রাজনীতির রংমহল সিজন ২ পর্ব ৩৫
সিমরান মিমি
বোর্ডিং এর পাশে সীট নাম্বার দেখে বসে পড়লো স্পর্শী।বাহ!জানালার পাশেই তার সীট।এর থেকে আর আনন্দের কিইবা হতে পারে?আলতো করে বসে বিমানবালা র নির্দেশ মোতাবেক সিটবেল্ট লাগিয়ে নিলো।একটু কাত হয়ে পেছে তাকাতেই দেখলো দু সীট পেছনে জানালার পাশেই পরশ শিকদার বসেছে।মুহুর্তেই চোখ সরিয়ে নিলো স্পর্শী।কারন পরশ ও তার দিকেই তাকিয়ে আছে।কি না কি ভেবে বসে সেই ভয়েই আর ফিরে তাকায়নি সে।বিমান এখনো টেক অফ করেনি।বিমানবালা সবাইকে নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছে।
‘এক্সকিউজ মি!তুমি এই সিটে আসো।আমি জানালার পাশের সীটে বসবো।’
অবাক হয়ে গেল স্পর্শী।চোখ দুটো ছোট ছোট করে তাকিয়ে রইলো মেয়েটির দিকে।বয়স পঁচিশ কি ছাব্বিশ হবে।ভারী মেকাপের সাথে ওড়না বিহীন টাইট পোশাকে মেয়েটাকে দেখতে খুবই আকর্ষনীয় এবং কামুক লাগছে।কিন্তু এই মেয়েটার দিকে তাকাতে একপ্রকার লজ্জা করছে স্পর্শীর।নিজেকে সংযত রেখে কাঠখোট্টা কন্ঠে বললো,
‘আপাতত সীট টা আমার।আর জানালার পাশে বসতেই আমি কম্ফোর্ট ফিল করি।তাই চেঞ্জ করা যাবে না।’
মেয়েটা বিরক্তি নিয়ে স্পর্শীর দিকে তাকালো।মুখ ভেঙিয়ে বসে পড়লো সীটে।
‘হাই আপু।’
আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন
চমকে তাকালো মেয়েটি।স্পর্শীও নজর দিলো সামনে।সেখানে পরশকে দেখেই ভ্রুঁ কুঁচকে ফেললো।মেয়েটি পরশ কে দেখে হাসলো।স্মার্টনেসের সাথে বললো,
‘হ্যালো।’
পরশ বিনিময়ে হাসলো।বললো,
‘আমি এই আপনার পেছনের সীটেই বসেছি।জানালার কাছে।শুনলাম আপনি নাকি জানালার পাশের সীট ছাড়া বসতে কম্ফোর্ট ফিল করেন না।খুবই সমস্যা হয়।তাই এলাম।আপনি চাইলে আমার সীটের সাথে এক্সচেঞ্জ করতে পারেন।’
মেয়েটি আনন্দের সাথে উঠে দাঁড়ালো। হেসে বললো,
‘ওহহ থ্যাংক ইউ সো মাচ।আসলেই আমার ভীষন প্রবলেম হয়।
এরপর স্পর্শীর দিকে তাকিয়ে ভেংচি মেরে পা বাড়ালো পেছনের দিকে।আচমকাই কাঁত হয়ে পরশের গায়ের উপর পড়তেই দুকদম দূরে সরে গেল পরশ।উত্তেজিত হয়ে বললো,
‘আরামসে,আরামসে।’
‘সরি সরি আসলে আমি নিজেকে সামলাতে পারি নি।’
আঁড়চোখে সেদিকে তাকালো স্পর্শী। মুহুর্তেই চোখ মুখ বিকৃত করে অন্যদিকে তাকালো।ক্ষোভ নিয়ে বললো,
‘যত্তসব ঢং,ন্যাকামো।’
ঠোঁট কামড়ে হাসলো পরশ।আরাম করে বসে সামনের দিকে তাকালো।সেকেন্ড খানেক পর স্পর্শীর উদ্দেশ্যে বললো,
‘তোমার কি মনে হয় আমি যে চে তোমার পাশের সিটে বসেছি?একদমই না।মেয়েটা ভীষণ সুন্দর তাই না?জানালার সীটে না বসলে মেয়েটার ভীষণ কষ্ট হতো।সেজন্যই আমার সীট টা তাকে দিয়েছি।আর আমি বাধ্য হয়ে নিজের কান নষ্ট করার জন্য তোমার পাশে এসে বসেছি।সুন্দরী মেয়েদের সাহায্য করলেও এক আলাদা শান্তি পাওয়া যায়।’
ক্ষোভ নিয়ে তাকালো স্পর্শী।বিরক্তির সাথে বললো,
‘সুন্দরী?তা কোলের উপর গিয়ে বসে থাকুন না।এখানে আসছেন কেন?’
‘আস্তাগফিরুল্লাহ!স্পর্শীয়া,আমাকে কি তোমার চরিত্রহীন মনে হয়?’
বিমান চলতে শুরু করেছে ইতোমধ্যে।এয়ারপোর্টের খোলা মাঠে সুড়সুড় করে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে সে।স্পর্শী অন্যদিকে তাকিয়ে বললো,
‘মনে হওয়ার কি আছে?আমিতো হান্ড্রেড পারসেন্ট শিউর আপনি চরিত্রহীন।’
বলতেই আচমকা পেছনের দিকে হেলে পড়লো স্পর্শী।চিৎকার করে উঠলো। সিটবেল্ট বাঁধা রয়েছে তার।কিন্তু তাও ভয় সড়ছে না।এক হাত দিয়ে খামছে ধরে আছে পরশের হাত।পরশ শক্ত করে স্পর্শীর হাত ধরলো।শান্ত কন্ঠে বললো,
‘ভয় পেয়ো না।কিচ্ছু হয় নি।এটা স্বাভাবিক।বিমান টেক অফ করছে।’
একটানা প্রায় কিছুক্ষণ পর পুনরায় প্লেন টা স্বাভাবিক অবস্থায় এলো।প্রাণ ফিরে পেল স্পর্শী।বিশাল এক নিঃশ্বাস নিয়ে বললো,
‘এটা আমার ফার্স্ট জার্নি। তাই একটু ঘাঁবড়ে গেছিলাম।মোটেও ভয় পাই নি আমি।ভয় পাওয়ার মতো কিছু কি ঘটেছে যে ভয় পাবো?হাত টা ছাড়ুন এখন।’
পরশ ছেড়ে দিলো হাত।এভাবেই চলতে লাগলো পুরোটা পথ।মাঝেমধ্যে নিজ থেকে স্পর্শীকে খোঁচালেও বেশিক্ষণ দীর্ঘিস্থায়ী হয়নি তাদের কথা।দু একটা ঝাঁঝালো বাক্য বলেই চুপ করে থেকেছে স্পর্শী।
প্লেন ল্যান্ড করেছে মিনিট পাঁচেকের মতো।স্পর্শী নিজের ব্যাগ নিয়ে হেঁটে এলো দ্রুত।কিন্তু পা কেমন করছে।হাঁটতে ইচ্ছে করছে না।ট্রলি টাকে রেখে তার উপর বসে ফোন অন করলো।ইতোমধ্যে পরশ ও তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।
‘হ্যালো আব্বু,পৌছে গেছি আমি।’
শামসুল সরদার যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন।পুনরায় চিন্তিত কন্ঠে বললেন,
‘তোমার ফ্রেন্ড এসেছে তোমায় রিসিভড করতে?’
স্পর্শী পরশের দিকে একবার তাকিয়ে বললো,
‘না এখনো দেখছি না।ফোন দিতে হবে।হয়তো আশেপাশেই আছে।আচ্ছা আমি রাখছি।পৌছে ফোন দিবো। ‘
‘তুমি কি কাউকে খুঁজছো?কেউ কি নিতে আসবে তোমায়?’
স্পর্শী পরশের দিকে তাকালো।এরপর শান্ত কন্ঠে বললো,
‘না কারো আসার কথা ছিলো না।তবে আব্বু জানে আমার ফ্রেন্ড আসবে।আর ওর কাছেই থাকবো আমি।’
ভ্রুঁ কুঁচকে ফেললো পরশ। প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বললো,
‘তারমানে তুমি তোমার ফ্রেন্ডের সাথে থাকছো না?হোটেলে থাকবে।’
হু।’
পরশ হাত বাড়িয়ে স্পর্শীকে ধরে উঠালো।তার চোখেমুখে ক্লান্তির ছাপ।অতিরিক্ত এই তাপদাহ যেন সহ্য করতে শরীর তার অপারাগ।স্পর্শী দাঁড়িয়েও আবার বসে পড়লো।কাতর কন্ঠে বললো,’আর একটু বসি।আমার কেমন যেন লাগছে।’
বাধ সাধলো না পরশ। মাথার কালো ক্যাপ টা খুলে স্পর্শীর পাশে রেখে পেছন ঘুরে তাকালো।গরমে সারামুখ ঘেমে নেয়ে একাকার। মুখের মাস্ক খুলে আলতো করে টিস্যু দিয়ে মুছলো।এরপর পেছন ফিরে তাকাতেই চমকে উঠলো স্পর্শী।বেজায় শব্দে আর্তনাদ করে বললো,’আল্লাহ!’
চমকে গেল পরশ।উত্তেজিত হয়ে অনবরত জিজ্ঞেস করলো,’চিৎকার করছো কেন?কি হয়েছে?’
অবাক হওয়া কন্ঠে আঙুল দিয়ে পরশের মুখের দিকে ইশারা করলো স্পর্শী।বলল,”আপনার মুখ। ‘
বুঝতে পারলো না পরশ।কপাল কুঁচকে বললো,’কি হয়েছে আমার মুখে?’
নিজেকে শান্ত করে বসলো আবারো।সেকেন্ডে সেকেন্ডে পরশের মুখের দিকে তাকাচ্ছে স্পর্শী।এরপর আশ্চর্যের কন্ঠে বললো,’আমি বলতে চাইছি আপনি চুল দাঁড়ি কবে ছোট করলেন?কাল বিকালেও তো বড় ছিলো।ধুর!আই মিন চেনা যাচ্ছে না।হুট করে এতক্ষণ পর দেখেছি তো তাই একটু ঘাবড়ে গেছিলাম।ব্যাস! আর কিছু না।’
এতোক্ষণে বুঝতে পারলো পরশ।ঠোঁট কামড়ে এক ভ্রুঁ উঁচিয়ে বললো,’কেন ভালো লাগছে না দেখতে?’
দ্রুত মাথা নাড়ালো স্পর্শী।দুদিকে নাড়িয়ে বললো,
‘না না ঠিক আছে।সুন্দর লাগছে।এটাই ঠিক আছে।’
পরশ পুনরায় ঠোঁট কামড়ে হাসলো।বললো,’সুন্দর লাগছে?’
লজ্জা পেল স্পর্শী।মাথা নাড়িয়ে বললো,’ধুর!আমি সেটা বলছি নাকি।আমি বলেছি ভালো লাগছে এখন।আগে তো ভয়ংকর দেখাতো।’
‘তুমি ঘাবড়ে গেছো স্পর্শীয়া।কথা এলোমেলো করে ফেলছো।বাদ দাও।চলো এখন।গিয়ে না হয় বিশ্রাম নিবে।’
টু শব্দটিও করলো না স্পর্শী।পায়ে পা মিলিয়ে হাঁটতে লাগলো পরশের সাথে।এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়েই গাড়ি রিজার্ভ করলো।কলাতলীর মেরিন ড্রাইভ রোডে অবস্থিত সাইমন বিচ রিসোর্ট। এই অভিজাত রিসোর্টের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, এর প্রায় সব রুম থেকে অদূরের সমুদ্রসৈকত দেখা যায়। বলতে গেলে সমুদ্র সৈকতের খুব’ই কাছে এই রিসোর্ট।এখানে আভিজাত্যপূর্ণ রেস্তোরা সহ তিন তিনটা সুইমিংপুল ও রয়েছে।মেইন কথা হলো এই মুহুর্তে সুইমিংপুল বা রেস্তোরাঁ দেখার মোটেও টাইম নেই পরশের।শুধুমাত্র পাভেলের মুখে এই রিসোর্টের নাম দু একবার শুনেছিলো বলেই সন্দেহবশত সেখানেই যাচ্ছে।আনমনে পাভেলের কথা ভাবতে ভাবতে স্পর্শীর দিকে তাকালো পরশ।মুহূর্তেই অপ্রস্তুত হয়ে গেল স্পর্শী।দ্রুত আশেপাশে তাকিয়ে বাইরের দৃশ্য দেখতে লাগলো।পরশ চমকে গেল।স্পর্শী এতোক্ষণ তার দিকেই তাকিয়ে ছিলো ভাবতেই ভেতরে কেমন ঘূর্নিঝড় শুরু হয়ে গেছে।নিজেকে সংযত রেখে বললো,
‘কি দেখছিলে আমার দিকে তাকিয়ে?’
লজ্জা পেল স্পর্শী।কিন্তু প্রকাশ করলো না।বিগড়ে যাওয়া কন্ঠে বললো,’ভাবছিলাম।কেন কোনো সমস্যা?আপনার মুখের দিকে তাকালে কি টাকা দিতে হবে নাকি?’
চোখ সরালো না পরশ।শান্ত কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো,”কি ভাবছিলে?’
চোখ দুটো ছোট ছোট করে ফেললো স্পর্শী।বিরক্তি নিয়ে বললো, “ভাবছিলাম,একটা ছেলে কতটা ক্যারেক্টারলেস হলে কক্সবাজারে এসে মেয়ে পটানোর জন্য নিজের এতোদিনের চুল দাঁড়ি ছোট করে ফেলে।ছিহঃ!আপনি একজন এমপি।একটু তো শুধরান নিজেকে।এভাবে মেয়ে পটাতে যাওয়ার কি আছে?”
ঠোঁট দুটো গোল করে শ্বাস নিলো পরশ।অন্যদিকে তাকিয়ে আফসোসের সুরে বললো,’তুমি জীবনেও ভালো হবে না।’
সুদীর্ঘ সমুদ্র সৈকত, দিগন্ত বিস্তৃত নীল সমুদ্র, বড় পাহাড়, বৌদ্ধ মন্দির আর প্যাগোডাসহ নানান আকর্ষণ নিয়ে গড়া পর্যটন রাজধানী কক্সবাজারে পা রাখলেই সাগরতীরে বেড়াতে মন চাইবে। এই মৌসুমে সাগরের লোনা জলে রৌদ্রস্নান আর সূর্যাস্তের নয়নাভিরাম দৃশ্য অবলোকনসহ শরীরের প্রশান্তি জুড়াবে। ভোরের স্নিগ্ধ আলোয় সমুদ্র সৈকতের ভিন্ন রূপ আর সন্ধ্যার পরে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে। বিশেষ করে পূর্ণিমার রাতে আকাশের উজ্জ্বল চাঁদ সমুদ্রের জলে প্রতিফলনের দৃশ্য আনন্দের মাত্রাকে বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। কক্সবাজার জেলায় রয়েছে মাতামুহুরী, বাঁকখালী, রেজু, কোহালিয়া ও নাফ নদী। উপভোগ করা যায় মহেশখালী, কুতুবদিয়া, সোনাদিয়া, শাহপরীর দ্বীপ ও সেন্টমার্টিন দ্বীপের প্রাকৃতিক পরিবেশ।স্পর্শী এই মুহুর্তে কনফিউজড। এত্তো এত্তো সুন্দর জায়গা।অথচ সে আছে বিপদে।এখন কি করবে?আর্শিকে খুঁজবে নাকি এই সুন্দর সুন্দর জায়গাগুলোতে ঘুরবে।
সারাটা দুপুরের ঘুম শেষে মাত্র’ই উঠলো সে।ঘুম জড়ানো চোখে মুখে ফোন রেখে বের হলো রুম থেকে।আলতো পায়ে বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ালো।দুরের ওই সমুদ্রের ঢেউকে দেখতে লাগলো মন দিয়ে।স্পর্শীর ডান পাশের রুম টাই পরশ নিয়েছে।এই মুহুর্তে গ্রিলে হেলান দিয়ে কফি খেতে খেতে স্পর্শীর দিকে তাকিয়ে আছে সে।এই স্নিগ্ধ পরিবেশে উত্তাল বাতাসের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে স্পর্শী।তার গায়ের স্কাই ব্লু ঢোলা শার্টটা বাতাসের প্রতিটা ঝাপটায় এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে।হাটু ছুই ছুই লম্বা চুল গুলো যেন ওই সমুদ্রের সাথে ঢেউয়ের প্রতিযোগিতায় নেমেছে।পড়নের ঢোলা সাদা প্লাজুটা বাতাসের প্রকোপে উড়ছে। উড়ার সাথে সাথে ওই ফর্সা পা দুটো দৃশ্যমান হচ্ছে পরশের চোখের সামনে।উফফফফ!সারা শরীর টা কেমন উত্তেজনায় কাঁপছে পরশের।চোখ দুটো বন্ধ করে নিলো সাথে সাথেই।
নাহ, এই মেয়ে মাইন্ড গেইম খেলছে তার সাথে।নিজের রুপ দিয়ে।না না,এই রুপে মোটেও মুগ্ধ হওয়া চলবে না।তাহলেই পরশের ক্যারিয়ারের বারোটা বেজে যাবে।
‘এই হ্যালো?ভীষণ অসভ্য মানুষ তো আপনি।বিকেল বাজে সাড়ে চারটা।অথচ একা একা কফি খাচ্ছেন।আমাকে একটু ডাকেন ও নি।এমনকি দুপুরেও না খেয়ে আছি আমি।’
পরশ পরবর্তী চুমুক দিয়ে সমুদ্রের দিকে তাকালো।টিটকারি মেরে বললো,
‘আমাকে কি তোমার বডিগার্ড মনে হয়?কুম্ভকর্ণের মতো দরজা আটকে ঘুমালে ডাকবো কিভাবে।দরজা খুলো।’
বলেই রুমে চলে এলো পরশ।খাবারের প্যাকেট হাতে এগিয়ে গেল স্পর্শীর রুমের দিকে।দরজা খুলতেই হাতে ধরিয়ে দিলো বিরিয়ানি।বললো,”অর্ডার করে রেখেছিলাম।খেয়ে নাও।’
স্পর্শী একটু প্রশান্তি পেল বিরিয়ানি দেখে।আলতো হেসে বললো, ‘থ্যাংক ইউ।’
‘কক্সবাজারে আসতে না আসতেই ওড়না ছেড়েছো?কি ভেবেছো?এভাবে ওড়না ছাড়া এসে আমাকে ভুলিয়ে ভালিয়ে প্রেমে ফেলবে তোমার।নো নেভার।পরশ শিকদার কারো রুপে ভোলে না।’
রাজনীতির রংমহল সিজন ২ পর্ব ৩৪
চোখ দুটো বড় বড় করে ফেললো স্পর্শী।হুশ হতেই দুম করে দরজা আটকে দিলো।ইশশ!একি হচ্ছে।সব কিছু এমন উলটো হচ্ছে কেন কক্সবাজার এসে।এই লোক সেই প্রতিটা পদক্ষেপে তাকে পঁচাচ্ছে।আর সে কিছু বলতেই পারছে না।তার উপর এত্তো বড় অপমান।