নীরদ ক্লেশের অন্ত পর্ব ৩৩
লেখিকা-নামীরা অন্তিকা
“ইলার জ্ঞান ফিরেছে, আরও কয়েকদিন অতিবাহিত হোক। এরপর নাহয় সবটা আবার নতুন করে শুরু করা যাবে।”(মৃদু হেসে)
কল্যাণীর কথায় মাথা নাড়লেন বিপুল রায়। মিষ্টি হেসে বললেন,
“তোমার কাপড় চোপড় গুছিয়ে রেখেছি, ফ্রেশ হয়ে আসো। আমি বসার কক্ষে যাচ্ছি বিয়ের ইলা আদিতের বিয়ের ব্যাপারে আলাপ করতে কৌশিক চৌধুরী ও প্রমীলা চৌধুরীর সাথে।”(মিষ্টি হেসে)
কল্যাণী মুখে মৃদু হাসি এঁকে বিপুল রায়ের হাসির দিকে তাকালেন। লোকটা আগে কখনো এমন ভাবে হাসতোনা। ইশ, সত্যিই তিনি অনুতপ্ত ওনার কাজে। এই চার বছরে অনেকটাই পরিবর্তন এসেছে ওনার মাঝে। কল্যাণী খুশি মনে ফ্রেশ হতে গেলেন আর বিপুল রায় বসার ঘরে।
বসার ঘরে আসতেই তিনি দেখলেন অপরিচিত এক যুবক আর একজন মহিলা দরজা হতে ভেতরে আসছেন।
আর কৌশিক চৌধুরী হতভম্ব হয়ে সেথায় চেয়ে আছেন। সারু, শেরহাম, মিতালি, নেহাল রায়ও সেখানে। শেরহাম তাঁদের দেখে বসা থেকে দাঁড়িয়ে গেছে।
“বোনের জ্ঞান ফিরেছে, তাই বোনকে একনজর দেখতে আসলাম।”(মৃদু কণ্ঠে)
শেরহাম উৎসকে অবাক নয়নে দেখলো। উৎসের সাথে উৎসের মা কানন দেবীও রয়েছেন।
“আপনি! আপনি এখানে? আপনার বোন মানে?”(অবাক নয়নে)
উৎস স্মিত হাসলো। মায়ের দিকে একনজর তাকিয়ে কৌশিক চৌধুরীর দিকে তাকালো। কঠোর চাহনিতে তাকিয়ে স্মিত হাসি মুখ ঝুলিয়ে বলে উঠলো,,
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
“কৌশিক চৌধুরী আমার নামে মাত্র বাবা হলে ওনার আর দ্বিতীয় স্ত্রীর মেয়ে সম্পর্কে আমার সৎ বোন হয়। সৎ হলেও কি, র’ক্ত তো একই বেঈমান লোকের তাইনা?”(স্মিত হেসে)
কৌশিক চৌধুরী বসা থেকে দাঁড়িয়ে গেলেন। ওনার অবাক চক্ষুদ্বয় কানন দেবীতে নিবদ্ধ। প্রায় পঁচিশ বছর পর পুনরায় সেই মুখশ্রী দর্শন পেলেন তিনি। যেই মুখশ্রীটাকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন, এক পুত্র সন্তানের বাবা হয়েছিলেন। তবে একসময় তিনি বুঝেছিলেন তিনি মোহে পড়ে সবকিছুতে এগিয়েছিলেন। তাইতো নীরবে ত্যাগ করেছিলেন কানন দেবীকে। কানন দেবীকে ঘিরে যে অতীত সে অতীত প্রতিনিয়ত তাড়া করে কৌশিক চৌধুরীকে।
এতদিন যে অতীতের সম্মুখীন তিনি হতে চাননি সেই অতীত অবশেষে ওনার সামনে এসে দাঁড়ালো। কৌশিক চৌধুরী কানন দেবীর ভেজা অক্ষীর দিকে চেয়ে আছেন। এখানে হয়তো হাজার হাজার অভিযোগ, অভিমান অথবা ঘৃণার বসবাস। তবে ভালোবাসা কি আছে এখনো সেথায়? হয়তো না, থাকার প্রশ্নই উঠেনা। সে পাপ তিনি কানন দেবী, ওনার সেই ছয় বছরের ছেলের সাথে করেছেন সেই পাপের ক্ষমা কখনো হয়না। কাপুরুষের মতো ওনার বিবাহিত স্ত্রীকে সমাজের প্রশ্নবিদ্ধ হতে ফেলে গিয়েছিলেন প্রমীলা চৌধুরীর হাত ধরে। নিজেকে সুখী বানিয়েছেন তিনি তবে একটা বারও ভাবেননি কানন দেবীর কথা, ওনার সেই ছোট্ট ছেলের কথা।
“ভাবনায় হারালে হবে কৌশিক চৌধুরী। ভাবনার জন্য পঁচিশ বছর ছিল, কিন্তু সেই সময় আপনি ব্যবহার করেননি। এখন সময় নেই, আপনার ভাবনার ইতি টানুন। ইতি টানতেই হবে কারণ আপনার নোংরা মস্তিষ্কে আমাদের কথা না স্মৃতিচারণ করলেই আমি খুশি হবো।”(কঠোর কণ্ঠে)
কৌশিক চৌধুরী হতভম্ব চক্ষুতে উৎসের দিকে তাকালো। উৎস সেই কার্ডিয়াক সার্জন। যে এইতো মাসখানেক আগে ওনার হার্ট সার্জারি করেছিল। মুমূর্ষ অবস্থা থেকে বাঁচিয়েছিল। সেই কার্ডিয়াক সার্জন আজ ওনাকে এসব বলছে। কানন দেবীর পাশে থেকে এসব বলছে। কৌশিক চৌধুরী বুঝতে বেশিক্ষন সময় লাগলোনা। এটাই ওনার পঁচিশ বছর আগে কাপুরুষ এর মতো ফেলে আসা ছয় বছরের ছেলে যার নাম “উৎস চৌধুরী”!
উৎস কৌশিক চৌধুরীকে আকাশ পাতাল ভাবনায় মত্ত হতে দেখে বলে উঠলো,,
“ভাবছেন আপনার হার্ট সার্জারি করা ব্যাক্তি কিভাবে আপনার ফেলে আসা বাচ্চা ছেলে হতে পারে, তাইনা? ভাবতেই পারেন। কারণ আপনি জানেন আপনাকে ঠিক কতটা ঘৃণা করি, সেই ঘৃণা থেকে সেদিন আপনাকে বাঁচানো থেকে উল্টো মে রে ফেলিনি কেন এমনটাই তো ভাবছেন তাইনা? ঠিকই ভাবছেন। সেদিন যদি আমি একজন কার্ডিয়াক সার্জন না হয়ে আপনার ছেলে হতাম তাহলে আপনার মতো একজন বেঈমানের মৃ’ত্যু নিশ্চিত ছিল আমার হাতে।”(কঠোর কণ্ঠে)
উৎস কানন দেবীকে এক হাতে জড়িয়ে নিজের সাথে মেশালো। উৎস ফের বললো,,
“ভেবেছিলেন অনাথ নারী, ছোট একটা বাচ্চা সমাজের প্রশ্নে, খোঁচায় এমনিতেই নুইয়ে যাবে। উপসংহারে দ্রুত পৌঁছে যাবে। তবে দেখুন, দেখছেন? আপনার ভাবনাকে মিথ্যে করে দিয়ে আমরা টিকে আছি। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছি, আমার পাশে আমার মা ছিল। আমার মাও তিনি বাবাও তিনি হয়েছিলেন। কিন্তু কেন? বাবা তো আপনি। আপনি কেন আমার আর মায়ের দায়িত্ব পালন না করে বেঈমান কাপুরুষ এর মতো পালিয়েছিলেন এই মহিলার সাথে?”(কঠোর কণ্ঠে)
উৎস বেশ জোরেই বলছে। যার দরুন আদিত ইলাকে সঙ্গে করে নিচে বসার ঘরে এসেছে, স্নিগ্ধাও নিজের কক্ষ থেকে বেরিয়ে এসেছে। ইলা স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে উৎসের দিকে চেয়ে। উপস্থিত সকলে শকড উৎসের কথা শুনে। খুশির আমেজে উৎস যেন বোমা নিঃক্ষেপ করেছে এমন মুখশ্রী সবার। প্রমীলা চৌধুরীও আজ অবাক নয়নে তাকিয়ে আছেন কৌশিক চৌধুরীর দিকে। তিনি হতভম্ব কণ্ঠে সুধালেন,,
“তুমি তো বলেছিলে তুমি শুধু বিবাহিত, তোমার কোনো সন্তান নেই! তাহলে আজ? আজ কেন আমি এটা শুনছি যে তোমার ছয় বছরের একটা ছেলে ছিল?”(হতভম্ব কণ্ঠে)
কৌশিক চৌধুরীর মুখ শুকিয়ে এলো। প্রচন্ড অস্থির বোধ করছেন তিনি। সবার দিক থেকে নজর সরিয়ে ওনার নজর স্থির হলো ইলার দিকে চেয়ে। ইলা স্তম্ভিত, স্তব্ধ নয়নে চেয়ে আছে ওনার দিকে। এছাড়া উপস্থিত সকলেও একই ভাবে চেয়ে আছে। কৌশিক চৌধুরীর বুকে চিনচিনে ব্যথা অনুভব করতে লাগলেন।
বিপুল রায় নীরব ছিলেন এতক্ষন। তিনি কাটখোট্টা স্বরে বললেন,,
“এসব কি কৌশিক চৌধুরী? এই ছেলে যা বলছে সবটা কি সত্য?”(কাটখোট্টা স্বরে)
কৌশিক চৌধুরী নীরব থাকলেন। ওনার নীরবতা এটা স্পষ্ট যে যা কিছু বলা হচ্ছে সবটা সত্য। ইলা কৌশিক চৌধুরীর দিকে চেয়ে কান্না ভেজা স্বরে বলে উঠলো,,
“বাবা! তুমি এতটা জঘন্য!”(কান্না ভেজা স্বরে)
কৌশিক চৌধুরী মাথা নিচু করলেন। মেয়ের কথার উল্টোপিঠে ওনার বলার মতো কিছু নেই। সেই মুখ তিনি হারিয়েছেন। বসার ঘরে পিনপন নীরবতা বিরাজমান। কানন দেবী উৎসের বাহুতে মুখ চেপে মৃদু স্বরে কান্না করছেন। ইশ, পরিবেশটা কি থমথমে এবং কষ্টকর। তবে এমন একটা দিন তো আসার কথা অনিবার্য ছিল। আজকে এসেছে, ভেবে ফোঁস করে একটা শ্বাস ফেললেন কৌশিক চৌধুরী।
“আজকাল সমাজে একটু খোঁজ খবর নিলেই আপনার মতো বেঈমানদের আনাগোনা অহরহ দেখা যায়। আপনারা এমন কেন? প্রথমে একজনকে জীবনের সাথে জোড়া লাগাবেন, নিষ্পাপ বাচ্চার বাবা হবেন অতঃপর অন্য নারীর হাত ধরে তাদেরকে কঠিন পরিস্থিতিতে ফেলে দিয়ে চলে যাবেন! সবটা খেলা পেয়েছেন? আপনার কোনো ধারণা আছে? একজন সিঙ্গেল মাদারকে কতটা সাফার করতে হয়? নোংরা মস্তিষ্কের মানুষের কাছ থেকে কুপ্রস্তাপ পেতে হয়! বাকিটা তো নাই বলি! আপনি সুখের সংসার করেছেন, একটা বার আমাদের কথা ভেবেছেন? আমরা আছি নাকি ম’রে গিয়েছি? আপনি এতটা জঘন্য কিভাবে হতে পারেন?”(কিছুটা নরম স্বরে)
উৎসের কণ্ঠ কঠোর থেকে কিছুটা নরম ও করুন শোনালো। স্নিগ্ধা অপলক চেয়ে আছে উৎসের দিকে। মাঝে মধ্যে বাঁশ ভেঙে যাওয়ার পরেও সম্পূর্ণ আলাদা না হয়ে কিছুটা জোড়া লেগে থাকলে যেমনটা দেখায় উৎসকে দেখতে ঠিক ভেঙে যাওয়া তবুও জোড়া লাগা এমনটাই মনে হচ্ছে। এমন শীতল পরিস্থিতিতে কানন দেবীর কান্না আর উৎসের এহেন প্রশ্ন খুবই করুন শোনালো। ইলা ধীর পায়ে কৌশিক চৌধুরী আর প্রমীলা চৌধুরীর দিকে এগিয়ে গিয়ে কিছুক্ষন চেয়ে রইলো ওনাদের দিকে। কৌশিক চৌধুরী মাথা নিচু করে আছেন, প্রমীলা চৌধুরী চেয়ে আছেন ওনার দিকে। ওনার নজর ইলার দিকে পড়তেই উনিও নজর সরিয়ে ফেললেন। ইলার ওই চোখের দিকে তাকানোর সাহস বা যোগ্যতা কোনোটাই আপাতত নেই ওনাদের।
“তোমাকে তো আমি বেস্ট বাবা মনে করতাম বাবা! আমার এই মনে করাটাকে এভাবে মাটি চাপা না দিলে কি হতোনা? তুমি কিভাবে পারলে একজন নারীকে, একটা ছোট বাচ্চাকে করুন অবস্থায় ফেলে আসতে? এই জঘন্য ও পাপ কাজ কিভাবে করতে পারলে তুমি? তুমি না আমার বেস্ট বাবা? তাহলে?”(থেমে থেমে)
ইলা কান্না করছে আর ক্ষনে ক্ষনে আটকে যাওয়া কণ্ঠে কথাগুলো বলে উঠছে। ইলার মনে হচ্ছে গলায় বিশাল বড় পাথর আটকে গেছে সেই সাথে প্রচন্ড মাথা ব্যথা করছে তার। ইলা এবার প্রমীলা চৌধুরীর দিকে তাকালো।
“মা! জানো আজকে তোমাকে আমার মা বলে সম্মোধন করতেও রুচিতে বাঁধছে! কেন জানো? তুমি এক নারী হয়ে কিভাবে আরেক নারীর সংসারে প্রবেশ করে তাকে স্বামীহীনা করলে, তার সন্তানকে বাবা থেকেও বাবাহীন করেছিলে? এমন নোংরা, পাপ কাজ কিভাবে করতে পেরেছিলে? তোমাদের কি বিবেক বলতে কিচ্ছু ছিলোনা?”(থেমে থেমে)
কথাগুলো বলার সময় ইলার কণ্ঠস্বর আটকে আসছিলো। তার মা বাবা! কিভাবে এমনটা করতে পারে। ইলা ঘুরে তাকালো উৎসের দিকে। উৎস তার মায়ের চোখের জল মুছে দিচ্ছে। এর মাঝেই সে বলে উঠলো,,
“আমার মায়ের নাম এখনও আপনার মতো নোংরা মানুষের সাথে জুড়ে আছে। ডিভোর্স হওয়া দরকার। ডিভোর্স পেপারও রেডি, আমার মা সাইন করে দিয়েছে এখন আপনার পালা। ব্যাপারটা খুব অদ্ভুত ও আশ্চর্য লাগলেও আপনার মতো নোংরা মানুষের সাথে আমি আমার মা ও আমাকে জুড়ে রাখতে চাইনা।”(তাচ্ছিল্যর হেসে)
উৎসের হাতে কানন দেবীর ব্যাগ ছিল। ব্যাগ থেকে ডিভোর্স পেপার বের করে উৎস এগিয়ে গিয়ে কৌশিক চৌধুরীর হাতে দিলো। কি অদ্ভুত তাইনা বিয়ের এতগুলো বছর পর একটা সাইনের মধ্যে একটা সম্পর্ক শেষ। ভাবনার কি আছে? যেই সম্পর্ক ফিকে মিথ্যে সেই সম্পর্কের রেশ ধরে হাতে শাখা পলা, কপালে সিঁথিতে সিঁদুর দিয়ে কোনো লাভ আছে? যেই মানুষটা বাজে ভাবে বেঈমানি করে পৃথিবীতে বাচ্চা ছেলে রেখে ফেলে গিয়েছিলেন সেই মানুষটার পরিচয় পরিধান করে কোনো লাভ নেই। এরচে ভালো এই সম্পর্ক ডিভোর্স এর মাধ্যমে অন্ত ঘটাক। ইশ বিষয়টা কেমন তাইনা? ছেলে বাবা মায়ের ডিভোর্স করাচ্ছে নিজে সামনে থেকে। কৌশিক চৌধুরী বেহায়ার মতো ডিভোর্স পেপারটা হাতে নিলেন। কেন জানি ওনার হাত কাঁপছে। আজ তিনি সেই নারীকে ডিভোর্স দিচ্ছেনা যে নারীকে একসময় অগাধ ভালোবেসেছিলেন, অবশ্য এটা ভালোবাসা নয়। মোহ! ইশ মোহো জিনিষটা খুব বাজে তাইনা? একবার ছুটে গেলে আর সম্পর্ক টেকানো যায়না। যেমন ধরুন উনপঞ্চাশ বছরে এসেও মানুষের ডিভোর্স হয় তাও আবার ডিভোর্সটা ছেলে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে করায়।
জগতে আজকাল সবটাই মোহ। ভালোবাসা খুব কদাচিৎ দেখতে পাওয়া যায়। মানুষ বর্তমানে মোহে আকৃষ্ট বেশি হয়, ভালোবাসে খুব কম মানুষই। নাহলে কি দেখতে পাওয়া যায় স্ত্রী, সন্তান থাকার পরেও অন্য নারীর হাত ধরে স্ত্রী, সন্তানকে ফেলে রেখে চলে যায়? কিছু পুরুষ যেমন কিছু নারীও তেমন আছে। অন্যের সুখ সহ্য হয়না, বিবাহিত পুরুষ হলেও বেহায়ার মতো হাত ধরে এক নারীর সংসার উজাড় করে দিয়ে সেই পুরুষ মানুষকে নিয়ে ঘর বাধে!
বসার ঘরে পিনপন নীরবতা। উৎস ডিভোর্স পেপারটা তাচ্ছিল্যর হেসে দেখছে। কৌশিক চৌধুরী সাইন করে দিয়েছেন। ব্যস সে আর কানন দেবী মুক্ত এই ঘৃণ্য লোক হতে। উৎস স্নিগ্ধার দিকে তাকালো, স্নিগ্ধা শীতল, ব্যাথিত নয়নে তাকিয়ে আছে তার দিকে মলিন মুখ করে।
নীরদ ক্লেশের অন্ত পর্ব ৩২
উৎস বিপুল রায়ের দিকে তাকালো। বললো,,
“আমি খুবই দুঃখিত, আজকের দিনে এমন একটা পরিস্থিতি ক্রিয়েট করতে চাইনি। তবে সৃষ্টিকর্তা চেয়েছেন বলে ক্রিয়েট হয়ে গেছে। আমি এসেছিলাম ইলাকে দেখতে এবং স্নিগ্ধাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিতে। আমি স্নিগ্ধাকে ভালোবাসি, এবং ওকে বিয়ে করতে চাই।”(মৃদু হেসে)