রাজবধূ পর্ব ৩

রাজবধূ পর্ব ৩
রেহানা পুতুল

শিখা ধরতে পারলো রানীর কন্ঠেও অহমিকা ঝরে পড়ছে। সে দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে গোপনে বলে উঠে,
ধনী হইলে বুঝি সবাই গরীবের সঙ্গে এমন শক্ত আচার ব্যবহার করে? কেমন মানুষ এরা?কেউইতো আমার সঙ্গে ভালো করে কথা কয়না। রাজও কি আমার সঙ্গে নির্দয় আচরণ করবেন? তাহলে যেন উনার সঙ্গে কোনদিন আমার দেখা না হয়।
শিখা বিদীর্ণ মুখে ঘরের ভিতর চলে যায়। সুফিয়া বিবি সালাম না নেওয়াতে শিখার সবচেয়ে বেশি খারাপ লাগলো। মা তাকে বলল সবাই তাকে পছন্দ করবে। কই কেউই তো তাকে পছন্দ করল না। সে রুমে গিয়ে দুই পা উঠিয়ে বসে রইলো বিছানার এককোণে।
ফুলবানু বড় একটি আধ পুরোনো স্টিলের ট্রে নিয়ে রুমে গেলো। খাটের উপর রেখে বলল,

“নেন ভাবিজান। খাইয়া লন।”
“আপনার নাম কি?”
“ফুলবানু।”
“সুন্দর নাম। আপনি কি সবসময় এদের ঘরে থাকেন?”
” জে সবসময় থাকি।”
স্বল্পভাষী ফুলবানু চলে গেলো শান্ত ভঙ্গিতে। শিখা ঘাড় ঘুরিয়ে খাবারগুলো দেখলো। সে মনে আঘাত পেলো। আসার সময় দেখলো পুরো ডাইনিং টেবিলজুড়ে বাহারি পদের কত খাবার। অথচ তাকে দিলো মাত্র ডাল,শাক,আর ছোট মাছ চচ্চড়ি। ডাল সে খায়না। শাক খেতেও ইচ্ছে করছে না। একজীবন পার হয়েছে তার বাড়ির আনাচে কানাচের সব শাকলতা খেয়ে খেয়ে। লবন দিয়ে সেদ্ব করে কত শাক খেয়ে কত বেলা কাবার করলো। সে বুঝতে পারলো এরা তাকে খুব অবজ্ঞার চোখে দেখছে। তার পৈত্রিক অবস্থা বিবেচনা করে তাকে খাওয়া দিচ্ছে এবং কথা বলছে। তবুও শিখা ছোট মাছ ও ডাল দিয়ে ভাত খেয়ে উঠলো। বুক ভেঙ্গে একটা গভীর স্বাস বেরিয়ে এলো ভিতর থেকে। কারণ ছোটবেলা থেকেই সে ভোজন প্রিয়।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

পাশাপাশি বাড়ির কিছু জোয়ান,বুড়ো মহিলা এসে শিখাকে দেখে যায় রুমে উঁকি মেরে। শিখা মুখে সালাম দেয় তাদের। তারা সালামের উত্তর নিয়ে চলে যায়। মুখে কিছুই বলেনা তারা। এরমধ্যে দু’চারজন মাশাল্লাহ শব্দটি উচ্চারণ করেছে।
দুপুরে ভাত খাওয়ার পর একই চেয়ারে বসে সবাই চা খাচ্ছে। চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে জয়নুলের ছোটভাই খায়রুল তালুকদার বললেন,
“মিয়াভাই এবার শীতে কি আমরা উত্তরবঙ্গেই শীত বস্র দান করমু?”
“হ্যাঁ ওইদিকেই দিমু। সেইদিকের লোকজনের বহুত কষ্ট হয় শীতে।”
“এবার কি কি থাকবো? আগেরগুলাই আইটেম? না বাড়বো?”
“নতুন বউর সৌজন্যে দুই এক আইটেম বাড়বে। বিয়ার ঝামেলা সামাল দেই। তারপর সেটা নিয়া আমরা বৈঠকে বসবো।”
সুফিয়া বিবি চনচনে সুরে বললেন,

“বেহুদা পয়সা ডাইলা লাভ কি? মন্ত্রীর মাইয়া ঘরে তুলছেন নি?”
“ভাবি তুমি থামো। বাইরের বিষয়ে তুমি নাক গলাও ক্যান? তোমার রাজত্ব অন্দরে। তুমি ঘর বাড়ি সামলাইবা।”
“আপনার ভাই আমারে কিছু কইল না। আপনে কন ক্যা?”
গলায় তেজ ঢেলে বলল সুফিয়া।
“আমার ভাই কইলে আরো বেশি কইতো। বুঝলা।”
সুফিয়ার মুখ থমথমে হয়ে যায়। ছেলেরা কিছু বলছে না। তাদের একমাত্র চাচা,বাবা আর ছোট ফুফু ছাড়া কেউই সুফিয়ার মুখের উপর কিছু বলার সাহস পায়না। সুফিয়া নিজের হাতে কতৃত্ব রেখে ছেলে মেয়েদের সেভাবেই বড় করে তুলেছে।

প্রসঙ্গ থেকে বের হওয়ার জন্য চালাকি করে সুফিয়ার সেজো ছেলে আসলাম তালুকদার বলল,
“বাবা রাজের স্বশুর বাড়ির কাউকে বলা উচিত না আমাদের? কালকে মেহমানদের কেউ যদি তাদের কারো সঙ্গে পরিচিত হতে চায়?”
মেজো ছেলে খালেদ তালুকদার বলল,
” আসলাম ঠিক বলেছে বাবা। আমাদের প্রেস্টিজিয়াস ইস্যু । তা না হলে অনেকেই মনে করবে তারা গরীব বলে আমরা উপেক্ষা করেছি। তাহলে যেই মহান খেতাব কপালে জুটেছে শিখাকে বিয়ে করিয়ে এনে,সেটা চাপা পড়ে যাবে কালকেই।”
জয়নুল একটু ভেবে বলল,

“ঠিক কইছিস। কে যাবে দাওয়াত দিতে তাদের?”
“আমি আর মেজোভাই বিকেলে গিয়া বলে আসবো। কয়জন বলব বাবা?”
বলল আসলাম।
” আচ্ছা। তারা যতজন আইতে চায়। আসবো। তবে জাইনা আসিস। সেভাবে খাওয়ার পরিমাণ বাড়াইতে হইবো।”
জয়নুলের বড় ছেলে রাশেদ তালুকদার বলল,
“আব্বা কালকের আয়োজন উপলক্ষে শেষখানায় কি থাকবে? দই না কোক?”
” দই না ভাইয়া। সেকেলে লাগে। জর্দা, ফিরনি ও কোক থাকবে।”
বলল তার ছোট ছেলে নওশাদ তালুকদার রাজ।
জয়নুল বলল,
“আমার আব্বায় যেটা বলছে সেটাই হবে।”
পাশের চেয়ার থেকে আদুরী বলল,

“ছোট ভাইয়ার মেন্যু আমার ভালো লাগছে। ফিরনি আমার সেই টেস্ট লাগে। ইয়াম্মি।”
খায়রুল তালুকদারের ছেলে জুবায়ের অধিকারসুলভ ভঙ্গিতে বলল,
“বিষয়টা এমন যার বিয়ে তার খবর নেই। পাড়া পড়শীর ঘুম নেই। রাজের বউকে এখনো দেখিনি। অথচ তার জন্য কাল বাড়িতে চেয়ারম্যান সাহেবও আসবে। কি কপাল নিয়ে সে জন্মেছে। ভাবা যায়। ডাইরেক্ট জমিদার ঘরের বধূ হয়ে গেলো।”
“যার বউ সেইতো এখনো দেখিনি জুবায়ের ভাই। আবার তুমি। কাল সবাই দেখবে ছোট ভাইয়াসহ আমাদের বিশিষ্টজনকে।”
ব্যঙ্গ করে হেসে বলল আদুরী।
আদুরীর দিকে গরম চোখে চাইলো জয়নুল। তুষ্ট ভাষায় বলল।

“মায়ের স্বভাব বাদ দিয়া বাপের স্বভাব হইল না ক্যান তোর?”
রাজ কিছু বলল না। গম্ভীর মুখে উঠে গেলো চা শেষ করে। আদুরী একমাত্র বোন বলে সবার প্রিয়। কেউ কিছু বলেনা তাকে। তাই বড় ঠোঁটকাটা স্বভাবের হয়েছে সে।
সন্ধ্যা থেকে তালুকদার বাড়িতে কাজের ধুম লেগেছে। ঘরে বাইরে কারো ফুরসত নেই জিরোনোর। ছোট বড় সবাই কাজে হাত লাগিয়েছে। কেউ বসে নেই একমাত্র সুফিয়া বিবি ছাড়া। শরীর খারাপের ছুতোয় নিজের কক্ষে শুয়ে আছে আরাম করে। বিষয়টা সবাই জানে। তবুও কেউ তাকে কিছু বলল না। আজ ভেজাল করা যাবে না। থাকুক নিজের মতো করে।

একাধিক গরু,খাসী,রাজহাঁস,বড় বড় রুই, দেশী কই,গলদা চিংড়ি, সব মিলিয়ে এলাহি কাণ্ড। দাওয়াত পেয়েছে গ্রামের গণ্যমান্য অনেকেই। সারাবাড়িতে লাইটিং করা হয়েছে। সদরের বড় হাট থেকে নামকরা বাবুর্চি আনা হয়েছে দশজন। তারা তাদের কাজে মনোযোগ দিলো। শিখার রুমে বসে থাকতে ইচ্ছে করছে না। তাকে ঘিরে এত বড় ব্যাপার স্যাপার। এটা তার কাছে অবিশ্বাস্য, অকল্পনীয় লাগছে। তার মনে হচ্ছে সে কোন কল্পজগতে কিংবা রুপকথার রাজ্যে ঢুকে পড়েছে। এই বাড়ির কেউ এত বেশী ভালো, কেউ এত বেশি মন্দ কেন?
কারো হেঁড়ে গলার আওয়াজে শিখা সম্বিত ফিরে পায়। একজন মুরুব্বীগোছের নারী ঢুকলো তার রুমে। সে সালাম দিলো।

“কিগো জমিদারের বেটি। বইসা বইসা মাছি মারনি? হেঁসেলে আহো। কামে হাত লাগাও।”
“কে আপনে?” সালাম দিয়ে নিচু স্বরে জানতে চাইলো শিখা।
“ওই দেহ। আমার বাড়ি,আমার মুল্লুক,আমার তাল্লুক, আমারে জিগায় কে আমি? আমি জাহানারা সুলতানা। তোমার একমাত্র ফুফু শাশুড়ী। ”
“জি ফুফু। চিনলাম।”
“আহো। লম্বা কইরা ঘোমটা দাও মাথায়। তোমারে কাইল দেখবো ঘরের সব পুরুষেরা।”
শিখা শাড়ির কুচিকে খানিক আলগা করে তুলে ধরে পায়ের গোড়ালি হতে। জাহানারার পায়ে পায়ে হেঁটে যায় রান্নাঘরের ভিতরে। আপন মনে বলে,
এই বাড়ির কেউই কি নরম কইরা কথা কইতে পারেনা? সবাইর গলায় এত তেজ ক্যান?
শিখা একটি কাঠের পিঁড়ি নিয়ে বসে। তার সামনে এক ঝুড়ি পেঁয়াজ ঠেলে দেয় কোন এক নারী। শিখা মুখ তুলে চাইলো তারদিকে।সে ঠোঁট বাঁকিয়ে বলল,

“আমি ডলি। তালুকদার ঘরের সেজো বিবি। চিইনা রাখো ভালো কইরা। পেঁয়াজ কাটো। দুপুরে ত খুব কাম করতে চাইলা। দেখি কেমন কাজের মাইয়া তুমি। কতগুলা পেঁয়াজ কাটতে পারো দেখবো। ”
আদুরী মুচকি হাসলো ডলির দিকে চেয়ে। দেশি পেঁয়াজ কাটতে কাটতে শিখার চোখ জ্বলতে শুরু করলো। বিরামহীনভাবে দুচোখ দিয়ে পানি পড়তে লাগলো দুগাল বেয়ে। সে জীবনেও একসঙ্গে এত পেঁয়াজ কাটেনি। এখানে সে নতুন বউ। তাই সংকোচে মানাও করতে পারেনি।
শিখা একবার অসহায়ের মতো করে সবার দিকে চাইলো নজর বুলিয়ে। বুঝলো তার জ্যা ও ননদ ইচ্ছে করেই তাকে নাকানি চুবানি খাওয়ার জন্য এই কাজ দিয়েছে। কাটা শেষ করে শিখা উঠে যায়। রাতে ভাত খেয়ে শুয়ে পড়ে এক আকাশ মন খারাপ নিয়ে।

হেমন্তের মিঠে দুপুর। আকাশে ঝকঝকে রোদ উঠেছে। তালুকদার বাড়িতে মহোৎসব ও রাজভোজ চলছে ধাপে ধাপে। ধনী গরীবের জন্য শ্রেনীভেদে আলাদা প্যান্ডেল করা হয়েছে। শিখার বাবার বাড়ি থেকে মাত্র বিশজন এসেছে। ঘটক ছেরু মিয়াও এসেছে। এরমধ্যে তার বড়বোন আলো ও তার স্বামী মতিনও রয়েছে। তারা শিখার কাছে গিয়ে বলল,
” বইন তোরে রাজরানীর মতন লাগতাছে। কত বড়ঘরে বিয়া হইলো তোর। আলহামদুলিল্লাহ। তোর শাশুড়ী, ননদ কই? পরিচয় হমুনা?”
শিখা বোকা নয়। চালাকি করে তাদের বুঝ দিয়ে বলল,
“বুবু, দুলাভাই আইজ থাউক। তোমরা চইলা যাও। এত মাইনষের মইধ্যে কে কই আছে খুঁইজা পাবানা। পরে অন্যদিন আসলে পরিচিত হইতে পারবা।”
“ওহ সেটাও কথা। ভালোভাবে থাকিস শিখা। আমরা গেলাম।”

বোনের মুখ দেখে শিখার অন্তরটা হুহু করে উঠলো অজানা কোন কারণেই। তারা শেষ বিকেলে চলে গেলো। যাওয়ার সময় তালুকদার তাদের দাঁড় করালো। বার্বুচিদের বলে কিছু বড় ওয়ান টাইম বক্সে সব খাবার দিয়ে দিলো শিখার মায়ের জন্য। আলো আপ্লুত হয়ে গেলো। শিখার শ্বশুরবাড়ির লোক এত ভালো! কোন বড়াই করে চলে না এরা।
তালুকদারের নির্দেশে আদুরী শিখাকে পার্লার থেকে সাজিয়ে এনেছে। শিখার বসার জন্য ছোট করে স্টেজ করা হয়েছে উঠানের একপাশে। দামী ফোমের চেয়ারে শিখা উপবিষ্ট। পরনে ভারি দামী কাতান শাড়ি। গহনাও কম নয়। তার পিছনে বড় একটি স্টান্ড ফ্যান অনবরত ঘুরে ঘুরে তাকে বাতাস দিয়ে যাচ্ছে। নয়তো ঘেমে সাজ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সবাই নানা উপহার সামগ্রী নিয়ে এসে শিখাকে দেখছে। সন্তুষ্টির চোখে সবাই বলাবলি করছে,

“তালুকদার সাহেব আসলেই একখান বড় মনের মানুষ। গরীব ঘরের মেয়ে বিয়া করাইছে বইলা লুকোচুরি করেনাই। সবাইরেই জানাইছে ডাকঢোল পিটায়া। খাওয়ার ও কমতি নাই। তার দানের হাতরে আরো বরকতময় কইরা দেউক মালিক। ধনে মানে তারে ভাসাইয়া দেক। বউতো নয় যেন বেহেস্তের হুর-পরী।”
এবার ঘরের পুরুষদের পালা। জয়নুল তালুকদার একে একে সবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলো শিখাকে। তার ছোটভাই, ছোট ভাইয়ের ছেলে জুবায়ের, নিজের তিন ছেলে, ভাগিনা সীমান্ত। রাজ দূরে আড়ালে দাঁড়িয়ে এই প্রথম শিখাকে দেখছে। বিবশ চোখে চেয়ে বিড়বিড়িয়ে বলল,
“বালিকা,তুমি রক্তিম গোলাপের কোমল পাপড়ি। তুমি ভোরের স্বচ্ছ শিশিরকণা। তোমার স্নিগ্ধতা ও পবিত্রতায় সিক্ত করো আমায়। তুমি রাজের বউ রাজবধূ! ”

রাজ দাঁড়িয়ে রইলো। দেখলো শিখা সবাইকে সালাম দিলো। সবাই মন্ত্রমুগ্ধের মতো শিখার মুখপানে চেয়ে রইলো। মুরুব্বীরা চলে গেলো।
জুবায়ের শিখাকে মার্ধুয মাখা কন্ঠে বলল,
“আমি জুবায়ের। তোমার একমাত্র চাচাতো দেবর। মাত্র দুইদিনের বড় রাজ আমার। তোমাকে আমাদের পরিবারে পেয়ে আমি উচ্ছ্বসিত। সর্বদা তোমার কল্যান হোক বধূ।”
সীমান্ত শিখার গা ঘেঁষে দাঁড়ালো। শাড়ির একপ্রান্তে ধরে শিহরিত কন্ঠে বলল,
“আমিত আগেই পরিচয় পর্ব সেরে ফেলেছি। দেবর হিসেবে একটু আদর দিও আমাকে।”
মুহূর্তেই রাজ সরে গেলো। খানিক পরেই সীমান্তকে চেনা এক ছেলে এসে বলল,

রাজবধূ পর্ব ২

“রাজ ভাই আপনারে পিছনের বাগানে ডাকতাছে। ”
সীমান্ত উড়ু উড়ু মনে গেলো রাজের সামনে। র*ক্তচক্ষু নিয়ে রাজ দাঁড়িয়ে আছে। সীমান্তর কলার চেপে ধরলো।
একটু পর বাদশা এসে ঘরে খবর দিলো,
“সবাই আসেন। রাজ ভাই সীমান্ত ভাইরে লাথথি উষ্ঠা মারতাছে ক্যান জানি।”
এই খবর পৌঁছে গেলো শিখার কানে। শিখা সজোরে কেঁপে উঠলো। শুকনো ঢোক গিলে নিয়ে ভীরু কন্ঠে বলল গোপনে,
“ওহ আল্লাহ! উনিতো তাইলে সবার চাইতে বিপজ্জনক! আমার কি হইবো? কোন ভুল হইলে আমারেও কি মারবো উনি? উনার সঙ্গে আমার সহসা দেখা না হউক।”

রাজবধূ পর্ব ৪