৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ২৬ (২)

৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ২৬ (২)
সারা চৌধুরী

সাত ঘন্টার রাস্তা প্রায় এগারো ঘন্টা লাগিয়ে কোয়াশা ভরা রাস্তায় এক্স চেঞ্জ করে গাড়ি চালিয়ে এসেছে শুভ্র শ্রাবন।।সকাল আটটার দিকে পুরান ঢাকার বিখ্যাত নাম করা তালুকদার বাড়িতে প্রবেশ করে তিনটি গাড়ি।।সবাই এক করে আগের মতো যে যার রুমে চলে যায়।।।শুভ্র খাবার অর্ডার করেছে।।রহিম চাচা সেগুলা ডাইনিং টেবিল এ সাজিয়ে রাখছে।।শুভ্র ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে দেখলো সারা ড্রেস চেঞ্জ করে মুখে হাত দিয়ে বসে আছে।।শুভ্র ভেজা তোয়ালে বিছানার এক কোনে রেখে সারার দিকে এগোতেই সারা ছিটকে দূরে সরে গিয়ে দৌড় দিলো ওয়াশরুমে।।শুভ্র অবাক হলো কিছুটা।।সারা হটাৎ এমন কেন করলো তার সাথে।।শুভ্র আবার ভাবলো হয়তো অসুস্থ লাগছে তাই ফ্রেশ হতে গেলো।।শুভ্রর ভাবনার মাঝেই নিচ থেকে ডাক এলো খাওয়ার জন্য।।। সারা বের হলে শুভ্র সারার হাত ধরে নিচে এসে খেতে বসলো।। সবাই খাচ্ছে খেতে খেতে ফারুক তালুকদার বলে উঠে।।

এখানে সবাই আছো।।তোমরা তো জানো আমাদের ইন্ডিয়াতে ব্যাবসার ছোট্ট একটা ২৫% এর শাখা আছে।। সবায় হ্যা সুচক মাথা নাড়ায়।।তখন ফারুক তালুকদার বলে উঠে সেখানে যে দায়িত্বে ছিলো কোনো কিছু নিয়ে গড়মিল করে ফেলেছে অনেক বড় গেঞ্জাম সৃষ্টি হয়েছে।।আমি আর আনিস আজ রাতের ফ্লাইট ধরেই ইন্ডিয়া চলে যাবো সোজা এখান থেকে।।সবাই অবাক হলেন ফারুক তালুকদার এর কথা শুনে।।আনিস তালুকদার খেয়ে চলেছেন এসবে তার মাথা বেথা নাই।।ভাই যা বলে হ্যা তে হ্যা না তে না মিলাই।।।
ফারুক তালুকদার শুভ্রর দিকে তাকিয়ে বললেন সিলেট এর অফিস তুমি সামলাও আমি যতদিন না থাকি।।তোমাদের বেপার টা এসে সমাধান করবো।।। শুভ্র বলে উঠে…

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

শুভ্র:- আব্বু আমি আর চাচ্চু যাই।। তুমি সামলাও।।তুমি এমনি অসুস্থ হয়ে যাও।।বলা যায় না।।।
ফারুক তালুকদার:- তোমাকে ভাবতে হবে না।।তুমি এখানে থাকো।।সারা মামনির খেয়াল রেখো।।
শুভ্র:-আব্বু আমি আর চাচ্চু যাই।। আপনি এখানে থাকেন।।আপনি সব সামলাতে পারবেন।।আর আমি যেহেতু দায়িত্ব নিয়েছি আমার উপর ভরসা করুন।।
ফারুক তালুকদার:- কিন্তু।।
শুভ্র:- কোনো কিন্তু নয় আব্বু আমি আর চাচ্চু যাচ্ছি আপনারা কাল সকালে সিলেট ব্যাক করিয়েন..!
ফারুক তালুকদার:- আমি আমার মুখের উপর কথা বলা পছন্দ করি না।।

শুভ্র আর কিছু বলে না।।চুপ চাপ যে যার মতো খেয়ে রুমে চলে যায়।।এদিকে শ্রাবনের বুকের মধ্যে তোলপাড় সারা তার দিকে ভুলেও একবারো তাকায় নি।।শ্রাবনের অসহায় লাগছে।।কেমন এক নতুন কষ্ট অনুভুব করছে।।।নিজের রুমে গিয়ে সিগারেট ধরিয়ে টানতে থাকে।।শুভ্র রুমে এসে সারার পাশে সুয়েছে।।সারার এখন নিজের প্রতি ঘৃনা জন্মাচ্ছে।।কাকে সে ভালোবাসে।।কোন এক পরিবারে এসে পড়েছে।।তার ভবিষ্যৎ কি।।শুভ্র সারার পেট এ হাত দিতেই সারা কেপে উঠে সরে যায়।।শুভ্র এক টানে সারাকে নিজের বুকের মধ্যে নেই।।।সারা ছাড়া পাওয়ার জন্য ছটফটাতে থাকে।।শুভ্র নেশালো কন্ঠে বলে উঠে..

-“উহু পিচ্চি পাখি আমি ভাবলাম তুমি ক্লান্ত এখন দেখি পুরো চাঙ্গা আছো..!
-“ছাড়েন বলছি।।
-“আচ্ছা ছাড়তে পারি তার আগে বলো রাগ হলো কিসে…?
-“রাগ হয়নি তবে আপনি তো বাবাই কে মানা করতে পারতেন অসুস্থ বাবাই।।
-“আরে পাগলি..আমি বলতাম বাট যে কাহিনী হলো এখন গেলে বিপদ।।
-“কিসের বিপদ..!
-“কিছু না।।
-“বলেন…?
শুভ্র উঠে পড়লো।। সারা উঠে বসার আগেই শুভ্র গিয়ে দরজার ছিটকানি আটকিয়ে দিয়ে সারার কাছে চলে আসলো।।

-“আপনি দরজা লক করলেন কেন..?
-“বলবো বলে..!
-“কি বলবেন..?
-“বিপদ কয় প্রকার কি কি।। আর কিসের বিপদ..!
-“তো দরজা লাগানোর সাথে সম্পর্ক কি…?
-“দাড়াও বুজাচ্ছি।।
বলেই শুভ্র সারাকে বিছানার সাথে চেপে ধরে।।। সারা কেপে উঠে।।সারা কিছু বলার আগেই শুভ্র সারার কানের কাছে নেশালো কন্ঠে ফিসফিস করে বলে এই হলো হটাৎ আক্রমণ জনক বিপদ।।বলেই শুভ্র সারার ঠোঁট জোড়া নিজের দখলে করে নেয় সারা দুই হাত দিয়ে শুভ্রকে ঠেলতে থাকে তবে এক চুল নড়াতে পারে না।।শুভ্র বিরক্ত হয়ে এক হাত দিয়ে সারার দুই হাত চেপে ধরে রাখে সারা শান্ত হয়ে যায়।।মিনিট দশেক পর ছেড়ে দিতেই সারা জোরে নিশ্বাস নিতে থাকে।।। শুভ্র দুষ্ট হাসলো।।এক টানে গায়ের টিশার্ট খুলে নিচে ছুড়ে মারে।।তারপর ফিস ফিস করে বলে উঠে…

এবার দেখবা রোমান্টিক বিপদ বলেই শুভ্র সারাকে আবার বিছানায় চেপে ধরে কিস করতে শুরু করে।।সারা উত্তেজনায় শুভ্রর চুলে হাত দিতেই।। শুভ্র আরো উতলা হয়ে কামড়াতে লাগলো এক সময় সারা প্রায় কেদে ফেললো।।শুভ্র সেদিকে তাকিয়ে বললো আসল বিপদ বাকি এখোনো।।।সারার চোখ বেয়ে দু ফোটা পানি গড়িয়ে পরে।। শুভ্র দুহাতের আজলায় চোখ মুছে দিয়ে সারার চোখের কোনায় চুমু খায় তারপর পর আস্তে করে বলে….

-“পিচ্চি পাখি কবে বড় হবা।।অরুর একটা ভাই চাই।। তাড়াতাড়ি বড় হয়ে যাও।।।
সারার এবার লজ্জা আর বিরক্তিতে চোখ বুজে নেই৷ মানুষটা সারাদিন তাকে লজ্জা দিতে পড়ে থাকে।।ইশ সে কি টেনে টুনে বড় হবে নাকি।।সারা উড়না দিয়ে মুখ ঢাকতে চাইলো।।শুভ্র উড়না শরিয়ে সারার নাকে নাক ঘসে নেশালো কন্ঠে বললো..

-“পিচ্চি পাখি প্লিজ আমার কন্ট্রোল হারিয়ে যাচ্ছে তুমি তাড়াতাড়ি বড় হয়ে যাও।।তোমার বাবাই এর কথার মানে বুজো না তুমি।। তুমি ছোট বলেই আমাকে তোমার সাথে থাকতে দিতে চাই না।।।
সারা চোখ বুজে আছে।।শুভ্রর কথা গুলো মন দিয়ে শুনছে শুভ্র উঠে গিয়ে জানালার পর্দা লাগিয়ে দিলো বাইরে এখোনো অন্ধকার কোয়াশায় ভরা।।।শুভ্র এসে গ্লাস থেকে পানি খেলো।।তার পর সারার দিকে দুটো ওষুধ আর পানি এগিয়ে দিয়ে বল্লো খাও।।সারা উঠে বসে ভ্রু কুচকে বললো কিসের ওষুধ।। শুভ্র ভাবলেশহীন ভাবেই বলে উঠে খেয়ে নাও।। সারা চুপচাপ কেয়ে নেয় তবে।। তবে ওয়াশরুমে গিয়ে গাল থেকে ফেলে দেয় ওষুধ দুটোই।।সারা আসতেই শুভ্র সুয়ে পড়ে কম্বল মুড়ি দিয়ে সারাও এক সাইট হয়ে সুয়ে পড়ে।।সারার পিঠ শুভ্রর বুকে ঠেকেছে।।শুভ্র সারার ঘাড়ে মুখ গুজে নিশ্বাস ফেলতে থাকে।।

৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ২৬

শুভ্রর ঘন ঘন গরম নিশ্বাস এ সারার শরীরের লোম শিউরে উঠছে।।শুভ্র ফিসফিস করে বললে পিচ্চি পাখি আজ একটা কিউট বিপদ দেখাবো।।যে বিপদ আসলে মানুষ হাটতে পারে না।।সাথে সারা ছিটকে সরে গিয়ে বলে না না।। শুভ্র মুচকি হাসে একটানে সারাকে বুকের সাথে মিশিয়ে নিয়ে বলে আমি পারছি না পিচ্ছি পাখি মাফ করে দাও।।সারা করুন সরে বলে উঠে না প্লিজ।। সারার কথা বোধহয় শুভ্রর কানে গেলো না তার আগেই….

৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ২৭

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here