মায়াবতীর ইচ্ছা পর্ব ৪১

মায়াবতীর ইচ্ছা পর্ব ৪১
ইশরাত জাহান

সুখের দিন শেষে দুঃখের দিন আসে।আবার সেই দুঃখের দিন শেষ হয়ে সুখের দিনটিও ফিরে আসে।বীর মারা গেছে দুইদিন।সবার মনে খারাপ লাগা থাকলেও যে যার মতো করে কাটিয়ে দিচ্ছে।শুধু শান্তিতে দিন কাটছে না জারার।অবশ্য সে শান্তিতে আছে নাকি অশান্তিতে এটা বোঝার অবস্থা নেই।সেদিনের ঘটনার পর জারা অনেকবার সেন্সলেস হয়েছিলো।যতটুকু সময় জ্ঞান ছিলো বলছে বীর তার আশেপাশে আছে।সে বীরকে দেখছে।কিন্তু নাহ বীর কোথাও নেই।এই সব তার ভ্রম।বীরকে না পাওয়ার আঘাত হানা দিয়েছে তার মনে।এখন জারা হসপিটালে ভর্তি।ডক্টরের ট্রিটমেন্টে দিন পার করছে সে।বেশিরভাগ সময় তাকে ঘুমের ঔষধ দেওয়া হয়।তানাহলে তো জারার পাগলামি বেড়ে যায়।ডাক্তারের মতে,”জারা সুস্থ থাকলেও মেন্টালি অসুস্থ।সে বীরের মৃত্যু নিজের চোখের সামনে মেনে নিতে পারেনি।”

আসলেই কি সম্ভব?যে মেয়েটি তার ভালোবাসা পাওয়ার জন্য প্ল্যান করে রেখেছিলো সেই মেয়ের সামনে হঠাৎ ভালোবাসার মৃত্যু।যাকে নিয়ে নিজে থেকে ঘর বাধার সপ্ন বুনেছিলো সেই ভালোবাসা আজ হারিয়ে গেছে।নিজের চোখের সামনে তার ব্যার্থ প্রেমিককে নিজের হাতে খুন হতে দেখে।যেখানে জারা বারবার চেয়েছিলো সে বীরকে পরিবর্তন করবে।তার ভালোবাসায় পৃথিবী সাজিয়ে দিবে।কিন্তু হলো তার উল্টো।এখন জারা আগের মতো নেই।জ্ঞান ফিরলে বীরের জন্য তার কাতরতা ফুটে ওঠে।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

মালিনী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বীরের মৃত্যুতে সেও শোকাহত।কয়েকদিন ধরে ঠিকমত খাওয়া দাওয়ার ভিতরে নেই সে।নিজের যত্ন নেওয়া ভুলে গেছে।কিছুক্ষণ পর পর মায়ার দিকে আঙুল দেখিয়ে বলছে,”তুমি অলক্ষ্মী।অপয়া মেয়ে তুমি।তোমার জন্য এই বাড়িতে অশান্তি বেড়েছে।আমার বীর বাবা তোমার জন্য মারা গেছে।”
মায়া কোনো প্রতিক্রিয়া করেনি।চুপ করে শুনে গেলো।সবকিছুর প্রতিবাদ মায়া করেনা।যখন প্রতিবাদ করে তখন তার ভয়ংকর মুহূর্ত বানিয়ে দেয়।তাই মায়া এখন রাজের দিকে তাকিয়ে হাত মুঠ করে আছে।

মোহন সরদারের অ্যাকসিডেন্ট হয়েছে আজ।তাকে রুদ্র হসপিটালে নিয়ে এসেছে।রাস্তার লোকজনের মতামত এটা কেউ ইচ্ছা করে করেছে।কারণ যে ট্রাকে অ্যাকসিডেন্ট করেছে ওই ট্রাক মোহন সরদারের গাড়িকে ক্রস করে যেতে পারতো অনেক জায়গা ফাঁকা রেখেই।কিন্তু এটা করেনি বরং চোখের নিমিষেই গাড়ির সাথে ট্রাকের ঘর্ষণ লাগিয়ে দেওয়া হয়।

ডক্টর দেখছে মোহন সরদারকে।কিছুক্ষণ দেখার পর ডাক্তার বলেন,”ওনার শরীরের অনেক জায়গায় ফ্র্যাকচার হয়েছে।ওনার গভীরের ক্ষতগুলো কতদূর কি এটা দেখতে হবে।”
সোনালী বলে,”তাহলে দেখুন।”
“দেখুন এটা আমার কাজ নয়।এটার জন্য অন্য অর্থোপেডিক ডক্টর আছে।উনি আজ ছুটিতে।তাই আমাদেরকে এখন কল করে ডাকতে হবে।কিন্তু ওনার জন্য আপনাদের অনেক বেশি একাউন্ট পে করতে হবে।”
“আমরা রাজি।”
“ঠিক আছে।তাহলে কল করছি ডক্টর অহর্নিশ আদ্রকে।উনি এই বিষয়ে অনেক এক্সপার্ট।”
“ওকে।”
বলেই হাফ ছাড়ে সোনালী।

সবাই আড় চোখে দেখছে মায়াকে।মায়া লক্ষ করেছে বিষয়টি।সবার দিকে তাকিয়ে মায়া বলে,”এভাবে আমার দিকে তাকানোর কোনো মানে নেই।আমি এসব করিনি।আমি করলে এভাবে লুকিয়ে চুরিয়ে করি না।প্রকাশ্যে থাকতো।”
সবাই বিশ্বাস করে নেয় মায়ার কথা।এটা সত্যি মায়া যাই করে তা প্রকাশ্যে।তাই সন্দেহের তালিকায় নতুন কে এসেছে এটা কেউ বুঝতে পারছে না।

সবার ভাবনার মাঝেই পায়ের শব্দ বাড়তে থাকে।পিছনে তাকালো সবাই একসাথে। ব্ল্যাক শার্টের উপর দিয়ে সাদা অ্যাপ্রন পরে সবার দিকে এগিয়ে আসছে একজন ডক্টর।সবাই তারদিকে তাকিয়ে আছে।সোনালী তাকে দেখেই তার সামনে এসে বলে,”আমার হাসব্যান্ডকে ঠিক করে দিন।আপনার যত টাকা লাগে আমরা দিবো।”
আদ্র সোনালীর মুখের দিকে তাকিয়ে ভরসা দিয়ে বলে,”আমি আমার সাধ্য মতো চেষ্টা করবো।বাকিটা ওপর ওয়ালার হাতে।”

বলেই ভিতরে ঢুকে যায় আদ্র।বেশ কিছুক্ষণ পর আদ্র বের হলো ওটি থেকে।আদ্রকে দেখে রাজ এবার এগিয়ে আসে।রাজকে দেখ আদ্র বলে,”হি ইজ ফাইন বাট হি কান্ট মুভ।তার বাম পা এখন অচল।উনি হাঁটতে পারবেন না।”
সোনালী ভেঙ্গে পড়েছে।মালিনী এসে ধরে রেখেছে।সোনালী বলে,”আর কোনো উপায় কি নেই ওকে সুস্থ করার?”
“আছে।ওনাকে থেরাপির উপর রাখতে হবে।যতটুকু সমস্যা হয়েছে তাতে করে ওনার ব্যায়াম সঠিকভাবে করলে আর মেডিসিন রেগুলার টাইমলি চালাতে থাকলে রিকোভার করতে পারবেন উনি।”
সবাই একটু আশার আলো দেখলো।আদ্র কথাগুলো বলেই হাঁটতে শুরু করে।ওটির সামনে এক কোনায় দাঁড়িয়েছিলো হিয়া ও সিয়া।আদ্র হাঁটতে যেয়ে হঠাৎ করে সিয়ার বাহুর সাথে নিজের বাহুর ধাক্কা খায়।সিয়া আড় চোখে তাকালো আদ্রের দিকে।সিয়ার দিকে তাকিয়ে আদ্র বলে,”সরি।”
বলেই মিষ্টি হাসি দিয়ে চলে যায় আদ্র।
রাতে,

রাজ তার কাজ শেষ করে বাসায় আসে মাত্র।মায়া রাজকে দেখেও না দেখার মতো করে থাকে।নিজের মতো ল্যাপটপ নিয়ে ব্যাস্ত থাকে মায়া।মায়াকে দেখে রাজ বলে,”আমি কোথায় বউকে কাছে পাবো বলে কাজ শেষ করে লাফাতে লাফাতে চলে আসি। আর বউ আমার বাড়িতেও কাজ করতে থাকে।”
“দিন দিন বউ পাগল হয়ে যাচ্ছেন আপনি।”
“কি করবো বলো!বিয়ে করেও সতীত্ব রক্ষা করে রেখেছি আমি।না নিজের সতীত্ব হরণ হয়েছে আর না বউয়ের সতীত্ব হরণ করেছি।কয়টা বর পারে এমনভাবে চলতে?”
“একমাত্র মেহেরুন জাহান মায়ার বর পারে এমন চলতে।”
রাজ এবার মায়ার কাছে এসে বলে,”শুনো মায়াবতী!অনেক হয়েছে এই এই বউ রেখেও সতী স্বামী সেজে থাকা।এবার একটু এই মন্ত্রী মশাইকে অসতী করে দেও।”

“কথার কি শ্রী?”
“বউ কাছে থেকেও বউয়ের ভালোবাসা পাই না।এর থেকে তুমি কথার শ্রী দেখছো?”
“আপনার সাথে কথা বলা বেকার।কাজ করতে দিন আমাকে।নতুন মডেল দেখতে হবে।”
“কই দেখি আমাকেও দেখতে দেও তোমার নতুন নতুন হট মডেলদের।”
ক্ষেপে গেলো মায়া।মাথায় যেনো এখন বোমা ফাটিয়ে দিয়েছে রাজ।অবশ্য মায়াকে জেলাস করাতেই এমন বলেছে রাজ।কাজেও লেগেছে।রাজের কলার ধরে সোফায় রাজকে এলিয়ে দিয়ে বলে,”খুব শখ হয়েছে না ছোট ছোট ড্রেস পরা মেয়েদের দেখার?”

“তুমি চাইলে আমি ওদের জামা বড় করে দিয়ে দেখতে পারি।”
“শাট আপ।আপনার চোখকে লাগাম দিন।”
“তাহলে বউয়ের সতীত্ব হরণ করতে পারবো?”
“আপনি শুদ্রাবেন না তাই না?”
“আমি তো শুদ্রে আছি।এই যে বউ পেয়েও নিজেকে সেফ রেখেছি।”
বলেই মায়াকে নিজের কাছে নিয়ে আসে রাজ।মায়ার কাছে আসতে না আসতেই রাজের ফোন ভাইব্রেট শুরু হয়।রেগে গিয়ে রাজ বলে,”এই ফোন কে আবিষ্কার করেছিলো যেনো?ধুর বউকে কাছে না পেলে কিছুই মনে পরে না।এর ভিতর আবার বাজতে শুরু করে মোবাইল।”

বলেই ফোন হাতে নিয়ে দেখতে পেলো পিয়াশের কল।ব্যালকনিতে যেয়ে রিসিভ করেই রাজ বলে,”হ্যা বলো আমার প্রেমের দুশমন। রিভেঞ্জ নিচ্ছো আগে রাতে কল করতাম বলে?আরে তখন তো তোমার বউকে কনফার্ম করতাম যে আমি মায়াবতীর খোঁজ নেওয়ার জন্য দিওয়ানা হয়ে আছি। যাতে মৌ এই সবকিছু মায়াবতীকে বলে দেয়।এটুকু তো তুমি জানোই।তাহলে আমার সুইট নাইটে কল করো কেনো?”

বেচারা পিয়াশ।কি করবে নিজেও কনফিউজড থাকে।বস কোনো কাজ দিলে তার খোঁজ দেরি করে দিলে বউয়ের থেকে রাখবে দূরে আবার এখন সাথে সাথে খোঁজ দিতে চায় তাও বস যায় রেগে।আসলে এই বস চায় কি?মাথা ঝেড়ে পিয়াশ বলে,”আসলে বস মায়া ম্যামের ফ্যাক্টরির আশেপাশে কিছু লোকজন ঘোরাঘুরি করছে।ইনফ্যাক্ট দুজন অচেনা ছেলে ম্যামের ফ্যাক্টরির কর্মরত মেয়েদের ফলো করে।এমন তথ্য মাত্র আমাকে দেওয়া হয়েছে।”
“এটাই স্বাভাবিক।মায়াবতীর ফ্যাক্টরিতে কম বয়সী গরীব মেয়েদের ছোট ছোট পোস্টে কর্মের জন্য নেওয়া হয়। আর ওদের দিকেই শকুনের নজর বেশি পরে।”

“এখন আমরা তো অফিস পর্যন্ত মেয়েদের সেফ রাখতে পারবো।এর বাইরে তো সম্ভব না।”
“অলিতে গলিতে এখন পুলিশের গার্ড বাড়িয়ে দেও।আমার দাদু আর নানু নারীদের রক্ষা করতে গিয়ে নিজের জীবন শেষ করেছে।তখন আমি বিদেশে ছিলাম।কিন্তু এখন তার নাতি হয়ে আমি সবাইকে রক্ষা করবো আর আসামিদের শাস্তি দিবো।নিজের হাতে শাস্তি দিবো তাদের।আমার ভাই আমার মা আমার দাদু প্রত্যেকের খুনের শাস্তি আমি দিবো।”

শেষের কথাটা শুনে অবাক হয়ে দাড়িয়ে আছে মায়া।ওর দাদু আর মায়ের খুনের শাস্তি মানে?দাদুকে কেউ খুন করেছে?মা আবার কিভাবে মারা যায়?সে তো বাসায়। আর ভাইয়ের মৃত্যুর শাস্তি মানে তো মায়াও জড়িত।মায়া খুন করেছে নিজের অজান্তে তাজকে।তারমানে কি রাজ মায়াকে শাস্তি দিবে? আর এই জন্য কি ডিভোর্স পেপার নিয়ে কোনো কথা তোলেনি রাজ? আর ভাবতে পারছে না মায়া।মায়ার মাথা খালি ঘুরছে।রাজ যদি তাজের খুনিকে ধরে তারমানে সে ধরা পড়বে আর তাকেই রাজ কঠিন শাস্তি দিবে।

বাসায় এসে ফোন হাতে নিয়ে ফেইসবুকে ঢুকলো সিয়া। সার্চ অপশনে যেয়ে টাইপ করলো অহর্নিশ আদ্র লিখে।কয়েকটা আইডি পরই কাঙ্ক্ষিত ব্যাক্তির আইডি খুঁজে পেলো সে।আইডিতে ঢুকেই পোস্টে ক্লিক করে আদ্রের বিভিন্ন পিক দেখতে থাকে সে।আদ্রকে দেখেই মনে ধরেছে সিয়ার।এখন তো সেও মেডিকেল ভর্তি হবে।তার শুধু একটাই চাওয়া।যেনো আদ্রের মেডিকেলটাতেই যেনো সে চান্স পায়।তাহলে আদ্রের জন্য সে কিছু চেষ্টা করবে। মানে আদ্রকে কিভাবে পটানো যায়।তার আগে তাকে জানতে হবে এই অহর্নিশ আদ্র সিঙ্গেল নাকি বিবাহিত।
রাতের খাবার নিয়ে হসপিটালে এসেছে হিয়া।বাবা কাকা ও রুদ্রের জন্য খাবার এনেছে।রাতে মোহন সরদারের সাথে মাহমুদ সরদার থাকতে চান।রুদ্র চেয়েছিলো থাকতে কিন্তু মাহমুদ সরদার থাকতে না করে দিয়েছে।এমনিতেও কাল তাকে রিলিজ করানো হবে। আর বাসায় পার্মানেন্ট নার্স রাখবে।যতদিন না মোহন সরদার সুস্থ হন।আদ্র সপ্তাহে সপ্তাহে যেয়ে মোহন সরদারকে দেখে আসবে নিজ দায়িত্বে।

খাবার নিয়ে হিয়া হসপিটালে পৌঁছেছে। রুদ্রের দিকে না তাকিয়ে সোজা মাহমুদ সরদারের দিকে চলে যায়।রুদ্র বিষয়টি দেখেও না দেখার মতো করে থাকলো।মাহমুদ সরদার খাবার বেড়ে তার ভাইকে খাইয়ে দিতে থাকেন আর নিজেও খান।রুদ্রকে খেতে বললে রুদ্র বলে,”আমি বাসায় যেয়ে খাবো।তোমরা খাও বড়বাবা।”

বাসায় যেয়ে খাওয়া মানে হিয়াকে আবার খাবার গরম করতে হবে।সার্ভেন্ট কি এত রাত জাগতে পারে?হিয়া এমনিতেও নিজের কাজ নিজে করে সার্ভেন্টদের কম কাজ করায়।ওর মতে প্রত্যেক মানুষের কষ্ট আছে।সার্ভেন্ট টাকার বিনিময়ে কাজ করলেও ওদের খাওয়া ঘুম সময়মত করা উচিত। যারা টাইম মেইনটেইন করে চলে না ওদের জন্য রাত জেগে আবার সকালে বড়দের জন্য কষ্ট করে রান্না করা এতে করে ওদের শারীরিক কষ্ট দেওয়া ছাড়া কিছুই না।মাহমুদ সরদার এই সবকিছু সিয়া ও হিয়াকে শিখিয়েছেন।তিনি বলেন,”গরিবরাও মানুষ।আমরা আমাদের মতো বিলাসিতা করি মানে এই না যে তাদেরকে এসবের জন্য ঘুম কামাই দিয়ে রাত জাগিয়ে রেখে দিবো।তার থেকে আমরা একটি নির্দিষ্ট সময় দিয়ে তাদের কাজ করাবো এবং নিজেদের সাধ্য মতো নিজেরা কিছু করবো।ওদেরকেও বিশ্রাম করার সুযোগ করে দেওয়া উচিত।”
বাবার কথাগুলো অক্ষরে অক্ষরে পালন করে তার সন্তানেরা। কথায় আছে যেমন শিক্ষা দিয়ে বড় করা তেমন ফলাফল লাভ করা হয়।মাহমুদ সরদার ঠিক তেমনটাই পেয়েছেন। আর মোহন সরদার উনি ওনার কর্মের ফল পাচ্ছেন।

মায়াবতীর ইচ্ছা পর্ব ৪০

আজ মোহন সরদারের আফসোস হচ্ছে তার ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে।তার মোহনা তো অনেক ভালো আর বুদ্ধিমত্তা ছিলো।সেও যদি মোহনাকে এভাবে বুঝিয়ে বুঝিয়ে বড় করতো তাহলে আজ তার ব্যাবসা বাণিজ্য মোহনা আর সে দেখতো।সবকিছু নিজের হাতে শেষ করে দিলেন তিনি।মাহমুদ সরদারের হাতে খাবার খেতে খেতেই কান্না করে দিলেন নিজের লোভ লালসা আর হিংসার জন্য।তবে এবার তিনি কঠোর হবেন।রুদ্রকে তার ব্যাবসা বাণিজ্য দেখার জন্য জোর করবেন। আর কত এভাবে রাত বিরাতে বাইরে বাইরে পার্টি আর ফুর্তি করবে?বয়স তো কম না তার।

মায়াবতীর ইচ্ছা পর্ব ৪২