মায়াবতী পর্ব ১৪
ইসরাত জাহান ইকরা
মেঘা থম মেরে বিছানায় বসে আছে, পাশে তার কাপড় চোপড় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। আনসার রহমান মেঘা সামনে গম্ভীর মুখ করে চেয়ারে বসে আছে, পাশে মেঘার মামী হেনা বেগম আনসার রহমানের কাঁধে হাত রেখে দাঁড়িয়ে আছে। মেঘা ছলছল চোখে আনসার রহমানের উদ্দেশ্য বলে উঠলো _ এটা তুমি কি বলছো মামা,জেঠা কেন আমার বাবা কে হত্যা করতে যাবে? আর এতো দিন পর বলো নি কেন?
আনসার রহমান গম্ভীরতা ভেঙে বলে উঠলেন _ তুমি আরো অনেক কিছুই জানো না মেঘা, যা আমি জানি। এতো দিন বলতে চাইনি তোমার কথা ভেবে, তুমি কষ্ট পাবে বলে, আর বলার মতো তেমন সুযোগ ও ছিলো না। আজ কে কারন তুমি তোমার মা বাবার হত্যাকারীদের উদ্দেশ্য সফল করতে যাচ্ছো। তাই বলছি।
মেঘা কপাল কুঁচকে বলে উঠলো _ উদ্দেশ্য মানে, কিসের উদ্দেশ্য?
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
আনসার রহমান _ এই যে তুমি মেহমিদ কে ভালোবাসো, আর মোশারফ হোসেনের ইচ্ছে তার ছেলের সাথে তোমার বিয়ে দিয়ে তোমার বাবার তোমাদের দুই বোনের নামে রেখে যাওয়া সম্পত্তি আত্মসাত করা।
মেঘা রেগে বলে উঠলো _ কি যাতা বলছো, এমনটা ওরা করবে কেন, গ্ৰামের বাড়ির জমিতে আমাদের কতটুকুই বা অংশ আছে। এটুকু জমি দিয়ে ওরা কি করবে,আর এমনটা হলে ও আমি নিজ ইচ্ছায় তা দিয়ে দিব।
আনসার রহমান খানিক মুচকি হেসে বলে উঠলেন _ বোকা মেয়ে, রাজনীতির মার প্যাচ তুমি বুঝবে কি করে? গ্ৰামের বাড়ির জমিতে তোমার দুই চাচার এক চাচার ও অংশ নেই। তোমার চাচারা তোমার দাদার সাথে কি একটা বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, সেই থেকে তোমার দাদা গম্ভীর হয়ে গেছে। নিজের ছোট ছেলে কে দূরে সরিয়ে দিয়ে তিনি বুঝতে পারছিলো কত বড় ভুল সে করেছে, তিনি ছিলেন অত্যন্ত রাগী প্রকৃতির মানুষ, এমন কিছু করেছিল তোমার চাচা যা দেখে তাদের প্রতি থেকে সমস্ত বিশ্বাস উঠিয়ে নিয়েছিলেন, তোমার বাবাকে ক্ষমা করে দেন এবং গ্ৰামের বাড়ির সমস্ত জমি তোমার বাবার নামে লিখে দেন। এছাড়াও শহরের ৫০% তোমাদের ভাগ রয়েছে।
তাই তোমার চাচা ক্ষিপ্ত হয়ে, তোমার বাবা মা কে হত্যা করেন।
মেঘা যেনো পাথর হয়ে রইলো সব শুনে। মেঘা কোন রকম নিজেকে সামলে বলে উঠলো _ কিন্তু আমার বাবা মা তো এক্সিডেন্টে মারা গেছেন।
আনসার রহমান _ সেই এক্সিডেন্টাই তো তোমার চাচা মোশারফ হোসেন করিয়েছেন। মৃত্যুর আগে হসপিটালে তোমার বাবা আমাকে সব বলে গেছেন।
মেঘা এবার সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে উঠলো _ কিন্তু আমি কীভাবে বুঝবো সত্যি বলছেন? এমনতো হতে পারে আপনি মিথ্যা বলে আমার মন ওদের বিরুদ্ধে বিষিয়ে তুলছেন।
মেঘার এমন কথায় বৃদ্ধ আনসার রহমান মলিন মুখে মেঘার মুখের পানে তাকিয়ে রইলো। এবং বলতে লাগলো _ মেঘা দেখো, উপরে আল্লাহ আছেন, আমি সেই তার কছম করে বলছি, যা বলছি তার একটা কথা ও মিথ্যা নয় । এখন তুমি যদি আমাকে মিথ্যুক মনে করো, তবে তোমাকে আর বাধা দিব না, দরজা খুলাই আছে তুমি চাইলে যেতে পারো । এই বলে আনসার রহমান মেঘার ঘর থেকে বের হয়ে গেলেন।
মেঘা এখন কি করবে দ্বিধায় পড়ে গেল। মাথাটা কেমন হ্যাং হয়ে আছে। কিন্তু এখান থেকে তো যেতে ও পারছে না, রাত হয়ে গেছে এখন মাটি কি করছে কে জানে।
এদিকে মাটি বাসায় এসে মেঘা কে না পেয়ে চিন্তিত হয়ে পড়লো। ঘরে মেঘার কাপড় চোপড় না পেয়ে বুঝতে পারলো স্কুলে সেই হারুনের কথা তাহলে সত্যি, কিন্তু অনু মিথ্যা বললো কেনো কি তাদের উদ্দেশ্য। মাটি রেগে মেগে ঘর থেকে বের হয়ে গেল, অনুর রুমে গিয়ে এখন জবাবদিহি চাইবে কেন এমনটা করলো। এইসব ভাবতে ভাবতে,অনুর রুমের সামনে আসতেই মাটি শুনতে পেলো রাহিমা বেগম বলছেন _ মেঘার মামাকে ভয় দেখিয়ে এসেছি, যদি ওকে ওখান থেকে আমাদের বাসায় পাঠায় তবে মেঘা এবং মাটি দুইবোন কেই মেরে ফেলব। আমার মনে হয় না এখন আনসার রহমান তার আদরের ভাগনি কে পাঠাবেন।
তখন অনু বললো _ মা ওই লোকটা আসতে আর কতক্ষন, রাত তো হয়ে গেল। মাটি এতোক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝে গেছে আমি ওকে মিথ্যা বলেছি।
রাহিমা বেগম _ ফোন করেছি আমাদের বাড়ির কাছেই এসে পড়েছে, তারপর ওই লোকের হাতে মাটি কে তুলে দিতে পারলেই আপদ বিদায় হবে চিরতরে। আর আমরা ও কিছু টাকা পাবো, তোর বাবা জিগ্গেস করলে বলবি মেঘার সাথে মামার বাড়িতে চলে গেছে।
এসব শুনে মাটি রিতিমত ঘাবড়ে গেল, এরা এতো ভয়ংকর, কান্নায় গলা ভেঙ্গে এলো মাটির। মেঘার কথা খুব মনে পড়ছে এখন, নিজেকে খুব অসহায় লাগছে। এখন এখান থেকে পালাতে হবে। এই ভেবে মাটি দৌড় লাগালো, সিরি ডিঙিয়ে উঠানে আসতেই, একটা লোকের সাথে ধাক্কা লেগে মাটিতে পড়ে গেল।
মাটি দেখতে পেলো,টাই কোর্ট পড়া একজন মাঝবয়সী ভদ্রলোক,,, আসলেই কি লোকটি ভদ্রলোক। ভদ্রলোক টি মাটি কে দেখেই চিনতে পারলো, সাথে সাথে মাটির হাত ধরে টেনে তুললো,আর বলতে লাগলো বাসায় কি কেউ নেই,এই মেয়ে তো পালাচ্ছে। ভদ্রলোকের চিৎকারে উপর থেকে রাহিমা বেগম, অনু নিচে চলে এলো।
মাটি হাত ছুটানোর জন্য জোরাজুরি করছে। রাহিমা বেগম চোখ বড় বড় করে বলে উঠলো _ এই তুই পালাচ্ছিলি।
মাটি ঠোট উল্টিয়ে কান্না করে দিল। তারপর বলতে লাগলো _ চাচী ও চাচী, আমাকে তোমরা ছাইড়া দাও। চাচী তুমি আমার মায়ের মতো, তুমি যা বলবা আমি তাই শুনবো। আমাকে বাঁচাও আমাকে বিক্রি করো না তোমরা। তোমার পায়ে পড়ি।
বলেই কান্নায় ভেঙে পড়লো, রাহিমা বেগম নিষ্ঠুর মানবির ন্যায় দাঁড়িয়ে হাসতে লাগলো। ভদ্রলোকের সামনে দাঁড়িয়ে বলতে লাগলো আমার এমাউন্ট দিয়ে আমার জিনিস আপনি নিয়ে যান।
রাহিমা বেগমের এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে বুঝতে পারলো এরা কখনোই মাটি মারা গেলে ও এদের যায় আসবে না, তাই নিজেকে বাঁচানোর জন্য চিৎকার করে বলতে লাগলো _ কে কোথায় তোমরা আছো গো,আমকে……বাকি কথা বলার আগেই মাটির মুখে টেপ দিয়ে বেঁধে ফেললো, মাটির গায়ের ওড়োনা দিয়ে হাত বেঁধে পা বেঁধে লোকটি মাটি কে গাড়িতে উঠিয়ে দরজা আটকে দিল। লোকটি কিছুক্ষণ রাহিমা বেগমের সাথে কথা বলে, গাড়ি ছেড়ে দিল।
এদিকে মেঘার ভিশন অস্থির লাগছে, তারপর নিজের ব্যাগ থেকে মোবাইল বের আবারো ফেসবুক ইন্সটল দিলো। নিজের একাউন্ট লগ আউট করে এবার বিনা দ্বিধায় মেহমিদ কে নক দিলো। কিন্তু মেহমিদ অনলাইনে না থাকায় কোন রেসপন্স পেলো না।
মেঘা কিছুক্ষণ পাইচারি করে, কি করবে ভেবে, হঠাৎ মাহিদের কথা মনে পড়লো। কিছু না ভেবে মাহিদ কে কল দিতেই, মাহিদ রিসিভ করলো।
ওপাশ থেকে মাহিদ বলে উঠলো _ হ্যা মেঘা কি খবর বলো।
মেঘা _ মাহিদ ভাই আপনি কি ফ্রি আছেন?
মাহিদ _ হ্যা,কি হয়েছে বলো তো। তোমার গলা এমন শুনাচ্ছে কেন?
মেঘা তারপর সবকিছু খুলে বললো, শুধু চেপে গেল নিজের বাবা মায়ের বিষয় টা।
এদিকে মাহিদ চিন্তিত কন্ঠে বলে উঠলো _ কিহ মাটি একা আছে, আর আমি ভাইয়া কে ফোন করে এখুনি সব জানাচ্ছি। তুমি টেনশন নিয়ো না, আর এখন আমি জরুরি কাজে বাসা থেকে বের হচ্ছি,তোমায় পড়ে কল দেই। এই বলে মাহিদ কেটে দিল।
মাহিদ কল কাটতেই মেঘা কিছুটা শান্তি অনুভব করলো। কিন্তু এই মূহুর্তে মেহমিদের পাশে থাকা খুব দরকার। এই ভেবে ফোনের দিকে তাকিয়ে মেহমিদের একটা মেসেজের আশায় বসে রইলো।
এদিকে গাড়ি চলছে আপন গতিতে, গ্ৰামের অলি গলি পেরিয়ে, গ্ৰামের মেঠোপথ ধরে চলতে চলতে গাড়িটি শহরে এসে পড়লো। মাটির শিড়ধারা ভয়ে ঘাম বেয়ে পড়ছে। কি করবে ভাবতে লাগলো, এই চলন্ত গাড়ি থেকে পালানো অসম্ভব, এসব ভাবতে ভাবতেই গাড়িটা একটা পেট্রোল পাম্পে এসে থামলো। লোকটি গাড়ি থেকে নেমে এদিকে আসছে দেখে মরার মতো পরে ঘুমের অভিনয় ধরলো। লোকটি মাটি কে দেখে, একটা লোককে খেয়াল রাখতে বলে কোথায় জেনো একটা চলে গেল। লোকটি চলে যেতেই মাটি মুচরা মুচরি করে হাতের বাঁধন কিছুটা আলগা হয়ে গেল, তারপর হাতের বাঁধন খুলে, পায়ের বাঁধন খুলে ওড়োনা টা গায়ে জরিয়ে গড়ির জানালা দিয়ে উঁকি দিল। দেখতে পেলো , একটা লোক অন্য গাড়িতে পেট্রোল ভরছে, আর আশে পাশে রাস্তায় এতো গাড়ি, লোকের আনাগোনা দেখে মাটি গাড়ির থেকে আস্তে আস্তে নামলো, তখনি একটা লোক দেখে এই মেয়ে দাড়া বলতেই,মাটি দৌড় লাগালো।
লোকটি ও মাটির পিছন পিছন দৌড়াতে লাগলো। মাটি দৌড়াতে দৌড়াতে, একটা ক্লাবের ভেতর ঢুকে গেল, , ক্লাবের ভেতর ঢুকে ছেলে মেয়েদের জরাজরি করে নাচতে দেখে মাটির বমি আসতে শুরু করলো। এ কোথায় এসে পড়লো মাটি। মাটি পিছনে তাকাতেই লোকগুলো কে পেছনে আসতে দেখে দৌড় লাগালো উপরে, মাটি কিছুটা উপরে আসতেই হাঁপিয়ে গেল, তখনি একটা লোক লোক মাটির কাঁধে হাত রাখলো, মাটি ভয়ে পেছনে তাকাতেই, দেখতে পেলো একটা লোক তার দিকে লোভাতুর দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে, যা দেখে ভয়ে মাটির কলিজা শুকিয়ে গেল, লোকটা মাটি কে টেনে ভিতরে নিয়ে যেতে চাইলে মাটি কান্না করতে করতে বাধা দিতে লাগলো, লোকটি মাটির মুখে স্বজোরে থাপ্পর মারলে পেছন থেকে কেউ বলে উঠলো _ এই যে ব্রো মেয়েটি যেতে চাইছে তাহলে জোর করছেন কেন, বলেই ফোনের স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকা ছেলেটি সেই কান্নারত মেয়েটার দিকে তাকালো। তাকিয়ে জেনো মাথার উপর আকাশ ভেঙ্গে পড়লো।
এদিকে মাটি মাহিদ কে দেখে থমকে গেল, হঠাৎ করে মাটি লোকটি কে জোরে ধাক্কা মেরে, দৌড়ে গিয়ে মাহিদের পেছনে লুকালো। মাহিদ অবাক হয়ে কিছু জিজ্ঞেস করতেই যাবে তখনি, ওই লোকটি এসে মাহিদের শার্ট খামচে ধরে বলে উঠলো _ এখান থেকে ভালোই ভালোই চলে যা, নয়তো এখানেই পুতে রেখে দেব শা****। যা। শুনে মাহিদের মাথায় রাক্ত উঠে গেল, পরক্ষনেই মাহিদ আর লোকটির মধ্যে তুমুল ঝগড়া সৃষ্টি হলো। এর মধ্যেই মাহিদের বন্ধু রা এসে দেখতে পেলো এই অবস্থা, লোকটি কে মেরে অবস্থা খারাপ বানিয়ে ফেলেছে, ঝামেলা আরো বাড়বে বলে,মাহিদ কে সেখান থেকে নিয়ে তার বন্ধুরা চলে এলো।
মাহিদ,মাটি কে বাইকের পেছনে বসিয়ে একটা রেস্টুরেন্টে চলে এলো। একটা টেবিলে বসে মাথায় বরফ লাগিয়ে মাহিদ চোখ বন্ধ করে বসে আছে। মাহিদ হাতাহাতির ফলে মাথায় একটু চোট পেয়েছে।
মাহিদ রেগে বলে উঠলো তুমি এখানে এলে কীভাবে মাটি?
মাটি বলে উঠলো _ আমি একটু ওয়াশ রুমে যাবো।
মাহিদ হাত দেখিয়ে বলে উঠলো ওই সাইডে যাও। মাটি বলে উঠলো,না আপনি ও চলেন আমার ভয় লাগছে, বাধ্য হয়ে মাহিদ ও মাটি কে সঙ্গে নিয়ে গেল। ওয়াশ রুমে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে মাহিদ বলে উঠলো _ এইবার যাও।
মাটি কিছুক্ষণ মাহিদের দিকে তাকিয়ে তারপর ফট করে মাহিদ কে জরিয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়লো। মাহিদ খানিকটা অবাক হয়ে পরক্ষনেই মাটির মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলতে লাগলো _ কি হলো মাটি, কাদছো কেন আমাকে বলো। দেখো আমাদের যেতে হবে, বাইরে বন্ধুরা দাঁড়িয়ে আছে।
মাটি তারপর কান্না করতে করতে সবকিছু খুলে বললো। সব শুনে মাহিদ রেগে বলে উঠলো _ হুম বুঝতে পারছি, আমি এখুনি ভাইয়ার সাথে এই বিষয়ে কথা বলবো, তুমি না ওয়াশ রুমে যাবে যাও।
মাটি নাক টানতে টানতে বলে উঠলো _ ওয়াশরুমে যাবো না, আপনাকে জরিয়ে ধরে কান্না করে হালকা হোওয়ার জন্য এখানে এনেছি।
মাহিদ মুচকি হেসে মাটি কে টেবিলে বসিয়ে নিজ হাতে বিরিয়ানি খাইয়ে দিতে লাগলো। এটা দেখে মাহিদের বন্ধুরা টিটকারী মারতে লাগলো। যা শুনে একটু পর পর মাটি লজ্জায় লাল হয়ে যাচ্ছে।
মেঘা বিছানায় শুয়ে শুয়ে ঘরির কাঁটার দিকে তাকিয়ে ছিল, তখন আনসার রহমান এসে বলতে লাগলো, আনোয়ার হোসেন আমার কাছে ফোন দিয়েছিলো। জিগ্যেস করেছিল, মেঘা আর মাটি আমার কাছে কি না, আমি বলেছি মেঘা আমার কাছে কেন? আনোয়ার হোসেন বললেন মাটি নাকি বাসায় নেই।
মায়াবতী পর্ব ১৩
যা শুনে মেঘার ধরফরিয়ে বিছানায় উঠে বসলো, আর সাথে সাথে বলে উঠলো আমি এখুনি যাবো মাটি কে নিয়ে আসতে, আমার বোনের কিছু হলে ওদের খুন করে ফেলবো। তখনি আনসার রহমান বললেন _ তোমাকে আমি এই বাসা থেকে কখনোই যেতে দিব না মেঘা, আমি আমার বোন কে কথা দিয়েছি, তোমার সাথে আমার ছেলের বিয়ে দিব। কালকেই সৌরভ আসছে, ওর সাথে কালকে তোমার কবিন করিয়ে রাখবো এরপর যেখানে খুশি সেখানে যেতে পারবে।
যা শুনে মেঘা চমকে উঠলো।