সিন্ধুতে সন্ধির খোঁজে পর্ব ২৬
জাওয়াদ জামী
” সিক্তা, আমি একটু নিচে যাব। তুই কি এখানে থাকবি? নাকি আমার সঙ্গে যাবি? ”
” আমি ভাবলাম তোর সঙ্গে গল্প করব আর গাছগুলোর পরিচর্যা করব। কিন্তু তুই সেটা হতে দিবিনা। নিচে গিয়ে কি করবি বলতো? ”
” মেজো মামীর কাছে যাব। তার সঙ্গে গল্প করব। চল যাই। ”
” চাচীর মন খারাপ। গল্প করার অবস্থায় কি এখন আছে? ”
” একা থাকলেই বরং মন আরও বেশি খারাপ হবে। আমরা গিয়ে যদি তাকে সঙ্গ দেই, তবে তার মন ভালো হয়ে যেতেও পারে। ”
” তুই যা। আমি কিছুক্ষণ পর আসছি। গাছগুলোর একটু যত্নআত্তি করে নেই। ”
” আচ্ছা। ”
তাহমিনা আক্তার বেলকনিতে বসে আছেন। তিনি উদাস নয়নে তাকিয়ে আছেন আকাশ পানে। থেকে থেকেই ডুকরে কেঁদে উঠছেন।
” মেজো মামী? ” রুমে তাহমিনা আক্তারকে না পেয়ে কুহু বেলকনিতে এসেছে।
কুহুর ডাক শুনে চমকে উঠে আঁচলে চোখ মুছলেন তাহমিনা আক্তার।
” কুহু মা, তুই? আয়, আমার কাছে আয়। ” তাহমিনা আক্তার একটা চেয়ার নিজের চেয়ারের পাশে টেনে নিলেন। ইশারায় কুহুকে সেই চেয়ারে বসতে বললেন।
কুহু মামীর পাশে গিয়ে বসল।
” আপনার কি শরীর খারাপ, মামী? ”
” কই না তো! ”
” কিন্তু আপনার চেহারা দেখে আপনাকে সুস্থ মনে হচ্ছেনা। ”
” আমি ঠিক আছি, মা। ”
” তবে কি আপনার মন খারাপ, মামী? ”
” মাথা ব্যথা করছে, তাই বোধহয় তোর মনে হচ্ছে আমি অসুস্থ। ”
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
” যখন জিজ্ঞেস করলাম, আপনি অসুস্থ কিনা, তখন বললেন, ভালো আছি। কিন্তু যেই জিজ্ঞেস করলাম, আপনার মন খারাপ কিনা। তখন আপনি বললেন, মাথা ব্যথা করছে। সত্যিই কি আপনার মাথা ব্যথা করছে, মামী? যদি আমাকে বলতে সমস্যা থাকে, তবে বলবেন না। কিন্তু মিথ্যা বলে নিজেকে নিজেকে কষ্ট দেবেন না প্লিজ। ”
কুহুর কথা শুনে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলেন তাহমিনা আক্তার। কুহু তাকে বাঁধা দিলনা। মন খুলে তাকে কাঁদতে দিল। তবে পুরোটা সময় কুহু তাহমিনা আক্তারের হাত ধরে থাকল। অনেকক্ষণ পর শান্ত হলেন তাহমিনা আক্তার। কুহু পরম মমতায় নিজের ওড়নায় তার চোখের পানি মুছে দিল।
” এই বাড়িতে বিয়ে হয়ে আসার পর আল্লাহ আমাকে সুখ ঢেলে দিয়েছেন। শ্বশুর-শ্বাশুড়ি পেয়েছিলাম মনের মতন। আর স্বামী তো মাটির মানুষ। এই বাড়ির প্রত্যেকে আমাকে চিরটাকাল মাথায় তুলে রেখেছে। দুই ছেলের মা হলাম। তবুও সুখের কমতি হলোনা। ধীরে ধীরে ওরা বড় হতে থাকল। আমার দুই ছেলেই বংশের বাকি সবার মতই মেধাবী। তাওহীদ এসএসসি, এইচএসসি তে খুব ভালো রেজাল্ট করল। আইএলটিএস এ সর্বোচ্চ নম্বর পেল। ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুল স্কলারশিপ পেয়ে চলে গেল আমেরিকা। যতদিন দেশে ছিল, ততদিন ছেলেটা আমার আঁচল ঘুরঘুর করত। আমেরিকা যাওয়ার পর এক বছর সব ঠিকঠাকই ছিল।
এরপর ধীরে ধীরে তাওহীদ যোগাযোগ কমিয়ে দেয়। সপ্তাহে এক-দুইদিন ফোন দিত। আমরা ফোন দিলে রিসিভ করতনা। পরে জিজ্ঞেস করলে বলত, পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। তাই ফোন কাছে রাখেনা। আমেরিকা যাওয়ার আগে কথা ছিল, স্কলারশিপ শেষ হলেই দেশে ফিরবে। এখানে চাকরি করবে। কিন্তু স্কলারশিপ শেষ হওয়ার পরও ও দেশে আসতে চাইলনা। আমরা সবাই ওকে দেশে আসতে অনুরোধ করলাম। কিন্তু ও শুনলনা। একদিন ওর বাবা ওকে বলল, দেশে থাকতে হবেনা। তুই কিছুদিনের জন্য আয়। বিয়ে করে আবারও আমেরিকা যাস। তাওহীদ জানতো এখানে ওর জন্য আমরা মেয়ে অনেক আগেই পছন্দ করে রেখেছি। ওর সঙ্গে কথা বলেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু ওর কথা শুনে তাওহীদ উত্তর দেয়, সে আমাদের পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করতে পারবেনা। ওর ভার্সিটির এক জুনিয়রের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছে। তাকেই বিয়ে করবে। মেয়েটি রাশিয়ান। আমরা অনেক বোঝালাম কিন্তু আমাদের কারোও কথা শুনলনা। একদিন ফোন করে জানাল, সেই মেয়েকে বিয়ে করেছে। ” আবারও ডুকরে কেঁদে উঠলেন তাহমিনা আক্তার।
কুহু এবারও নিরব থাকল। ও শুধু তাহমিনার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছিল। বেশ কিছুক্ষণ পর কান্না থামিয়ে চোখ মুছলেন তাহমিনা আক্তার।
” জানিস কুহু মা, ছোটবেলায় আম্মাকে হারিয়ে বড় বোনের আদরে বেড়ে উঠছিলাম । আম্মার মৃত্যুর তিন বছর পর আব্বা দ্বিতীয় বিয়ে করলেন। তখন থেকেই আমাদের দুই বোনের শুরু হলো দুর্বিষহ জীবন। আব্বার দ্বিতীয় স্ত্রী আমাদের দুই চোখের বিষ ভাবত। সংসারের সব কাজ আমরা দুই বোনই করতাম। আসলে আমাদের দিয়ে করিয়ে নেয়া হতো। ছোটমা আসার পর দুইজন কাজের মেয়েকে ছাড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। আমরাই হয়ে উঠলাম ঐ বাড়ির চাকরানী। প্রথমদিকে আব্বা কিছুই জানতে পারেননি।
অবশ্য জানার আগেই আব্বা বদলে গেলেন। ছোটমা আর তার সন্তানেরাি হয়ে উঠল আব্বার প্রান। আমরা অনাদরে বাস করতে থাকলাম ঐ বাড়িতে। তবে পড়াশোনা ঠিকই চালিয়ে গেলাম। আব্বার দ্বিতীয় বিয়ের সাড়ে চার বছর পর বড় আপার বিয়ে হলো। ছোট মায়ের সংসার নামক নরক থেকে মুক্তি পেল সে। কিন্তু আমি রয়ে গেলাম সেই নরকে। তিন বছর পর বড় আপা আমাকে নিয়ে গেল তার কাছে। আপার শ্বশুর বাড়িতে থাকতে শুরু করলাম। দুলাভাই মানুষ হিসেবে খুবই ভালো। তাই আমার কোনো অসুবিধা হয়নি। এসএসসি পাশ করে কলেজে ভর্তি হলাম। বছরে একবার ছোট মায়ের সংসারে বেড়াতে যাই। তা-ও দুইদিনের জন্য। এই দুই দিনেই ছোটমার মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। এইচএসসি পরীক্ষার পর বিয়ে হলো। দুলাভাই বিয়ের ব্যবস্থা করল।
আমার শ্বশুর দুলাভাইয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন কোন এক কাজে। সেখানেই আমাকে দেখেন তিনি। সব জেনেশুনেই তিনি আমাকে তার পুত্রবধূ করে এনেছিলেন। ততদিনে আপার দুই ছেলেমেয়ে হয়েছে। আমিই ওদের আদরযত্ন করে বড় করেছি। আমার বিয়ের দুই বছর পর তাওহিদের জন্ম হয়। আমি বছরে দুইবার আপার বাসায় বেড়াতে যাই। তাওহিদের যখন পাঁচ বছর বয়স, তখন আপা হঠাৎই কনসিভ করে। আপার একটা মেয়ে হলো। আমাদের সকলের আদরের সে। নাম রাখলাম, তমা। একদিন হাসতে হাসতে দুলাভাইকে বলেছিলাম, তমাকে আমার ছেলের বউ করব। দুলাভাই হেসে উত্তর দিয়েছিল, তোমারই তো মেয়ে। তুমি কি করবে সেটা তোমার ব্যাপার। ধীরে ধীরে তমা, তাওহীদ বড় হতে থাকল। আমার ইচ্ছের কথা তোর মামাকে জানালাম।
সে আমার শ্বশুর-শ্বাশুড়ির কাছে বলল। সবাই রাজি হয়ে গেল। তাওহীদকে ডেকে ওর মতামত জানতে চাইলাম। সে-ও রাজি। পারিবারিকভাবে দুই পরিবারে কথাবার্তা হল। সিদ্ধান্ত হল, তাওহীদের পড়াশোনা শেষ হলে ওদের চার হাত এক করে দেব। কিন্তু সেটা আর হযে উঠলনা। গত কয়েক বছর ধরে বড় আপার সঙ্গে আমার কোন যোগাযোগ নেই। দুলাভাইয়ের পুরো এলাকার লোকজন জানত, তমার বিয়ে ঠিক হয়ে আছে। বিয়েটা ভেঙে যাওয়ার পর মানুষজনের নানান প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে তারা নাজেহাল হয়ে যায়। এক সময় আমাদের দুই পরিবারের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকে। আমি তাওহীদকে কতবার বললাম, এমন করিসনা। তোর পরিবারের সবাইকে সবার সামনে ছোট করিসনা। কিন্তু ও শুনলনা। উল্টো আমাকে কত কথা শোনালো।
তমা নাকি ওর যোগ্য নয়! ও পরিবারের মেয়েকে বিয়ে করতে ওর রুচিতে বাঁধবে। এরকম অনেক কথা বলল। সবকিছু শুনে তোর মেজো মামা ভিষণ রেগে গেল। সবাইকে বলে দিল, তাওহীদের নাম এই বাড়িতে কেউই উচ্চারণ করতে পারবেনা। তাওহীদকে সে সন্তান হিসেবে মানেনা। তার নির্দেশ অমান্য করে কেউ ওর সঙ্গে যোগাযোগ করলে, তার সঙ্গেও সম্পর্ক রাখবেনা তোর মামা। তারপর থেকে এই বাড়িতে কেউই তাওহীদের নাম নেয়না। ” কথাগুলো বলে জোড়ে নিঃশ্বাস ছাড়লেন তাহমিনা আক্তার। তিনি ঝিমিয়ে পরেছেন। বসে থাকতে পারছেন না।
সব ঘটনা শুনে স্তব্ধ হয়ে গেল কুহু। এমন পরিবারে স্বার্থপর ছেলেও কি হয়? কিন্তু চিন্তাটা ডানা মেলার আগেই কুহুর নজর গেল তাহমিনা আক্তারের দিকে। তাকে নেতিয়ে পরতে দেখে কুহু শক্ত করে ধরে ফেলল।
” মামী, কি হয়েছে আপনার? শরীর খারাপ লাগছে? ”
” ক্লান্ত লাগছে রে, মা। ”
” চলুন, আমার সঙ্গে রুমে চলুন। ”
কুহু মামীকে ধরে রুমে নিয়ে বিছানায় শুইয়ে দিল।
” কুহু মা, হয়েছে। আর কতক্ষণ আমার মাথায বিলি কাটবি বলতো? ”
” যতক্ষণ না আপনি ঘুমাবেন, ততক্ষণই আমি এমন করব। নড়াচড়া না করে চুপচাপ শুয়ে থাকুন। মাথায় তেল দেয়া এখনো শেষ হয়নি। ”
” পাগলী মেয়ে, আমার এখন ভালো লাগছে। তোকে আর আমার মাথায় তেল দিতে হবেনা। ”
” আপনি না ঘুমানো পর্যন্ত আপনার মাথায় হাত বুলিয়ে দেব আমি। আপনি চুপচাপ থাকুন তো। আর চোখ বন্ধ রাখুন।
কুহুর ধমকে কাজ হলো। তাহমিনা আক্তার মলিন হেসে চোখ বুজলেন। তবে খানিক পরই তিনি আবারো কাঁদতে লাগলেন।
” কুহু রে, আজ আমার ভুলে তমার জীবনটা শেষ হয়ে গেল। মেয়েটা মানুষের অপমান সহ্য করতে না পেরে পাগল হয়ে গেল। আমার আপা স্ট্রোক করল মেয়ের শোকে। রোগেশোকে সে বিছানা নিয়েছে। আম্মার মৃত্যুর পর যে আপা আমাকে মায়ের মমতায় বড় করেছে , সেই আপাকে আজ চার বছর ধরে দেখিনা। ঐ বাড়ির দরজা আমাদের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে চিরতরে। ”
মামীর আফসোস দেখে কুহুর কষ্ট হচ্ছে। তার কান্না মাখা মুখটা দেখে মায়ের কথা মনে পরছে। মার মাথাব্যথা করলে কুহু কতদিন এভাবে তার মাথায় তেল মালিশ করেছে। মা সময় পেলেই টুকটুক করে ওর সঙ্গে গল্প করত। আবেগে চোখ জলে পরিপূর্ণ হয়ে গেল। কুহু প্রানপনে চেষ্টা করছে কান্না লুকানোর।
” এ কি মা, তুমি অসময়ে শুয়ে আছ কেন? আর ইঞ্জিনিয়ার ম্যামই বা এখানে কি করছে! ” তাহমিদ রুমে ঢুকেই জিজ্ঞেস করল।
তাহমিদকে দেখে কুহু জড়োসড়ো হয়ে বসল। মুখটা নিচু করল।
তাহমিদের গলা পেয়ে তাহমিনা আক্তার আঁচলে চোখ মুছলেন। তিনি তাহমিদকে তার চোখের পানি দেখতে দিতে চাননা।
” কিছুনা, আব্বা। আমরা মা-মেয়েতে মিলে গল্প করছিলাম। মাথাব্যথা করছিল সেজন্য কুহু তেল মালিশ করে দিচ্ছে। ” ভাঙ্গা ভাঙ্গা গলায় জবাব দিলেন তাহমিনা আক্তার।
” তোমার গলা এমন ভাঙ্গা শোনাচ্ছে কেন? সত্যি করে বল মা, কি হয়েছে তোমার। ” সন্দিগ্ধ গলায় জিজ্ঞেস করল তাহমিদ।
” মামী এতক্ষণ মাথাব্যথায় কাঁদছিলেন। তাই উনার গলা এমন শোনাচ্ছে। ” তাহমিনার হয়ে কুহু জবাব দিল।
” তো মেয়ে, তুমি কি মাথাব্যথাও সারাও! ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে কি এই বিষয়ও পড়ায়? আর কি কি বিষয়ে পড়ায়? ”
তাহমিদের এমন প্রশ্নে অপ্রস্তুত হলো কুহু। কোন জবাব না দিয়েই তাহমিনার দিকে তাকাল।
” আহ্ তাহমিদ, এটা কোন ধরনের প্রশ্ন? তুই শুধু শুধু মেয়েটার পেছনে লাগছিস। ”
” শুধু শুধু নয়, মা। গতকাল তোমার দুই দেবরের ব্যাটেলিওন আমার ড্রেসিংটেবিলের একটা অংশ ভেঙে ফেলেছে। ইঞ্জিনিয়ার ম্যাডাম যদি কোনাটা জুড়ে দিত, তবে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ থাকতাম তার প্রতি। ”
” উফ্ কি ছেলেরে বাবা! এই পাজি তুই জানিসনা ও কিসে পড়ে? তোর ড্রেসিংটেবিল ভেঙে গেছে, তাহলে নতুন দেখে একটা কিন। নয়তো মিস্ত্রি ডেকে ঠিক করে নে৷ কুহু কি মিস্ত্রি, যে তোর ভাঙ্গা ড্রেসিংটেবিল ঠিক করে দেবে? ”
” আমি ভাবলাম, ওকে ক্লাসে এসব শেখায়। আমি সঠিকটা কিভাবে জানব মা? আমি কি বুয়েটে পড়েছি? আমি সামান্য কম্পাউন্ডার, বুয়েটের হাঁড়ির খবর জানবো ক্যাম্নে! ”
” ফাজিল ছেলে , তুই কম্পাউন্ডার? ”
” তাইতো একজন বলল। স্যারের চেম্বারের দরজার সামনের চেয়ারে বসে ফোনে কথা বলছিলাম। একজন রুগী এসে বলল, এই যে কম্পাউন্ডার, তুমি থাকো কোথায়? সেই কখন থেকে এসে বসে আছি, তুমি কিংবা তোমার স্যারের কোন পাত্তা নেই। ”
তাহমিদের কথা শুনে কুহু না চাইতেও হেসে ফেলল। কুহুর ঠোঁটের কোনে হাসি ফুটতে দেখে তাহমিদও হাসল। হাসিমুখে আবারও বলল,
সিন্ধুতে সন্ধির খোঁজে পর্ব ২৫
” মা ভবিষ্যৎ ইঞ্জিনিয়ারকে হাসতে নিষেধ কর। তার এত খুশি হয়ে কাজ নেই। কম্পাউন্ডারের চেয়ারে আমি ছিলামনা। ছিল আনান। তোমার ছেলেকে কেউ কম্পাউন্ডার বলবে সেটা তোমার বিশ্বাস হয়? ”
” কিজানি বাপু, তোরা কখন কি বলিস, কোনটা সত্য, কোনটা মিথ্যা বুঝতে পারিনা। ”
তাহমিদের কথা শোনামাত্রই কুহুর হাসি বন্ধ হয়ে গেল। মনে মনে নিজেকে হাজারটা গালি দিল, এই বজ্জাতটার সামনে হাসার জন্য।