মেহরিনের সপ্নরঙ পর্ব ৯
মির্জা সূচনা
সবাই খুব চিন্তিত। মেহরিনার বাবা এক পাশে দাঁড়িয়ে আছে উনি এখনো মেনে নিতে পারছেন না উনারা হাসিখুশি মেয়েটা এভাবে হসপিটালের বেডে শুয়ে আছে। জীবন মরণের সাথে লড়াই করে যাচ্ছে প্রতি মুহূর্তে।
ঠিক তখনই ডাক্তার বেরিয়ে আসে,
রিদ ছুটে গিয়ে ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করলো,
ডাক্তার, মেহরিন কেমন আছে ঠিক আছে তো ?
ডক্টর বলল :দেখুন আমরা সপটা দিয়ে চেষ্টা করছি কিন্তু উনার অবস্থা ক্রমাগত খারাপের দিকে যাচ্ছে ।
রিদ বলে প্লিজ… কিছু একটা করুন… মেহরিনকে বাঁচান। ও… ওর কিছু হলে আমি… আমি…
গলা ধরে গেলো রিদের। প্রথমবারের মতো, কঠিন মুখের ছেলেটা হেরে গেলো চোখের জলে।
ডাক্তার বেরিয়ে আসে সবাই ডাক্তারের কাছে এসেছিলো কিন্তু রিদয়ের এমন অবস্থা দেখে সবাই অবাক হয়।
চিকিৎসক বললো,
মাথায় আঘাত খুব গুরুতর। আমরা চেষ্টা করছি। এই মুহূর্তে প্রার্থনা ছাড়া আর কিছু করার নেই।
রিদ হাত মুঠো করে দাঁড়িয়ে ছিল করিডোরের দেয়ালে ঠেস দিয়ে। মনে মনে বারবার বলছিল,
মেহরিন… তুমি ছেড়ে যেতে পারো না। আমি এখনো তো তোমায় বলা হয়নি — আমি তোমায় কতটা ভালোবাসি…
ডাক্তার বললেন, শুনুন মি. তালুকদার নিজেকে শান্ত রাখুন ভেঙে পড়বেন না।আমরা আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করব পেশেন্টকে বাঁচানোর।
রক্তক্ষরণ খুব বেশি হয়েছে। ওর জন্য এখনই AB- রক্ত দরকার। কিন্তু আমাদের ব্লাডব্যাঙ্কে এই গ্রুপের রক্ত নেই। দ্রুত ব্যবস্থা করতে হবে, নাহলে…?
ডাক্তার আর কিছু বললেন না। কিন্তু রিদের চোখের সামনে যেন অন্ধকার নেমে এলো।
চুমকি ভয়ে ফুঁপিয়ে উঠলো,
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
AB-… এতো রেয়ার গ্রুপ… এখন কোথা থেকে পাবো?
মেহরিন মৃত্যুর সাথে যুদ্ধ করছে।
হাসপাতালের করিডোরে সবার ভয়াবহ ছুটোছুটি —
শান্ত, সাথী, মৌ, চুমকি, মাহির, মেহবুবা, রাকিব, রিদ মেহরিনের বাবা — কেউ থামছে না।
চেনা-অচেনা সবাইকে ফোন করা হচ্ছে, হাসপাতাল ঘুরে বেড়ানো হচ্ছে — কিন্তু AB- রক্ত কেউ পাচ্ছে না।
চুমকি কান্নায় ভেঙে পড়েছে। শান্ত অসহায় চোখে তাকিয়ে আছে। মাহিরের মুখে গভীর আতঙ্ক।
রিদ ভেতরে ভেতরে ভেঙে পড়ছে, কিন্তু বাইরে থেকে শক্ত থাকার চেষ্টা করছে।
ঠিক তখনই হাসপাতালের গেটে একটা গাড়ি এসে থামে।
নেমে আসে ডাক্তার শামীমা তালুকদার — রিদের কাকিমণি ও রাহি। রাহির কান্না করতে করতে অবস্থা খারাপ। অল্প দিনের পরিচয় হলেও মেহেরিনকে অনেক ভালোবাসে রাহি।শান্ত ফোন করে জানিয়েছিল ওদের।
শামিমা তালুকদার কে দেখে রিদ দৌড়ে ছুটে যায় তার দিকে, দুই হাতে ধরে ফেলে।
চোখে আকুতি, কণ্ঠে কাঁপুনি:
কাকিমণি… প্লিজ… তুমি মেহরিনকে বাঁচাও… আমি… আমি আর পারছি না…
ডাক্তার শামীমা তালুকদার মুহূর্তেই রিদকে জড়িয়ে ধরে শান্ত করে।
তারপর দৃঢ় গলায় বললেন,
আমি এখানে আছি, তো। আমি ওকে কিছু হতে দেবো না। তুমি শক্ত হও।
ডাক্তার শামীমা দ্রুত মেহরিনের রিপোর্ট চেক করলেন।
তৎক্ষণাৎ জরুরি টিম তৈরি করালেন।
নিজ হাতে পুরো পরিস্থিতি সামলাতে লাগলেন — ওষুধ, রক্ত ম্যানেজ, সবকিছু নিজের কাঁধে তুলে নিলেন।
কিন্তু মেহরিন কে দেখে
কণ্ঠে তীব্র আতঙ্ক,নিয়ে বলেন :
অনেক র’ক্ত বেরিয়ে গেছে রিদ, তুমি ইমিডিয়েটলি AB- রক্তের ব্যবস্থা করো। দেরি হলে ওকে বাঁচানো সম্ভব হবে না।
এই কথা শুনেই মেহেরিনের বাবা ফিরোজ মির্জা ভেঙ্গে পড়েন। ধপ করে বসে পড়েন চেয়ারে। রিদ উনাকে ধরলো, মেহবুবা মাহির ধরে এসে বাবা বলে চিৎকার দেয়। মেহবুবা বাবাকে বোঝানোর চেষ্টা করছে।রিদ আশ্বাস দিল ওর কিছু হবেনা আপনি ভেঙ্গে পড়বেন না আঙ্কেল আমরা সবাই আছি। আপনি ভেঙে পড়লে আন্টিকে কি সামলাবে। মেহরিনার বাবা বলে আমার মেয়ের কিছু হবে না তো বাবা।
রিদের মুখ ফ্যাকাশে হয়ে গেল। তবুও আশ্বস্ত গলায় বলে ওর কিছু হবে না আঙ্কেল কিচ্ছু হবে না বলেই বেরিয়ে যাই ।
রিদ চুমকি, মাহির, শান্ত, সাথী, মৌ, রাকিব — সবাই দিকবিদিক ছুটলো।
ফোন করতে লাগলো চেনা-অচেনা সব মানুষকে।
কেউ হাসপাতালে ছুটলো, কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিলো।
কিন্তু কোথাও কোনো AB- রক্ত নেই।
সময় যেন থমকে গেল।
ডাক্তাররা বললো,
আর পাঁচ মিনিটের মধ্যে রক্ত না এলে অবস্থা খুব খারাপ হবে।
চুমকি ভেঙে পড়লো কান্নায়।
মেহবুবা মাথা নিচু করে বসে পড়লো।
মাহির দেয়ালে মাথা ঠেকিয়ে দাঁড়িয়ে, চোখে পানি।
রিদ নিঃশব্দে দাঁড়িয়ে ছিল… তার বুকের ভেতর চিৎকার করছিল,
“মেহরিন… মেহরিন…”
সবাই যখন হাল ছেড়ে দিয়ে বসে পড়েছে, ঠিক তখনই হাসপাতালের গেট দিয়ে আস্তে আস্তে ভেতরে ঢুকলো দুটো মেয়ে।
পরনে সাদামাটা কাপড়।
চোখে গভীর শান্তি।
কোনো হইচই নেই, শুধু দৃঢ় পা ফেলে সামনে এগিয়ে এল তারা।
একজন মৃদু গলায় বললো,
আমরা শুনেছি এখানে AB- রক্ত লাগবে। আমরা দিতে পারবো।
সবাই হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে রইলো।
কোনো প্রশ্ন না করেই ডাক্তার শামীমা ওদের নিয়ে গেলেন।
পরীক্ষা করে দেখা গেল — সত্যিই ওদের ব্লাড গ্রুপ AB-।
রক্ত দেওয়া শুরু হলো।
নিঃশব্দে, নিঃশর্তে — যেন দুটি ফেরেশতা নিজ হাতে প্রাণের আলো ঢেলে দিচ্ছে মেহরিনের শরীরে।
রক্ত দেওয়া শেষ হতেই, কোনো শব্দ না করে, কোনো পরিচয় না দিয়ে, তারা হাসপাতালের অন্ধকার করিডোরের ভিড়ে মিলিয়ে গেলো…
ডাক্তার শামীমা মৃদু হাসলেন।
রিদ চোখ বন্ধ করে দুহাত মুঠো করে দাঁড়িয়ে থাকলো।
একটা অসম্ভব কঠিন যুদ্ধের মাঝেও মনে হচ্ছিল — আশা ফিরে এসেছে।
মেহরিনের হারিয়ে যাওয়া রং যেন আবার ধীরে ধীরে ফিরতে শুরু করেছে…
হাসপাতালের করিডোরে পিনপতন নীরবতা।
চুমকি, শান্ত, রাকিব আর রিদ এখনো আছে হাসপাতালে। রাকিবের শান্ত গিয়ে কফি নিয়ে এসেছে। সেই সন্ধ্যা থেকে ওদের কারো খাওয়া দাওয়া নেই এখন একটা কফি না হলেই নয়। রাহিকে বাড়ি নিয়ে চলে গেছে শামীমা তালুকদার। রাহি অনেক থাকার জন্য রিকুয়েস্ট করছি কিন্তু পাঠিয়ে দিয়েছে।সাথী আর মৌ কেও বাড়ি পাঠিয়ে হয়েছে।
মেহরিনের বাবার অবস্থা আরো খারাপ হয়েছে শারীরিক অবস্থা আরও নাজুক হচ্ছিল।
অতএব, তাকে দ্রুত বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। মেহবুবা তাকে নিয়ে গেছে।
এদিকে মেহরিনের মা হাসপাতালে মেহরিনের কেবিনে বসে আছে। তার চোখের কোণে অশ্রু, কিন্তু তার মনের শক্তি যেন মেয়ের পাশে বসে থাকতে বাধ্য করছিল।
তার ভেতর এক আশঙ্কা, এক ভয় — মেহরিনকে বাঁচাতে হবে।
ঠিক তখনই, ভোরের প্রথম আলো হাসপাতালের জানালা দিয়ে ভেতরে প্রবাহিত হলো, যেন এক আশার রশ্মি।
অন্ধকার ঘরটা আলোকিত হয়ে উঠলো, আর মেহরিনের শরীর একটু নড়চড় করলো।
মেয়ের পাশে বসে থাকা অবস্থায় চোখ লেগে গিয়েছিল মালিহা মির্জার।
মেহরিন ধীরে ধীরে তার চোখ খুলে তাকালো।
মালিহা মির্জা মেহেরিনের নড়াচড়া অনুভব করতে পারলো এক মুহূর্তে মেহরিনের দিকে তাকিয়ে স্তম্ভিত হয়ে গেলেন।
আশ্চর্য এক সুখী হাসি তার মুখে ফুটে উঠলো।
তার হাত মেহরিনের হাতে আরো শক্ত করে ধরলো।
মেহরিন একটুখানি চোখ খুলতে চেষ্টা করলো, আর তারপর ধীরে ধীরে বললো:
“মা…”
মায়ের চোখে অশ্রু , কিন্তু সেটা ছিল আনন্দের অশ্রু।
কণ্ঠে একরকম নরম কিন্তু ভীষণ আবেগ ছিল,
হ্যাঁ, এই তো মা এখানে, মেহরিন। এখন কেমন লাগছে মা। কোথায় ব্যাথা করছে আমাকে বলো। ডক্টর কি ডাকবো আমি?
মেহরিন মায়ের ব্যাকুলতা দেখে একটু হাসলো, তবে তার চোখে ছিল সেই পরিচিত মায়া ও ভালোবাসার আভা।
সে আস্তে আস্তে বললো,
মা, আমি ঠিক আছি। … তুমি চিন্তা করো না তোমার প্রেসার বেড়ে যাবে তো।
মালিহা মির্জা মেয়ের মাথায় হাত রেখে বললেন,
তুমি আমার জীবন, মেহরিন। আমার নারী ছেড়া ধন। আমার প্রথম সন্তান যে আমাকে প্রথম মাতৃত্বের স্বাদ দিয়েছে। তুমি ছাড়া আমি কিছুই না।
মেহরিন কিছুক্ষণ চুপ থাকলো, তারপর নিজের অসহায় অবস্থা দেখে তার মুখে একটু মুচকি হাসি ফুটে উঠলো,
“আমি জানি, মা। তুমি আমার পাশে আছো, সব কিছু ঠিক হবে।”
এমন শান্তির মুহূর্তে, ভোরের আলো হাসপাতালের কেবিনে পুরোপুরি ঢুকে পড়লো, যেন মেহরিনের নতুন জীবন শুরু হওয়ার সিগন্যাল।
মেহরিনের জ্ঞান ফেরার কথা শুনেই সবাই খুব খুশি।
চুমকি সবার আগে ছুটে এল। খুশিতে আর কান্নায় একসাথে চিৎকার করে উঠল,
মেহরিন! তুই ঠিক আছিস।
এক দৌড়ে এসে চুমকি মেহরিনকে জড়িয়ে ধরল। তার পর ছোট করে একটা চুমু খেলো চুমকি।
তারপর একে একে সবাই এসে মেহরিন কে দেখলো আর সস্তির নিশ্বাস ছাড়লো।
রুম ভরে গেল আনন্দের উচ্ছ্বাসে।
কিন্তু রিদ…
সে এক কোণায় নীরবে দাঁড়িয়ে ছিল। সে শুধু একমনে দেখছে মেহরিন কে। কিন্তু এগিয়ে গেল না।
তার বুকের ভেতর তখন যেন ঝড় বয়ে যাচ্ছে।
দেখছে মেহরিনের মুখের হাসি, তার বেঁচে থাকার লড়াই — আর এই মেয়েটার জন্য নিজের হৃদয়ের অজানা আবেগ আজ হঠাৎ করেই স্পষ্ট হয়ে গেল রিদের কাছে।
‘আমি… আমি তো এই মেয়েটাকে ভালোবেসে ফেলেছি… নিজের অজান্তে… নিজের অজান্তেই!’
রিদ গলার নিচে দলা পাকানো কষ্ট টের পেল।
সবাই যখন মেহরিনকে ঘিরে উল্লাসে মেতে উঠল, তখন সে আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারল না।
চুপচাপ, নিঃশব্দ পায়ে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল।
পেছনে তাকাল না। কোনো কথা বলল না।
শুধু মনের গভীরে এক অসমাপ্ত আবেগ নিয়ে, নিঃশব্দে হারিয়ে গেল হাসপাতালের করিডরের ফাঁকা অন্ধকারে।
হাসপাতালের করিডরে নিঃশব্দ পায়ে হেঁটে যাচ্ছিল রিদ।
হাত দুটো পকেটে গুঁজে রাখা, মাথা নিচু।
চারপাশের পৃথিবী যেন তার কাছে আর কোনো আওয়াজই পৌঁছাচ্ছিল না।
ঠিক তখন পেছন থেকে ডাক দিলো কেউ রিদ বলে।
পেছনে তাকিয়ে দেখল শান্ত আর রাকিব দৌড়ে আসছে।
রাকিব একটু হাঁপাতে হাঁপাতে বলল,
এই রিদ… থাম তো এক মিনিট!”
রিদ কোনো কথা বলল না। মুখ ঘুরিয়ে নিল।
তার চোখে যেন একটা অদ্ভুত চাপা কষ্ট।
শান্ত কাছে এসে আস্তে বলল,
তুই এমন আচরণ করছিস কেনো রে? এতক্ষণ ধরে কী ভাবছিস?
রিদ ঠোঁট চেপে রাখল। উত্তর দিল না।
হাসপাতালের করিডোরের শেষ প্রান্তে গিয়ে থেমে দাঁড়াল রিদ।
চারপাশে নীরবতা।
মাথা নিচু করে চোখ বন্ধ করল সে।
মনের মধ্যে একটাই কথা ঘুরপাক খাচ্ছিল — মেহরিন।
হঠাৎ শান্ত আস্তে আস্তে পাশে এসে দাঁড়াল।
রাকিবও নীরবে তাকিয়ে রইল।
রাকিব জিজ্ঞেস করল,
তুই কি তাহলে মেহরিনকে নিজের মনের কথা বলবি না? এভাবে আর কতদিন।তোর কী মনে হয় তোর এই পাগলামি কারো চোখে পড়ে’নি। মেহরিন এর জন্য তোর এই অস্থিরতা সবাই দেলখেছে রিদ কেউ বোকা নয়।
রিদ চোখ খুলল।
চোখ দুটো অদ্ভুত এক শান্তিতে ভরা।
ঠোঁটে এক হালকা গম্ভীর হাসি ফুটল।
সে ধীরে ধীরে বলল,
না রাকিব… আমি শুধু বলতে চাই না যে আমি ওকে ভালোবাসি।
আমি চাই, যদি কখনো বলি, সেটা হবে শুধু হালাল একটা সম্পর্কে।
তার কণ্ঠ নরম কিন্তু দৃঢ়,
আমি চাই, ও আমার জীবনসঙ্গিনী হোক।
শুধু আবেগ দিয়ে নয় — সম্মান দিয়ে, দায়িত্ব নিয়ে ওর পাশে থাকতে চাই।
শান্ত আর রাকিব চুপ করে শুনছিল।
রিদ আবার বলল,
ভালোবাসা মানে শুধু বলা নয়।
ভালোবাসা মানে হালাল পথে ওকে নিজের বলা।
ওর হাত বাবা-মায়ের কাছে চাওয়া, আর ওকে আজীবন আগলে রাখা। আর আমি তাই করবো।ওর বাবার কাছে আমি ওর হাত চাইবো।
তার চোখে তখন গভীর সিদ্ধান্তের ঝিলিক।
তাই আমি এখন কিছু বলবো না।
ওর আগে সুস্থ হোক এই ট্রমা থেকে বের হোক। যদি কপালে থাকে… তাহলে একদিন সময় হলে, আমি ওকে ঠিক আমার করে নেব।
হালাল পথে। ইনশাআল্লাহ।
রাকিবের গলা ভারী হয়ে এল।
শান্ত একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলল।
তারা জানে —
মেহরিনের সপ্নরঙ পর্ব ৮
এই রিদ কখনো খেলা খেলবে না কারো অনুভূতি নিয়ে।
তার ভালোবাসা পবিত্র।
একেবারে নির্মল।
এই ভালোবাসা আজ থেকে না সেই প্রথম দিন থেকে যেদিন ওদের প্রথম দেখা হয়।