রেড রোজ ২ পর্ব ৪৮
ফারহানা নিঝুম
বড়সড় কটেজে ডেকোরেশন করা হয়েছে।ছোট ছোট ড্রিম লাইট লাগানো হয়েছে আশেপাশে! ঐশ্বর্য ভেতরে প্রবেশ করার সাথে সাথে এক রশ্মি এসে তার উপরে পড়রো, হঠাৎ চোখে মুখে আলো পড়তেই খিঁচিয়ে চোখ বুঁজে নিল ঐশ্বর্য!
পাশের সাউন্ড বক্স থেকে ভেসে এলো কন্ঠস্বর।
“হ্যাপি বার্থডে টু ইউ, হ্যাপি বার্থডে টু ইউ, হ্যাপি বার্থডে টু ইউ ডিয়ার ঐশ্বর্য।হ্যাপি বার্থডে টু ইউ।”
ঐশ্বর্য বুঝে গিয়েছে এটা উৎসার কন্ঠস্বর। সামনের বড় স্ক্রিনে ভেসে উঠছে দুজনের অনেক গুলো ছবি। অবশ্য এগুলো ঐশ্বর্য জোর করেই তুলেছি।বাকি গুলো উৎসা হয়তো এ’ডিট করেছে। ঐশ্বর্য আশেপাশে তাকিয়ে আরো অনেক কিছু দেখতে পেলো।একে একে প্রতিটি মানুষ ঐশ্বর্য কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানায়। প্রত্যেকেই ঐশ্বর্য ফ্রেন্ড সার্কেলের!
“ভাইয়া হ্যাপি বার্থডে।”
রুদ্র কে দেখে চমকিত হলো ঐশ্বর্য, দৃষ্টি তার স্থির হয়।ম্যানলি হাগ করলো ঐশ্বর্য কে।
“তুই কখন এসেছিস?”
রুদ্র অধর বাঁকিয়ে হাসলো।
“কাল রাতে।”
“বললি না একবার?”
“সারপ্রাইজ ছিল।”
জমজমাট জন্মদিনের পার্টি।নাচ গান সব কিছুই চলছে । বড়সড় বিয়ার পার্টি চলছে পাশেই,একটা সময় ঐশ্বর্য কেক কা’টলো। কিন্তু আসলে এত কিছুর মধ্যে ঐশ্বর্যের মন পড়ে আছে উৎসার দিকে। চোখে মুখে ফুটে উঠছে অসহায়তা! অস’হ্য এই য’ন্ত্র’না উৎসা কি আদেও বুঝতে পারছে?
ঐশ্বর্য রিক চৌধুরীর জন্মদিন আর সেলিব্রিশন হবে না এটা হতে পারে? উঁহু না এটা তো হবেই, পার্টি জমে উঠেছে। এদিকে ঐশ্বর্য হাঁসফাঁস করছে,এই পার্টি আগে হলে ঐশ্বর্য এ’নজ’য় করতো বা উৎসা ওমন করে তার কাছে না আসলেও সে এ’নজ’য় করতে পারতো। কিন্তু এখন তো উৎসা তাকে গভীর ভাবে আলিঙ্গন করেছে । এখন তো উৎসা কে আসতেই হবে তার কাছে!
আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন
কাপল ড্যান্স করছে সব কাপল রা,উৎসা এক পাশে দাঁড়িয়ে ক্ল্যাপ করছে। ঐশ্বর্য এগিয়ে গেল,হাত গলিয়ে স্পর্শ করলো উৎসার কোমড়।
“রোজ আই নিড ইউ ব্যাডলি ইয়ার।”
উৎসা ঐশ্বর্যের চোখের ভাষা বুঝলো, মৃদু হেসে ওর গাল ছুঁয়ে বলে উঠে।
“আমি আপনার কাছেই তো আসবো। একটু অপেক্ষা করুন!”
“আই কান্ট… প্লিজ কাম।”
ঐশ্বর্য জোরাজুরি করলো, কিন্তু এত সবার মাঝখান থেকে কী করে যাবে উৎসা? হঠাৎ আগমন ঘটে নিকির।
“এখানে কী করছো তোমরা? ভাইয়া চলো, উৎসা তুইও আয়।”
ঐশ্বর্য ঠায় দাঁড়িয়ে রইল, উৎসা যেতে যেতে দেখে এক পলক। ঐশ্বর্য স্বভাব সুলভ পিঙ্কি ফিঙ্গার কা’ম’ড়ে ধরো, বিড়বিড় করে আওড়াল।
“ট্রাস্ট মি সুইটহার্ট জাস্ট পার্টিটা শেষ হোক। এরপর…
বাকিটা নিজের ভেতরেই রেখে দিল সে।
লাইটের আলোয় ঐশ্বর্য স্পষ্ট উৎসার মুখশ্রী দেখতে পাচ্ছে। স্নিগ্ধ এই মুখশ্রী নিষ্পাপ এই মেয়ে টাকে সে ভালোবাসে। হ্যা ভালোবাসে সে গোপনে স্বীকার করে। মেয়েটা তার,ওকে ছুঁয়ে দেখার অধিকার শুধু তার।
ঐশ্বর্য দু পা এগিয়ে গেল,উৎসা সেই বরাবরই পিছিয়ে গেল।
ঐশ্বর্য হেসে ফেলল,ফটাফট পা ফেলে হাত দুটো ধরে ফেলল ঐশ্বর্য।
“আমি…
“আজকে কথা না,আর আমি বাধা মানবো না!”
ঐশ্বর্যের সোজাসাপ্টা কথা! উৎসা ঘাবড়ে গেল, কপালে জমেছে বিন্দু বিন্দু ঘাম! ঐশ্বর্য সেই ঘেমে যাওয়া কপালেই ঠোঁট ছোঁয়ায়, ফিসফিসিয়ে বললো।
“আই লাইক ইট রোজ।এতটা প্যানিক করছো এখুনি?”
উৎসা ঐশ্বর্যের শার্ট টা চেপে ধরলো,ধরা গলায় বলে উঠে।
“আই লাভ ইউ।”
ঐশ্বর্য হেসে ফেলল, উৎসা জড়িয়ে ধরলো তাকে।ফের আগের ন্যায় বললো।
“ঘুম পাচ্ছে!”
ঐশ্বর্য উৎসার কোমরে চাপ দিলো।
“আমার কাছে আসলে এসব হয়?”
উৎসা পিটপিট চোখ করে তাকালো তার দিকে। বাঁকা হাসলো ঐশ্বর্য,এক চোখ টিপে বলে।
“চালাকি নয় বেইব। আজ বার্থ ডে আমার,গিফট কোথায়?”
উৎসা এলোমেলো দৃষ্টি ফেলল, সে তো সারপ্রাইজ প্ল্যান করতে গিয়ে ভুলেই গেছে!
“কী গিফট চান বলুন।যা চাইবেন অবশ্যই দেব।”
ঐশ্বর্য সুযোগ পেলো,অধর প্রসারিত করে হেসে ফেলল।
“তবে আমার তোমাকেই চাই,এই মূহুর্তে। সম্পূর্ণ আমার! আমি কী বলতে চাইছি বুঝেছো রোজ?”
ঐশ্বর্য বুড়ো আঙ্গুল স্পর্শ করে উৎসার গালে।
“আমি..
“অনুমতি নিচ্ছি না,আদেশ করছি।”
উৎসা নাক মুখ কুঁচকে নিল। ঐশ্বর্য বাঁকা হেসে পাঁজাকোলা করে বেড রুমের দিকে এগিয়ে গেল।বেডের কাছে নিতেই হাত-পা ছোড়াছুড়ি করতে লাগলো উৎসা, ঐশ্বর্য বুঝলো। নিচে নামিয়ে দিল উৎসা কে,সরতে গিয়ে পারলো না উৎসা! আকস্মিক ঐশ্বর্য ঠোঁটে ঠোঁট চেপে ধরলো উৎসার,উৎসা পিছুতে গিয়েও আটকা পড়লো। দেয়ালের সাথে মিশে গেল! উন্মা’দের ন্যায় অধর চুম্বন করতে ব্যস্ত।শাড়ি ভেদ করে মেদহীন উদরে হাত স্পর্শ করে ঐশ্বর্য, কেঁপে উঠলো উৎসা।
ঠোঁট ছেড়ে গলায় মুখ গুঁজে ঐশ্বর্য, উৎসা লম্বা নিঃশ্বাস ফেলল। ঐশ্বর্য ফের উৎসা কে কোলে তুলে বিছানায় নিয়ে গেল,কোলে তুলে নিল তাকে।এক হাতে টেনে শার্ট খুলছে,উৎসা মিনমিনে গলায় বলল।
“আপনাকে আমার ভীষণ ভয় করে!”
ঐশ্বর্য চোখ দুটো ছোট করে নিল।
“হোয়াই?”
“আপনি কেমন জানো!”
“কেমন?”
“আপনার সেল্ফে কী সব বই আছে, আমি দেখে ফেলেছি!”
ঐশ্বর্য হেসে ফেলল।
“ইস্।”
ঐশ্বর্য আকস্মিক উৎসার শাড়ি টেনে ধরে। আঁতকে উঠে উৎসা, ঐশ্বর্য ছাড় দেয়নি। আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে উৎসা কে, প্রচন্ড ভালো লাগার স্পর্শ পেয়ে আবেশে চোখ বুজে নিল উৎসা। কিন্তু তা ছিল ক্ষণস্থায়ী, ঐশ্বর্য বদলে গেল। অধিকার বোধ দেখাতে গিয়ে উৎসা কে ব্যথা দিলো, কেঁদে ফেলল উৎসা। মনে জন্ম নেওয়া ক্ষীণ ভয় টুকু যেন মূহুর্তের মধ্যে বেড়ে গেল।
“ছাড়ুন আমায় প্লিজ!”
“আই লাভ ইউ।”
ঐশ্বর্য ছাড়লো তো নাই উল্টো উৎসা কে বাহুডোরে আবদ্ধ করে নিল। শক্তপোক্ত পুরুষ কে সামলাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে উৎসা। ঐশ্বর্যের প্রতিটি স্পর্শ যেমন স্বর্গীয় সুখ দিচ্ছে ঠিক তেমনি বিষা’ক্ত তীরের ন্যায় তার অন্তঃস্থলে তীব্র য’ন্ত্র’ণা অনুভব করাচ্ছে। উৎসা আবিষ্কার করলো এক নতুন ঐশ্বর্য কে,যার নেই কোনো দিকবিদিকের জ্ঞান, না আছে হুঁ’শ। শুধু রয়েছে উ’ন্মা’দতা,যা ক্ষণে ক্ষণে কাঁপিয়ে তুলছে উৎসা কে। অস্ফুট স্বরে গো’ঙানিয়ে উঠছে ঐশ্বর্য, দুজনের নিঃশ্বাস মিলে মিশে একাকার! বদ্ধ এই কক্ষে দু’জন মানব মানবীর নিঃশ্বাসের শব্দে মুখরিত হয়ে উঠছে। তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে তা,রাত যেমন গভীর হচ্ছে স্পর্শ গুলোও গভীর ভাবে ছুঁয়ে যাচ্ছে উৎসা কে।
ঐশ্বর্য হাঁপিয়ে উঠলো বোধহয়, মুখ তুলে এক পলক দেখলো উৎসা কে। তাকাতে পারছে না মেয়েটা,তনু জ্ব’লে তার। ঐশ্বর্য স্লাইড করলো তার গালে,আলতো করে সেখানটায় কা’ম’ড় বসায়, মৃদু স্বরে আ’র্ত’নাদ করে উঠে উৎসা।
জড়ানো কন্ঠে বলে উঠে ঐশ্বর্য।
“অ্যাম স্যরি রোজ বাট নট স্যরি।”
উৎসা বলতে চাইলো আমাকে ছুঁবেন না, কিন্তু বলে কী হবে? ঐশ্বর্য যে তার সর্বাঙ্গে মিশে গেছে সেই কখন! ছুঁয়ে দিয়েছে তাকে। সম্পূর্ণ ভাবে নিজের করে নিয়েছে!
উৎসা ঠোঁট নাড়লো, ঐশ্বর্য শব্দ করে চুমু খেলো। আকস্মিক অনুভব করলো আবারো সে উ’ন্মা’দ হয়ে উঠেছে। অতঃপর? অতঃপর আবারো উৎসাতে মজে গেল মূহুর্তের মাঝে! উৎসা সরাতে চাইলো কিন্তু পারলো না।এই পুরুষ একটুও ছাড় দেয়নি তাকে! পিষ্ট করেছে তার বক্ষ স্থলে। উৎসা ক্লান্ত হলো, কিন্তু ঐশ্বর্য ক্লান্ত হয়নি।মনে হচ্ছে এই ছাতক পাখি তৃষ্ণা নিবারণ করতেই ব্যস্ত!
আচ্ছা ঐশ্বর্য কী এত দিনের উৎসার করা ব্যবহারের শোধ তুলছে? হ্যা হতেই পারে! তাই তো এরকম করছে!
“ছাড়ুন আমাকে, আমি আপনাকে নিতে পারছি না।”
কে শুনে কার কথা? ঐশ্বর্য আগের ন্যায় উ’ন্মা’দতা দেখালো। ক্ষণিক বাদে নিজের পরণের সফেদ শার্ট টা নিয়ে পড়িয়ে দিল উৎসা কে। কেঁ’দেকুটে একাকার মেয়েটা, তাকে থামায় কে?
“একদম চুপ।”
অকস্মাৎ ধমক খেয়ে চুপসে গেল উৎসা। ঠোঁট কা’ম’ড়ে কান্না আটকানোর চেষ্টা করল। ঐশ্বর্য দেখল,বুঝলো। টেনে নিল নিজের কাছে, বুকের মাঝখানে রেখে ব্ল্যাঙ্কেট টেনে ঢেকে দিল। তারপরেও সে ধাতস্থ হতে পারলো না,কুটকুট করে কামড়ে চলেছে উৎসার কপোলদয়। খিঁচিয়ে চোখ দুটো বুজে নিল উৎসা।সে আর কখনো ঐশ্বর্যের কাছে আসবে,এই লোকটার একটুও মায়া দয়া নেই। নিজেকে ছাড়াতে বুকে ধাক্কা দিল । ঐশ্বর্য হয়তো রেগে গেছে,তাই তো পাশে পড়ে থাকা টাই তুলে হাত দুটো বেঁধে দিল উৎসার।
“আর একবার বাধা দিলে জান খেয়ে ফেলব সুইটহার্ট।”
আশ্চর্যের ন্যায় তাকিয়ে রইল উৎসা, কিছু বলার ভাষা নেই তার। ঐশ্বর্য ফের ম’ত্ত হলো উৎসাতে।আদরে আদরে ভরিয়ে দিল তাকে। একটুখানি যন্ত্র’না ষয় ছটপট করলো মেয়েটা, কিন্তু ঐশ্বর্য ছাড় দিলো না।
“ফিলিংস ফিলিংস ফিলিংস!”
কেয়া সেই কখন থেকে রুদ্রর হাত টেনে টেনে ফিলিংস ফিলিংস বলে চেঁচাচ্ছে! রুদ্র শুনেও কিছু বলছে না শুধু ঠোঁট টিপে হাসছে।
মিট মিট করে রাস্তার ধারের ল্যাম্পপোস্ট জ্ব’লছে,তার নিচেই একটা বেঞ্চে বসে আছে দু’জনে।দূর দূরান্তে যত চোখ যায় মানুষের ভিড় কমছে, সবাই ফিরছে নিজেদের নীড়ে।
“কী হচ্ছে এগুলো পাগলী?”বাড়ি ফিরতে হবে তো!”
কেয়া ঢলে পড়ল রুদ্রর কাঁধে।
“উঁহু আই মিসড ইউ।আই লাভ ইউ।”
রুদ্র কপালে চুমু খেলো।
“পাগলী এত পাগলামী কেউ করে?”
কেয়া ফিসফিসিয়ে বললো।
“গিভ মি অ্যা কিস মিস্টার হ্যান্ডসাম।”
রুদ্র চমকে উঠে,পাগল নাকি এই মেয়ে! রুদ্র তো ছেলে মানুষ,যখন তখন কন্ট্রোল হারাতে পারে। কিন্তু কেয়া?সে তো মেয়ে মানুষ!সে যদি এসব বলে তাহলে কী চলবে?
রুদ্র উঠে দাঁড়ালো,কেয়াও সঙ্গে সঙ্গে উঠে গেল। রুদ্রর গলা জড়িয়ে বলে।
“উঁহু উহু কিস করুন।”
“এসব পাগলামি কে মাথায় ঢুকিয়েছে সিনিয়র?”
“আপনি।”
কেয়ার সহজ স্বীকারোক্তি, রুদ্র চাপা দীর্ঘশ্বাস ফেলল।
“এগুলো ছাড়ো চলো বাড়ি ফিরতে হবে।”
কেয়া বেঁকে বসলো,সে মোটেও বাড়ি যাবে না।তার চুমু চাই,একদম সেদিনের মতো।
“না আমি যাবো না।”
রুদ্র হাত টেনে ধরে কেয়ার।
“চলো প্লিজ।”
“উঁহু!”
“প্লিজ..
“না মানে না। যাবো না আমি।”
রুদ্র হতাশ হলো,ফের বেঞ্চে বসে পড়ল।
“তাহলে এখানেই থাকি।”
কেয়া আশেপাশে তাকিয়ে দেখলো তেমন কেউ নেই। দুষ্টু বুদ্ধি মাথায় খেলে গেল, আচমকাই রুদ্রর গলা জড়িয়ে কোলে উঠে বসলো। প্রথম দিকে ভ্যা’বাচ্যা’কা খেয়ে গেল রুদ্র!
“কেয়া কী করছো রাস্তার মধ্যে? নামো।”
কেয়া নামলো তো নাই-ই উল্টো রুদ্রর পুরুষালী অধরের ভাঁজে নিজের অধর গুঁজে দিল। রুদ্র থমকালো চমকালোও বটে, কিন্তু চুপ রইল।সেই অধর চুম্বন বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি,তার পূর্বেই রুদ্র কেয়া কে সরিয়ে দিল। আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরলো বক্ষে।
“কী পাগলামি করছে? আমি কিন্তু সত্যি পাগল হয়ে যাচ্ছি।”
কেয়া বাচ্চাদের মতো করে আবার বললো।
“আরেকবার প্লিজ!”
রুদ্র শুনলো না,কেয়া কে পাঁজা কোলে তুলে সামনের দিকে হাঁটতে লাগলো।কেয়াও নড়লো না, শান্ত বাচ্চার মতো কোলে শুয়ে রইলো।
ভোরের দিকে গোঙাতে লাগলো উৎসা, ঐশ্বর্য সবে শুয়েছিল। কিন্তু মেয়েলি কন্ঠস্বর শুনে তন্দ্রা কে টে গেল তার। উঠে বসলো বিছানায়!পাশ ফিরে তাকাতেই নজরে এলো উৎসা। হাঁটুর ভাঁজে মুখ গুজে কাঁদছে সে!
ঐশ্বর্য বিড়বিড় করে আওড়াল।
“শিট শিট!”
ঐশ্বর্য উঠে দাঁড়ালো, ড্রয়ার হাতড়ে পিন কি’লার এবং পিল নিয়ে এলো।বেড সাইড টেবিলের উপর থেকে পানির গ্লাস নিয়ে এগিয়ে গেলো।
“রোজ।”
উৎসা মুখ তুলে তাকায়,চোখ দুটো তার ফুলে গিয়েছে।গাল দুটো হয়ে উঠেছে আর’ক্তি’ম। ঐশ্বর্য বরাবরের মতো গাল স্পর্শ করে উৎসার।
“খাও পেইন কমে যাবে।”
রেড রোজ ২ পর্ব ৪৭
ওষুধ গুলো এগিয়ে দিল , উৎসা চটজলদি ওষুধ গুলো খেয়ে নিল। আশ্চর্যের বিষয় হলো সে যে পেইন কি’লারের সাথে পিল খেয়েছে তা মোটেও খেয়াল করেনি। ওষুধ খাওয়া শেষ হতেই ঐশ্বর্য হট ওয়াটার ব্যাগ এনে উৎসার পেটের উপর রাখলো কিছুক্ষণ। মিনিট দশেক পর উৎসা কে বাহুডোরে আবদ্ধ করে শোয়ে পড়ে ঐশ্বর্য।
“আর ইউ ওকে সুইটহার্ট?”
“হুঁ।”
উৎসা মৃদু স্বরে বললো, ঐশ্বর্য চুলের ভাঁজে চুমু এঁকে দিল। অতঃপর দু’জনে আবারো ঘুমের রাজ্যে বিচরণ করলো।