হ্যালো 2441139 গল্পের লিংক || রাজিয়া রহমান

হ্যালো 2441139 পর্ব ১
রাজিয়া রহমান

১২ বছরের পিয়াসাকে রেখে পিয়াসার মা পারভীন পালিয়ে গেলো বাড়ির লজিং মাস্টার সাদিক আলীর সাথে। সাদিক আলী পিয়াসার ছোট ফুফু মালিহার টিচার। দুই মাস পরেই মালিহার সাথে বিয়ে হওয়ার কথা। অথচ দুপুর থেকে মাস্টার ও গায়েব,পারভীন ও গায়েব।
পিয়াসা কাঁদতে কাঁদতে দাদীর কাছে গেলো।ঘুম থেকে উঠেছে অনেকক্ষণ হলো কিন্তু মা’কে দেখে না।সবার কথা পিয়াসা বুঝতে পারছে না। জমিরন বিবি পিয়াসার গালে থাপ্পড় দিয়ে বললেন,”খান কি,মা গির মাইয়া,মর গিয়া তুই।তোর মা বে শ্যা তোরে আমার ঘাড়ে রাইখা গেছে ক্যান?”

পিয়াসা এই গালিগালাজের অর্থ জানে না।যদি জানতো তাহলে হয়তো আবারও দাদীকে গিয়ে জড়িয়ে ধরতো না।
মার খেয়েও পিয়াসা আবারও গিয়ে দাদীকে জড়িয়ে ধরে। জমিরন এবার চুলের মুঠি ধরে পিয়াসাকে ছুঁড়ে মারে।কলের দুয়ারে পড়ে পিয়াসার কপাল কেটে র ক্ত বের হতে থাকে।”আর একবার যদি তোরে এইখানে দেখছি পিয়া,তাইলে খুব খারাপ হইবো।একেবারে নিয়া কুকুরের ঘরে রাইখা আমু যদি আমারে আর একবার ত্যাক্ত করস।”
পিয়াসা ধীর পায়ে উঠে দাঁড়ায়।তারপর পুকুর ঘাটে গিয়ে বসে। চারদিকে নিরবে সন্ধ্যা নেমে আসে।সেই সাথে অন্ধকার নেমে আসে পিয়াসার মনে।ছোট্ট বুকে ভয়ের ধুকপুকানি। পিয়াসার গা ছমছম করে উঠে। কুকুরে পিয়াসার ভীষণ ভয়।বাড়ির উঠানে ভুলু কুকুর যখন তার ছানাপোনা নিয়ে ঘুরে বেড়ায় পিয়াসার তখন আত্মা শুকিয়ে যায়। দাদী সবসময় ভুলুকে খাবার দেয়,লালন পালন করে।
দাদীকে ও পিয়াসা ভয় পায়।সবসময় দেখে কিছু হলেই দাদী গিয়ে মা’য়ের চুলের মুঠি টেনে ধরে। তবুও আজকে কেনো দাদীর কাছে গেলো পিয়াসা?

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

পুকুরের উত্তর দিকে ঘন জঙ্গল। পিয়াসা উঠে জঙ্গলের দিকে যায়।অভিমানে বুকের ভেতর কেমন দমবন্ধ হয়ে আছে।দাদী অযথা মায়ের উপর রাগ করেছে।মা তাকে রেখে কোথাও যাবে না এটা জানে পিয়াসা।মা ছাড়া তার পিয়াসাকে কেউ-ই আদর করে না।বাবা ও না।সেখানে মা কখনোই পিয়াসাকে এভাবে রেখে যাবে না।
চোখের পানি মুছে পিয়াসা পেয়ারা গাছের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় থমকে দাঁড়ায়।গাছের পাশেই একটা ময়লা ফেলার গর্ত।যত নোংরা, ময়লা সবকিছুই এখানে এনে ফেলা হয়।উৎকট দুর্গন্ধ আসে এই গর্ত থেকে সবসময়।
শুকনো পাতার উপর দিয়ে খসখস শব্দ তুলে একটা সাপকে এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াতে দেখে পিয়াসার বুক ধড়ফড় করে উঠে। আতঙ্কিত হয়ে পিয়াসা গাছে উঠে বসে।এই পৃথিবীতে সাপ আর কুকুর এই দুইটা জিনিসেই পিয়াসার ভীষণ ভয়।

দুটো ডালের মধ্যে পা ছড়িয়ে বসে পিয়াসা।চারদিকে কেমন নিরব নিস্তব্ধতা। অজানা একটা পোকা একটানা ডেকেই চলেছে। পিয়াসা কুঁকড়ে উঠে ভয়ে।
অন্ধকারে হিসহিস শব্দ শুনে পিয়াসার গলা শুকিয়ে যায়।সাপটা কি এখনো এখানেই আছে?
এতো ভয় লাগছে কেনো?
পিয়াসা কাকে ডাকবে এখন?
কাউকে ডাকলে যদি সাপটা পিয়াসার সন্ধান পেয়ে যায়?
পিয়াসার ছোট মাথায় রাজ্যের চিন্তা খেলা করে।
মা আসছে না কেনো এখনো?
দুর্গন্ধের জন্য টিকা যাচ্ছে না এখানে।

ভয়ে শক্ত করে পিয়াসা গাছের ডাল ধরে বসে রইলো।একটু পরে দেখলো টর্চের আলো দেখা যাচ্ছে দূরে। এদিকেই আসছে আলো।পিয়াসা তাকিয়ে থাকতে থাকতে দেখতে পেলো ভুলু আসছে সবার আগে।
ভুলুকে দেখে পিয়াসা জমে গেলো।দাদী গজগজ করতে করতে আসছে।পিয়াসা একেবারে চুপ করে রইলো।কোনো শব্দ করা যাবে না।দাদীকে পিয়াসা জানে।সত্যি যদি তাকে ভুলুর সামনে ছেড়ে দেয়।ভুলুকে দাদী যা করতে বলে ভুলু তাই করে সবসময়।
গাছের উপর থেকে তাকিয়ে রইলো পিয়াসা নিঃশব্দে,নিরবে।
নিশ্বাস ফেলতে ও ভুলে গেলো পিয়াসা। দাদী চলে গেলো আবার ভুলুকে নিয়ে। হতবাক পিয়াসা বসে রইলো গাছেই।
মা আসবে ঠিকই। পিয়াসা জানে মা পিয়াসাকে রেখে কোথাও যাবে না।

রাতভর পিয়াসা ঘরে নেই।কেউ পিয়াসার খোঁজে এলো না।মালিহা রাতে দুই হাত ভর্তি করে মেহেদী পরলো।জমিরন মেয়ের রংঢং দেখে বিরক্ত হয়ে বললেন,”এখনো সময় আছে,নিজের মনরে ঠিক কর।”
মালিহা ঠোঁট বাঁকিয়ে বললো, “যাই,বড় আপাদের বাড়িতে গিয়ে দেখিয়ে আসি হাতের মেহেদী কেমন হইছে।”
জমিরন হতাশ হয়ে তাকান মালিহার দিকে থাকেন।জীবন দিয়ে কি সব অন্যায়,অপরাধ ধামাচাপা দেওয়া যায়?
সত্যি কি পারবেন তিনি?
দুরুদুরু বুকে পিয়াসা মা’য়ের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো। এতোক্ষণে পিয়াসার মনে হলো মা কি সত্যি কোথাও চলে গেছে?
তা না হলে এখনো কেনো পিয়াসাকে ডাকছে না?
মা যদি চলে যায় তাহলে পিয়াসা রাতে কাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাবে?
মা’য়ের গায়ের গন্ধ ছাড়া পিয়াসার ঘুম আসে না।
ভাবতে ভাবতে দেখতে পেলো ছোট ফুফু আসছে এদিকে,সাথে ভুলু ও আছে।পিয়াসা ফুফুকে ডাকতে গিয়ে ও ডাকলো না।

পরক্ষণে দেখতে পেলো ফুফু শুধু একা না,ছোট ফুফুর সাথে পিয়াসার বড় ফুফা কাদের ও আছে।
দুজনেই হাঁটতে হাঁটতে পেয়ারা গাছটির পাশে বাদাম গাছের নিচে এসে দাঁড়ায়। হুট করেই কাদের মালিহাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে চুমু খায়। মালিহার হাত থেকে হারিকেন পড়ে যায়। খিলখিল করে হেসে মালিহা বলে, “কি করতেছেন দুলাভাই?”
“কি করতেছি তুই জানস না?”
মালিহা খিলখিল করে হাসে।পিয়াসার বুক কাঁপে। ফুফা ফুফুকে ব্যাড টাচ করছে।ফুফু কেনো কিছু বলছে না?
ভুলুটাও এসে পেয়ারা গাছের নিচে দাঁড়িয়ে আছে। পিয়াসার দুই চোখে পানি চলে আসে।মা তো বলেছে এরকম করে কেউ যদি টাচ করে তাহলে সেসব ব্যাড টাচ। ফুফু কেনো চুপ করে দাঁড়িয়ে হাসছে?
কাদের টান দিয়ে মালিহার গায়ের জামা খুলে নেয়।পিয়াসা শক্ত করে গাছের ডাল ধরে বসে।তার এতো কান্না পাচ্ছে কেনো?

ফুফু কে কেনো দাদী ব্যাড টাচ শেখায় নি?
ফুফু বুঝতে পারছে না কেনো কিছু?
পিয়াসা কিভাবে কিছু করবে?
ভুলুর জন্য তো পিয়াসা নিচে নামতে পারবে না।
মুহূর্তেই পিয়াসার চোখের সামনে দুজন উলঙ্গ হয়ে যায়। পিয়াসার বুকে কাঁপন ধরে। এক অনাকাঙ্ক্ষিত দৃশ্যের সাক্ষী হয় পিয়াসা।পিয়াসা উপায় না পেয়ে চোখ বন্ধ করে বসে থাকে।ভয় করছে খুব তার।
কিছুক্ষণ পর দুজনেই উঠে কাপড় পরে নেয়।কাদের মালিহার গাল টিপে বললো, “আম্মা কিছু বলছে আর?তোর বোইনের কাছে কিছু বলছে?”

“আরে না দুলাভাই, আম্মা এই কাম জীবনে ও করবো না।আপা ও কোনোদিন জানবো না।আম্মা চালাক মহিলা দুলাভাই, আপারে জানাইলে তো আপার ঘর ভাঙ্গবো সাথে আমার ও বদনাম হইবো দুই মাইয়ার সর্বনাশ করার মতো বোকা আম্মা না।এখন আর পিয়াসার মা ও নাই ঘরে। আপনে নিশ্চিন্তে আইসেন আমগো বাড়ি।”
“শালার বউ একটা মাল ছিলো বুঝলি।একবার টেস্ট কইরা দেখার বড়ই সাধ ছিলো আমার। কেমনে যে আমার শালা এরকম একটা ফুলের মধু না খাইয়া বিদেশে থাকতেছে কে জানে।ওইখানে মনে হয় এরকম মধু পাওয়া যায় তা না হইলে এতো ও সাধুপুরুষ দুনিয়ায় নাই।”
মালিহা ঠোঁট বাঁকিয়ে বললো, “শখ কতো আপনার!”
“পিয়াসার মা এখন কই?”
“মা আমারে কয় নাই। আমি নাকি কথা পেটে রাখতে পারি না।”

কাদের বললো, “কথা পেটে রাখা লাগবো না,আমার পোলাপান পেটে রাখতে পারলেই হইবো।”
মালিহা কেমন খিলখিল করে হাসে।মালিহার হাসির ছন্দ পিয়াসার বুকে কাঁপন ধরায়।ফুফু কেনো হাসছে পিয়াসা জানে না।পিয়াসা জানে মা তাকে বলেছে,এরকম ব্যাড টাচ করা মানুষেরা পশুর মতো। পশু বলতে পিয়াসা জানে হিংস্র কুকুর ভুলুকে।ভুলু একবার দাদীর কথামতো পাশের বাড়ির পলাশকে কামড়ে দিয়েছে। সেই থেকেই তো পিয়াসা ভুলুকে এতো ভয় পায়।
মা বলেছে সবসময় এদের থেকে দূরে থাকতে হবে।
কিছুক্ষণ পর কাদের আর মালিহা দুজন দুদিকে চলে যায়।পিয়াসা একা বসে থাকে। সেই রাতেই পিয়াসা বুঝতে পারে মা আর আসবে না হয়তো।
ছোট্ট এই জীবনে এই প্রথম পিয়াসা নির্ঘুম রাত কাটালো।কেউ পিয়াসার সন্ধান করে নি।পিয়াসা ও এই এক রাতেই অনেক বড় হয়ে গেছে। ভোরের আলোয় যখন পৃথিবী আলোকিত হয়ে উঠতে লাগলো, পাখিদের কিচিরমিচির শব্দে পুরো দুনিয়ার ঘুম ভাঙতে থাকে আস্তে আস্তে পিয়াসা তখন গাছ থেকে নিচে নামে।সারা রাত বসে থাকতে থাকতে পিয়াসার কোমর ব্যথা হয়ে গেছে।

পুরো রাত না ঘুমিয়ে কান্না করায় দুই চোখ লাল হয়ে গেলো পিয়াসার।
শুকনো পাতায় মর্মর ধ্বণি তুলে পিয়াসা বাড়ির দিকে যায়।
জমিরন ঘুম থেকে উঠে হাঁস মুরগির খোয়াড়ের দরজা খুলছে সে সময় পিয়াসাকে দেখে জমিরন অবাক হয়। গতরাতে এতো পেরেশানিতে ছিলো যে পিয়ার কথা ভুলেই গেছেন।
এর মা তো গেলো এখন এর কি হবে?
পিয়াসা বারান্দার খুঁটির সাথে হেলান দিয়ে বসে।ঘরের ভেতরে গুনগুন করে মালিহা গান গাইছে।
উঠানের উপরের জামরুল গাছের ডালে একটা পাখি কিচিরমিচির সুরে গান গাইছে।গানের সুরে পিয়াসার বুক ফেটে কান্না আসে।মা কি আর আসবে না?
পিয়াসা কি আর মা’কে দেখতে পাবে না?
ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠে পিয়াসা।মা’কে ছাড়া এই পৃথিবী ভীষণ জঘন্য।এই ঝলমলে পৃথিবী ও পিয়াসার কাছে বিশ্রী মনে হয়।
সর্বত্রই যেনো যন্ত্রণা।

জমিরনের মেজাজ খারাপ হচ্ছে। এই মেয়েরে কি করবে সে?
পিয়াসার কান্না শুনে জমিরন এগিয়ে এসে ধমকে উঠে বলে, “সারারাত কই ছিলি ধামড়ি? মা’র মতো বে শ্যা গিরি করতে গেছস?”
পিয়াসা জবাব দিলো না। জমিরন হাঁস মুরগির খাবার দিচ্ছে সেই সময় আহাজারি করতে করতে পিয়াসার নানী শেফালী বেগম আসে।গতকাল দুপুরেই পিয়াসার বাপ কল করে তাকে জানিয়েছে তার মেয়ে না-কি বাড়ির মাস্টারের সাথে পালাইছে।
পিয়াসার ঠোঁটের কোণে হাসির রেখা ফুটে উঠে নানীকে দেখে। মা’য়ের পর এই মানুষটাই তো আছে তাকে ভালোবাসে যে।
শেফালীর কান্নায় পিয়াসার শিশু মন গুড়িয়ে যায়।
নানী এতো কান্না করছে কেনো?
মা কি তাহলে আর আসবে না সত্যি?

জমিরন কঠোর সুরে বললো, “আপনার মাইয়া তো লাং নিয়া ভাগছে। নিজের মাইয়া আমার ঘাড়ে ফালাইয়া গেছে ক্যান?আপনার নাতনি আপনি নিয়া যান।আরেকজনের বাচ্চা আমি পালতে পারমু না।”
“পিয়াসা তো শুধু আমার একার নাতনি না আপা।আপনার ও তো নাতনি।ওর বাড়ি তো এটাই আপা।”
“না,না।এসব পিরিতের কথা আমি শুনমু না।মা গেছে যেই পথে মাইয়াও যাইবো সেই পথে।ওর মা যেমন নষ্টা ও তো ভালো হইবো না।ওরে আমি রাখমু না।আমার পোলা দ্যাশে আসলে ওরে আমি আবার বিয়া করামু।”
পিয়াসা নানীর বোরকা চেপে ধরে বললো, “আমাকে নিয়ে যাও নানী।মা না থাকলে আমি এখানে থাকমু না। এরা আমাকে কেউ আদর করে না।”
“আপনি পিয়াসার বাপরে একবার কল করেন আপা।আমি ওর লগে কথা বলে পিয়াসারে নিয়া যামু।ওর মাইয়া ওর তো জানার দরকার আছে।”

“না, আমার খালেকের লগে কথা কওনের কিছু নাই আপনার। আমার পোলা তো এমনিতেই মাইয়া পছন্দ করতো না।আমরা তো আশা করছি নাতি হইবো।আপনার মাইয়া জন্ম দিলো মাইয়া।পোলার এমনিতেই মনে কষ্ট। পোলা নিজেই আমারে কইয়া রাখছে পিয়াসারে যাতে আপনার কাছে পাঠাই দিই।এখানে যাতে না থাকে।”
শেফালী বেগম বুঝতে পারছেন না তিনি পিয়াসাকে নিয়ে কি করবেন।তিনি বিধবা মানুষ। তিন পোলার ঘরে ঘরে খান।আসার সময় তিন বউ তাকে বলে দিছে নাতনিরে নিয়ে যাতে না যায়।ওরা বাড়তি কাউরে খাওয়াতে পারবে না।
শেফালী বেগম বললো, “আপা,আমি ওরে নিয়া কি করমু?আমার কি রাখার জায়গা আছে?আমি নিজেই তো পোলাগো ঘরে ঘরে খাই।ওরা কেউ-ই পিয়াসারে রাখবো না।”

পিয়াসা অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে নানীর দিকে।নানী তাকে নিবে না?
মা হারিয়ে যাওয়ার পর সবাই এরকম হুট করে বদলে গেলো কিভাবে?
এতো দিন যে কতো আদর করতো সবকিছুই তাহলে মা’য়ের জন্য?
মা’য়ের উপর পিয়াসার অভিমান জন্ম নেয় হুট করেই।মা কেনো তাকে রেখে গেলো এরকম করে।
না-কি মা ও পিয়াসাকে পছন্দ করে না!
এই দুনিয়ায় কি কেউ-ই তাকে পছন্দ করে না তাহলে?

মা,বাবা,দাদী,নানী কেউ-ই তো তাকে চায় না।
লজ্জায় পিয়াসার মুখ এতটুকু হয়ে যায়। এতোক্ষণ নানীর বোরকা ধরে বসেছিলো আলগোছে ছেড়ে দেয় বোরকা।
পিয়াসা বুঝে গেছে এই দুনিয়ায় তার আর কেউ নেই এখন।সে এখন একা।তাকে একা বাঁচতে হবে আজকে থেকে।

হ্যালো 2441139 পর্ব ২