মায়াবতীর ইচ্ছা পর্ব ৩৯
ইশরাত জাহান
সূর্যের আলো চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে।সেই সাথে অপেক্ষার অবসান ঘটতে যাচ্ছে বীরের।মায়াকে যে জায়গার অ্যাড্রেস দিয়েছিলো সেই জায়গাটি রাজের বাড়ি থেকে বেশ দূরে।প্রায় এক দেড় ঘণ্টা সময় লাগে।উচু নিরিবিলি পরিবেশ।আশেপাশে নেই কোনো ঘরবাড়ি।।কিছুটা দূরেই অবস্থিত একটি বড় খাদ।এখান থেকে পড়ে গেলে খুঁজে পাওয়া যাবে না কাউকে।এমন এক পরিবেশে একটি ছোট বাড়ি বানিয়েছিলো বীর।মায়াকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য।ভেবেছিলো মায়া আর সে এখানে সংসার পাতাবে।এখন খাদের উপর দাড়িয়ে মায়ার জন্য অপেক্ষা করছে বীর।বাড়ির ভিতরে একটি ঘরে শুইয়ে রাখা হয়েছে শাহানা পারভীনকে।সাথে নার্সটিও আছে।এক ধেনে বসে অপেক্ষা করছে বীর।সারারাত ঘুম হয়নি তার।চোখমুখ শুকিয়ে গেছে।চোখ লাল হয়ে আছে।অপেক্ষায় আছে মায়া আসবে আর তাকে বিয়ে করবে।তার হয়ে যাবে মায়া।
বীরের অপেক্ষায় মাঝেই শো করে চলে এলো একটি গাড়ি।বীর বুঝতে পারলো কে এসেছে।মুখে তার ফুটে উঠলো বিজয়ের হাসি।আজকে সে তার জানেমানকে আপন করে পাবে।গাড়ি থেকে বের হয় মায়া।দৌড়ে আসতে থাকে বীরের দিকে।বীরের কাছে এসেই মায়া বলে,”আমার মা কোথায় মিস্টার খান?”
“রিলাক্স জানেমান।তোমার মা মানে আমার শাশুড়ি মা।ওনার কোনো ক্ষতি আমি করিনি।একদম সুস্থ আছেন উনি।চলো বিয়ে করতে হবে আমাদের।”
“আমি আগে মাকে দেখতে চাই।”
“ওকে।”
বলেই ঘরের দিকে হাটা দিলো বীর।মায়া পিছু নিলো বীরের।ঘরের ভিতর ঢুকে মায়া ওর মাকে দেখে শান্তি পেলো।বীর মায়ার হাতে একটি প্যাকেট দিয়ে বলে,”এই লাল শাড়ি পরে রেডি হও জানেমান।বিয়ের সময় হয়ে এসেছে তো।”
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
মায়া কোনো কথা না বলে শাড়ি নিয়ে চলে যায় ওয়াশরুমের দিকে।সাজাতে থাকে নিজেকে।মায়ার এখন একটাই উদ্দেশ্য বীরকে ব্যাস্ত রাখা।বীর তার দিকে মগ্ন থাকলে শাহানা পারভীনকে সরিয়ে নিয়ে যেতে পারবে তারেক।
সকাল সকাল নিজেকে গোলাপী রঙের শাড়িতে সাজিয়ে তুলছে জারা।ইউটিউবে দেখে সুন্দর করে খোঁপা করেছে।সেই খোঁপায় দিয়েছে বেলি ফুলের গাজরা।এই সবকিছু কাল বীরকে পাশে রেখে কিনেছিলো সে।আয়নার দিকে তাকিয়ে নিজেকে দেখছে আর ভাবছে পাশে বীর আছে।একটু পর বীর আসবে ব্রেকফাস্ট করতে কালকের মতো।তাই তো এখন বীরকে দেখাতে সাজতে বসেছে সে।এত সকাল করে কখনও ঘুম ভাঙ্গেনি জারার।আজ নিজে থেকে উঠেছে।বীরের প্রেমে পড়ে সে নিজেকে এতটা পরিবর্তন করেছে।এখন ভাবছে এই বীর আগে কেনো এলোনা তার জীবনে।আগে আসলে হয়তো রাজের সাথে এসব ড্রামা করতো না।নিজের আসল ভালোবাসা আগেই উপলব্ধি করতে পারতো।
“এত সকাল সকাল কার জন্য সেজেছো তুমি?ওই বীরের জন্য বুঝি?”
সোনালীর কথায় ভাবনার জগৎ থেকে বের হলো জারা।ঘুরে তাকালো সোনালীর দিকে।মুখে হাসি ফুটিয়ে বলে,”আমাকে মানাবে তো বীরের সাথে? জানো খালামণি আমি ভেবেছি আমাদের দুজনের নামে কিন্তু বেস্ট জুটি হয়।বীর আর জারা মিলে হয় বীরজারা।শাহ রুখ খান আর প্রীতি জিন্তার মত।তাই না বলো?”
বিদ্রুপের হাসি ফুটিয়ে সোনালী বলে,”তোমার বীর তো তোমার না জারা।”
“কেনো?”
“কারণ বীর তোমাকে না মায়াকে ভালোবাসে।মায়ার হয়েই থাকতে চায় সে। আর এখন বীর কোথায় জানো?”
“কোথায়?”
“মায়াকে বিয়ে করতে গেছে।”
“কিন্তু বেইবী তো ওকে ভালোবাসে। আর মায়া নিজেও বেইবীকে ট্রু লাভ করে।তাহলে কেনো?”
“সে অনেক কথা আছে।কিন্তু আসল কথা হলো বীর মায়াকে পেতে এসেছে।শুধু তাই না এখন ওরা দুজন একসাথে। আর ওদের দুজনকে শেষ করতে কে গেছে জানো?”
“কে?”
“শাহমীর রাজ নিজে।রাজ নিজে শেষ করবে বীর আর মায়াকে।”
“হোয়াট?না না এটা হতে পারে না।আমি বীরকে ভালোবাসি।ওর জন্য আমি নিজেকে পাল্টে নিয়েছি খালামণি।আমাকে যেতে হবে।”
“কোথায় যাবে?”
“বীরের কাছে।ওর কিছু হতে দিবো না আমি।”
“পাবে কোথায় ওকে?”
“প্লিজ খালামণি বলে দেও ওরা কোথায়?”
কান্না করতে করতে বলে জারা।আজ জারার কণ্ঠে ন্যাকা কান্না নেই।বীরের জন্য সে আজ বাস্তবে কান্না করছে।সোনালী বলে দিলো অ্যাড্রেস।সাথে বলে,”তুমি দেরি করেছো জারা।তুমি যেতে যেতে বীর আর মায়া শেষ।তাই তুমি নিজের চোখের শেষ দেখা না হয় দেখেই আসলে, যাও।”
জারা কোনো কথা না বলে চোখের পানি মুছতে মুছতে দৌড় দেয় বীরের কাছে যাওয়ার জন্য।এতগুলো বছর সে কারো লাটাই হয়ে ছিলো।তাকে যেটা বুঝিয়ে দেওয়া হতো সে তাই করতো।।আজ সে বাস্তবে ফিরেছে।ভালোবাসা বুঝতে শিখেছে।রাজকে পেতে যা যা করতো ওগুলো তাকে শিখিয়ে দেওয়া হতো।কিন্তু বীরকে পেতে যা যা করা লাগে এগুলো তাকে শিখিয়ে দিতে হয় না।কোনো রকমে দৌড়ে গ্যারেজ থেকে গাড়ি নিয়ে ফুল স্প্রিডে গাড়ি চালাতে থাকে জারা।মনে মনে প্রার্থনা করে,”আল্লাহ বীরের কিছু করোনা।আমি ওকে নিয়ে বহুদূরে চলে যাবো। আর কোনো অসৎ কাজ করবো না।বীর আর আমি একসাথে বীরজারা হয়ে সৎ পথে চলবো।দেখে রাখো আমার বীরকে।”
চোখ ঝাপসা হয়ে এসেছে জারার।তারপরও সে দ্রুত গতিতে গাড়ি চালাতে থাকে।তাকে তার বীরকে বাঁচাতে হবে।বীরকে আজ সে তার মনের কথা বলতে চায়।সে এতদিন যতই খারাপ থাকুক ভালোবাসার টানে ভালো হতে চায় সে।সে নিজেও তো এই ভালোবাসা নিয়ে ভালো পথে থাকার সুযোগ ডিজার্ভ করে।
লাল শাড়ির সাথে কিছু গহনা পরে নিলো মায়া।ছেড়ে দেওয়া চুলে কপালে একটি টিকলি গলায় একটি হার আর কানে ছোট ছোট হারের সাথে মিলিয়ে দুল। বেচ এতেই যেনো মায়াবতীর রূপ ধারণ করেছে মায়া।বাইরে বেরিয়ে আসার সাথে সাথে মায়ার দিকে চোখ যায় বীরের।বীর ঘোর লাগা দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে মায়ার দিকে।মায়াও আজ তাকিয়ে আছে বীরের চোখের দিকে।এক পা দু পা করে মুখে হাসি ফুটিয়ে বীরের দিকে এগিয়ে যায় মায়া।বীরের কাছে এসে বীরের চোখে চোখ রেখে হাস্যোজ্বল মুখ করে রাখে মায়া।
বীরের আর কি লাগে?সে তো চায় মায়া তার সামনে থাকুক।এভাবেই হাসিখুশি থাকুক। আর কিছু বীর চায় না।মায়া বলে,”কাজী কোথায় মিস্টার খান?”
বীর আঙুল উঁচিয়ে দেখিয়ে দেয়।অন্য এক রুমে আছে কাজী।মায়া বীরকে নিয়ে সেদিকে যায়।এটাই সুযোগ।এই সুযোগে তারেক ঢুকে পড়ে রুমে।বীরের বডিগার্ডগুলোকে স্প্রে দিয়ে অজ্ঞান করে দিলো।তারপর তারেক আর দুই জন লোক মিলে শাহানা পারভীনকে নিয়ে গাড়িতে উঠে পড়ে।মায়ার কানে ব্লুটুথ আছে।তারেক তার কাজ কমপ্লিট করেই মায়াকে বলে,”আমাদের কাজ কমপ্লিট ম্যাম।এখন আপনি আপনার অ্যাকশন শুরু করে দিন।”
মায়া ডেভিল হাসি দিলো।বীরের দিকে তাকিয়ে বলে,”বেকার কাজী ডাকা।”
বীর ভ্রু কুঁচকে বলে,”মানে?”
“বিয়ে তো হচ্ছে না।”
“মজা করোনা জানেমান।এখনই আমাদের বিয়ে হবে।তোমার আর আমার বিয়ে।নাহলে তোমার মা…”
আর কিছু বলার আগে মায়া বলে,”কোথায় আমার মা?দেখান তো।”
বীর গেলো শাহানা পারভীনকে আটকে রাখা রুমে।দেখতে পেলো না শাহানা পারভীনকে।মায়া ডেভিল হাসি ফুটিয়ে রেখেছে।বীর এবার মায়ার কাছে এসে বলে,”সে তুমি যেভাবেই আন্টিকে বাঁচিয়ে নেও।বিয়ে তোমার আমাকেই করতে হবে।”
“জোর করে কখনও ভালোবাসা যায় না। এট লিস্ট এই মায়ার সাথে কখনই না।আমি যাচ্ছি আমার মন্ত্রী মশাইয়ের কাছে।”
বলেই যেতে নেয় মায়া।হো হো করে হেসে দেয় বীর।মায়া ঘুরে তাকায় তার দিকে।বলে,”এভাবে পাগলের মতো হাসার মানে কি?”
“তোমার প্রেমে পাগল হয়েছি আমি।অ্যাকশন তো দেখাতেই হয়। যাই হোক তোমাকে আর তোমার মন্ত্রী মশাইয়ের কাছে যেতে হবে না।সে নিজেই আসছে।”
“কি বলতে চান আপনি?”
“ওহ জানেমান!তুমি জানো না তোমার ঘরে ক্যামেরা সেট করে রাখা।যেখানে তোমার দিকে নজর থাকে শাহমীর রাজের।আমার ছোট এক নাটকে তোমার আর রাজের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি শুরু আর শুধু তাই না ডিভোর্স পেপার তো আছেই।”
মায়া তাকিয়ে আছে বীরের দিকে। বীর হাসতে থাকে।হাসি থামিয়ে বীর বলে,”তোমার ঘরে বসে ওই খুনের কথাগুলো কেনো বলেছিলাম জানো?কারণ আমি ক্যামেরা দেখে ফেলেছিলাম। সো সরি জানেমান।আমি ইচ্ছা করেই এটা করেছি।ডিভোর্স পেপার তোমার পার্সোনাল ড্রয়ারে রেখে দিয়েছিলাম তো এই জন্যই।তোমার মন্ত্রী মশাই তোমার অর্ধ সত্যিটা জেনে তোমাকে ঘৃণা করবে আর এদিকে তুমি আন্টির জন্য বাধ্য হয়ে সই করবে আর ফিরে আসবে আমার কাছে।আজ তুমি আমার না হলেও ওই রাজের হতে পারবে না।”
কথাগুলো বলেই মায়ার দিকে এগিয়ে আসে বীর।হাঁটু গেড়ে মায়ার কাছে বসে নরম সুরে আবেদন করে,”আমার হয়ে যাও জানেমান।দেখো তোমার জন্য এই মহল বানিয়েছি।তুমি তো সাধারণ জীবন চাও।এই জীবনটা তুমি পাবে। আর ওদিকে শাস্তি পাবে মোহন সরদার।আমি নিজে তাকে শাস্তি দিবো।দেখিয়ে দিবো তার মেয়ে আর বউ কতটা সুখে আর সে সবকিছু পেয়েও আজ অসুখী।শুধু আমার হয়ে যাও।”
মায়া পিছিয়ে যায় তারপর বলে,”আমার জীবন নিয়ে নিন কিন্তু মন্ত্রী মশাই ব্যতীত অন্য কারো হতে বলবেন না।আমি পারবো না আপনার হতে।বারবার বলছি আমার থেকে দূরে থাকুন।আপনার জীবনে অন্য কাউকে আনুন। আপনিতে আমি আমার সুখ পাই না মিস্টার খান।”
মায়ার শেষ কথাটি যেনো তীরের মতো আঘাত করলো বীরের বুকে।চোখ থেকে এক ফোঁটা পানি বের হলো তার।মুখে ফুটে ওঠে অসহায়ত্বের হাসি।মায়ার দিকে করুন চোখে তাকিয়ে বলে,”আমার দোষটা কোথায় বলতে পারো?তোমাকে অতিরিক্ত ভালোবাসায় নাকি তোমাকে অতিরিক্ত চাওয়ায়?
“ভালোবাসা আটকে রাখা যায় না।কিন্তু চাওয়া পাওয়াগুলো আটকে রাখা যায়।এ
আপনি একতরফা ভালোবেসেছেন।যেটা আপনি হাজার চাইলেও ব্যার্থ।”
মায়ার মুখে এমন কথা শুনে বীর এবার মায়ার পা ধরে বসে পড়ে।অনুনয় করে বলে,”সারাটা জীবন আমার স্থান তোমার পায়ের নিচে রেখে দিও।তবুও আমার হয়ে থাকো।ভালোবাসতে না পারো অন্তত ভালোবাসার মানুষ হয়ে পাশে থেকে সুখ দিও।এটুকু কি চাইতে পারি না?”
“আপনি যার থেকে ভালোবাসা চান সেও যে অন্যের ভালোবাসা পেতে চায়।আপনার কাছে থাকলে আমি ভালো থাকবো না।আমার সুখ আমার ভালো থাকা আমার মন্ত্রী মশাই।আপনি না।”
“তবে এটাই কি তোমার শেষ কথা?”
“হ্যাঁ।আপনি যত চেষ্টাই করুন না কেনো।আমি আমার মন্ত্রী মশাইয়ের হয়েই থাকবো।”
“তোমার মন্ত্রী মশাইও সবসময় তোমার হয়ে থাকবে,মায়াবতী।”
পিছন থেকে রাজের কণ্ঠ শুনে ঘুরে তাকালো মায়া।রাজকে দেখে খুশি হলো মায়া।রাজ মিষ্টি হেসে তার দুই হাত দুইদিকে মেলে দিয়ে বলে,”আমার বক্ষে তোমাকে স্বাগতম,মায়াবতী।”
মায়া খুশি হয়ে দৌড় দেয় রাজের দিকে।শাড়ির কুচি উচু করে ধরে দৌড়ে যায় রাজের দিকে।রাজকে জাপটে জড়িয়ে ধরে মায়া বলে,”আমার মন্ত্রী মশাই।”
বলেই রাজের কপালে গালে মুখে ভালোবাসার পরশ দিতে থাকে মায়া।মুখে দুষ্টু হাসি ঝুলিয়ে রাজ বলে,”এভাবে আমার ইজ্জত হরণ করে দেও কেনো বলোতো?জনগন কি মেনে নিবে এমন মন্ত্রী মশাইকে।যে তার বউ দ্বারা অপহরণ হয়।”
মায়া হেসে দেয়।বলে,”জনগন মানতে বাধ্য।বর তার বউ দ্বারা অপহরণ হচ্ছে এতে জনগণের কি?আমি আমার বরকে ইচ্ছামত ভালোবাসবো।”
বীর অসহায় চোখে দেখতে থাকে রাজ ও মায়ার এই প্রেম নিবেদন।তার সহ্য ক্ষমতার বাইরে এই ভালোবাসা।সে তো মায়াকে ভালোবাসে।কিন্তু তার মায়া ভালোবাসে অন্য কাউকে।বীর অনুভব করতে থাকলো তার ভালোবাসা এক তরফা।এই ভালোবাসার কোনো মূল্য দুনিয়া তাকে দিবে না।এই পৃথিবী তার ভালোবাসাকে ব্যার্থ করে দিলো।বুকের ভিতর আলাদা ব্যাথা অনুভব করছে সে।নিজের জানেমানকে অন্য ব্যাক্তির সাথে সুখে থাকতে দেখে চোখ জ্বলে উঠছে বীরের।বীরের ঠোঁট দুটো আপনা আপনি প্রসারিত হতে থাকে।
মায়াবতীর ইচ্ছা পর্ব ৩৮
রাজ এতক্ষণ মায়ার দিকে তাকিয়ে ছিলো।এবার রক্ত চোখে তাকালো বীরের দিকে।বলে,”ভাই বলে ছার দিয়েছিলাম।কিন্তু তুই তো ভাই হওয়ার যোগ্য নেই রে।আমার বউয়ের দিকেই নজর দিতে হলো তোর?”
হাতের উল্টো পিঠ দিয়ে চোখ মুছে বীর বলে,”ভালোবাসা বলে কয়ে আসে না। আর কি বলতো কারো জীবনে তৃতীয় ব্যাক্তি হয়ে আসলেও ভালোবাসাটা কিন্তু মন থেকেই থাকে।আমার ভালোবাসা অপবিত্র ছিলো না।সারা পৃথিবী এই ভালোবাসাকে অপবিত্র বললেও আমি জানি আমার মন থেকে এটা ছিলো পবিত্র।”
