রোদ্দুর এবং তুমি পর্ব ৬

রোদ্দুর এবং তুমি পর্ব ৬
ফারহানা চৌধুরী

-‘তোমাকে আমি নিয়ে যেতে পারবো না। অফিস এড্রেস আমি তোমাকে এসএমএস করে দিয়েছি, আলাদা চলে যেও। এইগুলো রাখো, তোমার হাত খরচ। অফিস থেকে সেলারি পেলে, তখন আমি আর তোমাকে এসব হাত খরচ দেবো না। নিজের টাকায় চলবে। আর হ্যাঁ, অফিসে যেন কেউ কোনোভাবে আমাদের সম্পর্কের ব্যাপারে কিচ্ছু জানতে না পারে। এন্ড বি কেয়ারফুল এবাউট ইট।’

অরুর অসম্ভব গায়ে লাগল ব্যাপারটা। সে অপমানিত বোধ করলো খুব। এই লোক নিজেকে কি মনে করে? কোথাকার কি সে? নবাব সিরাজ-উদ্দৌলা সে? নাকি নবাব সিরাজ-উদ্দৌলার বংশধর? কোনটা? নিজেকে কোথাকার কি মনে করে সে? অরু কি তার বিবাহিত স্ত্রী না? তাকে অস্বীকার করবে এভাবে? তার কি বিন্দুমাত্রও মান-ইজ্জত নেই? এই লোক উঠতে বসতে তাকে অপমান করতে আসে কি হিসেবে? অরু দাঁতে দাঁত পিঁষে বলল,
-‘কেন? কি হবে লোকে জানলে যে, আমি আপনার কিছু-মিছু হই?‘
শুভ্র ভ্রু কুঁচকায়,
-‘কিছু-মিছু?’

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

-‘হ্যাঁ। কারণ আমার মনে হয়, আমাকে ‘স্ত্রী’ বলে পরিচয় দিলে আপনার সম্মানে লাগে সেটা। এন্ড এট সাম পয়েন্টস, ইট ফিলস্ লাইক; ইউ ওয়ান্ট টু কমপ্লিটলি এভোয়েড মি, দ্য রিলেশনশিপ উই হ্যাভ, মাই এন্টায়ার এক্সজিসটেন্স, এভ্রিথিং!’
অরু হঠাৎ রেগে গেলো। রাগের মাথায় সবটা বলে ফেলল। শুভ্র শীতল চোখে চাইল,
-‘আটটা আঠারো বাজছে। দেরি করে গিয়ে প্রথম দিনেই সাসপেন্ড হতে চাইলে, এখানে দাঁড়িয়ে বকবক করো। আমাকে জড়িও না। আমার দেরি হচ্ছে।’
শুভ্র পিছে ঘুরতে নিলো। অরু রেগে বাহু টেনে সামনে দাঁড় করালো আবার তাকে। আওয়াজ উঁচিয়ে বলল,
-‘কথা ঘোড়াচ্ছেন? এক্সেক্টলি, হোয়াট দ্য হেল ডু ইউ ওয়ান্ট শুভ্র? না আমাকে রেসপেক্ট করতে জানেন, আর না অন্যকিছু।’
শুভ্র হাতের দিকে একবার চেয়ে, তার দিকে তাকিয়ে বলল,

-‘বাড়াবাড়ি করছো এবার।’
অরু ঝাড়া মেরে হাত সরালো,
-‘কিসের বাড়াবাড়ি? নিজেকে কি ভাবেন আপনি? সবকিছুতে আপনার এমন করতে হবে? আন্টি জন্মের পর মুখে মধু দেয় নাই?’
-‘নরমাল একটা ব্যাপারকে এতোদূর টানার লজিকটা আমাকে একটু দেখাও৷’
অরু তার শান্ত-শীতল, হুমকিসুলভ দৃষ্টি দেখে নিভে গেলো কিছুটা। গিয়ে জুতো জোড়া বের করে পড়ে নিলো। সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে দেখলো শুভ্র ঘাড় কাত করে কপাল কুঁচকে তাকিয়ে আছে তার দিকে। গমগমে গলায় জিজ্ঞেস করে,

-‘খাবারগুলো কে খাবে?’
-‘আপনার খাবার, আপনি খান।’
অরু আর দাঁড়ালো না। মুখ ঝামটি মেরে গটগট পায়ে নিচে নেমে গেলো। তাদের ফ্ল্যাটটা ছ’তলায়। অরু কোনোমতে পাঁচ তলাতে নেমে লিফটের সামনে দাঁড়ালো। বাটন চেপে দাঁড়িয়ে রইলো, লিফট ওপেন হওয়ার জন্য। তখন পাশে কেউ দাঁড়ায়। অরু তাকাতেই শুভ্রকে দেখল। মুখ ঘুরিয়ে নিল৷ লিফট ওপেন হতেই ভেতরে গিয়ে দাঁড়ালো। শুভ্র মাথা ঝাঁকিয়ে ভেতরে ঢুকল।

নিচে নেমে অরু গটগট পায়ে হেঁটে বেরিয়ে গেলো। রাস্তায় এসে দাঁড়াতেই সামনে থেকে সাই করে একটা গাড়ি চলে গেল। অরু চমকে গিয়ে তাকাতেই গাড়িটা একটু সামনে গিয়ে থামে। গাড়িটা শুভ্রর! শুভ্র জানালার কাচ নামিয়ে মাথা বের করে তার দিকে তাকায় একবার। অরু ভ্রু কুঁচকে ফেলে। শুভ্র তাকিয়েই আবার মাথা ভেতরে নিয়ে নিল। অরুর ফোনে তখন কল এলো। অরু গাড়ির দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে থেকেই ফোন বের করলো ওভারকোটের পকেট থেকে। কলার আইডি দেখে আরেকদফা চমকে গাড়ির দিকে তাকালো৷ এখান থেকে এখানে বসে আবার কল কে দেয়? পাগল নাকি এই লোক? মাথায় কোনো গন্ডগল আছে নাকি? কি করে এসব? অরু ভ্রু কুঁচকে চেয়ে, গলা ঝেড়ে কেশে, কল রিসিভ করল,
-‘কি হয়েছে?’
শুভ্র গম্ভীর গলায় বলল,

-‘সিরিয়াসলি? তোমার কত বড় আমি, সেটা তোমার ধারণায় আছে? এটলিস্ট সালাম তো দিবে। অভদ্রের কাজ-কারবার যত্তসব।’
-‘কিসের অভদ্রতা? আজব লোক তো আপনি। একে তো এখান থেকে এখানে দাঁড়িয়ে ফোন করছেন, আবার ঝাড়ছেন আমাকে? কিসব নাটক এগুলো?’
শুভ্র দাঁতে দাঁত পিষে বলল,
-‘তোমাকে পেলে আমি কি করবো! গাড়িতে এসো। এখনই।’
অরু অবাক হয়,
-‘কি? কেন? কিসের জন্য আমি আপনার গাড়িতে যাবো ভাই?’
শুভ্র ধমকায়,

-‘আবার কিসের ভাই? কোন জন্মের ভাই আমি তোমার? গাড়িতে এসো চুপচাপ। কাম ফাস্ট।’
শুভ্র কল কেটে দিল। অরু যেতে চাইছিলো না। তবে অফিস এড্রেস তার জানা নেই। এসএমএস যতই করুক, নিজের চেনারও তো একটা কথা আছে৷ এতদিনে রাস্তাঘাট কিছুটা চিনেছে সে, তবে অফিসে যাওয়া হয়নি কখনো। অরু গিয়ে গাড়ির পাশে দাঁড়ায়। খোলা উনডো থেকে মাথা ঢুকিয়ে বলল,
-‘কি সমস্যা আপনার?’
-‘কি সমস্যা হবে?’
-‘ডাকলেন কেন?’
শুভ্র ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালো তার দিকে,
-‘তুমি কি ঝগড়া ছাড়া কথা বলতে পারো না?’
-‘আপনারও কি মুখ থেকে ভালো কথা বের হয় না?’
শুভ্র বিরক্ত হলো। ঝুঁকে এসে পাশের সিটের দরজা খুলে দিয়ে বলল,
-‘ওঠো।’

অরু মুখ কুঁচকে নিলো। গাড়িতে উঠে বসল। সিট বেল্ট লাগাতেই শুভ্র গাড়ি স্টার্ট করলো।
সময় গড়াচ্ছে পিনপতন নিরবতায়। অরু চুপচাপ হাতে মাথা ঠেকিয়ে বসে ছিলো প্যাসেঞ্জার সিটে। বাইরে তেমন রোদ নেই৷ রাস্তার পাশের ম্যাপেল পাতার অনেকগুলো গাছ সারি করে আছে। অরুর পাতাগুলো এতো পছন্দের! সে সেগুলো দেখছিল হাতে মাথা রেখে। একসময় মাথা সরিয়ে এনে শুভ্রর দিকে তাকালো। রয়ে সয়ে শুভ্রকে বলল,
-‘কতো তো বলছিলেন, তোমাকে নিয়ে যেতে পারবো না, এই না সেই না। তাহলে এখন কেন নিচ্ছেন?’
-‘আজকে তোমার অফিসে প্রথম দিন বলে, আজকের মতো নিয়ে যাচ্ছি। এরপর আর একদিনও নিয়ে যাবো না।’
অরু চোখ উল্টালো। তারপর বলল,
-‘অফিসে কেন আমার আর আপনার সম্পর্কের ব্যাপারে জানতে চান না? আমি যে আপনার কিছু হই, সেটা কেন জানাতে চান না?’
শুভ্র শান্তভাবে বলল,

-‘আমি চাইনা অফিসে কেউ এমন বলুক, আমার ‘স্ত্রী’ হওয়ার খাতিরে তুমি এক্সট্রা ফ্যাসেলিটিস্ ভোগ করতে পারছো। আর নাতো আমি চাই কেউ আমাদের ব্যাপারে জানুক। আমি এখনো এই সম্পর্ক মানি নি। মা-বাবার জন্য এসব কিছু।’
অরু থেমে গেলো। নাড়াচাড়া করতে থাকা হাত দুটো থমকে গেলো। নৈঃশব্দ্যে পড়ে রইলো ছোট্ট কোলটিতে। অরু কি বলবে বুঝে পেলো না। এমন নয়, সে ভাবছে এগুলো শুভ্রর ভালোবাসা বা শুভ্র নিজে থেকে এগুলো করছে। তবে সে ভাবছিল, অন্ত্যত পক্ষে স্ত্রী হওয়ার দায়িত্বের খাতিরে এগুলো করছে। হয়তো ধীরে ধীরে সম্পর্কটাও মেনে নিতে শুরু করছে৷ তবে সম্পূর্ণ ব্যাপারটাই যে শুভ্র মা-বাবার জন্য করছে এটা সে ভাবেনি। অরু সময় নিয়ে নিজেকে সামলালো৷ কন্ঠনালী কেমন যেন রোধ হয়ে আসছে। অরু মিনমিন করে বলল,

-‘আমিও আপনাকে মেনে নিতে বসে নেই। আর না এই সম্পর্ক আমি মেনে নিয়েছি। আর না মানবো কখনো। সেখানে আপনি তো আরো দূরের কথা।’
কথাটায় কি হলো কে জানে, শুভ্র আচমকা গাড়িতে ব্রেক কষলো। হুট করে এমন হওয়ায় অরু চমকে গেলো। সিট বেল্টের কারণে অসুবিধা হলো না খুব একটা। অরু ক্ষেপে গিয়েছে। শুভ্রর দিকে তাকিয়ে কিছু বলতে যাবে তার আগেই শুভ্র ঝুঁকে এলো তার দিকে। অরু চমকে উঠলো আরেকদফা। ধরফরিয়ে উঠে পিছনে সরে গেল। শুভ্র তার পাশের গাড়ির দরজা খুলে দিয়েই সরে গেল। অরু বোকা বনে গেলো,

-‘কি হলো?’
শুভ্র স্টেয়ারিং ধরে আছে শক্ত হাতে। শীতল চোখে তাকিয়ে কেমন করে তুড়ি বাজিয়ে বলল,
-‘আউট।’
অত্যন্ত বাজে দেখালো তার কথার ধরণ। অরু হতভম্ব হয়ে গেলো। আশেপাশে তাকিয়ে বুঝল এটা মাঝরাস্তা। অরু আবারও ভ্রু গুটিয়ে তাকায় তার দিকে,
-‘কি?’
-‘আই সেইড গেট আউট ফ্রম মাই কার!’
এবার গলার স্বরটা বেশি জোরেই শোনালো। অরু বিস্ময় নিয়ে চেয়ে আছে,
-‘আমি একা কি করে যাবো এখন?’
-‘দ্যাটস্ নট মাই বিজনেস।’

অপমানে অরুর মুখ থমথমে হয়ে গেল। গম্ভীর মুখে শুভ্রর দিকে কিছু সময় তাকিয়ে, সে ব্যাগ নিয়ে চুপচাপ নেমে গেলো গাড়ি থেকে। নেমে গিয়েই খুব জোরেই গাড়ির দরজা লাগালো। জানালা দিয়ে ঝুঁকে শুভ্রকে কিছু বলতে নিলে, শুভ্র দাঁড়ালো পর্যন্ত না। মুখের সামনে থেকে গাড়ি নিয়ে সাই করে চলে গেল। অরুর রাগে গা রি রি করছে। শুভ্রর গাড়ির দিকে উদ্দেশ্য করে ব্যাগ ছুঁড়ে মারলো রাগের চোটে। বেশি দূর কিছুই হলো না। সামনেই গিয়ে পড়লো। অরু রাগে রাস্তায় দাঁড়িয়েই কিছুক্ষণ হাত-পা ছুঁড়লো। তারপর বাধ্য হয়েই সামনে গিয়ে ব্যাগটা আবার তুলে নিলো হাতে। ত্যক্ত মেজাজে ভয়ংকর গালি দিলো শুভ্রকে।

অরু অফিসে পৌঁছালো যখন, তখন বাজে নয়টা ছয় কি সাত। সে এসেই রিসেপশনিস্টেসর সাথে কথা বলল। নিজের নাম-পরিচয় দিতেই মেয়পটা তাকে চিনে ফেললো। অরুকে বলল, আগেই তার কথা বলা ছিলো। রিসেশনের মেয়েটার নাম এমা। সে এই দেশেরই। অরুকে নিয়ে কোম্পানির মেনেজার সাদাফের সাথে কথা বলালো। সাদাফ বাঙালি হওয়ায় অরুর কথা বলতে সুবিধা হলো খুব! তাকে কাজ বুঝিয়ে সাদাফ কিছু ফাইল অরুর হাতে ধরিয়ে দিলো। হেসে বলল,
-‘কাজগুলো করে ফেলুন। কোনো সমস্যা হলে একদম বিনা দ্বিধায় আমাকে বলবেন, আমি হেল্প করবো। আর আপনার ডেস্কটা ওদিকে।’

অরুকে ডেস্ক দেখিয়ে দিলে সে মাথা দোলালো। সাদাফ কিছু বলতে নিলে সেখানে একটা লোক এলো। সাদাফের কানে কানে কিছু বলল। অরু ভ্রু কিছুটা কুঁচকালেও, স্বাভাবিকভাবেই নিলো ব্যাপারটা। সাদাফ লোকটার কথায় মাথা দুলিয়ে অরুর দিকে তাকালো। তাকে বলল,
-‘আপনি আপনার কাজ শুরু করুন তাহলে। আমি আসছি।’
অরু হেসে সম্মতি দিলো। সাদাফ চলে গেলে, নিজের ডেস্কে এসে বসলো অরু। টেবিলে ফাইল রেখে চেয়ারে বসতেই পাশের ডেস্কের মেয়েটা নিজের চেয়ার ঘুরিয়ে তার পাশে এলো। অরু হকচকিয়ে গিয়ে তার দিকে তাকালো। মেয়েটা হেসে তাকে বলল,

-‘হাই।’
অরু আকস্মিক ব্যবহারে অপ্রস্তুত ব্যবহার করলো। কোনোমতে হেসে বলল,
-‘হ্যালো।’
অরুর হাসিতে মেয়েটা আরো আস্কারা পেয়ে বসলো। তার দিকে চেয়ার টেনে বসে বলল,
-‘আমি শুনেছি তুমি বাঙালি। তোমার নাম কি?’
অরু চমকাল। গোলগোল চোখ করে মেয়েটার দিকে তাকালো,
-‘আপনিও বাঙালি?’
মেয়েটা উচ্ছ্বসিত ভঙ্গিতে মাথা দোলালো। অরু এবার প্রচন্ড খুশি হলো। নিজের চেয়ার ঘুরিয়ে বসল তার দিকে। হেসে বলল,

-‘আমি অরু। আপনি?’
-‘আরে, কি ‘আপনি’ ‘আপনি’ করছো? আমরা সমবয়সীই হবো। আমিও ইন্টার্ন করছি এখানে। তুমি করে বলো তো।’
অরু হেসে ফেললো। বলল,
-‘আচ্ছা। তোমার নাম কি?’
-‘আমি মিশমি। ডাকনাম মিশু।’
-‘নামটা কি সুন্দর!’
মিশমি হেসে ফেলল,
-‘তাই না? সবাই তাই বলে।’
বলেই হাত বাড়িয়ে দিলো। উচ্ছ্বাস নিয়ে বলল,
-‘ফ্রেন্ডস্?’
অরু হেসে হাত মেলালো। সম্মতি জানিয়ে বলল,

-‘ফ্রেন্ডস।’
তখনই সেখানে একজন এলো। ইংলিশে গড়গড় করে গলা উঁচিয়ে বলল,
-‘এখানে ‘অরুনিকা’ কে?’
অরু দাঁড়িয়ে পড়লো চেয়ার ছেড়ে,
-‘আমি।’
লোকটা তার দিকে তাকিয়ে আবারও ইংরেজিতে বলল,
-‘শুভ্র স্যার ডাকছে আপনাকে। তার কেবিনে যান।’

রোদ্দুর এবং তুমি পর্ব ৫

অরুর মুখ বিবর্ণ হয়ে গেল। সে তবুও মাথা দুলিয়ে লোকটার দেখানো ডিরেকশন অনুযায়ী শুভ্রর কেবিনে সামনে এসে দাঁড়ালো। দুরুদুর বুকে নক করলো কেবিন ডোরে। ভেতর থেকে ভেতরে ঢোকার পারমিট পেলে সে দরজা খুলে ঢুকলো। ভেতরে ঢোকা মাত্রই গম্ভীর পুরুষ কন্ঠে গুটিকয়েক শব্দতরঙ্গ কর্ণগোচর হলো,
-‘ইউ আর সেভেন মিনিটস্ লেইট মিস অর মিসেস অরুনিকা।’

রোদ্দুর এবং তুমি পর্ব ৭