মায়াবতীর ইচ্ছা সিজন ২ পর্ব ১৪
ইশরাত জাহান
মায়া গাড়ি থেকে নেমে সরদার মহলের ভিতরে ঢুকতে যাবে কিছু একটা ভেবে পিছনে ঘুরে তারেকের উদ্দেশ্যে বলে,”বাসায় আসো।রাতের খাবার খেয়ে যাবে।”
তারেক আলতো হেসে বলে,”নো থ্যাংকস ম্যাম।”
বলেই কল্পনা করতে থাকে আজকে সকালের কথা।পায়েশ আর ফল নিতে এসেছিলো আজ সকালে।ওই সময় সবাই নিজস্ব কাজে ব্যস্ত।যে যার মতো কলেজ যায় আর বড়রা অফিস।তারেক খাবারগুলো নিয়ে আশ্রমে যাবে।গাড়িতে ফলের ঝুড়ি রাখতেই ভাঙ্গা গলায় ফাটা বাঁশের কণ্ঠে ইংলিশ গান শুনে পিছনে তাকায়।পিছনে তাকিয়ে দেখে মিলি কানে হেডফোন নিয়ে হাত দুটো উপরে উঠিয়ে দুলাতে দুলাতে নাচতে থাকে আর চিল্লিয়ে গান গাইতে থাকে।যেটা দেখে তারেক মনে মনে মিলিকে বলে,”জলহস্তীর রানী।”
মিলি আনমনে গলা ফাটিয়ে গান গাইতে গাইতে বাইরে এসে দেখতে পেলো তারেককে।চোখদুটো বড় বড় করে দাড়িয়ে রইলো সোজা হয়ে।ক্রাশকে এভাবে সামনে দেখবে ভাবতেই পারেনি।কান থেকে হেডফোন খুলে চুলগুলো ঠিক করে সামনে এগিয়ে গেলো।তারেকের সামনে এসে বলে,”হাই ব্ল্যাক ডায়মন্ড।”
“বাই।”
বলেই গাড়িতে উঠতে যাবে তারেক।মিলি ওর বামহাত ধরে ঘুরিয়ে নিজের দিকে আনে।তারেক হুমড়ি খেয়ে পড়তে নেয়।এভাবে এটাক করবে বুঝলে সে তো প্রস্তুত নিতো।অবশ্য কেউ এটাক করার আগে বলবে নাকি?তারেক মনে মনে আরো দশটা গালি দিতে শুরু করলো।মিলি মুখটা হাসি হাসি করে বলে,”আমাদের বাড়িতে আসবে এটা আগে বলোনি কেন?”
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
“আসলে অ্যাপয়েনমেন্ট লেটার পাঠাতে ভুলে গেছিলাম।দুঃখিত ম্যাম পরেরবার অ্যাপয়েনমেন্ট লেটার দিয়েই তারপর আসব।”
“অত কষ্ট করতে হবে না।আসার আগে আমার নাম্বারে একটা এসএমএস দিয়ে দিবে।আমিও রেডি থাকব।”
“কিসের রেডি?”
“ওওও তুমি বুঝবে না।চলো আমার সাথে ভিতরে।”
“কেন?”
“নাস্তা করবে।সরদার মহলে প্রথমবার এসেছো নাস্তা না করেই চলে যাবে?”
তারেক বিড়বিড় করে বলে,”গরীব বলে মা এসে আমার সাথে করে খিটখিট আর তারই মেয়ে কিছুক্ষণ পরে এসে গায়ের সাথে চিপকে চোখ করে পিটপিট।”
মিলি শুনতে পেলো না।হাত নাড়িয়ে তারেককে বলে,”কোথায় হারিয়ে গেলে তুমি?”
“আমার কাজ আছে ম্যাম।”
“এই একদম ম্যাম বলবে না আমাকে।”
“তাহলে কি বলে ডাকবো?”
“আমার তো নাম আছে যদি এটা ডাকতে অসুবিধা হয় তাহলে তোমার মনের মাধুর্য দিয়ে কিছু একটা ডেকো।”
তারেক খুকখুক করে কেশে উঠলো।এই মেয়ে এখন মনের মাধুর্য দিয়েও ডাকতে বলছে।এরপর আরো বাড়িয়ে কিছু বলবে।তাড়াতাড়ি পালাতে পারলেই বাঁচে সে।তারেক বলে,”আমাকে যেতে হবে।আমি আসি।”
“আরে শোনো।আসল কথাটাই হলো না।তোমার প্রিয় রং কি?”
“কেন?”
“এরপর আসার আগে যখন আমাকে ম্যাসেজ দিয়ে জানাবে আমি তখন ওই রংয়ের জামা পড়ব।”
তারেক ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে।মিলি আলতো ধাক্কা দিয়ে বলে,”কি হলো বল?”
তারেক এবার একটু ঝাড়ি মেরেই বলে,”করলার রং।”
বলেই গাড়িতে ওঠে আর গাড়ি দ্রুত চালায়।মানে পালায়।মিলি কিছু বুঝলো না।পরে মাথা চুলকে ভেবে বলল,”করলার রং তো সবুজ।তারমানে এই ব্ল্যাক ডায়মন্ড সবুজ রং পছন্দ করে!উত্তরটাও কি না সোজা না দিয়ে বেকিয়ে দিলো?”
মায়া তারেককে এতক্ষণ পর্যবেক্ষণ করছিলো।কোন ভাবনায় মশগুল বুঝতে পারল না।তাই বলে,”কি ভাবছো তুমি?”
“কিছু না ম্যাম।আমি বাসায় যেয়ে কিছু খেয়ে নিবো।”
“এখন বাসায় গিয়ে রান্না করে তো ওই খিচুড়ি।তাও ডালে চালে বসিয়ে দিয়ে।দুপুরের দিকে পায়েশ ছাড়া কিছুই খাওনি।আমিও ব্যাস্ত ছিলাম তাই তোমাকেও ব্যাস্ত থাকতে হয়েছে।তোমার তো আলসারের সমস্যা বাড়ছে।এগুলো ঠিক না তারেক।গ্রামে তোমার মা বাবা আছে।তাদের দিকে তাকিয়ে হলেও তোমাকে নিজের যত্ন নিবে হবে।আজকের রাতটা এখান থেকে খেয়ে যাও।”
মায়া প্রায়ই তারেকের জন্য নিজের ফ্ল্যাটে থাকতে রান্না করতে বলতো মেইডকে।কারণ তারেক মায়ার জন্য সর্বস্ব করে।বডিগার্ড হিসেবে মায়ার জন্য তারেক বিশ্বাসযোগ্য।তাকে আবার মাঝে মাঝে যেতে হয় হাসপাতালে।কারণ খাওয়ার অতিরিক্ত অবহেলার জন্য তারেকের গ্যাস হয় যা পরে আলসারের সমস্যা হয়েছে।এদিকে বেতন যা তার তিন ভাগের এক ভাগ তারেক গ্রামে পাঠিয়ে দেয় আর বেশিরভাগ টাকা ব্যাংকে রাখে।একটা ভালো বাড়ি বানিয়ে অন্তত বাবা মা নিয়ে থাকতে পারবে সে।এভাবে পরিশ্রম করতে করতে শরীরের রোগ বাড়িয়ে দেওয়াটা বীর আর মায়ার নজর এড়ায়নি।তারেকের মা বাবা মায়া আর মৌকে বড় অনেক করতে অবদান রাখে।কারণ বীর বোনের স্থান দিয়ে নিজের বাড়িতে রাখলেও তাকে তার ক্যারিয়ার নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হতো।বিশেষ করে লন্ডনে পড়াশোনার জন্য।মায়া আর মৌয়ের যত্ন তারাই নিতো।এক সময় তারেকের মাকেই মায়া আর মৌ হাসি মা বলে ডাকে।সেই হাসি মায়ের ছেলেকে তো সেও একটু যত্ন নিবে।এটাই মায়ার মানবতা।মায়ার অর্ডার পেয়ে তারেক না করতে পারল না।চলে গেলো মায়ার পিছন পিছন।মনে মনে বলছে,”ভিতরে ঢুকবো আর সাথে সাথেই দেখা মিলবে সেই নাইজেরিয়ান নাচঙ্গি মেয়েটার সাথে।ওই মেয়ে যেনো আলাদিনের ওই চেরাগের দৈত্য।আর কারো সাথে দেখা না হলেও ওর সাথে দেখা হবেই।”
রাজ মুখে হাত দিয়ে সদর দরজার দিকে তাকিয়ে আছে।মাহমুদ সরদার সূক্ষ্ম দৃষ্টি দিয়ে বলেন,”এভাবে কি দেখছো দরজার দিকে?”
“আমার বউটার গাড়ির শব্দ বাড়ির ভিতরে এসেছে হলো দশ মিনিট হয়ে গেলো।এখনও বউয়ের দেখা মিলল না কেন?”
“হেঁটে হেঁটে আসছে।প্লেনে করে না।সময় লাগবে তো।”
“হেঁটে হেঁটে তো আমিও আসি বাবা।এত সময় তো লাগেনা।কিছু হলো না তো আবার?”
“তোমার বউয়ের কিছু হবে বলে মনে করো তুমি?”
“আমি তো বলিনি আমার বউয়ের কিছু হলো কি না।আমি বলতে চাইছি এই সরদার মহলে আবার কারো কিছু হলো কি না?আমার যে বউ!বলা যায়না কার পেটে কখন ছুরি চালিয়ে দেয়।কিছু হলেই তো মিডিয়া এসে শুরু করে দিবে আমার সামনেই লাইট ক্যামেরা নিয়ে।অপরাধ করবে বউ আসামি হয়ে যাবে স্বামী।”
মায়া আর তারেক ভিতরে ঢুকলো।তারেক ভিতরে আসতেই চোখাচোখি হয় রাজের সাথে।রাজ প্রশ্নবোধক চাহনি দিলো।তারেক শান্তনার ভঙ্গিতে তাকালো।সিয়া আর হিয়া মিষ্টি হাসি দিয়ে মায়ার কাছে এসে বলে,”আমরা দুই বোন আজ পিঠা বানিয়েছি।তুমি এত দেরি করলে কেন?”
মায়া দুই বোনের গালে হাত বুলিয়ে আদর করে বলে,”কাজ ছিল একটু বেশি তাই।”
মায়ার এখন মৌয়ের কথা মনে পড়ছে।বোনের সাথে সারাদিনে কথা হয়নি।চোখটাও কেঁপে উঠল।কিন্তু নিজেকে সামলে নিয়েছে।মোহন সরদার তিরস্কার করেই বলে,”নিজের স্বামীর নামে মামলা করাটা তার কাছে সবথেকে বেশি ইম্পর্ট্যান্ট কাজ।”
মায়া তাকালো সেদিকে।মুচকি হেসে বলে,”আমার স্বামীর নামে মামলা করেছি বলে আপনি যে কথাগুলো শুনিয়ে দিলেন আপনার বউ যদি আপনার নামে মামলা করতো তাকে কি করতেন?”
মোহন সরদার এবার মাহমুদ সরদারের দিকে তাকিয়ে বলে,”তোমার বউমা কি কোনো শিক্ষদিক্ষা পায়নি?বড়দের সাথে কিভাবে কথা বলতে হয় জানে না।”
“আমার বউমার কথা পরে আগে তো আমার গোড়াটাকে দেখো।মানে আমার সুপুত্র।সেও বা কবে বড়দের সাথে মেপে মেপে কথা বলে?”
“ব্যাটা রুদ্র আমাদের বাসায় এবার কয়েকটা দাড়ি পাল্লা আনবে তো।”
“কেন ব্রো?”
“বড়দের সাথে মেপে মেপে কথা বলার সময় এসেছে তো।যদি ওজনে ভুল হয় তাই আমার বাবা কাকাকে একপাশে বসিয়ে আরেকপাশে পাল্লা দিয়ে কথা বলব।”
উপস্থিত সবাই হেসে দিল।কিন্তু হাসলো না দুজনে।মাহমুদ সরদার আর মোহন সরদার।মায়া নিজেও নিজের রাগী ভাবটা আটকে রাখতে পারল না।মিটমিট ঠোঁট আটকে হেসে দিলো।মিলি হাসির শব্দ পেয়ে বাইরে এসে দেখলো তারেক আছে সেখানে।তাড়াতাড়ি ঘরের ভিতরে ঢুকে সবুজ রংয়ের সালোয়ার কামিজ পরে নিলো।নিচে আসতেই সেখানে আসলো সোনালী আর মালিনী।মিলিকে এভাবে পুরো সবুজ রংয়ের পোশাকে দেখে সোনালী প্রথমে নিজের মেয়েকে পেত্নী ভেবেছিলো।কেটকেটে সবুজ রংয়ের জামা যার তিনটা তিন ড্রেসের সাথে ম্যাচ করে কেনা।সোনালী মুখটা বেকিয়ে বলে,”এটা তো তোর কলেজে স্বাধীনতা দিবসের দিন পরার জন্য কিনেছিলি।এখন পরলি কেন?তাও আবার সালোয়ার এক তো ওড়না আরেক।”
“এছাড়া করলা না মানে সবুজ রংয়ের কোনো পোশাক তাও ম্যাচ করে আমার নেই তাই।যেটা আছে ওটা আবার শর্ট।”
বলেই তারেকের দিকে হাসি দিয়ে তাকালো।মায়ার চোখ এড়ালোনা মিলির এই চাহনি।তারেক এবার বিড়বিড় করে বলে,”বড়লোক বাড়ির অখাদ্য রুচি।”
সোনালী আর মালিনী একে অপরের দিকে তাকিয়ে মায়ার কাছে আসে।সিয়া আর হিয়াকে এক প্রকার ঠেলে পিছনে সরিয়ে দিলো।মায়ার কাছে এসে মালিনী বলে,”তুমি এসেছো।আমি তোমারই অপেক্ষা করছিলাম।”
মায়া সহ সবাই যেনো অবাক।রুদ্র তো পা দুটো উঠিয়ে সোফার পিছন দিকে ঘুরে বসে বলে,”এবার একটু লাইভ ড্রামা দেখতে সুবিধা হবে।”
সিয়া আর হিয়া একে অপরের দিকে চেয়ে আবারও মা কাকিদের দিকে চাইলো।মালিনী ওর হাতের বালা খুলে বলে,”এটা আমার বাবা মানে রাজের নানা গড়ে দিয়েছিলো আমাকে।আমার বউমার জন্য এটা রেখেছিলাম।শখ ছিল একটা ছেলে হবে।হয়েছিলো ছেলে আমার।কিন্তু জন্ম দেওয়ার পর পরই সে হারিয়ে গেলো।কোথায় আছে জানি না।অনেক খুঁজেছি আমরা।তাকে তো আর পেলাম না বউমা আর কই বা পাই?তাই আমার এই বালার অধিকার এখন তোমার।এটা তুমিই নেও।”
হাত থেকে বালাটা খুলে যেই মায়ার হাতে দিতে যাবে মায়া বাধা দিয়ে বলে,”এটা আমার কাছে উপহার হিসেবে রেখে দিলাম।কিন্তু এটা আমি পড়তে পারব না।”
“কেন মা?”
বউয়ের মুখে আহ্লাদী সুরে বউমার জন্য মা শুনে মাহমুদ সরদারের বিষম এলো।মায়া মিষ্টি হাসি দিয়ে বলে,”পৃথিবীতে অনেক অলৌকিক ঘটনা আপনাআপনি ঘটে যায়।বলা তো যায়না আপনার সেই ছেলেটা হঠাৎ করে ফিরে আসলো।তখন এটা নিয়ে একটা খারাপ লাগা আপনার মাঝেই কাজ করবে।আমার ব্যাবহার করা বালা আপনার বউমাকে দেওয়াটা শোভা পায়না।এদিকে সে যতদিন না আসে ততদিন নাহয় এটা আমি সুরক্ষিত রাখার দায়িত্ব নেই।আমি চাইনা অন্যের স্থান দখল করতে।নিজ যোগ্যতায় যতটুকু অর্জন করতে পারি আমি তাতেই খুশি।”
মালিনী এমনিতেই একটু কষ্ট পেয়েছিল।নিজের হারিয়ে যাওয়া প্রথম সন্তানের কথা মনে পরতেই বুকটা মোচড় দিয়ে ওঠে।সোনালী পিরিচে করে পিঠা নিয়ে মায়ার সামনে ধরে বলে,”এই নেও পিঠা খাও।তোমার দুই ননদ ভালোবেসে বানিয়েছে।আমাদের বাসার ছেলে মেয়েরা খুব মিশুক।ওরা সবাইকে ভালোবাসা দিতে জানে।আর একটু ভালোবাসা পেলেই খুশি।”
মায়া সোনালীর চোখের দিকে তাকিয়ে কিছু বোঝার চেষ্টা করছে।এই ভালো ব্যবহারের কারণ কি মাথায় আসছে না।খোঁজ নিতে হবে তাকে।বলা তো যায়না কোন প্ল্যান আটছে মনে মনে।রুদ্র গুটিগুটি চোখ করে তিনজনকে দেখে যাচ্ছে।এই তিন নারীর তিন রূপ খুব ভালো করেই জানে।শুধু প্যাচ না বাদিয়ে দেয় এরা এটাই ভাবছে।এদিকে সোনালী আর মালিনী তো মোহনার পথের কাটা হিসেবে মায়াকে ব্যবহার করার জন্য এতটা ভালোবাসতে শুরু করেছে।সবই লোক দেখানো তাদের।রাজ মাহমুদ সরদারের কাছে এসে বলে,”কাহিনী কি বাবা?”
মাহমুদ সরদার রাজের দিকে ফিরলে রাজ আবারও বলে,”তোমাদের দুই ভাইয়ের দুই নাম্বার বউগুলো আমার এক নম্বর বউয়ের সাথে চিপকে নাগিন ড্যান্স দিচ্ছে কেন?”
“বাবার দুই নম্বর বউ না বলে কি মা বলতে পারো না?”
“মন থেকে না আসলে বলব কেন?”
মাহমুদ সরদার দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন।রাজ আবারও বলে,”তোমাকে আমি সোজাসাপ্টা বলে দিচ্ছি বাবা।তোমার এই দুই নম্বর বউ কিন্তু সুবিধার না।তার জন্য আমার বউয়ের কিছু হলে তোমার বউয়ের অস্তিত্ব কিন্তু এই বাড়িতে রাখব না।”
“আমাকে ধমকাচ্ছো তুমি?তাহলে শুনে রাখো এইসবে ভয় পাইনা আমি।”
“বউ হারানোর ভয় সবারই থাকে বাবা।তোমার এই বয়সে দুই নম্বর বউটা চলে গেলে তুমি যে দেবদাস হয়ে যাবে সেই দুঃখ আমি তোমার মাঝেও দেখতে পাচ্ছি।”
“আমার ওই দুই নম্বর বউ তোমার খালামণি হয়।অন্তত খালামণি বলে তো ডাকতে পারো।”
“খালামণি ডাকটাও আমার ডাকতে ইচ্ছা করেনা।খালামণি যদি এমন ক্ষণে দজ্জাল হয় তাহলে তাকে ভালোবাসা সহজ নয়।”
মায়াবতীর ইচ্ছা সিজন ২ পর্ব ১৩
মাহমুদ সরদার কিছুই বলতে পারলেন না। মালিনীকে বিয়ে করেছিলেন রাজকে মাতৃত্বের স্বাদ দেওয়ার জন্যে।কিন্তু এগুলো তো রাজ পায়নি বরং পেয়েছিল অবহেলা।অল্প বয়সে দাদা মারা যাওয়ার পর ভালোবাসা পেয়েছিল শুধু শাহানা পারভিন আর ছোট্ট মায়ার থেকে ভালোবাসা।তাদেরকেই এখন সে ভালোবাসে।রাজ তো তার সন্দেহের তালিকায় মালিনীকে আগে রাখে।কিন্তু প্রমাণ আর নিজেদের গোপন কার্য হাসিল করার জন্যেই রাজ এখনও চুপ আছে
