মায়াবতীর ইচ্ছা সিজন ২ পর্ব ২৫
ইশরাত জাহান
সকাল সকাল আজকেও রাজের ফোন বাজতে শুরু করে দিলো।আজকে আর মায়া আগে চোখ খোলেনি।সে ঘুমে মশগুল।রাজ চোখ পিটপিট করে খুলে ফোনটা হাতে নিয়ে দেখলো।ফোনের দিকে তাকাতেই মনে হলো ভুল দেখছে তাই চোখটা দুইবার টিপটিপ করে আবারও তাকালো ফোনের দিকে।না,সে ঠিকই দেখছে।এই সকালবেলা তাকে পিয়াশ কল দিয়েছে।বিরক্তিতে কপাল কুঁচকে রাজ ফোন ধরে বলে,”বাসর শেষ করতে পারলে না বসকে মিস করছো নাকি?এরকম মিস তো আমি আমার মায়াবতীকেও করিনা”
“আপনার মিটিং আছে তো স্যার।”
“কয়টায়?”
“দশটায়।”
“হালারপুত।”
“কি হলো?”
“তোমার সব মিটিংয়ের মরণ কি সকালেই রাখতে হয়।বিকালে কি আমি বউ নিয়ে বৃন্দাবনে যাবো যে সাত সকালে মিটিংয়ের কথা বলে কল দিয়ে জ্বালাও?”
“আমার কি দোষ?আপনিই তো বিয়ের আগে ডেট এন্ড টাইম ফিক্সড করে রেখেছিলেন।এগুলো তো অনেক আগের সিডিউল।”
“আমার হয়েছে যত জ্বালা।বউ যখন কাছে ছিল না তখন ব্যাস্ত থাকতে সিডিউল ছিলো না।এখন বউ আছে সিডিউলগুলোও আছে।”
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
“বলছিলাম মিটিং কি তাহলে পিছিয়ে দিবো?”
রাজ দুষ্টু হেসে বলে,”বউকে ছেড়ে উঠতে ইচ্ছা করছে না বুঝি পিয়ু বেবী?”
“আমি আপনার জন্যেই এই কথাটা বলেছি বস।”
“বসের দোহায় দিয়ে যে তুমি নিজের বউ নিয়ে প্রেমবিলাসে মশগুল থাকবে এটা আমি বুঝি পিয়ু বেবী।”
পিয়াশ চুপ করে আছে।রাজ বলে ওঠে,”এবার থেকে মিটিংয়ের সময় বিকালে রাখবে।আমার তো মন্ত্রী হয়ে জনগণের সেবার পাশে স্বামী হয়ে বউয়ের সেবাটাও করতে হবে।”
“ওকে বস, বাই।”
কল কেটে দিলো পিয়াশ।রাজ এবার মায়ার মুখের দিকে তাকালো।মায়া এখনও ঘুমে।রাজ মায়ার গালটা দুইপাশ থেকে টেনে বলে,”আমার গুলুমুলু, টুলুমুলু,কুটুকুটু বউ।”
মায়া ঘুমের মাঝে চোয়ালে ব্যাথা অনুভব করে চোখ খুলে তাকালো।রাজ তার গালদুটো নিয়ে টানাটানি করছে।মায়া বিরক্ত হয়ে বলে,”হচ্ছেটা কি?”
“বউকে আদর করছি।”
“এটাকে আদর বলে?”
“না,এটাকে আদরের সূচনা বলে।আসো বউ একটু আদর দেই।”
“দূরে সরুন আপনি।আপনার এই আদর আমার দরকার নেই।”
“আমার এখন আমার বউকে আদর করতে ইচ্ছা করছে।”
বলেই আবারও নাক দিয়ে মায়ার গালে রাজ নাক ঘষতে শুরু করে আর ছোট ছোট চুমু দিয়ে বলে,”আমার লাড্ডু গুড্ডু বউ।”
“এগুলো কিসব নাম মন্ত্রী মশাই?”
“মায়াবতী নাম তো পছন্দ না তাই এগুলো বলে ডাকছি।”
“এগুলো ডাকবেন না কেমন যেনো শুনতে লাগে।”
“আচ্ছা ঠিক আছে আমার মায়াবতীটাই ভালো।এখন কাছে আসো মর্নিং কিস করে নেই।”
“সরুণ আপনি।ফ্রেশ হতে যাবো।”
কে শোনে কার কথা?রাজ মায়ার হাত ধরে নিজের কাছে এনে মায়ার ওষ্ঠের স্বাদ নিতে ব্যাস্ত।এদিকে মায়া বিরক্তিতে রাজকে ছাড়াতে চাইলে রাজ মায়ার উপরে উঠে কপাল কুঁচকে বরাবরের মতই বলে,”দুষ্টুমি করবে না মায়াবতী।তোমার স্বামীর আদর দিতে সমস্যা হয়।”
মায়া রাজের দিকে তাকিয়ে মুখটা ভেংচিয়ে বলে,”আপনার সবসময় আমাকে আদর দেওয়ার শখটাই থাকে।”
“বউ আমার তাকে আদর দেওয়ার শখ তো আমারই থাকবে।এখন আর কথা বলো না।একটু মনভরে আদর করতে দেও মায়াবতী।”
বলেই কম্বলটা দিয়ে নিজেদের ঢেকে রাখল রাজ।
বাথরুম থেকে মাত্র বের হলো মৌ।মাথায় টাওয়াল প্যাঁচানো।ঘরে এসেই আয়নার সামনে দাড়িয়ে কিছু ক্রিম মুখে মাখে।এটা দেখতে থাকে পিয়াশ।মৌকে কিছুক্ষণ দেখে বলে,”আপনার কি কি জিনিস লাগে এগুলোর লিস্ট করে দিবেন।আমি আজকেই কিনে দিব।”
মৌ পিছনে ফিরে পিয়াশের কাছে এসে বলে,”কালকেই না ঠিক করলাম আমরা একে অপরকে তুমি করে বলব।এখন তাহলে আপনি আপনি করছ কেন?”
“আমি এভাবে কোনো নারীর সাথে কাছাকাছি হয়ে কথা বলিনি আজ অব্দি।”
“এমনভাবে বলছো যেন আমি অনেক বলেছি?”
“এটা আমি জানি না কিন্ত আমি অভ্যস্থ নই।”
“আমিও নই কিন্তু আমার ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেক কিছু ভেবে রাখা আছে।”
“কি কি ভেবেছেন সরি ভেবেছো?”
মৌ এবার পিয়াশের কোলে বসে বলে,”আমি ভেবে রেখেছি কিভাবে আমি আর আমার স্বামী মিলে এই পৃথিবীতে হাসিখুশি পরিবার হয়ে থাকব।আমি ভেবে রেখেছি কিভাবে দুষ্টু মিষ্টি মুহূর্ত আমরা কাটাবো।আমি তো এটাও ভেবে রেখেছি আমার বাচ্চা কাচ্চা হলে তাদের কিভাবে আদর করব।”
“এতকিছু ভেবে রেখেছিলে?”
“হ্যাঁ।”
“তাহলে তো আমাকে কোনকিছুই ভাবতে হবে না।তুমি যা ভেবেছো তাই করে চলব।”
“আচ্ছা?”
“হুম।”
“তাহলে এখন আমাকে আমার উপহার দিয়ে দেও।”
“আমার সমস্ত টাকা তো ব্যাংকে আছে।ওটা তো উঠাতে পারিনি।আজকেই উঠিয়ে তোমার কাবিন পরিশোধ করে দিব।”
“আরে আমি তো ওটা রাতেই মাফ করে দিয়েছি।এখন ওটা ছাড়া বউদের সকালের উপহারটা দেও।”
“বউদের আবার সকালের কোনো উপহার থাকে নাকি?”
“এ মা!তুমি কিছুই জানো না?”
“না।”
“ইংলিশ সিনেমা দেখো না?”
“না।”
“এই জন্যই জানো না।শোনো আমার কথা।স্বামীদের কাজ হলো প্রতিদিন সকালে নাস্তা করার আগে বউদের থেকে চুমু খেয়ে নেওয়া। এতে করে মনও ভালো থাকে সাথে এনার্জি পাওয়া যায়।”
“তোমাকে এগুলো কে বলেছে?”
“ইংলিশ মুভির ডিরেক্টর।সরাসরি বলেনি তার সিনেমা দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে।”
“এটা তো বাংলিশ জীবন।তুমি ইংলিশদের নিয়ে সংসার করার প্ল্যান করছ কেন?”
“ধুর!বাঙালিরা তো শুধু দেখি সিনেমায় সকালে উঠে শাশুড়ি বউমা যুদ্ধ করে।ওটা কোনো সংসার হলো নাকি?আমি তো ইংলিশ মুভির মত সকাল বেলা উঠে বরের থেকে চুমু খেতে থাকব।”
“চুমু খায়?”
“হ্যাঁ খায়।এখন তুমি আমাকে এই উপহার দিয়ে দেও।”
“আমি পারব না।”
“একি!সারারাত বাসর করার পর এখন তুমি সকালে উঠে বউকে চুমু দিতে পারবে না?”
“বাসর তো অন্ধকারে করেছিলাম।তাও তুমি যেভাবে করলে তাতে আমি সাড়া দিতে গিয়ে আপনাআপনি হয়েগেছে।এখন তো পুরো ঘর জুড়ে বাইরের সূর্যের আলোতে আলো।”
“বুঝেছি আমি।”
“কি?”
“তুমি আমাকে উপহার দিবে না।এটা আমাকেই আদায় করতে হবে।নাহলে এই নাদান জামাই আমার ভবিষ্যৎ নিয়ে আগাবে না।”
পিয়াশ আরো কিছু বলতে যাবে তার আগে মৌ তার উপহার আদায় করে নিলো।এদিকে বেচারা পিয়াশ একের পর এক এক্সিডেন্ট সামলাতে ব্যাস্ত।হুট করে জীবনে এক নারীর আগমণ তার সাথেই আবার হুট করে বিয়ে।এরপর হুট করেই জানতে পারল সে যাকে বিয়ে করেছে সে একজন সাইকো নারীর বোন সাথে মন্ত্রীর শালী।তার সাথেই আবার রাতে বাসর।এখন আবার এই সকালে আরেক দুষ্টুমি।পিয়াশ যেনো না চাইতেও আলাদিনের চেরাগ পেয়ে গেলো যেটা মন্ত্রী হয়েও রাজ পেলো না।এর জন্যেই হয়তো লোকে বলে, ভাগ্যে থাকলে সুখ আপনাআপনি আসবে।হাজারবার মাথা ঠুকলেও দুঃখীর জীবনে সুখ আসবে না।এই দশা দেখা দিলো পিয়াশ আর রাজের সাথে।
মায়া আর রাজ পরিপাটি হয়ে নিচে নেমে আসে।সিঁড়ি দিয়ে ওদেরকে নামতে দেখে মৃদু হাসলেন মাহমুদ সরদার।রাজ সাদা পাঞ্জাবি পরে আছে বুক পকেটে সানগ্লাস।আর মায়া নীল শাড়ি বাম হাতে ছোট পার্স।সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় মায়া ও রাজ একে অপরের দিকে একবার তাকালো।মায়া রাজের দিকে তাকিয়ে মনে মনে ভাবছে,”আমি যেটা ভাবছি এটা যদি সত্যি হয় তাহলে আমার আর আপনার জীবনের সকল কাটা আমি উপ্রে দিবো মন্ত্রী মশাই কিন্তু সব যদি মিথ্যা হয় তাহলে আমার পথের কাটা হিসেবে আমি আগে আপনাকেই উপ্রে দিবো।”
রাজ মনে মনে বলে,”তোমার জীবনের ঘটে যাওয়া সকল কষ্ট আমি নিজের মাঝে বয়ে বেড়াব মায়াবতী।তবুও তোমাকে কষ্ট পেতে দিবো না।এই পৃথিবীর সকল সুখ আমি তোমার জন্য জমিয়ে রেখেছি।এক এক করে এখন উপহার দেওয়ার পালা।”
রাজ আর মায়া চেয়ার টেনে পাশাপাশি বসলো।মাহমুদ সরদারের দিকে তাকিয়ে মায়া মিষ্টি হেসে বলে,”গুড মর্নিং বাবা।”
“ভেরি গুড মর্নিং মা।”
রাজ মাহমুদ সরদারের দিকে তাকিয়ে বলে,”গুড আজ ভেরি হলো কেন?”
“আমার মনের ইচ্ছা যে আজ পূরণ হলো তাই।”
“বেশি লাফানোর দরকার নেই বাবা।তোমার মনের আশা পূরণ হয়নি।”
মাহমুদ সরদারের কানের কাছে মুখ রেখে বলে।মাহমুদ সরদার চকিত চাহনি দিয়ে বলেন,”কি বলতে চাও?”
“বউ আমার কাছেই আসেনা।তাই এখনও তুমি দাদু হতে পারছ না।এই জন্যই বললাম তোমার আশা এখনও পূরণ হয়নি।যেদিন দাদু হতে পারবে সেদিন গুডের আগে ভেরি বলে মর্নিং উইশ করবে।”
“হতচ্ছাড়া আমি তোর বাবা হই।”
“আমিও তো এটাই জানি।”
“জানো যখন বাবার সাথে কিভাবে কথা বলতে এটাও জেনে নেও।”
“বাবার মন বুঝেই তো কথাগুলো বলছি।”
“কি বোঝ তুমি আমার মনের?”
“এই যে এখন তোমার দাদু ডাক শোনার খুব ইচ্ছে।যেটা পূরণ করতে দিচ্ছে না তোমার বউমা।”
“বউমা আগে তার বাদরমার্কা স্বামীকে মানুষ করে তুলুন তারপর নাহয় বাচ্চা নিবে।”
“সেগুড়ে বালি।আমি অত দেরি করতে পারব না।”
“নির্লজ্জ ছেলে মুখে লাগাম দেও।”
“মুখে লাগাম দিলে কি আমি দ্রুত বাবা হতে পারব?”
“চুপ করো বদমাইশ।”
“আমি চুপ করে থাকলে তুমি দাদা হতে পারবে না বাবা।”
মাহমুদ সরদার মুখ ঘুরিয়ে উপরের দিকে তাকিয়ে বলেন,”আল্লাহ আমার ছেলেকে একটু রহমত করো।”
“খাওয়ার টেবিলে এসব বলে নাকি?কমনসেন্স এর বড্ড অভাব তোমার।এগুলো জায়নামাজের পাটিতে বলতে হয়।সেই সাথে এটাও বলে দিও তুমি দাদা হতে চাও।”
“আবারও একই কথা?”
“নাটক কম করো বাবা।তুমি আমাদের সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় অপলক নয়নে দেখছিলে।তখন তোমার ইমাজিনে এসেছিলো আমি আমার মায়াবতী সাথে আছে আমাদের পুচকু।”
“তুমি কিভাবে জানলে?”
“তোমার ছেলে হই আমি।বাবার মন পড়তে সময় লাগেনা।”
মাহমুদ সরদার মৃদু হাসলেন।কথা বলার বাকশক্তি হারালেন।এটা সত্যিই যে তিনিও চান মায়ারাজের অতি দ্রুত একটি সন্তান আসুক।তার চোখ তো এটা ভাবতেই আনন্দে চিকচিক করছিলো।রাজ এটা ধরে ফেলেছে।অবশ্য এগুলো ধরে ফেলা কঠিন কিছু না।
সার্ভেন্ট খাবার পরিবেশন করতে নিলে মায়া বলে,”বোন আর পিয়াশ কোথায়?”
রাজ এবার মায়ার দিকে ফিরে বলে,”বাসরের পর স্বামী স্ত্রী কোথায় থাকে মায়াবতী?”
“শাট আপ।”
“না বললে তো তুমি এখন তোমার বোনের জন্য এখানে স্লোগান গাইতে।তাই স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিলাম।”
তখনই বাইরে আসে মৌ আর পিয়াশ।দুজনে নিচে নেমে টেবিলের সামনে আসে।মায়া মৌকে দেখে মিষ্টি হাসে।মৌও তাই করল।সবাই সবাইকে গুড মর্নিং বলে জায়গামতো বসলো।মাহমুদ সরদার জানালেন,”আমি মায়া আর রাজের সাথে সাথে মৌ ও পিয়াশের বৌভাতের ব্যবস্থা করছি।দুইদিন পরেই পার্টি।মায়া মায়ের কারো দাওয়াত দেওয়ার থাকলে দিও।আমি আমাদের দিকের লোকেদের দাওয়াত দিব।আফসোস শুধু রাজের মামা মামী আসতে পারবে না।”
মায়া এবার মৃদু হেসে বলে,”আমার ভাইকে দাওয়াত দিতে হবে বাবা।”
মাহমুদ সরদার মুখের খাবার চিবুতে গিয়েও মুখ থেকে ফেলে দিলেন।মায়ার ভাই মানে বীর।যে কি না রাজের মামাতো ভাই।এদিকে সে আসা মানে তো আরেক ঝামেলা।তার কাছে খোঁজ এসেছে জারা আর বীর একসাথে আছে।মনে মনে মাহমুদ সরদার বলেন,”ওই তো আরেক সাইকো।সাইকো বোনের কাণ্ড হজম হতে কষ্ট হয় এবার সাইকো ভাইয়ের কাণ্ড হজম করতে হবে।”
রাজ মৃদু হেসে মাহমুদ সরদারের দিকে পানি এগিয়ে দিলো।মাহমুদ সরদার পানি পান করে বলে,”ওই সাইকো আসা মানে তো তোমার সাথে লেপ্টে থাকতে চাওয়া নাগিনটাও আসা।এবার আবার কোন দৃশ্য দেখাতে চাও তোমরা?”
“ওটা অতীত বাবা।জারা বেইবি এবার চেঞ্জ।সে তার পার্টনার নিয়ে আছে।”
“মানে এবার আর রাজ বেইবি বলে ন্যাকা ডাক শুনতে হবে না বলছো?”
“হুম।”
“বাঁচলাম।”
“তবে এবার আরেকটা তুফান আসতে চলেছে।”
“আবার কি?”
“সময় হলেই দেখতে পাবে।”
“শান্তি নেই আমার।”
“সে তুমি দ্বিতীয় বিয়ে করার পর থেকেই হারিয়েছ।”
মায়াবতীর ইচ্ছা সিজন ২ পর্ব ২৪
মাহমুদ সরদার আর কোনো কথা না বলে খাওয়ায় মনোযোগ হলেন।তার সুখ তো বিবাহিত জীবনের পর থেকেই উবে গেছে।এটা নতুন কিছু না।পেট পূজা করলেও শান্তি এখন।অন্তত শরীর ঠিক থাকবে।
