মায়াবতীর ইচ্ছা সিজন ২ পর্ব ৪৭+৪৮
ইশরাত জাহান
হলরুমে বীর জারাকে এনে সোফায় বসালো মায়া।মৌ দৌড়ে এসে বীরের সামনে কোমড় ধরে অভিমানী সুরে বলে,”তোমরা কি শুরু করেছো?বিয়ে করার আগে আমাকে জানালে কি আমি বিয়েতে বাধা দিবো?না পারলাম আপুর বিয়েতে থাকতে আর না পারলাম ভাইয়ার বিয়েতে থাকতে।”
মৌয়ের অভিমানী মুখশ্রী দেখে বীর ও মায়া একে অপরের দিকে চাওয়া চাওয়ি করে একসাথে বলে ওঠে,”তোর বিয়েতে আমাদের কোথায় রেখেছিলি?”
মৌ মুখ ভেংচি দিয়ে জারার কাছে গিয়ে বলে,”এখন আমাকে পছন্দ হয়েছে তো ভাবী।আমি কিন্তু তোমার আগমনের আগেই বিদায় হয়েছি।”
জারা মৌয়ের গালে আদুরে হাত রাখলো।মায়া মিষ্টি হেসে বীরকে বলে,”জানো ভাই আমাদের বোন মা হতে চলেছে।মানে তুমি মামা।”
বীর অবাকের সাথে মৌকে দেখে।খুশি হলো বেশ।জারা মৌকে জড়িয়ে ধরে বলে,”কংগ্রেটস ননদিনী।”
গেস্ট রুম থেকে বের হয়ে আসে রুদ্র আর আদ্র।দুজনে বের হয়ে বলে,”বাসরঘর সাজানো হলো।এখন ডিনার শেষ করে ওদেরকে ঘরে পাস করলেই হবে।”
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
রাজ ওর আলিশান আসনে বসে বলে,”আমার বাড়িতে বাসর করে আমার শালী হতে চলেছে মা।এখন আমার বাড়িতে বাসর সেরে আমার শালা হবে বাবা।শালার কপাল আমারটাই খারাপ।সবার আগে বিয়ে করেও শুনতে পারছি না বাবা হবার খবর।”
মায়া চোখ রাঙিয়ে তাকালো।রাজ ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে উঠে দাঁড়ায়।বীরের কাছে এসে বলে,”আব্বে তুই তো মামা হতে যাচ্ছিস।”
বীর রাজের দিকে ফিরে বলে,”তুইও তো মামা।”
“আমি মামা প্লাস আংকেল।আমার আনন্দ ডাবল।”
“এতকিছুর পরও তোর বাবা ডাক শুনতে মন চায়।”
“বিয়ে করেছিস আজ।দুটো দিন যাক বাবা ডাক তুইই শুনতে চাইবি।”
“তোর মত মুখে ফটফট করে আফসোস করে না।”
রাজ এক ভ্রু উচু করে বলে,”তুই তো দেখছি সুপার ফাস্ট।মনে হচ্ছে মিশন শুরু করে দিবি।”
“তোর মত স্বামী হতে যাবো নাকি।আমি ভাই অত সুযোগ দিতে পারব না।আসলে আসবি নাহলে ঘাড় ধরে নিজের কাছে রাখবো।”
“আমার বউ তোর বউয়ের মত নাগিন ড্যান্স দেয়না যে তাকে ঘাড় ধরে টান দিতে হয়।আমার বউ নাম্বার ওয়ান বউ।যাকে পেতে হলে ভাগ্য লাগে।সেই সৌভাগ্য আমি তিলে তিলে অর্জন করেছি।”
“তুই কি নিজের বউকে শ্রেষ্ঠ বউ মনে করিস?”
রাজ এবার মায়ার দিকে তাকিয়ে গাইতে থাকে,”Obviously!wo hai wo hai wo hai Meri biwi no 1.”
মিহিরের কপালে ব্যান্ডেজ করে দিলো মোহন সরদার।সোনালীকে দেখছে মিলি।সোনালী একবার মিহিরকে দেখে মিলিকে বলে,”তুই ওদের সাথে আনন্দ কর যা।”
মিলি চলে গেলো।সোনালী এবার মোহন সরদারকে উদ্দেশ্য করে বলে,”বাড়িতে নতুন দম্পতি এসে।তোমার কি দায়িত্ব নেই ওদেরকে দেখে শুনে রাখার?”
“আমি আবার ওদেরকে কি দেখবো?”
“সব কি তোমার বড় ভাই দেখবে?এই জন্য তোমার প্রায়োরিটি এই বাড়িতে কম।যে যত অকর্মা হয় তার মূল্যায়ণ কম থাকে।”
মোহন সরদার অপমানিত হয়ে চলে গেলো ঘর থেকে।সোনালী সুযোগ বুঝে মিহিরকে বলে ওঠে,”মীরার বাবার সাথে কথা বলেছি। ওনারা তোদের বিয়ে দিতে চাচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি।শুনলাম লন্ডন থেকে ফিরে মীরা নাকি তোর উপর ফিদা হয়েগেছে।”
“এটাই তো হবার ছিলো।আমাদের টার্গেট তো মীরা।ওকে বিয়ে করে ওর প্রপার্টি হাতিয়ে নেওয়া।”
রুবি দরজার কাছে এসে মা ছেলের কথাটুকু শুনতে পায়।সেই সাথে শুনতে পায় মিহিরের শেষ কথা,”মীরার থেকে সবকিছু হাসিল করে আমি মায়া মেয়েটাকে টার্গেট করতে চাই।”
সোনালী দাঁড়িয়ে হুংকার দিয়ে বলে,”ভুলেও ওই মেয়েকে আমার বউমা বানাতে বলবি না।ওই মেয়ের জন্য আমাকে অনেকবার টর্চার সহ্য করতে হয়েছে।”
মিহির ঠোঁট প্রসারিত করে বলে,”যে মেয়ে মন্ত্রী শাহমীর রাজ সরদারকে বিয়ে করতে পারে সেই মেয়ের ক্ষমতা আমি খুব ভালো করেই বুঝেছি মম।কিন্তু মেয়েটা যে গুণবতীর সাথে এতটা রূপবতী এটা বুঝতে পারিনি।”
রুবি পর্দা থাকার কারণে মিহিরের মুখ দেখতে পেলো না।একটু আগে যখন বীর জারাকে ভিতরে আনা হয় তখন মিহির ছিলো সোনালীকে আর নিজের আঘাত নিয়ে ব্যস্ত।রাগ চেপেছিল মাথায়।আশেপাশে সবার দিকে নজর দেওয়ার মানসিকতা ছিলো না।রুবি তখন হিয়াদের পাশে গেলেও ওর ইমার্জেন্সী কল আসে।কল বলতে একটু আগেই রুবিকে ওর মা কল দিয়ে নতুন আরেক প্রস্তাবের কথা বলে।সেজন্য রুবি সবার আড়ালে যায়।এখন নিচে যাওয়ার পথে মা ছেলের কথা শুনতে পায়।রুবি না জেনেও ভিতরে থাকা ছেলেকে মায়ার দেবর ভেবে ধিক্কার জানলো মিহিরের প্রতি।অতঃপর বাইরে এসে মায়াকে খুঁজতে লাগলো।রাজ দেখলো রুবি এদিক ওদিক কাউকে খুঁজছে।তাই রাজ এগিয়ে এসে বলে,”কাউকে চাই?”
“ম্যাম কোথায়?”
“তোমার ম্যাম অফিসের কাজে একটা কল অ্যাটেন্ড করতে গেছে।”
“স্যার পরিস্থিতি খুব খারাপ।মায়া ম্যামের দিকে কুনজর দিচ্ছে ওই ছেলেটা।তার উদ্দেশ্য মায়া ম্যামকে নিজের করার।নাম জানি না মিসেস সোনালীর ছেলে।”
“মিহির?”
“মিহির!”
“তুমি কি মিহিরের কথা বলছো?ওই রাস্কেল আমার বউয়ের দিকে নজর দেয়!ওকে তো আমি….
রুবি একটু বাধা দিয়ে বলে,”ওনার নাম মিহির?”
“হ্যাঁ,কেন?”
রুবি এবার পিছন থেকে কারো পায়ের শব্দ পেয়ে ঘুরে তাকালো।মিহির আর সোনালীকে দেখে অবাক হলো রুবি।সেই সাথে মিহির নিজেও অবাক রুবিকে দেখে।মিহির তেড়ে এসে বলে,”তুমি?”
রুবিও বলে ওঠে,”তুমি?”
সবাই এদের কথা শুনে এখন এদের দিকেই চোখ স্থির রাখলো।রুবি অবাকের সাথে বলে,”মিহির তুমি এখানে?”
মিহির পাল্টা প্রশ্ন করে,”তুমি এখানে কি করছো রুবি?”
মোহন সরদার এগিয়ে এসে বলে,”আমার মেয়ে আমার কাছেই তো থাকবে।”
মিহির আশ্চর্য হয়ে গেলো,”তোমার মেয়ে মানে কী?তোমার মেয়ে তো মিলি।মানে আমার বোন।”
“এটাও তোমার একটা বোন।তোমার মায়ের আগে আমার আরো একটা সংসার ছিল।সেখানে তোমার এই বোনের জন্ম।ওর নাম মোহনা সরদার।”
মিহির হা হয়ে গেলো।কপালে চোট পেয়ে কি তার মাথা খারাপ হয়েগেলো!মিহির বলে ওঠে,”সামথিং ইজ রং।ও মোহনা না ও রুবি।শিবচরে বাড়ি ওর।”
“সেই শিবচরে ওর নানাবাড়ি তাই।”
“তোমরা বলছো ওর নাম মোহনা তাহলে আমি ওকে রুবি নামে এতগুলো বছর কিভাবে ছিলাম?”
“অভিমান করে নাম পাল্টেছে মেয়েটা আমার।”
মোহন সরদার থামতেই মায়া এগিয়ে এসে বলে,”ওয়েট!”
মায়া এগিয়ে আসতে নিলেও রাজ মায়ার হাত ধরে পিছনে ঠেলে সামনে এগিয়ে এসে বলে,”ওয়েট বলো আর ফয়েট ওর সামনে গিয়ে না।আমার পিছনে থেকে ওর সাথে কথা বলবে।”
ভ্রু কুঁচকে মায়া বলে,”মানে?”
“মানে এই যে তোমাদের মাঝে দেওয়াল আমি।”
“সম্পর্কে আমার দেবর হয়।দেওয়াল হতে হবে কেন?”
“এই দেবরের উদ্দেশ্য গড়বড়।আমার বউকে নজর দেবার আগেই হয়ে যাবো আমি দেওয়াল।”
তারপর মিহিরের দিকে ফিরে বলে,”রুবি মেয়েটাকে তুই এতগুলো বছর কিভাবে চিনিস?”
“আসলে..”
মিহির থেমে যায়।মিহির থামলেও রুবি থামেনি।রাগ ক্ষোভ প্রকাশ করে,”মিহির আমার বয়ফ্রেন্ড।”
রুবির চোখ দেখে বোঝা যাচ্ছে রুবি কতটা রেগে আছে।ঘৃণা আসছে মিহিরের উপর। সোনালী এমনিতেই দুর্বল ছিল।মিলি সেলাইন মেডিসিন দেওয়ার পর একটু ভালো লাগলেও এখন যেনো মাথা চক্কর দিচ্ছে।ছেলে কিনা শেষমেষ সৎ বোনকে গার্লফ্রেন্ড বানালো!মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার আগে মোহন সরদার এসে আগলে নেয়।রাজ এক ভ্রু উচু করে,”ছেলের রামলীলা চলে বাপ এখন রোমান্স করে!”
মায়া দেখতে পাচ্ছে না সোনালীর ঠিক মুখের রিয়েকশন কি।দেখার জন্য মাথা বেকাতে নিলেই রাজ পিছন ফিরে বলে,”জেদ করবে না মায়াবতী।এই শকুনের সামনে তোমার আসা নিষেধ।”
মায়া চরম বিরক্ত।মায়া তো দেখতে চায় সোনালী এখন কেমন অবস্থায় আছে।এদিকে রাজ কি বুঝে এমন করছে বুঝলো না। সোনালী কপালে হাত দিয়ে বলে,”আমার ছেলে শেষমেষ তার বোনের সাথে প্রেম করে! এ কি দিন আসলো আমার?”
রাজ এবার একটু হাসলো।বিটকেল হাসি দিয়ে বলে,”ইনজয় হালুয়া!আমার কাকার দুই নাম্বার বউয়ের ছেলে এক নাম্বার বউয়ের মেয়ের সাথে করছে প্রেমলীলা।”
মায়া পিছন থেকে রাজকে চিমটি কাটে।রাজ ব্যাথা পেলেও সহ্য করে নেয়।রুদ্র দাড়িয়ে আছে আদ্রর পাশে। ছোপ ছোপ দাড়ির উপর বৃদ্ধাঙ্গুল দিয়ে হালকা চুলকিয়ে ভাবুক দৃষ্টিতে বলে,”ভাবিজি শেষমেষ ঘরে নকল সতীন না নিজের সৎ ভাইয়ের গার্লফ্রেন্ডকেও এনেছে।আমরা বুঝলেও বাকিরা বুঝবে সৎ ভাইবোন প্রেমের খেলায় খেলেছিল!সরদার বাড়ির একেকটা ক্লাইমেক্স চলতেই থাকবে।”
“ক্লাইমেক্স আরো একটা আছে।”
“কি?”
“মিহির আসলে মোহন সরদারের বায়োলজিক্যাল সন্তান নয়।”
“তুমি কিভাবে জানলে?আমাদের জানাওনি কেন?”
“ব্রো আর বড় বাবা জানে কিন্তু আমাদের এটা এখন চাপা দিয়ে রাখতে হবে।”
জারা সোফা থেকে উঠে হেলেদুলে হেঁটে ঢঙ্গি ভাব নিয়ে মুখে দুইহাত রেখে বলে,”হ্যাঁ!মিহির ব্রো তুমি রাজ বেইবির পুতুল বউকে।ছিঃ ছিঃ ছিঃ।লজ্জা লজ্জা লজ্জা।”
মাহমুদ সরদার দূরে দাঁড়িয়ে কপাল কুঁচকে বলেন,”এই মেয়েকে কি সবসময় ঘর পোড়ার মধ্যে আলু পোড়া দেওয়াই লাগে?”
বীর নীরব দৃষ্টিতে ফ্যামিলি ড্রামা দেখছে।শুধু বীর না আদ্রও তাই।বাকিরা একটু আতঙ্ক দেখাচ্ছে তো আবার কেউ কেউ নাটক করে চলেছে।শান্ত হয়ে এই পরিবেশ যদি কেউ উপভোগ করে তো সেটা বীর ও আদ্র।
জারা এবার রাজের পাশে দাঁড়িয়ে বলে,”সো স্যাড বেইবি।তোমার পুতুল বউ তোমাকে ধোঁকা দিলো।”
রাজ কম যায়না।জারার দিকে ফিরে বলে,”ভাগ্যিস বুঝেছিলাম আগে থেকেই খাবো আমি বাশ।তাই তো মায়াবতীর সাথে করছি আমি তিন কবুল বলে সংসার।”
রাজ আর জারার নাটক দেখে রুদ্র হেসে বলে,”এরা জেনেবুঝে এদের লাইফ পার্টনারকে রাগিয়ে দেয়।”
আদ্র এক ভ্রু উচু করে রুদ্রের দিকে ফিরে বলে,”তুইও তো কম না ভাই।তোর হিয়াপাখিকে রাগাতে পারদর্শী তো তুই।”
“আর তুমি কি?তোমার প্রেয়সীকে সময় দেও ঠিকমত।সে তো তোমার খোঁজ নিতে এই সময় ওই সময় পার করে।তুমি কয়বেলা খোঁজ নেও?”
আদ্র উত্তর না দিয়ে রাজের দিকে ফিরল।জারা দাঁত বের করে হেসে মিহিরকে বলে,”আমাদের নতুন হবু ভাবীর সাথে পরিচয় করাবে না?”
রুবির চোখ দিয়ে পানি পড়ছে।যেটা মায়া লক্ষ্য করেছে।জারা এতক্ষণ না দেখলেও এবার যখন রুবির দিকে তাকালো দেখতে পেলো রুবির চোখ বেয়ে পানি পড়ছে।জারা এবার থেমে গেলো।পরিস্থিতি সবার জন্য হাস্যকর হলেও রুবির জন্য ব্যাথাতুর।যদিও এখানে রুবি মিহিরের বোন না কিন্তু মিহিরের আসল রূপ রুবি জেনেছে।সোনালীর সাথে কথা বলতে মীরার বাবা এসেছিল যে।সেখান থেকেই কানে অল্প স্বল্প আসে এরা বেয়াই বেয়াইন হতে চায়।রুবি সিঁড়ি বেয়ে উপরে চলে যায়।হিয়া আর সিয়া ছুট লাগায় ওর পিছনে।মায়াও চলে গেলো সেদিকে।মৌ আর পিয়াশ বিরক্ত হয়ে বসে আছে। এদের এই পরিস্থিতি দৃষ্টিকটু।সেখানে বাইরের লোক হিসেবে এরা দুজন উপস্থিত।মাহমুদ সরদার বুঝতে পেরে বলেন,”ডিনার কমপ্লিট করে নেওয়া প্রয়োজন আগে।”
জারা রুবিকে চলে যেতে দেখে।সেই সাথে মায়া আর সিয়া হিয়াকে যেতে দেখে বীরের দিকে তাকালো।দুষ্টু হেসে রাজের দিকে ফিরে বলে,”আমাকে দেখতে কেমন লাগছে বেইবি?”
রাজ বীরের দিকে তাকালো।বীর রাগে ফুঁসতে থাকে।নজর এড়ায়নি জারার।সে আড়চোখে তার ব্যক্তিগত মানুষটিকে দেখেই যাচ্ছে।রাজ চুপ আছে।জারা এবার বীরকে আরো একটু উত্তেজিত করতে বলে,”কি হলো বলো?”
রাজ মুখ খুললো,”কালারসে শনি আর রবিবার করে হট হিরোইনদের যে স্পেশ্যাল এপিসোড হয় ওই হিরোইনদের মত।”
“তুমি এপিসোড দেখো!”
“দেখিনা তো।বাসায় আসার সময় বোনেদের ওই চ্যানেল নিয়ে যুদ্ধ করতে দেখে মুখস্ত করেছি যে নাগিন কোন সময় আসে।”
জারা অপমানিত না হয়ে বরং দুষ্টু হাসি দিয়ে বলে,”একবার এই নাগিনের ছোবল খাবে নাকি?”
বীর আর ধৈর্য ধরতে পারল না। সোফা থেকে উঠে এসে জারাকে কাধে তুলে নিজেদের বাসরঘরের দিকে যেতে নেয়।রাজ গলা উঁচিয়ে বলে,”ডিনার করে যাবি না?”
বীর উত্তর দিলো না।রাজের কথা শুনেও তোয়াক্কা না করে চলে গেলো ভিতরে। Lরুদ্র রাজের পাশে এসে বলে,”তোমাকে কাকা বানাতে যাচ্ছে তোমার শালা প্লাস ভাই।”
“আমার শালা শালী মিলে আমার বাড়িতেই মারে ছক্কা।এদিকে আমার কাজ শুধু এদেরকে চেয়ে চেয়ে দেখা।”
জারাকে কোলে করে ঘরে আনলো বীর।অন্ধকার ঘরে ঢুকে দরজায় সজোরে লাথি মারে দিলো।জারা একটু কেঁপে বীরের বুকে মুখ রাখে।বীরের উন্মুক্ত বুকে জারার ঠোঁট ছুঁয়ে দেয়।বীর ঠোঁট প্রসারিত করে অন্ধকার ঘর অবস্থায় জারাকে বিছানায় শুইয়ে দিলো।জারার কপালে আঙুল রেখে কানের কাছে মুখ রেখে বলে,”আমার সামান্য শক্তি সঞ্চয় করাতেই তোমার বুক কেঁপে উঠল,বাকি রাত কি হবে জানেমান?”
জারা অন্ধকারে কিছুই দেখতে পাচ্ছে না। স্লো ভয়েসে বলে,”লাইট অন করো হ্যান্ডসাম।”
“তোমাকে সারারাত দেখার জন্য হলেও লাইট অন করবো।”
জারা একটু কেঁপে উঠলো।বীর জারার উপর থেকে উঠে লাইট অন করে।দরজায় ছিটকিনি দিয়ে বিছানায় চোখ রাখে।জারা বীরের মুখভঙ্গি দেখে ঘাবড়ে গেলো।বড্ড বেশি রেগে গেছে বীর।বারবার বারণ করা হয় তাকে তাও শোনেনা।রাজকে নিয়ে আদিখ্যেতা আজ ছুটিয়ে দিবে বীর।বীরের মুখে এমনটাই প্রকাশ পেলো।
জারা তড়িৎ গতিতে বিছানা থেকে উঠে পালাতে নেয়।বীর জারার হাত ধরে বিছানায় ছুঁড়ে মারে।এক পা বিছানার উপর রেখে জারার দিকে ঝুঁকে বলে,”বাসর আজ আমাদের।পালাতে পারবে না তুমি জানেমান।”
জারা শুকনো ঢোক গিলে বলে,”নরমাল বিহেভ করলে পালাতাম না।”
বীর হাসলো সেই হাসি দেখে জারা আবারও শুকনো ঢোক গেলে।বীর ওর প্যান্ট থেকে বেল্ট খুলে হাতে পেঁচিয়ে ধরে।এটা দেখে জারার কল্পনায় চলে যায় ফিফটি শেড অফ গ্রে মুভির সিন।ওইদিন রাতে জারা এই মুভি দেখেছিল।বীর এসে জারাকে এই মুভি দেখতে দেখেছিল।আজ তাহলে বীর একই কাজ করবে!জারা এটা দেখে চিৎকার দিয়ে ওঠে,”নাআআআআআআ।”
জারার চিৎকার বাইরে চলে এসেছে।এদিকে বাইরে আছে রাজ রুদ্র আদ্র মৌ পিয়াশ।মাহমুদ সরদার ঘরে গিয়েছেন অনেকক্ষণ।মোহন সরদার এখন নিজের কাজে বাইরে।মায়া হিয়া সিয়া রুবিকে শান্তনা দিচ্ছে।জারার চিৎকার শুনে রাজ এক ভ্রু উচু করে গাল হা করে থমকে যায়।রুদ্র ফ্রিজ থেকে কোল্ড্রিংকস নিয়েছিল।সামান্য কয়েক ঢোক গিলতেই জারার চিৎকার কানে আসে।সাথে সাথে রুদ্রের মুক থেকে পিক করে পড়ে যায় ড্রিঙ্কস।আদ্র বিরক্ত প্রকাশ করে চলে গেলো হিয়ার লাইব্রেরিতে।এখানে থাকা তার দ্বারা সম্ভব না।রুদ্র মুখটা মুছে বীরের অবস্থানরত ঘরের দিকে চোখ রেখে বলে,”যেতে পারল না একশন শুরু!”
রাজ স্বাভাবিক হয়ে বলে,”আমার লাগামহীন কথা শুনে আমার বাবা যে হারে ফেটে পড়ে, আজ এদের চিৎকারে তো তার স্ট্রোক হয়ে যাবে।”
বলেই রাজ নিজের মত চলে যেতে নেয় পলিটিক্স কিছু বিষয়ে আলোচনা করতে। যাওয়ার সময় পিয়াশের দিকে ফিরে বলে,”ছক্কা তো আগেই মেরেছো।এখন অন্যদের বেলায় কান না পেতে আমার সাথে চলো পিয়ু বেবী।”
পিয়াশ উঠে চলে যায় রাজের সাথে।মৌ রুদ্রকে দেখে কোনমতে একটা হাসি দিয়ে চলে গেলো উপরে।রুদ্র আর কি করবে!সিটি বাজাতে বাজাতে নিজের মত বাইরে বের হলো।এখন এখানে থাকা সেফ না।
জারার চিৎকার শুনে বীর তড়িৎ গতিতে জারার মুখ চেপে ধরে।জারার দিকে চোখ রাঙিয়ে বলে,”বাইরে মানুষ আছে।”
জারা হাসফাঁস করছে।বীরের হাতে নখ দিয়ে খামচে ধরে।বীরের হাতে ছোপ ছোপ রক্ত দেখা দিলো।হাত সরাতেই জারা বলে,”আমাকে মারলে আমি চিৎকার করবো না?”
“আজ রাতের জন্য চিৎকার করবে না জানেমান।”
জারার মুখটা হা হয়ে গেলো। বীর জারার উপর ঝুঁকে থেকেই গলার টাই ঢিলা করে।ধীরে ধীরে টাই খুলে জারার হাত দুটো বেঁধে দিলো।জারা কেঁপে উঠে বলে,”ভ ভ ভয় করছে আমার বীর।”
বীর নেশাতুর দৃষ্টি দিয়ে জারাকে দেখছে।মুখে উত্তর না দিয়ে শার্ট খুলে বিছানার পাশে রাখল।আরেকপাশে থেকে বেল্ট নিয়ে জারার দিকে ফিরে মুখে ভয়ানক হাসি ফুটিয়ে বলে,”তো কি বলছিলে যেনো?ছোবল দিবে তাই না?নাগিন হতে চেয়েছিলে!এখন এই নাগিনকে বীন না বাজিয়ে বস করে নিলাম।পালাতে তো পারবে না নাগিন।”
“ওটা তো মজা করে বলেছিলাম।”
“এখন তুমিও ভোগ করবে মজার প্রভাব কতটা।”
উঠেই বীর যেই বেল্ট ছুড়তে নিবে জারা চোখ বন্ধ করে অনুরোধ করে বলে,”আমি আর বেইবি বলব না।আমার ভুল হয়েগেছে।আমি আর কোনো ছেলের সাথেই ফ্লার্ট করবো না। প্রমিজ করলাম আমি।প্লীজ প্লীজ প্লীজ।”
বীর মৃদু হেসে হাতের বেল্ট ছুঁড়ে ফেলে দেয়।জারার কপাল থেকে থুতনির দিকে আঙুল দিয়ে স্লাইট করছে।জারা পিটপিট করে চোখ খোলে।বীরের চোখে চোখ রেখে শান্তির নিশ্বাস নিলো।বীর জারার চোখের দিকে চেয়ে বলে,”এই মুখে অন্য পুরুষের জন্য পীড়িত দেখলে জীবন জাহান্নাম করে দিবো তোমার।”
জারা চুপ করে আছে।বীর জারার ওষ্ঠ দেখে।সেখানে ছোট করে চুম্বন দিয়ে বলে,”I need to deep hug with you for feel relaxed Janeman. May I can?”
জারা চুপ করে আছে।নীরব হয়ে সম্মতি দিলো বীরকে।বীর জারার উপর ভর দিয়ে শুয়ে পড়ল।জারার কষ্ট হলেও চুপ আছে।বীর জোরে জোরে নিশ্বাস নিচ্ছে।জারা অনুভব করছে।এক সময়ে স্থির হয়ে বীর বলে,”আমরা স্বামী স্ত্রী।আমাদের মাঝে ভালো মন্দ সকল মুহূর্ত থাকবে কিন্তু কোনো গোপনীয়তা না।আমি তোমার গোপন কথাটা জানতে চাই।কেন তুমি পালিয়ে যেতে চাও?”
জারা চুপ আছে এখনও।বীর জারার দিকে তাকালো না।বীরের মুখ জারার গলার পাশেই।ওখানে মুখটা স্থির রেখে প্রশ্ন করে জারাকে।জারার উত্তর না পেয়ে অপর পাশের হাতটা উঠিয়ে জারার চোখমুখের উপর রাখে।জারার চোখের উপর হাত দিতেই ভেজা অনুভব করে বীর।বুঝলো জারা কান্না করছে।সাথে সাথে উঠেই সে জারার ঘাড় ধরে নিজের বুকের সাথে লেপ্টে ধরে।জারা কান্না করে দেয়।হুহু করে কান্না করছে জারা।কেন করছে বীর জানেনা।শুধু ভাবছে এই মেয়েটাও কাদতে জানে।যে মেয়ে একটু আগে ঢং করছিল সেই মেয়ে এখন কান্না করছে।
মাহমুদ সরদার ও বাকিরা বাইরে আসলো।মায়া এলো রুবিকে সাথে নিয়ে।রাজ মিটিং শেষ করে বাইরে বের হয় পিয়াশের সাথে।ধীরে ধীরে সবাই এক জায়গায় হলেও বীর জারা নেই।মাহমুদ সরদার প্রশ্ন করলেন,”ওরা দুজন কোথায়?”
রাজের সোজাসাপ্টা সত্য কথা,”আমাকে চাচা ডাক শোনানোর প্রস্তুতি নিতে ব্যাস্ত।”
মাহমুদ সরদার মুখটা এমন করলেন যে সে এদের কাজ দেখে মুখ লুকাতে পারলে বাঁচত।খাবার টেবিলের দিকে এগিয়ে যেতে যেতে বলেন,”ডিনার না করেই চলে গেলো!”
“বেঁচে থাকলে ডিনার কালকেও হবে।বাসর তো আর দিনের পর দিন চলতে থাকবে না।তাই ওটাকেই বর্তমানে প্রাধান্য দেওয়া উচিত।”
“তুমি যেমন তোমার চিন্তাধারাও তেমন।”
“কাজে আমি উল্টো।তোমার শালার ছেলের মত এত ফাস্ট না।”
“ফাস্ট হতেও যোগ্যতা লাগে।”
রাজ অবাক চাহনি দিলো।মাহমুদ সরদার বলছেন এই কথা।ভ্রু কুঁচকে রাজ বিড়বিড় করে বলে,”কিছু হয়েছে নাকি?মন খারাপ?উল্টো পাল্টা বকছো যে।”
“তোমার ভাইরাস লেগেছে।”
বিরক্ত প্রকাশ করে খাবারে মনোযোগ দিলেন মাহমুদ সরদার।রাজ এক পলক দেখে সেও খাবারে মনোযোগী হয়।
নিজেদের ঘরে চলে আসে মায়া ও রাজ।মায়া রাজকে দেখে বলে,”সোফায় বসুন মন্ত্রী মশাই।ব্যান্ডেজ খুলে ক্ষত স্থান পরিষ্কার করতে হবে।”
“এতবার ব্যাথা দিতে চাও কেন তুমি মায়াবতী?”
“আপনার প্রয়োজন তাই।”
“শুনলাম আমাকে গুলি করা ব্যাক্তি মারা গেছে।ঠিক আমার যেখানে গুলি লেগেছে সেখানেই তার সাতটা গুলি পাওয়া গেছে।”
মায়া মেডিসিন বক্স হাতে নিয়ে রাজের চোখের দিকে চোখ রাখলো।কোনো উত্তর না দিয়ে রাজের বুকে হাত রাখতে নিলে রাজ হাত ধরে মায়ার মুখের সামনে এগিয়ে এসে বলে,”কেন মারলে তাদের?”
“আমাকে বিধবা বানাতে চেয়েছিল তাই।”
রাজ মাথা কাত করে বিজয়ের হাসি দিলো।বামহাত মায়ার মুখে রেখে বলে,”পৃথিবীতে আমিই একমাত্র সেই স্বামী যার বউ দুনিয়ার বুকেতে রক্তবতী আর আমার কাছে মায়াবতী।”
মায়া মৃদু হেসে রাজের বুকের ব্যান্ডেজ খুলে মলম দিতে নিলে রাজ বলে,”I want a kiss, not medicine.”
“মেডিসিন প্রয়োজন আপনার জন্য।”
“ঘোড়ার ডিমের ডাক্তারের কথা শুনে চলো বলেই তুমি আমাকে বুঝতে পারছো না।এসব মেডিসিনের থেকেও এখন আমার জন্য তোমার সংস্পর্শে থাকাটা বেশি জরুরি।আমি আমার মায়াবতীকে চাই।”
রাজ অভিমানী কণ্ঠে কথাগুলো বলে।মায়া মলম পাশে রেখে বলে,”অভিমান করেছেন?”
রাজ অন্যদিকে ফিরে তাকায়।মায়া চোখ বড় বড় করে তাকায়,”এসব ড্রামা আমার সাথে খাটবে না মন্ত্রী মশাই।”
রাজ এখনও অন্যদিকে ফিরে আছে।মায়া সূক্ষ্ম দৃষ্টি দিয়ে বলে,”কি চাই?”
রাজ একই অবস্থায় মুখে রেখে বলে,”বরের অভিমান ধমকে ভাঙতে হয়না।”
“তাহলে?”
“পুরুষ মানুষের দুর্বলতা আর রাগ,এই দুটো জিনিসের ঔষধ নারীর ঠোঁট।”
মায়া মৃদু হেঁসে রাজের বুকের অন্যপাশে আলতো চাপড় মেরে রাজকে একবার দেখে।রাজ এভাবেই থাকবে।মায়া এগিয়ে এসে রাজের বক্ষ বরাবর ওষ্ঠ ছুঁয়ে দেয়।রাজের এতেই ইনাফ।এবার সে তার মায়াবতীকে নিয়ে উঠে দাঁড়াতেই যেই কোনো একশন নিবে ওমনি দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ আসে।রাজ বিরক্ত হলো,”এই কে রে?”
“ব্রো আমি।”
“ব্যাটা রুদ্র?”
“ইয়াপ।”
রাজ দরজা খুলতেই দেখে রুদ্র দুই হাতে দুটো বালিশ নিয়ে হাজির।কিছু না বুঝে আন্দাজে বলে দেয়,”আমার ঘরে বালিশের প্রয়োজন হয়না।এক বালিশে দুজনে মাথা রাখি।”
রুদ্র টেডি হাসি দিয়ে বলে,”আমি তোমার বউ না যে এক বালিশে মাথা দিয়ে দুজনে ঘুমাবো।”
রাজ চমকে উঠে বলে,”আব্বে ব্যাটা!তোর ধান্দা কি?”
“আজ একটা রুমও ফাঁকা নেই।”
ভ্রু কুঁচকে রাজ বলল,”কেন?”
“তোমার ঐ মাফিয়া ভাইয়ের গার্ড সমস্ত ঘর দখল করেছে।”
“কতজন?”
“হবে 40/50 জন।”
“শালা বিয়ে করে বাসর করছে নাকি আমাদের জ্বালাচ্ছে?”
আদ্র আর তারেক আসলো সেই সময়।রাজ ওদেরকে দেখে বলে,”তোমরাও কি এখানে ঘুমাবে?”
“হ্যাঁ।”
“আমার বউ কোথায় যাবে শুনি?”
মায়া হাতে ব্যাগ নিয়ে বাইরের দিকে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে বলে,”আমি হিয়া সিয়ার সাথে থাকবো আজকে।”
রাজ ঘাড় কাত করে মায়াকে দেখে বলে,”তুমি জানতে সব?”
“হ্যাঁ।”
মিলি দুটো বালিশ এনে বলে,”এই যে তোমাদের বালিশ।”
তারেকের দিকে চেয়ে বলে মিলি।তারেক ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বালিশ নেয়।মিলির মুখে হাসি ফুটে আছে।রাজ দেখতে পেয়ে বলে,”ডালমে কুচ কালা হে।”
মায়া চলে যেতে নিলে রাজ মায়ার হাত ধরে দাঁড় করালো।মায়া কপাল কুঁচকে বলে,”কি হলো মন্ত্রী মশাই?”
রুদ্র ও মিলি বুঝতে পেরে দুষ্টুমি করে বলে,”কি হলো মন্ত্রী মশাই?”
রাজ সবার দিকে তাকিয়ে বলে,”বাচ্চারা চোখ বন্ধ করো।তোমাদের মন্ত্রী মশাই এখন প্রেম করবে।”
সবাই মুচকি হেঁসে চোখ বন্ধ করলেও করেনি রুদ্র।রাজ রাগ দেখিয়ে বলে,”ব্যাটা বন্ধ কর চোখ নাহলে আমার বোনের কপালে অন্ধ স্বামী জোটাবো।”
মায়াবতীর ইচ্ছা সিজন ২ পর্ব ৪৫+৪৬
রাজের ধমক শুনে রুদ্র চোখ বন্ধ করে।রাজ মায়াকে নিয়ে ঘরের ভিতরে এসে দরজাটা চাপিয়ে দিলো।গলা উঁচিয়ে বলে,”দেড়/দুই ঘণ্টা বাইরে থেকে ঘুরে আয়।আমি এখন দরজা খুলবো না।”
তারেক অবলার মত চেয়ে আছে।এভাবে ঘোল খাইয়ে দরজা লাগিয়ে দিল!বেচারার ঘুম আসছে খুব।এদিকে রাজ এতদিন হাসপাতালে ভর্তি থাকায় বউয়ের ভালোবাসার অভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে যেনো।তার এখন বউয়ের থেকে ভিটামিন চাই।মায়া রাজকে চোখ রাঙিয়ে বলে,”অসভ্যতামি হচ্ছে মন্ত্রী মশাই।”
“বউকে কাছে পেতে অল্প একটু অসভ্য হতে হয়।নাহলে বউ থেকেও না থাকার মত হয়ে যায়।”
