সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ৩৮
neelarahman
বলেই রিমা খাট থেকে নেমে বলল যা ,”রুম থেকে
বের হ ।”
সাইমন কিছুক্ষণ যেন অবাক হয়ে পড়ে রইলো কিছু বলার ভাষা নেই । দৃশ্যটি মাথা থেকে যাচ্ছে না কোন ভাবেই।রিমা ওর কোমরের উপরে বসে ওকে ঠোটে চু*মু খেয়েছে সরি খুকু কা*মড় খেয়েছে যাই হোক ঠোঁটে ঠোঁট স্পর্শ করেছে নিজে থেকে এসেছে রিমা।
এটি বারবার ভাবতে দেহ মন শিহরিত হচ্ছে সাইমনের। শত হলেও সায়মন একটি পুরুষ মানুষ ।এত রাতে এভাবে এরকম অবস্থায় নিজেকে আবিষ্কার করা এটি যে ভূমিকম্পের চেয়ে কোন অংশে কম নয়।”
হঠাৎ করে মনে পড়লো যে কথা বলতে এসেছিল সে কথা তো বলাই হয়নি ।কলেজ কম্পাউন্ডে যে ঢলাঢলি করে ছেলেদের সাথে কথা বলে হেসে হেসে সেই কথাই তো বলতে এসেছিল। নীলা রহমান লেখিকা
সাইমন শোয়া থেকে উঠে বসলো ।বসে ঠোঁট মুছতে মুছতে রিমার দিকে তাকালো।ভিতরে কেমন যেন লাগছে সাইমনের ঠিক বোঝাতে পারবে না ।তবে নিচের ঠোঁটকে অস্বাভাবিক ব্যথা করছে খুব জোরে কা*মড় দিয়েছে অ*সভ্য মেয়েটি।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
সাইমন রিমার দিকে তাকিয়ে ,”কলেজ কম্পাউন্ডে ছেলেদের সাথে হেসে হেসে কথা বলছিলি কেন?”
রিমা : আমার ইচ্ছা আমি যার সাথে ইচ্ছা হয় হেসে হেসে কথা বলব তাতে তোর কি?
সায়মন: প্রথমত বড় হই তোর সম্মানের সাথে কথা বলবি ।ভবিষ্যতে ও সম্মান দিয়ে কথা বলবি।দ্বিতীয়ত আমার ঠোঁটে তুই চু*মু খেয়েছিস আজকে পর থেকে এ ঠোঁট দিয়ে তুই হেসে হেসে কারো সাথে কথা বলতে পারবি না।
রিমা:😡😡😡
চু*মু তুই খেয়েছিলি আমি কা*মড় দিয়ে এটা শোধ করে দিলাম হিসাব বরাবর।
সায়মন: না বরাবর না ।আমি যখন চুমু দিয়ে ছিলাম তুই মজা পেয়েছিলি তুই যখন আমাকে দিয়েছিস আমি ব্যথা পেয়েছি তাই তোকে এখন ব্যথা দিব।
রিমা: মানে?
সায়মন: মানে কিছু না ।তোকে এখন বিছানায় শো*য়াবো তারপর তোর উপরে বসে থেকে তোকে কা*মড় দিব।
কিন্তু আমি তো আবার অনেক মহান টাইপের লোক ।তুই আমাকে কলার ধরে ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে নিয়ে গিয়েছিস আমি তোকে সুন্দর করে কোলে করে বিছানায় নিব।
রিমা: খবরদার কাছে আসবি না না হলে কিন্তু আমি চিৎকার করব।
সায়মন: ডাক তোর বাপ চাচা ভাইকে।
তারাও দেখুক তুই কা*মড় দিয়ে আমার ঠোঁটের কি অবস্থা করেছিস ডাক।
বলেই রিমাকে কোলে তুলে নিয়ে বিছানায় ফে*লল সায়মন।যেই রিমার উপরে উঠে বসবে অমনি রিমা বলল ,”সরি সরি আমার ভুল হয়ে গেছে আর কখনো কাম*ড় দিব না প্রমিস করে বলছি।”
“মনে থাকবে তো? আর কলেজ কম্পাউন্ডে কেন এদিকে ওদিকে কোন জায়গায় কোন ছেলের সাথে হেসে হেসে কথা বলবি না এটা প্রমিস কর।”বললো সায়মন।
“আমি কথা বললে তোমার কি সমস্যা ?তুমিও মানুষের সাথে কথা বল আমি যে তোমাকে কিছু বলিনি।”বললো রিমা।
“বলিস নি তাহলে তুই আমার কা*জকর্ম করা বন্ধ করে দিয়েছিস কেন ?তাহলে তুই আমাকে যে এই মাত্র কা*মড় দিলি কেন কি চিন্তা করে তুই এমন করেছিস? গার্লফ্রেন্ড গার্লফ্রেন্ড গান গাইছিস কেন তিনদিন ধরে ?
আমি একবারও তোকে বলেছি আমার গার্লফ্রেন্ড আছে বা আমি কাউকে পছন্দ করি বলেছি তোকে ?তাহলে তুই কেন এগুলো বানিয়ে নিয়ে মনে মনে চিন্তা করছিস?”
“আমি কি করবো নূর তো বললো তোমার সামনে বিয়ে ।তো বিয়ে যখন করবে বউকে বিয়ে করাও আমাকে দিয়ে কেন করাবে?”বললো রিমা।
সাইমন খাটে সুন্দর করে বসলো ।বসে রিমার দিকে তাকিয়ে বলল ,”নুরের কথায় এসব পা*গলামী?নুর কি বুঝে?আমি বিয়ে করবো এজন্য তোর শুনতে খারাপ লেগেছে? মন খারাপ হয়েছে কেউ আমার বউ হবে আমার ঘর গোছাবে কা*জ করবে তোর এগুলো শুনতে ভালো লাগেনি?”জানতে চাইলো সায়মন।
রিমা কাঁদো কাঁদো কন্ঠে মাথা এদিক ওদিক করে ইশারা করে বুঝালো না।
সাইমনের ঠোটে খেলে গেল এক চিলতে হাসি ।মুচকি হেসে রিমার দিকে তাকিয়ে বলল ,”ঠিক আছে যা আর কাউকে কখনো বিয়ে কথা বলবো না কোন গার্লফ্রেন্ডও বানাবো না ।এখন থেকে তো আমার ঘরের সব কা*জ তুই করতে পারবি নাকি ?
আমি তোর কা*জে ভীষণ অভ্যস্ত অন্য কেউ আমার ঘরে কোন কিছু টাচ করুক এটা আমার পছন্দ না আমি কোন কিছু খুঁজে পাই না ।তুই প্রত্যেকটা জিনিস আমার যেখানে রাখার দরকার সেখানে রাখিস আমি এইভাবে অভ্যস্ত হয়ে গেছি এজন্য সব কা*জ এখন থেকে তুই করবি মনে থাকবে?”
রিমা মুচকি হাসলো ।সাইমন বিয়ে করবে না এ কথা শুনে রিমা মনে মনে খুশি হলো ।আর মাথা তুললো না ।
সাইমন রিমার দিকে তাকিয়ে বলল ,”আমি তাহলে এখন যাই অনেক রাত হয়েছে কেউ দেখলে আসলেই সমস্যা হয়ে যাবে ।আর আমার বিয়ে নিয়ে মাথা ঘামাতে হবে না।অন্য কেও আমার ঘরে আসবে না।”
বলেই রিমার দিকে আর ফিরে তাকালো না ওর যা জানার প্রয়োজন ছিল জেনে গেছে এখন গিয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমাবে।
বর্তমান………..
ভাবতে ভাবতেই সাইমন চোখ লেগে গেল দিনে দুপুরে ঘুমিয়ে পড়ল
এদিকে বেলা বাজে পাঁচটা। সাদাফ হঠাৎ অফিস থেকে তাড়াহুড়া করে বাসায় চলে আসলো ।আজকে আর অফিসে যাবে না ।একটা প্রয়োজনীয় কা*জ আছে ।সিঁড়ি দিয়ে উঠতে গিয়ে দেখা হয়ে গেল নূরের সাথে ।
নূর সাদাফ কে দেখে অবাক হয়ে গেল ।জিজ্ঞেস করল ,”আজকে আপনি এত তাড়াতাড়ি ?আপনি তো সন্ধ্যার আগে বাড়িতে আসেন না?”
সাদাফ বলল ,”একটা কাজ আছে বন্ধুদের সাথে একটু বাইরে যাব তাই চলে এসেছি ।আমার জন্য এক কাপ কফি নিয়ে আয় আমি রুমে যাচ্ছি ভীষণ টায়ার্ড।”
বলেই সাদাফ রুমে চলে গেল ।রুমে ঢুকেই ওয়াশরুমে গোসল করার জন্য গেল সাদাফ ।এদিকে নুর কফি তৈরি করে রুমের সামনে এসে দেখল রুমে দরজা চাপানো ।নূর একবার নক করল ।নক করার পর দেখল ভিতর থেকে কোন সাড়াশব্দ আসছে না তাই নূর দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে পড়ল।
ভিতরে ঢোকার সাথে সাথেই দেখল ওয়াশরুমে দরজা খুলে মাত্র বের হল সাদাফ ভাই ।শুধুমাত্র একটি টাওয়েল প্যাঁচানো কোমরে তাও অনেক নিচু করে ।যেনো আরেকটু হলে খুলে পড়বে।
চুল ভেজা শরীর দিয়ে টুপটুপ করে পানি পড়ছে ।বুকের পশম গুলো বুকের সাথে লেপটে আছে কপালের চুল গুলো যেন কপালের সাথে ভিজে লেপ্টে আছে।
নুর সাদাফের দিকে তাকিয়ে বারবার শুকনো ঢোক গিলছে ।কোন ছেলেকে এমন সুন্দর লাগতে পারে??কখনো সাদাফ কে এরকম খালি গায়ে অর্ধ অধ্য ন*গ্ন অবস্থায় দেখেনি নুর ।পায়ের থেকে মাথা পর্যন্ত বারবার দেখতে আর শুকনো ঢোক গিলছে ।সাদাফ তাকিয়ে আছে নূরের দিকে ।মনে মনে ভাবছে ,”কিভাবে গি*লে খা*চ্ছে সাদাফ কে।”
সাদাফ এমন অবস্থায় এক পা দু পা করে নূরের কাছাকাছি চলে আসলো ।নূরের হাতে কাপটি অস্বাভাবিকভাবে কাঁ*পছে ।সাদাফ খেয়াল করে নূরে হাত থেকে কফির কাপটি টেবিলে রাখল ।
রেখে নুরকে ধীরে ধীরে দেয়ালের সাথে চে*পে দাঁড় করিয়ে বলল ,”এমন ভাবে কি দেখছিস মনে হচ্ছে চোখ দিয়ে আমাকে গি*লে খাবি?
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ৩৭
তোকে আমি সত্যি সাদাসিধা মেয়ে মনে করতাম ছোট্ট মনে করতাম কিন্তু এখন তো দেখছি তুই তলে তলে অনেক চালাক ।এভাবে আমাকে চোখ দিয়ে গি*লে খাচ্ছিস কেন?”
নুর শুকনো ঢোক গিললো কোনমতে ।সাদাফের দিকে তাকালো ।সাদাফ ঘোর লাগার দৃষ্টিতে নূরের দিকে তাকিয়ে আছে ।নুর আর এই চোখের সাথে চোখ মেলাতে পারল না ।সাথে সাথে বাঁদিকে ঘাড় কাত করে অন্যদিকে তাকিয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলল।
সাদাফ আরও একটু ঝুঁকে এসে নূরের শরীরে দুই পাশে দুই হাত দিয়ে দেয়ালে চে*পে দাঁড়িয়ে নূরের কানে কানে ফিসফিস করে বলল ,”আমার ভিতরে অন্য এক আমি কে জাগ্রত করে তুই সব সময় মুখ ফিরিয়ে নিস কেন?”
