৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ১৭+১৮

৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ১৭+১৮
সারা চৌধুরী

বলোনা জান আমার মনের ক্লান্তি দূর করো আমার কোনো ভুল হইছে নাকি অন্য কোনো কারন বলো..?
সারা একটু পর পর ফুফিয়ে উঠছে..শুভ্র সেদিকে তাকিয়ে সারা দুই বাহুতে শুভ্র হাত রাখলো তারপর বললো..
শুভ্র:-বলোনা পিচ্চি পাখি প্রমিচ করেছি তো আমি সব শুনবো মন দিয়ে বলো না..!
সারা এবার কান্নারত গলায় ভাঙা শব্দে বলে উঠলো আপনি র..র..রাগ ক.করবেন ন.না তো।।
শুভ্র বুঝলো গুরুতর কিছু হয়েছে তাই সে সারাকে সাহস জুগাতে বলে উঠলো..না জান আমারে বিশ্বাস করো..তুমি এবার বলো প্লিজ।।

শুভ্রর কথায় সারা ভরসা খুজে পেলো.. তাই এবার কান্না রত কন্ঠে বলে উঠলো…
সারা:- আ.আ.আপনি অরুকে কেন আমার থেকে দূরে সরাই দিলেন..আমি অরুর আসল আম্মু না তাই..আপনি কেন বলছেন আমি অরুকে মেরে ফেলবো..আপনি এতো নির্দয় কেন..আমারে দেখে আপনার এমন মনে হলো…বলেই হুহু করে কেদে উঠলো সারা…!
শুভ্র স্তম্ভিত হয়ে গেছে..সারার কথায় জেনো সে পুরো পাথর হয়ে গেছে..সারা কি বলছে এগুলা..শুভ্র আর কিছু ভাবলো না সারাকে বলে উঠলো…

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

শুভ্র:-কে বলেছে এগুলা আমি বলেছি বিশ্বাস করো আমি এগুলা বলি নাই..!
সারা কান্না করতে করতে শুভ্রর দিকে তাকালো তারপর মাথা নিচু করে নিয়ে বললো..
সারা:- তাহলে শান্তা আপু যে বললো.. আমি এতিম বলে শুধু এখানে এনেছেন নইতো আনতেন না..আমার আব্বু আম্মু নেই বলে এখানে রেখেছেন দয়া দেখিয়ে..আপনি নাকি অরুকে নিয়ে ভয় পান তাই আমার থেকে অরুকে সরিয়ে মায়ের কাছে দিয়েছেই ওই জন্যই মা আর অরুর কাছে আমাকে বেশি যেতে দেই না..আমি কি করেছি আপনার আপনি জানেন ই তো অরুকে আমি কতটুকু ভালোবাসি তাও এমন কেন বললেন..!

শুভ্র সারার কথা শুনছে আর অবাক হচ্ছে সে জানে শান্তা তাকে ভালোবাসে তাই বলে এই না যে শুভ্র কোনো তারপর ভালোবাসা নামক কাজে গুরুত্ব দিয়েছে..শুভ্র সব সময় এভোয়েড করেছে নিজের বোনের চোখে দেখেছে আর সেই শান্তা শুভ্র অনুপস্থিতিতে সারার কানে এতো কিছু ঢুকালো..শুভ্র রাগ মাথায় উঠে গেলো তাও শান্ত কন্ঠে বললো..
শুভ্র:- আর কি বলেছে বউ.. বিশ্বাস করো আমি কিছুই জানিনা এসব আমাকে বলো কি কি বলেছে…!
সারা:-আপনি নাকি আমাকে টিস্যুর মতো ব্যাবহার করবেন..আপনি নাকি আমাকে চুক্তিতে বিয়ে করছেন..কই আপনি তো বলেন নি কোনোদিন..আপনি নাকি আমাকে শ*রী*রের লোভে বিয়ে করছেন..আপনি নাকি শান্তা আপুর সাথে সব কিছু করেছেন.. আপনাদের নাকি পরিবার থেকে বিয়ে ঠিক তাই তো আমাকে সবাই আপনার থেকে দূরে রাখছে..!

শুভ্রর মেজাজ এবার চারশ বিশ ভোল্ট এর গরম হয়ে গেলো..সারা কি আসলেই বোকা..শান্তা এমন ভাবে বোকা বানালো তাও বুঝলো না..শুভ্রর এখন মনে হচ্ছে শান্তাকে তুলে আচাড় দিতে..কিন্তু এখন এতো রাতে কিছু করলে সমস্যা..সকালে জন্য অপেক্ষা করতে হবে এর একটা বিহিত না করলে হবে না.. তাই শুভ্র রেগে মেয়ে ওয়াশরুম এ গিয়ে ঝরনা ছেড়ে দিলো এতে রাগ কমে যাবে..।।সারা বিছানা থেকে নেমে দাড়াতেই শুভ্র আচমকা এসে সারাকে কোলে তুলে নেই সারা হকচকিয়ে যায়.. শুভ্র ওয়াশরুমে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দেই তারপর সারাকে নামিয়ে ভিজতে থাকে দুজনে…!

মুহুর্তে সারা ভইজে চুপসে গেলো পরনের কামিজ টাও শরিরের সাথে আকড়ে গেছে শুভ্রর বুকের সাথে লেগে আছে সারা।।শুভ্র চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে ঝরনার নিচে.. সে জানেনা কেন সারার কাছে এলে হুট করে তার সব কিছু এলোমেলো হয়ে যায়..মনের মধ্যে প্রশান্তি ঘুরপাক খাই..শুভ্র মিচকি হাসলো সারার চুলের মাঝে হাত পুরে দিয়ে চুলে একটা চুমু দিলো..সারা মৃদু কেপে উঠলো..নিশ্বাস তার বন্ধ হয়ে আসছে কান্নার জন্য..শুভ্র বুঝলো তোয়ালে দিয়ে সারাকে মুছে দিয়ে ড্রেসিং টেবিল এর সামনে বসাই দিয়ে আসলো তার পর শুভ্র আবার ওয়াশরুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিলো..সারা চুপচাপ ড্রেসিন টেবিল এর আয়নায় নিজেকে পর্যবেক্ষন করছে.. চোখের নিচে কালো হয়ে গেছে মুখটা খুব ফ্যাকাশে লাগছে..চুল দিয়ে টুপাটুপ পানি পড়ছে সারা নিজের জামা কাপড় চেঞ্জ করে নিলো..আগে থেকেই ছিলো এই রুমে..!

দুই মিনিটের মাঝে শুভ্র ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে আসলো।।এসেই সারার সামনে দাড়ালো. সারা এক পলক তাকালো শুভ্রর দিকে শুধু ট্রাওজার পরিহিত শুভ্রকে দেখে থমকে গেলো..খালি লোমশ বুক দেখা যাচ্ছে চুল গুলো মুছে সারার সামনে এসে দাড়ালো শুভ্র তারপর সারাকে ড্রেশিং টেবিল এর সামনে টুল এ বসিয়ে ডয়ার থেকে হেয়ার ড্রেয়ার বের করে অল্প অল্প করে সারার চুল গুলো শুকাতে লাগলো..সারা আয়নার ভিতরে শুভ্র কে দেখছে অপলক ভাবে..শুভ্র সারার ভেজা চুল শুকাতে শুকাতে বললো..

শুভ্র:- এটা শুধু প্রয়োজনের জন্য.. প্রতিদিন ইউজ করবা না..চুলের সমস্যা হবে..আর আমি সকালে সব সমস্যা সমাধান করবো আর একটা কথা তুমি আমাকে বিশ্বাস করো তো..!
সারা মাথা নিচু করে নেই আয়নায় আর তাকায় না তারপর বিড়বিড় করে বলে..যেদিন আপনি মামার কাছ থেকে আমাকে নিয়ে এসে আমার মাথার উপর আপনার ভরষার হাত রেখেছিলেন সেদিন থেকেই বিশ্বাস করি..!
শুভ্র সারার বিড়বিড় করা কথা শুনতে পেয়ে মুচকি হাসলো তারপর বললো..এরপর থেকে কেও কিছু বললে সোজা আমার কাছে এসে বলবা..এমন ভাবে আমাকে ইগনোর করবা না..মনে থাকে যেনো..শুভ্রর বলা কথায় মৃদু কেপে উঠে সারা..গম্ভীর আর প্রচন্ড রাগ মিশ্রিত কন্ঠ..!

শুভ্র সারার চুল শুকিয়ে আচড়ে দিলো তারপর সারাকে এক পলক পরখ করলো..মেয়েটার এখোনো বুদ্ধি হয়নি এতো বড় একটা ছেলের সামনে উড়না নেই নি..শুধু মাত্র গেঞ্জি আর প্লাজু পরে বসে আছে..শুভ্র চোখ অন্য দিকে ঘুরিয়ে হেয়ার ড্রেয়ার ডয়ারে রেখে দিয়ে সারাকে বিছানায় সুইয়ে দিলো তারপর সে চলে গেলো সোফাই..লাইট অফ করে ড্রিম লাইট জালিয়ে দিলো..!
সারা ভেবেছিলো কোনো কাজ করবে তাই হয়তো সোফায় কিন্তু যখন দেখলো না সুয়ে পড়েছে সারা বুঝলো শুভ্রর অভিমান..সারা আস্তে করে উঠে সোফার পাশে গিয়ে শুভ্রর প্রসস্ত বুকে মাথা দিয়ে সুয়ে পড়লো..সারার উপস্থিতি শুভ্র বুজে জিজ্ঞাসা করলো…

শুভ্র:-উম পিচ্ছি পাখি বিছানাই ঘুমাও…!
সারা:-উহু।
শুভ্র:-তুমি এখোনো ছোট বিছানাই জাও..!
সারা:-উহু..!
শুভ্র:-কি উহু উহু করছো বিছানাই যাও কুইক..এখানে ঘুমাইলে পড়ে যাইবা..!
সারা:-আপনি আছেন আমারে ধরে রাখবেন ঘুমাতে দেন তো কালকেও ঘুমাই নি আমি..!
শুভ্র:-পিচ্চি পাখি বুজো না কেন..!
সারা:-কি বুঝবো।।শুভ্রর বুকে মাথা রেখে বলে উঠে..!
শুভ্র:-তুমি এখোনো পিচ্চি বড় হও নইতো আমাকে সামলাতে হিমশিম খাবে..!
সারা:-আপনি চুপ করুন কার ভিতরে দিচ্ছেন..ঘুমাতে দেন..!
শুভ্র:-বিছানাই যাও..!
সারা:-যাবো না..!
শুভ্র এবার রেগেই বলে উঠে বিছানাই যাইতে বলছি না।গো..শুভ্র ধমকে সারা কেপে উঠে..অভিমানেরা বাসা বাধা ছোট্ট রিদয়ে..সারা আর কিছু না বলেই উঠে চলে যেতে চাই..ঠিক তখনই…

সারার ছোট্ট মনে এক আকাশ সমান অভিমান হয়েছে..শুভ্রর ধমক তার হৃদয় চুর্ন বিচুর্ন করে দিয়েছে তার মতে…সারা উঠে শুভ্রর দিকে না তাকিয়ে সোজা বিছানাই চলে যায় একটা কথাও বলে না..বিছানাই গিয়ে কাথা মুড়ি দিয়ে সুয়ে পড়ে..শুভ্র বুঝলো না কি হলো..আবার মনে হলো সে বেশি করে ফেলেছে সারাকে ধমক দেয়া উচিত হয়নি।শুভ্র উঠে বসলো কপালে আঙুল স্লাঈড করতে করতে মনে মনে ভাবলো…
❝আল্লাহ কপালে এমন এক বাচ্চা রে পাঠাইছো হেতির মন ভাব লক্ষন কিছুই বুঝি না..হুটহাট গাল ফুলিয়ে আমারে চিন্তায় ফেলাই❞

শুভ্র বেশ কিছুক্ষন বিছানার দিকে তাকিয়ে থেকে উঠে দাড়াই..সে জানে সারার এখন রাগ না ভাঙালে আবার কান্না শুরু করবে..শুভ্র উঠে গিয়ে সারার পাশে বিছানায় বসলো..শুভ্র আস্তে করে সারার গায়ে হাত রাখলো সাথে সাথে সারা ছিটকে চলে গেলো দূরে।।শুভ্র বুঝে গেলো এরি মাঝে অভিমান করে ফেলেছে তার পিচ্ছি পাখি..শুভ্র মুচকি হেসে সারার উদ্দেশ্য বললো…
শুভ্র:-পিচ্চি পাখি সরি..আর বকবো না প্রমিচ মাফ করে দাও না একবার..!
সারা কোনো প্রতিউত্তর করে না..সারার চোখ দিয়ে পানি পড়বে পড়বে ভাব।।শুভ্র আবার বলে উঠে..
শুভ্র:- জান অরুর পাপা তোমার কাছে মাফ চাচ্ছে মাফ করবা না বলো..!
শুভ্র এমন ছেলেমানুষী কন্ঠ শুনে সারার রাগ গলে গেলো সেকেন্ড এই তবুও কিছু না বলে শুয়ে রইলো..তার অভিমান হয়েছে শুভ্র তাকে বকেছে বলে..অভিমান তো কমবে না….শুভ্র এবার সারার পাশে এসে শুয়ে পড়ে সারাকে জড়িয়ে ধরলো..সারা ছুটার জন্য ছটফট করতে থাকলো. শুভ্র মায়াবী কন্ঠে বলে উঠে…

শুভ্র:- প্লিজ মাফ করে দাও জান আর বকবো না সত্যি তিন সত্যি..!
সারা:-ছাড়ুন আমায়..!
শুভ্র:- না ছাড়বো না আগে বলো মাফ করছো..!
সারা:- ছাড়তে বলছি ছাড়েন..(বলে ছটফট করতে থাকলো তবে শুভ্রর থেকে মুক্তি মিললো না)
শুভ্র:- আগে বলো মাফ করছো রেগে নেই..!
সারা:- আচ্ছা ছাড়েন এবার..!
শুভ্র:- কি আচ্ছা রাগ কমেছে পিচ্চি পাখি..?
সারা:- আমারে পিচ্চি বলবেন না আর আমি পিচ্চি না..!
শুভ্র:- তুমি আমার পিচ্চি পাখি আর আমি বোলবো না তো কে বলবে..?

সারা আর কিছু বললো না শুভ্র হাতের বাধন আলগা করে দিলো.. সারা ছাড়া পেয়েই সরে যেতে গেলে শুভ্র সারাকে আরো জোরে আটকে ধরে জড়িয়ে নেই নিজের দুই হাতের বাধনে..শুভ্রর এহেন কান্ডে সারা কিছুটা ভড়কে যায়..শুভ্র সারার কানের কাছে মুখ নিয়ে গিয়ে ফিসফিস করে বলে উঠে…
শুভ্র:- জান রাগ কমে না চলো রাগ কমাই একটু.. যে কারনে রাগ করলে সেই কারনেই রাগ ভাঙাবো।।
শুভ্রর নেশালো কন্ঠে এমন কথা শুনে সারা শিরডাড়া ঠান্ডা হয়ে যায় পশম গুলো দাঁড়িয়ে যায়..সারা শুকনো ঢোক গিলে..শুভ্রর উদ্দেশ্য বলে..

সারা:- ম..ম..মানে ক..ক..কি করবেন আপনি…?
শুভ্র:- তুতলাচ্ছো কেন জান -(শুভ্র নেশালো কন্ঠে ফিসফিস করে বলে উঠে)-
সারা:- ছ..ছাড়েন..ঘ..ঘুমাবো আমি..!
শুভ্র:- উহুম পিচ্চি পাখি আজ ঘুম নিষিদ্ধ আজ রাত আমার অনলি আমার শুধু তোমার রাগ ভাঙানোর জন্য..!
সারা:- আমি রেগে নেই ছাড়েন ঘুমাতে দেন..!
শুভ্র আর কিছু বলতে না দিয়ে সারার উষ্ঠ জোড়া নিজের দখলে নিয়ে নেই…সারা ছটফট করা শুরু করে.. মিনিট পাচেক পর শুভ্র ছেড়ে দেই..সারা জোরে জোরে নিশ্বাস নেই.. তারপর বলে উঠে..
সারা:- অসভ….আর বলতে পারে না শুভ্র আবার সারার লাল টকটকে ঊষ্ঠ জোড়া নিজের আয়ত্তে নিয়ে নেই..সারা বুজে সে আজ চাইলে ছাড়া পাবে না..সারা নিজের হাত শুভ্রর চুলের মাঝে গুজে দেই..এতে শুভ্র আরো পাগল হয়ে যায়…!আকাশের কুয়াশাচ্ছন্ন চাঁদ এর আলো শাক্ষি রেখে আবারো মিলিত হয় দুটি চাতক প্রান..!
ভোর চারটা…..

শুভ্র সারাকে নিয়ে ওয়াশরুম থেকে গোসল করে আসে..এক রাতে দুইবার গোসল করাই.. সারার ঠান্ডা লেগে গেছে..বিছানার সাথে চেপে শুয়ে আছে ছোট্ট কোলবালিশ জড়িয়ে রেখে কম্বল গায়ে দিয়ে শুয়েছে সে..শুভ্র বেশ কিছুক্ষন সারাকে পর্যবেক্ষন করে দরজা খুলে বেরিয়ে যায় রুম থেকে উদ্দেশ্য তার কিচেন..কিচেনে গিয়ে স্যুপ রান্না করে সারার জন্য আর নিজের জন্য ব্লাক কফি বানিয়ে ট্রেতে করে নিয়ে আসতে থাকে উপরে..!
এতো রাতে রান্না ঘরে শব্দ শুনে রুম থেকে বেরিয়েছিলো ফারুক তালুকদার.. তিনি মাত্র তাহাজ্জুদ নামাজ শেষ করলেন..শুভ্র কে ডাইনিং এর মৃদু আলোই উপরে যেতে দেখে তিনিও নিজের রুমে চলে গেলেন…!
শুভ্র রুমে এসে সারাকে উঠে বসাই..সারার মুখ ফ্যাকাশে চোখ গুলো ছোট ছোট দেখেই বোজা যাচ্ছে খুব ক্লান্ত সে..শুভ্র ফু দিয়ে দিয়ে সুপ চামুচ দিয়ে সারাকে স্যুপ খাওয়াতে থাকে.. খাওয়ানো শেষে পিল..আর ব্যাথার জরের ওষুধ খাওয়ে সুইয়ে দেই সারাকে… শুভ্র ও কফি খেয়ে একটু হাটাহাটি করে সারার পাশে সুয়ে পড়ে..মনে মনে ভাবতে থাকে সকালে কথা হবে সেই ধারনা গুলো..এক সময় ঘুমিয়ে পড়ে শুভ্র.!!!

শীতের সকাল..সুর্য মামা অনেক আগে উদয় হলেও এখোনো তার কিরন ধরনি তে এসে পৌছাইনি।।সকাল নয়টা বাজে তবুও কোয়াশা আর মেঘ এ তারিদিক অন্ধকার এর মতোই..ঠান্ডা পড়েছে কনকনে..হাড় হিম করা..তালুকদার বাড়ির ড্রয়িং রুমে সবাই বসে আছে মুখে কারোর কথা নেই..শুভ্রর চোখ মুখ সাভাবিক হলেও শ্রাবন এর মুখে রাগের আভা.. কিন্তু কেও বুঝলো না কারন শ্রাবন ছোট থেকেই চুপচাপ আর গম্ভীর কারোর কথার মাঝে মতামত দেই না এটা তার সাথে যায় না..এইতো কিছুক্ষন আগেই..সকালে পড়তে বসবে বলে অন্তু যখন সারাকে ডাকতে এসে সারাকে রুমে না পেয়ে শ্রাবন কে গিয়ে বলে…
অন্তু:- বড় ভাইয়া.. ছোট আপু তো রুমে নেই..!
শ্রাবন ভুরু কুচকে অন্তুর দিকে তাকিয়ে বলে উঠে…
শ্রাবন:- মানে..?

অন্তু:-ছোট আপু রুমে নাই আমি পুরো বাড়ি দেখেছি..আর আব্বু আম্মু চাচ্চু চাচ্চি ছোট ভাইয়া বড় আপু সবাই তো দরজা লাগিয়ে ঘুমাই..কারোর রুমেই তাইলে জায়নি..!
শ্রাবন ভুরু কুচকে অন্তুর দিকে তাকিয়ে আনিশা ফাতিহার দিকে তাকালো…আনিশা সাথে সাথে মাথা নাড়িয়ে বললো আমি কিছু জানি না.. আপনি এমনে তাকাবেন না.. আমার ভয় এ পিঠ চুলকাই..শ্রাবন বিরক্ত হলো..পর মুহুর্তেই উঠে দাঁড়িয়ে হাটা শুরু করে দরজার কাছে গিয়ে থমকে দাড়াই..পিছনে ফিরে এক ধমক দিয়ে বলে তিন্টাই পড়া শুরু কর আমি এসেই পড়া ধরবো বলেই শ্রাবন বেরিয়ে যায়..আনিশা সেদিকে তাকিয়ে মুখ ভেংচি দিয়ে অন্তুর দিকে তাকিয়ে বলে।।শ্রাবন ভাইয়ের চামচা পড়তে বস নইতো তোর সাথে আমার আর ফাতুর পিঠ ও ফাটাবে…!

৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ১৫+১৬

শ্রাবন স্পষ্ট বুঝতে পারছে সারা শুভ্রর রুমে সেও পুরো বাড়ি খুজে নিয়েছে এই সকাল সাতটাই কেও ঘুম থেকে উঠেনি তাও এতো শীত এ সে তো এই চার টাকে পড়াই.. তাই সে উঠে..শ্রাবন বাগান ছাদ সব খুজে এলো তবে যখন সারাকে পেলো না তখন শিউর হলো সে শুভ্রর রুমে আছে..শ্রাবন এর রাগে পাগল পাগল লাগছে..নিজের মাথার চুল নিজে খামচে ধরে নিজেই কিছুটা চিল্লিয়ে উঠলো তবে সামান্য শব্দে..সে জানেনা কেন তার রাগ হচ্ছে শুধু এটা জানে সারাকে সে…..

৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ১৯+২০

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here