিজের গালের কাছে বুলিয়ে দিতে থাকে।মা তাকে আদর স্নেহ নাই করতে পারুক মায়া নিজে তো এই ভালোবাসা আদায় করে নিতে পারে।মায়ের হাতের পিঠে চুমু দিয়ে বলে,”তুমি আজকে রেসপন্স করেছো মা।আমি খুব খুব খুব খুশি হয়েছি।আজকে আমার অপেক্ষার একটু ফল পেয়েছি।তুমি রিকোভার করতে যাচ্ছো।ডাক্তার বলেছে তুমি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবে।”

শাহানা পারভীনের কোনো নড়চড় নেই।তিনি চোখ মেলে আছেন শুধু।মায়া তার হাতটি নিজের হাতের মুঠে নিয়ে বলে,”জানো মা আমাদের মৌ মা হতে চলেছে।তুমি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠলে আমি আর তুমি মিলে ওর বাবুর জন্য অনেক কিছু করবো।তুমি তো সোয়েটার বুনতে পারো।তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ছোট সোনামনির জন্য সোয়েটার বুনে দিবে। জানো মা আমি আজকে আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ ঘৃণিত ব্যাক্তিকে শাস্তি দিয়েছি।মোহন সরদার আজ শেষ।তার ব্যাবসায় আবার ফিরে আসতে হলে অনেক স্ট্রাগল করতে হবে।কিন্তু এই মায়া সেই সুযোগ দিবে না।তোমার শাহমীর বাবা আমার স্বামী আমাকে তার বউয়ের মর্যাদা দিয়েছে মা।আমাকে তার জন্য তেমন কষ্ট করা লাগেনি।আমার এতগুলো সুখের মাঝেও একটা সমস্যা বাধা সৃষ্টি করছে মা।ওই মিস্টার খান ফিরে এসেছে।বিনা দোষে কাউকে মেরে ফেলতে চাই না আমি।কিন্তু মা মিস্টার খান আমাকে আমার স্বামীর থেকে কেড়ে নিতে চায়।আমি তো যাবো না তার থেকে।যে করেই হোক মিস্টার খানের একটা ফয়সালা আমি করবই।”

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

শাহানা পারভীন শুধু শুনছেন মেয়ের কথা।কোনো উপদেশ দেওয়ার মতো ক্ষমতা এখন তার নেই।যদি থাকতো তিনিও বলতে পারতেন যে তার স্বামী তার শাহমীর তার হয়েই সবকিছু করছে।রাজকে শাহানা পারভীন শাহমীর বলে ডাকে।রাজ যে সেই ছোট থেকেই তার জন্য অপেক্ষা করে ছিলো।এগুলো মায়াকে জানায়নি শাহানা পারভীন।শুধু বলেছিলেন তার মাহমুদ সরদারের ছেলে শাহমীর রাজের সাথে বিয়ে হয়েছে।
ঘাড়ে কারো স্পর্শ পেয়ে পিছনে তাকালো মায়া।দেখতে পেলো হাসি ও মিহির দাড়িয়ে আছে।হাসি মায়ার কাধে হাত রেখে দাঁড়িয়ে আছে।মিহির তার কাজে ব্যাস্ত থাকে।এসবের ভিতর মায়া তাকে জড়ায় না।খুব বেশি প্রয়োজন হলে ডাকা হয় মিহিরকে।হাসিকে দেখে মায়া বলে,”দেখো হাসি আমার মা খুব তাড়াতাড়ি আমার কাছে ফিরবে।মা আমার কথা শুনে মিটিমিটি হাসতে থাকে।আমি দেখেছি মায়ের সুখ।মা খুব খুশি হয়েছে আমি মন্ত্রী মশাইকে বিয়ে করেছি তাই। আর আজকে আমি মোহন সরদারকে ডাউন করতে পেরেছি তাই মাও রিকোভার করতে থাকে।তারমানে আমার মা খুব তাড়াতাড়ি আমার কাছে আসবে।”

খুব খুশি হয়ে বলতে থাকে মায়া।মায়ার খুশিতে চোখের কোনায় পানি জমতে থাকে।হাসি সেই পানি মুছে দিয়ে বলে,”আমার মায়াবতী মা।খুব তাড়াতাড়ি তুমি আর তোমার মা একসাথে থাকবে।আপা খুব তাড়াতাড়ি তোমাকে তার কোলে নিয়ে আদর করতে থাকবে।সন্তান তার মায়ের ভালোবাসার জন্য এতকিছু করছে।আর মা তার ডাকে সাড়া না দিয়ে থাকতে পারে?অবশ্যই আপা সুস্থ হয়ে তোমাকে ভালোবাসবে।”
“আমি মাকে নিয়ে অনেক অনেক জায়গায় ঘুরবো হাসি।আমি আর মা মিলে সরদার বাড়িতে আবার ঢুকবো।আমার মা ওই বাড়িতে যাওয়ার আগে ওই বাড়ির আবর্জনা গুলো সরিয়ে দিবো।আমার মা ওখানে শান্তিতে থাকবে।এক সময় যে মাকে অপদস্থ হয়ে অধিকার হীনতা হয়ে আসতে হয়েছে সেই মা তার নিজ অধিকার নিয়ে যাবে ওই বাড়িতে।এটা আমার ওয়াদা।”

মায়া কথাগুলো খুব উত্তেজিত হয়ে বলতে থাকে।এতগুলো বছর পর মা একটু সুস্থ হয়েছে।এটা যে মায়ার জন্য কতটা খুশির খবর এটা একমাত্র মা হারা সন্তান বুঝবে।হাসি মায়ার মুখে হাত রেখে বলে,”তুমি তোমার উদ্দেশ্যে সফল করতে সক্ষম হবে।এই বিশ্বাস আমার আছে।মায়া যে একজন বাঘিনী।এই হিংস্র মায়াবতী সবকিছু পারে।তার উদ্দেশ্যে সে অটুট।”
“একদম হাসি।কিন্তু আমার পথে যে একজন বাধা হয়ে আছে।”
মিহির শান্তনা দিয়ে বলে,”বাধা অতিক্রম করে পথ চলতে হবে বেবিডল।পথে বাধা আসবেই।কিন্তু উদ্দেশ্য তোমার নিজের সাথে করে নিয়ে সফল করতে হবে। উদ্দেশ্যের কথা ভুলে বাধাকে নিয়ে ভাবলে হবে না।তুমি আমার ব্রেভ বেবিডল।তোমাকে ভীতু চেহারায় মানায় না।তোমার মন্ত্রী মশাই তোমার সব ইচ্ছা পূরণ করে।সেক্ষেত্রে এটা তো ক্ষুদ্র এক বিষয়।”

“কিন্তু মিহির ভাই।ওর কাছে আমার আর ওর কিছু…”
আর কিছু বলতে পারে না মায়া।রাজ কল করেছে।এতক্ষণে রাজ বাসায় এসেছে।বাসায় এসেই রাজ খুঁজতে থাকে মায়াকে।না পেলে কল করে।আজও হয়তো তাই।মায়া কল রিসিভ করতেই রাজ বলে ওঠে,”সারাদিন কাজের মাঝে বউকে দেখার জন্য মন ছট ফট করতে থাকে।কখন বাড়ি আসবো আর বউকে আলিঙ্গন করবো সেই অপেক্ষায় থাকি।কিন্তু বউ আমার বাড়িতেই নেই।বলি আলিঙ্গন কি এখন আমি আমার গুলি ধরে রাখা বউয়ের ছবিকে করবো?”
মায়া ও রাজের বেডরুমে মায়ার একটি বড় ছবি টাঙানো আছে।যেটাতে মায়া গুলি ধরে সাইড লুকে আছে।সেদিকে তাকিয়ে কথাগুলো বলতে থাকে রাজ।

“মিহির এসেছে তাই ওর সাথে একটু কথা বলছিলাম।”
“এটা ওই মিহির না যে তোমার হবু বর ছিলো?”
“বর আর হলো কোথায়?বর তো আপনি হয়েছেন।”
“বাসায় আসেন বিবিজান।অন্যের বউ হওয়ায় ইচ্ছা আমি বুঝিয়ে দিচ্ছি।”
মায়া হেসে দেয়।ফোন কেটে সবাইকে বিদায় দিয়ে মাস্ক পরে চলে যায়।গাড়ি সরদার মহলের সামনে আসতেই দারোয়ান দরজা খুলে দেয়।গাড়ি নিয়ে গ্যারেজে যায় মায়া।সেখানে গাড়ি রেখে ভিতরে আসতে নিলেই সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ায় বীর।মায়া দেখেও না দেখার মতো করে আসতে নিলে বীর বলে ওঠে,”এভাবে ইগনোর করোনা জানেমান।সইতে পারি না আমি।”

“সইতে শিখে নিন মিস্টার খান। আর এখন আমি আপনার ভাইয়ের বউ।অন্তত সেই খাতিরে আমার থেকে দূরে থাকুন।”
“কখনই সম্ভব না।আমার ভালোবাসা আমি আদায় করেই ছাড়বো।”
“নিজের জেদকে কন্ট্রোল করুন।আমি আপনার নই।আমি যার জন্য জন্মেছি তার হয়েও গেছি।এখন আর এই ভাগ্য বদলাবে না।”
“ভাগ্য বদলানোর চেষ্টা তো করে দেখো।ভালোভাবে বলছি ছেড়ে দেও ওই শাহমীর রাজকে।আকড়ে ধরো আমার এই হাত।দেখবে সুখের রাজ্যে নিয়ে যাবো তোমাকে।”

“এই মায়ার সর্বাঙ্গে এখন একটাই নাম।এটা শাহমীর রাজ।এই নাম কেউ মুছতে পারবে না।ভুলেও আমার আর আমার বরের মধ্যে তৃতীয় ব্যাক্তি হতে আসবেন না।একবার যখন আপনাকে নিজের হাতে শেষ করেছি বারবার শেষ করে দিবো।ভাগ্য বশত আপনি একবার বেচে গেছেন কিন্তু এবার সেই সুযোগ দিবো না।”
“তুমি যতবার আমাকে খুন করতে চাইবে আমি বেচে ফিরলে ঠিক ততবার তোমার জন্যই ফিরে আসবো।এটা এই বীরের ওয়াদা।আমার জীবনের একমাত্র নারী আসক্তি হয়ে জায়গা নিয়েছো তুমি।যত যাই হোক ভুলবো না তোমাকে।বারবার ফিরে এসে ভালোবাসার দাবিদার আমি রাখবই।”

“কিন্তু আপনি সফল হবেন না।একবার যখন আপনি ব্যার্থ বারবার আপনি ঠিক তেমন ভাবেই ব্যার্থ হবেন।”
বলেই মায়া চলে যায় বাড়ির ভিতরে। বীর সেদিকে তাকিয়ে আছে।মায়ার চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে বীর বলে,”তোমাকে আমার না করতে পারলে এই জীবন যে ব্যার্থ হয়ে যাবে।বেচে থেকেও মৃত ব্যাক্তির মতো জীবন পার করতে হবে।”
ঘরের ভিতরে আসতেই মায়াকে হেঁচকা টান দিয়ে দেওয়ালে চেপে ধরে রাজ।মায়াকে অতি নিকটে এনে মায়াতে মেতে ওঠে রাজ।তারপর কঠিন দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে,”খুব শখ না ওই মহিরের সাথে কথা বলা?”
“আর ইউ জেলাস?”

“হ্যাঁ হ্যাঁ জ্বলছি আমি।আমার বউ অন্য ছেলের সাথে কথা বলেছে।তার হাত পা গুড়ো গুড়ো করে দিবো।”
“কাম অন মন্ত্রী মশাই।আমি তো জাস্ট নরমালি কথা বলছিলাম। আর মিহির আমার ফ্রেন্ড হয়।বর না হলেও ফ্রেন্ড তো আছেই।”
“ফ্রেন্ড হোক আর পাতানো ভাই।কোনো ছেলের সাথেই আমি আমার মায়াবতীকে সহ্য করবো না।”
“যদি দেখেন তো?”
“ওখানেই তার রক্তের বন্যা বইয়ে দিবো। শাহমীর রাজ তার কথাতে পাক্কা।”
“আমাকে যে বাইরে অনেক ছেলেদের সাথে মিটিং করতে হয়।সেখানে তো হ্যান্ড শেক করা লাগে।তখন আপনি কি করবেন?”

মাথা গরম হয়ে গেছে রাজের।মায়ার হাত ধরে অন্য ছেলে।রাজের চোখমুখ লালবর্ণ হয়ে এসেছে।পকেটে থাকা রিভলবার বের করে মায়াকে দেখিয়ে তেজী কণ্ঠে বলে,”এটাকে আমি খেলনা হিসেবে ব্যাবহার করি না মায়াবতী।যে কু**ত্তা**র বা**চ্চা আমার বউয়ের হাত ধরবে তার হাত না পুরো অঙ্গ আমি ভষ্ম করে দিবো।”
মায়া ঠোঁট প্রসারিত করে জড়িয়ে ধরে রাজকে।আপাতত মায়া বলতেও পারছে না যে মিহির তার হবু বর না তার হাসির ছেলে।ছোটবেলা থেকে মিহিরের সাথে সে খেলাধুলা করেছে।মিহিরকে ভাইয়ের নজরেই দেখে মায়া।কারণ এখন রাজ জানে হাসি মায়ার মা।এগুলো মায়া ভাবলেও রাজ তো জানে আসল সত্যিটা।

রিসেপশনের ছবি আর ভিডিওগুলো দেখছিলো হিয়া।হলরুমের সোফায় বসে একেক করে ছবিগুলো দেখতে থাকে আর হাসতে থেকে।সবগুলো দেখতে দেখতে হঠাৎ একটি ছবিতে চোখ আটকে গেলো হিয়ার।চোখ ছলছল করতে থাকে।রুদ্রকে একটি মেয়ে জড়িয়ে ধরে আছে।মেয়েটি শর্ট ড্রেস পরেছে।ড্রেস দেখে হিয়ার মনে পড়লো এই মেয়েটিকে সে দেখেছিলো পার্টিতে।গাঢ় নীল রংয়ের শর্ট ড্রেস পরেছিলো আরেক কোম্পানির সিইওর মেয়ে।মেয়েটি অনেক স্মার্ট।এর আগেও দেখেছিলো হিয়া।যেদিন থেকে হিয়ার মনে রুদ্রের জন্য ঘৃণা ভরে আছে।মনে পড়ে যায় পুরনো কথা।

হিয়ার অতীত,
একদিন সন্ধ্যায় নীলক্ষেত থেকে বাসায় ফিরছিলো হিয়া।গুলশানে আসার আগে একটি বার সেন্টার দেখা যায়। হিয়া জানালা দিয়ে প্রকৃতি দেখতে থাকে।হটাৎ বারের সামনে রুদ্রকে দেখে অবাক হয় হিয়া।রুদ্রর সাথে আরেকটি মেয়ে থাকে।দুজনে একসাথে বারে ঢুকে যায়।হিয়া এটা দেখার পর ড্রাইভারকে বলে গাড়ি থামিয়ে দেয়।তারপর সেও ঢুকে যায় বারের ভিতরে।বার নিয়ে এক্সপেরিয়েন্স নেই হিয়ার।বারের ভিতরটা আজ ফাঁকা থাকে।বারের ভিতরে একটি সিড়ি আছে যার উপর দিয়ে তাকালে দেখা যায় কিছু ঘর।হিয়া দেখলো একটি ঘরের দিকে ওই মেয়েটি ঢুকছে যেই মেয়েটি রুদ্রের সাথে ছিলো।সাথে সাথে হিয়া সেদিকে দৌড় দেয়।হিয়া সিড়ি দিয়ে ওঠার সময় একজনের সাথে ধাক্কা খায়।কিন্তু কিছু খেয়াল করে না।মেয়েটির দেখা দেখে ওই ঘরটিতে ঢুকে দেখতে পায় রুদ্র আর ওই মেয়েটি একে অপরকে জড়িয়ে ধরে আছে।রুদ্রের হাত মেয়েটির পিঠে।দেখতে খুবই বিবৃতিকর লাগবে এদেরকে।রুদ্র মেয়েটিকে ছেড়ে দিতেই দেখতে ফেলো হিয়াকে।হিয়া অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে রুদ্রের দিকে।অনেক আগে থেকেই রুদ্রের জন্য নিজের মনে জায়গা করে নিয়েছিলো হিয়া।কিন্তু আজ প্রণয় পুরুষের এমন দৃশ্য দেখে থমকে যায় সে।হিয়ার চোখের পানি স্পষ্ট দেখতে পায় রুদ্র।হিয়া যে তার প্রতি দূর্বল এটা রুদ্র বুঝে যায়।হিয়া কোনো কিছু না বলেই চলে আসে বাসায়।

বর্তমান,
অতীত মনে পড়তেই চোখ আবারও ভিজে এলো হিয়ার।আজকে আবারও রুদ্রের সাথে ওই মেয়েটির ছবি দেখে মন ভাঙতে থাকে মেয়েটির। কান্না সুরে বিড়বিড় করতে থাকে,”কেনো আমাকে এই নষ্ট পুরুষের আসল রূপ দেখতে হয়?কেনো আমার সামনেই আসে তার আসল সত্যতা। আর নিতে পারছি না আমি।”

বলেই কান্না করতে থাকে হিয়া।খুব কষ্ট হচ্ছে তার।ভালোবাসার মানুষকে অন্যের সাথে দেখতে পারেনা কেউ।হিয়া তো নরম মনের মানুষ।সে কিভাবে দেখবে তার মনের মধ্যে লুকায়িত ভালোবাসার আসল রূপ।খুব কষ্ট হচ্ছে তার।
মিলি তার ফোন স্ক্রল করে যাচ্ছে।তারেকের আইডিতে একবার রিকোয়েস্ট দিচ্ছে আবার আনফ্রেন্ড করছে।বারবার চেষ্টা করেই যাচ্ছে মিলি।তারেক তার ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করছে না।কতক্ষন এমন করতে পারে এটাও দেখে ছাড়বে মিলি।মেসেঞ্জার রিকোয়েস্টে ম্যাসেজ দিয়েছে,”ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করো আমার ভবিষৎ বাবুর আব্বু।সেই কখন থেকে রিকু দিচ্ছি তুমি একসেপ্ট করছো না।

মায়াবতীর ইচ্ছা পর্ব ৩২

আমাকে এভাবে ঝুলিয়ে রাখলে কিন্তু তোমায় বাবুদের হাত পা ইয়া লম্বা লম্বা হয়ে যাবে।এই দেখো তোমার বাবু মানে তো আমার বাবু।শুনো ব্ল্যাক ডায়মন্ড এভাবে তোমার বাবুর মাকে ঝুলিয়ে রেখো না।আমার লক্ষীসোনা প্লিজ একসেপ্ট মি।”
তারেক ম্যাসেজগুলো দেখবে কিভাবে?সে তো এখন অনলাইনে নেই।সকালে তার কাজ আছে।এখন তো সে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে।এদিকে বেচারি মিলি চেষ্টার উপর চেষ্টা করেই যাচ্ছে।

মায়াবতীর ইচ্ছা পর্ব ৩৪