মি মাফিয়া পর্ব ২২
সুমাইয়া সাবিহা
আআআআআ—–
আরিয়া আফরান কে নিজের পাশে দেখে চিৎকার করলো
আফরান ঘুম থেকে লাফিয়ে উঠলো ,,আহ..কি হয়েছে ?
আরিয়া:আপনি এখানে কেনো?
আফরান:মানে কি?
আরিয়া:আপনি এখানে কেনো?
আফরান কপাল কুচকায়
আরিয়ার চিৎকারের শব্দ শুনে রুমের দরজায় নক করে জাফর, সামিরা।
আরিয়া : আপনি এখানে কি করছেন ,এতো বড় ছেলে একটা মেয়ের রুমে ,,আসতাগফিরুল্লাহ ,,সত্যি বলুন আপনি কি করতে এসেছেন।
আফরান আরিয়ার মুখ চেপে ধরে বললো,চুপ এভাবে চেচাচ্ছো কেনো?
আরিয়া আফরানের হাতের তালুতে কামর দেওয়ার চেষ্টায় বৃথা হয়ে আফরানের কলার দু হাতে ধরে আফরান কে বিছানায় মিশিয়ে আফরানের পেটের উপর বসে ।
আফরান:কি করছো হ্যা? এমন করছো কেনো?
আরিয়া এহন কির্তিতে আফরানের হাত ছোটে যায় আরিয়ার মুখের থেকে ,আপনি এখানে কেনো ? আমি দেখেছি আপনি আমায় বুকে নিয়ে শুয়ে আছেন। সত্যি বলুন খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছেন কিনা। এ্যা আমার সব শেষ হয়ে গেলো গো এ্যা ,,,আরিয়া ন্যাকা কান্না জুড়ে দিলো ।
আফরান আরিয়া কে উল্টো ঘুরিয়ে আকস্মীক আরিয়াকে নিচে ফেলে ,আফরান উপরে আরিয়া নিচে।
আফরান:একদম চুপ থাকো নয়তো সত্যি সত্যি রাতে যা করিনি এখন করবো ।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
আরিয়া : ছিহ আপনি অনেক খারাপ ভাইয়া ছাড়ুন বলছি ।
আফরান কিছু না বলে আরিয়ার উপর থেকে উঠে নিচে নেমে দাড়ালো ।
আরিয়া শুয়া থেকে লাফিয়ে উঠে আফরানের কোলে উঠে গেলো ।
আকস্মীক এমন হওয়ায় আফরান দু কদম পিছিয়ে যায়। ,আরে করছো কি ,পাগলামু বন্ধ করো ,বাহিরে মানুষ দাড়িয়ে আছে দরজা খুলবো।
আরিয়া : আফরানের ঠিক গলার নিচে জোড়ে একটা কামড় বসিয়ে বললো ,এখন দরজা খুলে দিবেন পরে সবাই ভাববে আমরা একসাথে কি করছি আরো কতো কিছু ভাববে ,,আমাকে অসৎ ভাববে । এটাই প্লেন করছেন আপনি তাইনা?
আফরান: তোমার মাথায় যে প্রবলেম আছে আবার প্রমান করার চেষ্টা করছো । নামো বলছি।
আরিয়া : আগে আমার একটা শর্ত আছে ।
আফরান: এখানে আবার কিসের শর্ত জুড়ে দিয়েছো হ্যা? ভয় পাওনা আমায়? একদম মেরে দিবো নামো বলছি ,এতো বড় মেয়ে কোলে উঠতে লজ্জা লাগেনা?
আরিয়া:একদম লাগেনা। শুনুন ,আপনি গিয়ে ওয়াশরুমে লুকিয়ে পড়ুন ।আমি না বললে আসবেন না।
আফরান : হুয়াট?
আরিয়া : যা বললাম তাই
আফরান: বাজে বলা বন্ধ করো
আরিয়া: তাহলে কি করবেন হ্যা? এভাবে বের হবেন নাকি ? খালি শরীর লজ্জা করবেনা?
আফরান : একদম না । তুমি যেমন আমার খালী শরীরে কোলে উঠে বসে আছো তেমন আমিও পারবো ,নু লজ্জা ।
আফরানের কথায় আরিয়া নিচে নামতে চাইলো কিন্তু আফরান এবার নামতে না দিয়ে উল্টো হাতে কোলে তুলে নিলো
আরিয়া কি করছেন? নামান বলছি ।
আফরান : নিজেই তো উঠেছো ,এখন আমার ইচ্ছায় নামবে ।
আরিয়া : এ্যা এ্যা এ্যা
আফরান সোজা গিয়ে দরজা খুলে দিলো । আরিয়া আফরান কে এ অবস্থায় দেখে সামিরার চোখ দুটো গোল গোল রসগোল্লা হয়ে গেলো মনে হয় । জাফর থতমত খেয়ে যায়, যা দেখছে এটা কি আদৌ সত্যি?
আরিয়া ন্যাকা কান্না করে বললো,চাচা আমাকে নামাতে বলো ,আমাকে এখনি ফেলে দিবে।
জাফর কি বলবে বুজতে পারছে না।
আফরান: সাইড মি,
সাথে সাথে সামিরা সরে দাড়ালো ।
আফরান আরিয়া কে নিয়ে চার কদম সামনে যেতে জাফর বলে উঠলেন,এসব হচ্ছে টা কি আফরান? এসবের মানে কি? তুমি এখনো অবুজ?
আফরান: কেনো কিছু হয়েছে?
জাফর: মজা করছো আমার সাথে? বুজতে পারছো না কি বলছি?
আফরান: আ’ম সিরিয়াস ,আই ডোন্ট নো ,
জাফর : তুমি ওর রুমে কেনো এসেছিলে?
আফরান:নিজের মেয়ের হাতের দিকে তাকাও।
আফরানের কথায় আরিয়া ভয় পায় ।
জাফর সামিরার দৃষ্টি আরিয়ার হাতের দিকে ।
সামিরা : ওহ মাই গড কি হয়েছে আরু । কিভাবে কেটেছে ?
আরিয়া হাত লুকনোর বৃথা চেষ্টা চালায়।
জাফর: মামনি তোমার হাতে কি হয়েছে?
আরিয়া : আসলে চাচা হয়েছে কি …
আফরান: কিছুই হয়নি , ন্যাকামু করে কোন ছেলের জন্য হাত কেটেছে তাকে না পেলে মরে যাবে নাকি ,আমি সেটাই জিজ্ঞেস করতে গিয়েছিলাম ।
আরিয়া: আপনি মিথ্যে বলছেন কেনো হা? আমি তো আপনার জন্য রাতে… বলে আবার থেমে যায় ।
আফরান এবার আরিয়া কে কোল থেকে ঠাস করে ফেলে দেয় ।
আরিয়া: আ আ আমার কোমর টা গেলো গো।
আফরান: সব টাই যখন মনে আছে এতোক্ষন ঢং করেছিলে কেনো?
আরিয়া থতমত খেয়ে যায় । কি বলবে সে ? যদি ঢং না করতো সকালে তাহলে কি সে আর কখনো মি.মাফিয়া নামক এই লোকটার সামনে আসতে পারতো লজ্জায় ? এটা কি করে বলবে হুম , একদম বাজে মি,ভিলেন আপনি । আমাকে ফাসিয়ে দেন শুধু।(মনে মনে)
আফরান কপাল কুচকায় ।
জাফর: আমি কিছুই বুজতে পারছি না কি হয়েছে ।
আফরান কিছু না বলে জায়গা ছাড়লো।
আরিয়া কে এবার জাফর পরিস্কার করে বলতে বললো,
আরিয়া : আসলে হয়েছে কি চাচা ,আসলে .. মানে ,
আরিয়া কে এমন তুতলাতে দেখে সামিরা কথা ঘুরিয়ে বললো ,আসলে বাবা,আরিয়া নিশ্চয়ই কোনো অন্যায় করেছিল তাই আফরান ভাইয়া ওকে মেরেছে হয়তো ।
জাফর কপাল কুচকিয়ে বলে ,আমি আফরান কে চিনি ও কোনো কারন ছাড়াই আমার মামনি কে আঘাত করে । নিশ্চয়ই হাতে ঐ বজ্জাত ছেলেই কিছু করেছে তাইনা মা ,তুমি চিন্তা করো না এর একটা ব্যাবস্থা আমি করবোই
আরিয়া কিছু বলতে চায় কিন্তু সুযোগ আর সাহস কোনোটাই নেই এই মুহুর্তে।
জাফর চলে যাওয়ার পর সামিরা আরিয়ার কাছে এসে মুচকি হেসে বললো,সত্যি বল তো কি করছিলিস রুমে দুইজন
আরিয়া হতাশা নিয়ে বললো ,আহ কপাল টা যতোই সোজা চলে ভাগ্য টা ততই বাকা হয় ।
সামিরা :তা রাতে কি একসাথেই ছিলি? চোখ টিপে মুচকি হেসে বললো
আরিয়া হঠাৎ রাতের কথা মনে করে লজ্জায় নিজের মুখের উপর নিজে দুহাত দিয়ে ঢেকে ফেলে।
সমিরা : বাব্বাহ কি লজ্জা রে ,তোদের সময় তোরাই ইনজয় কর আমাদের তো আর এমন রোমান্টিক বয়ফ্রেন্ড বা হাসবেন্ড নেই।
আরিয়া : যাহ তো গেলাম আমি বলে রুমের দিকে পা বাড়ায় ,,
হঠাৎ চোখ যায় দেয়ালে ,রাতের লাল টকটকে রক্ত টা কেমন ব্লাক হয়ে আছে ,আরিয়ার বুকটা ছ্যাত করে উঠে ।
আরিয়া আবার রুম থেকে বের হতে চায় কিন্তু কারনবশত আটকে যায় ।হয়তো উনি এখন শাওয়ার নিচ্ছেন।
আরিয়া নিরাশ হয়ে নিজে ফ্রেশ হয়ে নিচে নামে । মুখে হতাশা নিয়ে টেবিলে বসে ।
আয়শ সেখানেই ছিলো ,আরিয়ার হাতে বেন্ডেজ করা দেখে বললো , তোর হাতে কি হয়েছে?
আরিয়া আয়শের দিকে তাকায় ,কি জবাব দেবে সে এখন? জানা নেই।
সামিরা:হয়তো কোথাও লেগে কেটে গেছে ।
আয়শ সামিরার দিকে তাকিয়ে কপাল কুচকায়।
জাফর: বউমা লুকাচ্ছো কেনো সত্য? আফরান আরিয়া কে আবার মেরেছে।
আয়শের হাত দুটো মুঠো হয়ে আসে কথা টা শুনা মাত্র।চেয়ার থেকে দাড়িয়ে যায় ।
আরিয়া: আসলে ভাইয়া তেমন কিছুই হয়নি ,আফরান ভাইয়া কিছু করে….কথা শেষ হওয়ার আগে আফরান উপর থেকে নামতে নামতে শার্টের হাতা ফোল্ড করতে করতে বললো ,,
কারো কাছে হিসেব দেওয়ার অনুমতি দিয়েছিলাম বুঝি?
আফরানের কথায় আড়িয়া ভীত হয় ।
আয়শ: তুই কিরে ? তোর কি লজ্জা বলতে কিছু নেই? এইটুকু মেয়েটার উপর এতো টরচার করতে তোর বুক কাপেনা?
আফরান: নিজের বউকে কেয়ার করতে শিখ তারপর অন্যের বউ নিয়ে কথা বলিস ,অন্যথা বেমানান।
আয়শ রাগে ফুসছে ।
আফরান :আমি গাড়িতে আছি ২ মিনিটে আসবি ।
আফরানের কথার মানে টা কারো বোধগম্য হলো না ।
আফরান আরিয়ার দিকে তাকিয়ে কপাল কুচকায় ।
আরিয়া : ১ মিনিট দাড়ান বলে আরিয়া উপরের দিকে দৌড়🤦 ।
কেউ কিছুই বুজলো না কাকে কি বলছে । আফরান বিরক্তি নিয়ে দাড়ালো ,এই মেয়েটা তাকে পাগল বানিয়ে ছাড়বে তার কথার উপর কথা না বললে হয়না । উফ
আরিয়া মিনিটের মাথায় সিড়ি বেয়ে দৌড়ে আসতে চায় কিন্তু দ্রুততার কারনে পায়ে হোচট খেয়ে …আআহ
শেষের তিনটা সিড়ি বেয়ে গড়িয়ে পড়ে ফ্লোড়ে।
জাফর সামিরা মুহুর্তেই শক্ড খেলো ,চেয়ার ছেরে দ্রুত আসলো ,,,
আফরান আরিয়াকে ধমকাচ্ছে ,একটু আগে দুটো চর বসিয়েছে গালে ,,আফরানের আচরন কারো বোধগম্য হচ্ছে না ,
জাফর : মেয়েটা পায়ে ব্যাথা পেয়েছে আর তুই ওকে মারছিস ,,এখান থেকে চলে যাহ বলছি বেয়াদব ছেলে ,তোর মতো সন্তান আমার লাগবেনা ।বলে আরিয়ার পাশে বসে মাথায় হাত বুলাতে লাগলো।
আফরানের চোখ দুটো রাগে লাল হয়ে আছে : এখনো মারের কি দেখেছিস হ্যা ? এভাবে তোকে আসতে কে বলেছে ? আমি বলেছিলাম উপরে যেতে?সব কিছুতে পন্ডিতি না করলে হয়না?
থাপড়িয়ে সোজা বানিয়ে দিবো ,আর বাবা তোমরা এটাকে আদর করে করে মাথায় তুলেছো ,এখন যদি বড় কিছু একটা হয়ে যেতো হ্যা? কি করতে? বলো ,এর দায় কে নিতো?
এই মেয়ে নিজেকে কি সুপারম্যান ভাবো? (আরিয়াকে লক্ষ্য করে)
আরিয়া : আমি বুঝিনি তো ,আর…
আফরান: আবার মুখের উপর কথা বলছো ,,উপরে কি ছিলো হ্যা ? এটার এতোই তারা ছিলো।
জাফর : আফরান তোমাকে এখানে বসে জ্ঞান দিতে বলেনি ও ,তোমাকে ভয় পাচ্ছে দেখছো না? চলে যাও এখান থেকে ।
আয়শ : তুই এখান থেকে চলে যা,আরিয়া তোকে ভয় পাচ্ছে কেনো বুজতে পারছিস না।তার উপর ব্যাথা পেয়েছে আর তুই বকেই চলেছিস।
আফরান দু হাত মুঠো করে দাড়িয়ে আয়শের কলার ধরে বলে ,একদম এক্সট্রা কথা বলবি না ,নিজের জিনিস বলতে কি বুজিস? শুধুই উপভোগ করা? নিজের কাজে যাহ তোর জন্য ভালো হবে ।বলে কলার ছেড়ে আরিয়ার পায়ের কাছে বসে ,একজন সার্ভেন্ড কে বললো ,বরফ নিয়ে আসতে।
কয়েক সেকেন্ডের মাথায় সার্ভেন্ট বরফ নিয়ে এসে আফরান কে দেয় ,আফরান আলতো হাতে আরিয়ার ছিলে যাওয়া ও লাল হয়ে যাওয়া জায়গা গুলো তে মালিস করতে থাকে ।
আরিয়ার কাছে বিষয় টা আনইজি ফিল হচ্ছে , আফরানের পায়ে হাত দেয়াটা বোধয় তার পছন্দ হয়নি ,বললো: ভাইয়া এটা লাগবে না আপনি…..
আফরান আরিয়ার গালে আরেকটা থাপ্পড় বসিয়ে বললো ,অনেক বড় হয়ে গেছিস তাইনা?
এখানে যা হচ্ছে সার্ভেন্ট রা সহ জাফর সবাই অবাক দৃষ্টে দেখছে ,আফরান চৌধুরী ও কাউকে এমন যত্ন করতে পারে.. ওহ সরি এটাকে যত্ন বলে নাকি অন্যকিছু সেটা সত্যি বিস্ময়ের বিষয়।
আচ্ছা, একদিকে যত্ন করছে আবার অন্যহাতে থাপ্পড় ও গালে পরছে এটাকে কি বলে?
– কারো জানা নেই বোধহয়
জাফর: এমন আদিক্ষেতা করছো কেনো? আবার নিজেই মারছো ? এটাকে ন্যাকামু ছাড়া কি বলে ?
আফরান: যতোসব আজগুবী কথা ছাড়ো ,আর এটাকে মার না খাওয়াতে চাইলে বলে দিও যেনো ঠিক মতো চলা ফেরা করে নয়তো একদম মেরে দিবো। হাড়গুড় ও খুজে পাবেনা বলে দিলাম।
বলে আফরান উঠে চলে যেতে নেয় তখনী আরিয়া বলে ,আরে আপনি কোথায় যাচ্ছেন?
আফরান কপাল কুচকে পেছনে তাকিয়ে বলে,কোথায় যাচ্ছি তোকে বলে যেতে হবে?
আরিয়া :সেটা লাগবেনা ,কিন্তু…. বলেই উঠে দাড়াতে চেষ্টা করে কিন্তু বৃথা হয়
আফরান এবার তেতে উঠে আরিয়ার ডান হাত ধরে টানতে টানতে উপরে নিয়ে যায়।
আরিয়া:আহ করছেন টা কি ছাড়ুন টা,হাঁটতে পারছিনা তো।
আফরানের মুখে কথা নেই।
সবাই শুধু এদের কাহিনি দেখছে কি বলছে কি করছে ,কিছুই কারো বোধগম্য হচ্ছে না।
জাফর : দেখলি কেমন পর্যায়ে চলে গেছে এই বেয়াদব টা ,হাটতে পারছেনা তাও কিভাবে টেনে হেচড়ে নিয়ে গেলো। সীমার বাহিরে চলে গেছে।আজকেই কিছু একটা ব্যাবস্থা আমি করবো।
সামিরা মনে মনে ভাবছে ,আফরান ভাইয়াকে এখানে কেউ না বুজলেও আমি ঠিক বুজতে পারছি উনি এভাবে কেনো নিয়ে গেছেন ,আরু যে হাটতে পারছিলো না ,সেটা দেখেই হাটার চেষ্টা করানোর জন্য এমন করেছে নয়তো বেশ কিছুদিন সময় লাগতো ঠিক হতে ,,আচ্ছা এতোটা ভালোবাসা আফরান ভাইয়ার মতো মানুষের মনেও আছে আরুর জন্য ,বলেই স্মীত হাসলো।
লতা: আফামনি আমনে হাসতাছেন আর ঐদিকে নাজানি ছোট আফামনিরে মাইরা শরীরের হাড্ডি গুলো ভাইঙ্গা লাইতাছে।
সামিরা: তুমি বুজবা না খালা ,বলে মুচকি হেসে নিজের রুমের দিকে পা বাড়াৎ….
আরিয়া:আপনার মনে কি মায়া দয়া বলতে কিছু নেই?
আফরান: নাহ নেই ,হয়েছে? ওভাবে দৌড়াচ্ছিলিস কেনো তখন? এমন ভাবে নিজের খেয়াল না রাখলে তোকে কি করে ফেলবো কখন নিজেও জানিনা বুজলি ? মাথা গরম করে দিস কেনো সব সময় ? একটু শান্তিতে থাকতে দিবিনা? (ধমকিয়ে)
আরিয়া:ঠিক আছে লাগবেনা। বলে আফরানের কাটা হাত টা ধরতে চাইলো ,আফরান সরিয়ে নিয়ে বললো,কি করবে ? সব সময় আমার উপরে যেতে চাও কেনো বলো? একটু কথা শুনলে তোমার এতো অসুবিধে কেনো হয় ?
আরিয়া কপাল কুচকে আবার আফরানের হাত টা ধরতে চাইলো ,আবারো আফরান ঝাড়া দিয়ে বললো,, একদম আদর দেখাবে আমার রাগ কিন্তু এমনি এমনি সেরে যাবেনা ।
আরিয়া : আমি কখন আপনার রাগ ভাঙাতে চাইলাম বলুন তো ,বলে একপ্রকার জোড় করেই হাত টা কাছে নিয়ে ,ছোট একটা মলম বের করে কাটা জায়গায় লাগিয়ে দিতে লাগলো ,
আফরান: এটা কোথা থেকে নিলে?
আরিয়া: এটাই তো নিয়ে আসছিলাম উপর থেকে, কে জানতো ওমন পরে যাবো। রাতে আপনার হাতে অনেক ব্যাথা লেগেছে জানি আমি ।
আফরান কপাল কুচকায়,তোমাকে এতো কিছু ভাবতে আমি বলেছি? যেটা বলি ঐটা তো করো না আর যেটা বলিনা ঐটা নিয়ে বাড়াবাঢ়ি কেনো করো হুম ,,
আরিয়া : ইচ্ছে হয় তাই।
আফরান: আমার ইচ্ছের কোনো মুল্য নেই?
আরিয়া: সেটা কখন বললাম?
আফরান: আমার কাজ আছে আর তাছাড়া আজ আরেকটু বেশি কাজ আছে বের হতে হবে।
আরিয়া : আমাকে নিয়ে যাবেন বললেন যে তখন!
আফরান: তখন বলেছি এখন লাগবেনা ।অন্য দিন হলেও চলবে । পা ভালো হোক তারপর
আরিয়া: আরে এতো বেশি ব্যাথা পাইনি তো।
আফরান: সেটা তোমার বলতে হবেনা । আর আমার রুম থেকে এই রুমের ডুব্লিকেট চাবি কেনো আনলে?
আরিয়া: আ.. আমি কখন আনলাম ? আমি আনিনি সত্যি
মি মাফিয়া পর্ব ২১
আফরান কপাল কুচকে বলে ,ঠিক আছে আমি আরেকটা বানিয়ে নেবো কিন্তু একদম আমার সাথে চালাকি করার চেষ্টা করবেনা।
থাকো তুমি আমি গেলাম আর হাটার চেষ্টা করো আমি যেনো এসে পা ভালো দেখি নয়তো কি হবে …
আরিয়া: আরে ,হুমকি দিচ্ছেন কেনো? আমি ট্রাই করবো তো।