উষ্ণ প্রেমের আলিঙ্গন পর্ব ৪৫
আফিয়া আফরোজ আহি
উৎসব মুখর পরিবেশ। সবাই ব্যাস্ত ভঙ্গিতে এদিকে ওদিক ছুটোছুটি করছে। বিয়ে বাড়ি বলে কথা ব্যস্ততার শেষ নেই। তার ওপর বরযাত্রী এসে পড়েছে। তাঁদের আপ্পায়নে সবাই ব্যস্ত। আমি বসে আছি আমার রুমে। পাশে বসে আছে ইভান ভাই। এতদিন এই মানুষটাকে ঘৃণা করলেও এখন তার প্রতি মায়া হচ্ছে। পাশেই রাখা তার ট্রলি। ইভান ভাইয়েরা দিকে তাকিয়ে একটু আগের ঘটনায় ফিরে গেলাম।
ইভান ভাই একটু একটু করে এগিয়ে আসছিলো। তাকে আমার দিকে আসতে দেখে দিগ্বিদিগ্ শুন্য হয়ে গেলাম। ইভান ভাইকে দেখে ভয় হচ্ছে। তিনি কি আমার গাঁয়ে কলঙ্ক দিতে এসেছেন? আমার জন্য বড় আব্বু তার সাথে নারাজ, শুভ ভাই তার সাথে কথা বলে না, আদ্র ভাইয়েরা সেদিনের মারের বদলা কি তবে তিনি এভাবেই নিবেন? তার সকল আক্রোশ আমার ওপর। মৃদু স্বরে বললাম,
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
“আপনি এখানে কি করছেন ইভান ভাই? দূরে যান আপনি? আমার রুমে আপনি কেন এসেছেন?”
ইভান ভাই হয়তো আমার পরিস্থিতি টা বুঝলেন। শান্ত কণ্ঠে বললেন,
“উত্তেজিত হোস না। আমি তোর কোনো ক্ষতি করবো না, বিশ্বাস কর আমার। একটু আমার কথা গুলো শোন। একবার প্লিজ”
“আমি আপনার কোনো কথা শুনতে চাইনা। আপনি এখান থেকে যান প্লিজ”
“একটা বার আমার কথাটা শোন রোদপাখি। একটা বার প্লিজ”
“আপনার কানে যায়না কথা? আপনার কোনো কথা আমি শুনতে চাই না। আপনি চলে যান”
ইভান ভাই হতাশ কণ্ঠে বলল,
“এতটা ঘৃণা করিস আমায় রোদপাখি? ঘৃণার তিব্রতা এতটাই বেশি যে আমার কথাও শুনতে চাইছিস না?”
“এটাই কি স্বাভাবিক নয়? আপনি আমার সাথে কি কি করেছেন সব ভুলে গেলেন? আপনি ভুললেও আমি ভুলিনি”
“সেগুলো ভোলার মতোও না। শেষ বার আমার কথা গুলো শোন প্লিজ, এরপর আমি আর তোকে আমার মুখ দেখাবো না। প্রমিস”
ইভান ভাই মানুষটা যতই খারাপ হোক প্রমিস করে কখনো ভাঙবে না এটা শিওর। তার ওপর এতটুকু বিশ্বাস আমার আছে।
“ঠিক আছে আমি শুনবো আপনার কথা। কিন্তু আপনি বিছানায় আর আমি সোফায় বসব। আপনার থেকে আমার দূরত্ব থাকতে হবে। আর দরজাটা যেয়ে খুলে দিয়ে আসুন”
ইভান ভাই আমার কথা শুনে তাচ্ছিল্য হাসলেন। অতঃপর উঠে যেয়ে দরজার খুলে দিয়ে আসলেন। সস্থির নিশ্বাস ফেললাম। ইভান ভাই এসে বিছানায় বসলেন।
“এবার বলুন কি বলবেন?”
ইভান ভাই একটু সময় নিলেন। হয়তো কথা গুলো গোছাচ্ছিলেন। আমি তাকিয়ে আছি তার দিকে। হটাৎ সেদিনের কথা মনে পড়তেই ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটিয়ে বলে উঠলাম,
“লাল শাড়িও পড়বো বউও সাজবো, তবে আপনার জন্য না এক শুদ্ধতম পুরুষের জন্য”
থেমে বিশ্ব জয় করা হাসি দিলাম। ফের বলাম,
“কথা গুলো মিললো তো, ইভান ভাই?”
ইভান ভাই আমার কথায় কেমন করে যেন হাসলেন। বড্ড করুণাময় সেই হাসি। দম নিয়ে বলা শুরু করলেন,
“জানিস রোদ পাখি আমিও না কাউকে ভালোবেসেছিলাম। বড্ড বেশিই ভালোবেসেছিলাম। এই বেশি ভালোবাসাটাই যেন আমার কাল হলো। কাউকে ভালোবাসা ঠিক তবে তাকে অন্ধ বিশ্বাস করা না। তোকে বলেছিলাম না আমি ইরাকে ভালোবাসি? ইরা মেয়ে টা আমার ভার্সিটির জুনিয়র ছিলো। আমি তাকে ভালোবেসেছিলাম তবে ও বাসে নি। ও আমায় ব্যবহার করেছে। ধোঁকা দিয়েছে আমায়। শুধু মাত্র ওর জন্য আমি তোকে আঘাত করেছি, তোকে সবার সমানে খারাপ বানাতে চেয়েছি, তোকে কষ্ট দিয়েছি।
বাবা যখন আমায় তোকে বিয়ে করার কথা বলে তখন আমার মাথা কাজ করছিলো না। ওকে বিষয়টা জানালে ও বলে তোর সাথে খারাপ ব্যবহার করতে তাহলে তুই আমার থেকে দূরে সরে যাবি। ওকে বিশ্বাস করতাম সাথে সেই সময় আমার মাথা কাজ করছিলো না বিধায় ওর কথা মতোই কাজ করছিলাম। এরপর যখন ওই দেশে ব্যাক করি। মাঝে কেটে যায় দুই দুইটা বছর । দিনদিন ও বদলাতে শুরু করে। ওর আশেপাশে ছেলেদের আনাগোনা বেড়ে যায়। অতঃপর একদিন আমাদের তুমুল ঝগড়া হয় সেদিন জানতে পারি ও শুধু আমায় ব্যবহার করেছে টাকার জন্য। সেদিন বিশ্বাস কর ভেঙ্গে গুড়িয়ে গেছি আমি। চুরমার হয়ে গিয়েছিলাম।
যার জন্য তোকে কষ্ট দিলাম, বাবা-মায়ের থেকে আলাদা হলাম সেই আমায় ভালোবাসেনি। তোকে সামলানোর জন্য আদ্র থাকলেও আমার জন্য কেউ ছিলো না। তখন বারবার আমি তোর কষ্ট গুলো অনুভব করেছি। ফিল করেছি আমি তোকে কতটা আঘাত দিয়েছি। নিজেকে কিভাবে সামলেছি আমি জানি। তখন মনে হলো সব কিছুর জন্য তুই দায়ী। তোর বলা কথার জন্যই সে আমায় ছেড়ে গেছে। তোর অভিশাপ ফলেছে। তখন তোর ওপর রাগ জমেছিলো।
ধীরে ধীরে বুঝতে পড়লাম তোর কোনো দোষ নেই। তারপর মনে হলো আমার আমিটাকে গোছানোর জন্য আমার জীবনে তোকে দরকার। বড্ড বেশি দরকার। তোকে ছাড়া আমার চলবে না। এরপর দেশে ফিরে তোর সাথে আদ্রর মেলামেশা আমার পছন্দ হচ্ছিলো না। তখন আমার তোকে চাই,চাই মানে চাই। পা*গল হয়ে গেছিলাম এক প্রকার। তোর কাছে ক্ষমা চেয়ে তোকে ফেরত চাইলাম। কিন্তু তুই আমায় ফিরিয়ে দিলি বারবার। এর মাঝে আমার
চোখের পড়লো আদ্রর প্রতি তোর ভালোবাসা গুলো। ওর এক্সিডেন্ট এ তোর করা পা*গলামো গুলো। সহ্য হচ্ছিলো না সেগুলো আমার। ততদিনে তুই আমার জেদ হয়ে গিয়েছিলি। প্ল্যান করলাম তোকে বিয়ে করবো। একবার বিয়ে হয়ে গেলে তুই ঠিক আমায় ভালোবাসবি। সেই মতে প্ল্যান ও করলাম। তবে… ”
বলে ইভান ভাই থেমে গেল। বিছানার পাশে রাখা গ্লাসের পানি ধক ধক করে খেয়ে নিলো এক নিমিষেই। আমি উৎসুক হয়ে তাকিয়ে আছি তার কথা শোনার জন্য। ইভান ভাই পুনরায় বলা শুরু করলেন,
“তবে জানিস সেদিন প্রথম বারের মতো অনুভব করলাম আদ্র তোকে কতটা ভালোবাসে। সেদিন চাইলে আমিও আদ্রকে আঘাত করতে পারতাম তবে করিনি। কেন জানিস? আদ্রর করা প্রথম আঘাতে আমি হতবাক, হতোভম্ব হয়ে গিয়েছিলাম। যেই ছেলে কখনো মা*রা*মারি, ঝামেলার কাছে যায়নি সেই ছেলে শুধু মাত্র তোকে ভালোবেসে আমায় আঘাত করছে। যার খুব কাছের বন্ধু ছিলাম আমি।
সেদিন আমি এতটাই অবাক হয়েছিলাম যে ওকে আঘাত করার কথা বেমালুম ভুলে গিয়েছিলাম। নীরবে ওর আঘাত সহ্য করে গিয়েছিলাম। ও আমায় আঘাত করলেও আমার প্রতি থাকা ওরা ভালোবাসা কমেনি। আমি হসপিটালে থাকা কালীন বেশ কয়েক বার দেখে এসেছে আমায়। তুই হয়তো এগুলো জানিস না। সুস্থ হওয়ার পড় বন্ধুর বাসায় ছিলাম এতদিন। কিন্তু তোদের এতো সুন্দর একটা দিনে না এসে পারলাম না। আমার রোদ পাখির বিয়ে বলে কথা। সত্যিই তুই অনেক ভাগ্যবতী। আদ্রর মতো জীবন সঙ্গী পেয়েছিস। পারলে আমায় ক্ষমা করে দিস। যদিও জানি আমি যেগুলো করছি তার ক্ষমা হয়না। তবুও যদি সম্ভব হয় আরকি”
কথা গুলো বলা ইভান ভাই হাসার চেষ্টা করলো। তবে তার মুখে যেন হাসি ফুটতেই চাইছিলো না জোর করে হাসলেন। আমি তখনো নীরব। চুপচাপ তার দিকে তাকিয়ে আছি।
“আচ্ছা রোদ পাখি তুই না সেদিন আমায় প্রশ্ন করেছিলি আমি কেন তোকে ভালোবাসিনি?”
আমি মাথা নাড়িয়ে সায় জানালাম। ইভাম ভাই হেসে বলল,
“আদ্র তোকে এতটা ভালোবেসে বলেই হয়তো আমি তোকে ভালোবাসিনি। আমি তোকে ভালোবাসলে যে ওর নির্ভেজাল ভালোবাসা তোর পাওয়াই হতো না”
ইভান ভাই উঠে গিয়ে জানলার ধারে দাঁড়ালেন। আকাশ পানে মুখ করে জিজ্ঞেস করলেন,
“আচ্ছা রোদ পাখি বলতো আমার কি দোষ ছিলো? ইরা কেন আমায় ভালোবাসেনি। নিজের সম্পূর্ণ সত্ত্বা এক করে ভালোবাসার পরও ও কেন আমায় ভালোবাসেনি? জানিস রোদ পাখি এই গল্পে সবচেয়ে অভাগা কে?”
আমি প্রশ্নবোধক দৃষ্টিতে তার দিকে তাকালাম। ইভান ভাই আকাশের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশাস ফেলে বলল,
“আমি”
একটু থেমে আবার বলা শুরু করলো,
“আমি ইরার ভালোবাসাও পাইনি, তোর ভালোবাসা পেয়েও হারিয়েছি। আমার মতো অভাগা হয়তো কেউ নেই। কিন্তু আমি হতাশ হবো না। আল্লাহ নিশ্চই আমার জন্য কাউকে না কাউকে রেখেছেন। তবে ইরা কেন আমায় ওভাবে ধোঁকা দিলো?”
“হয়তো আপনার ভাগ্যে ছিলো তাই”
ইভান ভাই জানালা থেকে সরে আসলেন। এসে বসলেন আমার পাশে। একটু আগে মানুষটাকে ভয় লাগলেও এখন তার প্রতি করুণা হচ্ছে। ইভান ভাই আমায় ভালো করে পরখ করে বলল,
“তোকে একদম বউ বউ লাগছে। লাল টুকটুকে বউ”
অতঃপর হুট্ করে এগিয়ে মাথায় ঠোঁট ছুঁইয়ে বললেন,
“সুখে থাকিস রোদপাখি। আদ্র তোকে অনেক ভালোবাসে। সারাজীবন আগলে রাখবে তোকে। তোকে বিন্দু মাত্র কষ্ট পেতে দিবে না। ভালো থাকিস”
ইভান ভাই উঠে যেতে নিলে খপ করে তার শার্ট এর কণা ধরে নিলাম। বাঁধা পেয়ে তিনি পিছু ফিরে চাইলেন। প্রশ্ন বোধক চাহনিতে তাকিয়ে আছেন।
“কোথায় যাচ্ছেন ইভান ভাই? ট্রলি নিয়েই বা এসেছেন কেন? আপনি কি আবার চলে যাবেন?”
ইভান ভাই পাশে বসলো। মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলল,
“হ্যাঁ, আমি চলে যাচ্ছি। তোদের বিয়েটা হয়ে গেলেই চলে যাবে। আরো আগেই চলে যেতাম তবে থেকে গিয়েছিলাম তোমাদের বিয়েটা দেখার জন্য”
“আপনি কি আমার জন্য চলে যাবেন?”
“বোকা মেয়ে তোর জন্য যাবো কেন? ওখানে আমার কাজ কর্ম সব কিছু। আমায় তো যেতেই হবে”
কোনো উত্তর দিলাম না। দুজন বসে আছি পাশাপাশি। তবে কারো মুখেই কোনো কথা নেই। এর মাঝে ইভা উচ্ছাস নিয়ে রুমে ঢুকলো। ওরা হাতে টাকার বান্ডেল। টাকা গুলো নাড়তে নাড়তে বলল,
“এই না হলে আদ্র ভাই, একবার চাওয়াতেই টাকা দিয়ে দিলো। তার নাকি বউয়ের মুখ দেখার জন্য তর সইছে না। তাড়াতাড়ি চল বনু। ভাই আমার অপেক্ষা করছে”
এই লোক কি আমায় লজ্জায় ফেলা ছাড়া আর কিছু জানে না? আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে শেষ বারের মতো দেখে নিচ্ছি। লাল রঙের লেহেঙ্গা, গাঁ ভর্তি জুয়েলারি, দুহাতে মুঠো ভর্তি লাল চুরি। মুখে ভারী সাজ। সব মিলিয়ে নিজেকে কেমন অচেনা অচেনা লাগছে। হয়তো ভারী সাজের জন্য। ইভার কথা শেষ হতেই আগমন হলো ঈশিতা আপুর। এসে আমায় দেখে নিয়ে বলল,
“সব ঠিকঠাক আছে। এখন চল দেখি। নিচে সবাই অপেক্ষা করছে”
ঈশিতা আপু এগিয়ে এসে মাথায় সুন্দর করে ওড়না দিয়েছি ঘোমটা দিয়ে দিলো। দুজন আমার দুপাশে। নিচে নেমে বাগানের দিকে যেতে হবে। মাঝে শুভ ভাই এসে যোগ হলো। আমার হাত নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে সাহস দিলো আমায়। অতঃপর আমায় নিয়ে বসিয়ে দিলো আদ্রর সামনে রাখা আসনে। বাগানে স্টেজ বানানো হয়েছে। স্টেজের মাঝে আমার আর আদ্রর বসার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুজনের মাঝে রয়েছে ফুলের তৈরি পর্দা। মুখের ওপর দেওয়া ওড়না পাতলা হওয়ার সবই বোঝা যাচ্ছে। আড়চোখে তাকিয়ে দেখলাম আদ্র এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। ওনার পরনে গোল্ডের রঙের শেরওয়ানি। মাথায় পাগড়ি, হাতের ঘড়ি। সব মিলিয়ে আদ্রকে বর বর লাগছে। উনার থেকে চোখ ফিরিয়ে নেওয়া যাচ্ছে না। উনি সুন্দর নাকি আমার চোখেই তাকে সুন্দর লাগে?
নিঃসন্দেহে আদ্র সুদর্শন পুরুষ। আদ্রর থেকে চোখ সরিয়ে নিলাম। কিন্তু আদ্র এখনো আমার দিকে তাকিয়ে আছে। ইভা কাশি দিয়ে উঠলো। আদ্র হুসে ফিরলো। কাজী সাহেব এসে বসলেন তার জন্য বরাদ্দ করা জায়গা। শুরু করলেন বিয়ে পড়ানো। মনে পড়ে গেল সেদিনকার কথা। সেদিন আমার পাশে কেউ ছিলো না। কিন্তু আজকে দিনটা ভিন্ন আমার পাশে সব কাজিনরা রয়েছে, আব্বু-আম্মু সবাই রয়েছে। একটু পড় কাজী সাহেব কবুল বলতে বললেন। আগের সেই একই অনুভূতি তবে এবার পরিস্থিতি অন্য রকম। রুদ্র ভাই সারাদিন কাছে না এলেও এই মুহূর্তে এসে পাশে দাঁড়ালো। হাত ধরে সাহস দিলো। রিসাব ভাইয়া ওপর পাশে কাঁধে হাত রেখে ভরসা দিলো। একটু দূরে তাকিয়ে দেখলাম ইভান ভাই দাঁড়িয়ে আছে। দুই ভাইকে পাশে নিয়ে বুক ভরে শ্বাস নিয়ে কাঙ্খিত সেই শব্দ ‘কবুল’ বলে দিলাম। এরপর আদ্রর পালা। আদ্রকে বলতে বলা হলে উনি এক দমে বলে দিলেন। আশেপাশে হাসির রোল পড়ে গেল। ইভা বলে উঠলো,
উষ্ণ প্রেমের আলিঙ্গন পর্ব ৪৪
“আদ্র ভাই আপনার বউকে কেউ নিয়ে যাচ্ছে না। আসতে ধীরে বলেন”
সবাই একসাথে “আলহামদুলিল্লাহ” বলে উঠলো। চারপাশে খুশির রোল পড়ে গেল। সবার মাঝে খুশির আমেজ। একে অপরকে মিষ্টি খাওয়াচ্ছে। ফুলের পর্দা উঠিয়ে দেওয়া হলো। আদ্র এগিয়ে এলো। আলতো হাতে মুখের ওপর থেকে ওড়না তুলে ফেলল। অতঃপর কিছু সেকেন্ড তাকিয়ে রইল আমার মুখপানে। এগিয়ে কপালে ওষ্ঠ ছুঁইয়ে দিয়ে বলল,
“ভালোবাসি বউ”