শেষ থেকে শুরু পর্ব ২৯
Sabihatul sabha
অন্ধকারের পরই আলো আসে। প্রতিটি দুঃসময় কেটে গিয়ে নতুন সুযোগ আসে, শুধু অপেক্ষা করতে হয়।
নিরুপমার অবস্থা এখন এই অপেক্ষার মতো। সে অপেক্ষা করছে নিজের সুস্থ জীবনের জন্য।
কোমরের ব্যাথা বেড়েছে, পায়ের ক্ষত জ্বলছে, হাতের কাটা জায়গা গুলো ব্যাথা করছে। সারা শরীরের অসহ্য ব্যাথায় জ্বর চলে এসেছে নিরুপমার।
নিরুপমা একবার আঁড়চোখে তাকালো ছোট্ট টেবিলের পাশে অবহেলায় পড়ে থাকা মেডিসিন গুলোর দিকে।
অভ্র বিছানায় যেভাবে শুইয়ে দিয়ে গিয়ে ছিল নিরুপমা এখনো সেই ভাবে শুয়ে আছে। ব্যাথার যন্ত্রণায় চোখ মুখ খিঁচে মাথার বালিশ খামচে ধরে রেখেছে চোখ থেকে পানি পড়ছে।
বিছানা থেকে নেমে যে কিছু খেয়ে মেডিসিন খাবে এমন শক্তি টুকুও শরীরে নেই। সে এখানে একা থাকে তাই কেউ যে ওর যত্ন নিবে তেমনও নেই।
ব্যাথায় নিরুপমা বাচ্চাদের মতো বিরবির করে মা কে ডাকছে। মনে হচ্ছে ওর পাশে ওর মা এসে বসেছে। ভালোবেসে মাথায় হাত রাখছে নিরুপমা ধরতে চায় সেই হাত কিন্তু পারে না, চোখ মুখ খিঁচে শুয়ে থাকে।
সময় যায় ব্যাথা কমে না, শরীরে মনে হয় কেউ বিষ ঢেলে দিয়েছে৷ নিরুপমা ফুপিয়ে কেঁদে উঠে। এমন একটা সময় তার নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে অসহায় মেয়ে মনে হয়। কেউ নেই! নেই! নেই! নেই কোথাও কেউ নেই নিরুপমার। মা নেই, বাবা নেই এত বড় দুনিয়ায় নিজের বলতে কেউ নেই। এমন একটা সময়ে কারো ভালোবাসার হাত নেই।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
নিরুপমার চোখে ভেসে উঠে অভ্রর মুখটা। মানুষটা একবার এসে দেখে গেলো না! নিজের এমন চিন্তার উপর রাগ হলো। নিরুপমা কারো দয়া, মায়া কিছুই চায় না। রাতটা কেটে গেলে সকালে হয়তো সে সুস্থ হয়ে যাবে। এই অসহ্য যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবে।
সারা বিকেল হসপিটালে বিজি ছিল অভ্র। রাত আটটা দশ বাজে। বেশি রাত হয়নি অভ্রর ভাবনায় আসলো নিরুপমা কেমন আছে?? মেডিসিন গুলো ঠিক মতো খেয়েছে ত.? মেডিসিন খেলে তেমন কোনো ব্যাথা থাকবে না কিন্তু যদি না খায়.? ভাবতেই অভ্রর মন কেমন করে উঠলো সে নিরুপমার নাম্বারে বেশ কয়েকটা কল দিলো৷ কিন্তু কোনো রেসপন্স নেই।
অভ্রর রাগ হলো। সে ত রাত জেগে প্রেম করতে কল দেয়নি শুধু জিজ্ঞেস করতে কল দিয়ে ছিল কেমন আছে.? মেডিসিন খেয়েছে কিনা.? অথচ এই মেয়ে এখনো ওকে ইগ্নোর করছে আজব!!
অভ্র মোবাইল টেবিলের পাশে রাখলো। আর কল দিবে না দিবে না বলেও আবার কল দিলো।
নিরুপমার টেবিলের উপর মোবাইলটা বাজছে। নিরুপমা ব্যাথায় তখন প্রায় জ্ঞান শূন্য। মোবাইলের শব্দে আরও মাথা ধরে আসছে। জ্বর হয়তো বেড়েছে।
অভ্র মোবাইল পকেটে রাখলো, দ্রুত বেরিয়ে গেলো হসপিটাল থেকে। ওর মন বলছে নিরুপমা ঠিক নেই। পেছন থেকে অভ্রর এসিস্ট্যান্ট ডাকতে লাগলো, ‘ স্যার আপনার আরও অনেক পেসেন্ট অপেক্ষা করছে। আপনি কোথায় যাচ্ছেন.? ‘
অভ্র কোনো উত্তর না দিয়েই গাড়ি স্টার্ট দিলো।
এসিস্ট্যান্ট বিড়বিড় করে বলে উঠলো, ‘ এমনিতেই সপ্তাহে মাত্র একদিন আলাদা ভাবে রুগী দেখেন। অতিরিক্ত রুগী হয় কখনো কখনো রাতের এগারোটা বেজে যায় তাও রুগী শেষ হয় না আজ কিভাবে এতো এতো রুগী কে কিভাবে বুঝাবে..? স্যার ত বলেও গেলেন না আর আসবেন কিনা! টেনশনে মাথা চুলকাতে চুলকাতে হসপিটালের ভেতর গেলো এসিস্ট্যান্ট।
আস্তে করে গেইট খুলে ভেতরে প্রবেশ করলো অভ্র। পুরো বাগান আর বাড়ি অন্ধকার হয়ে আছে। মোবাইলে ফ্লাশলাইট জ্বালিয়ে দরজার কাছে আসতেই অভ্রর হৃদপিণ্ড চমকে উঠলো। যেমন দরজা বন্ধ করে গিয়ে ছিল অভ্র এখনো দরজা ঠিক সেভাবেই আছে।
অভ্র দ্রুত ভেতরে আসলো। নিরুপমার রুমে গিয়ে প্রথম লাইট জ্বালিয়ে নিল।
মেয়েটা কেমন হাত পা গুটিয়ে ছোট হয়ে শুয়ে আছে।
অভ্র আস্তে করে কয়েকবার নিরুপমা কে ডাকলো। কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে ভয়ে নিরুপমার মুখটা নিজের দিকে ঘুরিয়ে চোখ বন্ধ করে নিলো।
মুখটা লাল হয়ে গেছে, চোখ গুলো বন্ধ, ঠোঁট জোড়া কাপছে।
মুখে হাত দিতেই মনে হলো অভ্রর হাত পুড়ে যাচ্ছে। জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে মেয়েটার শরীর। একবার কল করতে পারতো অভ্র কে৷ এমন অবস্থায় ওর বাড়ির লোকজন কোথায়.?
অভ্র টেবিলে মেডিসিন গুলো পরে থাকতে দেখেই বুঝে নিলো সবকিছু।
বেলীর কাছে কল দিয়ে বললো,’ লোকেশন পাঠাচ্ছি জলদি চলে আয় ‘
বেলী কোনো প্রশ্ন করার আগেই অভ্র খট করে কল কেটে দিলো।
বেলী জানে কোনো কারণ ছাড়া অভ্র ওকে শুধু শুধু ডাকবে না।
অভ্র সবচেয়ে প্রথম নিরুপমার মাথায় পানি দিল। তারপর কোমরের ব্যাথা কমার জন্য একটা ইনজেকশন দিল। হাত পায়ে ড্রেসিং করে মলম লাগিয়ে দিল।
কিচেনে গিয়ে খুঁজে খুঁজে স্যুপ বানিয়ে নিয়ে আসলো।
নিরুপমা আধো আধো চোখ খুলে তাকালো। অভ্রর মুখ দেখে আবারও চোখ বন্ধ করে রাখলো।
অভ্র আদুরে হাতে নিরুপমার মুখে স্যুপ তুলে দিয়ে বললো,’ একটু খেয়ে নাও’
নিরুপমার মনে হচ্ছে চোখের পাপড়ি গুলোর ওজন এক পাহার সমান। টেনে চোখ খুলতে পারছে না। সবকিছু মনে হচ্ছে স্বপ্ন সে একটা ঘোরের মধ্যে আছে।
নিরুপমা কে একটু স্যুপ খাইয়ে জ্বরের মেডিসিন খাইয়ে দিলো। ব্যাথার মেডিসিন ও খাইয়ে দিলো অভ্র সাথে ঘুমের।
কিছু সময় যেতেই গভীর ঘুমে তলিয়ে গেলো নিরুপমা।
অভ্র এক লম্বা শ্বাস ফেলে তাকালো নিরুপমার মুখের দিকে। কি মায়াবী লাগবে তার রক্তজবাকে। রক্তের মতো লাল ঠোঁট জোড়া দেখেই ত প্রথম নাম দিয়ে ছিল অভ্র রক্তজবা।
অভ্র এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো তার রক্তজবার দিকে। কাঁপা কাঁপা ঠোঁট জোড়া শান্ত হয়ে গেছে, চোখ জোড়া বন্ধ হয়ে আছে, তেজি মেয়েটাকে কেমন কাবু করে ফেললো এই অসুস্থতা! অথচ অভ্র ডাক্তার হয়েও এই মায়াবতী কে কাবু করতে পারলো না আজও! সে আজ থেকে ঘৃণা করে অসুস্থতা কে। ও ছাড়া ওর রক্তজবা কে অন্য কেউ কেন কাবু করবে.? কত বড় সাহস এই অসুস্থতার! আজ থেকে অভ্র যার শরীরে এই অসুস্থতা কে দেখবে তার শরীর থেকে টেনে হেঁচড়ে বের করে আনবে কারণ এই অসুস্থতা আজ থেকে ওর শত্রু।
বেলী এসে নিরুপমার রুমের আশেপাশে তাকালো।
‘ ভাই এই জায়গা এমন ভিজে আছে কেন.? আর নিরুপমা! এ্যাই তুমি নিরুপমার সাথে কি করেছো.?’
অভ্র বেলীর দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে বললো, ‘ এখন তুই আমাকে জবাবদিহি করবি.? এতো খারাপ দিন আমার আসলো!’
বেলী মাথা নিচু করে বললো,’ ভাই আমি বলতে চাচ্ছি নিরুপমা আপু এভাবে ঘুমিয়ে কেন আছে.? আর আপনি এখানে কেন.?
অভ্র নিরুপমার মুখের দিকে তাকিয়ে বললো,’ যত প্রশ্ন আছে তোর আপুর থেকে সকালে জেনে নিস। আজ রাতে ওর সাথে থাক। রাতে ও জেগে গেলে আমাকে জানাবি কল করে। আমি বাড়িতে জানিয়ে দিব তুই জবার সাথে আছিস ‘
বেলী আর প্রশ্ন করলো না। জানে প্রশ্ন করলেও উত্তর আসবে না।
অভ্র চলে যেতেই বেলী গেইট, দরজা লাগিয়ে বাড়িটা ঘুরে ঘুরে দেখলো। বেশ পরিপাটি, বাড়িতে বারতি তিনটা রুম তবে রুম গুলোর দরজায় তালা ঝুলানো।
ড্রয়িং রুমটা ছোট তবে বেশ সুন্দর। এতো সুন্দর সুন্দর জিনিস পত্র, ফুল বেলী মুগ্ধ হয়ে শুধু দেখছে। নিরুপমা আপুর চয়েস অনেক সুন্দর।
সকালে বিরক্তিকর কলিং বেলের শব্দে ঘুম ভাঙলো নিরুপমার।
চোখের পাতা গুলো এখনো বেশ ভারি ভারি লাগছে। চোখ খুলে পাশে তাকাতেই চিৎকার দিয়ে উঠলো নিরুপমা।
নিরুপমার চিৎকার শুনে সদ্য ঘুমিয়ে পড়া বেলী লাফ দিয়ে উঠে বসলো।
ওর দিকে তাকিয়ে বেস্ত গলায় বললো,’ আপু তুমি ঠিক আছো.? কি হয়েছে.? ‘
নিরপমা ভিতু চোখে তাকিয়ে বললো, ‘ তততুমি এখানে.?’
বেলী নিরুপমা কে শান্ত হতে বলে গতরাতে অভ্র কল করে এনেছে বললো।
নিরুপমা শান্ত হলো। বেলীর দিকে তাকিয়ে বললো,’ চোখ এমন লাল কেন তোমার.? ‘
বেলী মিনমিন করে বললো,’ ভাই যাওয়ার আগে বলে গেছে রাতে আমি ভুল করেও ঘুমালে আমাকে জঙ্গলে ছেড়ে আসবে। সাথে রাতে একটু পর পর কল দিয়েছে। একটু আগেও কল দিয়ে ছিল তুমি জেগেছো কিনা জানতে।
নিরুপমা রাতের কথা মনে করতে চেয়ে ছিল কিন্তু কিছুই মনে আসলো না। বেলী কে বললো ঘুমিয়ে পড়তে সারারাত মেয়েটা জেগে ছিল! এই অভ্রর কি কোনো আক্কেল জ্ঞান নেই.? মেয়েটাকে শুধু শুধু রাত জাগিয়ে রাখলো!
বেলী নিরুপমার কথা শুনলো না। বিছানা থেকে নেমে কিচেনে গিয়ে হাল্কা নাস্তা বানিয়ে আনলো।
নিরুপমা নিষেধ করার পরও নাস্তা করিয়ে সব মেডিসিন খাইয়ে দিল। একটু পর অভ্র এসে হাত পা ড্রেসিং করে মলম লাগিয়ে দিবে।
বেলী এবার বললো,’ বলো এমনটা কিভাবে হলো.?’
‘ তুমি আগে সুন্দর একটা ঘুম দিয়ে উঠো তারপর বলছি। ‘
‘ না না আগে বলো না হয় ঘুম আসবে না’
বেলীর কথা শুনে হাল্কা হেঁসে নিরুপমা শুরু থেকে সবটা বললো।
সবটা শুনে বেলী মন খারাপ করে বললো,’ এতো কষ্ট সহ্য করলে অথচ একটা কল করলে না.? এতোটা পর মনে করো আমাকে.?’
ওদের কথার মাঝে আবার কলিং বেল বাজলো বেলী ভাবলো অভ্র এসেছে।
দরজা খুলে অপরিচিত ছেলে দেখে বেলী থতমত খেয়ে গেলো। সে ত কিছুই চিনেনা।
ছেলেটা বেলীর দিকে তাকিয়ে আবার রজায় খোদাই করে লেখা মায়া তালুকদার হাউজ লেখাটার দিকে তাকালো। না সে ত সঠিক বাড়িতে এসেছে অথচ এই প্রথম এই বাড়িতে দ্বিতীয় নারীর দেখা মিললো।
ছেলেটাকে ওর দিকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে বেলী অস্বস্তিতে দরজা থেকে সরে গেলো।
ছেলেটা ভেতরে এসে বললো, ‘ মিস আপনি কে.? আর নিরুপমা কোথায়.?’
‘ আপু আপুর রুমে’
‘ প্রথম প্রশ্নের উত্তরটা পাইনি’
‘ আ… আমি আপুর এক বোন’
‘ আরেহ্ বাহ্ ওই রাক্ষসী টাইব মেয়ে আবার বোন কবে থেকে বানাতে শিখলো, যাই হোক ওর চয়েস খারাপ না’
বেলী ছেলেটার এমন তাকানো দেখে নিজেকে গুটিয়ে নিল।
ছেলেটা নিজ থেকেই বললো, ‘ আমি ওর ছোট মামার একমাত্র পুত্র আর ওর ভাই। কিন্তু তুমি ভুলেও আমাকে ভাই ভাবতে যেও না কারণ তুমি স্পেশাল। ‘
বেলী বুঝলো ছেলেটা প্রয়োজনের থেকেও বেশি কথা বলে। এই বাড়িতে আর কে কে থাকে.? ছেলেটা অদ্ভুত..
ভেতর থেকে ধীর পায়ে বের হয়ে আসলো নিরুপমা।
ছেলেটাকে দেখেই নিরুপমা বিরক্তি কন্ঠে বললো,’ অনিক তুই.?’
অনিক হাসি হাসি মুখে নিরুপমার দিকে তাকিয়ে বললো,’ তুই যে এতো রূপবতী মেয়েদের বোন বানিয়ে এনেছিস বলিস নি ত কখনো!.? ছ্যাহ্ নিরুপমা এমনটা আশা করিনি তোর থেকে..!
নিরুপমা চোখ মুখে রাগ ফুটিয়ে বললো,’ কেন এসেছিস সেটা বল! দেখ টাকার জন্য আসলে আগে থেকেই বলে রাখছি সোজা আমার লকাবে ঢুকিয়ে দিব আজ তোকে’
অনিক আড়চোখে বেলীর দিকে তাকিয়ে বললো,’ ছ্যাহ্ আমি তোর বড় তোর থেকে কেন টাকা নিব.? আম্মু পাঠিয়ে ছিল তুই ঠিক আছিস কিনা জানতে আর বলেছে একবার গিয়ে দেখা করে আসতে। তোর কনো প্রয়োজন হলে বলতে পারিস আমি টাকা নিয়ে এসেছি!’
নিরুপমা ভ্রু কুঁচকে ফেললো। এই ছেলের কি মাথার স্ক্রু এলোমেলো হয়ে গেছে.? দুইদিন পর পর টাকা নিতে আসে আর আজ উল্টো গান গাইছে মতলব ত ভালো ঠেকছে না!’
‘ কি হল কি ভাবছিস.? মেহমান আসলে যে বসতে দিতে হয় সেটাও ভুলে গেছিস.? অন্তত এক কাপ চা!’
বেলী অবাক হল। এ কেমন কাজিন.? নিরুপমা এতো অসুস্থ দেখতে পাচ্ছে তাও কিছু জিজ্ঞেস করছে না।
‘ আপনি বসুন ভাইয়া আমি নিয়ে আসছি’
‘ প্লিজ ভাইয়া বলো না আমার বুকে ব্যাথা হয় ‘
‘ এইটা নিশ্চয়ই গ্যাস্টিকের ব্যাথা যাওয়ার সময় ডাক্তার দেখিয়ে নিস!’
নিরুপমার এমন কথায় অনিক ঠোঁট ছড়িয়ে হেঁসে বললো,’ ডাক্তার ত রান্না ঘরে গেছে ‘
গেইটে আয়ানের গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। আজ বেলীর এক্সাম ছিল কিন্তু সে ভুলেই গেছে।
আয়ান কল দিয়ে বললো, ‘ আমি দাঁড়িয়ে আছি গেইটের সামনে। আমি সবকিছু জেনে নিয়েছি অভ্রর কাছ থেকে। ও একটু পর আসছে তুই চলে আয় তোকে কলেজে দিয়ে আমি ডিউটিতে যাব। আবার এক্সাম শেষ হলে সোজা এখানে চলে আসবি।
বেলী নিরুপমা কে বলে বেড়িয়ে আসলো। বেলীর পেছন পেছন অনিক ও বেড়িয়ে আসলো।
বেলী গিয়ে আয়ানের পাশে বসে পরলো। আয়ান গেইটের সামনে তাকাতেই অনিক হেঁসে বলে উঠলো, ‘ আপনি নিশ্চয়ই বেলীফুলের ভাই.? ভবিষ্যত শালা সাবধানে নিয়ে যাবেন আপনার বোনকে আমানত রইলো আপনার কাছে’
আয়ান থমথমে মুখে একবার ছেলেটার দিকে ত আরেকবার বেলীর দিকে তাকালো।
শেষ থেকে শুরু পর্ব ২৮
বেলী বোকার মতো অনিকের দিকে তাকিয়ে আছে। বলতে ইচ্ছে করছে ইনি আমার ভাই নয় হাসবেন্ড অথচ মন বললো তুই কেন বলবি.? আয়ান নিজে বলুক তুই ওর কে!?
আয়ান বেলীর দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে বললো,’ এই বলদ কে.?’