রং পর্ব ৫৭

রং পর্ব ৫৭
তন্নী তনু

জানালার গ্রীল দু”হাতে ধরে শূন‍্য আকাশের পানে কোমল দৃষ্টি মেলে তাকিয়ে আছে অনিমা। ধৈর্য্য ধরতে ধরতে কখনো কখনো মন অধৈর্য‍্যের শেষ সীমানায় পৌঁছে যায়। চোখে ক্লান্তি লাগে, মন অশান্ত থাকে। বিয়ে এক নতুন স্বপ্নের যাত্রা। অথচ সেই বিয়ে তার জীবনে আধার হয়ে নেমেছে। অন্ধকারাচ্ছন্ন জীবনে তলিয়ে যেতে যেতে আজকাল হাঁসফাঁস করে হৃদয়। প্রশ্নে তাড়িয়ে বেড়ানো মনটাকে উত্তর দিতে না পেরে চোখে শূন‍্যতা নিয়ে তাকিয়ে থাকে অনিমা। কেনো হঠাৎ হারিয়ে গেলো রাফি!!! কেনো এখনো কোনো খোঁজ নেই?? তার বান্ধবীর সাথেই যদি রাফির সম্পর্ক থেকেই থাকে তাহলে হঠাৎ করে তাকে বিয়ে করার কি প্রয়োজন ছিলো!!! কেনো এই অন্ধকারাচ্ছন্ন জীবনের দিকে টানলো। এই বোঝা বইয়ে বেড়াতে তার হৃদয় আজকাল হাঁপিয়ে ওঠে,গলাটা তীব্র যন্ত্রণায় বুজে থাকে সব সময়। তবুও আশায় বাঁচে মন। হয়তো কোনো একদিন রাফির খোঁজ মিলবে, অন্ধকার কেটে কোনো না কোনোদিন আলো মিলবে। শূন‍্য চোখে তাকিয়ে থাকা অনিমার ঘোর কাটে ফোনের মৃদু শব্দে। গুটি গুটি পায়ে ফোনের দিকে এগিয়ে যায় অনিমা।

— কেমন আছো!! মা?
— আলহামদুলিল্লাহ্! অনমা মা, তোমার ফোনে একটা ভিডিও দিয়েছে তোমার আব্বা। একটু দেখো ভিডিওটা।
— কোনো সিরিয়াস কিছু মা?
–কতো বুঝাইলাম মা! চলে এসো চলে এসো। আসলে না। এখন নিজেই দেখো কি কি করেছে!!
— রাফির কথা বলছো?? ও বেঁচে আছে মা?
— ভিডিও দেখ। নিজেই বুঝতে পারবি।
তড়িৎ গতিতে ফোন কাটে অনিমা। রাফির এক সেকেন্ড খবর এর জন‍্য তৃষ্ণা আত্মা শুকিয়ে গেছে হাজার বার। তাহলে সত‍্যিই বেঁচে আছ? রাফি কে দেখা যাবে? মনের খুশিতে আত্মহারা হয়ে ভিডিও অন করে অনিমা। অতঃপর তীব্র ধাক্কায় ছিটকে পড়ে। এতো বড় একটা চক্রের সাথে রাফির নাম দেখেই শীতল আবহে জমতে শুরু করে তার হৃদয়। এতোগুলো দিনের অপেক্ষা,এর পরে এতো বড় একটা খারাপ সংবাদ!! মানুষটা এসবের সাথে জড়িত তাহলে তাকে কেনো জড়ালো সেই নোংরা জীবনে??
গুম হয়ে যাওয়া!! তার নিরুদ্দেশে সিনথিয়াকে দোষারোপ!!এতো এতো নাটক কেনো? সে যে অপেক্ষা করলো!! এতোগুলো দিন কষ্টে ভাসালো!! সব শেষে এই খবর!!
ফোন হাতে দৌড়ে পাশের রুমে যায় অনিমা। রাফির মা কে ডাকে,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

— আম্মা!!
আম্মা!!
রাফির মা তখন নামাজ থেকে উঠেছে। অকস্মাৎ অনিমার প্রবেশ, তার চোখের নাজেহাল অবস্থায় জিজ্ঞেস করেন,
— কি হয়েছে!! কোনো সমস‍্যা!!
— ভিডিও দেখছেন।
কয়েক সেকেন্ড চুপ করে থাকে রাফির মা। অতঃপর অনিমার দিকে তাকিয়ে নরম গলায় বলেন,
— কিসের ভিডিও!
— আপনার ছেলে কি করছে দেখেছেন?
রাফির মায়ের গলাটা আরোও নরম হয়ে আসে। তার চোখ মুখের অবস্থা দেখেই বুঝে যায় এরা সব কিছুই জানে। জেনে শুনেও তাকে কিছুই বলেনি।
— সবটা জানেন আম্মা?? সব জেনেও আমাকে কিছুই জানালেন না??
— কি বলতাম! কি বলার ছিলো। ছেলে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলে সে খরব সবার আগে তোমাকে দিতাম মা। তুমি যা করেছো। দুই এক দিনের নাম মাত্র সংসারের জন‍্য স্বামীর অপেক্ষায় কেউ থাকে? কেউ থাকে না মা। তুমি ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়েছো। এমন একটা মানুষকে এমন একটা কথা কি করে বলি?

— আপনার কষ্ট হচ্ছে না? কান্না পাচ্ছে না? এতো শক্ত হয়ে কি করে আছেন? কিভাবে চেপে রাখলেন সব কিছু?
— নিরব কান্নার যন্ত্রণা বেশী ।
— ও কেনো এরকম করলো মা? তাহলে আমাকে বিয়ে কেনো করলো??
— আমি কিচ্ছু জানিনা।
— আপনি আমার থেকে কিছু লুকাচ্ছেন!!
— ঘরে যাও মা!! ধৈর্য্য ধরো। এর চেয়ে বেশী কিছু বলার নেই আমার।
— ধৈর্যের শেষ টা কোথায়? কিছু বুঝে ওঠার আগে জীবনটা তো অন্ধকারে তলিয়ে গেলো?
–জীবন মানেই যুদ্ধ। কি করে অন্ধকার থেকে নিজেকে আলোর দিকে নিবে ঐটা তোমার চেষ্টার উপর। চেষ্টা করো বাকিটা উপরওয়ালার উপর ছেড়ে দাও।

ক্লান্তিতে ডুবতে থাকা সুভা বিছানা পাতছে ফ্লোরে। ঘরে থেকে সব ফার্নিচার নিয়ে যাওয়ায় ফ্লোরেই বিছানা পেতে ঘুমাতে হচ্ছে। স‍্যালারি হওয়ার অনেকটাই দেরি। এর মধ‍্যে না চাইতেও একাউন্টে আরোও কিছু টাকা এসেছে। আর সুভা জানে এটা ইরফাদ ই পাঠিয়েছে। এর মধ‍্যে দুই একবার কথাও হয়েছে। সে টাকাতে কোনো রকমে চলছে সব। দেয়াল ঘেঁষে বালিশ রেখে তাতে শরীর এলিয়ে বসে সুভা। সে সময়েই ধীর পায়ে প্রবেশ করে তার মা। দরজায় দাঁড়িয়ে তিনি কাচুমাচু করেন। সুভা চাপা স্বরে বলে,
— কিছু বলবে!
সুভার মা ধীর পায়ে সুভার পাশে এসে বসেন। তারপর কাতর স্বরে বলেন,
— এই অসুস্থ মানুষটা ফ্লোরে বিছানা পেতে রাখতে হচ্ছে। আবার বাড়তি খাবারটাও নষ্ট হচ্ছে বার বার।
— মা! স‍্যালারি হোক, চেষ্টা করবো আমি। আমার দিকটা তো বুঝবে?
— না মানে?

— তুমি কি অন‍্য কিছু বলতে চাচ্ছো? তুমি কি কোনো ভাবে ঐ লোকটার সাথে!
— মানে বলছিলাম আর কি!! শেষ বয়সেও কাউকে না কাউকে পাশে রাখা প্রয়োজন। এভাবে একা একা কতোদিন!!
— আমার একা থাকা নিয়ে তোমাদের যায় আসে না। লোকটাকে বিয়ে করলে তোমরা তোমাদের ফার্নিচার গুলো ফেরত পাবে সেই ধান্দায় আছো।
— সুভা!
— তিতা হলেও এটাই সত‍্যি। যখন কম বয়সি ছিলাম জোর করে বিয়ে দিতে পারোনি? না তখন তো দাওনি। কারণ তোমার ছেলের পড়াশুনা। বাবার ঔষধের খরচ কে মেটাতো? এখন যেই না স‍্যালারি হতে দেরি হয়েছে।তোমার ছেলের দেনা মেটাতে ঘরের সব গেছে তখন ই শুরু হয়ে গেছে বিয়ের চিন্তা। তাকে বিয়ে করলে তো তোমরা হাফ ছেড়ে বাঁচো।
— শুধু শুধু দোষ দিচ্ছিস সুভা। তুই নিজেই তো বিয়ে করতেই চাস নি। জোর করিনি আমরা।
— শোন মা!! আমার মাথার উপর অনেক প্রেশার। সারাদিন এতো কথা আমার উপর চাপাতে এসো না। আর একটা কথা ভালোভাবে মন দিয়ে শোনো। আমার কখনোই বাচ্চা হবে না। বিষয়টা ক্লিয়ার!! বাচ্চা হবে না বলেই ভালোবেসেও তাকে আমি পেতে চাইনি। সে জায়গায় অন‍্য কাউকে না আমি ভালোবাসতে পারবো না তাকে বাবা হওয়া থেকে বঞ্চিত করতে পারবো। যাও এখন!

–সুভা!
— তুমি কি যাবে নাকি আমি রুম থেকে চলে যাবো।
সুভার চোখের সরু শিরাগুলোতে তখন রক্ত উঠে গেছে। সুভার মা আর কথা বলার সাহস পায় না। মা মেয়ে বসে থাকা অবস্থায় অসুস্থ সুমন চিৎকার দিয়ে ওঠে,
–আপা!! আব্বু কেমন যেনো করছে।
সুভা হৃদপিণ্ডটা লাফিয়ে ওঠে চড়াৎ করে। বিছানা থেকে তড়িৎ গতিতে লাফিয়ে ওঠে সুভা। একছুটে চলে যায় তার বাবার ঘরে। বাবা শুয়ে আছে ফ্লোরে পাতা বিছানায়। সুমন বসে ছটফট করছে ঠিক মাথার কাছটায় বসে। সুভা ছুটে আসে। উঠে দাঁড়ায় সুমন। তার বাবার শ্বাসরোধ হয়ে আসছে। হাপাচ্ছেন তিনি। কপাল চুইয়ে ঘাম ছুটছে তার। সুভা তার বাবার বুকের উপর হাত রেখে বলে,
— কোথায় কষ্ট হচ্ছে আব্বু?? বুকে!!
তার বাবার অবস্থা ক্রমেই আগের অবস্থাকে ছাড়িয়ে যায়। অবস্থা বেগতিক দেখে সুভা। সুমনের দিকে তাকিয়ে বলে,
–বাবাকে হসপিটালে নিতে হবে।
হাসপাতাল থেকে মৃত‍্যুর কাছ থেকে ফিরে আসা দূর্বল শরীরের ছেলেটার হাত এখন অনবরত থরথর করে কাঁপছে। অসহায়ের মতো ছেলেটা বলে,

— আমার কাছে একটা পয়সাও নেই আপা।
এমন অসহায়ের মতো মুখটা দেখে সুভার ভেতরে এক তীব্র যন্ত্রণার ঢেউ উঠে যায়। কতোটা অসহায় পরিস্থিতি! বাবা অসুস্থ! মৃত‍্যু সয‍্যায় অথচ কি করুণ পরিণতি তাদের। সুভা নিজেকে সামলে নেয়। শুধু ধীর গলায় বলে,
— এম্বুলেন্স এর ব‍্যবস্থা কর। বাকিটা দেখছি আমি!
— তুমি কোথায় টাকা পাবে আপা!
— সে চিন্তা আগে করলেও পারতি। এখন এসব চিন্তা করে কোনো লাভ আছে?

বিকেলের রক্তিম সূর্যটা ধীরে ধীরে ডুবতে শুরু করেছে সে সময়ে বাড়ি ফেরে ইরফাদ। ছোট টুম্পাকে সুন্দর পরিপাটি করে গুছিয়ে ইভা চুপচাপ বসে আছে পাশেই। বুকের মধ‍্যে দোটানার একটা ভয়ংকর চাপে সে এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। এতোগুলো বছর পর ঐ মানুষটার মুখোমুখি হতে পারবে কি সে? ঝুরঝুরে বালির মতো সে ঝোড়ে পড়বে!! নিজেকে সামলাতে পারবে তো! দূরে রেখে নিজেকে যেভাবে শক্ত করে রেখেছিলো তাকে একবার দেখায় সেই রাগ, অভিমান, জেদ সব কিছু মাখনের মতো গলে যাবে না তো। নিজেকে খুব দূর্বল লাগছে।এসব ভাবনার মধ‍্যেই ইরফাদ প্রবেশ করে।
— রেডি!!
ইভা দরজার দিকে তাকায়। ইরফাদকে দেখেই ইভা আরোও দূর্বল হয়ে যায়। আর অল্প কিছুক্ষণ! এর পরেই রাফসানের মুখোমুখি!! এতো শক্তি কি তার আছে? সত‍্যিই আছে…….!!
ইভা ধীর গলায় উত্তর দেয়,
— ভাইয়া!! খুব দূর্বল লাগছে।
— দেখা করবে শুধু টুম্পা,তুই না। টুম্পা যাচ্ছে তাই তুই যাচ্ছিস। সো?
— ও যদি টুম্পার কোনো ক্ষতি করে?

— আমি নেই…..? আর তোর কি মনে হয় আমি বাচ্চা? ও অপরাধি ওর ষোলো আনার জায়গায় আঠারো আনা শাস্তির পক্ষে। তবে একজন বাবার জায়গা থেকে ওর চোখে যে তৃষ্ণা , ওর চোখে যে আফসোস, যন্ত্রণা এটা আমি দেখেছি। একজন মানুষ হিসেবে বাবার কাছে থেকে মেয়েকে আলাদা করা তো সম্ভব না।
— টুম্পা যখন জানতে চাইবে সবার বাবার মতো ওর বাবা প্রতিদিন আসে না কেনো? যখন ও বড় হবে তখন জানবে ওর বাবা একজন অপরাধি।
–বাবা”রা সন্তানের কাছে কখনো অপরাধি হয় না। প্রত‍্যেক সন্তানের কাছে বাবা কেবল বাবাই হয়। বাবা সন্তানের কাছে কেবল বেস্ট পারসন হয়। সো ডোন্ট প‍্যানিক।
— যাবো তাহলে?
— তোর ইচ্ছে। তুই না গেলেও আমি টুম্পাকে নিয়ে যাবো। তবে তোকে যেতে বলছি রাফসান ওর কাছে অপরিচিত। নরমালি বাবা তার মেয়েকে পেলে কোলে চাইবে, আদর করবে। অপরিচিত পারসনের কাছে যেতে না চাইতেই পারে। ঐ সময়ে তোকে প্রয়োজন। যাবি?

— চলো।
ঠিক ঐ সময়ে ইরফাদের ফোনটা বেজে ওঠে। ফোনের স্ক্রিনে লেখা,” কলিং সুভা”।
— ইরফাদ!! বাবা অসুস্থ হয়ে গেছে। অনেক খারাপ অবস্থা একটু আসবা?
— হুম শিউর! কোন হসপিটাল…!
— টেক্সট করে দিচ্ছি আসো প্লিজ?
— টাকা আছে কাছে?
— চলবে কিছুক্ষণ।
— ডোন্ট প‍্যানিক!! আসছি আমি…
ফোন রেখে ইরফাদ টুম্পাকে কোলে নেয়, কপালের কোণে ছোট হামি দিয়ে বলে,
— সরি মা!! খুব কষ্ট দিলাম। কাল ঠিক নিয়ে যাবো মা। সরি…..!
–কেনো সরি বলছো মামাই….!
— এই যে তোমাকে সাজুগুজু করে বসিয়ে রাখলাম কিন্তু বাইরে নিয়ে যেতে পারলাম না।
–তাই জন‍্য সরি…..?
–হুম বাবা।
— তিন্তু আমি তো লাগ কলিনি মামাই।
— ওরে বুড়িটা। ঐ জন‍্যেই তো আই লাভ ইউ।
— আই লাভ ইউ ঠুউউ মামাই।

নিজের রুমে প্রবেশ করে ইরফাদ। অল্প সময়ের একটা শাওয়ার নেয়। ক‍্যাজুয়াল ড্রেস পড়ে বের হয়। সিনথিয়া কফি নিয়ে আসে। ইরফাদের হাতে সময় কম। ওয়ালেট টা পকেটে ঢুকিয়ে বিছানায় বসে কফির মগে হালকা করে চুমুক দেয়। এরপরেই তড়িঘড়ি করে বলে,
— কষ্ট করে করেছো তাই এইটুকু খেয়েছি। বাকিটা তুমি শেষ করো। আমার হাতে সময় নেই।
— কোথাও যাবেন?
–হুম, সুভাকে চেনো না? ওর বাবা অসুস্থ। যেতে হবে।
— কখন ফিরবেন?
— চেষ্টা করবো তাড়াতাড়ি ফিরতে।
মুখটা ভার করে দাঁড়িয়ে থাকে সিনথিয়া। মাত্র ফিরলো, এখন ই আবার চলে যাবে। চোখে টলমলে পানি দেখেই ইরফাদ বলে,

— আসবো বলছি না?
— সাবধানে যাবেন!
— আর কিছু না?
–আর কি?
— এট লিস্ট লাভ ইউ তো বলতে পারো? বউ কি করে লাভ ইউ বলে এটাই শোনা হলো না।
চোখ নামিয়ে নেয় সিনথিয়া। ইরফাদ সিনথিয়ার মাঝামাঝি দূরত্ব কমায়। ওষ্ঠধর সিনথিয়ার কানে নামিয়ে ফিসফিসিয়ে বলে,
— একটু আই লাভ ইউ বলবে প্লিজ!!

রং পর্ব ৫৬

সিনথিয়া চোখ বন্ধ করে শক্ত হয়ে দাঁড়ায়। শক্ত শরীরেও এক কোমল অনুভূতি দোল দিয়ে যায়। এক পা করে পিছিয়ে যেতেই ইরফাদ দুজনের মধ‍্যকার দূরত্ব শূন‍্যতে আনে। ঘন হীম শীতল গলায় ফিসফিসিয়ে বলে,
— আই লাভ ইউ!!
এই মিষ্টি বাক‍্যটুকু ছেড়ে তড়িৎ গতিয়ে হারিয়ে যায় মানুষটা। তবে সেই মিষ্টি আবহ সিনথিয়াকে আষ্টেপৃষ্ঠে ধরে।

রং পর্ব ৫৭ (২)