শেষ থেকে শুরু পর্ব ২৭

শেষ থেকে শুরু পর্ব ২৭
Sabihatul sabha

এই বাড়িতে নিরুপমার আর মাত্র একরাত বাকি।
সকালে সে নিজের গন্তব্যে চলে যাবে।
বেলী ধীর পায়ে নিরুপমার রুমে উঁকি মারলো। নিরুপমা ব্যাগ গুছিয়ে রাখছে।
~ আসবো আপু..?
নিরুপমা দরজার দিকে তাকিয়ে হাল্কা হেঁসে বললো,’ এসো’
বেলী নিরুপমার ব্যাগের দিয়ে তাকিয়ে বললো,’ সত্যি কাল চলে যানে নিরু আপু.? আর কয়টা দিন থাকলে হয় না.?’
নিরুপমা ব্যাগ একপাশে রেখে বেলীর দিকে তাকিয়ে বললো,’ তোমার মুখে জবা নামটা বেশ মানায়।’

বেলী হাসলো, যতোটা কঠিন সবাই নিরুপমা কে ভাবে ততটাও পাষাণ সে নয়।
বেলী হেঁসে বললো,’ আচ্ছা জবা আপু ‘
জবা বললো বসো আমি কফি নিয়ে আসি। বেলী ঘুরে ঘুরে রুমটা দেখতে লাগলো।
জবা সিঁড়ি দিয়ে নামতে অভ্র কে দেখলো হসপিটাল থেকে ফিরেছে। সোফায় চুপচাপ বসে আছে। দেখে মনে হচ্ছে মন ভালো না, না হয় শরীর ভালো না। তাতে জবার কি! জবা সোজা রান্না ঘরে চলে গেলো।
রান্না ঘরে আসিফ নিজের জন্য কফি বানাচ্ছিল। জবা কে দেখে হাল্কা হেঁসে বললো,’ কিছু লাগবে.?’

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

‘ কফি’
‘ দুইটা কেন.?’
‘ বেলীর জন্য একটা ‘
‘ আম্মু বলছিল তোমার সাথে কথা আছে, শুনলাম আগামীকাল চলে যাচ্ছ.?’
‘ নিজের বাড়িতে ত যেতেই হবে’
‘ এটাও তোমার বাড়ি’
আসিফের এমন বোকা কথা শুনে হাসলো জবা ‘
‘ হাসছো কেন.?’
‘ আপনার কথা শুনে, আমার বাপ দাদা আপনার বাড়িতে ত আমার জানা মতে কোনো সম্পত্তি ফেলে যায়নি।’
আসিফ কফির কাপে চুমুক দিয়ে বললো,’ তুমি নিজেই ত তাদের কোটি টাকার সম্পদ যা আপাতত আমাদের বাড়িতে আমার সামনে।’
জবা শব্দ করে হেঁসে উঠলো।
ড্রয়িং রুমে ওদের হাসাহাসির শব্দ শুনা যাচ্ছে।

অভ্রের রাগে লাল হয়ে যাওয়া মুখটা ফ্লোরের দিকে তাকিয়ে আছে। এমনিতেই ভীষণ ক্লান্ত ছিল, মন ভালো না তার মধ্যে আসিফের সাথে জবার এমন হাসাহাসি আগুনে ঘি ঢালার মতো কাজ করলো।
জবা দুই কাপ কফি নিয়ে সিঁড়ির কাছে আসতেই পেছন থেকে শুনতে পেলো, ‘ এখনো যাচ্ছ না কেন.?’
জবা পেছন ফিরতেই অভ্র বুক টানটান করে ওর সামনে দাঁড়ালো । রাগে চুখ গুলো অসম্ভব লাল হয়ে আছে।
অভ্র আবার বলে উঠলো, ‘ যা চেয়েছিলে তা ত পেয়েই গেছো! আজ এক সপ্তাহ হয়ে গেছে তুমি তোমার উদ্দেশ্য পূরণ করে ফেলেছো আর কি চাই এখানে.? ‘
জবা যথেষ্ট আত্মসম্মানবোধ মেয়ে, এতোদিন পরিস্থিতির জন্য সবকিছু সহ্য করলেও এখন সে কিছুতেই এমন অপমান সহ্য করবে না।

‘ তোমার বাড়িতে থাকার, খাওয়ার সম্পূর্ণ টাকা আমি দিয়ে দিব, আগামীকাল শেষ হবে। আমি আমার এক টাকারও ক্ষতি করতে পারবো না তাহলে আগে আগে কিভাবে চলে যাই.?’
অভ্র জবার হাতের কনুই শক্ত করে চেপে ধরে বললো,’ তুমি আমাকে টাকার বড়াই দেখাচ্ছ!.?’
জবা দাঁতে দাঁত চেপে রেগে বললো,’ আপসোস তুমি আজও নারীদের সম্মান দিতে শিখোনি, তোমাকে ত আমি পরে দেখে নিব’
‘ কি হচ্ছে এখানে.? ‘
মা’য়ের কঠিন কন্ঠ শুনতেই অভ্র জবার হাত ছেড়ে দিল। আজকাল মা টা কেও এই মেয়ে হাত করে ফেলেছে। সারাক্ষণ নিরু নিরু করে বেড়ায় আম্মু।
কুলসুম বেগম কড়া চোখে অভ্রের দিকে তাকিয়ে বললো, ‘ এটা কেমন বেয়াদবি অভ্র.? দিন দিন তুমি বেয়াদব হয়ে যাচ্ছ!’

‘ আমি ভালো ছিলাম কবে আম্মু.?’
‘ অভ্র তুমি সবার সাথে বেয়াদবি করে ভেবো না আমি তোমাকে প্রতি বার ক্ষমা করে দিব। নিরু আম্মুর সাথে বেয়াদবি করলে আমি তোমার…. ‘
‘ থামলে কেন বলো.’
কুলসুম বেগম গম্ভীর কন্ঠে বলে উঠলো, ‘ রুমে যাও’
অভ্র রেগে রুমে চলে গেলো।
কুলসুম বেগম নিরুপমার দিকে তাকিয়ে বললো,’ কিছু মনে করো না নিরু অভ্র আগে এমন ছিল না দিন দিন ওর যে কি হচ্ছে! ‘
‘ না আন্টি কিছু মনে করিনি আগামীকাল সকালে বের হতে হবে ঘুমাবো এখন’
‘ আচ্ছা যাও’
নিরুপমা চলে যেতেই আসিফ মা’য়ের কাছে এসে অভিমানী সুরে বললো, ‘ আম্মু তুমি ওকে আটকাবে না.?’
কুলসুম বেগম ছেলের দিকে তাকিয়ে বিরক্ত হয়ে বললো,’ তুমি অফিসে সময় দাও আসিফ, ছেলে মানুষ হতে হয় স্ট্রং পার্সোনালিটির অথচ তুমি দিন দিন এমন কেন হচ্ছ.?মেয়েদের মতো স্বভাব ছেড়ে দাও। নিরুপমা কয়েকদিন নিজের মতো থাকুক, জানোই ত মেয়েটার মনের অবস্থা কেমন! এখন ওকে আমি কোনো টেনশনে ফেলতে চাই না’
‘ আম্মু তুমি এভাবে বলতে পারলে.? আমি ওর উপর দূর্বল বলেই এমন করছি, আমি ওকে হারাতে চসই না। বিয়ের পর যেখানে ইচ্ছে ঘুরে বেড়াক আমার ত কোনো বাঁধা নেই, কখন না জানি কে এসে নিয়ে যায়। আম্মু আমার নিরুপমা কে চাই’

কুলসুম বেগম টেনশনে পরে গেলেন কিভাবে নিরুপমা কে বিয়ের প্রস্তাব দিবেন! মেয়েটার মুখের উপর নিষেধ করে দেওয়ার স্বভাব। এমন প্রস্তাব শুনলে যদি আর কখনো এই বাড়িতেই না আসে! আসিফের বউ হয়ে এই বাড়িতে পা রাখার পর কম ত অত্যাচার সহ্য করেনি কুলসুম বেগমের। কত্তো এই হাত দিয়ে মে’রে ফেলে রেখেছিল, কতো রক্ত জড়াছে, কতো দোষারোপ করেছে ওকে, কষ্ট সহ্য করেছে শুধু নিজের মায়ের খুনিকে বের করতে।
কুলসুম বেগমের জানতে ইচ্ছে হয় জবা কি শাস্তি দিয়েছে ওদের.? কেমন ভয়ংকর শাস্তি দিয়েছে.??
যে মেয়ে খুনিকে বের করতে এতো কিছু সহ্য করতে পারে, মৃত্যুকে হাসি মুখে বরণ করে নিতে পারে না জানি খুনিকে কেমন মৃত্যু উপহার দিয়েছে!

আজ এক সপ্তাহ পর আয়ান নিজের বাড়িতে পা রেখেছে। ওর জেনো এই বাড়ির দেয়াল, আসবাবপত্র গুলোকেও লজ্জা লাগে এখন। মনে হয় ওকে দেখে সবকিছু হাসছে, ইশশশ কি ভয়ংকর লজ্জা জনক অনুভূতি। মায়ের অপরাধে সন্তান কে লজ্জিত হতে হয়৷, মুখ লুকিয়ে বেড়াতে হয়। কি জবাব দিবে সে তার শখের নারীকে! যতই হোক সে জীবনের প্রথম কোনো নারীর প্রেমে পড়ে ছিল, সেটা রূপের হোক কিংবা মনের। সে প্রেমে ত পড়েছিল! অনুভূতি প্রকাশ করে ছিল! ভালোবাসা টা কি এক তরফা ছিল.? কই না ত! জবাও ত বলে ছিল ‘ আমি আছি আপনি না হারিয়ে যান!’ সময়ের সাথে আয়ান হারিয়ে গেছে।
আয়ানের মনে প্রশ্ন জাগে, জবা কি আগে থেকেই জানত সবকিছু.? সেই জন্যই কি আয়ানের সাথে বিয়ের নাটক, ভালোবাসার নাটক করে ছিল.? কতো কত প্রশ্ন! এতো প্রশ্নের উত্তর কোথায়.?
আয়ান ধীর পায়ে উপরে উঠে গেলো। বাড়ির সবাই হয়তো ঘুমিয়ে পড়েছে একটা রুমের সামনে আসতেই পা জোরা থেমে যায় আয়ানের।

ভেতর থেকে শোনা যায় বেলীর কান্নার শব্দ। বেলী কাঁদছে কিন্তু কেন.? আয়ান আস্তে করে রুমে ঢুকে। বেলী নামাজের বিছানায় বসে আছে। কাঁদতে কাঁদতে হেঁচকি উঠে গেছে স্পষ্ট নয় কথা গুলো তবুও আয়ান বুঝতে বাকি নেই বেলী কি বলছে।
আয়ান যেভাবে ভেতরে এসে ছিল ঠিক সেভাবে রুম থেকে চুপচাপ বেড়িয়ে গেলো। বুকের ভেতর হাহাকার! কোথাও কেউ ভালো নেই। ভালোবেসে সবাই মরেছে….
আয়ান বেড়িয়ে যেতেই বেলীও ধীর পায়ে রুম থেকে বের হয়ে এসে অভ্রের রুমের দরজায় খটখট শব্দ করলো।
অভ্র হয়তো জেগেই ছিল। দরজা খুলে বেলীকে এতো রাতে এখানে দেখে অবাক হলো।
‘ বেলী তুই!’
বেলী হাল্কা হেঁসে বললো,’ এতো অবাক কেন হচ্ছেন অভ্র ভাই!’
অভ্র গম্ভীর কন্ঠে বললো,’ কিছু বলবি.?’
বেলী মলিন হাসি দিয়ে বললো,’ বলার ত ছিল অনেক কথা অথচ সম্পর্ক যে আজ বদলে গেছে! একটা প্রশ্ন করার ছিল’

‘ কি প্রশ্ন আর এতো রাতে কেন.? সকালে করিস এখন যা’
‘ দরজা বন্ধ করবেন না অভ্র ভাই, অনেক চেষ্টা করেছি আপনাকে ঘৃণা করার কিন্তু আমরা ত ভুলে যাই ভালবাসার মানুষ কে কি ঘৃণা করা যায়.? ‘
অভ্র নিশ্চুপ
বেলী আবার বলে উঠলো, ‘ আমাকে কেন বিয়ে করলেন না অভ্র ভাই.? আমার মধ্যে এমন কিসের কমতি ছিল.? ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখালেন, আগে ত ভালো ছিলাম এক তরফা ভালোবাসা ছিল, বিয়ের কথা উঠায় নিষেধ কেন করলেন না.? অন্তত সারাজীবন আপনাকে না পাই একা কাটিয়ে দিতাম। ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখালেন ক্ষনিকের জন্য তারপর নিজ হাতে সেই ঘর স্বপ্ন ভেঙে দিলেন।
আপনি কি জানেন মানুষ মৃত্যুর আগে বহুবার মা-রা যায়.? আমিও তাদের দলের হয়ে গেছি, এখন যে মৃত্যু ছাড়া সবকিছু মিথ্যা মনে হয়।
অভ্র গম্ভীর মুখে তাকিয়ে আছে বেলীর জলে ভরে উঠা টলমলে চোখের দিকে, ঠোঁটে কি বিষাদের হাসি ঝুলিয়ে রেখেছে।

“আপনিই ত ছিলে আমার হৃদয়ের রাজকুমার রক্ত জড়াতে একটুও কষ্ট হয়নি আপনার!.? ”
অভ্র কে এভাবে চুপ থাকতে দেখে বেলী খিলখিল করে হেঁসে উঠলো, চোখে পানি মুখের বিষাক্ত যন্ত্রণার হাসি
” আমি আপনারে জড়াইয়া ধরতে গিয়া সারাজীবনের জন্য দুঃখে জড়াইয়া ধরলাম এবার আপনি খুশি ত!.?’
বেলী উত্তরের আশা করে না। ওর ত জানা আছে অভ্রর কাছে কোনো উত্তর নেই।
বেলী ধীর পায়ে নিজের রুমে চলে যায় শব্দ করে লাগিয়ে দেয় দরজা।

অভ্রের ব্যালকনি থেকে এতো রাতে গিটারের টুংটাং শব্দে ঘুম ভেঙে যায় জবার। রাগে মেজাজ বিগড়ে যায়। এতো রাতে এই ছেলের পিনিক উঠেছে নাকি! শান্তিতে শেষ ঘুমটাও এই বাড়িতে ঘুমাতে দিবে না..
অভ্র আকাশের দিকে তাকিয়ে গিটারে সুর তুলে বিষাদের। ফিসফিস করে বলে ‘ আমাকে ক্ষমা করিস না বেলী ফুল! আমাদের পথ যে একই আমিও ত তাকে ভালোবেসে জড়িয়ে ধরতে গিয়ে দুঃখকে জড়িয়ে ধরেছি, আমার এই বিষাক্ত জীবনে তোর মতো পবিত্র ফুলকে কিভাবে পুড়াতে জড়িয়ে নিতাম বল.? আমিও ত মরেছি কাউকে ভালোবেসে,আমাকে তুই কখনো ক্ষমা করিস না!

” আমার আগুনের ছাই জমে জমে..
কতো পাহাড় হয়ে যায়!
আমার ফাগুনেরা দিন গোণে গোণে
আর উধাও হয়ে যায়..
যত পথের বাঁধা, সবি ত কালো সাদা..
কবে ঠিকানা পেয়ে হবে রঙিন
চেনানা মেরি ডাকে
আমি কি পাব তাকে
কবে যে আসবে সেই রোদেলা দিন
তোরই ত কাছে চায়! পুড়নো কথা টায়
শুনতে আবার করে.. ও…
এমনো যদি হয় মনেরা নদী হয়
ভাসাবো অনেক দূরে

অভ্রের গানের গলা অনেক ভালো। অন্ধকারে সামনের ব্যালকনির দিকে তাকিয়ে দেখলো একটা ছায়া সরে গেছে।
অভ্রর ঠোঁটের কোনে হাসি ফুটে উঠলো। এভাবে আর কতো লুকোচুরি!
বেলী গভীর ঘুমে অনুভব করলো ওকে কেউ জড়িয়ে ধরে আছে। কারো শরীর কড়া পারফিউমের ঘ্রাণ নাকে এসে ঠেকছে, পুরুষলী হাতের বাঁধনের মাঝে আটকা পরে আছে বুঝতে পেরেই
হঠাৎ ঘুম ছুটে গেলো, চোখ মেলে পাশে তাকাতেই মনে হলো চোখ গুলো এখনো বের হয়ে চলে আসবে! এটা স্বপ্ন নয় ত.? কান্না করে আলতোফালতো ভেবে ঘুমিয়ে ছিল যার জন্য এমন ভয়ংকর স্বপ্ন দেখছে!
নিজের হাতে নিজেই চিমটি মেরে ‘ আউ’ বলে মৃদু চিৎকার করে উঠতেই চোখ বন্ধ করা অবস্থায় আয়ান বিরক্তি কন্ঠে বলে উঠলো, ‘ এতো মোচড়ামুচড়ি কেন করিস.? এমনিতেই ত জামাই সাথে ঘুমায় না বলে কান্না কাটি করে বিচার দিতে পারিস একটু ত লজ্জা কর বেলী।’
বেলী হতভম্ব হয়ে গেলো, সে কার কাছে বিচার দিয়েছে.?
বেলীর গলা এমনিতেই শুকিয়ে কাট হয়ে গেছে, এই প্রথম কোনো পুরুষ ওকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে, এমন ভারি ভারি শ্বাস এসে ওর গলায় পরছে। বেচারি কিছু বলতেও পারছে না সবকিছু গলায় আটকে যাচ্ছে।
আয়ানকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিতে চাইলে আয়ান রাগী কন্ঠে বলে উঠলো, ‘ দেখ আমার অনেকদিন ঘুম হয় না, শান্তিতে ঘুমাতে দে!’

‘ দূরে সরে ঘুমাও ‘
আয়ান ঘুম ঘুম চোখে ভ্রু কুঁচকে তাকালো।
‘ আমি কাকে বিচার দিয়েছি.?’
আয়ান চোখ বন্ধ করে বললো,’ অভ্র কে’
বেলীর মুখ হ্যা হয়ে গেলো। অভ্রের উপর রাগ আরও বেড়ে গেলো। কিভাবে পারলো এমন মিথ্যা কথা বলতে.?
‘ সব মিথ্যা কথা, আমি কেন জামাইর জন্য কাঁদবো আজব! আমি তোমাকে জামাই হিসেবে মানলে ত!’
‘ চুপচাপ চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাক বেলী আমি ঘুমাবো! আর কোনটা সত্যি আর কোনটা মিথ্যা তোর চোখ দেখেই বুঝা যায়! ‘

শেষ থেকে শুরু পর্ব ২৬

ফেঁসেছে বেলী, কান্না করলো কার জন্য! কান্না করলো একজনের জন্য নাম হলো আরেকজনের আহা ভাগ্য..
আয়ানও জানে অভ্রের বলা সবগুলো কথা মিথ্যা, বেলী এখনো আয়ান কে স্বামী হিসেবে মানেনা আর না কখনো মানবে। আয়ান বাড়িতে আসে কিনা সেটাই বেলী জানেনা আর ওর জন্য কাঁদবে! তবে ওর এখন একজন মানুষের সঙ্গ প্রয়োজন অনেকদিন হয় ঘুম হয়না।
বেলী না চাইতেও আয়ানের শক্ত হাতের বাঁধনে আটকা পরে চুপচাপ শুয়ে থাকে।

শেষ থেকে শুরু পর্ব ২৮