সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ২০
neelarahman
নূর দরজায় ঠেলে রুমের ভিতরে ঢুকে দেখল রুম ঘুটঘুটে অন্ধকার দরজাটা চাপিয়ে দিল তারপর পা টিপে টিপে খাটের কাছে এসে ভাবতে লাগলো কোথায় শুয়েছে সাদাফ ভাই বুঝা যাচ্ছে না।
বাড়ির সবাই জানে মাঝেমধ্যে সাদাফের খুব মাথাব্যথা হয় তখন মাথায় বিলি কেটে দিলে বা তেল মালিশ করে দিলে ঠিক হয়ে যায় নুর হাতে করে তেল নিয়ে এসেছে ।
এখন খাটে বিভিন্ন জায়গায় হাতরে হাতরে সাদাফকে খোঁজার চেষ্টা করছে কিন্তু কোথাও পাচ্ছে না।
খাটে হাঁটু গেড়ে উঠে আর একটু সামনে গিয়ে যেই হাত দিল সাদাফের বুকের এর উপরে হাত গিয়ে পড়ল নূরের।
সাথে যেন নূর 420 ভোল্টের কারেন্টের ঝটকা খেলো ।লোকটা সম্পূর্ণ খালি গায়ে শুয়ে আছে ।
পরক্ষণে নুরের খুব লোভ হল বুকের লোমগুলো একটু ছুয়ে দেখার ।তাই আঙুলের ডগা দিয়ে লোমশবুক টা নুর একটু হাত বুলিয়ে দেখলো । নীলা রহমান লেখিকা।সাদাফ ভাইতো ঘুমিয়ে গেছে তাই লোমগুলো দেখার জন্য স্পর্শ করে দেখতে লাগলো বুকে।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
সাদাফের অবস্থা নাজেহাল ।মেয়েটা পা*গল জানত এতটা পা*গল জানতো না ।ঘুমন্ত একটা পুরুষের রুমে ঢুকে বুকে হাতড়ে বেড়াচ্ছে ।লোম ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখছে ।
ও কি জানে এই মুহূর্তে সাদাফের ঠিক কেমন ফিল হচ্ছে ?সাদাফ কোনমতে এক হাত দিয়ে বিছানা চাদর খা*মচে ধরে দাঁতে দাঁত চেপে শুয়ে রইলো।
নূর খেয়াল করল সাদাফের বুকের লোমগুলো প্রত্যেকটা লোমকূপ যেন দাঁড়িয়ে গেছে ।নূরের শিহরণ হল ।সাথে সাথে আঙ্গুল উঠিয়ে ফেলল নুর। শ্বাস প্রশ্বাস দ্রুত হলো নুরের।
কপাল চুইয়ে চুইয়ে ঘাম পড়ছে।গায়ের ওরনা দিয়ে মুছলো নুর।
তারপর মনোযোগ দিল সাদাফের দিকে।ভাবলো সাদাফ ভাই তো ঘুমিয়ে আছে ভাগ্যিস টের পায়নি । নিশ্চয়ই অনেক মাথা ব্যাথা।মাথায় একটু মালিশ করে দিলে ভালো ঘুম হবে।
তাই সাদাফের শিয়োরের পাশে বসলো নূর ।বসে প্রথম হাত রাখল সাদাফের মাথায় । হাতে মাথা ব্যথার ওষুধ লাগিয়ে কিছুক্ষণ কপাল মালিশ করে দিল নুর।
তারপর ঔষধ রেখে কিছুক্ষণ এলোমেলো চুলগুলো ঠিক করে দিল তারপর হাতে তেল নিয়ে সাদাফের মাথায় মালিশ করতে লাগলো ও চুলগুলো একটু একটু করে টেনে দিতে লাগলো ।সাদাফের মাথা চুলগুলো সিল্কি খুব সুন্দর ।
নূরের খুবি ভালো লাগে ।কোনদিনও ভাবতে পারেনি সাদাফ ভাইয়ের মাথার চুল গুলো এভাবে স্পর্শ করে দেখতে পারবে নুর। নীলা রহমান
নূরে এবার লোভ হল সাদাফের মাথার চুল গুলো নাক দিয়ে টেনে একটু গন্ধ নিবে দেখবে কি শ্যাম্পু ইউজ করে।
যেমন ভাবা তেমন কাজ ।নুর হালকা একটু ঝুঁকে সাদাফের মাথার কাছে আসলো ।নূরের উষ্ণ গরম নিঃশ্বাস সাদাফের গালে পড়তে সাদাফ যেন আরো শিউরে উঠলো ।শরীরের প্রত্যেকটা লোমকূপ সাদাফের দাঁড়িয়ে গেল ।চাদর খা*মচে ধরে রাখলো ।দাঁতে দাঁত কা*মড়ে থাকলো।
নুরের উষ্ণ নিঃশ্বাস সাদাফ আর সহ্য করতে পারছে না ।কপাল ঘেমে উঠলো।
হাত নিসপিস করছে সাদাফের ।ভিতরে কেমন যেন শিহরণ বয়ে যাচ্ছে বারবার ।বারবার নূরের ছোট্ট শরীরটা নিজের বুকে চে*পে ধরতে ইচ্ছা করছে ।সাদাফে আর কন্ট্রোল করে রাখতে পারল না নিজেকে ।নূর যেই নাক দিয়ে চুলের গন্ধ নিবে ঠিক সেই মুহূর্তে সাদাফ চোখ খুলে ফেলল।
যদিও অন্ধকার থাকায় নুর কিছুই টের পেল না ।নূর ব্যস্ত সাদাফের চুল থেকে গন্ধ নেওয়ায় ।সাদাফ সাথে সাথে নুরকে দুহাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে উল্টো টেনে এনে বিছানায় ফেলে নূরের উপরে শুয়ে বলতে লাগলো কি করছিস নুর?
এরকম পাগলামি করছিস কেন রাতে? এতক্ষণ নিজেকে কন্ট্রোল করে রাখা চারটে খানি কথা ?তুই কি বুঝতে পারছিস কতক্ষণ ধরে আমি নিজেকে এভাবে সংযত করে রেখেছি ।একটার পর একটা পা*গলামি করে যাচ্ছিস তুই ।এত রাতে আমার রুমে এসেছিস ।
তাতেও ক্ষান্ত হস নি বুকে হাত দিচ্ছিস মাথায় হাত দিচ্ছিস এত কাছে এসে তারপর আমার চুলের গন্ধ নেয়ার ট্রাই করছিস।
আমি একটা পুরুষ মানুষ নুর ।তুই নিজেকে ছোট বলে ভাবতে পারিস কিন্তু আমি যথেষ্ট প্রাপ্তবয়স্ক একটা পুরুষ মানুষ ।এভাবে প্রাপ্তবয়স্ক একটা পুরুষের রুমে রাতের অন্ধকারে ঢুকে তাকে বিভিন্নভাবে গভীরভাবে স্পর্শ করলে তার ভিতরে অনেক চা*হিদার উৎপত্তি হয় সেটা কি বুঝতে পারিস তুই?”
সাদাফের এলোমেলো ঘোর লাগা কন্ঠে কথাগুলো শুনে নূর কেঁপে উঠল ভেতর থেকে । নূরের উপরে সাদাফের শরীরের অর্ধেক ভার যেন নূর ঠিকমতো নিঃশ্বাস নিতে পারছে না।
ভয়ে ভয়ে খুব আস্তে আস্তে নিঃশ্বাস ছাড়ছে নুর যেন আরেকটু বেশি হলেই মা*রা যাবে ।এমন কেন লাগছে নূরের ?শরীর কেঁপে উঠছে মন কেঁপে উঠছে ।কেমন যেন শরীরে কোথাও সুর সুরি অনুভব হচ্ছে।
গায়ে প্রত্যেকটা লোম কুপ নুরের দাঁড়িয়ে যাচ্ছে ।সারা শরীরে শি*হরণ বয়ে যাচ্ছে নূরের ।নূর চোখ বন্ধ করে দাঁত দিয়ে ঠোঁট কা*মড়ে চুপচাপ রইল।
সাদাফ আবার বলতে শুরু করলো ,”এখন যদি আমি নি‘‘য়ন্ত্রণ হারাই ভুলভাল কিছু করে ফেলি ?কেন এলি এত রাতে আমার রুমে ?এখন যে আমার নিজেকে নি‘‘য়ন্ত্রণে রাখতে খুব ক*ষ্ট হচ্ছে ।
কেন আমাকে কষ্টগুলো দিস নূর ?হয় তুই বড় হয়ে যা না হলে তুই আমার হয়ে যা ।কেন এত ক*ষ্ট দিচ্ছিস আমাকে?
নিজে তো বড় হচ্ছিস না আমাকে কাছে আসতে দেস না ।অন্য কাউকে বিয়ে করব সেটাতেও তুই রাজি না ।তুই কি চাস আমি আমার জীবন এইভাবে অতিবাহিত করি ?
তুই কবে বড় হবে সে অপেক্ষায় থাকি ?তোর বয়সে কত মেয়ে বড় হয়ে গেছে গ্রামে গিয়ে দেখ তোর বয়সে বিয়ে হয়ে বাচ্চার মা হয়ে গেছে ।তুই বাপ চাচাদের আদরে কিছু বুঝিস না।
নাকি বুঝেও চুপ করে থাকিস ?আমাকে কষ্ট দিস ।আমি কি চাই তোর কাছে তুই কি বুঝতে পারিস না ?আমার স্পর্শতে অনুভব করতে পারিস না ?আমার চোখ দেখলে কি আমার চাওয়া পাওয়া সম্পর্কে তুই বুঝতে পারিস না?
এইযে আমি সারা শরীর দিয়ে এখন তোকে ছুয়ে আছি তোর কি কিছু হচ্ছে না নুর?এই অনুভূতিটা কি তুই বুঝতে পারিস না ?এটা কেন হয় কখন হয়?
কেন আমার স্পর্শ তোর খারাপ লাগে না ?খারাপ লাগলে তুই কাউকে বলিস না কেন ?চুপচাপ কেন সয়ে যাস ?আর যদি ভালো লাগে তাহলে তুই বুঝতে শিখেছিস এই স্পর্শের মানে কি?”
নুর এখনো চুপচাপ রয়েছে ।জোরে জোরে নিঃশ্বাস নেওয়ার কারণে বুক খুব দ্রুত উঠানামা করছে ।সাদাফের বুকের সাথে নূরের বুক লেগে থাকায় সাদাফঅনুভব করছে নুরের প্রত্যেকটা হৃদয় স্পন্দন ।
সাদাফ এর ভিতর যেন আরো শিহরন বয়ে যাচ্ছে ।আর একটু শক্ত করে চে*পে ধরল নূরকে ।তারপর বলল ,”আজকে আমি দেখব আমার স্পর্শে তোর কি ধরনের অনুভূতি হয়?
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ১৯
বলেই সাদাফ চেপে ধরলো নূরের হাত। আঁ‘‘কড়ে ধরল নূরের গোলাপের পাপড়ির মত ক‘‘ম্পনরত দুটি ঠোঁট ।
নুর সাথে সাথেই চোখ খুললো।সাদাফ দ্বিধাহীন ভাবে ছুয়ে দিতে লাগলো নুর কে।