রেড রোজ ২ শেষ পর্ব 

রেড রোজ ২ শেষ পর্ব 
ফারহানা নিঝুম

ড্রয়িং রুমে বসে আছে সবাই, অপেক্ষা করছে ঐশ্বর্য আর উৎসার। এদিকে ঐশ্বর্য সেই উৎসা কে নিয়ে রুমে ঢুকেছে যে আর বের হয়নি।
চিন্তিত হলেন শহীদ, ব্যস্ত কন্ঠে বললেন।
“জিসান বাবা দেখো তো ঐশ্বর্য আসছে না কেন?”
জিসান এগিয়ে গেল,তবে রুমের কাছে গিয়ে দেখলো দরজা ভেতর থেকে বন্ধ আছে। দীর্ঘ শ্বাস ফেলল জিসান, আচ্ছা উৎসা মা হতে চলেছে এটা তো দারুন একটা খবর অথচ ঐশ্বর্য রাগারাগী করছে! উফ্ এই ছেলেটা কখনো ভালো হয় না!
রুম জুড়ে পিনপতন নীরবতা, সোফার এক পাশে বসে আছে ঐশ্বর্য। তী’ক্ষ্ণ দৃষ্টি নি’ক্ষেপ করেছে উৎসার দিকে , এদিকে উৎসা ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে আছে ঐশ্বর্যের দিকে।

“আপনি এত চটে যাচ্ছেন কেন?”
“চুপ, আমি বলছিলাম না আমার বেবী চাই না। এটা হলো কী করে?”
উৎসা সাফ সাফ বলে দিল।
“অবশ্যই আমি আপনার দেওয়া পিল খাইনি বুঝলেন? আমার বেবী চাই।সারা জীবন কী আমি আপনার সেবা করে যাবো না কি?”
প্রচন্ড রাগ হলো ঐশ্বর্যের, তি’রিক্ষি মেজাজে বললো।
“চলো হসপিটালে অ্যাভায়শন করাব আমি।”
বুকের ভেতর কেপে উঠল।
“একদম না।”
উৎসা বেঁকে বসলো, ঐশ্বর্য বিরক্ত হলো।জোর করেও কাজ হলো না, অতঃপর বেডের কাছে হাঁটু গেড়ে বসলো।গালে স্লাইড করে বললো।
“আমার বেবী চাই না সুইটহার্ট প্লিজ। তোমার কিছু হলে..
আই কান্ট টেইক দিস!”

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

উৎসা আরেক দফা চমকে দিয়ে ঐশ্বর্যের গালে গাল ঘষে বললো।
“আমাদের বেবী ও ঐশ্বর্য। আপনি ফিলি করুন একটু।”
উৎসা এই মূহুর্তে ঐশ্বর্য কে দূর্বল করছে ভীষণ ভাবে!
“প্লিজ প্লিজ রোজ ডোন্ট।”
ঐশ্বর্য চাইছে না ফিল করতে, উৎসা থেমে থাকলো না। ঐশ্বর্যের হাত স্পর্শ করায় তার উদরে।
“উঁহু ফিল করতেই হবে।”
ঐশ্বর্য চোখ বুজে,কী বুঝলো কে জানে!
“এবার বলবেন আর কিছু?”
ঐশ্বর্য অসহায় চোখে তাকায় উৎসার দিকে। উৎসা ফিক করে হেসে উঠলো,ফের গালে গাল ঘষে। ঐশ্বর্য দাঁতে দাঁত পিষে বললো।
“অন্য কিছু ফিল হচ্ছে।”
“হোক।”
ঐশ্বর্য ম্লান হাসলো, উৎসা উঠে দাঁড়ালো। চিন্তিত ভঙ্গিতে বললো।
“বাইরে সবাই চিন্তা করছে।”

“করুক।”
উৎসা দীর্ঘ শ্বাস ফেলে উঠে দাঁড়ালো, ঐশ্বর্য উদাসিন কিন্তু উৎসা তো তা নয়।তাকে গিয়ে সবাই কে বলতে হবে।
ড্রয়িং রুমে বসে আছে সবাই,নিকির অনেকটা কষ্ট হচ্ছে। কেউই চিন্তিত মুখ করে রুদ্রর পাশে দাঁড়িয়ে আছে অনেকক্ষণ ধরে। অবশেষে উৎসা বেরিয়ে এলো, শহীদ ব্যস্ত পায়ে এগিয়ে গেলেন।
“উৎসা মা ঠিক আছিস তুই?”
উৎসা উপর নিচে মাথা দোলায়, ভুবন ভোলানো হাসি টেনে বললেন শহীদ।
“এত খুশির খবর অথচ তুই এত দেরী করে জানালি?”
কিঞ্চিৎ লজ্জা পেলো উৎসা,কেয়া ত্বরিতে এগিয়ে এসে জড়িয়ে ধরে।
“কংগ্রাচুলেশন কিউট গার্ল, উফ্ তুমিও মম হতে চললে।”
“থ্যাংক ইউ।”
জিসান উঁকি দিয়ে রুমের দিকে দেখে বলে উঠে।
“মিস বাংলাদেশী ব্রো কোথায়?”
“ভেতরে আছে।”

জিসান এগিয়ে গেল, ঐশ্বর্য আই প্যাড হাতে বিছানা বসে আছে। জিসান গিয়ে বাহুতে বাহবা দিয়ে বললো।
“ব্রো তুই পাপা হয়ে যাচ্ছিস।”
চোখ পাকিয়ে তাকালো ঐশ্বর্য, জিসান ভ্রু উঁচিয়ে বললো।
“কী?”
“শাট আপ।”
“এখন না মিস বাংলাদেশীর পিছু কম ঘুরবি ওকে, প্রেগন্যান্ট বলে কথা।”
ঐশ্বর্য ‘চ’ শব্দ করে উঠলো।
“ওয়াইফ আমার আমি বুঝে নেব।”
জিসান বাঁকা চোখে তাকায়, বিড়বিড় করে আওড়াল।
“শেইম লেস ম্যান।”
ঐশ্বর্য চোখ পাকিয়ে তাকাতেই সুরসুর করে বেরিয়ে গেল জিসান।

বাড়ির প্রতিটি সদস্য ঘুমে অচেতন হয়ে আছছ।
ঘড়ির কাঁটা আড়াইটা ছুঁই ছুঁই করছে,ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে এলো উৎসা।চোখ গেল বেডের উপর শুয়ে থাকা ঐশ্বর্যের দিকে, পায়ের পা রেখে দু হাত কপালে রেখে চোখ বুজে শুয়ে আছৈ। মুচকি হাসলো উৎসা, দরজার শব্দ শুনতেই হাত সরিয়ে চোখ খুলে তাকালো ঐশ্বর্য। উৎসা দরজা বন্ধ করে এগিয়ে এলো, ঐশ্বর্য হাত বাড়িয়ে দিতেই উৎসা হাত ধরে উঠে এলো বিছানায়। ডিরেক্ট এসে বসলো ঐশ্বর্যের পেটের উপর। ঐশ্বর্য তাকিয়ে রইল উৎসার দিকে, উৎসা বোঝার চেষ্টা করলো ঐশ্বর্য অভিব্যক্তি।
ঐশ্বর্য দুহাত তুলে ধরতেই উৎসা আঙুলের ভাঁজে আঙুল গুঁজে দিল।
“আই লাভ ইউ।”
ঐশ্বর্য তৎক্ষণাৎ বলল।
“আই লাভ ইউ টু।”

উৎসা সেই ভাবেই বসে আছে, ঐশ্বর্য হাতে স্পর্শ করে তার গাল।আবেশে চোখ বুজে নিল উৎসা।ঝু কে পড়ে ঐশ্বর্যের দিকে,পেট হতে টুকরো টুকরো চুমু খেতে খেতে উপরের দিক উঠে আসতে লাগলো। ঐশ্বর্য পাগলাটে হয়ে উঠছছ, পিঙ্কি ফিঙ্গার কা’ম’ড়ে ধরলো তৎক্ষণাৎ। উৎসা চুমুতে চুমুতে ভরিয়ে তুলল ঐশ্বর্যের বক্ষপট। চুলের ভাঁজে হাত গুঁজে দিল উৎসা,হাত বুলাতেই অদ্ভুত নজরে। উৎসা উপরে উঠে এলো, ঠোঁট ছোঁয়ায় ঐশ্বর্যের অ্যাডামস আপেলে।ঢোক গিললো ঐশ্বর্য। বাঁকা হেসে ত্বরিতে উপরে উঠে আসে, গালে স্লাইড করে। আস্তে আস্তে উৎসা কে ঠায় দিল ঐশ্বর্যের অস্তিত্বের মাঝে। ঠোঁট গোল হয়ে আসে উৎসার, নিঃশ্বাস টেনে নেয় সে।ঘাড়ে মুখ গুজে চুমু এঁকে দিল ঐশ্বর্য, মৃদু কেঁপে উঠে উৎসা।অধর জুড়ে হাসির রোল সরছেই না। ঐশ্বর্য ওষ্ঠাদয় আঁ’ক’ড়ে ধরে উৎসার ওষ্ঠা যোগল, অধর চুম্বনে ম’ত্ত হয় দুজনেই। ঐশ্বর্যের গভীর স্পর্শে উৎসা হেসে কু’টিকু’টি অবস্থা। ঐশ্বর্য ইচ্ছে করে তাকে এমন কাতু কুতু দিচ্ছে।

দীর্ঘ সাতটি বছর পাড় হলো আজ,সময় যে কী ভাবে পেরিয়ে যায় সত্যি বলা যায় না।চোখের পলকে বছরের পর বছর পেরিয়ে গেছে।
আবারো ঠান্ডা চলে এসেছে, তুষারপাত হচ্ছে চারিদিকে।
ছোট্ট ইস্ক কে নিয়ে ছোটাছুটি করছে রিদ্দ, ওদের পিছনে ছুটে যাচ্ছে ইসান।ইস্ক আর ইসান জিসান নিকির ছেলে মেয়ে।ইসান ইস্কের থেকে প্রায় চার বছরের বড়,ইস্কের বয়স মাত্র চার বছর।কেয়া এবং রুদ্রর একটাই ছেলে রিদ্দর সেও ইসানের সমবয়সী। সবাই মিলে ঘুরতে এসেছে লেকের কাছে,হেসে কুটিকুটি অবস্থা ইস্কের। ভাইয়াদের সাথে খেলতে পেরে ভীষণ মজা লাগছে তার। ছুট্টে গিয়ে আকস্মিক জড়িয়ে ধরে সাদা রঙের সোয়েটার পরিহিত উৎসা কে।
“মামুনি।”
এক গাল হাসলো উৎসা।

“ওরে মাম্মা এসো এভাবে ছুটছো কেন?”
ইস্ক আদো আদো কন্ঠে বললো।
“ভাইয়ালা ধলতে পালে না।”
হেসে ফেলল উৎসা, কথা বলতে শিখেছে মেয়েটা। ঐশ্বর্য এসে কোলে তুলে নিল ইস্ক কে।
“বাডি।”
“ইয়েস বাডি।”
হাইফাই করলো ঐশ্বর্য আর ইস্ক।ইসান আর রিদ্দ দৌড়ে দৌড়ে ক্লান্ত হয়ে বসে পড়লো বেঞ্চের উপর।নিকি এগিয়ে গিয়ে দু’জন কে পানি দিলর বোতল দিলো ইস্ক ছটপট করতে লাগল কোল থেকে নামার জন্য। ঐশ্বর্য নামিয়ে দিল,ইস্কু ছুট্টে লেকের কাছে বসা তার ভাইয়ের কাছে যেতে লাগল।যেতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে পড়তে নিলে হাত টেনে ধরে একজন।উঠে দাড় করাতে সাহায্য করায় সেই কাঙ্ক্ষিত মানুষটি।সোজা হয়ে দাঁড়ালো ইস্ক, ছোট ছোট চোখ করে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা কালো সোয়েটার পরণে দাঁড়িয়ে থাকা ছেলেটাকে দেখলো।
“ইডিয়ট সবসময় দৌড়াদৌড়ি করিস কেন তুই? প্রবলেম কী তোর?”

ঊৎসার্য ঐতুষ চৌধুরীর কথায় ঠোঁট ভে ঙে এলো উৎসার।
“ব্রো তুমি আমাকে বকছো কেন?”
“এই হাত দেখ ঠাস করে থাপ্পড় বসাবো। আমাকে তুমি বলবি না, আপনি বলবি!”
ছোট্ট ইস্ক চুপ রইল,রাগ হলো। কিন্তু কিছু বলতে পারলো না।ঊৎসার্য নিচে বসে ইস্কের জুতোর ফিতে বাঁধতে বাঁধতে বললো।
“অ্যাম টেলিং ইউ লাস্ট টাইম রোজ। ছুটাছুটি করবি না।”
ইস্ক উপর নিচে মাথা দোলায়,ঊৎসার্য উঠে দাঁড়ালো, হাত ধরে ইস্কের।
“কাম।”
ইস্ক বিনা বাক্যব্যয়ে এগিয়ে গেল।নিকি আর জিসান কে দেখে ঠোঁট উল্টে কেঁদে দেয়। হঠাৎ কান্নায় ভ্রু যোগল কুঁচকে এলো ঊৎসার্যর।

“কী হয়েছে ইস্ক কাঁদছো কেন?”
নিকি ব্যস্ত কন্ঠে শুধোয়।
ইস্ক বলে উঠে।
“মম ব্রো আমাকে বকেছে,ডু সামথিং মম।”
ঊৎসার্য চোখ পাকিয়ে তাকালো,নিকি হেসে ফেলল। ব্যস্ত হয়ে উঠে ইস্কের কান্না থামাতে। ঐশ্বর্য এগিয়ে এলো তার সাত বছরের ছেলে ঊৎসার্য ঐতুষ চৌধুরীর কাছে।বাপ বেটা একদম একই রকম, ঐশ্বর্য আশেপাশে তাকিয়ে দেখলো উৎসা আছে কী না? কিন্তু কোথাও দেখতে না পেয়ে স্বস্তি পেলো।
“পাপা।”
“ইউ ডোন্ট লাইক ইস্ক টকিং টু সামওয়ান এলস, ডু ইউ?”
“ইয়েস।”
“গুড বয়।”

“লিসেন পাপা, ইউ অলসো ডোন্ট লাইক ইট ইফ মাম ডাজন্ট টক টু এনিওয়ান, ডু ইউ?”
“ইয়েস। ঊৎসার্য ইউ নো না পাপা লাভস ইওর মাম্মা।”
“ইয়েস আই নো।”
“তাহলে তুমি দেখো তো আমি তোমার মাম্মা কে কী ভাবে আগলে রাখি।”
“ইয়া।”
“এই জন্য তুমিও ইস্ক কে আগলে রাখবে ওকে?”
“অফকোর্স।”
“ইস্ক লাইক অ্যা রেড রোজ অ্যাম আই রাইট?”
“ইস্ক লুকস এক্সজেক্টলি লাইক মম।লুক লাইক অ্যা রেড রোজ।”
হেসে ফেললো ঐশ্বর্য।
“দ্যাটস মাই বয়,হাইফাই?”
ঐশ্বর্য আর ঊৎসার্য হাইফাই করলো।
“কী হচ্ছে এসব?”

উৎসা এসে হাজির হলো, ঐশ্বর্য উঠে দাঁড়ালো। উৎসা রাগান্বিত স্বরে বলল।
“আপনি কী সব বলছেন ঐতুষ কে?”
পকেটে হাত গুঁজে টান টান হয়ে দাঁড়ালো ঐশ্বর্য।
“ঠিকই তো বললাম, আফটার অল আমার হবু ডটার ইন লো।”
চোকা চোখে তাকায় উৎসা।
“এখন থেকেই আপনি এগুলো শিখাচ্ছেন?ছিহ্!”
ঐশ্বর্য হেসে ফেলল, উৎসা কড়া ভাবে ঊৎসার্য কে বলল।
“ঐতুষ তুমি একদম ইস্কের সঙ্গে বাজে বিহেভ করবে না ওকে?”
ঊৎসার্য চোখ পাকিয়ে বলল।
“মাম্মা সি ইজ মাই ফিউচার ওয়াইফ।পাপা যা বলবে আমি তাই করব। ইউ নো মাম্মা পাপা আর আমি জানি ইস্ক লুক লাইক ইউ।”
উৎসা আহা’ম্মক বনে গেল, ঊৎসার্য ফের বলল।
“অ্যা রেড রোজ।আই অ্যাম রাইট পাপা?”
“ইয়েস মাই বয়।”
উৎসা রেগে গেল, তৎক্ষণাৎ চোখে ইশারা করে ঊৎসার্য কে। ঊৎসার্য এক ছুটে ইস্কের কাছে ছুটে গেল।
উৎসা রেগে চলে গেল, ঐশ্বর্য হো হো করে হেসে উঠলো।

রাতে একসাথে ডিনার করেছে সবাই।
স্টাডি রুমে বসে গেইম খেলছে ইস্ক,ওর পাশেই বসে আছে ঊৎসার্য।ইস্ক আদো আদো কন্ঠে বলে।
“ব্রো আমার সাথে গেইম খেলবে চলো।”
তেতে উঠল ঊৎসার্য।
“হেই আমি বললাম না আপনি বলতে?”
মুখখানি চুপসে গেল ইস্কের।
“ব্রো আমি কেন তোমাকে আপনি বলব?”
“তোর আম্মু জিসান আঙ্কেল কে আপনি বলে ঠিক?”
“হুঁ।”
আমার মাম্মা আমার পাপা কে আপনি বলে রাইট?”
এবারেও মাথা দোলায় ইস্ক।
“হুঁ।”
“কেয়া আন্টি আর রুদ্র আঙ্কেলকে আপনি বলে।সেই জন্য তুইও আমাকে আপনি বলবি।
“ওকে,বাট এখন গেইম খেলব।”
“ওকে।”

ঊৎসার্য ইস্ক গেইম খেলতে লাগলো। উৎসা আড়াল থেকে দাঁড়িয়ে সবটা শুনলো, গটগট করে রুমের দিকে গেল।
রুমে ঢুকতেই হাতে টান পড়লো।
“উফ্ সুইটহার্ট সামথিং সামথিং।”
উৎসা মুচড়ে গেল।
“আপনি যেমন ফাজিল ছেলেকেও ওমন ফাজিল বানাচ্ছেন।”
“আমার ছেলে আমার মতো না হলে কী চলে?”
কপাল কুঁচকে নিল উৎসা।
“ছাড়ুন।”
“নো ওয়ে।”
“কী হচ্ছে কী? দরজা খোলা দেখতে পাচ্ছেন না। ছাড়ুন আমায়।”
ঐশ্বর্য ছাড়লো না উল্টো এগিয়ে গিয়ে ডোর লক করে জাপ্টে ধরে উৎসা কে। অধর চুম্বনে অতিষ্ঠ করে তুলে উৎসা কে।এই লোকটার সংস্পর্শে এলে আজও তীব্র কাঁপুনি অনুভব করে উৎসা। ধীর গতিতে বেডে শুইয়ে দিল উৎসা কে,কানের কাছে অধর ছুঁয়ে ফিসফিসিয়ে বললো।
“ইউ আর লুকিং সো প্রীটি রোজ, ট্রাস্ট মি আই কান্ট কন্ট্রোল মাইসেল্ফ।কজ ইউ আর মাইন রেড রোজ,আই লাভ ইউ।”

রেড রোজ ২ পর্ব ৪৯

হেসে ফেলল উৎসা, ঐশ্বর্য গভীর ভাবে স্পর্শ করে উৎসা কে।তার ভালোবাসার মানুষ সে।
❝এক অশুদ্ধ পুরুষের প্রেমে পড়েছিল উৎসা।যার কাছে এলে দূর্বা ঘাসের ন্যায় লাজুক হয়ে উঠে তার অন্তঃকরণ। লাজুক পাতার ন্যায় নুইয়ে পড়ে অনায়াসে, একটুখানি প্রশান্তির খুঁজে বারংবার এই পুরুষের বুকে এসে পড়ে।
যে পুরুষের চোখে ছিল গভীরতার রঙ, আর শব্দে ছিল এক মায়াবী সুর। উৎসা তার কাছে এসে ভুলে যায় নিজেকে, ভুলে যায় পৃথিবীর সমস্ত ব্যস্ততা। তার মনে হত, এই পুরুষের বুকই যেন তার নিরাপদ আশ্রয়, যেখানে সমস্ত ক্লান্তি মিশে যায় শান্তির স্রোতে।❞

সমাপ্ত