সে আমার হৃদয় হরণী পর্ব ১৯
বুশরা আহমেদ
বুশরা রাহির দিকে ফুলের তোড়া টা এগিয়ে দিল,, কিন্তু রাহি বুশরার দিকে তাকিয়ে আছে,,
বুশরা এইবার রাহির দিকে তাকালো রাহির চোখ দেখে মনে হচ্ছে এখনি মনে হয় গিলে নিবে তাকে ,, বুশরা ভয়ে আর একটু এগিয়ে দিল ফুলের তোড়া টা ,,
রাহি এইবার সজোরে বুশরার গালে একটা থাপ্পড় দিলো ,,
সবাই অনেক অবাক হলো ,,কারো মুখ দিয়ে কোন কথা বের হচ্ছে না।
বুশরার চারিদিকে অন্ধকার লাগছে মাথা টা ঘুরছে ,,বুশরার গালে তিন আঙ্গুলের দাগ স্পষ্ট।
তৌফিক বললো ভাইয়া,,
রাহি তৌফিক এর দিকে চোখ রাঙিয়ে দেখতেই তৌফিক কোন কথা বললো না। বুশরা গালে হাত দিয়ে দাড়িয়ে আছে । রাহি বুশরার হাত ধরে টেনে স্টেজ থেকে নেমে সোজা গাড়িতে ধাক্কা মেরে ফেলে দিলো । তারপর নিজে গাড়িতে বসে , গাড়ি স্টার্ট দিলো। গাড়ি স্পিড হাই করে দিয়েছে।
বুশরা চোখ দিয়ে পানি পড়ছে ,,
রাহি হাই স্পিড এ গাড়ি চালাচ্ছে দেখে ,বুশরার আরো ভয় হতে লাগলো।রাহি বাসার সামনে এসে গাড়ি থেকে নেমে গেট খুলে দিলো ,,
রাহি: গাড়ি থেকে নেমে আয় ,,,
বুশরা এখনো সেই আগের মতই বসে আছে।
রাহি এই বার বুশরাকে কোলে নিয়ে সোজা বাসার মধ্যে ঢুকে নিজের রুমে গিয়ে বুশরাকে বিছানায় ছুড়ে ফেললো ,,
রাহি : শরীর দেখানোর খুব শখ তাই না ,,, যখন সবাই তোকে চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছিল ভালো লাগছিল তাই না?
বুশরা নিশ্চুপ,,
আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন
রাহি এইবার ধমক দিয়ে বললো,কি হলো কথা বলছিস না কেন? খুব ভালো লাগছিল তোর ,,
বুশরা রাহির ধমকে কেঁপে উঠলো।
রাহি এইবার বললো শরীর দেখানোর খুব ইচ্ছে তাই না ,,
আমার কথা অমান্য করার সাহস কি করে হয় ,, তোর এত বড় কলিজা যে আমার কথা অমান্য করিস,আমিও একটু দেখি কত বড় কলিজা তোর ,,
বলেই এক টানে বুশরার শাড়ি খুলে ফেলল।।
বুশরা এইবার কিছু টা রেগে গেলো ,,
রাহি রাগে মাথা গজগজ করছে ,,সে সোফায় বসে মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে ,,
বুশরার পরণে শুধু ব্লাউজ আর পেটিকোট,,
বুশরা এইবার কান্না করতে করতে বললো ,,
আপনার কি সমস্যা,,
রাহি : আমার সমস্যা,, তোকে আমি নিষেধ করি নি,, রাহি উঠে এসে বুশরার গাল চেপে ধরে বললো,, আমার কথা অমান্য করার স্পর্ধা কে দিয়েছে তোকে ,, আর এই কান্না করতেছিস কেন শরীর দেখাতে পারিস নি তাই।
বুশরা রাহির হাত ছিটকে সরিয়ে দিল,
কে আপনি আমার যে আপনার কথা শুনতে হবে ? ভালোবাসেন আমায় ??
কি হলো চুপ করে আসেন কেন,ও জানি বাসেন না তাই তো ,,তাহলে কেন আমি আপনার কথা শুনবো ।
আপনি একবার বলেন আপনি আমায় ভালোবাসেন আমি সব কথা শুনবো আপনার কোন কথা অমান্য করবো না।
রাহি: শুনতে হবে না আমার কথা তুই তোর নিজের মতো থাক কিছু বলবো না।
বুশরা : আমার চোখের সামনে আর আসবেননা যত দিন না আমাকে বলতে পারছেন ভালোবাসার কথা।
চোখের সামনে আসবেন না,, কথাটা কর্নপাত হতেই বুকের ভিতর হাহাকার করে উঠলো রাহির ,, পায়ের নিচের মাটি টাই সরে গেছে তার ,,তার জীবনের সব সুখ হারিয়ে গেছে এমন মনে হচ্ছে ।যাকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসে তাকে বলতে পারছে না ভালোবাসি ।এর থেকে কষ্টের আর কি হতে পারে।
রাহি: তোর চোখের সামনে আসবো না নিজের মতো থাক,,বলেই চলে গেল বুশরার রুম থেকে
বুশরা রাহির যাওয়ার পানে চেয়ে আছে ,,বললো ভালোবাসি বলতে পারছো না আবার অধিকার দেখাচ্ছো । বলেই তাচ্ছিল্যের হাসি দিল।
,, রাহি তাড়াতাড়ি করে বাসা থেকে বের হয়ে আসতেই তৌফিক বাসায় আসলো ,,
তৌফিক: কোথায় যাচ্ছো ভাইয়া।?
রাহি: ম্যারিল্যান্ড এ থাকবো এখন থেকে আর নুর কে বলিস না আমি কোথায় আছি।ওকে দেখে রাখিস। আর কিছু বলবি না আমার নুর কে ওর মতো থাকতে দে ,,
বলেই তাড়াতাড়ি করে চলে গেল।
এই দিকে বুশরার কন্না করতে করতে ফ্লোরে বসে পড়লো,, মনে মনে বললো,, আমার দিকে সবাই তাকিয়ে ছিল বলে সবার সামনে থাপ্পড় দিলে ,,
কিন্তু এক বারো বললে না , ভালোবাসো !
কেন রাহি ভাইয়া কেন??
তোমার থাপ্পড় এতো টাও কষ্ট দেই নি যত টা তোমার চুপ করে থাকা আমাকে দিচ্ছে,,
তৌফিক বুশরার দরজার সামনে এসে ডাকলো,,
বুশরা !!
তৌফিক আবার ডাকলো,,বনু দরজা টা খুলে দে , টেনশন হচ্ছে তো আমার খুলে দে ।
বুশরা : আমি ঠিক আছি ভাইয়া। একটু একা থাকতে দেও ,,
তৌফিক: তোর সঙ্গে কথা আছে ,,
বুশরা : আমি ফ্রেস হয়ে যাচ্ছি।
বুশরা ওয়াশ রুমে গিয়ে সাওয়ার অন করে ফ্লোরে বসে পড়লো,
মনে মনে বললো,,
আমি আর তোমার কাছে শুনতে চাইবো না ভালোবাসার কথা আর না । আমি আর তোমায় নিয়ে ভাববো না।যত দিন না তুমি আমাকে নিজের ভালোবাসার কথা বলবে আমি আর জোর করবো না।।
বুশরা অনেক ক্ষণ পর ফ্রেস হয়ে। তৌফিক এর রুমে গেলো ।
বুশরা: ভাইয়া আসবো?
তৌফিক: আয়..বস এখানে।
বুশরা তৌফিক এর পাশে বসলো ।
তৌফিক: রাহি কে তুই ভালোবাসিস?
বুশরা আজ প্রথম তৌফিক এর মুখে রাহি নাম শুনে বেশ অবাক হলো কারণ তৌফিক সব সময় ভাইয়া বলে ডাকে।এমন প্রশ্নে অবাক এর চরম পর্যায়ে চলে গেল সে,,
বুশরা : আসলে ভাইয়া আমি ,,
তৌফিক: বড় ভাই মানিস তো আমায় বড় ভাই হিসেবেই জিঙ্গেস করছি,,ভালোবাসিস কি না?
বুশরা : হুম বাসি । কিন্তু রাহি ভাইয়া তো আমাকে ভালোবাসে না।
তৌফিক: যদি তোকে বলা হয় পরিবারকে ছেড়ে সারাজীবন রাহি এর সঙ্গে থাকতে পারবি?
বুশরা : হুম পারবো ।
তৌফিক: ভেবে বলছিস তো ।যদি আব্বু আম্মু মেনে না নেয়। তখন কিন্তু তাদের বীপরিত এ গিয়ে রাহি এর সঙ্গেই তোকে থাকতে হবে।
বুশরা : আমি পারবো ভাইয়া। আর দেখো আম্মু আব্বু মেনে নিবে।তারা তো রাহি ভাইয়াকে আমার থেকে বেশি ভালোবাসে।আমি যে বড্ড ভালোবাসি তাকে । কিন্তু সে যে আমায় বাসে না ।
তৌফিক: ঠিক আছে । আল্লাহ উপর ভরসা রাখ ।যা হয় ভালোর জন্য হয় ।
বুশরা : হুম।
তৌফিক: যাকে ভালোবাসিস তার কথা অমান্য করলি কেন?
বুশরা : আমি তো বুঝি নি এতো টা রেগে যাবে । আর আমি ইচ্ছে করেই অমান্য করছি কারণ রাহি ভাইয়া আমাকে ভালোবাসে না।
তৌফিক: ভালোবাসে কিনা তা পরের কথা । তুই তো বাসিস তাহলে তার কথা অমান্য করছিস কেন ।
বুশরা : আর করবো না। আমি এখনি রাহি ভাইয়াকে সরি বলবো । রাহি ভাইয়া কোথায়…
তৌফিক: তুই তোর চোখের সামনে আসতে নিষেধ করেছিস তাই চলে গেছে ।
বুশরার বুকে চাপা কষ্ট হচ্ছে,, কোথায় গেছে ?
তৌফিক: জানি না। আর হ্যাঁ এখন তুই ভাইয়ার জন্য টেনশন করিছিস যখন চলে যেতে বললি এক বারো ভাবলি না নিজের কথা।
বুশরা: আমি জানতাম না সত্যিই চলে যাবে
তৌফিক:ভাইয়া কোথায় আমি জানতে পারলে আমি তোকে বলবো । এখন খেয়ে ঘুমাতে যা।
বুশরা : আচ্ছা।
এইদিকে রাহি আজকে বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়ছে বাইক রাইড করছে হাই স্পিড এ যে কোন সময় এক্সিডেন্ট হয়ে যেতে পারে ,,
আর ভাবছে ,,,
তোকে একটা মুহূর্ত না দেখে থাকতে পারি না আর সেই তুই কিনা আমাকে দুরে সরে দিচ্ছিস,,
আমি জানি তুই আমার কাছ থেকে ভালোবাসি শুনতে চেয়েছিস কিন্তু,,এইটা ঠিক সময় নয় তোকে আমার মনের কথা বলার। এক মাসে এতো অধৈর্য হয়ে গেলি । এতো ভালোবেসে ফেলেছিস আমায় যে ভালোবাসি কথা টা শোনার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিস। কিন্তু আমি যে তোকে বড্ড ভালোবাসি আজ থেকে না সেই ৯ বছর বয়স থেকে। কিন্তু আমি তোকে ভালোবাসার কথা বললে তোর অনেক ক্ষতি হবে রে । আমাদের তো আর শত্রুর অভাব নেই। বলেই আরো স্পিড এ বাইক রাইড করছে।
রাহি লুকিং গ্লাস এ দেখলো দুই টা গাড়ি তাকে ফলো করছে । রাহি অস্ফুট হেঁসে বাইক নিয়ে উল্টো পথে জঙ্গলের দিকে নিয়ে গেলো ।
রাহি মুখে সেই মুখোশ,, হাতে হান্ড গ্যাভস্ পরনে লং কোর্ট,,
চিরচেনা সেই মুখোশ এর আড়ালে ব্রাউন রঙের মনি বিশিষ্ট এক জোড়া চোখ,,
রাহি বাইক থামিয়ে নেমে আসলো ,, সঙ্গে সঙ্গে দুই গাড়ি থেকে নেমে আসলো প্রায় দশ থেকে বারো জন । রাহি পকেট থেকে বুলেট ভর্তি বন্দুক বের করে তাদের দিকে তাকিয়ে অস্ফুট হেঁসে একে একে কারো পায়ে কারো হাতে বন্দুক চালালো । এরি মধ্যে একজন রাহির দিকে বন্দুক তাক করে তার দিকে বন্দুক চালায় ,রাহি সরে যেতেই বন্দুক টা কোন রকম গুলি অন্য দিকে চলে যায় ।এরি মধ্যে ক্যাভেন হ্যাভেন এসে লোক গুলোকে করিডরের অন্ধকার রুমে নিয়ে গিয়ে। তাদের কে উল্টো করে ঝুলিয়ে দেয় ।
শুধু যে লোকটি রাহির দিকে বন্দুক চালিয়েছিল সে বাদে।
রাহি নিজের মুখোশ খুলে ফেলল,, হাতে একটা চাকু নিয়ে,, লোকটিকে বললো ,
কোন হাত দিয়ে বন্দুক চালিয়েছিলি,,
লোকটি ভয়ে কেঁপে উঠলো,,
রাহি আবার বললো কোন হাত দিয়ে বন্দুক চালিয়েছিলি , লোকটা হাত বাড়িয়ে দিলো,
রাহি বললো ,, তোরা হয়তো আমাকে চিনতে পারিস নি, তোরা জানিস আমি রায়হান আহমেদ রাহি কিন্তু আমার আর একটা পরিচয় আমি গ্যাংস্টার লিডার তাজোয়ার,,
সবাই ভয়ে চুপসে গেল,,
যার ভয়ে পুরো আমিরিকা শহর কেঁপে উঠে তাকে কিনা তারা মারতে চেয়েছিল,,
লোকটি ভয়ে ভয়ে,, আমাকে ক্ষমা করে দিন ,বস ।।
রাহি : ইউ ফাকিং বি*চ ,,আমাকে বস বলার সাহস কে দিয়েছে তোকে ।রাহির চোখ অতিরিক্ত লাল হয়ে গেছে,,
হাত টা টেবিলে রাখ ,,
লোকটি হাত টেবিলে রাখলো ,, রাহি লোকটির হাতের চাকু বসিয়ে দিলো,, লোকটি চিৎকার করে উঠল,
রাহি: চুপ,, আমার সামনে চিৎকার করবি না। না হলে এর ফল ভালো হবে না।
রাহি এইবার চাকু দিয়ে লোকটার চোখ দুটো টে আঘাত করলো ,
সঙ্গে সঙ্গে লোকটা গোঙাতে লাগলো। রাহি এই বার ভ্যাভেন ও ক্যাভেন কে বললো ,
ম্যাক্সি হ্যাক্সি কে নিয়ে আসতে ,,
কিছু ক্ষণের মধ্যেই ম্যাক্সি ও হ্যাক্সি রাহির সামনে এসে রাহির কাছে গিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরলো। তারপর তাদের দুই পাশে বসে পরলো,।
লোকটি রাহির কাছে এগিয়ে বলতে , লাগলো এই ভাবে বেঁচে থাকার থেকে আমাকে মেরে ফেলুন।
রাহি ক্যাভেন কে বললো লোকটার মুখে এমন ভাবে মারতে যেন কথা না বলতে পারে ।
ক্যাভেন তাই করলো ,, লোকটার মুখ দিয়ে অতিরিক্ত রক্ত বের হতে লাগলো।
রাহি : লোকটা কে জঙ্গল এর বাহিরে দিয়ে আসতে ।
সামনে থাকা লোক গুলো রাহির কাছে অনুরোধ করতে লাগলো,তাদের ছেড়ে দেওয়া জন্য কিন্তু রাহি ক্যাভেন কে ইশারা করতেই ক্যাভেন তাদের দড়ি গুলো খুলে দিলো।
রাহি এই বার উঠে ,,হ্যাক্সি ও ম্যাক্সি কে বললো ,,,
কাউকে জীবিত রাখবি না।
হাক্সি ও ম্যাক্সি জিহ্বা বের করলো,,ঘেউ ঘেউ করতে লাগলো,,
ক্যাভেন লোক গুলোকে ক্যারেন্ট এর শক দিলো ।
একটা লোক রাহির কাছে অনুরোধ করতে লাগলো,, আমাকে ছেড়ে দিন।
রাহির এই কথা কর্নপাত বিরক্ত হলো , সঙ্গে রেগেও গেলো।
রাহির হাতে একটি ছোট্ট কুড়াল এগিয়ে দিল হ্যাভেন। সেই কুড়াল টা রাহি সামনে থাকা ব্যক্তিটির মাথা বরাবর ফিকে মারলো । সঙ্গে সঙ্গে তার মাথা দু ভাগ হয়ে মগজ বরিয়ে এলো । রক্ত ছিটকে পড়ল চারিদিকে।
রাহি আর এক মুহূর্তও সময় নষ্ট না করে বেরিয়ে গেল,, সঙ্গে ক্যাভেন হ্যাভেন ও বেরিয়ে এলো ।
রাহি বেড়িয়ে আসতেই , ম্যাক্সি ও হ্যাক্সি হিংস্র পশুর মত লোক গুলোর উপর ঝাঁপিয়ে পড়লো ।
প্রায় ঘন্টা খানেক করিডরের দরজা খুলে দিলো গার্ড রা । ম্যাক্সি ও হ্যাক্সি বেড়িয়ে চলে যেতেই।
সেই লাশ গুলোকে নদীতে নিয়ে গিয়ে ফেলে দেওয়া হলো ।
এই নদীতে একটা অনেক পুরোনো কুমির আছে ,সেই কুমিরকেও রাহি কোন ভাবে পোশ মানিয়ে রেখেছে । শুধু রাহি ছাড়া নদীর আশে পাশে কেউ যায় না। সব দিন একটা নির্দিষ্ট সময় সেই নদীতে গার্ড এর ম্যাধ্যমে মৃত্যু পশু ফেলে দেওয়া হয়।
এই সবের সঙ্গে রাহি নিজেকে কখনো জড়াতে চায় নি , কিন্তু তৌফিক কে আর নিজের আত্ম রক্ষার জন্য এই কাজ গুলো তাকে করতে হয়েছে ।
না হলে মানুষ খুন করার মতো কাজ সে কখনোই করতো না।
এই আমিরিকা তে আজ সব থেকে পাওয়ায় ফুল ব্যক্তি সে , রয়েল গ্যাংস্টার লিডার তাজোয়ার।
কিন্তু সে জীবনে খুন করেছে এই নিয়ে দুই বার ।
শুধু তাকেই মেরেছে যারা তাকে মারতে চেয়েছে ।
রাহি হাতের দিকে তাকিয়ে বললো,, এই নিয়ে আমি দুই জন লোক কে খুন করলাম। তিন নম্বর ব্যক্তি টা আনোয়ার হোসেন হবে ।
রাহি নিজের হাতে খুন করেছে দুই বার ,, সব সময় গার্ড রা গুলি করেছে আর না হ্যাক্সি ম্যাক্সি হিংস্র পশুর মত তাদের হত্যা করেছে ,নয়তো নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
তৌফিক এর কথার আগেই বন্দুক চলে কিন্তু রাহি মানুষ কে খুন করে কম যন্ত্রণা দেয় বেশি ।তার প্রমাণ আজকের এই লোকটি যে নিজের মৃত্যু চাইছে । যার চোখ রাহি উপড়ে ফেলেছে, যার কথা বলার ক্ষমতা নেই ।
রাহির অবস্থান এখন ম্যারি প্যালেস এ নিজ কক্ষে।
রাহি সাওয়ার নিয়ে বরিয়ে এসে ,, ফোন টা হাতে নিয়ে বুশরার ছবি দেখতে লাগলো,,
জানপাখি তোকে না দেখে কি করে থাকবো আমি ।এক বারো কি ভেবেছিস তুই ?পারবি আমাকে না দেখে থাকতে !!
এরি মধ্যে ক্যাভেন খাবার নিয়ে এলো ,,
বস , আপনার খাবার?
রাহি : আমার খিদে নেই নিয়ে যাও ।আর তোমাদের এখানে থাকার দরকার নেই।
বাসায় চলে যাও । তৌফিক আর বুশরার খেয়াল রেখো।
ক্যাভেন : ওখানে হ্যাভেন গেছে । আমি এখানে থাকি ।
রাহি : থাকো কিন্তু খাবার টা নিয়ে যাও ।
ক্যাভেন খাবার টা নিয়ে চলে গেল।
সে আমার হৃদয় হরণী পর্ব ১৮
এইদিকে বুশরা না খেয়েই শুয়ে পড়েছে । রাহির কথা বড্ড ভাবাচ্ছে তাকে ।
ফোন টা হাতে নিয়ে দেখলো রাহির নম্বর নেই ।আর ফেসবুক এ কোন প্রোফাইল নেই ।
বুশরার বুকের এক চাপা কষ্ট অনুভব হলো ।
রাহির কোন ছবিও নেই তার ফোন থাকবে কি করে ফোন টা কিনছে তো কয় দিন আগে ।
বুশরার নিজের উপরই রাগ হলো । বুশরা তৌফিক এর কাছে রাহির নম্বর নিতে চাইলো কিন্তু,,না
মনে মনে ভাবলো,, ভাইয়া কি ভাববে ।।
অনেক কষ্ট করে ঘুমানোর চেষ্টা করছে সে ।।