সঙ্গীন হৃদয়ানুভুতি ২য় খন্ড পর্ব ৩০
Jannatul Firdaus Mithila
অরিন চোখ বন্ধ করে রইলো।বুকের ভেতরটায় বুঝি তান্ডব চলছে একপ্রকার। নিশ্বাস ফেলতেও বুঝি কষ্ট হচ্ছে তার। অথচ ছেলেটাকে দেখো! সে তার পাগলামি থামালে তো! রৌদ্র অরিনের ঠোঁট ছেড়ে দিয়ে চোখের দিকে তাকায়। নরম কন্ঠে শুধায়,
“ খারাপ লাগছে জান? বাদ দিবো?”
অরিন চুপ করে রইলো।শব্দরা বুঝি দলা পাকিয়েছে গলার কাছটায়।সে লজ্জালু মুখটা অন্যদিকে ফেরায়।ইশশ্ ঠোঁটটা যা জ্বলছে না তার! মনে হচ্ছে কেও বুঝি আস্ত মরিচের গুঁড়ো লাগিয়ে দিয়েছে সেথায়। বুকটাও কেমন ধুকপুক করছে তার। এই বুঝি হৃদয়টা বক্ষপিঞ্জরের খাঁচা ছেড়ে বেরিয়ে আসবে।রৌদ্র একদৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো মেয়েটার দিকে। অরিনের সিক্ত অধরযুগল, ঘনঘন নিশ্বাসের ওঠানামা, তার লজ্জায় রাঙানো মুখখানা, নিভু নিভু চোখের দৃষ্টি সবটাই যেন মন্ত্রমুগ্ধের ন্যায় টানছে তাকে। মনে জাগছে এক পবিত্র অনুভুতি। রৌদ্র ফাঁকা ঢোক গিললো।হুট করেই গলাটা কেমন শুষ্ক হয়ে উঠেছে তার।সে জিভ দিয়ে শুষ্ক ওষ্ঠপুট খানিকটা ভিজিয়ে নেয়। অরিনের ওপর আরেকটু ঝুঁকে এসে হাস্কি স্বরে বলে,
আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন
“ সানশাইন!”
অরিন চট করে চোখদুটো বন্ধ করে নেয়। নাহ, এই মানুষটার চোখের দিকে কিছুতেই তাকাবেনা সে।এ চোখগুলো যে, কোন সাধারণ চোখ নয়।এই নয়নে রয়েছে এক অসীম ক্ষমতা — যা কি-না তাকে নেশা ধরিয়ে দিতে সক্ষম। অরিন অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে চোখ বন্ধ করে আছে।রৌদ্র এবার অস্থির হলো। মেয়েটার থুতনিতে আঙুল ঠেকিয়ে মুখটা নিজের দিকে ফেরালো।নেশালো কন্ঠে বললো,
“ চোখ খোল সানশাইন!”
অরিনের কি হলো কে জানে! সে কেমন বাধ্যের ন্যায় তৎক্ষনাৎ চোখ মেলে তাকালো। দেখতে পেলো — তার মুখের ওপর ঝুঁকে থাকা রৌদ্রের সুশ্রী মুখখানা। অরিন মন্ত্রমুগ্ধের ন্যায় তাকিয়ে রইলো সেদিকে। কিয়তক্ষন নিরবতা চললো এই বদ্ধ প্রেমিকদ্বয়ের মাঝে। তারপর…. তারপর আবারও তারা মত্ত হলো অধরসুধাপানে।এবার অরিন একটুও বাঁধা দিলোনা রৌদ্রকে।বরং সেও নিজে থেকে মত্ত হলো ওষ্ঠপুটের কাজে। রৌদ্র চোখ বন্ধ রেখে ব্যস্ত মেয়েটার ওষ্ঠের ভাঁজে। তার হাতগুলোও বুঝি থেমে নেই! তারাও অবাধ্যের ন্যায় বিচরণ চালালো অরিনের সর্বাঙ্গজুড়ে।এহেন অবাধ্য স্পর্শে একেবারেই কুপোকাত মেয়েটা। তার সর্বাঙ্গজুড়ে চলছে এক অন্যরকম নাম না জানা শিহরন। মন থেকে চাইলেও বাঁধা দিতে পারছেনা সে। রৌদ্রের হাত যখন তার কোমরে পৌছালো তখনি সে খামচে ধরলো রৌদ্রের ঘাড়।ছেলেটা বুঝি এতে আরেকটু পাগল হলো। উম্মাদের মতো অরিনের ওষ্ঠপুটে নিজের দখলদারিত্ব বজায় রেখে মেয়েটার কোমর চেপে ধরলো। অরিন আর সহ্য করতে পারলোনা। সে তৎক্ষনাৎ নিজের ওষ্ঠপুট ছাড়িয়ে নেয় রৌদ্রের কাছ থেকে। চোখেমুখে একরাশ অনুনয় লেপ্টে বলে,
“ প্লিজ এখন আর না! আমরা…. ”
বেচারির কথাটাও শেষ হলোনা তার আগেই আলতো হাতে তার চোয়াল চেপে ধরে রৌদ্র। অরিনের চোখের দিকে নেশালো চোখে তাকিয়ে মোহগ্রস্তের ন্যায় বললো,
“ আই কান্ট স্টপ নাউ জান!প্লিজ আমায় আটকাস না!”
কথাটা শেষ করে অরিনের দু’হাত উপরে উঠিয়ে বিছানার সঙ্গে চেপে ধরে রৌদ্র। অন্যহাতে অরিনের চোয়াল আলতো করে চাপ দিয়ে ঠোঁট দুটো খানিকটা ফাঁকা করে নেয়।তারপর আবারও নিজের অধরযুগলের মাঝে অরিনের পাতলা অধরজোড়া টেনে নেয় গভীর আশ্লেষে।অরিন প্রথম প্রথম কিছুটা নাড়াচাড়া করলেও এখন কেমন একেবারেই শান্ত হয়ে পড়লো। রৌদ্র অরিনের নিচের ঠোঁটটা একবার নিজের ঠোঁটের ভেতরে টেনে নেয় আরেকবার ছেড়ে দেয়। এমনটা বেশ কয়েকবার করলো সে।পরক্ষণেই কেমন অদ্ভুত মোহনীয় কন্ঠে বললো,
“ উফফ! ইটস টার্নিং মি অন সানশাইন!”
অরিন লজ্জায় হাসফাস করতে লাগলো। চোখদুটো যে সেই কখন থেকে কুঁচকে রেখেছে তার আর ইয়ত্তা নেই। অরিন নিজের হাতদুটো ছাড়ানোর বৃথা চেষ্টায় তৎপর। অথচ ছেলেটার সেদিকে কোনরূপ ভ্রুক্ষেপ নেই।সে ধীরে ধীরে নিজের মুখটা নামালো অরিনের কন্ঠদেশে। সেখানটা ইতোমধ্যেই লালচে, কালচে দাগে পরিপূর্ণ। রৌদ্র হেসে ফেললো তা দেখে। মনে মনে নিজের এহেন পাগলামির জন্য নিজেকেই গালমন্দ করলো খানিকটা। তারপর ধীরে ধীরে চুমু বসায় মেয়েটার কন্ঠদেশে শোভাবর্ধক দাগগুলোর গায়ে। অরিন আরেকটু মোচড়ামুচড়ি করলো।হয়তো এরূপ স্পর্শে নিজেকে পাগল লাগছে তার।রৌদ্র তার কাজ বহাল রেখেই ধীর স্বরে বললো,
“ এগুলো স্বাভাবিক বিষয় সানশাইন! প্লিজ একটু সয়ে নে!”
অগত্যা এহেন বাক্য কর্ণগোচর হওয়া মাত্র থেমে গেলো অরিন।ঠোঁট কামড়ে ধরলো নিজের। বুকটাসহ সারা শরীর কাপছে তার। চোখ খোলা তো একেবারেই দায় হয়ে পড়েছে এ মুহুর্তে। সে চুপ করে অনুভব করতে লাগলো রৌদ্রের বেহায়া স্পর্শগুলো। রৌদ্র অরিনের কলারবোনে মৃদু কামড় বসায়। তারপর আবার সেখানে জিভ ছোঁয়ায় নিজের। এহেন পাগলকরা স্পর্শে অদ্ভুত গোঙানির শব্দ ভেসে আসে অরিনের মুখ থেকে। রৌদ্র থামলোনা।সে একে একে নিজের দেয়া দাগগুলোর গায়ে আলতো করে জিভ ছোঁয়ায়।কখনো কখনো মৃদু শুষে নেয় জায়গাগুলো।অরিন মোড়ামুড়ি করতে থাকে অনবরত। অথচ সেদিকে একেবারেই ভ্রুক্ষেপহীন রৌদ্র। সে অরিনের কন্ঠদেশ হতে মুখ উঠায়।অরিনের দিকে তাকিয়ে ঘোর লাগা কন্ঠে বলে,
“ আরেকটু গভীরভাবে ছুয়ে দিলে রাগ করবি সানশাইন? ”
হঠাৎই বুকটা মোচড় দিয়ে ওঠে মেয়েটার।সে লাজলজ্জা ভুলে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রইলো রৌদ্রের দিকে। রৌদ্রের বুঝি আর তর সইলোনা অরিনের জবাব শুনতে। সে সদ্যেগে এগিয়ে গেলো মেয়েটার পেটের কাছে। নিজের কাঁপা কাঁপা হাত বাড়িয়ে আলতো করে স্পর্শ করলো সেখানটায়।অরিন এখনো কাপছে। চোখদুটো কুচকে রেখেছে সে।রৌদ্র শুষ্ক অধর জোড়া জিভ দিয়ে ভিজিয়ে অরিনের পেটের ওপর থেকে কাপড়টা কাঁপা হাতে সরায়।তক্ষুনি তার চক্ষুগোচর হয় অরিনের মেদহীন, মাখনের ন্যায় সুশ্রী উদর। রৌদ্র তৎক্ষনাৎ চোখদুটো বন্ধ করে পেছনে হেলে পড়ে।ঠোঁট কামড়ে ঘনঘন নিশ্বাস ফেলতে থাকে অনবরত। একহাত তার চুলে মুষ্টিবদ্ধ, অন্যহাত বুকের কাছটায় চেপে ধরা। অরিন হকচকিয়ে ওঠে রৌদ্রের এহেন কান্ডে।সে তড়িৎ শোয়া ছেড়ে উঠে বসে রৌদ্রের পাশে। রৌদ্রের ওপর হালকা ঝুঁকে এসে,তার গালে মৃদু চাপড় দিয়ে বিচলিত হয়ে বলতে থাকে,
“ এই, এই কি হয়েছে আপনার? ডাক্তার সাহেব? আপনার কি হলো… কথা বলুন!”
অরিনের এমন বিচলিত কন্ঠ কানে পৌঁছাতেই চোখ মেলে রৌদ্র। মেয়েটার দিকে একপলক তাকিয়ে হুট করে তাকে জড়িয়ে ধরে সে।হঠাৎ আক্রমণে তাল সামলাতে না পেরে রৌদ্রের বুকের ওপর আছড়ে পড়ে অরিন।তার কান এসে ঠেকলো রৌদ্রের বুক বরাবর। তাতে সে স্পষ্ট টের পেলো রৌদ্রের হৃদয়ের অসামান্য ধুকপুকানির তাল। অরিন কিছুটা ভড়কে যায়। রৌদ্রের বুকে মাথা রেখেই অস্থির হয়ে বলে,
“ কি হয়েছে আপনার? বুকটায় এতো শব্দ হচ্ছে কেনো?”
রৌদ্র চোখ বন্ধ রেখে বললো,
“ পাগল পাগল লাগছে সানশাইন! কি দেখলাম আমি?”
অরিন ভ্রু কুচকায়। রৌদ্রের বুক ছেড়ে মাথা উঠিয়ে চোখে চোখ রেখে দৃঢ় গলায় শুধায়,
“ মানে? কখন কি দেখেছেন আপনি? ”
এপর্যায়ে দুষ্ট হাসলো রৌদ্র। চোখ তুলে তাকায় মেয়েটার দিকে। মেয়েটাকে আবারও বুকে চেপে, তাকে বিছানায় শুইয়ে নিজে তার ওপরে ঝুঁকে আসে।রৌদ্রের একহাত অরিনের পিঠ আগলে রেখেছে, অন্যহাত অরিনের মুখের ওপর আসা চুলগুলো ধীরেসুস্থে গুঁজে দিচ্ছে অরিনের কানের পিঠে। অরিন অনিমেষ চোখে তাকিয়ে রইলো তার পাগল প্রেমিকের দিকে। তার চোখেমুখে লেপ্টে আছে একরাশ মুগ্ধতার ঝলক। রৌদ্র অপলক তাকিয়ে থেকে মুচকি হাসলো। অরিনের গালে হালকা চুমু দিয়ে বললো,
“ তুমি বুঝবে না বউজান! ও তুমি বুঝবে না… ”
অরিন মুগ্ধ হয়ে শুনলো কথাটা। চোখে একরাশ প্রশান্তির আভাস টেনে হাসি মুখে বলে,
“ আপনি আমায় তুমি করে বললেন?”
রৌদ্র প্রতিত্তোরে ঠোঁট কামড়ে হাসে। অরিনের টোলপড়া গালদুটোতে পরপর দুটো চুমু খেয়ে ফের আদুরে কন্ঠে আবদার ছুড়ে,
“ জ্বি বউজান! শুধু আমি না, এখন থেকে তুমিও আমায় তুমি করেই বলবে।”
অরিন চোখ বড়সড় করে তাকায় এবার। মাথা নাড়িয়ে নাকচ করে দিয়ে বলে,
“ একদম না। আমি আপনাকে ‘ তুমি ’ করে বলতে পারবোনা। ”
রৌদ্র ভ্রুকুটি করে এহেন কথায়। অরিনের দিকে সরু চোখে তাকিয়ে বলে,
“ কেনো পারবেনা? ”
“ এমনি…”
“ এমনি?”
অরিন ফোঁস করে নিশ্বাস ফেলে। রৌদ্রের দিকে অসহায় চোখে তাকিয়ে বলে,
“ আমার কেমন কেমন যেন লাগে আপনাকে তুমি বলতে.. ”
রৌদ্রের চোখেমুখে এবার দুষ্টুমি ফুটে ওঠে।সে মেয়েটাকে আরেকটু বাজিয়ে দেখতে তার ওপর কিঞ্চিৎ ঝুঁকে আসে। অরিনের ঠোঁটের ওপর আঙুল দিয়ে স্লাইড করতে করতে মোহনীয় কন্ঠে বলে,
“ কেমন লাগে তোমার!”
অরিনের বুকটা আবারও মোচড় দিয়ে ওঠে। নিশ্বাস হয়ে আসে ঘন।রৌদ্রের মুখে ‘ তুমি’ সম্বোধনটা যে বড্ড বেকাবু করছে তাকে।অরিন আবেশে চোখ বন্ধ করে নেয়।বহুকষ্টে ধীরে ধীরে বলে,
“ এভাবে ডাকবেন না…. ডাক্তার সাহেব! নিজেকে… সামলাতে কষ্ট হচ্ছে আমার!”
রৌদ্র ফিচেল হাসলো।অরিনের মাথার নিচে একহাত দিয়ে মাথাটা কিঞ্চিৎ উপরে তুললো।তারপর মেয়েটার গালের ওপর নাক ঠেকিয়ে জোরে একটা নিশ্বাস টেনে নিয়ে ঘোরলাগা কন্ঠে বললো,
“ তাহলে নিজেকে সামলাতে যাচ্ছো কেনো তুমি? ছেড়ে দাও না এই বৃথা চেষ্টা।আমার বউজানকে আমিই সামলে নিবো।”
অরিন চোখ মেলে তাকায়। কপট ভাব নিয়ে বলে,
“ বড্ড জ্বালাচ্ছেন আমায়।”
“ যদি বলি তোমায় জ্বালাতে আমার ভিষণ ভালো লাগে। ”
অরিন মাথা দুলায়।স্মিত হেসে বলে,
“ এবার নাহয় উঠি আমরা? এতক্ষণ যাবত এখানে থাকায় কেও যদি আবার সন্দেহ করে বসে?”
রৌদ্র অরিনের গালে নাক ঘষে আলতো করে। তারপর তার ওপর থেকে উঠে বসে রৌদ্র। অরিনের হাত ধরে তাকেও উঠিয়ে বসিয়ে দেয় নিজের পাশে। আশেপাশে নজর বুলিয়ে ড্রেসিং টেবিলের ওপর থেকে একটা চিরুনি নিয়ে ফিরে আসে অরিনের কাছে। অরিনকে পেছনের দিকে ঘুরিয়ে বসিয়ে নিজে সযত্নে মেয়েটার চুলগুলো আঁচড়ে দিতে লাগলো রৌদ্র। অরিন মুচকি হেসে উপভোগ করছে রৌদ্রের কর্মকাণ্ডগুলো।
খানিকক্ষণ বাদে রৌদ্র অরিনের চুলগুলো বেধে দেয় সুন্দর করে। তারপর অরিনকে নিজের দিকে ফিরিয়ে, অরিনের মুখটা নিজের খসখসে দু’হাতের আঁজলায় তুলে নিয়ে দৃঢ় একটা চুমু বসায় তার ললাটে। অরিনকে বসা ছেড়ে দাঁড় করিয়ে পড়নের কাপড়টা ঠিকঠাক করে দেয় রৌদ্র। পরক্ষণেই ফ্লোরে অবহেলায় পড়ে থাকা ওড়নাটা নিয়ে এগিয়ে আসে অরিনের কাছে। নিজ উদ্যোগে মেয়েটার ওড়নাটা কাঁধে সেট করে দেয় সুন্দরভাবে। তারপর অরিনকে নিজের সামনে দাড়ঁ করিয়ে আপাদমস্তক পরোখ করে একবার। পরক্ষণেই মাথা নাড়িয়ে বলে ওঠে,
“ নাহ! চলবে না।বেশি সুন্দর লাগছে! ”
সঙ্গীন হৃদয়ানুভুতি ২য় খন্ড পর্ব ২৯
এহেন কথায় হতবুদ্ধির ন্যায় তাকিয়ে রইলো অরিন। কিছু একটা বলতে যাবে তার আগেই রৌদ্র তাকে পাশ কাটিয়ে খাটের ওপর থেকে পড়ে থাকা হিজাবটা হাতে তুলে নেয়। তারপর সেটিকে অরিনের দিকে এগিয়ে দিয়ে বলে,
“ নে, এটা সুন্দর করে পড়ে নে।”
অরিনও আর কিছু না বলে বাধ্য মানুষের মতো হিজাবটা নিয়ে নেয়।ড্রেসিং টেবিলের সামনে গিয়ে ধীরে ধীরে বাঁধতে থাকে হিজাবটি। আর রৌদ্র? সে পেছনে দাঁড়িয়ে ড্রেসিং টেবিলের আয়নায় গভীর মনোযোগে তাকিয়ে আছে অরিনের দিকে।