যতনে রাখিলাম যাতনা পর্ব ৩৫

যতনে রাখিলাম যাতনা পর্ব ৩৫
মম সাহা

চিত্রার প্রফুল্ল মন। তাকিয়ে আছে বারান্দা দিয়ে। ঠিক তাকিয়ে থাকা নয়, পুরোনো দিনের মতন গল্প করছে বনফুলের সাথে। এ বারান্দা থেকে ও বারান্দা। গল্প বেশ জমেও গিয়েছে। বনফুল মনযোগ দিয়ে বলছে আর ও শুনছে।
কথার এক ফাঁকে চিত্রা বাহার ভাইয়ের খোঁজও নিয়েছে। মানুষটা বাসায় নেই। এমন ভ্যাপসা গরমে কোথায় ঘুরছে কে জানে? মনটা বড়ো দেখতে চাচ্ছে তাকে।

ওদের কথার মাঝেই গলির মোড় থেকে বেশ স্পষ্ট ভাবে দু’জন ছেলে-মেয়েকে আসতে দেখা গেলো। চিত্রা দুই একবার পলক ফেলে ভালো করে তাকাতেই বুঝলো এই দু’জন অপরিচিত কেউ নয়। তার বাহার ভাই আর টুইংকেল। বাদামি রঙের চুলগুলো মেয়েটার উড়ছে। বেশ হাসিখুশি ভাবেই কী যেন বলছে। বাহার ভাই মেয়েটার দিকে তাকিয়ে নেই কিন্তু বুঝাই যাচ্ছে তিনি টুইংকেলের কথা মন দিয়ে শুনছেন। দৃষ্টি পথের দিকে। তারা বেশ কাছাকাছি আসতেই বনফুলেরও নজর পড়লো সেখানে। সে চিত্রার সাথে কথা থামিয়েই ডাকল ভাইকে। এবং এক ডাকেই বাহার ভাই মাথা উঁচিয়ে তাকালেন। বোনের দিক চোখ ফেলতে গিয়ে চিত্রার দিকেও চোখ পড়লো। হাসলেন মানুষটা।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

টুইংকেল কথা থামিয়ে তাকালো। বাহার ভাইয়ের মুখ জুড়ে যেই হাসিটা, সেই হাসিটা সে এই দীর্ঘক্ষণ পাশে থাকার পরেও দেখেনি। এবং এই হাসির কারণই বা কে সে বেশ ভালো করেই জানে।
বাহার ভাই হাত নাড়িয়ে চিত্রাকে ডাকলেন, “নিচে আসো, চিত্রা। কথা আছে।”
চিত্রা মাথা কাঁত করে সম্মতি দিয়েই রয়েসয়ে নেমে এলো। ততক্ষণে টুইংকেলও ঢুকে গেলো গেইটের ভেতর। বেশ তৃপ্ত কণ্ঠে বাহার ভাইয়ের উদ্দেশ্যে বলল,
“ধন্যবাদ আপনাকে। আজকের দিনটি সুন্দর ছিলো।”
বাহার ভাই কেবল ঘাড় কাঁত করে ধন্যবাদটুকু গ্রহণ করলো৷ চিত্রার সাথে চোখাচোখি হলো তার গেটে। সে হাসলো।
ঘামে চুপসে আছে বাহার ভাইয়ের শার্টটি শরীরের সঙ্গে। চিত্রা সেদিকে তাকিয়ে উৎকণ্ঠা নিয়ে বলল,
“পুরো ভিজে গিয়েছেন তো! বাড়ি গিয়ে সাথে সাথে গোসল করবেন না। শরীরের ঘাম শুকিয়ে গেলে এরপর করবেন। নয়তো ঠান্ডা লেগে যাবে।”

মেয়েটার যত্নে মায়ের মতন ঘ্রাণ। বউয়ের মতন প্রেম।
বাহার ভাই আবারও হাসলেন। হাতের খবরের কাগজে মোড়ানো ফুলের মালাটি এগিয়ে দিলেন চিত্রার দিকে। যেহেতু কাগজে মোড়ানো তাই চিত্রা বুঝতে পারলো না এটার ভেতরে কী। আগ্রহী স্বরে জিজ্ঞেস করল, “কী এনেছেন?”
“বড্ড প্রশ্ন তোমার, রঙ্গনা। ধরো, খুলে দেখো।”
মানুষের পশ্রয় পেতেই হাত বাড়িয়ে প্যাকেটটি নিলো চিত্রা। সঙ্গে সঙ্গে একটি সুন্দর ঘ্রাণ এসে নাকে লাগলো তার। সতেজ, প্রাণবন্ত ঘ্রাণ। নিমিষেই যে কারো মন ভালো হয়ে যাবে সেই ঘ্রাণে। চিত্রা প্যাকেট খুলেই জোরে শ্বাস টেনে নিলো। বেলির ঘ্রাণে ভরে গেল তার বুকটা। এত সজীবতা উপচে পড়লো গা জুড়ে যে সে ভাষাহারা হলো।
“পছন্দ হয়েছে?” বাহার ভাইয়ের আগ্রহী প্রশ্ন। মানুষটার আগে এত প্রশ্ন ছিলো না। আগ্রহ ছিলো। এত যত্নেরও বহিঃপ্রকাশ ছিলো না। আজকাল সেই সবটাই হয়েছে। এই যে কেমন ফুল দিয়ে জানতে চাচ্ছে প্রেমিকার পছন্দ হয়েছে কি-না!

চিত্রা মাথা নাড়ালো। অর্থাৎ পছন্দ হয়েছে। কিন্তু মুখ ফুটে বলল না কিছু।
চিত্রার নীরবতা হয়তো পছন্দ হলো না মানুষটার। তাই তো বললেন,
“আজকাল বড্ড জ্বালাচ্ছো, মেয়ে। এত জ্বালাতন কীসের শুনি?”
চিত্রা অবাক হলো। কৌতূহলী চোখে তাকালো বাহার ভাইয়ের দিকে। জ্বালাচ্ছে মানে? সে কো কিছু করলো না, বললোও না!
“কী করলাম শুনি?”
“এই যে কথা না বলে কেবল ঘাড় নাড়াচ্ছো। যার কথা শোনার জন্য এত তোড়জোড় তার নীরবতা কী মনে মানে বলো? মন বুঝে এই নীরবতা?”
লোকটা যেন অভিযোগ নিয়ে বসেই ছিলো।
চিত্রা হাসলো, “আগে কথা বললে তো ধমকাতেন।”
“আগের দিন বাঘে খেয়েছে।”
চিত্রা এবার হেসে দিলো। দিন দিন মানুষটার আবদার বাড়ছে কেবল।
গেইটের আড়ালে লুকিয়ে সেই দৃশ্য ঠিক দেখলো টুইংকেল। ওর ভীষণ লোভ জমেছে আজকাল। কেবল মনে চায় এই দু’জনের ছোটোখাটো মুহূর্তগুলো চিরদিন দেখে যেতে। ছবির মতন সুন্দর যেন এই প্রেম!

সওদাগর বাড়ির টেবিলের বুকে প্রতিদিন শত শত আড্ডার স্মৃতি জমে। তবে আজ বসেছে গুরুগম্ভীর আলোচনা। আলোচনার মূখ্য ব্যক্তি হলেন অবনী বেগম। খাবারের সময় যেহেতু সবাই একত্রিত থাকেন তাই তখনই অবনী বেগম তার কথাটা শুরু করলেন,
“বড়ো ভাইজান, আজ তো মাসের সাতাশ তারিখ। আমি এক তারিখে নতুন বাসায় উঠতে চাচ্ছি।”
সবাই বেশ অবাক হলো। বুঝাই যাচ্ছে কেউই এই বিষয় সম্পর্কে অবগত নয়। রোজা সওদাগর ভ্রু কুঁচকে প্রশ্ন করলেন,
“নতুন বাসা মানে? কোথায় যাবি?”
নুরুল সওদাগরও বললেন, “হ্যাঁ, কোথায় যাবে?”

বাকি সবাই সেই প্রশ্নের উত্তর জানতেই চুপ করে রইল। অবনী বেগম উত্তর দিলেন না৷ উত্তর দিলেন আফজাল সওদাগর, “ও আলাদা বাসায় চলে যাবে। আমরা সবাই জানি যে, আমজাদ কখনোই ওকে মেনে নিতে পারেনি। একান্তই আমাদের জোড়াজুড়িতে বিয়ে করেছিলো। এত বছর অহিকে সঠিক গন্তব্য দেওয়ার জন্যই ও এই এক তরফা সম্পর্ক ধরে রেখেছিলো। আজ অহির নিজস্ব ঠিকানা হয়েছে। তাই ও এই বাড়ির মায়া ত্যাগ করবে। আমজাদের বহু বছর যাবত গলার কাটা হয়ে ছিলো ও। তাই সেটা থেকে মুক্তি দিতে চায়।”
খাবার টেবিলে মুহূর্তেই যেন বিস্ফোরণ ঘটলো। কই, সবকিছু তো ভালোই ছিলো। আজ হুট করে হলোই বা কী!
রোজা সওদাগর বেশ ধমকে উঠলেন অবনীকে, “পাগল না-কি তুই? আমজাদের তখন বয়স কম ছিলো, তোরও বয়স কম ছিলো। এখন তোদের কত বছরের সংসার! সেসব রেখে আচমকা এসব কোন ধরনের কথা? আর তোর ভাইজানও বা এসব জেনেও চুপ করে আছে কীভাবে?”

“আহ্ রোজা! যা বুঝো না তা নিয়ে কথা বলো না। ওদের ব্যক্তিগত সংসার, ওরা যা ইচ্ছে করুক। ওরা প্রাপ্তবয়স্ক। আমরা ওদের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করতে পারি না।”
“হস্তক্ষেপ করতে হবে ভাইজান যদি সিদ্ধান্ত ভুল হয়।” নুরুল সওদাগর কথাটি বললেন রাগী স্বরে৷
হাসলেন আফজাল সওদাগর, “তাই না-কি? তুমি যখন তোমার মেয়ের বেলা ভুল সিদ্ধান্ত নাও, তোমার মেয়ে কাকে ভালোবাসে জেনেও অমুক, তমুকের সাথে বিয়ের কথা বলো তখন সেই ভুল সিদ্ধান্তের বিপরীতে আমরা কখনো কিছু বলি?”

ভাইজানের কথায় থেমে গেলেন নুরুল সওদাগর। চোখ নামিয়ে ফেললেন সঙ্গে সঙ্গে। ভাইজান এই বাড়ির ভেতর সবচেয়ে বুদ্ধিমান মানুষ। তিনি কখন, কোন ইঙ্গিতে কথা বলে ফেলেন কেউ বুঝতে পারে না।
বিষয়টি চলে গেলো একটি তর্ক-বিতর্কের দিকে তাই অবনী বেগমই সেই তর্ক থামাতে বললেন, “আপনারা কেউই এটা নিয়ে আর ঝামেলা করবেন না, দয়া করে। আমি আজকে যে সিদ্ধান্তটা নিয়েছি তা বহু বছর আগেই ভাবা। বাচ্চারা এখানে আছে তাই বলতে খারাপ লাগছে, তবুও বলি, আমি আর কারো অখুশির কারণ হয়ে থাকতে চাই না।”
চিত্রা, চাঁদনী, চেরি, টুইংকেল, তুহিন সবাই তাজ্জব হয়ে গিয়েছে। বড়োদের মাঝে কথা বলা উচিত নয় বলেই তারা চুপচাপ দেখছে সবটা। কিন্তু এখন আর চুপ করে থাকতে পারলো না চিত্রা। ছোটো চাচার দিকে তাকিয়ে বলল,
“ছোটো আব্বু, তুমি কিছু বলো! খারাপ লাগছে না তোমার এসব কথায়? তুমি বললে ছোটো আম্মু ঠিক থেকে যাবে। সে এখন অভিমান করেছে। তুমি কি অভিমানটুকুও ভাঙাবে না? ছোটো আম্মু চলে গেলে কিন্তু তুমি খুব আফসোস করবে।”

আমজাদ সওদাগর হয়তো এতক্ষণ যাবত অনেককিছুই মনে মনে ভেবেছিলেন কিন্তু বলার সময় গেলো সবটা গুলিয়ে। কেবল বললেন,
“তোমার ছোটো আম্মু যা ভালো মনে করেন, তা-ই হবে।”
ব্যস্, সকল কথোপকথন সেখানেই থেমে গেলো। এতক্ষণ সকলে একটু আশা রাখলেও এখন মোটেও তা রাখছে না। আমজাদ সওদাগরের উপর সবাই-ই খুব রেগে গেলো। আফজাল সওদাগর বললেন,
“ছোটো বউ, চাঁদনীকে পাত্রপক্ষ তো দেখতে আসবে। আগে দেখে যাক, এরপর যদি বিয়েটিয়ে ঠিক হয় সেসব শেষ করে একেবারে যেও। চিত্রাও তো আছে। অহিই তো কেবল তোমার মেয়ে নয়। চাঁদনী, চিত্রাও মেয়ে। ওদের বিয়েটুকু সমাধান করে গেলে ভালো হয়। বাকিটা তোমাদের মর্জি।”

এখানে আরেকটি ছোটোখাটো বিস্ফোরণ হলো চাঁদনী আপাকে দেখতে আসার কথা শুনে। সবাই ভেবেছিলো সবচেয়ে বড়ো প্রতিক্রিয়া দেখাবে চাঁদনী কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে চাঁদনী রইলো চুপ। অতএব সবাই বুঝলো যে চাঁদনীর সম্মতিতেই পাত্রপক্ষ আসছে।
অবনী বেগমের অভিমান আরও গাঢ় হলো। স্বামীর দিকে তাকালেনও না। কেবল মূর্তির মতন উত্তর দিলেন, “ঠিক আছে।”
এরপর গটগট করে চলে গেলেন রান্নাঘরে।
আমজাদ সওদাগরও দীর্ঘশ্বাস ফেললেন। কী করবেন, কী না করবেন, বুঝেই উঠতে পারছেন না তিনি।

রাতে ইলেক্ট্রিসিটি চলে গিয়েছে। এখন বাজে রাত পৌনে বারোটা। সবাই যার যার বাড়ি থেকে বেরিয়ে গল্পসল্প করছে গলিটায়। যেহেতু এটি প্রাইভেট এলাকা তাই এখানটায় বাহিরের কোনো রিকশা গাড়ি আসার সম্ভাবনাও নেই। তাছাড়া প্রায় প্রতিটি বাড়ির সাথে প্রতিটি বাড়ির মানুষের বেশ পরিচয়, ভাব-ভালোবাসা রয়েছে।
চাঁদনী, তুহিন, টুইংকেল, বনফুল, বাহার ভাই, চিত্রা সকলেই বসে আছে বাহার ভাইয়ের বাড়ির কাছটায়।
আড্ডার বিষয়বস্তু- বাহার ভাইয়ের সুন্দর গানের কণ্ঠ।
টুইংকেল অতি উৎসাহিত হয়ে বলল, “আপনি এত সুন্দর গান করেন! এত সুন্দর কণ্ঠ আপনার!”
বাহার ভাইয়ের চোখ বরাবরের মতন অন্য দিকে। বলল, “আপনি কীভাবে জানলেন আমি গান জানি?”
“আমার ফোনে তো আপনার অনেক ভিডিও ছিলো, বাহার ভাই। সেসবই ও ঘুরেফিরে দেখতো। তখন থেকেই ও আপনার গানের ভক্ত।” হাসি মুখে বলল চাঁদনী।
বাহার ভাই কেবল মাথা নাড়ালেন।

টুইংকেল আবার বলল, “আমি আজ সন্ধ্যা বেলায়ও শুনছিলাম আপনি গান করছিলেন। এই প্রথম সামনা-সামনি শুনলাম। ভিডিওর চেয়েও সুন্দর কণ্ঠ আপনার।”
বাহার ভাই আবারও মাথা নাড়ালেন কিন্তু কৃতজ্ঞতা স্বরূপ কিংবা ভদ্রতা স্বরূপ একটি ধন্যবাদও বললেন না।
এতে সামান্য কষ্ট পেলো টুইংকেল। পরবর্তীতে সে-ই কষ্ট উড়িয়ে দিয়ে বলল, “আজকে একটা গান শুনাবেন? এত সুন্দর ওয়েদার, মাথার উপর চাঁদ, চারপাশে তেমন চোখ ধাধানো আলো নেই, আপনার কণ্ঠের গান আজকের রাতটি স্মরণীয় করে ফেলতে পারে।”

চিত্রা এই অতি উৎসাহিত টুইংকেলের কণ্ঠে কিছুটা অস্বস্তি বোধ করছে। একে তো মেয়েটা প্রতিদিন বাহার ভাইয়ের গান শুনতো, এখন আবার এত প্রশংসা করছে, নতুন করে গানও শুনতে চাচ্ছে, সেদিন একসাথে কোথা থেকে ফিরলো দু’জনে, বিষয় গুলো কেমন যেন গায়ে লাগলো তার। ভদ্রতার চামড়া আর জড়িয়ে রাখতে পারছিলো না। তবুও চাঁদনী আপার গেস্টের সাথে তো আর খারাপ আচরণ করা যায় না! তাই চুপই রইল।
তখনই বাহির থেকে কিছুটা গমগমে আলোচনা ভেসে এলো। কারো উঠে গিয়ে জানতেও হলো না কী হয়েছে। তার আগেই চেরি ছুটে এসে বলল,

“জানো তুহিন ভাই, শাহাদাত ভাইয়ার বউ না-কি পালিয়ে গেছেন। কাল থেকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না উনারা। আজ জানতে পারলেন, কোনো এক ছেলের সাথে গিয়েছে। এবং চিঠি পাঠিয়েছে- ভাবি তার এত বড়ো বরের সাথে সংসার করতে পারবেন না। শাহাদাত ভাইয়া তার চেয়ে বয়সে বড়ো বলেই ভাবির নাকি এই সংসারে মন বসেনি।”
চাঁদনী বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে রইলো। একদিন তাকে যে-ই ছেলেটা প্রত্যাখ্যান করেছিলো, আট বছরের সম্পর্ক ভেঙেছিলো এই বাহানায় যে, চাঁদনীর বয়স বেড়ে গেছে, সে-ই ছেলেরই না-কি স্ত্রী চলে গিয়েছে। তা-ও কারণ কী? বয়স বেশি তাই! কেমন বিষয়টা হাস্যকর না? প্রকৃতি এভাবে বিচার করে? এত নিঁখুত বিচার? একই পথে, একই কাঁটায়, একই যন্ত্রণায় বিষিয়ে দিতে জানে প্রকৃতি?
এই বিস্ময়কর বিষয়টিতেও গা-ছাড়া বাহার ভাই গেয়ে উঠলেন,

যতনে রাখিলাম যাতনা পর্ব ৩৪

“তুমি যাকে ভালোবাসো,
স্নানের ঘরে বাষ্পে ভাসো,
তার জীবনে ঝড়।
তোমার কথায় শব্দ দূষণ,
তোমার গলার স্বর।
আমার দরজায় খিল দিয়েছি,
আমার দারুণ জ্বর।
তুমি অন্য কারো সঙ্গে বেঁধো ঘর…..”
চিত্রা বর্তমান ঘটনায় আরও অবাক হলো। বাহার ভাই আজকাল অন্য কারো জন্যও গান গায়?

যতনে রাখিলাম যাতনা পর্ব ৩৬