শুভ্ররাঙা ভালোবাসা পর্ব ১১

শুভ্ররাঙা ভালোবাসা পর্ব ১১
সুমাইয়া সুলতানা

মোম দুপুরে রান্না করেনি। ক্ষুধায় পেট চো-চো করছে। ঘুমিয়ে পড়ায় বুঝতেই পারেনি এত বেলা হয়ে যাবে। যখন জেগেছে তখন প্রায় দুপুর দেড়টা’র কাছাকাছি। মূলত আযান দেওয়ার উচ্চ ধ্বনিতে মোমের ঘুম ভেঙেছে। আড়মোড় ভেঙে ঘুম থেকে উঠে পড়ে। গোসল করে যোহরের নামাজ আদায় করে নেয়। ঘড়ির দিকে চেয়ে দেখে দুই’টা বেজে গিয়েছে। আগুন বলেছিল এসময় চলে আসবে। মোম ভেবেছিল রান্না করবে। দেরি হওয়াতে রান্নাটা করা হলো না। তাছাড়া, আগুন বলে গিয়েছিল আসার সময় খাবার নিয়ে আসবে। সেজন্য রান্না করায় আগ্রহ হলো না। অপেক্ষা করতে থাকে আগুনের জন্য।

তবে অপেক্ষার প্রহর শেষ হচ্ছে না। সকালে শুধু একটা রুটি খেয়েছিল চিনির পানিতে ভিজিয়ে। আলু ভাজি, ডিম ভাজি ছিল সেগুলো খায়নি। মোম ডিম খেতে পছন্দ করে না। বাড়িতে থাকতে মোমের মা আতিফা বানু এ নিয়ে কত কথা শুনিয়েছে। আজকে আলু ভাজি খেতে ইচ্ছে করেনি। তাই চিনির পানিতে ভিজিয়ে খেয়েছে। মোমের পেটে হালকা চিনচিন ব্যথা করছে। সাড়ে তিনটা বেজে গিয়েছে আগুনের আসার কোনো নামই নেই। কোথায় রয়ে গিয়েছে মানুষটা? মোমের এখন কান্না পাচ্ছে। যদিও বাসায় শুকনো খাবার আছে। কিন্তু সেগুলো দিয়ে তো ভাতের তৃষ্ণা মিটবে না।

আগুন বাসায় আসলো চারটা’র দিকে। ডোরবেল বাজানোর প্রয়োজন হয়নি। কারণ, আগুন দরজা বাইরে থেকে লক করে রেখে গিয়েছিল। জুতো খুলে সু_ক্যাবিনেটে রেখে আশেপাশে মোমকে খুঁজলো। দেখতে না পেয়ে হাতে থাকা খাবার গুলো ডাইনিং টেবিলে রেখে নিজের রুমের দিকে পা বাড়াল। মোম জানালার কাছে দাঁড়িয়ে আছে। তার একটি হাত জানালার পর্দা খামছে ধরে আছে। অন্য হাতটি জানালার গ্রিলে রাখা। আগুন কিছু না বলে ফ্রেস হতে চলে গেল। ফ্রেস হয়ে এসে মোমের কাছে আসলো। মোম, আগুনকে খেয়াল করেনি। মোমের কাঁধে এক হাত রেখে শান্ত কন্ঠে ডেকে উঠলো,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

” দুপুরে খেয়েছ? কি রান্না করেছ আজকে? ”
মোম হকচকিয়ে উঠে। ঘাড় ঘুরিয়ে তাকায়। আগুনকে দেখে ছোট করে স্বস্তির নিঃশ্বাস ত্যাগ করে আবারো মুখ ঘুরিয়ে জানালার বাইরে দৃষ্টি রাখে। তবে আগুন স্বাভাবিক থাকতে পারলো না। মোমের কান্নামিশ্রীত মুখ দেখে অস্থির হয়ে পড়ল। চোখ দুটো ফোলা ফোলা, চোখের পাতায় এখনো অতি ক্ষুদ্র বিন্দু বিন্দু পানি কণা দেখা যাচ্ছে। ছোট্ট নাকটা লাল হয়ে আছে। মুখটাও কিঞ্চিৎ রক্তিম বর্ণ হয়ে আছে। বুঝাই যাচ্ছে কান্না করার জন্য ফর্সা মুখের এ অবস্থা। তবে কথা হলো, মোম কেঁদেছে কেন? বাসায় একা থাকতে ভয় করছিল কি? নাকি বাড়ির কথা মনে পড়েছিল? আগুন দু হাতের তালুতে মোমের ছোট্ট মুখটা বন্দী করে নেয়। স্নেহময় কন্ঠে বলল,

” মন খারাপ? কান্না করছিলে কেন? ”
মোম উত্তর দিলো না। মাথাটা নিচু করে নিল। আবারো কান্না পাচ্ছে। চোখ দুটো জলে টলমল করছে। আগুন শান্ত কন্ঠে বলল,
” মাথা তুলো? ”
মোম, গাল হতে আগুনের হাত সরিয়ে দেয়। আগুনের থেকে সরে এসে বিছানায় বসে। আগুন ভ্রু কুঁচকে তাকায়। জানালার কাছে দাঁড়িয়ে থেকেই ধমকে বলল,
” উত্তর দিচ্ছো না কেন? কি হয়েছে বলবে তো? না বললে বুঝবো কিভাবে? ”
ধমকে মোম মৃদু কেঁপে উঠে। সেই সাথে কন্ঠনালী ফুরে এতোক্ষণের আটকে রাখা কান্নাও বেরিয়ে আসে। মোমের কান্নার আওয়াজ পেয়ে আগুন চমকে যায়। ত্রস্ত পায়ে মোমের নিকট এগিয়ে আসে। হাঁটু ভেঙে মোমের পায়ের কাছে বসে। বলিষ্ঠ এক হাত বাড়িয়ে মোমের চোখের পানি মুছে দেয়। নরম তুলতুলে হাত দুটো নিজের শক্ত হাতের মুঠোয় নিয়ে শীতল কন্ঠে বলে উঠলো,

” কথা বলবে না? তুমি কি কোনো কারণে আমার উপর রেগে আছো? রেগে থাকলে বলো। ”
কাঁদতে কাঁদতে মোমের হেঁচকি উঠে গিয়েছে। নাক টেনে অভিযোগ জানায় কঠিন মানবের নিকট,
” আপনি এত দেরি করে কেন আসলেন? বলেছিলেন দুপুরে চলে আসবেন। আমরা এক সাথে খাবার খাবো। কিন্তু আপনি আসলেন এখন। এই আপনার আসার সময় হলো? ”
” সো সরি, মোম। আসলে কিছু পুরোনো ফ্রেন্ডসদের সাথে দেখা হয়েছিল। তাদের সাথে আড্ডা দিতে গিয়ে লেইট করে ফেললাম। ”

” আমাকে ফোন করে বলতে পারতেন। ফোন কেন করেননি? ”
” মনে ছিল না। তুমিও তো একটি বার ফোন করতে পারতে। ”
” আমি ফোন করলে সেই সময় যদি আপনি ক্লাসে থাকতেন, তখন তো রেগে যেতেন। সেজন্য দেইনি। ”
আগুন হেসে ফেললো। ড্রেসিং টেবিলে ওয়ালেটের পাশে থাকা রুমাল’টা এগিয়ে দিয়ে বলল,
” নাক মুছো। খাবার খেয়েছ? ”
মোম রুমাল দিয়ে নাক মুছে শুকনো মুখে বলল,
” না। ”
চকিতে তাকাল, আগুন। উত্তেজিত হয়ে প্রশ্ন করলো,

” তুমি এখনো খাওনি? ”
মোম দু দিকে মাথা নাড়াল।
” কেন? ”
” কি খাবো? বাসায় তো খাবার নেই। ”
” তুমি না বলেছিলে তুমি রান্না করবে? ”
” করিনি। মানে করতে পারিনি। ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম। যখন জেগে উঠলাম তখন দুপুর হয়ে গিয়ে ছিল। ভাবলাম, এই সময় তো আপনি এসে পড়বেন খাবার নিয়ে। তাই আর রান্না করিনি। ”
আগুনের খারাপ লাগলো। রাগ হলো নিজের উপর। কি দরকার ছিল নাঈমার কথায় লাঞ্চ করতে যাওয়ার। আজ ওর জন্য বাচ্চা মেয়েটা এখন পর্যন্ত না খেয়ে আছে। মনেমনে গিলটি ফিল হচ্ছে।
” যাও ওয়াশরুমে গিয়ে চোখে, মুখে পানি দিয়ে এসো। তারপর খাবার খাবে। ”
মোম কিঞ্চিৎ ত্যাড়ামি করে বলল,

” খাবো না। খাওয়ার ইচ্ছে নেই। ”
আগুন ধমকে বলল,
” কথার অবাধ্যতা আমি পছন্দ করি না। ”
মোম আর কথা বাড়ালো না। মুখ ফুলিয়ে তোয়ালে নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেল। আগুন নিচের ঠোঁট কামড়ে মৃদু হাসলো। এই পিচ্চি বউটা’কে ওর এতো কেন ভালো লাগে? মুখের মধ্যে আদুরে একটা ভাব। এই যে কেঁদে মুখ লাল করে ফেলেছে, এতে তার সৌন্দর্যের আলাদা এক বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। এই যে একটু আগে মুখ ফুলালো, এতেও দেখতে কি ভীষন চমৎকার লাগছিল। ইচ্ছে করছিল হালকা করে ছুঁয়ে দিতে। তবে দিল না। নিজের মধ্যে থাকা পুরুষালী প্রবল ইচ্ছাকে দমন করল পিচ্চি বউয়ের কথা ভেবে।

ফোনের ক্রিং ক্রিং আওয়াজ পেতেই সেদিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করল, মোম। ড্রেসিং টেবিলের উপরে থাকা আগুনের ফোনটা বেজে চলেছে অবিরত। মোম রিসিভ করার আগেই প্রথম বার কল টা কে’টে গেল। মোম জানে, না বলে কারো ফোন ধরা ঠিক না। সে যেই হোক। দরজা দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখলো, আগুন ড্রয়িংরুমে বসে কাজ করছে। কোলের উপর ল্যাপটপ। হাতে কিছু কাগজ-পত্র। মোম ফোন নিয়ে আগুনের কাছে যাওয়ার সাহস পাচ্ছে না। যদি রেগে যায়? কাজের সময় ডিস্টার্ব একদম পছন্দ করে না সে। দ্বিতীয় বার কল আসতেই মোম দ্রুত রিসিভ করে সৌজন্যতা বজায় রেখে নরম স্বরে বলল,

” হ্যালো। আসসালামু আলাইকুম। কে বলছেন? ”
ফোনের ওপাশ থেকে ময়ূরী কিছুটা ঝাঁঝ নিয়ে রাগী স্বরে বলল,
” চিন্তে পারছো না। এই দুই দিনেই ভুলে গেলে? ”
মোমের চোখ দুটো রসগোল্লার মতো বড় বড় হয়ে গেল। কান থেকে ফোন সরিয়ে ফোনের দিকে একবার চেয়ে আবার কানে দেয়। আশ্চর্য হয়ে প্রশ্ন করলো,

” ময়ূরী আপু, তুমি! ”
” জ্বি, আমি। ”
” আমি বুঝতে পারিনি। দুঃখিত। ”
” কেন? এটা আমার নাম্বার, তুমি জানো না? ”
” নাতো। আমি কিভাবে জানবো? আমি শুধু মায়ের নাম্বার চিনি। ”
” ভাইয়ার ফোনে কি আমার নাম্বার সেইভ করা নেই? ”
” আছে। তবে নাম দিয়ে না। একটা ফুলের ইমোজি দিয়ে। ”
” আচ্ছা। তা কেমন আছো তুমি? ”
” জ্বি, আলহামদুলিল্লাহ। ভালো। তুমি? ”
” তুমি কি? ”
মোম হেসে ফেললো।

” মানে, বলতে চাচ্ছি তুমি ভালো আছো? ”
” হ্যাঁ। কি করছো? ”
” তোমার সাথে ফোনে কথা বলছি। ”
ময়ূরী ফিক করে হেসে ফেললো। মেয়েটা এখন তার সাথে অনেকটা ফ্রি হয়ে গিয়েছে।
” ভাইয়া কোথায়? ”
” উনি তো কাজ ল্যাপটপে কিছু কাজ করছেন। বাড়ির সবাই কেমন আছে? আয়মান ভাইয়া সুস্থ হয়েছে? মা কি করছে? ”
” আয়মান ঠিক আছে। মা নুডলস রান্না করছে। মায়ের সাথে কথা বলবে? ”
” দেও। ”
ময়ূরী, মিনার কাছে গিয়ে ফোনটা এগিয়ে দিয়ে বলল,

” মা, ভাবী তোমার সাথে কথা বলবে। ”
মিনা ফোন নিয়ে মোমকের সাথে কথা বললেন। কথা বলার এক পর্যায়ে জিজ্ঞেস করলেন,
” তোমাদের মধ্যে সব ঠিক ঠাক আছে তো? ”
মোম বুঝতে পারলো না। উল্টো প্রশ্ন করলো,
” কোন ব্যাপারে, মা? ”
” না মানে, তোমাদের বিয়েটা তো হুট করে হয়ে গিয়েছে। তাই বলছিলাম, তুমি আগুনের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে পেরেছ কিনা? তোমাদের দু’জনের সম্পর্কটা স্বাভাবিক হয়েছে কিনা? ”
মোম ভেবে পাচ্ছে না কি বলবে? কি বলা উচিত? মিনা পুনরায় ডেকে উঠলেন,

” মোম, শুনতে পাচ্ছো? ”
” জ্বি, মা। সবকিছু স্বাভাবিক আছে। ”
” শুনে খুশি হলাম। পড়ে কথা বলবো। ভালো থেকো। ”
মিনা ফোন কে’টে দিলেন। মোম মনমরা হয়ে বসে রইল। একা থাকতে দমবন্ধ লাগছে। বসা থেকে উঠে আগুনের কাছে গেল। আগুনের সম্পূর্ণ ধ্যান তার কাজে। মোম গিয়ে আগুনের পাশে বসলো। আজকে দূরত্ব রেখে বসেনি। কিছুটা আগুনের শরীর ঘেঁষে বসেছে। মোমের উপস্থিতি টের পেয়ে আগুন পাশে তাকাল। মোমের গোমড়া মুখ দেখে ভ্রু কুঁচকালো। ল্যাপটপে আঙুল চালাতে চালাতে বলল,

” কিছু বলবে? ”
” আপনি ল্যাপটপে কি কাজ করছেন? ”
” স্টুডেন্ট’দের সাপ্তাহিক একটা পরীক্ষা নিবো। সেটার জন্য প্রশ্ন তৈরী করছিলাম। ”
” ময়ূরী আপু ফোন করেছিল। মায়ের সাথেও কথা বলেছি। ”
ল্যাপটপে নজর রেখে আগুন বলল,
” ভালো করেছ। ”
” মা, জিজ্ঞেস করেছিল আপনার সাথে আমার সম্পর্ক ঠিক আছে কিনা? ”

মোমের কথায় আগুন ল্যাপটপ অফ করে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিয়ে তাকাল তার দিকে। এভাবে তাকাতে মোম ভড়কে গেল। আগুনের থেকে কিছুটা ছিটকে দূরে সরে গেল। আর একটু হলে নিচে পড়ে যেত। আগুন বিরক্ত হলো। চোয়াল শক্ত করে বলিষ্ঠ এক হাত বারিয়ে মোমের এক বাহু চেপে ধরে নিজের কাছে আনলো। দাঁতে দাঁত চেপে ধমকে বলল,
” এভাবে ছিটকে সরে যাওয়ার কি আছে? আমি কি তোমাকে খেয়ে ফেলবো? এক্ষুনি তো ফ্লোরে পড়ে ব্যথা পেতে। ”
” হাত ছাড়ুন। ব্যথা পাচ্ছি। ”
আগুন হাত ছেড়ে দিল। বলল,

” হাতে কিঞ্চিৎ চাপ পড়ায় এই ব্যথা সহ্য করতে পারলে না। তাহলে ফ্লোরে পড়লে তো হাঁটুতে অথবা পায়ে ব্যথা পেতে। তখন, কিভাবে সহ্য করতে? ”
মোম গাল ফুলালো। মিনমিন করে বলল,
” আপনি ওভাবে তাকাবেন না আমার দিকে। ”
” কি ভাবে তাকিয়েছি? ”
” একটু আগে যে তাকালেন, সেই ভাবে। ”
আগুন ভ্রু কুঁচকে বলল,
” কোনো সমস্যা? ”
” সমস্যা মানে? অনেক বড় সমস্যা। এমন তীর্যক দৃষ্টি ফেললে ভয় করে। ”
আগুন দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো। এমন আজগুবি কথা এই মেয়ে পায় কোথায়?
” যাইহোক, মায়ের কথার উত্তরে তুমি কি বলেছ? ”
” আমি বলেছি সব ঠিক আছে। ”
” গুড। ”

পরক্ষণেই, মোম ঠোঁট উল্টে কাঁদো কাঁদো মুখ করে বলল,
” কিন্তু আমিতো মিথ্যা বলেছি। আপনার সাথে তো এখনো নিজেকে মানিয়ে নিতে পারিনি। বাবা বলে বড়দের সাথে মিথ্যা বলা উচিত না। ”
” তাহলে কি ছোটদের সাথে মিথ্যা বলা উচিত? মিথ্যা মিথ্যাই হয়। ছোট বড় দেখে হয় না। কারো সাথেই মিথ্যা বলা ঠিক না। তাছাড়া, তুমি তো মিথ্যা কিছু বলোনি? তাহলে কান্না করার কি আছে? আশ্চর্য! ”
মোম অবাক হয়ে বলল,
” মিথ্যা বলিনি? ”
” নাতো। তুমি যদি আমার সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে না পারতে তাহলে কি আমরা দু’জন এতটা কাছাকাছি থাকতাম? ”

মোম গোল গোল চোখে একবার আগুনের দিকে তাকাল। চোখ দুটো ছলছল করছে। কি জানে মোমের কি হলো? হঠাৎ করেই আগুনকে ছোট্ট নরম হাতে জড়িয়ে ধরল। মূলত মোমের এখন ভরসা যোগ্য একটা বুক চাই। মোমের মন খারাপ হলে, কোনো বিষয়ে কষ্ট লাগলে, কান্না পেলে সেটা কোনো কারণে হোক বা কারণ ছাড়াই হোক সে সময় বাবা অথবা মায়ের বুকে মুখ গুজে পড়ে থাকে। এতে মোম শান্তি পায়। মোমের কাজে আগুন অবাক হয়ে গেল। এই মেয়েটা ও ঠিক বুঝে উঠতে পারছে না। কখন যে কি করে বসে কোনো কিছুই বোধগম্য হয় না। পাগল করে ছাড়বে ওকে। পরমুহূর্তেই হেসে ফেললো। নিজেও দু’হাতে আগলে নিলো পিচ্চি বউকে। দুষ্টু হেসে মোমের কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বলল,

শুভ্ররাঙা ভালোবাসা পর্ব ১০

” মোমের মন মোমের মতই গলে গেল? চমৎকার! এতে তো আমারই লাভ। একটা কথা জানো কি? ”
❝ চোখের আড়াল হলে ভালোবাসা কমে না, স্বপ্নের পথ চলা কখনও যে থামে না। ❞

শুভ্ররাঙা ভালোবাসা পর্ব ১২