৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ২৪

৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ২৪
সারা চৌধুরী

-“শান্তা আপু আপনি এখানে কি করছেন..?
শান্তা চোখে পানি নিয়ে বলে ঊঠলো আমি তো এসেছিলাম এখানে।। শান্তার বকার মাঝেই সারা হাতে থাকা ট্রে টা ফেলে দিলো মাটিতে হাত দিয়ে দরজার ছিটকানি লাগালো চোখ গেলো বেলকনি তে নাহিদ মোবাইল নিয়ে লুকিয়ে ভিডিও করছে।।। সারা তাকালো তারপর শান্তার দিকে তাকিয়ে বল্লো কি হলো বলেন আপু আমার স্বামির ঘতে কি করছেন আপনি…?

শান্তা এবার কেদে দিলো সে জানে এখন নাটক শিরু করতে হবে ভিডিও চলছে।।শান্তা ফুফিয়ে উঠে বলে আমি এই ঘরে আসতেই শুভ্র ভাই আমাকে জোর করে জড়িয়ে ধরে বিছানায় নিয়ে জাই।। আমার সরলতার সুজোগ নিতে।। শুভ্র রেগে গিয়ে শান্তার দিকে তাকাতেই।।সারা জোরে বলে উঠে মিঃ শুভ্র তালুকদার চুপচাপ বসুন।।সারার মুখে নিজের নাম শুনে শুভ্র হা হয়ে যায়।। এ কোন সারাকে দেখছে চোখ লাল টকটকে এক প্রকার ফুসছে।।সারা আবার নলে উঠে শান্তা আপু আর কি কি করেছে উনি।।শুভ্র বলে উঠে বিশ্বাস করো ও মিথ্য বলছে শান্তার দিকে তাকিয়ে এক ধমক দিয়ে বলে উঠে কু*ত্তা*র বাচ্চা কি বলছিস এসব..শান্তা ভড়কে গেলো তবে ভিডিও চলছে ভেবে শুভ্র হাত ধরে বল্লো কি বলছেন শুভ্র ভাই আপনি তো আমাকে ব্যাবহার করছেন এতোদিন আজকেও তো।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

শুভ্র ফুসে উঠলো শুভ্র কিছু বলার আগেই সারা এগিয়ে এসে শান্তার চুলের মুঠি ধরে ঠাস করে চার পাচ টা চড় লাগাই শান্তার মুখে।।সারা আর শান্তা উচ্চতায় সমান হওয়াই সারাচুলের মুঠি ধরে বলে উঠে তোর লজ্জা করে না আমার সংসার নষ্ট করতে আসিস।। যে ছেলে বিবাহিত তার পিছনে ঘুরিস..বলে আরো কয়েকটা চড় বসালো।।হটাৎ আক্রমনে শান্তা কিছু বুজে উঠতে পারে নি।।সে কখোনো ভাবে নি এমন কিছু করবে সারা।।।সারা ঠাস করে শান্তা কে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়।।শান্তার কপাল লাগে সোফার কোনায়।।কথায় আছে মেয়েরা নিজের সামির ভাগ ছাটে না।।আসলেই সারা আজ প্রচন্ড রেগে গেছে।।বেলকোনিতে থাকা নাহিদ কেপে উঠে।।শুভ্র কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছে।।এ কোন রনচন্ডি সারাকে দেখছে সে।।সারা হটাৎ চিল্লিয়ে উঠে বলে।। নাহিদ ভাই আপনি বের হবেন নাকি আমি বের করে নিয়ে আসবো।। শুভ্র ভ্রু কুচকে বলে নাহিদ কোথা থেকে আসলো ঠিক তখনই নাহিদ বেরিয়ে আছে হাতে মোবাইল নিয়ে।।।

কাল রাতে সারার শুভ্রর চিন্তায় ঘুম আসছিলো না প্রচন্ড মন খারাপ লাগছিলো।।মাথা ব্যাথা করছিলো।।তাই উঠে বাইরে ডাইনিং এ আসে ওষুধ খেতে। পানি নিবে বলে।।তখন শুনতে পাই ফিস্ফিস কথা রাতে যেহেতু কথা বাজে।। আরো শীতের নিস্তব্ধ রাত্রি।।সারা ওষুধ খাওয়া বাদ দিয়ে ফিসফিসানি কথা অনুসরন করে সাদের সিড়ির দিকে আসে।।তখন তার ভুতের কথা মনে পড়ে নিশ্চয় ভুতেরা পেম করছে নয়তো কারোর ঘাড় মটকাবে তাই পরিকল্পনা করছে।।সারার চিন্তায় সারা নিজেই বিরক্ত।।সারা ছোট থেকেই সাহসী হওয়াই ভুত এ ভয় করে না তার।। তাই সে পা টিপে টিপে সাদের গেট এর কাছে এসে উকি দিতেই দেখলো।।চাদের আলোয় শ্রাবন আর তার চাচতো ভাই নাহিদ দাঁড়িয়ে কথা বলছে।।সারা চলে আসতে চাইলো কিন্তু কি মনে করে কান পাতলো মুহুর্তে চোখ বড় বড় হয়ে গেলো তাদের ভয়ংকর পরিকল্পনা শুনে।।

সারা শুকনো ঢোল গিলে নিচে চলে আসলো তার আর বুঝতে বাকি নেই যে কাল সকালে কি হবে।।।সে নিচে এসে শান্তার রুমে গিয়ে চুপচাপ নিজের মোবাইল এর রেকর্ড চালু করে বিছানার নিচে তক্তকোশে লাগিয়ে রেখে আসে।।গ্রামের মেয়ে হওয়াই কুটিল বুদ্ধি ও তার মাথা গিজ গিজ করে।।সে রাতে সেই জন্য শ্রাবন কে নিয়ে খারাপ সপ্ন দেখে অতিরিক্ত চিন্তার কারনে।। সকালে বাড়ি এসে নিজের ফোন নিয়ে বাগানে সেই শ্রাবন এর বলা শান্তার সাথে কুটিল পরিকল্পনা গুলো সে শুনে ঠিক তখন ইতু আসে।।বুজতে বাকি ছিলো না ইতু নাহিদ এর প্রেমিকা।।তাই সারা ইচ্ছা করে ইমোশনাল এর নাটক করে কি কি বলে সেই গুলো রেকর্ড করতে থাকে নিজের ফোনে।।।এর এটাও প্রমান পাই নাহিদের সাথে শান্তার অবৈধ সম্পর্ক আছে।।।

সারা ভেবে পাই না মানুষ এত খারাপ কিভাবে হয়।।সে যদি কাল রাতে পানি খেতে না আসতো তাহলে সে শুভ্রকে ভুল বুঝতো।।আস্তে আস্তে তাদের সম্পর্ক খারাপ হতো।।আর যাকে নিজের আপন ভাইয়ের যাইগা দিয়েছে সে কিনা রাকে বউ বানাতে চাই ভাবতে ঘৃনা জন্মালো সারা মনে।।সারা মনে মনে বললো আল্লাহ যা করে ভালোর জন্যই করে।।নইতো শ্রাবন ভাই এর মতো নিকৃষ্ট মানুষকে সে চিনতো না।।একজন বিবাহিত তার ছোট ভাই বেস্ট ফ্রেন্ড তার বোন আমি আর সে আমাকে অন্য নজরে দেখে।। এসব ভেবে নিজের পা দিয়ে সামনে এক লাত্তি দেয়।। ভুল করে লাত্তি টা শান্তার মাজায় গিয়ে লাগে শান্তা রেগে উঠে।।শান্তা উঠে সারার চুল ধরে বলে..তুই এসেছিস বলেই আমার কাছে থেকে শুভ্র ভাই হারাই গেছে নইতো শুভ্র ভাইকে আমি ভালোবেসেছিলাম আগে।।শুভ্র বলে উঠে আমি কি তোকে কখোনো ভাল্পবাসি বলছি যেখানে তোদের সবাইরে নিজের আপন বোন ভেবে বড় করে তোদের সব শখ পুরন করেছি আর তুই বউ হওয়ার সপ্ন দেখতি।।

সারা শুভ্রকে থামিয়ে দেই দিয়ে নাহিদের দিকে তাকায় শুভ্র কয়েকটা চড় মারাই ছেলেটার ঠোঁট কেটে গিয়ে রক্ত বের হচ্ছে।।চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে।। নিজের বাড়িতেই অন্যের হাতে মার খাচ্ছে কি কপাল।। সারা এবার শান্তার দিকে তাকায় শান্তা সারার চুল ধরায় সারায় ব্যাথা লাগছে সারাও কম জায়না এক হাত দিয়ে শান্তার চুল ধরে অন্য হাত দিয়ে আবারো ঠাস করে চড় মারে শান্তা মারতে আসলে হাত পিঠমুড়িয়ে দেয়।।শান্তা রেগে ছাড়ানোর চেষ্টা করে।। সারা এবার রেগে বলে উঠে তুই শুভ্রকে ভালোবাসতি তাইলে নাহিদ এর লগে আকাশ এর সাথে সুতি*শ কেন বল..শুভ্র অবাক হয়ে বলে কিহ…সারা রাগী চোখে বলে আকাশ কে তো মেরেই ফেললি।।। ফাতিহা আপু না বললে জানতাম না আকাশ ছেলেটাকে কিভাবে ঠকালি তুই।।শান্তা রেগে বলে এই বেয়াদোব হাত ছাড় আমি যা করেছি ভালোই করেছি তোর কি।।

৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ২৩

শান্তার বলতে দেরি শুভ্র এসে ঠাস করে চড় বসিগে দেই শান্তার গালে হুংকার দিয়ে বলে উঠে ওর কি তাইনা।।তারপর নাহিদ এর কলার চেপে ধরে বকে কদিনের সম্পর্ক তোদের নাহিদ কাপা কাপা কন্ঠে বলে এক বছর।। সারা হাসতে হাসতে বলে মিথ্যা বলতে গলা কাপছে চার দু বছরের রিলেশন আপনাদের আপনার ডাইরিতে লেখা আছে সব।। ঘরের ভিতর এমন চিল্লা চিল্লি শুনে শ্রাবন এর আত্মা কেপে উঠে।। সে ভেবেছে শান্তা সারাকে মারছে।। এক দিকে রাগ অন্য দিকে ভয় বাড়ির সবাই দরজায় ভিড় করে দরজা ধাক্কানো শুরু করলো।।সারা মাথায় উড়না ঠিক করে দিয়ে দরজা খুলতেই রেগে গিয়ে বলে উঠে…….

৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ২৫

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here