সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ২৬
neelarahman
“যা জানতে চেয়েছি উত্তর দিবেন ।আজকে আপনাকে উত্তর দিতেই হবে না হলে আমি এখান থেকে এক পাও নড়বো না।”বললো নুর।
সাদাফ মুচকি হেসে নূরের থুতনিতে ধরে মুখটা উপরের দিকে তুলল ।সাদাফের মুখ ধুয়ে ধুয়ে পানি পড়ছে নুরের মুখের উপরে ।
সাদাফ ঘোর লাগা কন্ঠে বলল ,”তুই শিওর উত্তর না দিলে তুই সারাক্ষণ এখানে দাঁড়িয়ে থাকবি এক পাও নড়বিনা?”
বোকা নুর বুঝতে পারল না সাদাফের কথার অন্তর্নিহিত অর্থ ।বললো ,”হ্যাঁ বলেছি তো এক পা ও নড়বোনা ।”
সাদাফ দুস্টুমি করে নুর কে ভ*য় দেখানোর জন্য সাথে সাথে ওয়াশরুমে দরজা লা*গিয়ে দিল।
নূর সাথে সাথে বলে উঠলো ,”কি করছেন দরজা লা*গাচ্ছেন কেন?”
সাদাফ বললো ,”যেহেতু লম্বা সময় এখানে থাকবে তাই ভাবলাম দরজা লাগিয়ে দেই কখন কি ঘটে যায় বাহিরে থেকে যেন কেউ টের না পায়। লীলা রহমান
আর তোর ল*জ্জা না থাকতে পারে আমার আছে।”
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
সাদাফ এবার যেন একটু সিরিয়াস হল ।নূরের দিকে তাকিয়ে বলল ,”নুর তুই কেন চাস না আমি বিয়ে করি বল?”
নূর ওই ভাবেই দুই হাত বুকে আড়াআড়ি করে বেঁধে আমতা আমতা করে বলল ,”আগে আমার প্রশ্নের উত্তর দিন আমাকে ভালবাসেন নাকি বাসেন না ?যদি সাবা আপুকে বিয়ে করবেন তাকে ভালবাসেন তাহলে আমার সাথে এসব কেন করেন ?আজকে আমাকে প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।”
সাদাফ বলল ,”তার আগেও আমি তোকে একটি প্রশ্ন করেছিলাম কেন তুই আমাকে অন্যান্য কাজিনদের মত বা ভাইয়ের নজরে দেখিস না ?কেন আমি তোর সাথে এসব করার পরও তুই আমার নামে কারো কাছে নালিশ করিস না ?
কেনো আমার অন্য কারো সাথে বিয়ে হবে মানতে পারছিস না?তুই কি অনুভব করিস আমাকে নিয়ে?আমার স্পর্শ তোর জঘন্য লাগে*না কেনো?একটা মেয়ে কার স্পর্শে শিহরিত হয় জানিস?বলেছিলাম তুই তোর নিজের মনকে প্রশ্ন কর ।উত্তর পেয়েছিস নুর?”ঘোর লাগা কন্ঠে জানতে চাইলো সাদাফ।
নূর এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল সাদাফের দিকে ।নুর ভিতরে ভিতরে জানে উত্তর পেয়ে গেছে কিন্তু মুখ ফুটে কিছু বলতে পারছে না ।কেন লোকটি বুঝে নিচ্ছে না এত কিছু বুঝে এত বয়স হয়েছে নুর একটা ছোট্ট মানুষ কেন ওর মনের কথা বুঝতে পারে না সাদাফ ভাই ?নূরের খুব অভিমান হচ্ছে ।
এই যে নুর সাদাফের সবকিছুতেই এত অধিকার খাটায় এটা কি সাদাফ ই বুঝতে পারে না ?অভিমান হচ্ছে বড্ড অভিমান হচ্ছে কথা বলবে না নুর সাদাফের সাথে ।ঠোট ফুলিয়ে অন্যদিকে তাকিয়ে রইল নূর ।
ও একটা ছোট্ট মেয়ে ওকে কেন মুখ ফুটে বলতে হবে ভালোবাসি উনি কি একটু বলতে পারেনা?
নুরের বুঝি ভালোবাসি বলতে লজ্জা লাগে না ?নুর কি এতটাই নি*র্লজ্জ মনে মনে ভাবতে লাগলো নুর।
সাদাফ দাঁত দিয়ে নিচের ঠোঁট কাম*ড়ে তাকিয়ে রইলো নুরের দিকে।
এদিকে রুমে দরজা লাগিয়েই দেয়ালের সাথে চে*পে ধরল সাইমন রিমাকে ।রিমা বললো ,”কি করছো কেউ দেখলে কি বলবে ?”
সাইমন বলল ,”আগে আমার প্রশ্নের উত্তর দে ভদ্র মানুষের মত ।তুই আমার ফোন কল এড়িয়ে চলছিস আমাকে এড়িয়ে চলছিস কি করেছি আমি ?তোর সাথে আমার কিছু হয়নি যতদূর আমার মনে পড়ে ।
গাজীপুর থেকে আসার পর এমন কি হয়ে গেল ?কেন তুই এমন মনে করছিস কেন উত্তর দিচ্ছিস না ?কেন আমার আশে পাশে তোকে দেখি না কেন আমার সবকিছু তুই গুছিয়ে দেস না এখন?
রা‘‘গের বসে রিমার হাত দুটো চে‘‘পে ধরে কথাগুলো বলল সায়মন ।
রিমা রাগে ক্ষো‘‘ভে বললো ,”পারবো না আমি ।আমার ঠেকা পড়েনি তোমার এসব কা‘‘জ করার জন্য ।যাও বিয়ে কর গার্লফ্রেন্ড আছে তাকে দিয়ে করাও ।সায়মন অবাক হয়ে গেল বিয়ে করবে গার্লফ্রেন্ড আছে ?
কি বলছে মেয়েটা ?গার্লফ্রেন্ড কোথ থেকে পেল আর বিয়েই বা কিভাবে হবে যেখানে এখনো সাদাফ ভাইয়ের বিয়ে হয়নি ।সেখানে সায়মনের তো বিয়ের বয়স হয়নি ।
অবাক হয়ে বলল ,”কার গার্লফ্রেন্ড কিসের বিয়ে কি আবোল-তাবোল কথা বলছিস গার্লফ্রেন্ড কোত্থেকে পাবো?
আর তোকে কে বললো আমার বিয়ে আমার গার্লফ্রেন্ড আছে ?হাওয়ায় হাওয়ায় কথা ভাসে আমি তো কোনদিনও তোকে মুখে এ কথা বলিনি।”নীলা রহমান লেখিকা।
রিমা এবার সজোরে একটি ধা*ক্কা লাগালো সাইমনকে ।বললে ,”এত কিছু আমি শুনতে চাই না রুম থেকে বের হও ।সবাই দেখলে খুব খারাপ হয়ে যাবে এক্ষুনি যাও ।”
বলে যেই বিছানার দিকে যাবে ওমনি সাইমন আবার রিমাকে হাত ধরে হ্যাঁচকা টানে নিজের বুকের সাথে লাগিয়ে বলল,”বড্ড বেশি বেড়েছিস কিন্তু রিমা ।আমার কিন্তু ধৈর্য্যের সীমা আছে সীমা অতিক্রম করবি না ।”
রিমা রাগে হি‘‘সহিসিয়ে বলল ,”অতিক্রম করলে কি করবে যাও করলাম অতিক্রম এক্ষুনি বের হও আমার রুম থেকে।”
সাইমন অপলোক তাকিয়ে রইল রিমার দিকে ।রা‘‘গ কোনভাবে আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না ।করে ফেলল অদ্ভুত এক কা*জ ।সাথে সাথে আঁ*কড়ে ধরল রিমার ঠোঁট।শরীরের যত ক্ষো*ভ যত রা*গ সব যেন ঝেড়ে ফেলতে লাগলো রিমার ঠোটের উপর।
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ২৫
রিমা সাথে সাথে যেন পাথর হয়ে গেল ।দুই হাত দিয়ে আঁকড়ে ধরলো সাইমনের শার্টের কলার ।নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করল কিন্তু সাইমন শক্তির সাথে পেরে উঠলো না রিমা।সায়মন রিমার মাথার পিছনে চুল আঁকড়ে ধরে নিজের মর্জি চালাতে লাগলো।