সুখময় যন্ত্রণা তুমি গল্পের লিংক || neelarahman

সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ১
neelarahman

আহ……. গভীর চু*ম্বন ও কা*মড়ের উ*গ্রতায় চি‘ৎকার করে উঠলো মুনা।চিৎকারে ঘর কেঁপে উঠলো।চোখ বেয়ে দুফোঁটা জল গড়িয়ে পড়লো মুনার।অন্ধকার থাকায় কেও দেখলো না।ঘর ভর্তি মানুষ । সামিহা বেগম বলে উঠলো ,”কি হয়েছে কি হয়েছে ?মুনা ব্যথা পেয়েছিস? কিছু হয়েছে ?আচ্ছা বিদ্যুৎ চলে গেল জেনারেটর কি হয়েছে ?তাড়াতাড়ি মোম নিয়ে আয় তো সুমি। কিছুই দেখা যাচ্ছে না।”
“মুনা কি বলবে? মাত্র কি হলো এর সাথে কি করে বলবে??”

কিছুক্ষণ আগে……..
ড্রয়িং রুমে বসে আড্ডা দিচ্ছিল মুনা সায়মন ( দুই ভাই বোন) মা সামিহা বেগম চাচী নওশিন আফরোজ।চাচাতো বোন রিমা আর সাদাফ(সবার চোখে ভদ্র ছেলে)
হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেলে নওশিন আফরোজ সাদাফের মা সায়মনের সাথে দেখতে যায় জেনারেটর চালু হলো না কেনো।বাকি সবাই যার যার স্থানে বসেছিল কেউ জায়গা থেকে ওঠেনি ।
হঠাৎ মুনা অনুভব করে কেউ তার পাশে বসেই কাঁধে গভীর ভাবে চু*মু খেতে লাগলো।মুনা বরফের মতো জমে গেলো।এমন কা*মনার স্পর্শ সহ্য হচ্ছে না মুনার। হঠাৎ জোরে কা*মড় বসিয়ে দিয়েছে সেই ব্যক্তি।মুনা গায়ের স্মেল এ বুঝতে পারে আর কেও না সাদাফ ভাইয়া।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

কা‘‘মড় দিয়েই সাথে সাথেই সরে নিজের জায়গায় বসে থাকে সাদাফ।ভয়ে ল‘‘জ্জায় কাওকে কিছু বলতে পারে না মুনা। ব্যাথায় চিৎ‘‘কার করে উঠলে ও পরমুহুর্তেই চুপ হয়ে যায় মুনা।
কাকে বলবে বা কি বলবে যে তার এত বড় সিনিয়র সাদাফ ভাই ওর কাধে কা*মড় দিয়েছে এই কথা ও কি কাউকে বলা যায়। আর মুনা চিৎকার করে বললেও কেউ বিশ্বাস করবে না কারণ এই বাড়ির সবচাইতে ভদ্র এবং ব্রিলিয়ান্ট ছেলে হচ্ছে সাদাফ।
নীলা রহমান
স্বভাব চুপচাপ মায়ের ভক্ত ছেলে কারো মুখের উপর কোন কথা বলে না মাথা নিচু করে হাটে। মাথা নিচু করে সবার কথার উত্তর দেয়।

কিন্তু শুধু মুনা জানে গত কয়েকদিন ধরে ওর উপরে কি কি অ*ত্যাচার হচ্ছে।সাদাফ ভাই দেশে এসেছে মাত্র ২০ দিন হবে।৬ বছর অস্ট্রেলিয়া ছিলো।বয়স ২৬ বছর। দেখতে ফর্সা লম্বা ৫.১১‘‘ ।চশমা পড়ে সেই লেভেলের ভদ্র লুক। খোঁচা খোঁচা দাড়ি।কামড় দেয়ার সময় যখন মুনার জামার গলা টেনে ধরেছিলো কাঁধে দাড়ির ঘষাতে লাল হয়ে গেছে।

বর্তমান……..
একটি মোমবাতি জ্বালিয়ে হাজির হলো সুমি সাথে সাথে এসে সামিহা বেগমে হাতে দিলেন ।সামিহা বেগম উনার কাছে গিয়ে বলল ,”কিরে কি হয়েছে ?”
মুনা এখনো কাঁধে হাত দিয়ে রেখেছে ।কিন্তু কাউকে দেখাতে পারছে না ।অনেক জোরে কা*মড় দিয়েছে মুনা বুঝতে পারছে সেখানে দাগ হয়ে গিয়েছে কেউ দেখলে বুঝা যাবে।
মুনা কাঁধে হাত রাখা অবস্থায় পিটপিট করে তাকালো সাদাফের দিকে ।সাদাফ এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে মুনার দিকে ।চশমার ভিতর থেকেও সাদাফের দৃষ্টি যেন এসপার ওসপার করে মুনার অন্তরে গিয়ে লাগছে।
মুখে কোন কথা নেই সাদাফের ।এমন একটা ভাব এতদূর হেঁটে এসে মোনাকে কা*মড় দেওয়া তো দূরের কথা যেন এতদূর থেকে জিজ্ঞেসা করা যাচ্ছে না মুনা তোর কি হয়েছে।
মুনা দৃষ্টি নামিয়ে কাঁধে হাত রেখে বলল ,”মনে হয় কোন পোকা কা*মড় দিয়েছিল বা পিঁপড়া আমি যাচ্ছি ভিতরে বলেই মুনা দৌড়ে রুমের ভিতর চলে গেল।”

সামিহা বেগম বললো ,”কি রিমা তুই তো এখানে ছিলি ।কোন পোকা কা*মড়ে দিলো মেয়ে টাকে? একটু যেয়ে দেখ না একা একা অন্ধকারে গেল মেয়েটা।”
রিমা বলল ,”উফ ছোট মা কিছু হয়নি তো। বললোই তো ওকে পিপড়া বা কোন পোকা কা‘‘মড়ে দিয়েছে ।ও কি ছোট এখন?”
সামিহা বেগম বলল ,”তোর থেকে তো এক বছরের ছোট ।তোর ১৭ বছর চলে ও ১৬ বছর চলে।”
সাদাফ উঠে দাঁড়িয়ে বললো ,”আমি গিয়ে জিজ্ঞেস করবো চাচী কি হয়েছে ?যদি আপনি অনুমতি দেন ।”
সামিহা বেগম বলল ,”যা তুই আমার লক্ষ্মী ছেলে পুরো বাড়ির আর একটা ছেলে মেয়েও কথা শোনে না ।গিয়ে দেখ না হলে আবার অন্ধকারে তোর বোন ভয় পাবে।”

সাদাফ সবার সামনে থেকে ভদ্র ছেলের মত উঠে উপরের দিকে গেল। উপরের দিকে এখন কেউ নেই সবাই নিচে এবং বাহিরে আছে সাইমন ও সাদাফের মা ।
সাদাফ ধীরে ধীরে মুনার রুমের দিকে গেল ।মুনার রুমে দরজা হালকা চাপানো ছিল ।সাদাফ দরজা খুলে ভিতরে দিকে ঢুকলো।মুনা ভাবলো রিমা।তাই বললো আপু জামার চেইন টা খুলতে পারছি না।একটু খুলে দিবে??
সাদাফ ভিতর থেকে দরজা লক করে দিল। মুনা দরজা লাগানোর শব্দে পিছনে ঘুরে তাকালো ।হালকা আবছা আলোয় এতটুকু বুঝতে পারল রিমার উচ্চতা এত নয় ।কিন্তু কে সেটি ধরতে পারছে না ।

সাদাফ ধীরে ধীরে কদম ফেলে যত কাছে আসছে সাদাফের গায়ে স্মেল এ মুনা বুঝে গিয়েছে এটা আর কেউ নয় সাদাফ ভাই।দরজা বন্ধ করে দিয়েছে কেনো অজানা ভয়ে সংকুচিত হয়ে আসছে মুনার দেহ মন।
মুনা ধীরে ধীরে পা পিছন দিকে নিয়ে একটু একটু করে পিছনে যেতে লাগলো ।সাদাফ একপা একপা করে মুনার দিকে এগিয়ে আসতে লাগলো ।মুনা পিছাতে পিছাতে চেপে গেল দেয়ালের সাথে ।
আর যাওয়ার জায়গা নেই ।সাদাফ শরীরের সাথে ঘেষে মুনার হাত দুটোকে ধরে মুনাকে উল্টো করে ঘুরিয়ে দেয়ালের সাথে চে*পে ধরল।

মুনা অস্পষ্ট স্বরে বলল ,”সাদাফ ভাই আপনি এরকম করছেন কেন ?সবাই শুনলে কি বলবে। আপনি আর বাড়াবাড়ি করলে আমি কিন্তু সবার কাছে বলে দিব।”
সাদাফ চুপচাপ।কোন শব্দ নেই। শুধু নিঃশ্বাসের অস্থির শব্দ ঘরের চারদেয়ালে যেনো বারি খাচ্ছে।সাদাফ দুই হাত দিয়ে মুনার দুই হাত দেয়ালে চে*পে ধরেছিল হঠাৎ করেই এক হাত ছেড়ে দিয়ে মুনার জামার পিছনে চেইন টান দিয়ে জামার চেইন খুলে ফেলল।
মুনা চিৎ‘‘কার করবে তার আগেই সাদাফ আরেক হাত দিয়ে মুনার মুখ চে*পে ধরল। মুনার পিঠের সাথে সাদাফের বুক একদম অ*ঙ্গাঅঙ্গি ভাবে লেগে আছে ।এদিকে মুনার মুখ চে‘‘পে ধরে রেখেছে সাদাফ তাই মুনা যেন ঠিকমতো নিঃশ্বাস নিতে পারছে না।

শরীরের তাপ অনুভব করছে মুনা।গরম নিঃশ্বাস আচড়ে পরছে মুনার কাঁধে।পুরো শরীর অবশ হয়ে আসছে মুনার।
সাদাফ ডান হাত দিয়ে ধীরে ধীরে মুনার কাঁধ থেকে জামা নামাতে লাগলো ।জামা নামিয়ে ধীরে ধীরে মুখ ডুবিয়ে দিল মুনার কাঁধে। ছোট ছোট চু*মু খেতে লাগলো এদিকে মনার জীবন যেন যায় যায় অবস্থা ।
নিঃশ্বাস নিতে পারছে না ।শরীর কেঁপে কেঁপে উঠছে এত গভীর স্পর্শ জীবনে কখনো পায়নি মুনা ।তার উপরে আবার নিজের আপন চাচাতো ভাই কাউকে কিছু বলতেও পারছে না।

সাদাফের হাত আপনা আপনি উঠে গেল মুনার উন্মুক্ত পিঠে ।জামা হালকা টান দিয়ে পিঠের পুরো অংশ খুলে ফেললো সাদাফ। মুনার পিঠে চলতে লাগল সাদাফের হাতের অবাধ বিচরণ ।
মুনা সইতে পারছে না পুরো শরীর যেন হিম শীতল হয়ে যাচ্ছে ।শরীর ধীরে ধীরে কেপে কেঁপে উঠেছে ।মনে হচ্ছে জান যায় যায় অবস্থা ।দাড়িয়ে ও থাকতে পারছে না মুনা।
সাদাফ এবার মুনাকে এক ঝটকায় ঘুরিয়ে দিল ।মুনার দৃষ্টি সাদাফের দৃষ্টির দিকে ।এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সাদাফ।চেহারায় যেন কোনো হেলদুল নেই।যেনো কিছু অনুভব করছে না। শুধু ঘন ঘন গরম নিঃশ্বাস ফেলছে সাদাফ।

মুনা কিছু বলবে তার আগেই সাদাফ মুনার ঠোঁট আঁকড়ে ধরল ।পাগলের মত চু*ষে চু*ষে কা*মড়ে কা*মড়ে চু‘মু খেতে লাগলো মুনাকে ।মুনা নিঃশ্বাস নিতে পারছে না ।না পারছে সাদাফের হাত থেকে নিজেকে ছাড়াতে।
একটার পর একটা চু‘মু খেয়ে যাচ্ছে সাদাফ।দু এক সেকেন্ডের জন্য ছাড়ছে আবার আঁকড়ে ধরছে মুনার ঠোঁট ।মুনা যেন পাগল হয়ে যাচ্ছে প্রায় আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারছে
না ।মুনা শরীরের সম্পূর্ণ ভার ছেড়ে দিল সাদাফের উপর।সাদাফ ধীরে ধীরে মুনার কাঁধের থেকে জামা নামাবে এমন সময় মুনা বুকে হাত দিয়ে আটকে ফেলল।
সাদাফ মুনার ঠোঁট ছেড়ে মুনার দিকে তাকালো ।তারপরে ধীরে ধীরে ফিসফিস করে বলল ,”খুলতে দে আমাকে।দেখবো আমি।না দেখলে পাগল হয়ে যাবো।

দেখতে দে আমার মাতাল উন্মাদ প্রেমের স্পর্শ তোকে কতখানি কলঙ্কিত করতে পেরেছে।তোর সারা শরীরে আমার স্পর্শের দাগ থাকবে।তুই আজীবন আমার থাকবি।কেও তোকে দেখলে আমার আদরের দাগ দেখবে তোর সারা গায়।তাই আমার জিনিস আমাকে দেখতে দে ।”
উন্মদের মতো মুনার কানে গালে গলায় চু‘মু খেতে খেতে কথাগুলো বলল সাদাফ।

সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ২

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here