একটি নির্জন প্রহর চাই সিজন ২ পর্ব ৩০

একটি নির্জন প্রহর চাই সিজন ২ পর্ব ৩০
Mousumi Akter

কেটে গিয়েছে সাতদিন..
রুমের দরজা -জানালা সব বন্ধ করে অন্ধকার রুমের ফ্লোরে বসে আছে জিনাত। ঘন্টাখানিক সময় ধরে সে কাঁদছে। চোখের সামনে সারাক্ষণ ভেষে উঠছে রোশান-সারাহ’র দাম্পত্য জীবন। আজ সারাহ’র পাশে তার থাকার কথা ছিলো। সামান্য একটা ভুল তাকে রোশানের জীবন থেকে ছিটকে অনেক দূরে ছুঁড়ে ফেলে দিলো। জিনাত কিছুতেই রোশানের পাশে সারাহ’কে মেনে নিতে পারছে না।

দিন দিন মনটা আরোও বিষের মত হয়ে উঠছে তার। যে কোনো কিছুর বিনিময়ে সারাহ’কে সরিয়ে রোশান’কে তার জীবনে আনতেই হবে। প্রয়োজনে সারাহ’কে খু’ন করে হলেও। একটা মেয়ে ভালবাসলে কতটা ভয়ংকর হতে পারে সেটা সারাহ-কে বুঝিয়ে দিত্ব হবে। কি যোগ্যতা আছে সারাহ’র রোশানের বউ হওয়ার। রোশানের বউ তো আজ আমার হওয়ার কথা ছিলো। কি থেকে কি হয়ে গেলো। এমন সময় জিনাতের ঘরের দরজা কেউ ধাক্কা দিলো। সাথে সাথে বাহিরের আলো গিয়ে অন্ধকার রুমটা পরিষ্কার ফর্সা করে ফেলল। জিনাত দ্রুত চোখের পানি মুছল। ফ্লোর থেকে উঠে দাঁড়িয়ে দেখল, সারাহ তার রুমে প্রবেশ করছে। সারাহ’কে দেখেই জিনাতের চোখ দু’টো আ’গু’নের মত আকার ধারণ করল। সারাহ কেন এসছে সেটা সারাহ বলার আগেই জিনাত ফোঁস করে উঠে বলল,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

” তুমি কেন এসছো এরুমে? বের হও এক্ষুনি।”
সারাহ জিনাতের ব্যবহার দেখে অবাক হয়ে জিনাতের দিকে তাকালো। বিয়ের পর এই প্রথম সারাহ জিনাতের রুমে প্রবেশ করেছে। চারদিকে চোখ বুলিয়ে দেখল, ওয়ালে কয়েকটা ছবি টাঙানো। তার মাঝে একটা ছবিতে চোখ গেলো। রোশান গম্ভীর মুখে দাঁড়িয়ে আছে, জিনাত হাসি-খুশি মুখে দাঁড়িয়ে আছে। ছবিটি দেখেই সারাহ’র সর্বাঙ্গ আবারও আ’গু’নে’র মত জ্বলে উঠল। সে কোনোভাবেই জিনাতের পাশে রোশান’কে সহ্য করতে পারছেনা। হঠাৎ কেন জিনাত’কে নিয়ে সারাহ’র মাঝে এত জেলাসি সেটা সারাহ নিজেও জানেনা। এই জেলাসি দিন দিন কেমন বেড়েই চলেছে। জিনাত সারাহ’র থেকে কোনো রেসপন্স না পেয়ে আবারও বলে উঠল,

” তোমাকে না বের হতে বলেছি এ রুম থেকে। কি জন্য এসছো।”
সারাহ’র হাতে ছিলো ঘর ঝা-ড়ু দেওয়া ঝা-ড়ু। সে ঝা- ড়ু টা জিনাতের দিকে ছুঁড়ে মারল। সাথে সাথে ঝা-ড়ু -টা গিয়ে জিনাতের গায়ে লাগল। জিনাত সারাহ’র সাহস দেখে অবাক হয়ে চোখ বড় বড় করে সারাহ’র দিকে তাকালো। ঝা’ড়ু’টা ঝা’ড়ি মে’রে দূরে ছুড়ে ফেলে দিয়ে বলল,
” তোমার এত বড় সাহস? আমাকে ঝা’ড়ু ছুড়ে মা’র’লে।”

সারাহ আলগোছে শাড়িটা কোমরে গুজে বুকে হাত বেঁধে দাঁড়ালো। চোখে-মুখে তীব্র বিরক্তি নিয়ে উত্তর দিলো,
” ভালো ব্যবহার যার ভাল লাগেনা তাকে ঝ-ড়ু-ই দিতে হয়। আপনি কি ভেবেছেন আমার সাথে খারপ ব্যবহার করবেন আর আমি রোজ আঙুল চুষব। আপনার ফুপ্পি আমাকে বলেছে আপনার ঘর ঝা-ড়ু দিয়ে দিতে। এমনিতেও আমার খেয়ে অনেক কাজ আছে। আপনার ঘর আমি ঝা-ড়ু দিতে আসিনি। ঝা’ ড়ু টা আপনার হাতে ধরিয়ে দিতে এসছিলাম। সারাহ’র সাথে ভালো ব্যবহার করলে ভালো রুপ দেখবেন আর খারাপ ব্যবহার করলে খারাপ রুপ দেখবেন। বাই দ্যা ওয়ে, আপনি না এ বাড়ির আত্মীয়। আপনি কি এ বাড়ির ফিক্সড আত্মীয়! ”
জিনাত স্পষ্ট বুঝতে পারল, সারাহ তাকে কি বোঝাতে চাইছে। এ বাড়িতে থাকা নিয়েই কিছু বোঝালো। জিনাতের ইচ্ছা করছে সারাহ’র গালে থা’প্প’র মা’র’তে। গাল ভে-ঙে দিতে ইচ্ছা করছে। জিনাত রাগে থর থর করে কাঁপতে কাঁপতে বলল,

” তুমি জানো এ বাড়িতে আমার অবস্থান আগে কি ছিলো?”
সারাহ ওয়ালের দিকে তাকিয়ে বলল,
” আপনার ফুপি বাড়ি এটা, এর বেশী আর কিছুনা। ওয়াল থেকে পরপুরুষের সাথে নিজের জয়েন্ট ছবি নামিয়ে ফেলুন। আপনার তো পাপের ভয় নেই। কিন্তু আমার স্বামী ভাল মানুষ। উনার পাপের ভয় আছে। ওনার ওয়াইফ হিসাবে ওনার পাপ আমি বাড়তে দিবোনা।”
জিনাত কণ্ঠে খানিকটা জিদ নিয়ে জিজ্ঞেস করল,

” যদি না নামাই তাহলে?”
সারাহ জিনাতে কাছাকাছি এগিয়ে গেলোম জিনাতের দিকে অগ্নিচোখে তাকিয়ে বলল,
” অন্যোর জামাই-এর সাথে কোনো আত্মসম্মান থাকা মেয়ে রাখেনা। যদি ওই ছবি রাখেন তাহলে বুঝব আপনার কোনো আত্মসম্মানই নেই।” সারাহ কেমন যেন নিজের ভেতরে নেই। মুখে কিছুই বাঁধছে না বলতে। জিনাত অবাক হয়ে প্রশ্ন করল,

“তোমার কীসের এত জেলাসি আমার সাথে সারাহ।”
সারাহ বিরক্ত কন্ঠেই জবাব দিলো,
“ঠিক যে কারণে আপনি আমার ওপর জেলাস, সেই কারণে।”
জিনাত খানিকটা উগ্রতার সাথে বলল,
“আমি যে কারণে জেলাস সেটা জানতে চেও না। আমার হৃদয়ে যে আ-গু-ন জ্বলছে সেই আ-গু-নে পুড়ে ছারখার হয়ে যাবে তোমার সুখের বাগান।”
“আমার হৃদয়ের বাগানের মালি রোশান সিদ্দিকী। উনি যদি ফুলের যত্ন নেন তাহলে কোনদিন সুখের বাগান ছারখার হবেনা।”

সারাহ’র মন খারাপ। বুক ফেঁটে কান্না আসছে। খুব অল্প সময়ের মাঝে আরিয়ানের নামটা হৃদয় থেকে অস্পষ্ট হয়ে রোশান সিদ্দিকী নামটা স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠেছে। এটা কীভাবে ঘটে গেল, আর কখন সারাহ জানেনা। তাইতো আজ কান্না পাচ্ছে। কেন কাঁন্না পাচ্ছে সারাহ’র। বিষন্ন মন নিয়ে সারাহ কোচিং গেলো। কোচিং এ মন বসছে না তার। অশান্তিতে পু’ড়ে যাচ্ছে হৃদয়। কোচিং শেষ করে ছোঁয়া সারাহ’র হাত ধরে বলল,
” এনি প্রব্লেম সারাহ!”
সারাহ সমস্যা লুকিয়ে জবাব দিলো,

“কই না!”
ছোঁয়ার সন্দেহ হল। আবার প্রশ্ন করল,
“রোশান স্যারের সাথে কিছু হয়েছে?”
“কি হবে? উনাকে কি আমি ভালবাসি নাকি।”
“ভালবাসিস কীনা জানতে তো চাইনি। ”
সারাহ অন্যমনস্ক হয়ে জবাব দিলো,
“এমনিই ভাল লাগছে না। পেটে পেইন হচ্ছে খুব। ”
ছোঁয়া সন্দেহ বশত প্রশ্ন করল,
“মাস শেষ নাকি।”
“না’তো, দেরি আছে।”
“তাহলে হঠাৎ!”

সারাহ একটু চিন্তিত হয়ে উত্তর দিলো,
“বুঝতে পারছি না।”
ছোঁয়া বলল,
“মেবি গ্যাসের সমস্যা।”
সারাহ অন্যমনস্ক হয়ে উত্তর দিলো,
“হতে পারে।”
ছোঁয়া এবার এক্সসাইটেড হয়ে উত্তর দিলো,
“জানিস তন্ময় কি করেছে।”
সারাহ বেশ আগ্রহ নিয়ে প্রশ্ন করল,
“কি?”

ছোঁয়া লজ্জা পেয়ে বলল,
“কাল আমাকে চুমু দিয়েছে। লজ্জায় সারারাত ঘুম হয়নি আমার। তন্ময় এমন নির্লজ্জ কবে হল?..”
সারাহ একটা নিঃশ্বাস ছেড়ে বলল
“ভদ্র ছেলেটাকে এভাবে খারাপ বানিয়ে ফেললি।”
“আমি কীভাবে খারাপ বানালাম। ”
সারাহ ছোঁয়ার চুল টেনে ধরে বলল,
“তুই ছাড়া অন্য মেয়েকে তো চুমু দিচ্ছেনা। এর মানে তুই ওকে খারাপ বানাচ্ছিস।”
কথা বলতে বলতে দু’জন দু’জন কলেজের ভেতর প্রবেশ করল। কলেজে প্রবেশ করতেই দেখল, রোশান স্যারের পাশে তিনটা মেয়ে। কি নিয়ে যেন কথা বলছে। ছোঁয়া সারাহ কে খোঁচা দিয়ে বলল,

“দেখ রোশান স্যার, থুক্কু দুলাভাই দাঁড়িয়ে আছে। চারদিকে এত ছেলে অথচ আমাদের দুলাভাই-এর মতন এত সুদর্শন ছেলে একটা নেই। সারাহ ইউ আর লাকি।”
সারাহ ঘাড় কাত করে গম্ভীর হয়ে ছোঁয়ার দিকে তাকালো। এর মানে প্রশংসা একটু বেশী হয়ে যাচ্ছেনা। কেউ বলেছে ওই লোককে নিয়ে এত বাড়িয়ে বাড়িয়ে বলতে। সারাহ’র তাকানো দেখে ছোঁয়া চোখ নামালো। সে বুঝেছে এত প্রশংসা করে বিরাট অন্যায় করে ফেলেছে। তাই চুপিচুপি সারাহ’ কে বলল,
” প্রশংসা কি একটু তুলে নিবো বেব?”

সারাহ আবারও দাঁত কিড়মিড় করে ছোঁয়ার দিকে তাকালো। ছোঁয়া দ্রুত চোখ নামিয়ে মাটিতে দৃষ্টি নিক্ষেপ করল।
এমনিতেই মেয়েগুলাকে রোশান স্যারের পাশে দেখে সারাহ’র মেজাজ আবারও খারাপ হয়ে গেলো। একবার বাড়ি থেকে এক মেয়ের সাথে অশান্তি করে এসছে, এখানে আবার মেয়েগুলা পারলে ওনার গায়ের ওপর হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। যেখানে যাবো মেয়ে আর মেয়ে। মেয়ে কেলেঙ্কারি ছাড়া এই চরিত্রহীন লোকের কিচ্ছুই নেই। খালি নিজের বউ এর কাছে এসে এমন ভাব দেখায় যেন ভাজা মাছটা উল্টে খেতে জানেনা। অন্যদিকে ঠিকই মেয়েদের সাথে ইটিস পিটিস করতেই থাকে।

মেয়েগুলা না হয় বেহায়া উনি কি জানেন না উনার বউ আছে। বিবাহিত পুরুষ হয়ে মেয়েদের সাথে কথা বলছে। রাগে সারাহ’র সমস্ত শরীর ফেটে পড়ছে। বেশী রাগ হচ্ছে মেয়েগুলার হাসি দেখলে। কি বলছে মেয়েরা ওনাকে হেসে হেসে। সারাহ আর এক পা ও বাড়ালো না। রোশানের দিকে তীব্র বিরক্ত চোখে তাকালো। মন চাচ্ছে এখনি সব গি-লে খেয়ে ফেলতে। যা আমার তা আমার। আমার জিনিসের চারপাশে অন্য কারো হস্তক্ষেপ আমি মেনে নিবোনা। আমি ভালবাসি বা না বাসি উনি আমাকে ভালবাসবেন।

এবং আমার জন্য দিওয়ানা হবেন। আমি পাত্তা দিবোনা উনি সহস্রবার সেধে সেধে ভালবাসা আদায় করে নিবেন। সারাহ’র স্বাভাবিক মুখটা হঠাৎ বিরক্ত দেখে রোশান টের পেলো তার আশে পাশে মেয়েদের উপস্থিতি সারাহ কে জেলাস ফিল করাচ্ছে। এবং সারাহ মনে মনে ঝ-গ-ড়া করছে। যে মেয়েরা ছটফটে ধরনের ওরা রাগ হলেই মনে মনে প্রচুর ঝ-গ-ড়া করে। রোশান মনে মনে খুশি হলো। সে চায় সারাহ আজীবন যেন এমন হিংসুটে থাকে। অন্তত তার ব্যাপারে। প্রিয় মানুষের আশেপাশে অন্য মানুষের আগমণ যদি জেলাস ফিল না করায় তাহলে সে কখনো ভালবাসেনি। রোশান মনে মনে বলল,

“বুক ফাঁটবে তবুও মুখ ফুটবে না। মনে মনে ঝ-গ-ড়া না করে সরাসরি এসে ঝ-গ-ড়া করো। তোমার এই ঝ-গ-ড়া আমি ভীষণ ভালবাসি সারাহ।”
ছোঁয়া একবার রোশান একবার সারাহ’র দিকে তাকাচ্ছে। একজনের গম্ভীর মুখ, আরেকজনের রাগান্বিত চোখ। ছোঁয়া আস্তে করে দু’জনের মাঝ থেকে কেটে পড়ে দূরে গিয়ে দাঁড়ালো। সারাহ রোদে দাঁড়িয়েই আছে। রোশান জানে এখন তার বউকে জোরাজোরি না করে সরানো যাবেনা। রোদ লাগিয়ে বাসায় গিয়ে বলবে, মাথায় পেইন। রোশান সারাহ’র দিকে এগিয়ে গেলো। সারাহ’র সামনাসামনি দাঁড়িয়ে থমথমে কণ্ঠে বলল,

” এভাবে রোদে দাঁড়িয়ে আছো কেন? মুখ লাল হয়ে গিয়েছে।”
সারাহ অগ্নিঝরা মুখে রোশান স্যারের দিকে তাকিয়ে বলল,
“মুখ কালো হোক, গোলাপি হোক আপনার কোনো সমস্যা? আমার মুখ আমি বুঝব।”
রোশান পকেট থেকে একটা সাদা রোমাল বের করে সারাহ’র মাথায় দিয়ে আগের ন্যায় গম্ভীর কণ্ঠেই বলল,
“নো, আই হ্যাভ নো প্রব্লেম। বাট কার সাথে ঝগড়া করে হেরে গিয়েছো? ঝ-গ-ড়া-তে চ্যাম্পিয়ন মেয়ে কার কাছে হারলো।”

সারাহ আবারও অগ্নিচোখে রোশানের দিকে তাকিয়ে বলল,
” বাবা আমার কপালটা পোড়ালো। এমন মেয়ে কেলেঙ্কারিতে জড়ানো পাত্রের সাথে বিয়ে দিয়েছে। যেখানে যাবে শুধু মেয়ে আর মেয়ে। সারাজীবন মেয়েদের সাথে আমাকে ঝ-গ-ড়া করেই যেতে হবে।”
রোশান ছোট্ট করে কাশি দিয়ে বলল,
” মেয়ে কেলেঙ্কারি মানে? কথাটা আমাকে বললে?”
সারাহ আবারও রোশানের দিকে রাগান্বিত চোখে তাকিয়ে বলল,
” এমন ভাবে অবাক হলেন যেন, মেয়েদের ছায়াও মাড়ান না আপনি। ঘরে মেয়ে, বাহিরে মেয়ে, সব জায়গা মেয়ে। কলেজের সব মেয়েরা আপনার দিকে হা করে তাকিয়ে থাকে। আপনার তো ভালোই লাগে। লাগবে না কেন মেয়েরা তাকালে সবারই ভাল লাগে।”
রোশান আশে-পাশে তাকিয়ে বলল,

” কলেজের সবাই আমার স্টুডেন্ট। ভুল বুঝছো কেন?”
“আর বাড়িতে যে আছে?”
রোশান খানিকটা অবাক হয়ে প্রশ্ন করল,
” বাড়িতে কে আছে? জিনাত! ও আমার কাজিন হয়।”
সারাহ’র বিরক্তির মাত্রা বাড়ল। সে রোশানকে বলল,
” ফটোগ্রাফারকে বলে দিন, আমাদের একসাথের কোনো ছবি যেন না করে।”
রোশান আবারও অবাক হল। আবারও প্রশ্ন করল,
” কেন?”

সারাহ পেটের মাঝে চেপে রাখা কথা এবার বের করে দিলো। গড়গড় করে বলে দিলো,
” আমাকে বিয়ে করেছেন কি জন্য আপনি? আপনার কাজিনকে বিয়ে করলেই তো পারতেন। তার সাথে তার ওয়ালে জয়েন্ট ছবি টাঙানো রয়েছে। আমার সাথে ছবির কি দরকার। আপনি জিনাতের সাথে অতীতে কি কি করেছেন যার জন্য জিনাত আমাকে আজ আজে বাজে কথা শোনালো। এর কৈফিয়ত না দিলে আপনার সংসার আর আমি করব না।”

একটি নির্জন প্রহর চাই সিজন ২ পর্ব ২৯

রোশান বুঝতে পারল জিনাত বাড়ি থেকে মিথ্যা কিছু বানিয়ে বলেছে। রোশান শান্ত কণ্ঠে বলল,
” বিষয় টা বাড়ি গিয়ে দেখছি।”
” হ্যাঁ দেখুন যা খুশি করুন। আপনার বাড়ি আমি আর যাচ্ছিনা। যান জিনাতের সাথে গিয়ে থাকুন। আপনার নাইসেএ সাথে। রাত-দিন জিনাতকে বলবেন, নাইস দেখাচ্ছে, নাইস লুকিং, ইউ আর মাই নাইস।”

একটি নির্জন প্রহর চাই সিজন ২ পর্ব ৩১