সে আমার হৃদয় হরণী পর্ব ২০

সে আমার হৃদয় হরণী পর্ব ২০
বুশরা আহমেদ

,আজ প্রায় চার দিন হচ্ছে রাহি নিউইয়র্ক এর বাসায় আসে নি। কিন্তু সে সব সময় বুশরার খোঁজ খবর নেয় ।
বুশরার একটুও ভালো লাগছে না। সে বাইক রাইড শিখার জন্য ক্লাব এ ভর্তি হয়েছে। এইতো দুই দিন আগে এলিন এসে তাকে নিয়ে গিয়েছিল।
বুশরার খুব ইচ্ছে করছে রাহির সঙ্গে দেখা করতে।
এই দিকে তৌফিক খেয়াল করছে বুশরা এই চার দিন এ মাত্র একদিন ইউনিভার্সিটিতে গিয়েছে ।
তৌফিক আর বুশরা এক সঙ্গে ব্রেকফাস্ট করছে ।
তৌফিক: বনু এই কয়দিন তুই ভার্সিটিতে যাচ্ছিস না,, ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করছিস না ।।
বুশরা : ভাইয়া,আসলে এমনি যাই নাই ।
তৌফিক: ভাইয়াকে মিস করছিস ।
বুশরা নিশ্চুপ।
তৌফিক: ভাইয়া এর সঙ্গে দেখা করতে যাবি?
বুশরা: রাহি ভাইয়া কোথায় আছে ?
তৌফিক: তোকে নিয়ে যাবো।
বুশরা : ওকে ভাইয়া।
তৌফিক আর বুশরা এক সঙ্গে বেরিয়ে পরলো ।
তৌফিক বুশরাকে ভার্সিটিতে নামে দিয়ে তারপর তার অফিসে গেলো ।
বুশরার মন টা আজকে একটু হলেও ভালো।

বুশরা তাড়াতাড়ি করে কলেজ শেষ করে বাসায় এসে,, ফোন টা রাখতেই একটা মেসেজ চোখে পরলো ,, মেসেজটা দিয়েছে বুশরার এক সৎ মামাতো ভাই।বুশরার থেকে বয়েসে ছোট।
বুশরা তাকে সেই ছোট্ট বেলায় দেখেছে এখন আর দেখেনি।
চলে যাওয়া যাক কিছু আগের ঘটনায় । বুশরার সবে মাত্র এইসএসসি পরিক্ষা শেষ।
হুট করেই তার সঙ্গে কথা হয় ‌তার মামাতো সেই ভাইয়ের সঙ্গে। মাঝে মাঝেই কথা হতো।একসময় সে বুশরাকে ভালোবাসি বললে বুশরাও রাজি হয়ে যায় । আবেগ থেকে ,,বুশরার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল এইটা ।
একসময় ঐ ছেলে বুশরাকে বিভিন্ন ভাবে অপমান করে ‌ । বুশরার সহ্য হয় না। তখন বুশরা সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসে ‌ ।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

কিছু দিন যেতে না যেতেই সে বুশরা কে বিভিন্ন ভাবে ব্ল্যাকমেইল করতে থাকে ।এই সব বুশরার মানসিক যন্ত্রণা দেয় ‌।বুশরা এই সব কারণে কোন কিছুই ভালো লাগে না।যত চায় সব কিছু এড়িয়ে চলতে তত যেন সব কিছু তাকে তাড়া করছে ।না পারে নিজের যন্ত্রণার কথা না পারে । সহ্য করতে।
বুশরা কি করবে বুঝতে পারছে না। বুশরা ওয়াশ রুমে গিয়ে নিজের ইচ্ছে মত কান্না করতে লাগলো।
এরি মধ্যে তৌফিক বাসায় আসলো । বুশরা রুমে আসতেই দেখলো বুশরা রুমে নেই । ওয়াশ রুম থেকে বুশরার কান্না ভেসে আসতেই তৌফিক ঐ দিকে যেতে লেগে তার পায়ের কাছে বুশরার ফোন টা পরে থাকতে দেখলো ।
তৌফিক ফোন টা হাতে নিতেই,, শক খেলো ,,
যেখানে লেখা ,,

“” Hi jan ,,tomar sob pic amar kase ase !
বুশরা কান্না দেখে তৌফিক এর বুকের ভিতর হাহাকার করে উঠলো। তার বনুকে সে কখনো কাঁদতে দেখি নি এই ভাবে ।
বুশরা ওয়াশ রুমে গিয়ে ব্লেট নিলো , কয়েকবার হাত কেটেও ফেললো।
তৌফিক তাড়াতাড়ি করে ওয়াশ রুমে গিয়ে বুশরার হাত থেকে ব্লেট টা নিয়ে।
বুশরা কি হয়েছে বনু ।
বুশরা : ভাইয়া আমি জীবনে এতো ভুল কেন করেছি । যাকে আমি ভালোবাসি সে আমাকে ভালোবাসে না আর যাকে আমি সহ্য করতে পারি না সে সব সময় আমাকে ব্ল্যাকমেইল করেই‌ যাচ্ছে। আমি মানছি আমি তাকে আবেগ এর কারণে বলেছিলাম ।আমি ভুল করেছি ভাইয়া।
তৌফিক বুশরাকে আগলে নিলো ।
কিন্তু বুশরা কিছুতেই শান্তি পাচ্ছেনা। বুশরা হাত দিয়ে এখনো রক্ত পরছে ।
তৌফিক তার বনুকে সামলাতে পারছে না আর ।তাই রাহি কে ফোন করলো,,
রাহি: কি হয়েছে বারবার ফোন দিচ্ছিস কেন?

তৌফিক: ভাইয়া বনুকে আর সামলাতে পারছি না। তাড়াতাড়ি আসো ,,বনু সুইসাইড করতে চাচ্ছে।
রাহির পায়ের তলা থেকে যেন মাটি সরে যাচ্ছে। রাহি তাড়াতাড়ি ফোন কেটে ,, বাইক নিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাসায় আসার জন্য বাইক রাইড করছে ।
বুশরা একটুতেই খুব বেশি টেনশান করে ।সব কিছু তেই ভেঙ্গে পরে ‌।
রাহি এতোক্ষণ কনফারেন্স রুমে বসে,,প্রায় ১০ কোটি টাকার ডিল করছিল। কিন্তু এই খবর শোনার পর রাহি আর এক মুহূর্তও দেরি করে নি ।
এই দিকে বুশরা এখনো কান্না করছে ‌।আমি তোমার বোন হয়ে কি করে এতো বড় ভুল করলাম কি করে যার ফল আজকে আমাকে এই ভাবে ‌।
তৌফিক: তুই শান্ত হ্ বনু । তুই আল্লাহ কে ভালোবাসিস তো । তুই আল্লাহ কে বিশ্বাস করিস তো??
বুশরা : আমি কি করবো ভাইয়া এই মানসিক যন্ত্রণা আমি আর সহ্য করতে পারছি না।
আমার তো মরে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই।

তৌফিক বুশরা কে জড়িয়ে ধরে বললো এই রকম কথা বলিস না বনু। আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখ ।
বুশরা :ভাইয়া রাহি ভাইয়া কী আমাকে ভুল বুঝবে ‌ ।
তৌফিক: না বনু । একটু শান্ত হ্ ‌।
বুশরা:আমি সত্যি ভালো বাসি না ঐ ছেলে কে ‌আমি ভুল করছি ভাইয়া। আমাকে মাফ করে দাও।
বোনের এতো কষ্ট তৌফিক আর সহ্য করতে পারলো না।
তৌফিক: ঐ জানো..য়ার এর বাচ্চার সাহস হয় কী করে।
বুশরা : আর সহ্য করতে পারলো না ।সামনে থাকা বড় আয়না টা ভেঙ্গে ফেললো ।
তৌফিকের বুশরার এমন অবস্থা দেখে বুক ফেটে কান্না করতে ইচ্ছে করছে,,মনে মনে বললো, সারাজীবন ভেবেছি যে হয়তো ভাইয়া বেশি কষ্ট পেয়েছে ‌। কিন্তু তুই যে আরো কষ্ট পাচ্ছিস বনু ।এই মানসিক চাপ তুই কি করে সহ্য করছিস ‌ ।

এরি মধ্যে রাহি বাসায় এসে বুশরার রুমে এসে,ডাকলো নুর!!
বুশরা পিছনে ফিরে তাকালো ,, বুশরার হাত থেকে রক্ত পরছে।
রাহির চোখে মুখে চিন্তার ছাপ , চুল গুলো এলোমেলো হয়ে আছে । চোখের কোণে পানি চিকচিক করেছে।
তৌফিক রাহির হাতে ফোনটা দিলো ।রাহি ফোনের দিকে তাকিয়ে ম্যাসেজ টা দেখে , ফোন টা এক আচাড় মেরে ভেঙ্গে ফেললো।
বুশরা ভয়ে কেঁপে উঠলো।
তৌফিক; ভাইয়া শান্ত হও। বনুর হাতের দিকে দেখো । তুমিও যদি এমন করো ।তাহলে কি করে ভবে বনুকে সামলাও ।

বুশরার যতটা না কষ্ট হচ্ছে রাহির হচ্ছে তার থেকে হাজার গুণ বেশি।
তৌফিক চলে গেল।
রাহি বুশরার সামনে গিয়ে দাঁড়াতেই বুশরা রাহিকে জরিয়ে ধরে।কান্না করতে লাগলো।
বুশরা : আমি অনেক বড় ভুল করে ফেলেছি রাহি ভাইয়া। আমাকে তুমি মাফ করে দাও।
আমি সত্যি বলছি ঐ ছেলেকে আমি ভালোবাসি না।
রাহি: তাহলে ওর কাছে ঐ ছবি গেলো কেমন করে ??
বুশরা : একটা সময় আমি ভালোবাসতাম কিন্তু,,পরে সে যখন আমাকে অপমান করেছে আমার মা বাবাকে অপমান করেছে । আমি বুঝতে পেরেছি কিন্তু আমি বুঝি নি আমাকে এই ভাবে ব্ল্যাকমেইল করবে ।
রাহি: তোর কি একবারো মনে হলো না ছোট আব্বু আম্মু এর কথা ।এত বড় ভুল করে ফেললি নুর। তুই যে সব সময় বলিস ভালোবাসিস আমায় । এইটাও তো তোর ভুল হতে পারে।
বুশরা : না রাহি ভাইয়া আমি এই তিন মাসে তোমাকে খুব ভালো করে বুঝেছি আর আমি সত্যি তোমাকে ভালোবাসি ।

রাহির রাগ উঠছে অনেক কিন্তু বুশরার কথা ভেবে কিছু বলতে পারছে না।
বুশরা রাহিকে এখনো জড়িয়ে ধরে আছে ।
বুশরা : রাহি ভাইয়া আমি কি খুব খারাপ আমাকে কি ভালোবাসো না তুমি। আমি কী তোমার যোগ্য না।
রাহি: নুর, হাত টা কেটেছিস কেন?
রাহি অনেক শান্তভাবে জিঙ্গেস করলো। এ জানো ঝড় উঠার আগে শান্ত পরিবেশ।
বুশরা নিশ্চুপ,,
রাহি: আমার থেকে ঐ ছেলের মূল্য কি অনেক বেশি??
বুশরা: কখনো না ।ঐ ছেলে কে আমি ভালোবাসি না কত বার বলবো। আমি ভুল করে ফেলেছি অনেক।
রাহি বুশরার দিকে তাকিয়ে আর কিছু বললো না। কিন্তু রাহির চোখে মুখে রাগ স্পষ্ট।
রাহি বুশরাকে সোফায় বসে দিলো ।হাতে ব্যান্ডেজ করে দিলো ।
বুশরা: আমাকে মাফ করে দাও রাহি ভাইয়া?
রাহি: আমার কাছে কী তুই অন্যায় করেছিস নুর?

বুশরা: হুম করেছি আমি না বুঝে অনেক অন্যায় করে ফেলেছি। কিন্তু বিশ্বাস করো আমি বুঝি নি।
রাহি: আমি মাফ করার কে নুর! মাফ চাইতে হলে আল্লাহ এর কাছে চা ‌। তুই কী করে ঐ ছেলে কে ভালোবাসলি নুর যাদেরকে তুই পছন্দ করিস না। ছোট আম্মু আব্বু ও তাদের পছন্দ করে না।তাকে তুই কি করে ভালোবাসলি?
বুশরা: আমি ভালোবাসি না রাহি ভাইয়া,,আমি তোমাকে ছাড়া কাউকে ভালোবাসি না কাউকে না।
রাহি : কান্না থামা ।ফ্রেশ হয়ে নামাজ পর । রাহি বুশরার হাতে ব্যান্ডিজ করে দিয়ে ।চলে গেল।
এই দিকে বুশরার রাহির কথা মতো ফ্রেস হয়ে মাগরিবের নামাজ এ বসলো ।
এতদিন যখনি তার কষ্ট হয়েছে তখনি সে আল্লাহর কাছে কান্না করেছে । আল্লাহ ছাড়া যে তার কেউ নেই ।
নামাজ শেষে মুনাজাতে বুশরা অনেক কান্নাকাটি করছে ।

বুশরা :
” আল্লাহ আমি কেন বার বার ভুল করি । কেন? আমি বার বার অন্যায় করে তোমার কাছে তওবা করি । আবার একই ভুল করি। তুমি ছাড়া আমাকে কেউ বুঝে না কেউ না। তুমি তো জানো আমি রাহি ভাইয়াকে কতটা ভালোবাসি,, আমি জানি আমি ভুল করেছি আমায় মাফ করো আল্লাহ। রাহি ভাইয়া আমার জন্য সঠিক মানুষ আমি জানি ‌ । তুই আমার মনের ইচ্ছে গুলো জানো । আমি পাপ করে ফেলেছি আল্লাহ,আমি চাই না আর কোন পাপ করতে আমি ভুল করেছি ।
আমার নিজের বলতে তো তুমি আল্লাহ তুমি তো একমাত্র আমার সব কথা বোঝ । আমি একটু ভালো থাকতে চাই আল্লাহ। বলেই কান্না করতে লাগলো।,, রাহি ভাইয়াকে আমি বড্ড ভালোবাসি,রাহি ভাইয়া যদি আমার জন্য সঠিক হয় তুমি তাকে আমার জীবনে দিয়ে দেও আল্লাহ।আমার চলার পথ তুমি সহজ করে দেও আল্লাহ।”
রাহি বুশরার কথা গুলো শুনলো ,,

রাহি বুশরার কষ্ট গুলোকে বুঝে , এই কয়টা টা বছরে কতনা কষ্ট পেয়েছে সে । ভাবতেই বুকের ভিতর হাহাকার করে উঠলো রাহির।
রাহি নিজের রুমে সোফায় বসে আসে। তৌফিক আসলো ।
তৌফিক: ভাইয়া?
রাহি: হুম, কিছু বলবি?
তৌফিক: কি ভাবছো বনুর কথা?
রাহি : তোর বনুকে কি আমি কম ভালোবাসি?
তৌফিক: কখনো না।
রাহি: আমার ভুল হয়েছে জানিস,, নুর কে আমি আমি নিজের কাছে রাখতে পারি নি ‌ । আমি এই ১৭ টা বছর নুর কে ভালোবাসে গেলাম। আর নুর এমন একজন কে ভালোবাসলো যে কিনা তাকে ব্লাকমেইল করে ‌ । ঐ ব্যা*স্টার টাকে আমি জ্যান্ত পুঁতে দিবো ।
তৌফিক: শান্ত হও ভাইয়া। তুমি তো জানো বনু এক মাত্র তোমাকে ভালোবাসে । আবেগ এর বসে বার বার ভুল করে গেছে ।

রাহি: আবেগ । আবেগ এর বশে এর আগেও ভুল করেছে ।একবার ভুল করলে মানুষ বোঝে কিন্তু নুর তো বার বার ভুল করেছে। ভুল তো নুরের না । ভুল আমার আমি নুরকে আগলে রাখতে পারি নি।তাকে নিজের করতে পারি নি। এই দেখ নুর আমার চোখের সামনে আছে ঠিকই কিন্তু আমি তার প্রতি কোন অধিকার দেখাতে পারি না।
তৌফিক: ভাইয়া আমি তো জানি বনুকে তুমি ছাড়া কেউ ভালো রাখতে পারবে না। তোমার মতো করে বনুকে কেউ ভালোবাসবে না ।
রাতে বুশরা না খেয়েই নিজের রুমে বসে আছে । রাহি আসলো বুশরার রুমে।
বুশরা শুয়ে আছে , রাহি এসে বুশরার পাশে বসলো ,,
বুশরা বুঝলো কিন্তু কিছু বললো না।
রাহি: আমাকে ভালোবাসিস ?
বুশরা: নিশ্চুপ।

রাহি : আমাকে যদি ভালোবাসিস ।তাহলে আমার জন্য নিজেকে সব কিছু থেকে দুরে সরে রাখ নুর। সব সময় মনে রাখার চেষ্টা কর আমি ব্যতিত অন্য কোন পুরুষ তোর জন্য হারাম। নিজেকে একটু ভালো রাখ ।
বুশরা উঠে রাহি কে জরিয়ে ধরে বললো ,আমি শুধু তোমাকে ভালোবাসি রাহি ভাইয়া শুধু তোমাকে ‌ ।
রাহি:তুই চিন্তা করিস না নুর। আমাকে একটু সময় দে । ততদিন সবকিছু থেকে দূরে থাক ।
বুশরা: কিছু বললো না।
রাহি বলেই চলে গেল।
পরেরদিন সকালে রাহি আর তৌফিক তাড়াতাড়ি করে অফিস এ চলে গেছে । বুশরা এখনো ঘুমে আচ্ছন্ন।
অনেক ক্ষণ পর বুশরা উঠে ফ্রেশ হয়ে নিচে গেলে ভ্যাভেন বুশরা কে বলে তৌফিক আর রাহি অফিস এ চলে গেছে ।
এরি মধ্যে এলিন এলো ।

এলিন: Good morning Bushra,,
বুশরা: Good morning আপু ।
এলিন: আজকে থেকে তোমার বাইক রাইড এর প্র্যাকটিস শুরু। তুমি রেডি তো ।
বুশরা: হুম রেডি ।
ভ্যাভেন: কোথায় যাচ্ছেন ম্যাম ।
বুশরা: আমি আপনার থেকে অনেক ছোট আমাকে তুমি করে বলেন । আর ম্যাম না বুশরা করেই বলেন । আমি আপনার বোনের মতো।
ভ্যাভেন: ওকে। কোথায় যাচ্ছো??

বুশরা: রাহি ভাইয়া যদি ফোন করে জানতে চায় তাহলে বলো । এলিন আপুর সঙ্গে বেরিয়েছি।
বুশরা আর এলিন গন্তব্যে পৌঁছে গেলো । সেখানে আগে থেকেই একজন কোর্স উপস্থিত ছিলেন। বয়স বেশি না ৩৫ থেকে ৩৭ বছর । গায়ের রং ফর্সা।দেখেই বোঝা যাচ্ছে আমিরিকান ।
কিছুক্ষণের মধ্যেই বুশরা কে বিভিন্ন স্টেপ শিখিয়ে দিলো । বুশরা একদিনে ভালোই শিখেছে । সব কিছ। অনেকটাই আয়োত্তে নিয়ে এসেছে ।

সে আমার হৃদয় হরণী পর্ব ১৯

এলিন: তুমি খুব তাড়াতাড়ি সব কিছু শিখে যাচ্ছো ।এই ভাবে তুমি খুব তাড়াতাড়ি বাইক রাইড শিখে যাবে বুশরা ।
বুশরা: Thank you আপু । তুমি না থাকলে আমি তো কখনো এই ইচ্ছে টা পুরোন করতেই পারতাম না।

সে আমার হৃদয় হরণী পর্ব ২১

2 COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here