মায়াবতীর ইচ্ছা সিজন ২ পর্ব ১৬

মায়াবতীর ইচ্ছা সিজন ২ পর্ব ১৬
ইশরাত জাহান

গভীর রাতে হিয়া ব্যালকনিতে বসে আছে।সিয়া ওর মত ফ্রেশিয়াল করতে ব্যাস্ত।আদ্র আসবে বলে রাত জেগে রূপচর্চা।কিছুদিন পরেই তাদের এঙ্গেজমেন্ট হবে।এখন হবু বরের সামনে তাকে আরো সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলতে চায়।হিয়ার চোখটা সোজা একটি ঘরের দিকে।ঘরটিতে এখনও আলো জ্বলছে।দূরের ওই বাড়িটির প্রিয় ব্যাক্তির ঘরে এখনও আলো জ্বালানো দেখে একটুও অবাক হয়নি হিয়া।প্রায়ই এমন দেখে সে।প্রায় প্রায় দিন তো এমনও হয় ওই ঘরের ব্যাক্তিটি ব্যালকনিতে এসে তাকে চোখ টিপ দিয়ে তার দিকেই তাকিয়ে থাকে।হিয়া ভাবছে ,”আজকেও কি আসবে রুদ্র ভাই?”

হিয়ার ভাবনার মাঝে বাইকের হর্ন বেজে উঠল।ভ্রু কুঁচকে মেইন গেটের দিকে তাকাতেই দেখতে পেলো একটি বাইক এসেছে।বাইকের ব্যক্তিটি মাথা থেকে হেলমেট খুলতেই শর্ট চুলগুলো দেখা দিলো।খুব বেশি শর্ট না ওই পিঠে এলিয়ে আছে।মেয়েটির শরীরেও একটি শর্ট ড্রেস।গাঢ় লাল যেটা চিকচিক করছে।হয়তো এখন ক্লাবে যাবে বা ওখান থেকেই এসেছে।মেয়েটি আবারও হর্ন দিতে থাকে।অতঃপর সেখানে আসে হিয়ার ভালোবাসার ব্যক্তিটি।যার শরীরে কালো রঙের জ্যাকেট আর নিচে স্টাইলিশ জিন্স।কপালে বাধা আছে সাদা কালো রংয়ের মিশ্রণে রুমাল।হাতে একটি গিটার।রুদ্র এসেই জেসির সাথে হাইফাইভ করে।অতঃপর জেসির পিছনে বসলো।দুজনের মুখেই হাসি।হিয়ার অন্তর জ্বলতে শুরু করল।জেসি তার গায়ের শক্তি দিয়ে বাইক চালিয়ে নিয়ে গেলো।চোখের বাইরে চলে গেলো ওরা দুজনে।ওরা দুজনে যেতেই হিয়া জোরেই চেঁচিয়ে বলে,”ঘৃণা করি আমি আপনাকে।আপনি আসলেই নষ্ট পুরুষ।বাজে লোক।আপনার মত নষ্ট পুরুষকে আমি ঘৃণা করি।আপনি আমার ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্যতা রাখেন না।তবুও আমার বেহায়া মন মানছে না।”

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

বারবার চোখ মুছতে থাকে হিয়া।সে তো চায় দূরে থাকতে রুদ্রের থেকে।এই যে রুদ্র যখনই তার আশেপাশে আসে তখনই শুনিয়ে দেয় কতগুলো তিক্ত কথা।মাঝে মাঝে তো না চাইতেও রুদ্রকে বুঝিয়ে দেয় যে সে মারা গেলেও হিয়া কষ্ট পাবে না।তবুও আড়ালে আবডালে ঠিকই হিয়ার মনটা জ্বলে উঠে।হিয়ার কান্নার গতি বেড়ে গেলো।কর্ণপাত হলো সিয়ার।সিয়া চোখ থেকে শসা সরিয়ে হিয়ার কাছে ছুটে আসে।হিয়াকে বলে,”এই বোন কি হলো তোর?কান্না করছিস কেন?”

“কিছু না।সর তুই।আমাকে একা থাকতে দে।”
“তোর কোথাও কষ্ট হচ্ছে?আমাকে বল তুই।কে কষ্ট দিয়েছে তোকে?একবার নামটা বল।ভাইকে বলে ওকে কবরে পাঠিয়ে দিবো।”
হিয়ার মেজাজটা আরো খারাপ হয়ে গেলো।রুদ্রকে কি না কবরে পাঠিয়ে দিবে।সিয়ার হাতটা ঝাটকা মেরে সরিয়ে বলে,”হ্যাঁ তাই কর।তুই তাকে কবরে পাঠা আর তার ভাই তোকে উগান্ডায় পাঠাবে।”
“তারও ভাই আছে?আমাকে কেন উগান্ডায় পাঠাবে?”
“তুই বুঝবি না।”
“তুই কার কথা বলছিস?”
“তোকে বলব কেন?কর না তোর হবু বরের জন্য রূপচর্চা।”
“কান্না করছিস কেন এটা তো বল?”

“এমনি একটা উপন্যাসের কথা মনে পড়লো।ওখানে যে নায়ক সে একটা নষ্ট পুরুষ।তাকে কেউ ভালোবাসতো।শুধু ওই ভালোবাসাটাই মেয়েটার জীবনটা বিষিয়ে দিলো।”
সিয়া হিয়ার চোখটা মুছে দিলো।বলে,”ভালো ভালো উপন্যাস পিডিএফ দেখে কিনতে পারিস না?এসব বই পড়ে তোর মনটা খারাপ করার দরকার কি?”
“তুই কি বুঝবি হৃদয়হরণ উপন্যাসের মাঝের অনুভূতিগুলো?তোর তো যেটা চাই সেটাই পাচ্ছিস।”
“কারণ আমি যার প্রতি ভালোবাসা অনুভব করি সেও আমাকেই ভালোবাসে।সে একটু গম্ভীর কিন্তু আমাকে অনেক বেশি ভালোবাসে।আমি তার সাথেই সুখে থাকতে পারব।”

“ভালোবাসা ভালো কিন্তু এতটাও না যেখানে বিশ্বাসের পরিমাণ অন্ধের মত হয়।দেখা গেলো এই বিশ্বাস একদিন ভেঙ্গে যাবে।”
“একদম তোর ওই উপন্যাসের বইয়ের ভুলভাল ধারণা দিবি না।আমার জীবনটা সোজাসাপ্টা।আমি যে গুরুগম্ভীর ব্যক্তিকে মন দিয়েছি সে আমি ব্যতীত অন্য কাউকে চাইবেই না।”
“এতটা বিশ্বাস তোর?”
“নিজের থেকেও বেশি বিশ্বাস করি আমি তাকে।”
“এটাই আমাদের বড় ভুল।”
“দেখিস তুই।আমি কোনো ভুল করিনি।”
“দেখা যাক।”

বলেই দুই বোন ভিতরে চলে আসে।ক্লাবের সামনে এসে বাইক থামালো জেসি।রুদ্র বাইক থেকে নেমেই নিজের জ্যাকেট ঠিক করে নিলো জেসি লিপস্টিক ঠিক করলো।অতঃপর রুদ্র জিজ্ঞাসা করে,”মেয়েগুলোকে কোন রুমে নেওয়া হয়েছে এটা আগে জানতে হবে।তারপর একশন নিব মিস জেসি।”
“ইয়েস স্যার।আমাদের ফুল টিম এখানে আছে।ওরা একেকটা ইনফরমেশন দিচ্ছে আমাদেরকে।”
“গুড।”
“একটা কথা জিজ্ঞাসা করি স্যার?”
“হুম?”

“আপনার শখের নারীটি আপনাকে দেখছিল।শুধু দেখছিল না তার মনটাও জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়েছে।এটা দূর থেকেও স্পষ্ট।তাহলে তাকে কেন সত্যিটা জানাচ্ছেন না?”
“আমার শখের নারী আমাকে কতটা আঘাত করে জানো?এতটাই যে সে মাঝেমধ্যে আমার মৃত্যু কামনা আমার সামনেই প্রকাশ্যে করে।এদিকে আমি তার সামনে অন্য নারীর সাথে মিশলেই সে জ্বলেপুড়ে ছারখার হয়ে যায়।কি অদ্ভুদ প্রেম আমাদের!”
“আপনি তাকে কবে জানাবেন যে আপনি তার নষ্ট পুরুষ নন।আমি আসলে আপনার অ্যাসিসট্যান্ট।আর ওই দিনের মেয়েটা ছিলো আরেকটা ক্রিমিনাল।”

“এখন সে জেনে যাওয়া মানেই আমাদের মাঝের একটা মধুর সম্পর্ক গড়ে ওঠা। হিয়াপাখির চোখে আমার জন্য যে তীব্র ঘৃণা ওটা পরবর্তীতে প্রকাশ পাবে না।যদি সত্যিটা প্রকাশ পায় তাহলে আমার প্রফেশন আমার বাবা ভাই আর ব্রো ছাড়াও অন্যদের মাঝে জানাজানি হয়ে যাবে।আর তখন না আমি আমার মায়ের মৃত্যুর তদন্ত করতে পারব না ব্রো ওই ফর্মুলা পাবে।আমাদের সব প্ল্যান ভেস্তে।ইনফ্যাক্ট হিয়াপাখি ও মায়া এরা সবাই বিপদে পড়বে।বর্তমানে আমাদেরকে ফর্মুলা খুঁজে বের করতে হবে।এরপর একটা অপারেশন।তারপর পর্দা ফাস।ততদিন জ্বলতে থাকুক আমার হিয়াপাখি।আমিও দেখি তার এই ভালোবাসা কতটা আড়ালে রাখতে পারে।”

জেসির কল আসলো।রিসিভ করে কিছু কথা বলে রুদ্রকে জানালো,”মেয়েগুলোকে যে রুমে আটকে রাখা হয়েছে ঐ রুমের সন্ধান পেয়েছি।চলুন।”
রুদ্র আর জেসি চলে গেলো সেখানে।বার ড্যান্সার হিসেবে কিছু মেয়েকে জোর করে আনা হয়েছে নেশাদ্রব্য দিয়ে।এদের দিয়ে আড়ালে দেহ ব্যবসা করাতে চায় কোনো একদল।যাদের ধরাটা আসল উদ্দেশ্য রুদ্রের পুরো টিমের।তাই তো এত রাতে ওরা এসেছে এখানে।

সকালে,
রাজ ঘুমিয়ে আছে মায়ার গলায় মুখ রেখেই।মায়ার চুলের ঘ্রাণ শুকছে যেনো।মায়ার ওপর পাশের হাতটা নিজের হাত দিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে আছে রাজ।মায়ার ঘুম ভেঙেছে মিনিট দশ কি বিশ হবে।এতক্ষণ সে রাজকে খুঁটে খুঁটে দেখছিল।এর মধ্যেই রাজের ফোনটা বেজে উঠল।প্রথমবার রিং হতেই মায়া রাজকে বলে,”আপনার কল এসেছে।”
রাজ পাত্তা দিলো না বরং মায়াকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে নিলো।মায়া ভাবছে তার কাছে বন্দুক থাকলে এখনই গুলি করে দিতো।এই লোক নাকি আবার তাকে জড়িয়ে আছে।মায়া পাশের ছোট্ট টেবিলে দেখলো টেবিল ল্যাম্পের পাশেই ফলের ঝুড়ি।ওখানে ছোট ছুরি আছে।মায়া ওটা হাত দিয়ে নিতে চায় কিন্তু পারেনা।সারারাত রাজ তার হাতটা শক্ত করে জড়িয়ে ঘুমিয়ে ছিল।এখনও তাই আছে।আবারও রাজের কল আসে।রাজ এবার নিজেই চোখটা পিটপিট করে খোলে।মায়ার গলার কাছে নাকটা ডলছে।মায়া চোখটা বন্ধ করে নেয়।রাজের গরম নিশ্বাস তার মাঝে অন্যরকম অনুভূতি নিয়ে আসে।নিজের উদ্দেশ্য সফল তো হবেই না উল্টো অঘটন বাদিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা ঘটছে এখন।রাজ চোখটা খুলে ফোন রিসিভ করল।প্রথমেই ঝাঁঝালো কণ্ঠে বলে,”ফোনটা কি এভাবে রাত দিন চব্বিশ ঘণ্টা তোমার পিছনে সময় দেওয়ার জন্য কিনেছি?”

পিয়াশ পাত্তা না দিয়ে বলে,”আজকে সমাবেশ আছে স্যার।”
“তুমি আছো আমার কোন বাল ছিঁড়তে?”
মায়া চোখ বড়বড় করল।রাজ ওর দিকে তাকিয়ে জিহ্বা কামড় দিলো।পিয়াশ বলে,”কৃষি বিষয়ে আপনাকেই তো স্ক্রীপ্ট দেওয়া।আপনাকে তো ওগুলো এনাউন্স করতে হবে।আফটার অল আপনি হলেন কৃষিমন্ত্রী।”
“কৃষিমন্ত্রী আমি।কৃষক না যে এত সকালে বউ রেখে মাঠে নামবো।”
পিয়াশ মনেমনে বলে,”বউ না ওটা আজরাইল।তবে খুন না করে এখনও বাঁচিয়ে রাখলো কেন বুঝতেছি না।ব্যাটা লুচ্চা মন্ত্রীর তো মাঠে না গিয়ে সোজা কবরে যাওয়ার কথা।”
এবার জোরে বলে,”আসলে স্যার আমরা জনগণ তো আপনাদের আদেশেই চলি।আপনারা মন্ত্রীরা জনগণের উপর যা চাপিয়ে দিবেন আমরা তাই মানব।এইজন্য ওরা আপনাকে একটু কষ্ট দিতে বউয়ের আচলের নিচ থেকে উঠিয়ে আনতে চাইছে।”

“তুমি কি আমাকে অপমান করলে পিয়ু বেবী?”
“না তো।আপনি আপনার একটা পারফেক্ট সময় জানিয়ে দিন।যখন আপনার বউয়ের থেকে একটু আলাদা হয়ে আমাদের সাথে সাক্ষাৎ দিবেন।নাহলে জনগণ তো না খেয়ে মরবে।”
রাজ হামি তুলে মায়ার কপাল চেক করল।কপালটা এখনও গরম।রাজ বলে ওঠে,”আমার বউয়ের জ্বর এসেছে।আমি আজ কোনো সমাবেশে যাবো না।”
ওপাশ থেকে পিয়াশ কিছু বলার আগে মায়া বলে,”এভাবে আপনি জনগণের সেবা থেকে এড়িয়ে যেতে পারেন না।”
“জনগণের সেবা তো অনেক করলাম।বেনিফিট কিছুই পেলাম না।এবার একটু বউকে সেবা করি।নাহলে আমার বংশ বৃদ্ধি হবে কি করে?”

“শাট আপ এন্ড গো।”
“পিয়ু বেবী আমি আসছি।আমাকে এক্সাক্ট সময়টা জানিয়ে দিও।”
“ওকে স্যার।”
“আর একটা কথা।”
“জি স্যার?”
“এই মোবাইল কোম্পানির মালিক কে একটু খোজ নিও।”
“কেন স্যার?”

“তার বউয়ের নাম্বার জোগাড় করে তার সংসারে আগুন লাগিয়ে দিবো তাই।ব্যাটা ফাউল তখন বুঝবে এই ফোনের জ্বালায় সকালবেলা কত পুরুষের অন্তরে জ্বালা ওঠে।”
পিয়াশ মুচকি হাসলো।যেটা বুঝতে অসুবিধা হলো না রাজের।সে তো তার অ্যাসিসট্যান্টকে খুব ভালো করেই চেনে।রাজ জোরে বলে ওঠে,”একদম হাসবে না বলে দিলাম।ভুলে যেও না বিয়ে কিন্তু তোমারও একদিন হবে।পারবে তো বউ রেখে সকালবেলা ফোনের পিছনে সময় দিতে?”
“আপনার জ্বালায় আমি এগুলো সহ্য করতে প্রস্তুত স্যার।”
বলেই কলটা কেটে দিলো।জানে রাজ আরো কিছু বলবে।রাজ এই কল কেটে দেওয়ায় কিছুই মনে করল না।বরং হাসলো ঠোঁট কামড়ে।মায়ার চোখমুখ কালো হয়ে আছে।রাজ দেখে বলে,”রাতে ঘুম ভালো হয়নি তাই না?”
মায়া উত্তর দেয়না।রাজ বলে,”আজকে অফিসে যাবে না তুমি।”

“কেন?”
“তোমার জ্বর তাই।আমি সমাবেশ থেকে বাড়িতেই আসব।”
মায়া এখনও কিছু বলল না।রাজ মায়ার মুখটা আলতো করে ধরে বলে,”ওই ফল কাটা ছুরিটা দিয়ে মানুষ খুন করা যায়না মায়াবতী।”

মায়ার চোখটা বড়বড় হয়ে গেলো।এই লোক বুঝলো কি করে?রাজ আলতো হেসে মায়ার কপালে চুম্বন এঁকে দিলো।মায়ার শরীর গরম।চোখটার দিকে তো তাকানোই যায়না। জ্বর আসার কারণে ফর্সা মুখের চোখ দুটো কালো কালো হয়ে আছে।ঠোঁটটা হালকা কাপছে।রাজ ওর ঠোঁট দিয়ে মায়ার ঠোঁট ছুঁয়ে দিলো।কিছুক্ষণ পর ছেড়ে দিয়ে বিছানা থেকে উঠে বলে,”তুমি কেন আমাকে এত ঘৃণা করো আমি জানিনা।শুধু বলব আমাকে একটু সময় দেও।আগে নিজেই সত্যতা জেনে নেই তারপর তোমাকে সত্যিটা জানাবো।অন্তত ততদিন একটু শান্ত হয়ে থাকো মায়াবতী।”

বলেই রাজ চলে গেলো বাথরুমে।মায়া ওদিকে তাকিয়ে আছে।রাজ কোন সত্যতার কথা বলছে বুঝলো না।রাজ নিজেই তো তাকে অপমান করেছিলো।তাহলে কি এমন হয়েছিলো?মায়াকে কি আরও ভালো করে জানতে হবে?সে তো চায় এই রাজকে দিয়ে মোহন সরদার আর সোনালী শুধু তাদের নয় মালিনীকেও কঠিন অপমান করে বাড়ি থেকে বের করে দিবে।তারপর রাজকে নিজের হাতে শাস্তি দিবে।রাজকে খুন করাটা মায়ার ইচ্ছার তালিকায় ছিল না।সে তো ছুরিটা দিয়ে শুধু রাজের হাতে আঘাত করতে চেয়েছিল।কারণ তার চোখের সামনেই ভেসে উঠেছিল ছোটবেলার দৃশ্য।কিভাবে একটা আপেল খাওয়ার জন্য তার হাত কেটে দেওয়া হয়।

কতটা ভালোবেসে শাহানা পারভিন আপেলের ঝুড়ি নিয়ে গিয়েছিল রাজের পাশে।রাজ ওই ছুরি দিয়ে শাহানা পারভিনের হাতে আঘাত করে।মায়া তো ওই কষ্টটা দিতে চেয়েছিল।এরপর ধীরে ধীরে মানসিক আঘাত করতে চায়।মায়া তো আর জানে না ওটা তাজ ছিলো।মায়া কিছু একটা ভেবে তারেককে কল করে বলে,”আজকের সমাবেশের সমস্ত আপডেট আমাকে দিবে।”

মায়াবতীর ইচ্ছা সিজন ২ পর্ব ১৫

তারেক সম্মতি দিলো।মায়া তো এটাও জানে না তারেক মায়ার সাথে রাজাকারি করছে।সে তো মায়ার থেকে ইনফর্মেশন নিয়ে রাজকে দেয়।তারেক মনে মনে বলে,”যেইদিন ম্যাডাম জানতে পারবে আমি তার জীবনে রাজাকার হয়ে এসেছি সেইদিন আমার হবে শেষদিন।”

মায়াবতীর ইচ্ছা সিজন ২ পর্ব ১৭

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here