দীঘির জলে কার ছায়া পর্ব ৮
অবন্তিকা তৃপ্তি
I just wanna feel your body (ਸਾਨੂੰ ਕਰੇ ਇਸ਼ਾਰੇ)
Touch my body
Don’t be shy, my honey (ਸਾਨੂੰ ਕਰੇ ਇਸ਼ਾਰੇ)
Touch my body
I wanna feel your body (ਸਾਨੂੰ ਕਰੇ ਇਸ਼ਾਰੇ)
Touch my body
Don’t be shy, my honey (ਸਾਨੂੰ ਕਰੇ ਇਸ਼ਾਰੇ)
Touch my body
বাথরুমে হাই ভলিউমে গান বাজছে। অনিরূপ শাওয়ারের নিচে চোখ বন্ধ করে দাঁড়িয়ে আছে। শাওয়ার ট্যাপ থেকে পানি বেয়ে পড়ছে অনিরূপের উদোম গা ছুয়ে। চোখ বন্ধ অবস্থায়, চোখের সামনে ভাসছে আশার গোলগাল সরল সেই মুখ। কী নিষ্ঠুর সে, অন্যান্য প্রেমিকের মতো অনিরূপের প্রেমিকার হাসিহাসি মুখ ভালো লাগে না। তবে প্রেমিকার বিরক্তিতে ভ্রু কুচকে যাওয়া চেহারা, অসহায় মুখশ্রী, আর যখন সে অনিরূপকে মেরে ফেলার জন্যে মুখ কুঁচকায়- সে ধরনের এক্সপ্রেশন অনিরূপের মারাত্মক লাগে।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
অনিরূপ দুহাতে ভেজা মুখ চেপে ধরে, উন্মুক্ত হলো অনিরূপের নীলাভ ওই চোখদুটো। কী স্বচ্ছ দুটো চোখ, কী দুর্দান্ত নেশালো ওই দু চোখ। নারী-আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু বলা চলে ওই চোখ দুটো! অথচ হায়! অনিরূপের কোনো কিছুই আশাকে আকর্ষণ করতে পারল না।
অনিরূপ এক হাত দিয়ে শাওয়ার বন্ধ করলো। তারপর টাওয়াল কোমড়ে প্যাঁচিয়ে বাথরুম থেকে বের হয়ে এলো। বেরিয়ে এসে দেখে তার রুমে বিছানায় বসে আছে, ওয়াহিদা।মুখটা চিন্তিত! অনিরূপ আলমারির দিকে যেতে যেতে বললো- ‘মা, কিছু লাগবে?’
ওয়াহিদার আজ মন খারাপ। ছেলেটা আবার ওই মেয়েকেই বিয়ে করবে বলে সিদ্ধান্ত নিল, কাউকে কিছু বললো না, করলো না। শুধুমাত্র কাল রুমে এসে হঠাৎ করে বলে এলো -সে আশাকে বিয়ে করছে। ওয়াহিদা যেন আব্দুর রহমান সাহেবকে কল করে বিয়ের সব আয়োজন করে ফেলেন-বলে গেলো। ওয়াহিদার তারপর থেকেই নাওয়া-খাওয়া প্রায় বন্ধ। যে মেয়েটা একবার এই বিয়েতে না করলো, এখন আবার হ্যাঁ করছে। কার জোরে? কীসের জন্যে? তার ছেলেটা সুখী হবে তো?
অনিরূপ তখন ঘরের জামা কাপড় পরে বিছানায় বসেছে। ওয়াহিদা ছেলের দিকে ঘুরলেন। মা-সুলভ চিন্তা থেকে জিজ্ঞেস করলেন-‘অনি, ওই মেয়েটাকেই কেন?আমরা আরো মেয়ে দেখি না তোর জন্যে। তুই কেন জোর করছিস বিয়ের জন্য?’
‘কজ আই লাভ হার।’ —অনিরূপের শান্ত-শীতল গলার উত্তর।
ওয়াহিদা অবাক হয়ে গেলেন একদম। বললেন-‘লাভ? এক দেখাতেই? পাগল তুমি?’
অনিরূপ এবার মায়ের কাছে এগিয়ে এসে মায়ের কোলে মাথা রেখে মেঝেতে হাঁটু গেড়ে বসে পড়লো। ওয়াহিদা মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন অনিরুপের। অনিরূপ সরাসরি বললো- ‘হ্যাঁ, আই থিঙ্ক ইটস লাভ। কাছে পাওয়ার তীব্র ইচ্ছাকেই তো লাভ বলে, রাইট মা?’
ওয়াহিদা থেমে যান। আলগোছে ছেলের গৌড় বর্ণের মুখটা উঁচু করে নিজের দিকে ফিরিয়ে হালকা হেসে বললেন-‘নো, ইটস নট লাভ। এটা তোমার জেদ। একটা মেয়েকে অন্তত জেদের বশে বিয়ে করা ঠিক নয়, অনি।’
অনিরূপ হালকা হেসে মায়ের হাত টেনে হাতের আঙ্গুলে চুমু খেয়ে বললো-‘জেদ বলো বা লাভ বলো। বিয়ে করলে ও বৌ হবে, না হলে কেউই নয়। চয়েজ ইজ ইয়োর্স।’
ওয়াহিদা কিছুক্ষন ছেলের দিকে চুপ করে চেয়ে থাকেন-তারপর ভ্রূ কুঁচকে জিজ্ঞেস করে বসেন- ‘‘যদি কখনো কাছে পাওয়ার ইচ্ছা শেষ হয়ে যায়, তখন? তখন কী করবে?’
অনিরূপ ওয়াহিদার কোল থেকে মাথা উঠে দাঁড়ায়। খোলা জানালার দিকে চেয়ে স্বাভাবিক গলায় বললো-‘টাইম উইল সে এভ্রিথিং।’
আজকে হলুদ সন্ধ্যা। যেখানে বড়সড় আয়োজন করার কথা, সেখানে আব্দুর রহমানের কপালে চিন্তার ঘনীভাব। কিভাবে বিয়ে দিবেন মেয়ের, আজ হলুদ, কাল বিয়ে। এতগুলো টাকা চাই, কোথা থেকে পাবে তার এত টাকা? আব্দুর রহমানের চিন্তা আশা দেখে। আশা কোন কথা না বলে-সোজা নিধির কাছ থেকে ফোন নিয়ে নিজের রুমে চলে আসে। কল লাগায় অনিরূপের নম্বরে।
অনিরূপের বাড়ি তখন কাজিনদের মধ্যে ভয়াবহ মারামারি চলছে। অনিরূপকে হলুদ লাগাবে ওরা। সবার মতে, হলুদে সব কাজিনরা মিলে লুঙ্গি-স্যান্ডো গেঞ্জি পরে হলুদ ভরা পানিতে গোসল করবে। সবার সঙ্গে তাল মিলিয়ে অনিরুপের লুঙ্গি-স্যান্ড গেঞ্জি পরা উচিত! কিন্তু-অনিরূপের এক কথা। সে হলুদ-ই লাগাবে না। বিয়ের দিন হলদেটে মুখ নিয়ে সে কক্ষণ বিয়ে করবে না, হি হ্যাজ প্রেস্টিজ ইস্যু!
তাই, অনিরূপকে চেপে ধরে একপ্রকার বিছানায় শুইয়ে পেটাচ্ছে অরূপ আর কিছু ছেলে কাজিনরা। অনিরূপও পাল্টা আক্রমণ করছে, অরূপ অনিরূপের কাঁধ চেপে চেচায়-
‘ভাইয়া একটা দিনই তো। প্লিজ! প্লিজ!’
অনিরূপ হাঁপাতে হাঁপাতে বলল-‘নো, নেভার। গায়ের উপর থেকে সর এখন।’
অরূপ এবার চোখ রাঙাল। বললো-‘ভাবিকে কল করবো? আমাদের মজা মাটি করছো তুমি, শোনাব উনাকে?’
অনিরূপ হাঁপাতে হাঁপাতে হেসে ফেলল। বললো-‘কল কর যাহ! ভাবির মুখ থেকে মধুর বদলে গালাগাল বের হবে, শুনবি?’
অরূপ কাতর চোখে অনিরূপের দিকে তাকাল। এরমধ্যে কল এলো আশার! কলের আওয়াজ শুনে অনিরূপ হাঁপাতে হাঁপাতে বললো-‘ছাড় আমাকে, কলটা রিসিভ করি?’
অরূপ একবার উঁকি দিয়ে দেখলো। নম্বর সেইভ কড়া ‘Nidhi’ নামে। অরূপ ছেড়ে দিল অনিরূপকে। তারপর নিজে দৌঁড়ে এসে কল রিসিভ করতে যাবে, তার আগেই অনিরূপ বিছানা থেকে চেঁচিয়ে উঠে-‘কল ধরবি না একদম, ফোন দে আমাকে অরূপ।’
এতোক্ষণ অনিরূপের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে অরূপও হাঁপিয়ে গেছে। সে ফোন হাতে নিয়ে দাঁত কেলিয়ে বললো-‘বৌ ছেড়ে বৌয়ের বড় বোনের সঙ্গে এত কী কথা? আমিও শুনি একটু।’
অনিরূপ তেড়ে আসলো সঙ্গেসঙ্গে। তার আগেই অরূপ কল রিসিভ করে বলে বসলো-‘হ্যালো- তালই সাহেবা। হোয়াটস অ্যাপ?’
ওপাশে আশা গলা কেশে ছোট্ট স্বরে বলল- ‘আমি আশা।’
অরূপ এবার একদম চুপসে গেল। সঙ্গেসঙ্গে ফোনটা ছুঁড়ে দিল অনিরূপের দিকে। অনিরূপ ফোন ক্যাচ করে অরূপের দিকে আগুন চোখে চেয়ে থাপ্পড় বসালো অরূপের ঘাড়ে।তারপর ফোন হাতে নিয়ে বারান্দার দিকে চলে গেল। অরূপ ঘাড়ে হাত ঘষে বাকি কাজিনদের দিকে তাকাল। সবাই সন্দেহের নজরে অরূপকে দেখছে, অরূপ ভ্যাবলামার্কা হাসি হেসে বললো- ‘বিয়ের আগে কথা বলে ফ্রি হচ্ছে ভাইয়া। সংসারে তাহলে বন্ডিং ভালো হবে। বুঝিস না?’
অনিরূপ বারান্দায় এসে কল কানে ধরে। মৃদ্যু হেসে বললো-‘হ্যালো, বৌ!’
আশা ভ্রু কুঁচকায়, বলে-‘বারবার এভাবে মুখ ভরে বৌ না ডাকলে কেউ আপনাকে পেটাবে? এসব আদিক্ষেতা আমাকে দেখাবেন না প্লিজ!’
অনিরুপ হাসে, বললো-‘বিয়ে করা বৌকে বৌ ডাকতে পারব না, কী মুশকিল! যাক, কী বলবে বলো।’
আশা এবার সরাসরি বলে বসে- ‘বিয়েতে আমরা কোনো ঝাঁকঝমক করতে পারব না। সিম্পল ভাবে বিয়ে হবে রাজি হলে বলুন।’
অনিরূপ ঘাড়ে ম্যাসাজ করে হালকা হেসে বললো-‘রাজি।’
আশা আবারও বলল- ‘আপনার বর যাত্রী হিসেবে মাত্র ৩০ জন আসবেন।রাজি?’
অনিরূপ হাসছে, বললো-‘রাজি।’
আশা থামে। অনিরূপ জিজ্ঞেস করল-‘আর কিছু?’
আশা লম্বা করে শ্বাস ফেলে বললো-‘আমরা কোনোপ্রকার কোন যৌতুক দিব না।রাজি?’
অনিরূপ এবার থামে, ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করে-‘মা তোমাদের কাছে যৌতুক চেয়েছে?’
আশা তাচ্ছিলের হাসি হেসে বিদ্রুপ করে বলে-‘না এখনো বলেন নি। তবে আপনাদের বড়লোকি কাজ কারবার। কখন যেন মুড পাল্টে যায় কে জানে।’
অনিরূপ ভ্রূ কুঁচকে বললো-‘মুড পাল্টে গেলে তবে কথা উঠাবে, এর আগে কেন?’
এই যে, দুজনের মধ্যে আবার ঝগড়া-ঝগড়া শুরু হবার একটা সূক্ষ্ম চেষ্টা চলছে। আশা আগবাড়িয়ে কিছু বলবে, অনিরূপের রাগ উঠবে! তারপর একে অন্যকে জবান দিয়ে কে/টে ফেলার চেষ্টা চলবে। কিন্ত অনিরূপ বুদ্ধিমান, সে এসব হতে দিবে না। তাই সে ঠান্ডা করলো নিজেকে। শান্ত স্বরে আশাকে থামিয়ে জিজ্ঞেস করল-‘আর কিছু আছে?’
আশা থামে, কিছুক্ষণ চুপ থেকে তারপর শীতল গলায় বললো-‘না, এই কথাগুলো মাথায় রাখবেন। রাখছি।’
আশা কিছুক্ষণ থামে, অনিরূপের মৃদ্যু হাসির শব্দ ভেসে আসছে।কতটা নিষ্ঠুর সে, আশাকে নিয়ে মজা নিচ্ছে। আশা খানিকটা বিরক্ত হয়ে বললো-‘আপনি হাসছেন কেন? আমি কী এখানে হাসির কথা বলেছি?’
অনিরূপ হাসি থামানোর চেষ্টা করে বললো-
‘বলো নি? দ্য গ্রেট অনিরুপের ওয়াইফ টাকার জন্যে চিন্তা করছে? এ দিনও আমার দেখা লাগলো, উফ।’
আশা ভ্রু নাড়িয়ে বললো-‘ টাকার বড়াই খুব না আপনার?’
অনিরূপ মৃদ্যু হেসে বললো-‘অফকোর্স, টাকা থাকলেই সব করা যায়। সব আশা, সব।’
‘সব আশা, সব’ কথাটায় কিছু একটা হিন্টস ছিল, অথচ পোউর আশা বুঝেনি। আশা ছোট্ট করে শ্বাস ফেলে বললো,
‘টাকাই সব না, দ্য গ্রেট অনিরূপ। একদিন বুঝবেন।’
আশা তারপরই কল কেটে দিল। অনিরূপ ফোন হাতে কিছুক্ষণ চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকল। টাকা যার কাছে নাই, সে কিভাবে বুঝবে টাকার মর্ম! পোউর আশা!
অনিরূপ তারপর কল লাগাল কাউকে। কল রিসিভ হল, অপর পাশের মানুষ সালাম করলো। অনিরূপ সালামের জবাব দিল না, সরাসরি জিজ্ঞেস করল-
‘টাকাগুলো পৌঁছে দিয়ো।’
‘জী স্যার, আমি লোক পাঠিয়েছি।’
অনিরূপ কল কেটে দিল। তারপর অরূপরা এসে টেনে নিয়ে গেলো অনিরূপকে নিছে। পড়া লাগবে না কিছু। শুধু একট হলুদ লাগালেই চলবে।মনটা এখন ফুরফুরে, তাই অনিরূপও তাল মেলালো তাদের সঙ্গে!
আব্দুর রহমান ছোট পরিসরে হলুদের আয়োজন করেছেন। আশা উঠোনে একটা সোফায় বসে আছে, সামনে একটা টেবিল। টেবিল হলুদের ডিজাইনে কেইক, ফলের থালা, মিষ্টি আরও অনেক কিছু রাখা। আশাকে হলুদ মাখিয়ে দিচ্ছে সবাই। সবাই ভীষণ হাসাহাসি করছে! সবাই খুশি আজ ভীষণ; অথচ আশা আজ ভীষণ মনমরা। নিজের বিয়েতে সে নিজেই খুশি হতে পারছে না। এ ব্যাপারটা হয়তো সবাই লক্ষ্য করছে। একজন মহিলা তো বলেই ফেলল-
‘নিজের চেয়ে দশ গুণ বেশি অবস্থানে মেয়ে বিয়ে দিচ্ছে।অথচ এই মেয়ের হাবভাব দেখে মনে হইতেসে পিরিত করেছে, এখন টাকার জন্যে বিয়া বসতেসে। প্রেমের জ্বালা চোখে-মুখে ফুটায় আছে।’
সবার কানাঘুষা নিধির কানে পৌঁছে গেল ঠিকই। সে মেহমানদের শরবত দিয়ে আশার কাছে এলো। আশা নিধিকে দেখে আড়মোড়া ভেঙে বললো-‘আপা এসব কখন শেষ হবে? ভালো লাগছে না আমার আর।’
নিধি আশার দিকে কড়া চোখে চেয়ে বললো-‘ভালো না লাগলেও থাকা লাগবে। আর তুই কী হাসতে জানিস না? হাসিস না কেন? মানুষ নানা কথা বলছে আশা।’
শেষের কথাটা একপ্রকার কাতর হয়ে বললো নিধি! আশা চারপাশ দেখে, সবাই আশাকেই দেখছে। আশা সেসব পাত্তা দিলো না, বরং বিরক্ত হয়ে বললো-‘দেখুক, আমার কী? হাসি না এলে জোর করে আমি হাসতে পারব না আপা!’
নিধি আর কিছু বোঝাতে পারল না, তাকে ডাকছে রান্নাঘর থেকে। তাই সে ছুটে গেলো সেখানেই। আশা আবারো মুখ ভার করে সবার নাটক দেখতে লাগল।
রান্নাঘরে যেতেই ইমা নিধিকে টেনে একটু দূরে নিয়ে গেল। ইমার চোখে-মুখে উৎকণ্ঠা! সেটা দেখে নিধি জিজ্ঞেস করল- ‘কী হয়েছে ইমা?’
ইমার ওড়নার নিচে লুকিয়ে রাখা একটা ব্যাগ, একটা কালো রঙের ব্যাগ। নিধি ব্যাগটা মুহূর্তেই চিনে ফেলল। এটা তার ব্যাগ, এই ব্যাগে করে তো আশা টাকা নিয়ে গিয়েছিল শহরে। নিধি ব্যাগ টা টেনে নিয়ে বললো-‘এই ব্যাগ? এটা তুমি কোথায় পেলে?’
ইমা ফিসফিস করে বললো-‘আমাদের থানার পুলিশ এসে দিয়ে গেছে। এটা নাকি ছিনতাই হয়ে গেছিল, কিন্তু আশার জামাই লোক লাগিয়ে টাকা ফেরত এনেছে।’
নিধি টাকা গুনে দেখে। পুরো ৬৫ হাজার টাকা এখানে রাখা। নিধি টাকা দেখে সঙ্গেসঙ্গে সেটা নিজের আঁচলের আড়ালে রাখল। আব্বাকে জানানো যাবে না এই টাকার কথা। জানলে প্রশ্ন করবে অনেক। প্রশ্ন আসবে- এই টাকা ছিনতাই হলে, আশা কী দেখিয়ে তাকে জেল থেকে ছাড়িয়েছে? এরকম হাজার প্রশ্ন জমবে তার মধ্যে। তার চেয়ে টাকাগুলো নিধি বিয়েতে একটু একটু করে খরচ করবে। বিয়ের পুরো দায়িত্বটাই তো নিধির হাতেই!
নিধি খুশিতে ইমাকে একহাতে জড়িয়ে ধরে চুলে চুমু খেয়ে বললো-‘খুব ভালো একটা কাজ করেছিস, ইমা! চা খাবি? দাড়া বানিয়ে দিচ্ছি।’
দীঘির জলে কার ছায়া পর্ব ৭
নিধি ইমার জন্যে চা বসিয়ে চলে গেল নিজের রুমে। টাকাগুলো সাবধানে আলমারিতে তুলে রাখলো। টাকাগুলো ছিনতাই না হলে, হয়তো আশাকে ওভাবে ব্ল্যাকমেইল করে অনিরূপ বিয়ে করতে পারত না। টাকা ফেরত পেল ঠিকই, কিন্তু- স/র্বনা/শ যা হওয়ার তা তো ঘটেই গেছে!