সন্ধি হৃদয়ে হৃদয়ে পর্ব ২৪

সন্ধি হৃদয়ে হৃদয়ে পর্ব ২৪
লেখিকাঃ আসরিফা সুলতানা জেবা

তূর্য ফাস্ট এইড বক্স টা এনে বিছানায় রাখল। গম্ভীর কন্ঠে বললো,
‘ নাও মেডিসিন লাগাও,নয়ত ইনফেকশন হতে পারে। ‘
শ্রেয়া স্থির। নড়ছে না। মাথায় তূর্যর উচ্চারিত একেকটা শব্দ ঘুরপাক খাচ্ছে অনবরত। সত্যিই ইঁদুর অমন করে কামড়াতে পারে?নাকি গম্ভীরমুখো এই লেকচারার হেঁয়ালি করছে ওর সাথে?বোকা বানাতে চাইছে হয়ত। এমনিতেই শৈশব কাল থেকেই ভীষণ বোকা ধাঁচের ও।

এটাকে ঠিক বোকা বলে না বিষয়টা হলো এমন,যা-ই হয়ে যাক চুপচাপ থেকে সহ্য করা এবং অতিরিক্ত না ঘাঁটানো। এটাই ওর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। তূর্য কি করে জানল ওর খালি গা পেয়ে কামড়ে দিয়েছে, সে দেয় নি তো?মনে মনে আবোলতাবোল ভাবছে শ্রেয়া। হিসেব মিলাতে পারছে না ঠিক। তূর্য কামড় দিলে কিংবা স্পর্শ করলে সরাসরি প্রকাশ্যে করতে পারে,এভাবে লুকিয়ে চুরিয়ে করার প্রয়োজন নেই। তাহলে ধরে নিবে ইঁদুর কামড়ে দিল?ভয়ে কলিজা ছোট্ট হয়ে যায় শ্রেয়ার। ইঁদুরের দাঁত নিশ্চয়ই ধারালো,তীক্ষ্ণ। কেমন রক্তাক্ত করে দিল!

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

তূর্য শ্রেয়ার কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে রোষপূর্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো। মেয়েটা শাড়ির আঁচল হাতের মুঠোয় পুড়ে চিন্তায় মগ্ন তা ফর্সা চেহারায় স্পষ্ট। ধ্যান ভঙ্গ করতে চাপা গর্জন করে, ‘ মিসেস শ্রেয়সী! ‘
শ্রেয়া হকচকালো। তড়িঘড়ি করে চাইল সামনে দাঁড়ানো তূর্যর দিক। নম্র গলায় বললো, ‘ জ্বি?’
রাগে চোখ দুটো লাল রূপ ধারণ করলো তূর্যর। এই মেয়েকে সেই কখন থেকে ডাকছে আর এতক্ষণে সাড়া দিল!দাঁতে দাঁত চেপে বললো,’ কোন দুনিয়ায় আছেন?কাইন্ডলি আপনি এদিকে আসবেন নাকি আমি কাছে যাবো?’

শ্রেয়া থতমত খেয়ে গেল। তূর্যর কন্ঠে রাগের আভাস। গুটি গুটি পায়ে কয়েক কদম অগ্রসর হলো ও। থামল তূর্যর থেকে দূরত্ব রেখে। মুহুর্তেই শ্রবণেন্দ্রিয় হলো লহু স্বরের হৃদয় নিংড়ানো বাক্য, ‘ আঁচল টা সরাও। ‘
অপ্রতিভ হয়ে পড়ে নিমেষে। বিব্রত দৃষ্টি মেলে ধরে। প্রশ্ন করার ভাষার প্রায় দুস্থিতি। কোনো রূপ দ্বিরুক্তি করতে পারছে না। শুধু বললো,’ স্যার!’

‘ আঁচল সরাতে বলেছি,ফেলে দিতে বলি নি। না সরালে চিকিৎসা হবে কেমন করে?তাছাড়া ভোর রাতে তো পুরো খোলামেলা হয়ে ঘুমাচ্ছিলে তখন লজ্জা লাগে নি?তোমার আঁচল তখন আমার পিঠের নিচে গড়াগড়ি খাচ্ছিল। ট্রাস্ট মি,বহু কষ্টে সম্পূর্ণ বস্ত্রহীন করার চিন্তাভাবনা সংবরণ করে ঢেকে দিয়েছি তোমাকে। ‘

দূরত্ব রেখেই কথাগুলো বললো তূর্য। কন্ঠে পরিহাস। শ্রেয়া একের পর এক ঝটকা সইতে পারল না। পরাজিত হয়ে দেহের ভার সামলাতে বসে পড়ল বিছানায়। ছি!ঘুমের ঘোরে আঁচল সরে শেষ পর্যন্ত যার কাছ থেকে মান সম্মান বাঁচানোর চেষ্টা করছিল তার কাছেই গেল?আবার সেই ব্যক্তিই ওকে ঠিকঠাক করে দিল?কেন আঁচলের কাহিনী পিছু ছাড়ে না?একবার বাতাসে নিচে পড়ে,আরেকবার ঘুমের ঘোরে তূর্যর পিঠের নিচে চলে যায় আবার এখন ভাত খাওয়ার সময় কিঞ্চিৎ সরে যায়। ফলস্বরূপ তূর্যর ঈগল চোখের পাতায় বিঁধে দগদগে কামড়ের চিহ্ন টা। এই লজ্জিত কান্ডগুলো তার সামনেই কেন হচ্ছে যে কিনা ওর প্রতি ভালোবাসার চোখে তাকায় না!তূর্য বিছানায় বসল শ্রেয়ার পাশাপাশি। ফাস্ট এইড বক্স খুলে হাতে তুলো নিয়ে তাতে স্যাভলন লাগিয়ে নেয়। কাঠ কাঠ কন্ঠে আদেশ করে, ‘ চোখ বুঁজো।’

‘ কেন স্যার?’– চোখ ছোট ছোট করে প্রশ্ন করলো শ্রেয়া। কন্ঠনালি কাঁপছে তরতর করে, সেই সঙ্গে চিকনচাকন দুই অধর যুগল।
তূর্যর ভ্রুঁ কুঁচকে চেয়ে রইল কয়েক পলক। ললাটে ভাঁজ দু’ তিনটে। কন্ঠ নরম করে বলে,’ একটু পরেই তো লজ্জায় লাল, নীল,বেগুনি হয়ে আপনাআপনি চোখ বুঁজে ফেলবে তাহলে এখন বুঁজতে সমস্যা কোথায়?আমি তোমাকে কথা দিয়েছি স্বামীর দায়িত্ব একদম একশতে একশ পালন করবো। পরে যদি ক্ষতটার অবস্থা আরও খারাপ হয় তাহলে আমার বিরাট লস হবে। তোমার স্কিন এত মোলায়েম, একটুতেই এমন,না জানি পুরোতে আমার জে’ল খাটতে হয়। ‘

অতর্কিতে জিজ্ঞাসু দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো শ্রেয়া। ঠোঁট জোড়া নড়ে উঠলো অল্পস্বল্প, ক্ষীণ –‘ মানে?’
তূর্যর নির্বিকার,নিরলস জবাব–‘ ইঁদুর তোমাকে প্রতি রাতে কামড়ে ক্ষতবিক্ষত করলে তুমি সহ্য করতে পারবে বলে মনে হয় না,পরে দোষ পড়বে আমার উপর। মানুষ বলবে আমি এ হাল করেছি কিন্তু মোটেও তো তোমার ধারে কাছে আসি না আমি। একটুতেই এমন অবস্থা, আমি ভাবছি কোনো একদিন তোমাকে ভালোবেসে ফেললে বাচ্চা ডাউনলোড প্রক্রিয়া কতটা ভয়ং*কর হবে। ‘

শ্রেয়া স্তব্ধ। কথার প্যাঁচে যদি কাউকে কপোকাত করতে হয় তাহলে নিঃসন্দেহে ওর সামনে,নিকটস্থ বসা সুঠাম দেহের সুদর্শন পুরুষ টা জিতে যাবে। বিছানার চাদর আঁকড়ে ধরে আখিঁপল্লব মিশিয়ে নিল ও। বুঁজে ফেলল চক্ষুদ্বয়। ঠোঁট দুটো লজ্জার,নার্ভাসনেসের দাপটে কম্পমান। শ্বাস-প্রশ্বাস চলছে তীব্র গতিতে ক্ষণে ক্ষণে। কিছুক্ষণের নিরবতার প্রহর কাটে। নিমিষেই শিরা উপশিরার তড়িৎ বেগে কিছু একটা ছুটে যায়। অনুভব করে দেহের তাপমাত্রা বেড়েছে, ক্ষত স্থানে নরম কিছুর গভীর স্পর্শ। অতীব গাঢ় তা। তুলার? জ্বলে নি কেন তাহলে?মনেই হয় নি তুলার। অন্য কিছুর ছিল। ভাবতেই মুখ দিয়ে আহ শব্দ টা বেরিয়ে আসে। জ্বলে উঠে। হাত বাড়িয়ে অস্থির হয়ে খামচে ধরলো তূর্যর বলিষ্ঠ হাত।

‘ জ্বলছে স্যার। ‘
তূর্য হাত টা সরিয়ে নিজের অপর হাতে মুষ্টিমেয় করে নিল। ফুঁ দিল কাছে এসে। শ্রেয়ার নিজেকে শক্ত রাখতে পারছে না। বললো,
‘ তাড়াতাড়ি শেষ করুন। ‘
বলার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত পদে অয়েন্টমেন্ট লাগিয়ে উঠে দাঁড়াল তূর্য। শ্রেয়া আঁচল টা উঠাতে গেলে কন্ঠে গম্ভীরতা এঁটে বলে উঠলো,
‘ থাকুক। আমি এসি বন্ধ করে ফ্যান ছেড়ে দিচ্ছি। ‘
কথামতোন কাজ টা করে তূর্য দরজা ভিড়িয়ে চলে গেল। এতক্ষণে উপযুক্ত সময় পেল শ্রেয়া ভালো করে নিঃশ্বাস ফেলার। বক্ষস্পন্দনের গতি নিয়ন্ত্রণ হারা। এত মাদকতা মেশানো কেন তূর্যর চাহনি?চুম্বকের ন্যায় আকৃষ্ট করে বারংবার। মুখ ফোটে বেরিয়ে আসতে চায়–‘ আমি আপনাকে ভালোবাসি স্যার। আমাকে একটা বার বুকে মিশিয়ে নেওয়া যায় না?’

ফাতেমা চৌধুরী লাঠি ভর দিয়ে রান্নাঘরের কাছে এলেন। রহিমা গুণগুণ করছে আর সবজি কাটছে। মেহরিমা এসে পাশে দাঁড়িয়েছে ওনার। আজ সন্ধ্যায় আবার বাড়িভর্তি হবে মেহমানে। কাল বউভাত। তাই ব্যস্ত হাতে রহিমা,ত্রিহা বাকি কাজের লোকরা রান্নার আয়োজনে নিমজ্জিত। মেহরিমা শাশুড়ির পাশে দাঁড়িয়ে মলিন স্বরে বললেন,’ আম্মা কিছু লাগবে?’
‘ হু। আমার গরম ভাত। তোমরা কি ভুইলা গেছো এমন সময়ে আমি ভাত খাই?কই ভাত কই আমার?’– চেঁচিয়ে বললেন ফাতেমা।
রহিমা ওনার মতোন উঁচানো স্বরে বলে, ‘ আম্মা আপনের লাইগ্গা যেই ভাত রানছিলাম ওইডি তো তূর্য বাবা লইয়া গেছে। এখন আবার বসাইছি,কুদ্দুর দাঁড়ান। ‘

মেহরিমা সন্দিহান দৃষ্টে চেয়ে বলে,’ এ সময়ে তো কেউ ভাত খায় না। শুধু আম্মা খাই বলে ওনার জন্য অল্প করে রান্না করা হয়। সবার জন্য দুপুরের দিকে করা হয়। আর তূর্য কখনই খায় না অসময়ে। তাহলে? ‘
রহিমা বলতে চাইছে না। ওনি ভালো বুঝেছেন মেহরিমা শ্রেয়াকে পছন্দ করে না। তাই কৌশলে এড়িয়ে গিয়ে বললো,’ আমি জানি না। তূর্য বাবা-ই কইতে পারব। আমি এত ঘাঁটি নাই। ‘

মেহরিমার সন্দেহ হচ্ছে। নাস্তার টেবিলে দেখেছে শ্রেয়া শুধু একটা পরোটার অর্ধেক খেয়েছে। যা বুঝার বুঝে নিলেন ওনি। শেষমেশ এই মেয়েটাও তার ছোট ছেলেকে সরিয়ে নিচ্ছে,নিজের আঁচলে বেঁধে ফেলছে। অহমিকা যথেষ্ট ভালো মেয়ে ছিল। কখনোই এমন করত না। বিষাদে ভরে উঠে মনটা। শ্রেয়াকে ধরে চ-ড় মারতে ইচ্ছে করছে ওনার। কিন্তু তূর্যর জন্য হাত দু’টো গুটিয়ে রাখতে হয়। স্বামী, ছেলে দুজন কার কেউই ওনার সঙ্গে কথা বলছে না ভালোমতন।
কাজের লোকের মাধ্যমে শ্রেয়াকে রুমে ডাকালেন। গোপন কথা চার দেয়ালের বন্দিত্বে থাকাই ভালো। মাথায় ঘোমটা টেনে কক্ষে পদার্পণ করলো শ্রেয়া। মেহরিমা ওকে বসতে পর্যন্ত বললেন না। সোজাসাপ্টা কঠোর কন্ঠে প্রশ্ন করলো,
‘ এক রাতেই বশ করে ফেললে আমার ছেলেকে?’

শ্রেয়া ভড়কালো,তাকালো আগ্রহ নিয়ে। ভেবেছিল আগের সবকিছু ভুলে শাশুড়ির মন জয় করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে। কিন্তু সময়,পরিস্থিতির অদল বদলে সে আরো বি’ষ হয়ে উঠেছে শাশুড়ির নিকট। কন্ঠে প্রখর নম্রতা বজায় রাখে,
‘ কি বলছেন আম্মা?’
‘ কি বলছি? কোন মুখে এলে আবার?লোভে পড়ে?এখন জামাই সুস্থ বলে?বলতে বলতে হাঁপিয়ে গেছি আমি। আজ বলতে বাধ্য হলাম ফকি’ন্নিকে প্রশ্রয় দিলে বুকে লাথি মারে। লোভী মেয়ে একটা।’
শ্রেয়া নরম অধরে মৃদু হাসি ভিড় জমায়। আলগা করে বলে,
‘ আমি কিন্তু এখনও আপনার ছেলেকে দ্বিতীয় বার ফিরে আসার কাহিনী টা বলি নি শাশুড়ি আম্মা। হাতিয়ার হিসেবে রেখে দিলাম। ‘

তৎপরে মিহি স্বরে বললো,’ লোভী বলবেন না। লোভ করলে প্রথমেই থাকতে পারতাম। শুধু একটু ভালো থাকার জন্য ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি। যখন শুধরাতে চাই, আপনি আমার ভুলের মাত্রা টা বাড়িয়ে দিলেন। আপনার ছেলের সাথে সম্পর্ক কখনও নষ্ট হবে না। কারণ সম্পর্কের মর্ম আমি বুঝি। ‘
মেহরিমা গর্জে উঠলেন,’ বেরিয়ে যাও রুম থেকে। ‘
‘ আচ্ছা। ‘
শ্রেয়ার ইচ্ছে করে নি ওইভাবে কথা বলতে, বাধ্য হয়ে বললো। দুর্বল ভেবে কতশত আঘা*ত করে কথা শোনাচ্ছে ওকে মেহরিমা। অতিরিক্ত ভদ্র হতে গিয়ে অত্যধিক কষ্ট লিখছে খাতায়।

মধ্যাহ্নের তেজী রূপে বাগানের ফুলের চারার কিছু কিছু পাতা নুইয়ে পড়েছে। শ্রেয়া ব্যস্ত চোখে অবলোকন করছে সেগুলো। পাশে আয়ুশী বক বক করছে বিরতিহীন। ঘরে একা একা শান্তি লাগছিল না বিধায় ত্রিহা চাচী ওদের বাগানের দিকটায় হাঁটতে পাঠিয়ে দিল। খোলামেলা পরিবেশে মনের ঘর হতে কিছুটা হলেও মন খারাপেরা বিদায় নিবে। ত্রিহা তখন ওকে দেখেছিল মেহরিমার রুম থেকে বেরোতেই। কি করে যেন মানুষ টা শ্রেয়ার মন পড়ে ফেলে। প্রিয়ু খুবই কপাল গুণে এমন শাশুড়ি পেয়েছে বলে মনে হয় শ্রেয়ার। হাঁটতে হাঁটতে একটা মুহুর্তে সেই বড় পেয়ারা গাছটার নিচে এসে দাঁড়ায় দু’জনে। শ্রেয়া উপরের দিকে দৃষ্টি তাক করতেই আয়ুশী উৎফুল্ল কন্ঠে জিজ্ঞেস করে,

‘ পেয়ারা খাবে ভাবী?জানো,এ গাছের পেয়ারার স্বাদ এত ভালো, না খেলে আফসোস থেকে যাবে। ‘
শ্রেয়ার উজ্জ্বল ফর্সা মুখশ্রী চকচক করে উঠলো। মুখ ফোটে বলতে পারছিল না এতসময় অবধি লজ্জায়,জড়তা-সংকোচে। এখন হেঁটে আসা সুযোগ কে পায়ে না ঠেলে আহ্লাদী কন্ঠে সায় জানায়। বলে,’ হুম। ‘
‘ দাঁড়াও বাঁশের ব্যবস্থা করি। ‘– কথাটা বলে ছুটে গেল আয়ুশী মালী কাকার কাছে। বাঁশ না পেলে ওনাকেই গাছে উঠাবেন চিন্তা করলো।

সন্ধি হৃদয়ে হৃদয়ে পর্ব ২৩

নিচের দিকে একটা ডালা ঝুঁকে আছে। তাতে দু’টো পেয়ারা। পায়ের আঙ্গুল মৃত্তিকায় ভর দিয়ে হাত উঁচিয়ে টেনে নিচে নামানো যাবে। ভাবনা অনুযায়ী হাত উপরে তুলে ডালা টা টেনে নামাতে লাগে শ্রেয়া। মুহুর্তেই ককিয়ে উঠে অকস্মাৎ ব্যাথায়। কন্ঠনালি গলিয়ে আসে ব্যাথাসূচক ধ্বনি। মনে হলো কেউ কোমরের মাংস ছিঁড়ে ফেলেছে।

সন্ধি হৃদয়ে হৃদয়ে পর্ব ২৫