মোহমায়ার বাহুডোরে পর্ব ২

মোহমায়ার বাহুডোরে পর্ব ২
সাদিয়া

মায়রা চুপচাপ নিজের ঘরে বসে আছে। বাহির থেকে আসা আবছা কথায় বেশ ভালো বুঝতে পারছে ওই ক্যাপ্টেন নিশ্চিত এসেছে। ভেতরের হাসফাস অস্বস্তি গুলি বুঝি ঝাঁকে ঝাঁকে এসে বসেছে মনপিঞ্জিরায়। ভেতরটা বড্ড বেশি উচাটনে ধুকবুক আওয়াজ হচ্ছে। হাত পা গুলিও কেমন কাঁপছে মনে হচ্ছে। অনেকক্ষণ হলো সে একা ঘরে বসে আছে। বিষয়টা নিহাতই দৃষ্টিকটু ভেবে শুকনো ঢোক গিলে নিল একবার। পরক্ষণে দ্রুত বাহিরে যাওয়ার আগেই বুঝি শক্ত কিছু একটার সাথে লেগে পড়ে যেতে চেয়েও পড়ল না। চোখ পিটপিট করে তাকিয়ে বুঝল এটা কারো বক্ষস্থল। একটা পুরুষালী তীক্ষ্ণ সুভাস সঙ্গেসঙ্গে নাকে প্রবল ভাবে আঘাত করল। মায়রা সরু কপালে প্রস্থ বুকের দিকে তাকিয়ে অনুভব করল একটা শক্তপোক্ত বক্ষের সাথে এটে আছে সে। তৎক্ষণাৎ বিচলিত মুখশ্রী তে সামনে তাকাল সে। বিস্ময়ে হতবিহ্বল হয়ে উঠেছে মেয়েটার আদল। বুকটা আচমকাই বুঝি ঝাঁকুনি দিয়ে উঠল।

তিন মাসের সেই কাঙ্ক্ষিত সুপুরুষ। যার সাথে বিবাহ নামক এক বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পরেও এই তিন মাসে ‘কেমন আছেন’ জিজ্ঞেস করার মতোও সম্পর্ক তৈরি হয়নি তাদের। ওই কঠোর মুখের মানুষটার মুখশ্রী দেখে থমকে গেল বুঝি সে। স্তম্ভিত ফিরিয়ে এনে দ্রুত সরে দাঁড়াল।
মিথিলা তাদের এভাবে দেখে আনন্দে গদগদ হলেও আর কাবাবের হাড্ডি হলো না। তখনই সেখান থেকে সে প্রস্থান নিয়েছে।
ইহাম তীক্ষ্ণ চোখে একপল তাকাল মায়রার দিকে। তার সচল মস্তিষ্ক জানান দিয়েছে এটাই মায়রা। যাকে কিছুদিন আগেই তিন কবুল বলে নিজের করেছে সে। সে এবার একটু ভালো করে তাকিয়ে দেখল মেয়েটা বড্ড ইতস্তত বোধ করছে। মুখটাও রঙ্গিম হয়ে উঠেছে। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি টা বুঝি তাকে কেমন জড়তায় ফেলে দিয়েছে। ইহাম আড়চোখে পিছনে খেয়াল করে বুঝল মিথিলা মেয়েটা চলে গিয়েছে। হেলদোল হীন ভাবে ইহাম সামনে তাকাল। সে যতটা ছোট বাচ্চা মেয়ে ভেবেছিল এই মেয়ে ততটাও ছোট নয়। সদ্য যৌবনে পা দেওয়া কুসুমকুমারী সে। ঠিক সরোবরে সদ্য ফোটা পদ্মের মঞ্জুরি বুঝি। অঙ্গের হাল্কা আভার বুঝি নিজেস্ব জ্যোতি ছড়াচ্ছে। বিচলিত চোখ ঠোঁট অত্যন্ত অস্থির চঞ্চল। বিহ্বল অস্বস্তিতে গলে পড়ে মায়রার দিকে তাকিয়ে মৃদু তবুও শাণিত কন্ঠে বলল,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

“মায়রা রাইট?”
কাঁপল বুঝি মায়রা। তার বড্ড অস্থির লাগছে।এখানে এভাবে সঙ এর মতো দাঁড়িয়ে থাকার সাহস শক্তি কোনোটাই পাচ্ছে না সে। মনে হচ্ছে কোনো জন্তু কিংবা কুমিরের সামনে প্রাণ সংশয়ের ভয়ে দাঁড়িয়ে আছে সে। বুকের ভেতরটা কেন যে এত লাফাচ্ছে। মরুভূমির চৌচির গলায় ঢোক গিলার চেষ্টা করল মেয়েটা। আলতো করে নেত্রপল্লব তুলে এক ঝলক দেখল সামনের মানুষটাকে। ওই ধারালো তীক্ষ্ণ চাউনি দেখে ক্ষণেই ফের চোখ নামিয়ে ফেলল। কারো চোখের দৃষ্টি এত তীক্ষ্ণ সুচালো হতে পারে এর আগে তার জানা ছিল না। গলা দিয়ে আওয়াজ আসতে না চাইলেও খুব প্রচেষ্টা চালাল সে। মিহি কন্ঠে বলল,

“আ আমি দুঃখিত।”
মায়রা আর ডান বাম তাকাল না। যত দ্রুত সম্ভব সে দরজা পেড়িয়ে বাহির হলো। তবুও বুঝি পিছন থেকে সেই রাশভারী গম্ভীর কন্ঠ ভেসে এলো।
“ওয়েট মায়রা।”
থমকে দাঁড়াল মায়রা। বুকটা বিচলিত রূপে কেমন দুলছে। এই লোকটার সামনে এলে এতটা জড়তা কেন সাদরে তাকে ঝাপটে ধরছে? এত শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা কেন সৃষ্টি হচ্ছে এই ন্যূনতম কারণে? পা গুলি অসাড় করে দাঁড়িয়ে থাকলেও মায়রার বুকে আর সাহস হলো না পিছু ফিরে ওই সূক্ষ্ম চোখের দিকে তাকানোর। পিছন থেকে আবার নিবিড় গলা শুনা গেল,
“ওয়াশরুমটা কোথায়?”
হাত দিয়ে ইশারা দিয়ে দেখিয়েই মায়রা আবার ছুটল। তার এহেন অসন্তোষ ব্যবহারে ভ্রুকুটি করে আনল ইহাম। সরু ললাটে চিন্তিত মনে আওড়াল,

“অদ্ভুত। এমন উদ্ভট বিহেভিয়ার করল কেন মেয়েটা?”
মায়রার একমাত্র বড় ভাই তুহিন আজ হোস্টেল থেকে বাড়ি এসেছে দুদিনের জন্যে। কাল রাতেই মা তলব করে তাকে নিয়ে এসেছে। ড্রয়িংরুমে সবার সাথে পরিচয় হয়ে এসে তুহিন নিজের ঘরে ঢুকল। অপরিচিত এক অতি সুন্দর কিশোরী কে দেখে থমকে দাঁড়াল সে। কাঁধের ব্যাগটা আপনাআপনি নিজে পড়ে গেল। সেই শব্দে চমকে তাকাল শিফু। ঘরে অবাঞ্ছিত এক ছেলে কে দেখে কপাল কুঁচকে নিল সে। নাক ফুলিয়ে রুক্ষ গলায় জিজ্ঞেস করল,
“কে আপনি? ঘরে ঢুকার আগে নক দিতে হয় সেই কমনসেন্স নেই আপনার? দেখে তো মনে হয় ভদ্র। তবে স্বভাবে একটা বাঁদর আপনি।”
শিফুর মুখে এহেন কথায় টাস্কি খেলো যেন তুহিন। হকচকিয়ে বলল,

“এই নাক ফুলি কে আপনি? আমার ঘরে এসে আমাকে বাঁদর বলছেন।”
মেয়েটা মনে হয় রেগে গেল। নাকের পাটা ফুলিয়ে চোখ বড়বড় করে চিৎকার করে উঠল। তার চিৎকারে পুরো তব্দা বনে গেল তুহিন। রসগোল্লার মতো চোখ গোলগোল করে চিন্তিত ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছে। মেয়েটা আবার কান কাঁপিয়ে ‘আম্মু’ বলে ডেকে উঠতেই যেন হুশ ফিরল তার। জিহ্ব কেটে বিড়বিড় করল,
“খাইছে রে এ কোন ঝিনঝি পোক?”
তুহিন দ্রুত এগিয়ে গেল। ডান হাত এক প্রকার ঠেসে ধরল শিফুর মুখে। কন্ঠের জোর কমিয়ে বলল,
“আরে মেয়ে পাগল নাকি তুমি? এভাবে চিৎকার করছো কেন? ড্রয়িংরুমে সবাই বসে আছেন। কি ভাববে এভাবে গরুর মতো বেমরালে?”
শিফু কথা বলতে চেয়েও পারছে না। গলা দিয়ে অদ্ভুত শব্দ বের হচ্ছে কেবল। চোখ বড় হয়ে উঠেছে ওর। এমন অপ্রত্যাশিত ঘটনার মুখে পড়ে শিফু বুঝল না তুহিন ঠিক কি বুঝাতে চেয়েছে। উপায়ন্তর না পেয়ে খুব বলে একটা কামড় বসিয়ে দিয়েছে তুহিনের হাতে। আচমকা ধারালো দাঁতের আক্রমণে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল তুহিন। হঠাৎ কুঁকিয়ে উঠল সে। শিফুর মুখ থেকে হাত সরিয়ে একটু দূরে গিয়ে দাঁড়াল। ব্যথায় অনবরত হাত ঝাঁকরাচ্ছে সে। রাগান্বিত হয়ে কিছু বলবে তার আগেই ঘরে এসে উপস্থিত হয়েছে ফাতেমা বেগম, শায়লা বেগম আর শিমলা। ফাতেমা বেগম এসেই জিজ্ঞাস করতে লাগলেন,

“কি হয়েছে রে বাবু?”
শিফু নিজের পিঠ গড়ানো ব্রাউন কালার করা চুল গুলি ঠিক করতে করতে বুঝি ফিসফিস করল।
“হাতি কে আবার বাবু ডাকতে হয়।”
শায়লা বেগম নিজের মেয়ের কাছে গেলেন। কপাল কুঁচকে জিজ্ঞেস করলেন,
“কি হয়েছে শিফু? চিৎকার করছিলি কেন?”
শিফু সূক্ষ্ম নজরে তাকাল তুহিনের দিকে। মৃদু মুখ মুচড়ে সে মাকে জবাব দিল,
“দেখো না আম্মু আমি এই রুমে শুয়ে ছিলাম আর চিনি না জানি এই ছেলেটা বলা নেই কওয়া নেই ঘরে ঢুকে পড়েছে। আবার আমার সাথে ঝগড়াও শুরু করেছে।”

শায়লা বেগম বুঝলেন মেয়ের কথার মানে। উনার মেয়ে কেমন তাও তিনি ভালো জানেন। ফাতেমা বেগমের দিকে তাকিয়ে বুঝি নিজেই বিব্রত বোধ করলেন। এদিকে তুহিন টাস্কি খাওয়ার মতো হতবাকে তাকিয়ে আছে শিফুর দিকে। বানোয়াট মেয়ে তো যা তা বলে দিতে পারে। কি সাংঘাতিক এই পিচ্চি। মায়ের দিকে চোখ যেতেই করুন হলো তার মুখ। ইশারা দিয়ে বুঝালো ‘আমি কিছু করিনি আম্মা। এই মেয়ে মিথ্যে বলছে।’ ফাতেমা বেগম মা হয়েও মনে হয় তার মনের কথা পড়তে পারলেন না। উল্টো শাসন করে বললেন,
“অনেক বড় হয়েছিস তুহিন এখন আর ছোট নেই। মজা করা এবার বন্ধ কর।”
“আমি কিছু করি নি আ..”
ফাতেমা বেগম যেন ছেলের কথা কানেও নিলেন না। তিনি এগিয়ে গেলেন শিফুর কাছে। মাথা পিঠে হাত বুলিয়ে দিয়ে বললেন,
“মায়রার কাবিনের সময় তুহিন এক্সামে ব্যস্ত ছিল। আর সব কিছু এত তাড়াতাড়ি হয়ে গিয়েছিল যে আর পরিচয় হতে পারোনি দুজন। তুহিন আমার একমাত্র ছেলে। মায়রার ভাই। তুমিও ওকে ভাইয়া ডেকো।”
“ঠিক আছে আন্টি সমস্যা নেই।”

শিফু মুচকি হাসল। তুহিন তার কার্যকলাপ দেখে বিস্মিত হচ্ছে। এই মেয়ে তো পুরা গিরগিটির মতো। মুহূর্তে নিজের মর্জি পরিবর্তন করে নিতে পারে। শিমলা শিফুর দিকে তাকিয়ে বলল,
“তুমিও যে খুব ভালো এমনটা কিন্তু নয়। নাটকবাজি কম করে ড্রয়িংরুমে চল।”
ওদের সাথে শিফু যাওয়ার আগে একবার পিছু ফিরে দেখল তুহিন কে। নির্বাক তুহিন কে দেখে আবারও মুখ ঝামটা দিয়ে চলে গেল শিফু। তুহিন কটমট করে একা রুমেই বলল,
“এই কামড়ের সুদ আমি নিশ্চয় তুলব। মশার বাচ্চা।”
ফাতেমা বেগম মায়রার হাতে এক গ্লাস শরবত আর কিছু আপেল, মাল্টা, ডালিম এর দানা দিয়ে বলল,
“যা এগুলি ইহাম বাবার কাছে দিয়ে আয়।”
চমকে উঠল মায়রা। এতক্ষণে শান্ত হওয়া মনটা আবার নীরব আলোড়নে মেতে উঠল। আবারও অস্থির চঞ্চল হাওয়া বয়ে গেল শরীরের শিরায় শিরায়। নিশ্বাস বুঝি অদৃশ্য বলয়ে বারবার বাঁধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। ভেতরের কম্পনে হাত গুলি বুঝি নিস্তেজ হয়ে আসছে। হাতে ধরিয়ে দেওয়া ট্রে টা অনবরত কাঁপছে যেমন। কম্পিত কন্ঠে লঘু আওয়াজ তুলে বলল,

“আম্মু মিথিলা আপু কে বললে হয় না?”
অগ্নিমূর্তির মতো চোখ পাকিয়ে তাকালেন ফাতেমা বেগম। চাঁপা ক্ষোভ নিয়ে আশপাশ পর্যবেক্ষণ করে মৃদু স্বরে বললেন,
“তুই কি মাথা মোটা মায়রা? স্বামী তোর আর তুই বলছিস মিথিলা কে জামাই এর শরবত দিয়ে আসতে? তোর শাশুড়ি আর ননাস শুনলে কি ভাববে? তাছাড়া জামাইয়ের সাথে একটু কথাবার্তা বলে সহজ হো মা।”
ফাতেমা বেগম আবার ওদের নাস্তা দেবার তাড়া দেখিয়ে চলে গেলেন। ট্রে হাতে স্তব্ধ ভঙ্গিতে বিমূঢ় হয়ে দাঁড়িয়ে আছে মায়রা। নিজের চেনা পরিচিত রুমটায় যেতেও আজ ভীষণ অস্থির ইতস্তত বোধ করছে মায়রা।
নিজের সংশয় বিচলতা ভাব কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করে মায়রা নিজের ঘরের দিকে গেল। পর্দা সরিয়ে দিয়ে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করতেই উচাটন মন বুঝি টগবগ করে ফুটে উঠল। শান্ত চোখের পাতা মেলে দেখল মানুষটা শুয়ে আছে। কপালে হাত ঠেকিয়ে সটান হয়ে শুয়ে রয়েছে। ঘুমিয়ে গিয়েছে কি না ঠিক বুঝতে পারছে না সে। চুপচাপ পা টিপে টিপে সেন্টার টেবিলের দিকে এগিয়ে গেল। প্রবল অশান্ত উত্তেজনায় শাড়ির কুচির সাথে পা আটকে পড়ে যেতে গিয়েও নিজেকে সামলে নিল সে। নিঃশব্দে ট্রে টা রেখে মিনিট দুই দাঁড়াল বিছানার এক পাশেই। ডাকবে কি না সেই চিন্তাতেও ডুবল মনে হয়। অবশেষে গলা কেশে সুরেলা মিহি কন্ঠে বলে উঠল,

“শুনছেন?”
ওপাশ থেকে তার কথার কোনো সাড়াশব্দ পেল না মায়রা। অজানা এক কারণে সে ভেতর থেকে ভীত হয়ে আসছে। সামনের মানুষটাকে কি সে ভয় পাচ্ছে? সাহস জুগিয়ে আবারও সে ডাকল,
“শুনছেন? আ আপনার জন্যে শরবত এনেছিলাম।”
ইহাম তৎক্ষণাৎ কপাল থেকে হাত সরিয়ে উঠে বসল। অকস্মাৎ এমন উঠে পড়ার ভঙ্গিমায় ভীষণ হকচকিয়ে গিয়ে মায়রা। ঘুমন্ত একটা মানুষ আচম্বিত এভাবে উঠে পড়েছে ভেবেই ভয়ে মায়রার হৃদয় কেঁপে উঠল। বিহ্বল চোখমুখে তাকিয়ে আছে সে। ইহাম যেন শান্ত শীতল ভাবে বসল বিছানায় পা ঝুলিয়ে। ধারালো দৃষ্টিতে তাকিয়ে গম্ভীর কন্ঠে বলে উঠল,

“যেটা পারো না কেরি করা সম্ভব নয় সেটা করতে যাও কেন? যেটা কমফোর্টেবল নও সেটা আর পরবে না।”
বিহ্বল হাওয়া মায়রা কে চিন্তিতের পথে ধাবিত করল। চমকালও সে। লোকটা কিসের কথা বলছে তাকে? নীরব থেকে সূক্ষ্ম মস্তিষ্ক ঘাঁটাতেই আশ্চর্যান্বিত হলো তার চিত্ত। লোকটা কি তাকে শাড়ির কথা বলল? চোখ বুজা অবস্থা তেও কি করে টের পেল সে? নাকি একজন দক্ষ চতুর সৈনিক হিসেবে শ্রবণ ইন্দ্রিয় দিয়েই ঘটনা আন্দাজ করে নিয়েছে? কি সাংঘাতিক ব্যাপার! এত ধূর্ত সচল মস্তিষ্ক উনার? বিমূঢ় চিত্তের মায়রা আধুত হলো যেন। মাথা নুয়ে নিজের শঙ্কা ভুলে প্রশ্ন করেই ফেলল,

মোহমায়ার বাহুডোরে পর্ব ১

“শাড়ী পরাতে কি সমস্যা? মাঝে মাঝে শাড়ি পরতে সব মেয়েই পছন্দ করে।”
মুখে মুখে কথা বলাটা বুঝি একটুও পছন্দ হলো না ইহামের। চোখ মুখ মুহূর্তেই সুচালো হয়ে উঠল তার। রুক্ষ মেজাজ টা নিয়েই রগচটা মানুষটা কঠিন পাষাণের মতো বলে উঠল,
“শাড়ি পরা আমি পছন্দ করি না। কারণ কলেজে শাড়ি পরা একটা মেয়েকে দেখে আমি পছন্দ করেছিলাম। আমার সামনে আর শাড়ি পরে আসবে না।”

মোহমায়ার বাহুডোরে পর্ব ৩