সঙ্গীন হৃদয়ানুভুতি পর্ব ১৭

সঙ্গীন হৃদয়ানুভুতি পর্ব ১৭
Jannatul Firdaus Mithila

বেলা ব’য়ে যায়,গোধূলির মেঘ-সীমানায়~
ধূম্রমৌন সাঁঝে,নিত্য নব দিবসের মৃত্যুঘন্টা বাজে!!
~এই মুহুর্তে কথাটি কেমন যেন অদ্ভুত ভালো লাগছে অরিনের কাছে! গোধূলির লগ্নে দূর আকাশের পানে দৃষ্টি রেখে উপরোক্ত কথাটি হঠাৎই মনে পড়ে যায় তার।আজ সকাল থেকেই মনটা তার বেশ ফুরফুরে।আর হবে না-ই বা কেনো? আজ যে রোদ ভাই তার প্রশংসা করেছে! কি ছিলো সেই প্রশংসার মাঝে! এতগুলো দিনতো সে অনেকের কাছ থেকে এমন টুকটাক কিংবা আরও বেশি প্রশংসা পেয়েছে, কিন্তু আজকের মতো এতোটা খুশি কখনো হয়নি ও।পরক্ষণেই অরিন মনে মনে ভাবছে,

~ভালোবাসা কি তাহলে এমনই হয়! পছন্দের মানুষটার সামান্য এটুকু প্রশংসাও এতোটা খুশির কারণ হতে পারে?
কথাগুলো ভাবামাত্রই মুখে এক চিলতে হাসি ফুটে ওঠে তার।এই মুহুর্তে তার খুব করে ইচ্ছে করছে, পৃথিবীর সকলকে চিৎকার করে বলতে যে — আজ তার পছন্দের মানুষটা তার প্রশংসা করেছে!
অরিন এবার মনে মনে এক অদ্ভুত দোয়া করে বসলো,
~ রোদ ভাই! আমি মন থেকে চাইবো,আপনার এমন হাজারো প্রশংসার দাবিদার যেন সারাজীবন কেবলমাত্র আমিই থাকি! সত্যি সত্যি এমনটা হবে তো রোদ ভাই!
মনের মাঝে জেগে ওঠা শেষোক্ত হঠাৎ প্রশ্নে আবারও মুখে আধার নেমে আসে অরিনের। ভাবতে থাকে,

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

~এতোটা ভালোবাসার ফল কি আদৌও মিলবে,নাকি আবার এই ভালোবাসা একতরফার খেতাব পেয়ে যাবে।আচ্ছা এমনটা যদি কখনো না চাইতে হয়েও যায় তাহলে আমি আদৌ সহ্য করতে পারবো তো!
মুহুর্তেই মনের মাঝে এক অশান্ত ঝড় বয়ে যায় অরিনের। যদি মনে ওঠা প্রশ্নগুলোর একটাও সত্যি হয়ে যায় তখন! কিভাবে নিজেকে সামলাবে সে।কিভাবে ভুলবে তার প্রথম প্রনয়কে। এরূপ চিন্তাধারার মাঝে অরিন মনে মনে এক অদ্ভুত পরিকল্পনা করে নেয়।ভেবে নেয় তার আগামীতে ঠিক কি কি পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ। ভাবনা শেষ হতেই এবার যেন অরিন স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়ে। মুখে টানে এক বিজয়ী হাসি!

~শফিক, আপনি পেশেন্টের সকল ডিটেইলস নিয়ে আমায় ইনফর্ম করবেন।ওয়েট আ মিনিট ! তার বাড়ির কেও এসেছে তার সাথে?
রৌদ্রের করা প্রশ্নের জবাবে “হ্যা”-বোধক সম্মতিতে মাথা নাড়ায় ওয়ার্ড বয় শফিক।পরক্ষনেই বলে ওঠে,
~স্যার ২০৩ নম্বর রুমের পেশেন্টের সাথে শুধুমাত্র একজন এসেছে। হয়তো তার নিকটাত্মীয় হবে।
রৌদ্র তার হাঁটা থামিয়ে ওয়ার্ড বয়ের দিকে তাকায়। স্বাভাবিক কন্ঠে বললো,
~ ওকে দেন! তাকে আমার কেবিনে পাঠিয়ে দাও।

ওয়ার্ড বয়ের সাথে কথা শেষ করেই রৌদ্র তার জন্য বরাদ্দকৃত কেবিনে ঢুকে পড়ে। কেবিনে ঢোকবার পরে মিসঃ মৌটুসী হায়দার কে নিজের কেবিনে দেখে মুহুর্তেই মেজাজ বিগড়ে যায় রৌদ্রের।এই মেয়েটাকে তার একদমই সহ্য হয় না।একটু সুযোগ পেলেই চলে আসে তার কেবিনে,আর নিজের মতো করে রাজ্যের বকবক জুড়ে বসে। আচ্ছা রৌদ্র যে তাকে পছন্দ করে না,একপ্রকার ইগনোর করে যখন -তখন সে কি এটা বুঝে না! নাকি সবটা বোঝবার পরও এমন ছ্যাবলামো করে এই মেয়ে! একটুও কি সেলফ রেসপেক্ট নেই তার মাঝে? — এসব ভাবনার শেষে ফোঁস করে নিশ্বাস ফেলে রৌদ্র। চোয়াল শক্ত করে এগিয়ে যায় নিজ আসনে।মিস: মৌটুসী রৌদ্রের উপস্থিতি টের পেতেই রৌদ্রের দিকে তাকিয়ে মিষ্টি একটা হাসি উপহার দিয়ে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাড়ায়। আজকেও তার পড়নে শর্ট টপস এন্ড হাটু অবধি স্কার্ট। তিনি যেন রৌদ্রের সামনে নিজেকে আর-ও আবেদনময়ী করে তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন! রৌদ্র সেদিকে কোনরকম পাত্তা না দিয়ে চোয়াল শক্ত রেখে বিরক্ত গলায় বলে ওঠে,

~ কি ব্যাপার মিস: মৌটুসী! আপনি হঠাৎ এখানে যে।
রৌদ্রের কথায় মৌটুসী এবার মুচকি হাসলো। পায়ে হিল জুতোর ঠকঠক আওয়াজ তুলে এগিয়ে আসে রৌদ্রের প্রায় অনেকটা সন্নিকটে! একহাত উঁচিয়ে যেই না রৌদ্রের কাঁধে রাখতে যাবে ওমনি রৌদ্র তার চেয়ার ছেড়ে উঠে অন্যদিকে দাঁড়ায়। চোখে একরাশ রাগ আর বিরক্তি নিয়ে কর্কশ কন্ঠে বলে ওঠে,
~ হোয়াট দা হেল ইজ দিস মিস:মৌটুসী? এই মুহুর্তে ঠিক কি করতে যাচ্ছিলেন আপনি?আমাকে টাচ করবার অনুমতি কে দিলো আপনাকে!
মৌটুসী রৌদ্রের আকস্মিক রেগে যাওয়ায় একপ্রকার ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায়।আমতা আমতা করে নিজের সাফাই দেওয়ার সুরে বলে,
~ইয়ে,মিস্টার রৌদ্র! দিস ইজ কুয়াইট নরমাল বিটুইন কলিগস রাইট! আমিতো জাস্ট ক্যাজুয়ালি আপনাকে টাচ করছিলাম।
মৌটুসীর কোন কথাই যেন রৌদ্রের পছন্দ হলো না। সে গলায় আগের ন্যায় কর্কশ কন্ঠ বিরাজ রেখে বললো,

~ সেটা আপনার কাছে ক্যাজুয়াল হলেও আমার কাছে নয়! প্লিজ সবাই কে এক পাল্লায় মাপতে আসবেন না।
কথাগুলো এক নিশ্বাসে বলে কিছুটা দম নেয় রৌদ্র। অতপর কয়েকপল বাদেই প্যান্টের পকেটে দুহাত গুজে সটান হয়ে দাড়িয়ে বিরক্ত গলায় বললো,
~ এন্ড ওয়ান মোর থিংগ মিস মৌটুসী! আজকের পর থেকে কোন বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া যখন -তখন আমার কেবিনে আসবেন না। নাও প্লিজ লিভ!
রৌদ্রের প্রতিটি কথা যেন মৌটুসীর গায়ে কাটার ন্যায় বিধলো।সে উত্তেজিত গলায় বলে বসে,
~ রৌদ্র! আপনি এবার কিন্তু আমায় অপমান করছেন।
রৌদ্র তার কথায় শ্লেষাত্মক হাসলো।নিরেট কন্ঠে বললো,
~ আপনার যেটা ইচ্ছে ভেবে নিজেকে সন্তুষ্ট করতে পারেন এতে আমার কিছুই করার নেই। আপনার কথা শেষ হলে এবার আপনি আসতে পারেন!
মৌটুসী রৌদ্রের কথা শেষ হওয়া মাত্র তার দিকে বিক্ষুব্ধ নজরে তাকায়।অতপর কিছুক্ষণ কটমট করে তাকিয়ে থেকে ধুপধাপ পা ফেলে বের হয়ে যায় কেবিন থেকে।যাওয়ার আগে অবশ্য নিজের রাগের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে কেবিনের দরজাটা সজোরে লাগাতে ভুললো না সে।রৌদ্র সেদিকে একেবারেই ভ্রুক্ষেপহীন! সে ব্যস্ত তার হাতে থাকা ফাইলগুলো চেক করতে।

~ আহি একটা মিনিট দাড়া প্লিজ! আমি মেবি ঐ দোকানটায় আমার ব্যাগটা রেখে এসেছি। তুই এখানে একটুখানি অপেক্ষা কর প্লিজ! আমি এই যাবো আর আসবো।
মাহিয়ার কথায় কপাল কুচকে এক আকাশসম বিরক্তি প্রকাশ করে আহিয়া।মুখে “চ”- কারান্ত শব্দ করে বলে ওঠে,
~ আচ্ছা তুই কি বলতো মাহি! প্রথম প্রথম তো শপিং মলে আসতেই চাইলি না।এরপর যখন এতো করে বলার পর আসলি তো আসলি, কেনাকাটায় আমার চেয়েও একধাপ এগিয়ে গেলি।আমার মাত্র দুটো শপিং ব্যাগ হলো আর তোর হলো তিনটে! তোর ধারণা আছে তুই ঠিক কতক্ষণ যাবত কেনাকাটা করেছিস? পাক্কা গুনে গুনে তিনঘণ্টা! এখন বের হবো আর তুই বলছিস ব্যাগ ফেলে এসেছিস! লাইক সিরিয়াসলি!
আহিয়ার এতো শতো অভিযোগে মুখটা কাচুমাচু করে নেয় মাহিয়া।ঠোঁট উল্টে বলে,

~ এমন করছিস কেন আহি। কেনাকাটা করতে এলে একটু আধটু তো লেট হবেই তাই-না! আর তাছাড়া ব্যাগটাতো আমি ইচ্ছে করে ফেলে আসিনি বল। জাস্ট ভুল করে তাড়াহুড়ায় কখন যে ফেলে এসেছি খেয়াল করিনি!
আহিয়া এবার বিরক্ত হয়ে বললো,
~ হয়েছে থামুন এবার! আর ন্যাকামো করতে হবে না আপনার। যান তারাতাড়ি গিয়ে নিয়ে আসুন ব্যাগ।আমি কিন্তু মোটেও যেতে পারবো না।আমি এখন বড্ড ক্লান্ত। তুই যা আমি ঐদিকের রেস্টুরেন্টে বসছি।
মাহিয়া বোনের কথায় মুচকি হাসে। উচ্ছ্বসিত হয়ে বোনের গাল টেনে বলে,
~ থ্যাংকস সোনা। তুই গিয়ে বস আমি জাস্ট যাবো আর আসবো!

বলেই এস্কেলেটর দিয়ে উপরে ওঠে চলে যায় তখনকার কেনাকাটা করা দোকানটিতে।আর অন্যদিকে আহিয়াও গিয়ে বসে পড়ে রেস্টুরেন্টের একটি ফাকা টেবিলে।কয়েক মিনিট পর ওয়েটার আসলে একটি কোল্ড কফি অর্ডার দিয়ে ব্যাগ থেকে নিজের ফোন বের করে ফেসবুক স্ক্রল করতে থাকে।প্রায় মিনিট পাঁচেক পর ওয়েটার এসে কোল্ড কফি দিয়ে যায় আহিয়াকে।আহিয়াও ফোনে নজর রেখেই সিপ নিতে থাকে কফির। তার ঠিক পরপরই একজন আগন্তুক এসে দাড়ায় ঠিক আহিয়ার সামনে। আহিয়া প্রথমে খেয়াল না করায় আগন্তুক এবার হালকা গলা খাঁকারি দেয়।আহিয়াও কফি থেকে সিপ নেওয়া বন্ধ করে ভ্রু উঁচিয়ে প্রশ্ন করে,

~ কি!
আহিয়ার এরূপ কথায় আগন্তুকের হাসি মুখটা সহসাই থমকে যায়। ভ্রুকুটি করে তাকায় আহিয়ার পানে।বলে,
~ মিস, আমাকে চিনতে পারেননি?
আহিয়া অবাক চোখে তাকিয়ে রয় আগন্তুকের দিকে। আবাক কন্ঠে বলে ওঠে,
~ আমার কি আপনাকে চেনার কথা ছিলো?
আগন্তুক এবার কিছুটা অপ্রস্তুত হয়। চোখের চশমাটা হাতে নিয়ে বলে ওঠে,
~ স্ট্রেঞ্জ! গতকালই দেখা হলো আর আজকেই ভুলে গেলেন?
আহিয়া হাতের কফিটি শব্দ করে টেবিলের ওপর রাখে।বিরক্তিকর কন্ঠে বলে ওঠে,
~ দেখুন মিস্টার! আমার মনে হয় না আমি আদৌও কখনো আপনাকে দেখেছি। আর রইলো বাকি ভোলার কথা! যাকে কখনো দেখিইনি তাকে ভুলবো কিভাবে বলুনতো?
আগন্তুক মনে মনে অপমানিত বোধ করে। তবুও বাইরে থেকে স্বাভাবিক থেকে বললো,

~ ঠিক আছে ফাইন! চিনতে হবে না আমায়।আমি আসলে আপনাকে দেখে ভাবলাম গতকালের বইটা নাহয় এখনই ফেরত দিয়ে দেই কেননা আমার পড়া শেষ।
বলেই কাঁধে থাকা ব্যাগটি থেকে সেদিনের বইটি বের করে সামনে ধরে অরিনের। এবং বলে,
~ কি হলো নিন,ধরুন!
আহিয়া ভড়কে যায় আগন্তুকের হাতে বইটি দেখে।এই মুহুর্তে তার কাছে আগন্তুকটিকে হাফ মেন্টাল বৈ আর কিছুই মনে হচ্ছে না। সে এবার খিটখিটে মেজাজে বলে,

~ কি সমস্যা আপনার? তখন থেকে বলেই যাচ্ছি আপনাকে আমি চিনি না এবং কোনদিন দেখি অবধি নি।তারপরও আপনি এটা সেটা বলেই যাচ্ছেন! আবার এখন বই নামক নতুন আরেক কাহিনি জুড়ে বসেছেন। বলছি সুন্দর মেয়ে মানুষ দেখলেই কি তাদের সাথে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে কথা বলতে হবে?
আগন্তুক আহিয়ার এরূপ কথায় যারপরনাই অবাক হয়।ভ্রুকুঞ্চন করে বলে ওঠে,
~ লিসেন মিস, হ্যা আপনি সুন্দরী কিন্তু এতোটাও সুন্দরী নন যে আপনার সাথে অজুহাত দিয়ে আমার কথা বলতে হবে। আমি ওতোটাও সেলফ রেসপেক্টহীন নই!
আহিয়া তার কথায় চুড়ান্ত পর্যায়ে অপমানিত বোধ করে। ক্ষেপে গিয়ে বলে ওঠে,
~ এ্যাই এ্যাই কি বললেন আপনি? আমি ওতোটাও সুন্দরী নই মানে! আপনার কি চোখ আছে? আরে আমিতো ভুলেই গিয়েছিলাম আপনিতো আবার চার চোখ ছাড়া দেখতেই পারেন না।
আহিয়ার কথায় আগন্তুকও যেন আরো উত্তেজিত হয়ে বলতে লাগলো,

~ এই যে মিস! কি বলছেন আপনি খেয়াল আছে সেদিকে? আমি চারচোখ ছাড়া দেখতে পারিনা মানে? মানুষের কি চারচোখ হয়?
আহিয়া কৌতুকের কন্ঠে বলে ওঠে,
~ নাহ স্বাভাবিক মানুষদের চারচোখ হয়না তবে কিছু কিছু মানুষের আবার চারচোখ ছাড়া চলে না।এই ধরুন না আপনি সেই কিছু কিছু মানুষের অন্তর্ভুক্ত। কারন আল্লাহ প্রদত্ত আপনার চোখ দুটি আর চশমা প্রদত্ত দুটি তো হলোনা টোটাল চারটি?
আগন্তুক হতবিহ্বল হয়ে যায় আহিয়ার কথায়।হতবাক নয়নে তার দিকে তাকিয়ে বলে,

~ হোয়াট আ লেইম জোক্স! আই থিংক আপনার মাথার দু-একটি স্ক্রু নিশ্চয়ই ঢিল হয়ে গেছে।
আহিয়ার জলন্ত আগুনে ঘি ঢালার মত উপক্রম হলো কথাটি।সে বিক্ষিপ্ত হয়ে বললো,
~মাইন্ড ইউর টাংগ মিস্টার। আমার মোটেও এমন কোন সমস্যা নেই।
আগন্তুক আর আহিয়ার এহেন বাকবিতন্ডায় পেছন থেকে কেও একজন বলে ওঠে,
~ কি হচ্ছে এখানে?

সঙ্গীন হৃদয়ানুভুতি পর্ব ১৬

আহিয়া এবং আগন্তুক দুজনেই কথার উৎসের দিকে নজর দেয়।আর সাথে সাথেই আগন্তুক হতবুদ্ধি হয়ে একবার আহিয়ার দিকে তো আরেকবার মাহিয়ার দিকে তাকায়। তৎক্ষনাৎ বিস্ফোরক কন্ঠে বলে বসে,
~ইয়া খোদা, এরা দুহানই দেহি জমজ!
তার কথা শেষ হওয়া মাত্রই অপর পাশ থেকে দুবোন একসঙ্গে বলে ওঠে,
~ হোয়াট!

সঙ্গীন হৃদয়ানুভুতি পর্ব ১৮

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here