মোহমায়ার বাহুডোরে পর্ব ৬

মোহমায়ার বাহুডোরে পর্ব ৬
সাদিয়া

প্রাতঃকালের মিষ্টি সূর্যের আভাও চারিদিকে তেজ ছড়িয়ে দিচ্ছে। তার নিজেস্ব জ্যোতিতে আলোকিত করছে বসুমতিকে। ঘুমন্ত মস্তিষ্ক টা একটু সচেতন হতেই সত্বর গা দুলিয়ে সহসা উঠে বসল মায়রা। চোখের ঘুম হাত দিয়ে ডলেডলে সরিয়ে চিন্তিত নয়নে পাশ ফিরে তাকাল মায়রা। না কোথাও পাশে থাকা লোকটা নেই। কিন্তু গেল কোথায়?
তার সতর্ক মস্তিষ্ক টা ধীরেধীরে কাল রাতের সকল কথা মনে করতে লাগল। ওই সাংঘাতিক একটা কথা বলার পর সে নিজেও তখন খুব রেগে গিয়েছিল। ওই বলিষ্ঠ দেহের প্রগাঢ় শক্তির সাথে এক প্রকার ধস্তাধস্তি শুরু করে দিয়েছে সে নিজেকে ছাড়ানোর প্রচেষ্টায়। রাগান্বিত কন্ঠে সে নিজেও বলল,

“একদম আমার সাথে কোনো রকম জোরাজুরি করবেন না। নয়তো খুব খারাপ হয়ে যাবে। আমি কিন্তু আপনাকে একদম ক….”
“কীপ ইয়ুর মাউথ শাট।”
চিবিয়ে কথাটা বলেই একপ্রকার ধাক্কা দিয়ে মায়রা কে সরিয়ে নিল নিজের থেকে। ক্ষোভ নিয়ে জানাল,
“তোমার মতো সস্তা তেজ দেখানো মেয়েদের প্রতি আমার কোনো এট্রাকশন নেই। তোমার মতো মেয়ের প্রতি তাকানোরও সময় নেই ফাহাদ ইহাম চৌধুরীর।”
জোরে জোরে শ্বাস টেনে নিজেকে ঠিক করার চেষ্টা করল ইহাম। রাগে শরীর হিসহিস করছে তার। এই গরমে আরো তাপ অনুভব করছে নিজের শরীরে। এটা যেন তার ক্রোধ আগুনের তাপ। তার বাবা মা কি করে এমন একটা মেয়ের সাথে তার বিয়ে দিল? এই অল্প বয়সের বাচ্চা মেয়ের পাগলামি অভদ্রতা বেয়াদবি সহ্য করার মতো ধৈর্য তার নেই। আর না কোনো দিন হবেও। এর যথাযথ একটা বিহিত তার করতেই হবে। নিজেকে সামলানো এখন তার দায় হয়ে গিয়েছে।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

ওই পরাভূত হৃদয় বড্ড আহত হলো সেই কথার ছলে। চোখ ছলছল করলেও মায়রা নীরবে ওয়াশরুমে ঢুকে গেল।
একটু পর ওয়াশরুম থেকে বের হতেই কড়া উদ্ভট এক গন্ধে পেট পর্যন্ত গুলিয়ে এলো তার। নাক টেনে রুমে এগিয়ে গিয়ে দেখতে পেল জানলার কাছে ওই বদ ক্যাপ্টেন টা সিগারেটের ধোয়া টানছে। মুহূর্তে মাথায় রক্ত উঠে গেল মনে হয় মায়রার। এই লোকটা তো মনে হচ্ছে কোনো দিক দিয়েই তার সাথে মিলে না। তার সম্পূর্ণ বিপরীত এই মানুষটার সাথে সারাজীবন কি করে থাকবে? তাদের এই নামমাত্র সম্পর্ক তো মনে হয় কোনোদিন পূর্ণতা পাবে না। এর কূলকিনারা ঠিক কোথায়? হতাশায় ক্রোধ আরো বাড়ল মনে হয় মায়রার। চেঁচিয়ে বলে উঠল,
“অসভ্য অভদ্র ক্যাপ্টেন সাহেব আপনার এই গু খেতে হলে এখনি আমার রুম থেকে বের হয়ে যান।”
সহসা তাকাল ইহাম তার দিকে। ওই লাল চোখ দেখে বরাবরের মতোই তার রাগ উবে গেল। একটু নীরব হলেও ইহাম সেভাবেই তাকিয়ে রইল। অনন্তর সে চুপচাপই সিগারেট ফেলে ওয়াশরুমে ঢুকল। হতবিহ্বলে মায়রা শঙ্কিত নজরে তাকিয়ে রইল কেবল ওয়াশরুমের দরজার দিকে।

প্রায় ঘন্টা সময় পাড় করে মানুষটা কেবল টাওয়াল পেঁচিয়ে রুম থেকে বের হলো। মায়রা আচমকা নিবারিত মূঢ় হয়ে গিয়েছে। এক প্রকার মোহাচ্ছন্ন হয়েই তাকিয়ে রয়েছে ব্যায়াম পুষ্ট শরীরের একেকটা আকর্ষণীয় মনোহর ভাঁজের দিকে। দৃষ্টি ফেলার কথা বুঝি ভুলেই গিয়েছে সে। ওই ভিজে পুরুষালী দেহের ভাঁজ যেন তাকে নির্লজ্জ বেহায়া বানিয়ে দিচ্ছে। সেদিকে গ্রাহ্যকরণ না করে ইহাম চুপচাপ ঘরের কার্বাডে রাখা তার ব্যাগ থেকে আলিভ গ্রীন কালারের টাউজার আর ব্ল্যাক টিশার্ট হাতে তুলে নিল। টিশার্ট পরার ওই সম্পূহনীয় দৃশ্য দেখে ভেতরটা কেমন ছন্নছাড়া হয়ে গিয়েছে তার। দ্রুতগতি তে চোখের দৃষ্টি নিবারণ করে নিল সে। ছিঃ এতটা নির্লজ্জ হয়ে গিয়েছে কি করে তার বেহায়া চোখ গুলি? গূঢ় অস্বস্তি তে কেমন চপল হয়ে উঠছে তার চিত্ত।
ইহাম তার পাশেই শুয়ে আছে। এই বিহ্বলতা কিছুতেই নিজের ভেতর চেঁপে রাখতে পারছে না সে। বিছানার দুইপাশে দুজন চুপচাপ নিভৃতে গুটিয়ে আছে। চোখের পাতায় কিছুতেই ঘুম ধরা দিচ্ছে না তার। ব্যাকুল অনুভূতি টা যেন তার নির্ঘুম রাতের সঙ্গী হয়েছে সংগোপনে।

অনেকটা সময় অতিবাহিত হবার পর বজ্র বেগে যেন ইহাম তাদের মাঝে বরাদ্দকৃত বালিশটা সরিয়ে দূরত্ব টুক ঘুচিয়ে নিল। অতর্কিত ভাবে হামলে পড়ল মায়রার উপর। মেয়েটা বিস্তর ভয়ে কম্পিত কায়া নিয়ে স্থির রইল। ডাগরডাগর চোখের চপল দৃষ্টি দিয়ে পর্যবেক্ষণ করল ওই শান্ত অতলস্পর্শ চোখের দিকে। বুকের গহীনে তোলপাড় ঝড়ে শ্বাস রোধ হয়ে আসছে তার। তবুও স্থির থাকার অভিপ্রায়ে ব্যাকুল দৃষ্টি মেলে দিল ইহামের গভীর নেত্রের পানে। তরাসে ঢোক গিলল ওই শীতল চাউনির প্রবাহে। ফিসফিস কন্ঠে ইহাম বলল,
“মায়রা আমি যদি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তোমার লিপে কিস করি তবে মাইন্ড করবে তুমি?”

মায়রা নিরুত্তর নির্বাক। দারুন উচাটনে এলোমেলো শ্বাস নিচ্ছে সে। শ্বাসের টান ক্রমাগত আরো ভারি হলো তার। প্রবল অস্থিরতায় জ্ঞান লুপ্ত হয়ে নিমিষে চোখ বন্ধ করে নিল সে। অদম্য ঈপ্সিত এক বাসনা ইহামের শিরায় শিরায় ধাবিত হলেও সে অবিচল তাকিয়ে রয়েছে মায়রার ওই লাজুক মুখের দিকে। নিজের দৃঢ় ব্যক্তিত্ব কে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে ছেলেটা অকল্পনীয় ভাবে কপালে কপাল ঠেকিয়ে দিল। সেকেন্ড দশ এক স্থির থেকে আবারও ছুটে গিয়ে অপাশ ফিরে শুয়ে পড়ল নির্বিঘ্নে। অসম্ভাবনীয় কার্যে অনেকক্ষণই মায়রা চুপচাপ ওভাবেই চোখ বন্ধ করে রাখল। বেশ সময় নিয়ে সে ধীরে চোখ খুলে পাশ ফিরতেই দেখল মানুষটা যেন স্বাভাবিক ভাবেই তাকে অগ্রাহ্য করে ওপাশ ফিরে শুয়ে আছে। লম্বা করে শ্বাস টেনে ধীরেসুস্থে সেটা নির্গত করল মায়রা। বেশ কিছু সময় নিয়ে সে নিজেকে ধাতস্থ করল। মন্থরগতিতে সে নিজেও তীব্র বেগে চলা অস্থির চঞ্চল এক অনুভূতি নিয়ে পাশ ফিরল। ঠিক কখন কোন রাতে তার চোখ লাগল তা সে নিজেও বলতে পারছে না।

রাতের কথা মনে হতেই বিপন্ন হলো তার মলিন মুখশ্রী। সারা ঘরে চোখ বুলিয়ে দেখে নিল মানুষটা কোথাও আছে কি না। ইহাম কে কোথাও না পেয়ে চোখ ফেরাতে গেলেই নজর দিল দেয়াল ঘড়ির দিকে। ১০ টা বেজে ৫৩ মিনিট হয়েছে। বিস্মিত হলো সে। এত বেলা হয়ে গিয়েছে অথচ তার মা তাকে একবার ডাকেও নি? ওই বদ মানুষটাও কিছু বলল না তাকে? ফাতেমা বেগমের ভয়ে শুকনো ঢোক গিলল মায়রা। দ্রুত ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়েই ও ড্রয়িংরুমে গেল। জামাই বাড়িতে অথচ নিজের মাকে এভাবে টিভির সামনে বসে থাকতে দেখে অবাকই হলো মায়রা। চিন্তিত ভঙ্গিতে কিছু ভাবতে বসেছে সে। ফাতেমা বেগম যে ধরনের মানুষ তাতে মেহমান বাড়ি রেখে এভাবে তিনি কখনোই বসে থাকবেন না। ব্যাপারটা কি কিছুই বুঝতে পারছে না সে। কপালে রেখা টেনে সে এগিয়ে গেল ফাতেমা বেগমের ধারে। মৃদু সুরে বলল,

“আম্মু রান্নাবান্না শেষ?”
রিমোট দিয়ে চ্যানেল পাল্টাতে পাল্টাতে ফাতেমা বেগম জবাব দিলেন,
“না আজ কোনো রান্নাবান্না নেই। একটু পর রাইসকুকারে শুধু ভাত বসাব।”
অবাক বিস্ময়ে চোখ বড় হলো মায়রার। শঙ্কিত কন্ঠে শুধালো,
“তাহলে আমরা খাবো কি? শুধু ভাত?”
ফাতেমা বেগমের মাঝে কোনো বিকার ভাব নেই? যেন মায়রার চমকপূর্ণ কথাটাও তিনি বেশ নির্দ্বিধায় গ্রহণ করলেন। একটিবার মায়রার দিকে তাকালেন না পর্যন্ত। স্বাভাবিক স্বরেই বলল,
“ইহাম বাবার জন্যে কাল রাতে যা যা করেছিলাম সবই রয়ে গেছে। আজ আর কিছু রান্না করতে হবে না। যেহেতু জামাই নেই তাই আর রান্নাও করব না। ঘরের মানুষ কালকের তরকারি দিয়েই খেতে পারবে।”
চমকে উঠল মায়রা। বিস্ময়ে কপাল সরু হয়ে এলো। বিহ্বল কন্ঠে শুধালো,

“জামাই নেই মানে?”
এবার ফাতেমা বেগম তার দিকে তাকালেন। সন্দিগ্ধ কন্ঠে পাল্টা প্রশ্ন করলেন,
“তুই কিছু জানিস না?”
মায়ের এমন চোখ দেখে ভড়কালো সে। মৃদু হাসার চেষ্টা করল পরিস্থিতি সামলাতে। তবুও ভেতরটা অদ্ভুত এক টানে হাসফাস করল জানতে। মানুষটা নেই মানে? চলে গিয়েছে? তাকে তো বলেও নি। মানুষটা কি এতই পাষাণ? এত এটিডিউট উনার? নিজেকে কি রাজাবাহাদুর মনে করে নাকি?
“ইহাম বাবা তো ভোরে চলে গিয়েছে।”
কাল রাতে মানুষটার কাছে যাবার পর থেকেই শিহরণে তার গা ছমছম করছে। মানুষটার প্রতি তীব্র রাগ থাকলেও একটু যেন টানও অনুভব করছে সে। কেন এমন হচ্ছে? এত টান অনুভব করবে কেন সে? ওই মানুষটার সাথে তো আর কোনো সম্পর্কই তৈরি হলো না তবে কিসের টান তার? কঠিন পাষাণ মানবটা তো তাকে চার আনার দামও দেয়নি। উল্টে তাকে সস্তা বলে সম্মোধন করেছে। তার মতো মেয়ের দিকে সে নাকি তাকিয়ে দেখবার সময়ও নেই। তবে ওই মানুষটার জন্যে তার টান হবে কেন? শক্ত ভাবে নিজ মনকেই শাসালো সে। দম্ভ নিয়ে মায়ের কাছে প্রশ্ন রাখল,

“উনার মা না বলেছিলেন উনি আমাদের এখানে দুদিন থাকবে। তাহলে?”
“আরে ছেলেটা তো ছুটিই কাটাতে এসেছিল। কিন্তু তার ওখানে কি না কি জরুরী কাজ পড়ে গেল। কোনো মিশন না ফিশনে অংশ নিতে হবে। তার জন্যে আজ আবার রাঙ্গামাটির কোন পার্বত্য এলাকায় কি কাজ পড়েছে। তাই তো ছুটি না কাটিয়েই আবার তাকে ছুটতে হবে কাজে। আজই ওখানে যেতে হবে। বাসায় মনে হয় কোনো কাজ আছে তাই ভোরেই চলে গিয়েছে।”

মুখ মলিন হয়ে উঠল মায়রার। দৃষ্টি আনমনে রেখে নিজে যেন কোন বিষণ্ণতায় ডুবে গেল। একবার কি তার কাছ থেকে বিদায় নেওয়া যেত না? খুব কি ইগোতে লাগত সেটা? সে কি মানুষটার কেউ না? তাকে কি কিছুই মনে করে না ওই পাষাণ হৃদয়ের মানুষটা? কই দাদী না বলত স্বামী স্ত্রীর অটুট বন্ধন হয়। এত মিল মহব্বত এই দুনিয়ার আর কোনো সম্পর্কে নেই। তাহলে? তাদের মাঝে অটুট সম্পর্ক তো দূরের কথা সামান্য ভালো সম্পর্কটাও তৈরি হয়নি তিন মাসে। উল্টে মানুষটা তাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে আসছে সবসময়। ভালো করে কথাও বলেনি। দাদী কবে আসবে চাচার বাড়ি থেকে? মনটা আরো খারাপ হয়ে গেল তার।
ফাতেমা বেগম হয়তো ধরতে পারলেন মেয়ের মন খারাপের কথাটা। তিনি নরম সুরে বললেন,
“মন খারাপ করিস না মা। ছেলেটা হয়তো ব্যস্ততায় তোকে কিছু বলতে পারেনি। তুই বরং সময় করে একবার কল করে কথা বলে নিস। আয় নাস্তা দেই।”

ফাতেমা বেগম চলে গেলেন নাস্তা দিতে। মায়রা তখনো চুপচাপ করে বিবশ মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে। মানুষটা কে সে কল করবে? কি বলবে কল করে? যে মানুষটা এতদিনেও তাকে একটিবার কল করার প্রয়োজন বোধ করল না তাকে কিভাবে কল করবে সে? এটা কি বাড়াবাড়ি দেখাবে?
মিথিলা আজ চলে যাবে। মায়রা কে জোরাজুরি করেছে তার সাথে যেতে। ফাতেমা বেগমও রাজি ছিলেন। কিন্তু মায়রা কিছুতেই রাজি হয়নি এখন ফুফুর বাড়িতে যেতে। মিথিলা অবশেষে মেয়েটার মনের বিষণ্ণ ভাবের আভাস আঁচ করে চুপ গেল। যাওয়ার আগে একা চুপি করে মিথিলার কাছে সন্দিগ্ধ কন্ঠে জানতে চাইল মায়রা,
“আপু আমি কি উনাকে একবার কল করে দেখতে পারি?”
“আশ্চর্য এটা জিজ্ঞাস করার কি আছে? জামাই লাগে তোর আর আমার কাছে জিজ্ঞেস করছিস? অবশ্যই কল দিতেই পারিস?”

স্বাভাবিক ভাবে বলে দেওয়া মিথিলার কথাতেও থতমত খেলো মায়রা। দৃষ্টি নত করে ম্লান কন্ঠে বলল,
“উনি তো একদিনও আমায় কল করেনি আপু।”
“উনি করেনি বলে কি তুই করতে পারবি না? একটু ইগনোর করার পাশাপাশি জোরটাও খাটাস। উনি কিন্তু ভীষন ধূর্ত আর চতুর সাবধানে কয়থাবার্তা বলিস মায়রা। কোনো সমস্যা হলে জানাস আমাকে। আবারও বলছি ওই বদ ক্যাপ্টেন টার থেকে সাবধান। বেশি বাড়াবাড়ি করলে মামি কে কিন্তু বলে দিবি।”

মোহমায়ার বাহুডোরে পর্ব ৫

সাঁঝবেলা নেমেছে কিছুক্ষণ হয়। সকাল ১০ টা থেকে এখন পর্যন্ত গাড়িতে বসে আছে ইহাম। সারাদিনের জার্নিটা তার শরীর কে যেমন ক্লান্ত করে তুলেছে তেমনি সচল মস্তিষ্ক টা প্রখর ভাবে ছক সাজিয়ে নিচ্ছে মিশনের। খাগড়াছড়ি তে বেশ কিছুদিন ধরে এক দল দুর্বৃত্তকারী পর্যটক আর স্থানীয়দের বেশ জ্বালাতন করছে। ডাকাতি হামলা অস্ত্র পাচার সহ কাজ কর্মও তারা পরিচালনা করছে। যার ফলে রাঙ্গামাটিতে পর্যটন স্থান গুলিতে লোক সংখ্যাও কমে আসছে। তাই তো অথরেটি থেকে নোটিশ এসেছে মাঝরাতেই। এক মাসের ছুটি কাটাতে এসে একদিন বিরতি নিয়েই আবার ফিরতে হচ্ছে স্বস্তির পছন্দের কাজে। কিন্তু মনটা বড্ড অস্থির হয়ে আছে তার। একে তো সারাদিনের শারীরিক অবসাদ তার উপর মায়রা মেয়েটা। সেই মুহূর্তেই তার ভাবনার ছেদন ঘটল আননোন এক নাম্বারে আসা কলে।

মোহমায়ার বাহুডোরে পর্ব ৭