রাজনীতির রংমহল সিজন ২ পর্ব ৫৪

রাজনীতির রংমহল সিজন ২ পর্ব ৫৪
সিমরান মিমি

_”কেমন আছো?”
_”অবশ্যই ভালো। কেন খারাপ থাকার কি কোনো কথা ছিলো নাকি?হেয়ালি করবেন না, কি বলবেন বলুন।আমি এমনিতেই অনেক রিস্ক নিয়ে এখানে এসেছি।দ্রুত যেতে হবে।”
পরশ শান্ত দৃষ্টিতে স্পর্শীর দিকে তাকালো।তার মুখভঙ্গি প্রতিক্ষণে ক্ষণে অবাক করার জন্য যথেষ্ট। নিজ বিয়ের কথা বলে যেখানে সেই প্রতিনিয়ত বিচ্ছেদ বেদনায় ধুঁকে ধুঁকে মরছিলো, সেখানে স্পর্শী কতটা স্বাভাবিক।এই স্বাভাবিকতা যেন প্রতিনিয়ত তাকে কষ্ট দিতে সক্ষম।পরশ হাঁসফাঁস করে উঠলো।কন্ঠে নমনীয়তা এনে নিচু স্বরে বললো,

_”স্পর্শীয়া,আমি বিয়েটা করি নি।হ্যাঁ এটা সত্য যে তোমার উপর রাগ করে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু পারি নি।আমি জানি হয়তো আমার কথাগুলো তে তুমি বিরক্ত হচ্ছো। কিন্তু কিচ্ছু করার নেই।আম্র তোমাকে জানানো উচিত।তোমার থেকে সবটা জানা উচিত।কি চাইছো তুমি?তুমি না আমাকে ফিরিয়ে দিচ্ছো আর না তো গ্রহণ করছো।এমন পাগলামি কেন করছো স্পর্শীয়া।সময় টা একেবারে কম নয়।তুমি যে বারবার রাহুল রাহুল বলে চেঁচাচ্ছো এটা বন্ধ করো।তোমার রাহুলের প্রতি সেকেন্ডের গতিবিধি আমার জানা।তাই এই অজুহাত বন্ধ করো।সোজাসুজি কথা বলো আমার সাথে।
স্পর্শী নিরব।একভাবে তাকিয়ে রইলো টেবিলের উপর রাখা কফির মগের দিকে।যেন কথাগুলো তাকে মোটেই প্রভাবিত করছে না।এইকথা গুলোর সাথে অভ্যস্ত।রাগ লাগলো পরশের।তড়তড় করে মেজাজ টা বিগড়াতে শুরু করলো।মগটাকে স্পর্শীর সামনে থেকে সরিয়ে নিয়ে হাতের দু আঙুল উঁচু করে দাঁতে দাঁত চেপে ধরলো।বললো,

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

_”এইই!একদম নাটক করবে না।আমার দিকে তাকাও।আমার চোখের দিকে।আমি এই আচরণ গুলো নিতে পারছি না।আমি উত্তর চাইছি তোমার থেকে।একটা কথা তো ক্লিয়ার ই যে তুমি আমার ব্যবহারে,আমার অনুভূতিতে মোটেও বিরক্ত নও।থাকলে কখনোই এখানে আসতে না।তাহলে এতো লুকোচুরি কেন?কেন করছো এরকম?কি চাও তুমি?তোমার ভেতরে চলছে টা কি?”
স্পর্শী সূচালো দৃষ্টি ফেললো।শান্ত কন্ঠে বললো,

_”আপনি পাগলামি করছেন কেন?আপনি জানেন না এটা সম্ভব নয়।তারপরেও কেন?”
হুঙ্কার ছাড়লো পরশ।টেবিলের উপর স্পর্শীর রাখা হাতটাকে হিংস্র হয়ে ধরতে গিয়েও নিজেকে সামলে নিলো।রাগ টাকে কমাতে টেবিলের উপর সর্বোচ্চ আঘাত করলো।
_”সম্ভব।তুমি চাইলে অবশ্যই সম্ভব।কিন্তু তুমি চাইছো না।আমায় নিয়ে খেলছো।আমার অনুভূতির মধ্যে তুমি মজা খুঁজে বেড়াচ্ছো।”

_”আমার মুখ থেকে ঠিক কি শুনতে চাইছেন আপনি?এটাই তো যে আমি আপনাকে ভালোবাসি কি না?হ্যাঁ, বাসি,ভালো লাগে আপনাকে।আপনাকে বিয়ে করতে আমার কোনো সমস্যা নেই।কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমার আপনার পরিবারের।আর এই সমস্যা টা আপনারা নিজেরাই ক্রিয়েট করেছেন।ব্যাস সেটার ভুক্তভোগী হচ্ছি আমি আর আমার বোন।
থেমে কাতর কন্ঠে,

“এমপিসাহেব আপনি আমার সিচুয়েশনে নেই।তাই বুঝতে চাইছেন না।আমার ফ্যামিলির সাথে আমার সম্পর্ক টা আবদারের মাঝে সীমাবদ্ধ নয়। যে ওরা মানলো না কিন্তু আমি আপনার হাত ধরে চলে যাবো।আজ কতগুলো বছর পর বাবা পেয়েছি, সম্পর্ক পেয়েছি,আমি এটা নষ্ট করতে চাইনা।আমার বাবার মুখের দিকে তাকালে আমার কান্না পায়।ইচ্ছে হয় না এই মানুষ টার বিরুদ্ধে গিয়ে কোনো কাজ করে ওনাকে আবার একা করে দেই।সাভারে থাকলে বিষয়টা অন্যরকম হতো।কিন্তু এখন আর নেই।আপনি শুধু শুধু এই পাগলামি গুলো করছেন।এতে কোনো লাভ নেই।পারলে আমার বাবার মন জয় করুন।এমন কিছু করুন যাতে উনি স্বাচ্ছন্দ্যে নিজের মেয়েকে আপনার হাতে তুলে দেয়।এছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।আপনি আমার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করবেন না প্লিজ!আসছি।”

ত্রস্ত ভঙ্গিতে টেবিল থেকে উঠে দাঁড়ায় স্পর্শীয়া।মাস্ক টাকে মুখে পড়ে দ্রুতপায়ে বেরিয়ে যায় রেস্টুরেন্টের বাইরে।পরশ নিষ্পলক ভাবে তাকিয়ে রইলো সেদিকে।ক্লান্ত লাগছে ভীষণ। সাথে এক অদ্ভুত প্রশান্তিও।সে নড়বে না তার লক্ষ্য থেকে।যেখানে স্পর্শীয়া নিজেই তাকে ভালোবাসে সেখানে সামান্য পরিবার রাজী করানো খুব বেশি কঠিন হবে না।হলে ব্লাকমেইল করবে শামসুল সরদারকে।বলবে,”তার জন্য তার মেয়ে কষ্ট পাচ্ছে।সে নিজের পছন্দকে বিসর্জন দিয়ে বাবার জন্য বেদনার সাগরে ভাসছে অথচ তিনি বাবা হয়ে অকৃতজ্ঞ।”

নিশ্চুপ হয়ে বসে আছে আর্শি।দৃষ্টি তার আকাশপানে।আসমানের ওই মেঘের দৃশ্যও যেন ভীষণ’ই সুন্দর হয়ে উঠেছে তার কাছে।বারান্দার উপর পাটি বিছিয়ে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সেদিকে।পাশেই চানাচুরের কৌটো টা।এক হাত দিয়ে গুটিকয়েক মুখে নিয়ে আবারো মেঘ দেখিতে লাগলো।এক দৃষ্টিতে তাকানোর পরে মেঘগুলোকে যেন এক একটা বিশেষ কোনো আকৃতির মনে হচ্ছে।কোনোটাকে বিশাল দৈত্যের মতো লাগছে,আবার কোনোটাকে ছোট্ট দানবের মতো লাগছে।হুট করেই কিছু পরে যাওয়ার শব্দ এলো।সাথে সাথে কাচ ভেঙে যাওয়ার চুরমার আওয়াজ।আঁতকে উঠলো আর্শি।উঠে দাঁড়ালো নিমিষেই।দ্রুতপায়ে রুমে ঢুকতেই সামনে পড়লো পাভেল।তার ঘাবড়ানো মুখশ্রী দেখে নিশ্চিত হলো আর্শি।চেঁচিয়ে উঠে বললো,

_”এইইইই!কি ভেঙেছেন আপনি?”
গলা শুকিয়ে গেল পাভেলের।ভাঙা কাঁচের টুকরোগুলোর সামনে দাঁড়িয়ে সেগুলোকে আড়াল করে বললো,
_”আরে কিছু না।তুমি যাও আকাশ দেখো।কিচ্ছু ভাঙে নি।”
মানলো না আর্শি পাভেলকে পাশ কাঁটিয়ে এগিয়ে গেল ড্রেসিং টেবিলের দিকে। ফ্লোরের দিকে তাকাতেই কলিজা কেঁপে উঠলো।প্রথমে হুঙ্কার ছুঁড়লেও পরক্ষণেই কেঁদে দিলো।বললো,
_”এটা আপনি কি করেছেন?আমার ফেবারিট পারফিউউম!ইচ্ছে করেই এমনটা করেছেন। আপনি আমার কোনো ভালো দেখতে পারেন না।”
এগিয়ে এলো পাভেল। ফ্লোরে হাত-পা ছড়িয়ে কাঁদছে আর্শি।দুহাত দিয়ে তাকে ঝাপটে ধরে আদুরে কন্ঠে বললো,

_”সরি জান!আর হবে না।একটুও বুঝতে পারি নি আমি।ঘড়ি টা নিতে গিয়েই হাতের টাচ লেগে পড়ে গেছে।আমি এক্ষুণি গিয়ে আবার কিনে আনবো।একসাথে এক ডজন এনে দিবো।প্লিজ কান্নাকাটি করো না।আম্মু আবার ঝাড়বে আমাকে।তুমি এমন করছো কেন লাস্ট দু সপ্তাহে?একটু হলেই রাগ করো,কান্না করো।আর আম্মু ভাবে আমি তোমার সাথে ঝগড়া করছি।এত্তো ঘন ঘন মুড সুইং হচ্ছে কেন?চলো না কোথাও ঘুরে আসি।”

ঘড়ির কাঁটায় তখন মাত্র সাতটা।পুরো ড্রয়িং রুমে পিনপিনে নিরবতা।বাবা,কাকা,ভাই,মায়ের মাঝখানে মাথা নিচু করে বসে আছে। লজ্জায় ঘাপটি মেরে রুমে গিয়ে থাকতে ইচ্ছে হচ্ছে।পরশ শান্ত দৃষ্টিতে পাভেলের দিকে তাকালো।গম্ভীর কন্ঠে বললো,
_”ওর বয়স টা অন্তত মাথায় রাখা উচিত ছিলো।এতোটা বোকামি আমি তোর থেকে আশা করি নি।”
মাথা নুইয়ে নিলো পাভেল।বিড়বিড় করে বললো,

_”আমি বুঝতে পারি নি।”
চোখ তুললেন আমজাদ শিকদার। গম্ভীর কন্ঠে বললেন,
_”বিয়ে করেছো নিজের মতে।এবারেও তোমার যা ইচ্ছে সেটা করো।আমাদের থেকে সলিউশনের আশা করো না।যদি মনে হয় ‘মেয়েটা ছোট,ওর ঝুঁকি আছে তাহলে কালকের মধ্যেই হস্পিটালে যাও।আর যদি মনে হয় ‘না, তোমাদের সন্তান প্রয়োজন তাহলে রাখো।”
ক্ষেপে গেলেন পিয়াশা।স্বামীর উপর রাগ ঝেড়ে বললেন,

_”কেন?নষ্ট করবে কেন?বাচ্চা কি অবৈধ?ওদের বিয়ে হয়েছে, বাচ্চাও হবে।আর বাকি রইলো বয়সের কথা।পরশ যে সময় হয়েছে সে সময় আমার বয়স ষোল ছিলো।আর সেখানে তো আর্শির আঠারো চলছে।কিচ্ছু হবে না।আল্লাহ ভাগ্যে কোনো বিপদ লিখলে তা এমনিই হবে।এর জন্য বাচ্চা নষ্ট করার কোনো প্রয়োজন নাই।আমি সারাদিন বাড়িতে একা থাকি।একটা ছোট্ট নাতি-নাতনি থাকলে সময়গুলো কি সুন্দর কাঁটবে।আর আর্শির কি কিছু করতে হবে?আমার নাতি-নাতনি আমি পালবো।”

সমস্ত আলোচনা শেষে কিছু না বলেই পাভেল রুমের দিকে গেল।ভাবতে লাগলো বিগত দিনগুলোর কথা।এই জন্যই হয়তো গত পনেরো দিন ধরে আর্শির ব্যাবহার এতোটা অস্বাভাবিক ছিলো।দরজা খুলে ভেতরে ঢুকতেই অবাক হলো।আর্শি পেটের ভেতর কতগুলো ওড়না দলা করে রেখে বড় পেট বানিয়ে সেটা আয়নায় নাঁড়িয়ে চাড়িয়ে দেখছে।পাভেল কে দেখতেই তড়িঘড়ি করে ওড়না গুলো ফেলে দিলো।লজ্জায়, আনন্দে আপ্লুত হয়ে ঝাপটে পড়লো পাভেলের বুকে। উৎফুল্ল কন্ঠে বললো,
_”দেখছিলাম,আমার পেট বড় হলে কেমন লাগবে।”
পাভেল শুনলো।এরপর শান্ত ভঙ্গিতে বললো,
_”বাচ্চাটা আমরা নষ্ট করবো আর্শি।তুমি খুব ছোট।এই বয়সে আমি বাচ্চা নিয়ে কোনো রিস্ক নিতে চাইছি না।”

বাকহারা হয়ে গেলো আর্শি।ছেড়ে দিলো বাধন।নিমিষেই উঠে গেল বুক থেকে।অবাক হয়ে বললো,
_”নষ্ট কেন করবো?আপনি এটা কি ধরণের কথা বললেন?”
পাভেল আর্শির ভয়কাতুরে মুখ খানাকে দেখলো।তাকে ভয়হীন করার জন্য একপা এগিয়ে গেলো।নিমিষেই দু পা পিছু সরে গেল আর্শি।এই মুহুর্তে পাভেল ভাইকে ভীষণ ভয় লাগছে তার।যেন ছুঁলেই বাচ্চা নষ্ট হয়ে যাবে।অনবরত দু দিকে মাথা নাঁড়িয়ে আর্তনাদ করে উঠলো।হাউমাউ করে কান্না করে দিয়ে বললো,
_”আমি বাচ্চা নষ্ট করবো না।আমার বাচ্চা লাগবে।”
হাসলো পাভেল।আর্শিকে হুট করে কোলে নিয়ে বিছানায় বসালো।গাঢ় আলিঙ্গন করে বললো,
_”ওকে ওকে বাচ্চা রাখবো আমরা।প্লিজ কান্না বন্ধ করো।”

রৌদ্রজ্জল সকাল।আশপাশ টা মিষ্টি রোদের প্রভাবে অধিকতর সুন্দর দেখাচ্ছে।না আছে এই রোদের প্রভাব, আর না আছে তপ্ততা।মাঝেমধ্যে হালকা প্রাণ জুড়ানো বাতাস,সাথে মিষ্টি রোদ পুরো সকাল টাকে এক অনিন্দ্যসুন্দর দিনে পরিণত করেছে।এমনই চমৎকার সকালে পর পর দুবার কলিং বেল বেজে উঠলো সরদার বাড়িতে।আরে আজব!সদর দরজা খোলা, তারপরেও কে বেল বাজাচ্ছে ভেতরে আসার অনুমতি চেয়ে?পরোটা চিবুতে চিবুতে দরজার দিকে উঁকি মারলো স্পর্শীয়া।মুহুর্তেই গলায় আঁটকে গেলো খাবার।সামনেই দাঁড়িয়ে আছে পরশ শিকদার।আর তার পাশেই বেশ অনেকটা মিষ্টি হাতে ড্রাইভার রয়েছে।স্পর্শী অবাক হলো।মনে পড়লো গত দু সপ্তাহ আগের কথা।সেই যে লাস্ট রেস্টুরেন্টে দেখা হয়েছে এর পর আর বিরক্ত করেনি পরশ শিকদার। স্পর্শী ভেবেই নিয়েছিলো হয়তো বাবাকে রাজি করাতে রাজী হবে না পরশ।কিন্তু আজ পুরো এতোদিন পর মিষ্টি হাতেই চলে এসেছে বাবাকে পটাতে।এটা ভীষণ’ই নড়বড়ে ভাবনা।
শামসুল সরদার ডাইনিং এ বসে স্পর্শীর উদ্দেশ্যে বললেন

_”কে এসেছে মামুনি?”
স্পর্শী চমকালো।এরপর ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে খাবার চিবুতে চিবুতে বললো,
_”শিকদার বাড়ির বড় ডাকাত।”
স্তব্ধ হয়ে গেল উপস্থিত সবাই।খাওয়া বন্ধ হয়ে গেল অটোমেটিক। পরশ এগিয়ে এলো ভেতরে।আরামসে সোফায় বসে তাকালো স্পর্শীর দিকে।সোভাম বাড়িতে নেই।পঞ্চগড়ে গিয়েছে গত পরশু।শামসুল সরদার গম্ভীর ভঙ্গিতে এগিয়ে এলেন।পরশ তার জন্য থাকা নির্দিষ্ট সোফাটাতেই বসেছে।এটাতে সে বসে।অবাক ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে রইলো। পরশ আলতো হেসে বললো,
“আরে বসুন বসুন।দাঁড়িয়ে আছেন কেন?”

পরক্ষণেই হেসে দিয়ে বললো,”আরে দেখুন না।আপনার বাড়ি,অথচ আমি আপনাকে বসতে বলছি।
এরপর বিড়বিড় করে বললো,”অবশ্য,বাড়ির জামাই দের একটা আলাদাই আধিপত্য থাকে।”
শামসুল সরদার বসলেন না।ক্ষোভ নিয়ে তাকিয়ে রইলেন।তিনি অবশ্যই বসতেন। কিন্তু যেখানে পরশ আধিপত্য নিয়ে তাকে বসতে বলেছে সেখানে এই মুহুর্তে বসাটা ভীষণ অপমানের মনে হচ্ছে।শামসুল সরদারের থমথমে মুখটা দেখে স্পর্শীর দিকে তাকালো।নিরবে সবার অগোচরে হেসে পুনরায় বললো,

রাজনীতির রংমহল সিজন ২ পর্ব ৫৩

_”আরে বসছেন না কেন?কোমড় ব্যথা হয়ে যাবে তো।এমনিতেই আপনি নানা হচ্ছেন।এক্ষুণি কোমড় বাকিয়ে ফেললে পড়ে নাতি-নাতনিদের পিঠে করে ঘোড়া চড়াবেন কিভাবে?”
স্তব্ধ হয়ে গেল স্পর্শী।বুকটা ধক্ করে উঠলো।এক আকাশ উত্তেজনা নিয়ে আলতো চেঁচিয়ে বললো,
_”হোয়াট!!”

রাজনীতির রংমহল সিজন ২ পর্ব ৫৫