মায়াবতীর ইচ্ছা পর্ব ৩৮

মায়াবতীর ইচ্ছা পর্ব ৩৮
ইশরাত জাহান

ভালোবাসার ব্যাক্তি নিজের না হোক কিন্তু তার সামনে অন্যের হয়ে আছে।এই দৃশ্য দেখা বিষ পান করার সমান অনুভূতি।যেটা এখন বীরের মধ্যে চলছে।বীর বাইরে দাড়িয়ে এক দৃষ্টিতে দেখতে থাকে ব্যালকনিতে দাঁড়ানো মায়া ও রাজের সংস্পর্শে থাকা দৃশ্য।যেটা সহ্য করতে পারছে না বীর।
রিনিঝিনি শব্দ ভেসে আসছে বীরের কানে।পাশে তাকিয়ে দেখলো সালোয়ার কামিজ পরে দুই হাত ভর্তি চুরি নিয়ে ওড়নার আচল গুটিয়ে দাড়িয়ে আছে জারা।ভ্রু কুচকে এলো বীরের।এই মেয়ের আবার কি হলো?সে কি করছে বুঝতে পারলো না বীর।জারা বীরের দিকে তাকিয়ে বলে,”আমাকে কেমন লাগছে,হ্যান্ডসাম?”

“নাইস।”
“শুধু নাইস!আচ্ছা যাই হোক আমার সাথে ঘুরতে যাবে?”
“কোথায়?”
“শপিং মলে।হিয়া আর রুদ্র যাচ্ছে বইমেলায়।তুমি আমার সাথে থাকবে।”
“আমার সময় নেই।”
“সময় করে নিতে হয় মিস্টার।আসুন তো।”
বলেই বীরের হাত ধরে টান দেয় জারা।এই দৃশ্য চোখ থেকে এড়ালো না সোনালীর।রাগে ফেটে পড়ছে সে।এই জারা বীরের জন্য এত চেষ্টা কেনো করছে?তার তো রাজের জন্য চেষ্টা করতে হবে।কিন্তু রাজের বেলায় যত কুবুদ্ধি শিখিয়ে দেওয়া লাগতো। আর বীরের সাথে নিজে থেকেই আপন মনে চলছে জারা।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

বইমেলায় এসে দুই জোড়া ব্যাক্তি দুইদিকে গেছে।একদিকে মায়া রাজ আরেকদিকে হিয়া রুদ্র।মায়া খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে বই দেখতে থাকে।কখনও উপন্যাস পড়া হয়নি তার।রাজ নিজেও এসবে আগ্রহী না।শুধু হিয়া এসব পছন্দ করে।হিয়া বিভিন্ন বই নিয়ে দেখছে।তারপর কয়েকটি বই কিনে নিলো।রুদ্র হিয়ার সাথেই ছিলো।হিয়ার সহ্য হচ্ছে না রুদ্রকে।মায়া হিয়ার মুখ দেখে বুঝতে পারছে এটা।শুধুমাত্র মাহমুদ সরদারের কথাতে এরা জয়েন্ট হয়ে এসেছে।নাহলে হিয়া একাই আসে বইমেলায়।
বইমেলা থেকে বই কিনে সবাই চলে যায় বাণিজ্য মেলায়।সেখানে বীর ও জারা এসেছে।শপিং শেষ তাদের। জারাই জোর করে এনেছে বীরকে।আশেপাশে বিভিন্ন স্টল দেওয়া হয়েছে। জারা বীরের হাত ধরে টানতে টানতে নিয়ে যায়।বীর বিরক্ত হলেও কিছু বলে না।শুধুমাত্র রুদ্রের কাজিন সেই খাতিরে।জারা ও বীর মিলে ঢুকেছে টেডি বিয়ার এর দোকানে।বিভিন্ন ধরনের পুতুল আছে সেখানে।জারা একটি পুতুল দেখিয়ে বীরকে বলে,”এটা সুন্দর না?”

“হুম।”
“তাহলে আমাকে কিনে দেও।”
“ওকে।”
“আমাকে আরো কিছু কিনে হবে কিন্তু মিস্টার।”
“ওকে।”
“আচ্ছা এই হুম ওকে ছাড়া কিছু বলতে পারোনা।আমি একাই বক বক করে যাচ্ছি।”
বীর কোনো উত্তর দেয় না।জারা কয়েকটা পুতুল নিয়ে বীরের হাত ধরে চলে যায় অন্য স্টলে।একটা স্টলের সামনে এসে থেমে যায় জারা।ওখানে ছোট ছোট ডিজাইন করা কাঠের আয়না আছে।স্পষ্ট দেখা যায় বীর আর জারাকে।জারা সেদিকে তাকিয়ে বলে,”বীর আর জারার নামের কম্বিনেশনে কি আসে জানো?”

“কি?”
“বীরজারা।সুন্দর না নামটা?”
বীর এড়িয়ে গেলো জারার কথাটি।জারার মুখে হাসি ফুটে আছে।রাজকে চাওয়ার আকাঙ্ক্ষা থাকলেও কখনও রাজকে পেতে মন থেকে চেষ্টা করেনি জারা।যেটা বীরকে পেতে চেষ্টা করছে।জারার কাছে ভালো লাগছে বীরের আশেপাশে থাকতে।এখন তার মনে হচ্ছে রাজ তার একটা উদ্দেশ্য ছিলো কিন্তু বীর তার ভালোবাসা হয়ে গেছে।
মায়া ও রাজ এসেছে কিছু কসমেটিক্স এর স্টলে।যেখানে রাশি রাশি চুরি দেখা যাচ্ছে ভিন্ন রংয়ের কাচের চুড়ি রেশমি চুরি আছে সেখানে।রাজ কিছু চুরি নিয়ে মায়ার হাতে পরিয়ে দিয়ে বলে,”আমার মায়াবতীকে সব কিছুতে মানায়।এই যে চুরিগুলো কি সুন্দর হাতের সাথে মিলিয়ে নিলে।”

মায়া হেসে দেয়।তারপর বিভিন্ন লিপস্টিক নিয়ে আয়নার সামনে দাড়িয়ে লিপস্টিক ঠোঁটে দিয়ে দেখতে থাকে।কোনটাতে তাকে মানাবে এটাই দেখছে মায়া।রাজ মায়ার এমন কর্মকান্ড দেখে আশেপাশে তাকালো।আজ মন্ত্রীর বাড়ির লোকজন আসবে বলে আশপাশে গার্ড দিয়ে রাখা।কিন্তু দোকানে তো সেলসম্যান আছে।তারা তো দেখছে মায়াকে।মায়া লিপস্টিক ঠোঁটে দিয়ে ঠোঁট দুটো পাউট করে দেখতে থাকে।ইচ্ছা করেই এমন করছে সে।রাজকে জেলাস করার জন্য মায়ার এই চেষ্টা।রাজ সবার দিকে তাকিয়ে মায়ার কাছে আসে।পকেট থেকে রুমাল বের করে মায়ার ঠোঁট মুছে দেয়।পাশে দাড়িয়ে থাকা ছেলের দিকে রক্ত চোখে তাকিয়ে বলে,”আমার বউয়ের ঠোঁটের দিকে তোমার নজর আমার কাছে বিষের মতো।তোমাকে তো ভুগতে হবে ছেলে।”

বলেই স্টলে থাকা পারফিউম নিয়ে ছেলেটির চোখে ছিটিয়ে দেয়।বেচারা সেলসম্যান।সে তো অপেক্ষায় ছিলো মায়া কখন তাকে লিপস্টিক চয়েজ করে দিয়ে বলবে এটা প্যাক করুন সেই আশায়।মায়া অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।রাজের দিকে তাকিয়ে বলে,”কোনো দোষ ছাড়াই ওকে এভাবে এটাক করলেন কেনো?”
“আমার বউয়ের ঠোঁট আমার জন্য রেজিস্ট্রি করে নিয়েছি।এই ঠোঁট এখন একান্তই আমার সম্পদ।যেটাতে রাজত্ব করবো একমাত্র আমি।”
“আপনি পাগল মন্ত্রী মশাই।”
“মায়াবতীর প্রেমে আমি পাগল।”
বলেই মায়াকে টান দিয়ে নিয়ে যায় অন্যদিকে।স্টলের পিছনে নিয়ে এসে দেওয়ালের সাথে চেপে ধরে মায়াকে।
ভ্রু কুচকে মায়া বলে,”কি হয়েছে?”
“একটু প্রেম করতে চাই বউ।”
“এহ!”
“ধুর।বউ আমার কিছু বোঝেনা।আমাকেই যা করার করতে হবে।”

বলেই রাজ তার ওষ্ঠ দিয়ে মায়ার মুখের বাকি লিপস্টিক মুছে নিলো।কিছুক্ষণ পর রাজ দূরে সরে যেয়ে বলে,”একদম লিপস্টিক দিবেনা তো।এই লিপস্টিকের রং দেখলে আক্রমণ করতে মন চায় ঠিকই কিন্তু স্বাদ খুবই বাজে।”
“আমার পাগলা বর চলুন।”
বলেই রাজের হাত ধরে ঘুরতে থাকে মায়া।
হিয়া ঘর সাজানোর জিনিস দেখতে এসেছে। লাইব্রেরীর বিভিন্ন জায়গায় ফুলদানি আর কাগজের ফুল দিয়ে সাজাবে তাই।এছাড়া দেওয়ালে কিছু স্টিকার লাগাবে।রুদ্র তার সাথে সাথেই আছে।বিরক্ত হয়ে হিয়া এবার বলে,”আমার পিছু পিছু এভাবে কেনো আসছেন রুদ্র ভাই?”
“তোকে দেখে রাখার জন্য।”

“লোকে কি ভাবছে বুঝতে পারছেন আপনি?এভাবে কাছে কাছে আসবেন না।বিরক্ত হচ্ছি আমি।”
“লোকের খাই না পড়ি?তুই চুপ করে তোর কাজ কর আর আমি আমার কাজ করছি।”
হিয়া আর কথা বাড়ায় না।এই রুদ্রকে এখন সে সহ্য করতে পারছে না।মেয়েবাজ নষ্ট পুরুষ একটা।যেখানে সেখানে মেয়েবাজী করে।তার মেয়ের অভাব থাকলে তখন হিয়ার পিছনে লেগে থাকে।এটা ভেবেই হিয়া রেগে ফেটে যাচ্ছে।মনে মনে সিদ্ধান্ত নেয় থাকবেই না এখানে।এখন থেকে অনেক দূরে চলে যাবে।ভার্সিটির নাম করে একটু দূরে কোথাও যাবে সে।কিন্তু এই রুদ্রর আশেপাশে থাকবে না।
অফিসের কাজ শেষ করে মাত্র বসেছে তারেক।একজন লোক এসে তারেকের হাতে টিফিন বক্স আর একটা চিঠি দিলো।তারেক হাতে নিতেই লোকটি চলে যায়।চিঠি খুলে তারেক পড়তে থাকে,
ডিয়ার ব্ল্যাক ডায়মন্ড,

কাল রাতে আমি অনেক অভিমান করেছি।জানি এই অভিমান তুমি ভাঙতে আসবে না।ইনফ্যাক্ট এই অভিমানের মূল্য তোমার কাছে শূন্য।এতে আমার আফসোস নেই।তুমি আমার অভিমান নাই ভাঙ্গালে।আমি তো তোমার টেক কেয়ার করতেই পারি।তুমি যে আমার হবু বাবুদের আব্বু হবে। কবে বিয়ে করে বাবু গিফট করবে বলোতো?অপেক্ষায় আছি আমি।সে যাই হোক এখন বাবুদের রাখি সাইডে।তোমার জন্য রাতের খাবার নিয়ে এসেছি।এখন তোমার সামনে আসছি না ইচ্ছা করে।যদিও তুমি জানো আমি কে।কিন্তু যতদিন না তুমি আমাকে একসেপ্ট করবে আমি আসবো না তোমার কাছে।রাতের খাবার খেয়ে বলবে কিন্তু কেমন হয়েছে। আর হ্যা টিফিন বাটি কাল নিতে আসবো।তাই ভালোভাবে পরিষ্কার করে ধুয়ে রাখবে।

ইতি
তোমার হবু বাবুদের আম্মু (মিলি)
তারেক চিঠি পড়ে কোনো রিয়েক্ট করলো না।খাবারগুলো বের করে একটু গালে দিলো।প্রথম গাল নিতেই থু মেরে ফেলে দিলো খাবার।লবণে ভরপুর।তারেক আর খেতে পারলো না।এই সব খাবার এখন ফেলে দিতে হবে।কিন্তু মেয়েটা তার জন্য কষ্ট করে রান্না করেছে।এটাই তো অনেক।
গভীর রাত সবাই ঘুমে বিভোর।রাজের বক্ষে মাথা রেখে মায়া আরাম করে শুয়ে আছে আছে।রাজ আছে গভীর নিদ্রায় কিন্তু মায়া চোখ মেলে ভাবছে কীভাবে কী করবে।হঠাৎ মায়ার কল আসে।মায়া চোখ মেলে রিসিভ করে কল।ওপাশ থেকে বীর বলে,”মিরপুরের এগারো নম্বর গলির ভিতরে তিন নম্বর বাড়ির সাত নম্বর ফ্লোরটা তোমার জন্য কতটা স্পেশাল জানেমান?”

মায়া ভয় পেলো এখন।ওখানে তো তার মা আছে।রাজের দিকে তাকিয়ে দেখে সে গভীর ঘুমে মগ্ন।ব্যালকনিতে এসে মায়া বলে,”আমার মায়ের কিছু করবেন না আপনি।”
“তুমি আমার না হলে কারো হতে পারবে না।তুমি আমার হয়ে যাও।আমি তোমাকে ও আন্টিকে নিয়ে সুখী পরিবার হবো।শুধু আমার হয়ে আসো।”
“কি করতে হবে আমাকে?”

“ড্রেসিং টেবিলের সেকেন্ড ড্রয়ারে দেখো একটি পেপার।তোমার আর রাজের ডিভোর্সের পেপার।আমি রেডি করে রেখেছি।আজকে সকালে তোমাকে ঔষধ দেওয়ার সময়ই রেখেছিলাম।ওটাতে সই করে আমার কাছে চলে আসো।”
মায়া কোনো দ্বিমত করে না।এখন তার মা তার কলিজা বিপদে আছে।তাই বীরকে বলে,”কোথায় আসতে হবে অ্যাড্রেস টেক্সট করে দিন।আমি সই করে আসছি।”
বলেই কল কেটে দেয় মায়া।রুমের ভিতরে এসে রাজের দিকে তাকিয়ে চোখের পানি ফেলে।ঘুমন্ত রাজের দিকে এগিয়ে এসে বলে,”আপনাকে আমার চিরতরে পাওয়া হলোনা মন্ত্রী মশাই।তবে এই মায়া আপনার নয় তো আর কারও নয়।”

বলেই আয়নার সামনে দাড়িয়ে আয়নার দিকে তাকিয়ে থাকে মায়া। ড্রয়ার খুলে ডিভোর্স পেপার হাতে নিয়ে তাতে সই করে দেয় মায়া।হাত কাপছে তার।কিন্তু মাকে জীবিত পেতে এই কাজটা জরুরি।পেপারে সই করে একটি ছবি তুলে বীরকে পাঠালো। মেসেজে এই পিক চেয়েছিলো বীর।।মায়া আবার রাজের দিকে তাকিয়ে বলে,”হয়তো আমি আজ জীবিত অবস্থায় ফিরে আসবো না।হয়তোবা আমি সবার স্মৃতিতে থেকে যাবো কিন্তু আমি অন্যের হতে পারবো না।এই মায়ার সর্বস্ব জুড়ে একমাত্র শাহমীর রাজের বসবাস।এখানে তৃতীয় ব্যাক্তির স্থান আমি দেইনি আর দিবো না।জীবিত ফিরলে আবারও আপনার জন্য ফিরবো নাহলে এই মায়ার জীবনের পথ আজকেই থমকে যাবে।”

চোখের পানি মুছে বের হয়ে যায় মায়া।তারেককে কল করে আসতে বলে।মায়া বের হতেই চোখের পলক মেলে তাকিয়ে ডেভিল হাসি দেয় রাজ। শোয়া থেকে উঠে বসে দুই হাত এক করে টানটান করে অলসতাকে দূর করলো। আঙুলগুলো ফুটিয়ে মাথা দুই দিকে হেলিয়ে নেয়।তারপর বলে,”খেলা তো এখন শুরু হলো মায়াবতী।”
বলেই ড্রেসিং টেবিলের সামনে আসে রাজ। রক্ত চোখে ডিভোর্স পেপারটা মুড়িয়ে পকেটে ঢুকিয়ে নেয়।ড্রয়ার থেকে গুলি নিয়ে পিছনের পকেটে রেখে বলে,”প্রতারকদের স্থান এই শাহমীর রাজ কখনই তার নিকটে রাখে না।সে যতই রাজের কাছের কেউ হোক বা অতি প্রিয় কেউ।তোমার এই খেলার দ্যা এন্ড হবে আজ।”

বলেই রাজ বেরিয়ে যায় মায়ার পিছনে।মায়ার লোকেশন ট্র্যাক করে রেখেছে রাজ অনেক আগে থেকেই।কারণ রাজের দৃষ্টির বাইরে যায়নি কিছুই।গাড়ি চালাতে চালাতে রাজ কল্পনা করে দুইদিন আগের কথা।
বীর যখন গান গাইতে গাইতে সবার দিকে এগিয়ে আসে মায়া তখন পিছিয়ে যেতে থাকে। আর ঠিক সেই দৃশ্য নজরে আসে রাজের।রাজ সোজা তাকিয়ে থাকলেও পাশ থেকে মায়ার পিছিয়ে যাওয়া উপলব্ধি করে।বীর হাত বাড়িয়ে হ্যান্ড শেক করতে নিলে মায়ার ভিতরে ভীতু ভাব রাজের নজর এড়ায়নি।বীরের চোখে মায়ার জন্য এক আলাদা অনুভুতি বুঝতে পারে রাজ।বীর যখন কথা বলে তার চোখ থাকে মায়ার দিকে।এটা রাজ প্রতিবার লক্ষ্য করে রেখেছে।রাজ বুঝতে পারে এদের মধ্যে কোনো এক রহস্য আছে।যেটা জানতে রাজ বীরকে ছার দিয়ে রেখেছিলো।

মায়াবতীর ইচ্ছা পর্ব ৩৭

বীর সেদিন গ্যারেজের কাছে এসে মায়ার সাথে কথা বলেছিলো এটা রাজ তার ব্যালকনি থেকে দেখতে থাকে।হাত মুষ্ঠিবদ্ধ করে তাকিয়ে থাকে ওদের দিকে। রাজের মাথা কাজ করা বন্ধ করে দেয়।মনে চায় এখনই সে যাবে আর বীরকে ওখানেই শেষ করে দিবে।কিন্তু বীর তার মামার একমাত্র ছেলে।রাজ আর বীর একসাথে পড়াশোনা করেছে একসাথে ঘুমিয়েছে।একসাথে অনেক খুনসুটি করেছে। যার কারণে রাজ আসল সত্যটা জানতে অপেক্ষা করে।রাজ তার ঘরে সিসি ক্যামেরা সেট করে রেখেছে।বীর যে তার ঘরে আসতে পারে এটা সে শিওর।কারণ বীরের নজর মায়াকে একা পাওয়া।যেটা বীরের দৃষ্টি ভঙ্গিতে প্রকাশ পায়।সেদিন সিসি ক্যামেরার জন্য ঘরের ভিতরের দৃশ্য দেখতে থাকে রাজ।জানতে পারে অনেক কিছুই।

মায়াবতীর ইচ্ছা পর্ব ৩৯