মি মাফিয়া পর্ব ২৬

মি মাফিয়া পর্ব ২৬
সুমাইয়া সাবিহা

আফরান গভীর ঘুমে ,হঠাৎ কারো স্পর্শ্বে পাশ ফিরে কিন্তু ঘুম ভাঙেনি ।
আরিয়া আফরানের মাথার কাছে খাটের নিচে বসে একটু পর পর উকি দিচ্ছে আফরান কে দেখার জন্য কিন্তু ডিম লাইটের আলোতে চেহারা ততটা স্পষ্ট নয় তাই বারবার হাটু গেড়ে বসে একদম কাছ থেকে দেখার চেষ্টা করছে ,আর জানালা দিয়ে আসা হালকা হাওয়া রুমেও উকি মেরে আফরানের সিল্কি চুল কপালের উপর ফেলে দিয়ে চলে যাচ্ছে তাই আরিয়া আফরানের চুল গুলো মুখের উপর থেকে সরিয়ে দিচ্ছে ।
অবশ্য আরিয়াও ঘুমিয়ে ছিলো কিন্তু হঠাৎ ঘুম ভেঙে যাওয়ায় মি,মাফিয়া কে দেখতে খুব ইচ্ছে হচ্ছিলো তাইতো কিছু না ভেবেই পা টিপে টিপে রুমে ঢুকে আফরানের মাথার কাছে গিয়ে ফ্লোরে বসে পরে ।
বরাবরের মতো বাইরের হালকা স্নীগ্ধ হাওয়ায় আফরানের চুল গুলো সামনে আসায় আরিয়া চুল গুলো সরিয়ে দিতে গেলে আফরান আরিয়ার হাত ধরে চোখ বন্ধ রেখেই বলে ,,দেখা শেষ হলে গিয়ে ঘুমা এখন ,নিজের ঘুমটার সাথে আমার টাও খাসনা ।

আরিয়া ভীত গলায়: আ..আপনি ঘুমান নি?
আফরান :ঘুমতে দিলি কই তখন থেকে ডিস্টার্ব করে যাচ্ছিস
আরিয়া: আমি তো ভাবছি ঘুমচ্ছেন তাইতো এসেছি ।
আফরান : এতো প্রশ্ন করে করে মাথা না খেয়ে ঘুমা গিয়ে ।
আরিয়া লাইট টা একটু অন করি?
আফরান: ওহ এতো পেচাল পারছিস কেনো? আমাকে না জালালে তোর শান্তি হয় না?
আরিয়া: ওকে লাগবেনা ।বলে ভেংচি কেটে বলে ,হাত ছাড়ুন চলে যাই ।
আফরান হাত ছেরে দেয় ,আরিয়া উঠে কদম ফেলতেই আফরানের শান্ত গলা ,বললো , মাথা টা ব্যাথা করছে টিপে দিবি ?

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

আরিয়া যেনো না চাইতে অনেক কিছু পেয়ে গেছে ,এক লাফে খাটে উঠে পাশে বসে আফরানের মাথায় হাত রাখলো।
আফরান বালিশ থেকে একটু নিচে নেমে আরিয়ার কোলে মাথা রেখে বললো ,,ঘুমোসনি?
আরিয়া : ঘুমিয়ে ছিলাম তো ,কিন্তু হঠাৎঘুম ভেঙে গিয়েছিলো পরে আপনাকে দেখতে ইচ্ছে করছিলো তাইতো চলে আসলাম । কিন্তু দেখতে পারলাম কই ,এইটুকু আলোতে দেখা যায় নাকি ,উম ,,,
আফরান স্মীত হেসে বললো ,খুব ইচ্ছে করছিলো বুঝি?
আরিয়া: নাহলে আসতাম নাকি এতো রাত্রে ,
আফরান বাম হাতে ল্যাম্ট লাইট টা জালিয়ে দিয়ে বললো ,এখন ওকে?
আরিয়ার মুখে হাসির ঝলক ,উৎফুল্ল কন্ঠে বললো ,,ওকে ,
আফরান : ওমন করে মায়ায় ফেলে আটকে দিয়েছিলি ছোট বেলা ।
আরিয়া: ঠিক বুজলাম না
আফরান: বুজবি না ,মাথায় কি ব্রেইন আছে নাকি আছে তো খালি …
আরিয়া: একদম অপমান দিবেন না বলে দিলাম ,আমি সব বুঝি কিন্তু আপনি কি বুজাতে চাইছেন সেটা জিজ্ঞেস করলাম

আফরান : এতো কথা বলিস কেনো হুম ? কি বললাম শুনিসনি ,মাথা ব্যাথা করছে ভালো করে টিপে দে আর চুপ থাক একদম।
আরিয়া আর একটা কথাও বলবেনা বলে ঠিক করলো ,কেনো বলবে ? বললেই তো কথা শুনায় ,নিজেই শুরু করলো আমি জিজ্ঞেস করলাম তাতে এমন ধমকাবেন ,লাগবেনা কথা বলা ,(মনে মনে)
ক্ষনিক বাদে আফরান নিজেই বললো ,: যখন আস্তে আস্তে তোর প্রতি অনেক টা মায়া হতে লাগলো আমায় ছাড়া কিছু বুজতিস না তখন খুব করে চাইতাম কবে বড় হবি তুই ,আর এতো আদর দিবো তোকে । কিন্তু তুই তো একদম পচা ছিলি ,তাইতো এসে পরেছিলাম কতবার করে চেয়েছিলাম যেনো একবার বলিস থেকে যেতে কিন্তু তুই বলিসনি একটা বার ও না ,তাইতো রাগ করে আর যাইনি । ভেবেছিলাম একদম মেরে দেবো তোকে কিন্তু পারিনি । ভাবতে পারছিস তখন থেকেই কতো মায়ায় ফেলে দিয়েছিলি।
আরিয়া কিছু বুজতে পারছে না শুধু শুনে যাচ্ছে ,,আর জিজ্ঞাসাও করবেনা ,করে লাভ কি উত্তর তো দেবেন না শুধু শুধু কথা শুনে লাভ আছে?

আফরান আরিয়ার চুপ থাকার কারন বুঝে স্মীত হাসলো ,
এবার আফরানও চুপ করলো ,,আরিয়া মাথা টিপে দিচ্ছে ,আকস্মীক পেটে ছোয়া পেতে আরিয়া কেপে উঠে, বললো ,ভাইয়া আপনি ঘুমান আমি এখন যাই ।
আফরান কোনো কথা বললো না ,আরিয়া আফরানের মাথাটা বালিশে রাখার চেষ্টা করলো কিন্তু আফরান যে ইচ্ছে করেই যাচ্ছে না সেটা বুজতে পারছে ।
আরিয়া: ভাইয়া আমিও ঘুমোবো ,ঘুম পেয়েছে ।
আফরান আরিয়ার কথা শুনলো কিনা জানেনা তবে আরিয়ার কোল থেকে উঠে বসে আরিয়ার দিকে তাকিয়ে ডান হাতে আরিয়ার নরম গালে আলতো হাতে স্পর্শ্ব করে আরিয়ার চোখের পাতায় একটি করে দুটি চুমু একে দিয়ে বললো , এখানে ঘুমোবি?
আরিয়া থতমত খায় : এখানে কেনো আমি আমার রুমে যাই ।
আফরান আরিয়া কে দুহাতে ধরে নিজের কোলে বসালো ,আরিয়ার পিঠ আফরানের বুকে । আফরানের হাত দুটো আরিয়াকে জড়িয়ে রেখেছে ।আফরানের থুতনি আরিয়ার কাধে ,
আফরান আরিয়া দুজনেই চোখ বন্ধ করে আছে ,

আফরান:এভাবে খুব শান্তি জানিস ,, সারাদিন যখন বাহির থেকে বাসায় আসি তোকে দেখতে খুব ইচ্ছে হয় , এসে জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে হয় খুব ,, জানিস আমার এখন ওসব খুন খারাবী একদম ভালো লাগেনা কিন্তু এখন এসব ছেড়ে দিলে যারা পেছনে লেগে আছে ,আমাদের মেরে দিবে ,কিন্তু আমি তোর সাথে অনেক বছর বাচতে চাই আরু , আমার পাশে থাকবি বল ।
আরিয়া চোখ বন্ধ করে আছে কোনো কথা বলছে না ,আচ্ছা উনিও এতো সুন্দর ভাবে কথা বলতে পারেন ? এটা জানা ছিলো না তো ।
আফরান: কি হলো ঘুমিয়ে গেলি?
আরিয়া : উহুম
আফরান : তাহলে কিছু বলছিস না কেনো
আরিয়া : আপনার কথা শুনতে ভালো লাগে ।
আফরান মৃদু হেসে আরিয়ার ঘারে চুমু বসায় ।
আরিয়া কেপে উঠে ।

আফরানের এই বিষয় টা ভালোই লাগে ,প্রায় সময় খেয়াল করে ,আরিয়া এমন হঠাৎ হঠাৎ কেপে উঠে ,কিন্তু আফরানের এটার মানে জানা নেই ।
আফরান: একটা কথা জিজ্ঞেস করবো ?
আরিয়া: হুম
আফরান : আমাকে ভয় পাও বেশি?
আরিয়া কি বলবে জানা নেই ,
আমি জানিনা ,কিন্তু আপনার কাছে থাকলে ভালো লাগে কিন্তু কখনো আবার খুব ভয় পাই
আরিয়ার উত্তর শুনে আফরান স্মীত হাসে । আবারো ঘারে চুমু বসায় ।
আরিয়া: সারা রাত এভাবে গল্প করবেন আমার সাথে ?
আফরান কপাল কুচকে হালকা কামড় বসায় গালের কোনে।
আরিয়া : কি করছেন ,ওহ

আফরান : মার চিনিস ? ঘুমা গিয়ে বলে আরিয়া কে ছেড়ে দেয় ।
আরিয়া এবার সামনের দিক থেকে আফরানের কোলে উঠে বসে বলে ,থাকিনা ঐ ,এমন করছেন কেনো ।
আফরান : এবার কিন্তু সত্যি মার খাবি ,আমার ঘুমটার বারোটা বাজিয়েছিস ,যেটুকু সময় আছে ঐটুকু ঘুমোবো ,এখন এখান থেকে যা বলছি ,নয়তো মার খাবি।
আরিয়া আফরান কে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বললো ,,থাকিনা ,প্লীজ প্লীজ প্লীজ ।
আফরান আরিয়ার এমন ন্যাকামো তে শায় না দিয়ে পারলো না ,,
আচ্ছা সব মেয়েরাই কি এমন মায়াবিনী হয় ?এমন পাগলামু করে?
আরিয়া আফরানের বুকে মাথা রেখে বললো ,তখন যে সাইন নিয়েছিলেন ,ওগুলো কিসের ছিলো ?
আফরান : তোমার জেনে কাজ নেই । চলো দুজনে ঘুমাই।বলে আফরান ঐভাবেই আরিয়াকে কোলে নিয়েই শুয়ে পড়লো আরিয়াকে ।
আরিয়া: আপনার কথা গুলো খুব মিষ্টি ,,বলুন না শুনবো ,খুব ভালো লাগে ।
আফরান : চুপ একদম ,,ঘুমাও ,
আরিয়া কয়েকবার বায়না করে কিন্তু আফরান এখন আর কিছু বলার মুডে নেই ,খুব ঘুম পাচ্ছে তার ।
আফরান আরিয়ার মাথায় হাত বুলিয়ে বলে ,কাল শুনাবো হুম । এখন ঘুমাও লক্ষী মেয়ের মতো ।
আরিয়া আফরানের এই মায়া ভরা কথাটার অমর্যাদা করতে পারলো না ,তাই সুন্দর ভাবে আফরানের বুকে মুখ গুজালো।

প্রেমা: ওহ আর ভালো লাগছে না এই পেট মুটা স্যারের ক্লাস করতে ,কতো বোড়িং ,বলে বেন্চে মাথা রাখলো ,
সামিরা : আমারো ঘুম পাচ্ছে খুব ,,এই ক্লাস টা সত্যিই খুব বোড়িং।বলে হামি কাটলো ।
আরিয়া : তোরা যাই বল এই টাকলা স্যারের ক্লাস কিন্তু বেশ মজার , দেখ কেমন চশমার উপর দিয়ে বইয়ে তাকাচ্ছে তাহলে চশমা কেনো পড়েছে? বলে হু হু করে হাসতে লাগলো ,
সামিয়া: তুই থামবি? বাড়ি যাবো ভালো লাগছে না আর ।
প্রেমা : তা তুই বাড়ির জন্য এতো উতোলা কেনো হয়ে যাচ্ছিস? বর কে ছাড়া মন বসেনা বুঝি ।
সামিরা: রাগ উঠাস না তো ,,আর উনি কি এখন বাসায় থাকবে নাকি ,কাজ নেই ।
প্রেমা : হা রে ,আয়শ ভাইয়া কি সত্যি বিয়েটা বাধ্য হয়েই করেছিলো? কিন্তু কেনো রে‌? বল না ।
সামিরা: সেটা যদি আমি জানতাম তবেই তো বলতাম ।
কথার আওয়াজ শুনে সালাউদ্দিন স্যার চশমা নাকের ডগায় নামিয়ে বললো,,এই কারা কথা বলছে ?
স্যারের কথায় সবাই চুপসে যায় ।

সালাউদ্দীন স্যার বললো : নিজে থেকে দাড়াবা নাকি মার খাবা ।
স্যারের কথায় প্রেমা ভিত হয়ে দাড়িয়ে বললো ,স্যার আর হবেনা সরি ।
সালাউদ্দিন : তোমার সাথে আর কে কে কথা বলেছে?
সামিরা আর আরিয়া সোজা ভদ্র মেয়ের মতো দাড়ালো ।
সালাউদ্দিন: এখন ক্লাস রুম থেকে বের হয়ে যাও , কদিন বাদে পরিক্ষা সেই খেয়াল আছে তোমাদের?
আরিয়া: সরি স্যার ।

সালাউদ্দিন : কোনো এক্সেউজ চাইনা ,,বের হয়ে যাও।
প্রথমে না গেলেও পরে স্যারের ধমক শুনে তিনজন মাথা নতো করে বের হয়ে যায় ।
তিনজন হাটতে হাটতে ক্যাম্পাসে গিয়ে স্টিলের বেন্চের উপর বসে হু হু করে হাসতে লাগলো।
প্রেমা : ভালোই হলো কি বলিস এমনিতেই বোড়িং হচ্চিলাম
আরিয়া: উহুম,,ইশ কেউ যদি এখন দেখে, বল তো কি লজ্জা টায় পরতে হবে😑
সামিরা : বাদ দে ,চল কোথাও ঘুরে আসি ,
প্রেমা : ঠিক বলেছিস ,সামনের পার্ক টাতে যাই চল।
আরিয়া: এমা কি বলিস,,এই দুই বছরেও সেখানে যাইনি আজ যাবো কেনো? ঐখানে নোংরা নোংরা মানুষ থাকে জানিস না।

সামিরা: ঠিক বলেছিস কাপল আর কাপল ,,সরাসরি সবার সামনেই কতো কি করে ছি, ঐখানে যাবো না।
প্রেমা: কি হয়েছে চল আজ গিয়ে একটু ফিল নিয়ে আসি ।
প্রেমার কথার রেশ ধরে একটা ছেলে সামনে থেকে বললো,,চলো সোনা ,একটু ফিল নেই দুজনে ,,পেছনে থাকা বন্ধুদের উদ্দেশ্যে বললো,কি বলিশ ,একদম পারফেক্ট আছে না ? আমরাও তিনজন ,এরাও তিনজন ,,তিনটাই হেব্বি মাল।
পেছনে থাকা একটা ছেলে বললো, ঠিক কইছেন ভাই ।
আরিয়া সামিরা প্রেমা ভয়ে দাড়িয়ে বলো ,আপনারা কারা? এর আগে তো এখানে দেখিনি?
সামনের ছেলেটা বললো ,আগে দেখো নি তো কি হয়েছে এখন দেখবে ,
আরিয়া: আপনারা এতো এখান থেকে চলে যান ,আপনারা খুব বাজে
-চলে তো যাবো সোনা ,আগে তোমাকে দিয়ে একটু ফিল নেই ,
সামিরা: এই চল এখান থেকে আমরাই চলে যাই এখানে এদের সাথে কথা বলে লাভ নেই ,বলে সামনে এক কদম ফেলতে সামনের ছেলেটা সামিরার হাত ধরে বলে ,এতো তেজ কেনো শরীরে সোনা? মিটানোর মতো কেউ নেই বুঝি?

আরিয়া ছেলেটার গালে থাপ্পর বসিয়ে বললো ,সাহস কি করে হয় ওর হাত ধরার? ছাড়ুন বলছি ,আমরা আপনাদের মতো খারাপ নই ,সাইড দিন চলে যাই ।
ছেলেটা গালে হাত রেখে সামিরার হাত ছেড়ে আরিয়া চুলের মুঠি ধরে বললো ,তোর এতো বড় সাহস,চ্যায়ারমেনের ছেলের গায়ে হাত তুলিস ,তুই জানিস তোর কি হাল হতে পারে?
প্রেমা : কি করছেন আপরানা ,ওকে ছেড়ে দিন বলছি ,নাহলে আপরানা একটাও বেচে ফিরতে পারবেন না ,আপনাদের আইডিয়া নেই কার গায়ে হাত তুলেছেন ।
ছেলে গুলো হাসতে হাসতে বললো ,এই মেয়ে কি বলছে শুনিস ,মনে হয় কোনো গুন্ডা মাফিয়ার ফ্যামিলি এরা ,,
আরিয়া: আহ ছাড়ুন , আমার লাগছে বলছি ,,

সামিরা: কি করছেন ছাড়ুন বলছি ,আরু ব্যাথা পাচ্ছে ।
ছেলেটা ভিলেনি হেসে বললো,এদের প্রত্যেক টার তো দেখি তেজ ,তা তোরা কে কোনটা টেষ্ট করতে চাচ্ছিস? নিয়ে যা আমার তো এটাকেই লাগবে,আমার গায়ে হাত দেওয়ার সাহস আমি একে দেখাবো ।
এমন সময় একটা মোটা সোটা গঠন আকৃতির মানুষ এসে ,,ছেলেটার হাতে আকস্মীক ছুড়ি দিয়ে ২ একের পর এক আক টানলো ,সাথে সাথে ছেলেটা আরিয়া কে ছেড়ে দেয় । ছেলের হাত থেকে রক্ত বের হতে থাকে ,এই তুই কেরে ,,এটা কি করলি? তোর মাথা ঠিক আছে? এমন ভাবে হঠাৎ কেউ মারে?

মি মাফিয়া পর্ব ২৫ (২)

লোকটা ছেলেটার কথায় পাত্তা না দিয়ে আরিয়ার দিকে ফিরে মাথা নতো করে বললো ,ম্যাম সরি ,আসলে আমি বুজতে পারিনি আপনি এভাবে হঠাৎ ক্লাসের মাঝে বের হবেন ,কখনো তো বের হননি ,,আমি একটু বের হয়েছিলাম আমায় মাফ করবেন।
আরিয়া কিছু বুঝলো না ।
তারপর…….

মি মাফিয়া পর্ব ২৭