হামিংবার্ড পর্ব ৫০
তাসমিয়া তাসনিন প্রিয়া
বালডিচিয়া, ইতালি।
জানালা দিয়ে নরম রোদের আলো ঢুকছে ঘরে, মেঝেতে হালকা ছায়া আর আলোর খেলা করছে। বাইরে টাসকানির পাহাড়ের সবুজ ঢেউ আর লাল ছাদের ছবি মিশে শান্তি ছড়াচ্ছে।
অরার ঘুম সদ্য ভেঙে গেছে। শরীরে অস্বাভাবিক এক ব্যথা মাড়িয়ে উঠছে, যেন নড়াচড়া করাই কঠিন। মাথাটা ভারি ভারি, ভালো লাগছে না। ধীরে ধীরে শোয়া থেকে উঠে সে বসল। ঘড়ির দিকে চোখ পড়তেই দেখল সকাল ন’টা বাজে। আরিশ এখনও গভীর ঘুমে ডুবে আছে। বিছানার অগোছালো অবস্থা আর নিজের অসহনীয় শারীরিক অবস্থা দেখে গালে লজ্জার লালিমা ছড়িয়ে পড়ল অরার। গত রাতের মুহূর্তগুলো তার জন্য ছিল অন্যরকম, বিশেষ এক স্মৃতি।
নীরবে বিছানা ছেড়ে দিয়ে ধীরে ধীরে ওয়াশরুমের দিকে এগোলো সে। গোসল করতে হবে। গোসল যেন শরীর ও মনকে ফুরফুরে করার এক অমোঘ ঔষধ।
পাশ ফিরে হাতটা খালি খালি লাগতেই আরিশের ঘুম ভেঙে গেল। বিছানায় অরা নেই। চোখ মেলে আশেপাশে সজাগ দৃষ্টি বুলিয়ে সে ধীরে ধীরে শোয়া থেকে উঠে বসলো। কান খাড়া করতেই ওয়াশরুম থেকে পানির ঝরনার মৃদু শব্দ কানে এসে গেল। সেই শব্দে আরিশের মনে একটা শান্তির সঞ্চার হলো।
পিঠে হঠাৎ জ্বালাপোড়া অনুভূত হলো, একটা অজানা অস্বস্তি। কিন্তু ঠিক পরক্ষণেই ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটল। তখনই অরা গোসল সেরে ভেজা চুল আর স্নিগ্ধ ত্বক নিয়ে ঘরে ফিরে এলো।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
তার ভেজা চুলগুলো ধীরে ধীরে কাঁপছে, আর ছোট ছোট জলকণা তার কাঁধ আর ঘাড় দিয়ে ঝরে পড়ছে। গায়ে স্নিগ্ধ গরম পানি স্পর্শের আভাস এখনো থেকে গেছে, যা তার ত্বককে এক ধরনের কোমল উষ্ণতায় মুড়ে দিয়েছে।
আরিশ অরার দিকে তাকিয়ে রইল, চোখে এক গভীর মায়া মিশ্রিত আলো। যে মুহূর্তে সে তার ভেজা চুল, গরম ত্বক আর প্রশান্ত মুখমন্ডল দেখছিল, মনে হচ্ছিল জীবনের সমস্ত ক্লান্তি ও অস্থিরতা মুছে গেছে। অরার নিঃশ্বাসের মৃদু শব্দ, তার প্রতিটি ছোট ছোট নড়াচড়া, আর ভেজা চুল—সবকিছু যেন আরিশের মনে এক অসীম স্নেহের সুর বাজাচ্ছিল। অরা নিজ থেকে বলল আজ,
“ গুড মর্নিং, ডার্লিং। “
বেশ ইমপ্রেস হলো আরিশ। আড়মোড়া ভেঙে হাসিমুখে বলল,
“ মর্নিং, পাখি। “
“ আজ এতো জলদি উঠলেন? এমনিতে তো ছুটির দিনে অনেকক্ষণ ঘুমিয়ে থাকেন।”
“ এখন কি ছুটির দিন? হানিমুনে এসেছি, ছুটি কাটাতে নয়। বাই দ্য ওয়ে, এদিকে এসো। “
অরা বাধ্য মেয়ের মতো আরিশের দিকে এগোল। আরিশ ইশারায় বসতে বলল। তাই করলো অরা।
“ পিঠের দিকে তাকাও, তো। “
অরা যখন তার পিঠের দিকে তাকালো, প্রথমে কিছু বুঝতেই পারলো না। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই সব স্পষ্ট হলো—নখের দাগ! ভালোবাসার নিদর্শন, যা সে নিজেই দিয়েছে আরিশকে। লজ্জায় তার গাল লাল হয়ে উঠল, হৃদয়টা যেন বেজে উঠলো এক অজানা সুরে।
“আম সরি! মলম লাগিয়ে দিচ্ছি।”
ওঠতে চাইলো অরা, কিন্তু আরিশ তাকে থামিয়ে নিজের কোলে টেনে নিল।
“ওভাবে ‘সরি’ বললে তো আমাকে শতবার বলতে হবে, হামিংবার্ড।”
আরিশ আঙুল দিয়ে অরার গলার দিকে নির্দেশ করলো। অরা লজ্জায় চোখ নামিয়ে রাখল। গত রাতে আরিশ তার শরীরে ভালোবাসার ছোঁয়া এমনভাবে রেখেছে, যে স্মৃতিটা এখনও তার ভেতর জ্বলছে। আরিশ এক বিন্দু ছাড় দেয়নি অরাকে৷
“ সরি’র চ্যাপ্টার থাক এখন। গোসল সেরে নিন৷ ঘুরতে বের হবো তো? “
“অফকোর্স! তুমি রেডি হয়ে নাও, আমি গোসল করে আসছি। বাইরে নাস্তা করবো।”
“ঠিক আছে।”
আরিশ অরার কপালে একটা কোমল চুমু দিলো, তারপর বিছানা ছেড়ে উঠে গেল। যেতে যেতে বললো,
“ব্যাগে শাড়ি আছে, ওটাই পরো। বাইরে যাওয়ার সময় সাথে ব্লেজারও নিয়ে যাবে। ফিরতে দেরি হলে দরকার হবে।”
“ঠিক আছে।”
মুচকি হেসে বলল অরা। আরিশ যেতেই ব্যাগ থেকে শাড়িটা বের করলো সে, লাল টুকটুকে শাড়ি সাথে ম্যাচিং কালারের ব্লাউজ । শাড়ির সাথে একটা কালো পাঞ্জাবিও আছে। নিজের জন্য পাঞ্জাবি এনেছে ভদ্রলোক। এই বিদেশে এসেও তার দেশীয় পোশাক পরার মন-মানসিকতা দেখে অরার বেশ ভালো লাগলো। অরা চটপট রেডি হয়ে নিতে লাগলো ।
প্রথমে হেয়ার ড্রায়ার নিয়ে চুলগুলো ঝকঝকে শুকিয়ে নিলো। তারপর মন দিয়ে শাড়িটা পরল। ঠোঁটে গাঢ় লাল লিপস্টিক আর চোখে কাজল দিয়ে তার সাজ গড়ল পুরোপুরি। অরার সাজগোজের মূল হাতিয়ার ছিল লিপস্টিক আর কাজল—সেই দুটোতেই তার নান্দনিকতা। খোলামেলা চুল আর কানে ঝলমলে একটা দুল, আর কি লাগে!
সাজ সম্পূর্ণ করে অরা বারান্দার দিকে পা বাড়ালো। বারান্দায় পা দেওয়া মাত্রই সে চমকে উঠলো।
সকালের আলোতে সবকিছু এতটাই মোহনীয় লাগছে যে চোখ ফেরানোই যাচ্ছে না।
বারান্দার রেলিং ঘেঁষে বেয়ে উঠেছে সবুজ লতাপাতা, তার ফাঁকে ফুটে আছে নাম না জানা গোলাপি রঙের ছোট ছোট ফুল—একটা বুনো সৌন্দর্যের মতো। বাড়ির গা ঘেঁষে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে একটা পুরনো ম্যাপল গাছ, শরতের শেষ আলোয় যার পাতাগুলো ঝলমল করে উঠছে লালচে, কমলা আর হালকা সোনালি রঙে। গাছটির একটা ডাল বারান্দা ছুঁয়ে রয়েছে—ঠিক যেন প্রকৃতি নিজেই এসে হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
পাতাগুলো এত সুন্দর, এত জীবন্ত—এমনভাবে আলো আর হাওয়ায় দুলছে, যেন সময়টাকেই আটকে রাখার ইচ্ছা জাগে মনে।
আরিশ রুমে এসে দ্রুত সাজগোজ সম্পন্ন করল। পাঞ্জাবি পরে মৃদু কণ্ঠে অরাকে ডেকল। বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা অরা তার ডাক শুনে সাড়া দিল। আরিশও হাসিমুখে বারান্দার দিকে এগিয়ে এল, চোখে মৃদু উষ্ণতা ছিল।
“ ওয়াও!”
অরাকে দেখে মুচকি হাসল আরিশ। অরাও লাজুক হেসে তাকাল তার দিকে। পাঞ্জাবিতে আরিশকে দারুণ লাগছিল। ধীরে ধীরে সে এগিয়ে এলো বারান্দার দিকে। রেলিঙের পাশে ছড়িয়ে থাকা লতাপাতার ভেতর থেকে একটা ছোট্ট ফুল ছিঁড়ে নিয়ে অরার কানের পাশে গুঁজে দিলো। তারপর মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে বলল,
“শাড়িতে তোমায় অসম্ভব সুন্দর লাগছে, হামিংবার্ড।”
“ আপানকেও পাঞ্জাবিতে দারুণ লাগছে। “
“ থ্যাংক ইউ। চলো… খিদে পেয়েছে, পেটে ইঁদুর দৌড়াচ্ছে। “
হেসে বলল আরিশ।
“ হ্যাঁ চলুন। বিকেলে এখানে এসে বসবো কিছুক্ষণ। জায়গাটা দারুণ! “
“ হ্যাঁ। ঠিক আছে। চলো এখন। “
“ নয়না!”
পড়ন্ত বিকেল। প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফিরছিল নয়না। হঠাৎ পেছন থেকে পলাশের চেনা কণ্ঠস্বর ভেসে এলো, থমকে দাঁড়াল সে। বরাবরের মতোই দৌড়াতে দৌড়াতে তার দিকে ছুটে আসছে পলাশ।
“ জি, বলুন। “
পলাশ কোমড়ে হাত রেখে দাঁড়াল। ঘনঘন নিঃশ্বাস ফেলে নিজেকে ধাতস্থ করতে একটু সময় নিলো। তারপর বলল,
“ কিছু কথা ছিলো। “
“ হ্যাঁ, বলুন। শুনছি আমি। “
“ নয়না আমি তোমাকে পছন্দ করি । তারচে বেশি কিছু অনুভব করি। হয়তো, এটাকেই ভালোবাসা বলে। “
নয়না মাথা নিচু করে ফেলল। পলাশ মুখে না বললেও নয়না তো আগেই সব বুঝতে পেরেছিল। তাই অবাক হয়নি সে। পলাশ একটু থেমে আবার বলতে লাগলো,
“ আগামীকাল সকালে খুলনা চলে যাচ্ছি আমি। বাবার ট্রান্সফার হয়ে গেছে। এখন থেকে আমরা খুলনাতেই থাকবো। তবে লেখাপড়ার জন্য এইচএসসি পরীক্ষার পর আবার ঢাকায় ফিরবো আমি। “
আকস্মিক পলাশের চলে যাওয়ার কথা শুনে নয়না কিছুটা হতভম্ব হয়ে গেছে। কী বলবে সেটাও বুঝতে পারছে না। পলাশ নয়নার দিকে তাকিয়ে আছে। মেয়েটার মুখে কিছু একটা শুনতে চায় সে। কিছুক্ষণ দু’জনেই চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলো। তারপর মুখ খুলল নয়না।
“ কবে ফিরবেন? “
দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল পলাশ। মুচকি হেসে বলল,
“ দুই বছর পর। অপেক্ষা করতে পারবে না?”
চমকাল নয়না। অপেক্ষা? সে কি আসলেই অপেক্ষা করবে? কিন্তু কেন করবে? পলাশকে কি সে-ও ভালোবাসে? সংশয়ে রয়েছে নয়না।
“ অপেক্ষা! “
“ হ্যাঁ। “
“ আমি জানি না পলাশ ভাই। “
“ তুমি কি আমাকে পছন্দ করো না?”
“ তেমন কিছু নয়। কিন্তু শুধু পছন্দ করলে কেউ কারো জন্য অপেক্ষা করে না পলাশ ভাই। ভালোলাগার থেকেও বেশি কিছু থাকতে হয়। “
“ আমি জানি তুমি অপেক্ষা করবে নয়না। তুমিও বুঝতে পারবে, আমার অনুপস্থিতিতে। “
চুপ করে রইলো নয়না। কেন জানি পলাশের প্রস্থানের কথা শুনে তার হৃদয়ে হাহাকার শুরু হয়েছে।
“ হয়তো। “
“ আচ্ছা শোনো, যদি কখনো ইচ্ছে করে কল দিও। তোমার তো পারসোনাল ফোন নেই তাই আমি নিজে থেকে কল করতে পারবোনা। “
“ আচ্ছা দেবো। “
“ বেশ। ভালো থেকো, আর….”
“ আর?”
“ আমি ফেরা অবধি এমনই থেকো। “
মাথা নিচু করে ফেলল নয়না। চোখ ছলছল করছে তার। কিন্তু পলাশের সামনে নিজের দূর্বলতা প্রকাশ করতে চাচ্ছে না। নিজের অনুভূতিকে নিজেই বুঝতে পারছে না মেয়েটা।
“ ঠিক আছে। সাবধানে যাবেন আর আপনিও ভালো থাকবেন। “
“ আচ্ছা। যাচ্ছি এখন। আমার দিকে তাকাও একবার, দেখে রাখি একটু। “
সহজসরল আবদার পলাশের। নয়না অন্যদিকে ফিরে চোখ মুছে ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটিয়ে সামনে ফিরে তাকাল এবার। পলাশের চোখমুখ শুকিয়ে গেছে।
“ দেখুন!”
“ হুম দেখছি তো। অপেক্ষা করতে পারবে কি-না জানো না কিন্তু আমার যাওয়ার কথা শুনে চোখ ছলছল করছে। “
“ মোটেও না। চোখে কী জানি ময়লা পড়েছিল, তাই… “
“ ওহ আচ্ছা। দাঁড়াও। “
পলাশ পকেট থেকে একটা হলদে রঙের খাম আর গোলাপ বের করলো, সাথে ছোটো একটা বক্স। নয়না আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছে। পলাশ ওগুলো নয়নার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল,
“ এগুলো রাখো। যদি কখনো আমার কথা খুব মনে পড়ে কিন্তু কথা বলার পরিস্থিতি না থাকে তখন এই চিঠিটা পড়ে নিও। আর বক্সটা বাসায় গিয়ে খুলতে পারো। “
নয়না জিনিসগুলো হাতে নিলো। মাথা নেড়ে সম্মতি দিলো। পলাশকে দেওয়ার মতো কিছুই নেই তার কাছে। কিন্তু কিছু না দিতে পারলেও মনটা খচখচ করবে। ভাবতে ভাবতে হঠাৎ মনে পড়লো, ব্যাগে দু’টো চকলেট আছে। চকলেটই দেবে সে। হাসি-হাসি মুখে চকলেট দু’টো বের করে পলাশের দিকে এগিয়ে দিলো নয়না।
“ আমার তরফ থেকে এগুলো রাখুন৷ “
“ তুমি একটা রাখো, আমাকে একটা দাও। “
নয়না তাই করলো। পলাশকে একটা চকলেট দিয়ে অন্যটা নিজের কাছে রাখলো। পলাশ চকলেটটা বুকপকেটে রাখলো। কিন্তু নয়নার মনটা খচখচ করছে এখনও। চকলেট তো রেখে দেওয়া যাবে না।
“ কী হয়েছে? কিছু ভাবছো?”
নয়নাকে অন্যমনস্ক হয়ে থাকতে দেখে জিজ্ঞেস করলো পলাশ।
“ আমি কিছু দিতে পারলাম না আপনাকে!”
“ তুমি কিছু দিতে চাও?”
নয়না দ্রুত এদিকে-ওদিকে মাথা নেড়ে হ্যাঁ বলল। পলাশ মুচকি হেসে আশেপাশে নজর বুলিয়ে নিলো একবার।
“ তোমার হাতটা আমার বুকের বামপাশে রাখবে একবার? আমি না হয় তোমার স্পর্শ সাথে নিয়ে গেলাম!”
পলাশের এমন প্রস্তাবে অবাক হলো নয়না। সাথে কিঞ্চিৎ লজ্জাও পেলো। তবে ব্যাপারটা দারুণ রোমাঞ্চকর লাগলো নয়নার কাছে। পলাশ নয়নার দিকে তাকিয়ে রইলো কেবল। তাকে চুপ করে থাকতে দেখে ফের বলল,
“ দিবে? “
“ হু।”
ঠোঁটের কোণে হাসির রেখা চওড়া হলো পলাশের।
নয়না তার কাঁপা কাঁপা হাতটা পলাশের বুকের বাম পাশে রাখলো এবার। আবেশে চোখ বন্ধ করে রইলো পলাশ। কয়েক সেকেন্ড পর হাত সরিয়ে ফেলল নয়না।
“ আমার হার্ট লক করে ফেললে। ওই পাসওয়ার্ড ছাড়া আর কখনোই এই লক খুলবে না। “
পলাশ নয়নার হাতের দিকে ইশারা করে কথাটা বলল। নয়না বিস্ময় চোখে পলাশের দিকে তাকিয়ে আছে। ছেলেটা কতো সুন্দর করে কথা বলছে আজ!
“ দেখা যাবে। “
“ হুম জানেমন। আসছি। মন দিয়ে পড়াশোনা করবে, নিজের খেয়াল রাখবে। আর ফোন কিনলে অবশ্যই কল দিবে। “
“ জি, ঠিক আছে। “
“ আসছি….”
মাথা নাড়ল নয়না। পলাশ তবুও গেলো না। নিষ্পলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো কিছুক্ষণ। তারপর আবারও বলল,
“ নয়না, এবার আসি?”
“ আচ্ছা। “
পলাশ দাঁড়িয়ে রইলো। নয়না এবার তার অবস্থা দেখে হেসে ফেলল। প্রেয়সীর হাসি দেখে চোখ বন্ধ করে ফেলে বুকে হাত রাখল পলাশ।
হামিংবার্ড পর্ব ৪৯
“ যান এবার। আমারও দেরি হয়ে যাচ্ছে। “
“ হ্যাঁ, আসছি। টাটা। “
“ টাটা……”
পলাশ ধীরপায়ে এগিয়ে যেতে লাগলো। নয়নাও হাঁটতে লাগলো। দু’জনের পথ আলাদা হলেও মনের পথটা বোধহয় পাকাপোক্তভাবে এক হয়ে গেলো।