সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ৯

সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ৯
neelarahman

গাড়িতে বসে সাদাফ চুপচাপ গাড়ি চালাচ্ছিল আর আড় চোখে আর চোখে নুরকে দেখছে ।নূর বাহিরে যে দৃষ্টি ফেলে তাকিয়ে ছিল আর গাড়ির ভিতর বা সাদাফের দিকে তাকিয়ে দেখেনি একবারের জন্যেও না।
নুরকে দেখে সাদাফের ভিতরে যে তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছিল তাকি জানে এই অবুঝ মেয়েটি ?জানে না ।কিন্তু গাল ফুলিয়ে বসে আছে ।ভাবছে সাদাফ ওর দিকে তাকিয়ে ও দেখেনি। কিন্তু একটু সাজুগুজুতেই যে নুরকে এতটা সুন্দর লাগে তা এখনই প্রকাশ করা যাবে না তাহলে সারাক্ষণ এভাবে সাজুগুজু করে থাকতে চাইবে।
ভাবলো সাদাফ।

সাদাফ একটু সামনে গিয়ে গাড়িটা একটু সাইড করে ব্রেক করলো।তারপর এক দৃষ্টিতে নূরের দিকে তাকিয়ে রইল ।নুর এখনো বাহিরের দিকে তাকিয়ে আছে একবারের জন্য ভিতর দিকে তাকাচ্ছে না ।সাদাফ বুঝলো তার অভিমানী নূর অনেক অভিমান করেছে কিন্তু এই মুহূর্তে রাস্তায় অভিমান ভাঙানোর সময় নেই কি করবে বুঝতে পারছে না তাকিয়ে রইল নূরের দিকে।
ঠিক মিনিট খানেক পর বলল ,”নুর আমার দিকে তাকা ।”নুর তাকালো না ।সাদাফ এক ধমক দিল নুর কে।বললো,”আমি বলেছি আমার দিকে তাকা ।শুনতে পায় না?” ধমকের সাথে সাথে নূর পিছনে ঘুরে সাদাফের দিকে তাকালো।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

সাথে সাথে নূর টের পেল সাদা খুব জোরে নূরের ঠোঁট ঘষছে কিছু একটা দিয়ে । ব্যা*থায় কুকিয়ে উঠলো নুর।দেখল টিস্যু দিয়ে নূরের ঠোঁট থেকে লিপ গ্রস মুছে দিচ্ছে সাদাফ। মুছতে মুছতে তারপরে বলল ,”এগুলো আর লাগাবি না।
আমার সামনে এগুলো ছাড়াই সুন্দর আর আমি না দেখলে এগুলো লাগিয়ে কাকে সৌন্দর্য দেখাবি ?অন্য কাউকে?
নূর বলল ,”তাই বলে এভাবে মুছবেন? এত জোড়ে জোড়ে ঘষে ঘষে ব্যথা দিয়ে মুছতে হবে ?আমাকে বললে তো আমি মুছে ফেলতাম। ঠোঁট তো ছুলে গেলো আমার।
সাদাফ বললো ,”আমি বলায় না নিজের হাতে করায় বিশ্বাসী ।তোকে বললে তুই কিভাবে না কিভাবে মুছবি তাতে আমার বিশ্বাস নেই। তাই আমি নিজের হাতে সুন্দর করে মুছে দিলাম।”পর্ব নয় গতকাল পোস্ট করেছে যারা ওইটা ফেইক।আমি লেখিকা নীলা রহমান।

নুর ছলছল নয়নে তাকিয়ে রইল সাদাফের দিকে ।মনে মনে ভাবতে লাগলো ,”এই লোকটা এমন কেন কালকে তো ঠিকই কত সুন্দর করে আদর করে যত্ন করে নূরকে কত কিছু বুঝালো ।আর এখন চটাং চটাং কথা বলে বুঝাচ্ছে এই লোকটাকে বুঝাই যায় না।
এখন বুঝতে পারছে নুর এই লোকটা নিশ্চয়ই আমাকে পছন্দ করেনা পছন্দ করলে মুভিতে দেখেছে গার্লফ্রেন্ডরা সাজুগুজু করলে বয়ফ্রেন্ড তাদের কত তারিফ করে ।আর এই লোক কিভাবে ঘষে ঘষে ঠোঁটটা ছুলে ফেললো একটু লিপস্টিক উঠানোর জন্য ।একটি বার বলল না নূর তোমাকে অনেক সুন্দর লাগছে।

মানুষ কাওকে ভালোবাসলে তার সাথে কতো সুন্দর করে কথা বলে অথচ উনি শুধু ব*কার উপরেই রাখে।
নুর অভিমানে মুখ ফুলিয়ে অন্যদিকে ঘুরে তাকিয়ে রইল সাদাফ গাড়ি চালাতে শুরু করল মনে মনে ভাবল নুর এখনো অনেক ছোট ওকে অত সায় দেওয়া যাবে না একবার যদি প্রকাশ করে ফেলে সাজালে সুন্দর লাগে তাহলে দিনভর সাজুগুজু করে ওর আশেপাশে ঘুরঘুর করবে যেটা সাদা চায় না।
তাই ধীরে কিন্তু স্পষ্ট আওয়াজে বলল ,”আর সাজুগুজু করে আমার সামনে কখনো আসবি না। মেকি বানোয়াট কোন কিছুই আমার পছন্দ নয় আমার একদম অরিজিনাল পছন্দ প্রাকৃতিক পছন্দ।”
স্কুলের গেটে চলে আসলো সাদাব কথাগুলো বলতে বলতেই তারপর বলল নাম চুপচাপ সোজা স্কুলে যাবি এদিক ওদিক যেন যেতে না দেখি।

তারপর কি মনে করে যেন বলল ,”দাঁড়া সেদিন কি বলেছিলি ?ক্লাস টেনের একটা ছেলে তোকে প্রপোজ করেছে ?তোকে ভালোবাসি বলেছে ?আর ছেলেটা অনেক হ্যান্ডসাম ?কোন ছেলেটা চল আজকে দেখে যাব।”
নুর পড়ে গেল মুশকিলে ।এখন কিভাবে ছেলেটাকে দেখাবে ?কিভাবে যেয়ে বলবে ছেলেটা প্রপোজ করেছে ।লজ্জা শেষ হয়ে যাবে নুর ।আর তাছাড়া সাদাফ যদি খারাপ কিছু করে বসে সেই ছেলেকে ?ভয়ে নুরের হাতপা কাঁ*পা কা*পি শুরু হয়ে গেলো নুরের।বলল ,”থাক না ভাইয়া আজকে না অন্য একদিন দেখা করিয়ে দিব ।”
বলেই দৌড়ে স্কুলে গেট পার হয়ে গেল নূর।
সাদাফ এমনিও যেত না এটা শুধু নূরকে ভয় দেখানোর জন্য বলেছে ।যাতে ওই ছেলে থেকে দূরে দূরে থাকে ।যাতে মনে করে সাদাফ কথাটা আমলে নিয়েছে এবং যেকোনো সময় ওই ছেলেকে দেখতে চাইতে পারে তাই এ কথাটা বলেছিল সাদাফ।

অফিসে এসে সাদাফ জানতে পারল আজকে একটু বাইরে ইন্সপেকশনে যেতে হবে ।বাহিরে ওদের দুইটা ফ্যাক্টরি আছে সেগুলো ভিজিটে যেতে হবে ।এতদিন শুধু অফিসিয়াল কাজ করেছে আজ স্বশরীরে ফ্যাক্টরি ভিজিটে যাবে তাই ফজলুর রহমান ও হুমায়ুন রহমান রেডি হয়ে সাদাফের কেবিনে আসলো।
হুমায়ুন বলল,” মাত্রই আসলি?”
সাদাফ বলল ,”হ্যাঁ বাবা ওই নুরকে স্কুলে দিয়ে আসতে হয় তাই অনেক সময় দুই তিন মিনিট লেট হয়ে যায় ।কিছু মনে করো না ।মায়ের আদেশ এটা আমার মানতেই হবে।”
নওরিন আফরোজ এর কথা বলায় সাথে সাথে হুমায়ূণ রহমান দমে গেলেন কারণ জানেন স্ত্রী যখন একবার বলেছেন নুর কে স্কুলে দিয়ে আসতে হবে তাহলে এখানে আর দ্বিতীয় কোন কথা বলার জায়গা নেই ।আর তাছাড়া নূর বড় হয়েছে কাউকে না কাউকে স্কুলে দিয়ে আসতেই হবে । নীলা রহমান লেখিকা।তাই সাদাফ দিয়ে আসলে আরো বেটার হয় কোন সমস্যা নেই।

ফজলুর রহমান বলল ,”বাচালি টেনসনে থাকতাম মেয়েটাকে নিয়ে ।যাওয়ার সময় আমি ড্রাইভারকে পাঠিয়ে দিব ।ড্রাইভার নিয়ে যাবে ।সকালে ড্রাইভার একটু ব্যস্ত থাকে তাই সমস্যা হয়ে যায় আর তুই যেহেতু দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছিস প্রতিদিন সকালে তুই স্কুলে দিয়ে আসবি তাহলে আমার আর কোন টেনশন নেই।
ছোটবেলা থেকে নূরের সমস্ত কাজ তো তুই করেছিস এক কথায় আমি আর সামিহা তো শুধু মনে হয় জন্মই দিয়েছি নূরের সব কাজ তো তুই করতি ।কোলে পিঠে করে তুই মানুষ করলি মাঝখানে ছয়টা বছর শুধু লেখাপড়ার জন্য বাহিরে ছিলি । লেখিকা নীলা রহমান।এখন আবার এসে দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছিস ।সত্যি কথা বলতে তুই থাকলে আমার আর কোন চিন্তা নেই নূরের ব্যাপারে কারণ তুই নূরের জন্য সব সময় বেস্ট কাজটাই করবি।
ঘন্টা খানেকের মধ্যেই ফ্যাক্টরিতে পৌঁছে গেল সাদাফ হুমায়ুন রহমান ও ফজলুর রহমান ।গাড়ি থেকে নেমে ফ্যাক্টরির দিখে চোখ বুলিয়ে সাদাফ বললো ,”এটা আমাদের ফ্যাক্টরি ?ছয় বছর আগে তো একটু অন্যরকম দেখেছিলাম ।সম্পূর্ণই পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে।”

ফজলুর রহমান বলল ,”হ্যাঁ ছয় বছর অনেক সময় ।তুই যাওয়ার বছরখানেক পরে সবকিছু আবার পরিবর্তন করা হয়েছিল।”
তারপর হুমায়ুন রহমান বলল ,”আয় ভিতরে গিয়ে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেই।”
আর আজকে এই ফ্যাক্টরি ভিজিট করে আমরা সরাসরি বাসায় যাব অফিসে আর যাব না অফিসে তেমন কোন কাজ নেই আজকের দিনটা আমরা সবাই পরিবারের সাথে কাটাবো বললেও ফজলুর রহমান।
সাদাফ জানে কেন এ কথা বলছে কারণ আগামীকাল নূরের জন্মদিন ১৬ থেকে ১৭ তে পড়বে তাই সাদাফ বললো ঠিকাছে।

মনে মনে ভাবলো ১৭তে মাত্র পা দিল এখনো আরো বহু দূর যেতে বাকি।
ফ্যাক্টরিতে ঢুকতেই কর্মকর্তারা ও কর্মচারীরা সবাই সংবর্ধনা জানালেন সাদাফ কে। লেখিকা নীলা রহমান।তারা আগে জানতে পেরেছিলেন বসের ছেলে আসবে এবং বসের পর পরবর্তীতে সাদাফ সবকিছু দেখাশোনা করবে ।তাই সাদাফ তাদের ইমিডিয়েট বস ।এখন থেকে সাদাফ কেই সব রিপোর্ট করতে হবে।
কর্মীবৃন্দদের সাথে সংবর্ধনা পর্ব শেষ করে বিশেষ বিশেষ কিছু কর্মকর্তাকে কাবিনে ডাকা হল ।এখানে সাদাফের জন্য আলাদা একটি কাবিন তৈরি করা হয়েছে।
সেই কেবিনেই ডাকা হল সবাইকে একে একে সবাই উপস্থিত হলো একাউন্ট ডিপার্টমেন্ট ,আইটি ডিপার্টমেন্ট ,প্রোডাকশন টিম ও এইচ আর থেকেও কর্মকর্তা উপস্থিত হল ।এই চারজনকে নিয়েই আজকে মূলত মিটিংটা হবে।

প্রায় ঘন্টা খানেক এ চারজনের সাথে কথাবার্তা বলে মিটিং শেষ করল ।শেষমেশ সাদাফ বলল ,”প্রোডাকশন বাড়াতে হবে প্রয়োজন পরলে লোক বেশি নিয়োগ দিন ।পার আওয়ার প্রোডাকশন না বাড়লে আমাদের শিপম্যান যেতে প্রবলেম হবে ।শিপমেন্ট যেন টাইম মতো যায় প্রয়োজন পড়লে তাদেরকে এক্সট্রা ভাতা দিয়ে মোটিভেশন দিয়ে দুই ঘন্টা করে ওভারটাইম করিয়ে নিন।
এবং অবশ্যই সেটা পারিশ্রমিক দিয়ে এবং একটা প্রণোদনা দিয়ে কারণ শুধু টাকা দিয়ে একজন কর্মীর মনোবল আপনি কিনতে পারবেন না তার সাথে ভালোবাসার শ্রদ্ধা সম্মান এবং টাকা চারটা জিনিসই আপনাকে পে করতে হবে।

যদি প্রত্যেক ওয়ার্কার দুই ঘন্টা করে ওভারটাইম করতে রাজি হয় তাহলে আমরা সময়মতো শিপমেন্ট পৌঁছাতে পারবো ।তাই প্রয়োজন পড়লে আপনারা কথা বলুন না পারলে তাদের সাথে আমার মিটিং ফিক্সড করুন আমি নিজে তাদের সাথে কথা বলব ।”
প্রোডাকশন অফিসার বললেন ,”জি স্যার তাদের সাথে কথা বলব অলরেডি তাদের সাথে কিছু কথা হয়েছে দুই ঘন্টা ওভারটাইম করতে রাজি তবে তাদের ওভারটাইম কত টাকা করে ধরতে হবে সেটা নিয়ে একটু বার্গেনিং ছিল আপনি যেহেতু বলেছেন তাদের খুশি মত করতে তাহলে তাদের ন্যায্য মূল্য দিয়েই আমরা প্রোডাকশন বাড়ানোর চেষ্টা করব।”

এবার এইচ আর ডিপার্টমেন্টের লোকের দিকে তাকিয়ে বলল ,”এইচআর এর ডিপার্টমেন্ট থেকে ভালো একজন লোক নিয়োগ দিন যিনি সার্বক্ষণিকভাবে কর্মীদেরকে প্রেষণা ও প্রণোদনা দেওয়ার ব্যাপারে খোঁজ খবর রাখবে এবং সরাসরি কর্মীরা আপনার কাছে না যেয়ে তার কাছে জানাবে ।তাদের কোন দাবি-দাওয়া বা তার কোন সমস্যা হলে সেই লোকের কাছে জানাবে।”
অ্যাকাউন্ট ডিপার্টমেন্টের দিকে তাকিয়ে সাদাফ বলল ,”কর্মীদের বেসিক সেলারি পার আওয়ার যত টাকা করে পরে তার থেকে দুই তিন টাকা করে বেশি দিন যাতে ওরাও খুশি থাকে এবং আমাদের শিপমেন্টের কাজটাও সময় মত দিতে পারি।”

ফজলুর রহমান এবং হুমায়ূন রহমান ইমপ্রেস হলেন ছেলে লেখাপড়া করে এসেছে কিন্তু এই বিজনেসে ছেলে এতটা দক্ষ হয়ে উঠেছে সেটা বুঝতে পারেনি ।মাত্র দুদিন হলো জয়েন করেছে কিন্তু মনে হবে কত বছর ধরে চালাচ্ছে সাদাফ।
বেলা চারটা ইতিমধ্যে বাসায় পৌঁছে গিয়েছে নুর ।সাদাফ ড্রাইভার এর সাথে কথা বলে জেনে নিয়েছে ।সাদাফের লাঞ্চ শেষ ।এখন তারা বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিবে ।চাচা যেহেতু বলেছে আজকে আর অফিস যাবে না তাই সাদাফ তার মত আজ কা*জ করতে পারবে ।
যেহেতু আগামী কাল একটি বিশেষ দিন এবং একটি বিশেষ সারপ্রাইজ প্ল্যান করেছে সাদাফ যা অন্য কারো সাথে শেয়ার করবে না ।সবকিছু নিজে একা একা করবে বাকি পরিবার যা সারপ্রাইজ দিবে তার সাথে সাদাফ থাকবে সমস্যা নেই।

বাসায় পৌঁছে নুর নিজের রুমে গিয়ে বিছানায় ধপাস করে শুয়ে রইল ।নূরের মন খারাপ ।আগামীকাল নূরের জীবনের একটি বিশেষ দিন অথচ বাড়ির কেউ এটা নিয়ে কোন কিছু বলছে না ।কোন অনুষ্ঠান হচ্ছে না কোন শপিং হচ্ছে না সবকিছু কেমন যেন ঠান্ডা।
গতবছর তো জন্মদিনের আগে পাপা শপিং করিয়ে দিয়েছিল বড় আব্বু কত কিছু দিয়েছিল বড় আম্মুর পছন্দ মত খাবার রান্না করেছিল সামিয়া বেগম শপিং করে দিয়েছিল ।কিন্তু এখন এসব কিছুই হচ্ছে না ।সাইমন আর রিমাটাও আজ বাসায় নেই ।

সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ৮

এখনো তারা বাসায় ফেরেনি। নীলা রহমান ।আর সাদাফ ভাই তো হয়তো জানেই না নুরের জন্ম দিন খাল।এসব নিয়ে ভাবতে ভাবতেই মন খারাপ নিয়ে ঘুমিয়ে পড়লো নুর ।স্কুল থেকে এসেছে অথচ স্কুলের ইউনিফর্ম টাও চেঞ্জ করেনি এভাবেই ঘুমিয়ে গেল।

সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ১০

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here