হাতটা রেখো বাড়িয়ে পর্ব ১৫

হাতটা রেখো বাড়িয়ে পর্ব ১৫
Writer: ইশরাত জাহান সুপ্তি

রাত এগারোটা। শুদ্ধ বসে আছে একটা ল্যাপটপ নিয়ে। তার সামনেই বইয়ের স্তূপ সাজিয়ে বসে আছে ধারা। তার কোলের উপর একটা মোটা বই। বইয়ের গভীরে তার দৃঢ় মনোযোগ। তার খোলা রেশমী কালো চুলগুলো কাঁধ জুড়িয়ে এসে পড়েছে সামনে। সেদিকে ধারার ভ্রুক্ষেপ নেই। শুদ্ধ’র দেখে ভালো লাগলো। যেই স্বপ্নটা ধারাকে নিয়ে সে দেখেছে, সেই স্বপ্নের রেশ ধীরে ধীরে এখন ধারার মনেও সঞ্চারিত হচ্ছে। এতদিনে ধারাও তার পড়াশোনার দিকে ভালোমতোই ঝুঁকে গেছে। মন দিয়ে নিচ্ছে সে পরীক্ষার প্রস্তুতি। শুদ্ধ খানিক গলা খাকারি দিয়ে ধারাকে ডেকে বলল,

‘কি ব্যাপার ধারা? আজকে দেখি আপনি একবারও ঘুমে ঝিমাচ্ছেন না। এতো রাত হবার পরেও!’
ধারা স্মিত হেসে বলল,
‘আজকে আমি দুপুরে ঘুমিয়েছিলাম। আপনি তো আপনার কাজে ব্যস্ত ছিলেন তাই দেখেননি। তাছাড়াও এখন পড়াটা অনেকটাই ধরতে পারছি বলে পড়ে ভালো লাগছে।’
‘এমনভাবেই যদি পড়তে থাকেন না তাহলে দেখবেন আপনি ইনশাআল্লাহ ইউনিভার্সিটিতে চান্স পাবেন।’
‘চান্স পাবো কিনা আমি শিওর বলতে পারছি না। কিন্তু আমার ভয় লাগছে। বাবা আর কাকা এখনও কিছু জানে না। বাবা তো আমাকে আর পড়াতেই চায়নি। একারণেই তো বিয়ে দিয়ে দিয়েছে। আর এখন তাকে না বলেই আমি পড়ালেখা শুরু করে দিয়েছি তার উপর বিভাগ পরিবর্তন করে….না জানি বাবা শুনলে কি করে!’
ধারাকে আশ্বাস দিয়ে শুদ্ধ বলল,

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

‘ধারা, এতো ভয় পাবেন না। আপনি কোন ভুল করছেন না। প্রতিটা কাজের দুটি অংশ থাকে। ঠিক অথবা ভুল। যতক্ষণ আপনার বিবেক জানে আপনি কোন ভুল করছেন না ততক্ষণ তা নিয়ে কখনো শঙ্কিত হবেন না। আপনার বাবাকে আপনি সবটা খুলে বলবেন। আপনাকে আমি পড়ালেখা করাবো। আপনার যতদূর ইচ্ছা আপনি পড়বেন। বলেছি না! সবসময় মনে রাখবেন আমি আপনার পাশে আছি।’
ধারা নানা শঙ্কায় থেকেও একটা ভরসার হাসি দেওয়ার চেষ্টা করলো। শুদ্ধ বলল,
‘একবার ইউনিভার্সিটিতে গেলে এসব কিছুই আর তখন আপনার মনে থাকবে না। ইউনিভার্সিটির লাইফটা যে কি না দেখলে মিস করবেন।’
‘আপনি খুব মিস করেন বুঝি?’
‘হুম। খুব! এতোবছর বন্ধুদের সাথে থাকতে থাকতে বন্ধুগুলা একদম আপনের থেকেও বেশি হয়ে যায়। আমরা যে একসাথে কত আড্ডা মজা করতাম! সেগুলো মনে পড়লে আপনাআপনিই মন ভালো হয়ে যায়। আমার তো অনেকগুলো ফ্রেন্ড ছিল। আপনার কয়জন ফ্রেন্ড ধারা?’
ধারা মনে মনে কিছু ভাবলো। তার আসলে কোন ফ্রেন্ড নেই। এই কথাটা যে শুনে সেই অবাক হয়। এখন এটা শুদ্ধ জানলে নিশ্চয়ই তাকে এ নিয়েও ক্ষ্যাপাবে। এদিকে ধারা মিথ্যাও বলতে চায় না। তাই বলল, ‘আমি বলবো না।’
শুদ্ধ অবাক হয়ে বলল, ‘কেন?’
‘এমনিই।’
‘এমনিই মানে?’
‘এমনিই মানে এমনিই।’

শুদ্ধ ধারার মুখের উপর ঝুঁকে পড়ে সন্দিহান চোখে তাকিয়ে বলল, ‘আপনি কি আমার থেকে কিছু লুকাচ্ছেন?’
শুদ্ধ ঝুঁকে পড়ায় ধারার মাথাও কিছুটা পিছিয়ে গিয়েছিল। শুদ্ধ একদম তার চোখের মধ্যে তাকিয়ে আছে। একটা ঢোক গিলে ধারা কাঁচুমাচু করতে লাগলো। শুদ্ধ যেভাবে ধারার মনের সব কথাই বুঝে যায় না জানি আবার এবারো বুঝে ফেলে। ধারাকে সেই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দিলো লোডশেডিং। হঠাৎ চারপাশ ঘুটঘুটে অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় শুদ্ধ তার ভ্রু কুঁচকানো দৃষ্টি সরিয়ে নিলো। অন্ধকার দেখে চমকে সোজা হতে যেতেই শুদ্ধ’র মাথার সাথে জোরে একটা বারি খেলো ধারা। শুদ্ধ ব্যাথাটা চেঁপে গিয়ে সোজা হয়ে বসলো। অন্ধকারে না বুঝে আবারো সেখান থেকে সরতে গিয়ে আবারো শুদ্ধ’র মাথার সাথে আরেকটা বারি খেলো ধারা। শুদ্ধ এবার বলেই ফেললো,
‘ছোটবেলায় মাথায় শিং গজাবার মজাটাকে আপনি খুব সিরিয়াসলি নিয়েছিলেন তাই না ধারা! আমার মাথায় শিং গজাবার চান্স থেকে বাঁচিয়ে কৃতার্থ করলেন।’
কপালে হাত দিয়ে ডলতে ডলতে ধারা বলল,
‘আপনি এখন খোঁচা না মেরে কোন লাইট নিয়ে আসুন।’

শুদ্ধ গিয়ে নিচ থেকে একটা হারিকেন জ্বালিয়ে নিয়ে আসলো। ধারার সামনে রেখে দিলে আবার বই খুলে পড়তে বসলো ধারা। আর শুদ্ধ ব্যস্ত হলো তার নিজের কাজে। শ্রাবণ মাস চলে যাবার পরপর বৃষ্টিরও বহুদিন হলো কোন হদিস নেই। ভ্যাপসা গরমে বৈদ্যুতিক ফ্যান ছাড়া কোন উপায় নেই। কিছুক্ষণের মধ্যেই গরমে ধারা ঘেমে নেয়ে একাকার হয়ে গেলো। কিছুতেই পড়ায় মনোযোগ ধরে রাখতে পারলো না। শুদ্ধ বলল,
‘কারেন্ট তাড়াতাড়ি আসবে বলে তো মনে হয় না। আজকে আর পড়তে হবে না ধারা। আপনি শুয়ে পড়ুন।’
ধারা গলা থেকে তার নীল রঙের ওড়নাটা একটু আলগা করে একটা খাতা দিয়ে বাতাস করতে করতে বলল, ‘এই গরমের মধ্যে শুয়েই কি হবে! ঘুম তো আর আসবে না। যেই গরম!’
শুদ্ধ খেয়াল করলো আসলেই খুব গরম। রুমের মধ্যে টিকে থাকা মুশকিল। একবার বারান্দা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখে ধারার হাত ধরে টেনে বলল,
‘চলনে বাইরে যাই।’

ধারা কিছু বলার আগেই শুদ্ধ তাকে টেনে নিয়ে বাইরে চলে এলো। বাইরে ভরা পূর্ণিমা। চাঁদের আলো নারকেল গাছের পাতার ফাঁক ফোকর দিয়ে প্রবেশ করে উঠোনে আলো রেখার নকশা তৈরি করেছে। কৃত্রিম আলোর ছুটি হওয়ায় জোৎস্না যেন আজ পূর্ণ রূপে প্রকাশ পেয়েছে। শুদ্ধ রান্নাঘরের বেড়ার গায়ের সাথে টাঙানো একটা শীতল পাটি নিয়ে আসে। তারপর উঠোন পেরিয়ে ধারাকে নিয়ে চলে এলো পুকুর পাড়ে। ধারা অভিভূত হয়ে গেলো। সামান্য চাঁদের আলোও যে কতো সুন্দর হতে পারে এই মুহুর্তে এইখানে না দাঁড়ালে কেউ বুঝতে পারবে না। আকাশের হাজারও তারকারাজির মাঝখানে হীরকখণ্ডের ন্যায় জ্বলজ্বল রত একটা পূর্ণ চাঁদ। যার স্থবির প্রতিবিম্ব পড়েছে পুকুরের স্বচ্ছ জলে। সেই আলোয় উজ্জ্বলতা পেয়েছে পুকুরের মাঝে জন্ম নেওয়া পদ্ম ফুলের দল। আহা, কি সুন্দর!
পাড় ঘেঁষে জন্মানো ঘাসের উপরে শুদ্ধ হাতের শীতল পাটি টা বিছিয়ে দিলো। তার উপরে ধারাকে বসতে বলে নিজেও বসে পড়লো সে। হালকা শীতল হাওয়া বইছে বলে তাদের দুজনেরই প্রাণ জুড়িয়ে গেলো। কিছুক্ষণ চুপচাপ দুজনে জ্যোৎস্না বিলাসের পর শুদ্ধ’ই প্রথমে ডেকে উঠলো,

‘ধারা!’
ধ্যান ভঙ্গ হয়ে ধারা জবাব দিল,
‘হুম?’
‘একটা গান শুনান তো!’
‘আমি গান পারি না।’
‘গান কেউই পারে না। আবার পারে সবাই। কি সুন্দর পরিবেশ দেখেছেন? শুনান না একটা গান।’
ধারা লজ্জা পেয়ে বলল,
‘উহুম! আমারটা ভালো হয় না।’
‘আহা! শুনান না একটা। আপনাকে তো স্টেজে পারফর্ম করতে বলছি না! অতো ভালো হওয়া লাগবে না। আপনি যেমন পারেন গাইবেন। প্লিজ শুনান না একটা গান।’
ধারা বিব্রত হতে হতে বলল, ‘আপনি কিন্তু হাসতে পারবেন না।’
‘আচ্ছা।’
ধারা সামনে তাকিয়ে হালকা কেশে গলা পরিষ্কার করে আস্তে আস্তে গাইতে লাগলো,
‘আমাদের দেশটা স্বপ্নপুরী
সাথী মোদের ফুল কুঁড়ি,
লাল পরী, নীল পরী…..

এতটুকু গাইতেই শুদ্ধ বহু কষ্টে হাসি চেঁপে রেখে হঠাৎ ফস করে হেসে ফেললো। ধারা কপট রাগ দেখিয়ে বলল, ‘আপনাকে কিন্তু আমি বলেছিলাম আপনি হাসতে পারবেন না। আপনি হাসলেন কেন? আমি কিন্তু আগেই বলেছিলাম আমি ভালো গাইতে পারি না।’
শুদ্ধ হাসি থামাতে থামাতে বলল,
‘আপনার গাওয়াতে কোন সমস্যা নেই। সমস্যাটা হলো গানে।’
‘কেন? গানে কি সমস্যা?’
‘এমন একটা সুন্দর পরিবেশে, পাশে এমন একটা হ্যান্ডসাম ছেলে থাকলে যে কিনা সম্পর্কে আপনার হাজবেন্ড হয় সেখানে কি কেউ এমন গান গায়!’
ধারা পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে বলল, ‘তাহলে কেমন গান গায়? আপনিই বলে দিন।’
শুদ্ধ কিছুটা থেমে বলল, ‘আচ্ছা ধারা আপনাকে এই পর্যন্ত কয়টা ছেলে লাভ লেটার দিয়েছে?’
ধারা দ্রুত জবাব দিয়ে ফেললো, ‘একটাও না।’
শুদ্ধ চরম আশ্চর্যের স্বরে বলল, ‘কি বলেন! আপনাকে তো বইয়ের পরিভাষায় সাংঘাতিক সুন্দরীই বলা যায়। আর আপনি কিনা কোন লাভ লেটার পাননি?’

ধারা ভ্রুকুটি করে শুদ্ধ’র দিকে তাকালো। তার ঠিক ছয় ইঞ্চি দূরত্বেই বসে আছে ছেলেটা। গায়ে পাতলা একটা সাদা শার্ট। হাতা কনুইয়ের কাছে ফোল্ড করে রাখা। বাতাসে গোছানো চুলগুলো এলোমেলো হয়ে উঠছে। মুখে একটা দুষ্ট হাসি। যার মূলে আছে শুধু ধারাকে ক্ষ্যাপানো। ধারা গভীর অতীতে ঝাঁপ দিয়ে দেখলো ক্লাস ফোর এ থাকতে তাকে তার স্কুলেরই একটা ছেলে খাতায় আই লাভ ইউ লিখে দিয়েছিল। তা দেখে ধারা সেটাকে নোংরা কথা ভেবে এতোটাই জোরে জোরে কেঁদেছিল যে ছেলেটা হেড মাস্টারের কাছে বিচার যাওয়ার ভয়ে আর কোনদিন ধারার সামনেই আসেনি। কিভাবে যেন এই কথাটা ধীরে ধীরে পুরো স্কুলে ছড়িয়ে যায়। তারপর থেকে প্রাইমারী থেকে হাইস্কুল, সব ছেলেদের মাথাতেই এটা গেঁথে যায় এই মেয়েকে আর যাই হোক প্রপোজ করা যাবে না। তারপর কলেজেও ধারার নিরামিষ মার্কা স্বভাবের জন্য সব ছেলেরা তার থেকে দূরে দূরেই থাকতো। একারণেই হয়তো আজ পর্যন্ত তার কাছে কোন লাভ লেটার আসেনি। কিন্তু এই কথাটা মরে গেলেও খোঁচারাজকে জানানো যাবে না। তাই ধারা তার কথা কাঁটাতে শুদ্ধকে উল্টা প্রশ্ন করলো, ‘আমারটা বাদ দিন। আপনি কয়টা লাভ লেটার পেয়েছেন?’

মাথার নিচে একটা হাত রেখে পাটিতে শুয়ে পড়ে শুদ্ধ বলল, ‘কতগুলো! বেশিরভাগই ইউনিভার্সিটিতে থাকতে।’
ধারা প্রশ্নটা করেছিল এমনি এমনিই। শুদ্ধ’র উত্তর শুনে আকাশ থেকে পড়ে বলল, ‘আপনাদের ওখানে মেয়েরাও লাভ লেটার দেয়?’
‘আপনি শহরের মেয়েদেরকে কি ভাবেন? ওদের মনে যেটা থাকে সেটা ওরা প্রকাশ করে দেয়। অবশ্য সবাই না।’
‘তারপর? আপনি একসেপ্ট করেছেন কয়টা?’
শুদ্ধ আকাশের দিকে তাকিয়ে বলল,
‘বিশেষ একজনের অপেক্ষায় আছি। সে করলেই একসেপ্ট করবো।’
ধারার হঠাৎ ই কেন যেন খুব লজ্জা করতে লাগলো। আস্তে আস্তে মাথা নিচু করে ফেললো সে। ঠিক তখনই তার বাম কাঁধে কারো উত্তপ্ত নিঃশ্বাসের ছোঁয়া পড়তেই পুরো পাথরের মতো স্থির হয়ে গেলো ধারা। পেছন থেকে উঠে বসে শুদ্ধ ধারার কানে কানে গাইতে লাগলো,

হাতটা রেখো বাড়িয়ে পর্ব ১৪

“এখন অনেক রাত
তোমার কাঁধে আমার নিঃশ্বাস,
আমি বেঁচে আছি তোমার ভালোবাসায়!
ছুঁয়ে দিলে হাত,
আমার বৃদ্ধ বুকে তোমার মাথা
চেপে ধরে টলছি কেমন নেশায়!
কেন যে অসংকোচে অন্ধ গানের কলি
পাখার ব্লেড-এর তালে সোজাসুজি কথা বলি!
আমি ভাবতে পারিনি,
তুমি বুকের ভেতর ফাটছো আমার
শরীর জুড়ে তোমার প্রেমের বীজ!
আমি থামতে পারিনি,
তোমার গালে নরম দুঃখ,
আমায় দুহাত দিয়ে মুছতে দিও প্লিজ!”

শুদ্ধ’র গান থেমে যাওয়ার পরও ধারা সেভাবেই জমে রইলো। তার শরীরের প্রতিটি লোম যেন দাঁড়িয়ে গেছে। পা থেকে মাথা পর্যন্ত সম্পূর্ণ নতুন একধরণের মাতাল শীহরণে তার মন হয়ে উঠেছে আন্দোলিত। মাথার উপরে পূর্ণিমার চাঁদ, তার উপচে পড়া জ্যোৎস্না, পুকুর ছুঁয়ে ভেসে আসা শীতল হাওয়া, তার উপরে কানের কাছে এমন গান, স্পেশালি শুদ্ধ’র ওমন জড়ানো গলার স্বর….সরল অনুভূতি এলেমেলো না হয়ে কি পারে!
ধারা ঝট করে উঠে দাঁড়ালো। আর সঙ্গে সঙ্গেই চলে এলো কারেন্ট। নিজেকে ধাতস্থ করে ধারা আস্তে আস্তে বলল,
‘বাড়িতে যাবেন না? কারেন্ট চলে এসেছে।’
শুদ্ধ বসে থেকেই তার সহজ ভঙ্গিতে বলল, ‘হুম, দেখলাম তো। আচ্ছা ধারা! আমার গান কেমন হয়েছে বললেন না তো!’
কিছু না বলে মৃদু হেসে বাড়ির দিকে চলে যেতে লাগলো ধারা। শুদ্ধ উঠে দাঁড়িয়ে বলল,
‘সাবধানে ধারা! আপনি পড়ে যাচ্ছেন।’
অবাক হয়ে থমকে দাঁড়িয়ে নিজের পায়ের দিকে লক্ষ করে ধারা বিভ্রান্ত স্বরে বলল,
‘কোথায়?’
মুচকি হেসে দু হাত প্যান্টের পকেটে গুঁজে শুদ্ধ বলল,
‘প্রেমে!’

হাতটা রেখো বাড়িয়ে পর্ব ১৬